Tag: চিকিৎসক

  • এবার চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে করোনা আক্রান্ত চিকিৎসক

    এবার চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে করোনা আক্রান্ত চিকিৎসক

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গিয়ে দিন দিন বেড়েই চলেছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্তের সংখ্যা।

    এবার চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এক চিকিৎসক। আব্দুল বাসেত হাসান (৩৫) নামের এ চিকিৎসক ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। করোনা পরীক্ষায় তার পজেটিভ এসেছে।

    তথ্যটি ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজকে নিশ্চিত করেছেন ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী।

    করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকের বাড়ী চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় হলেও তিনি চাকরির সুবাধে ফটিকছড়ির নাজিরহাটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উত্তর পাশে কোয়াটারে বসবাস করতেন। গত এক সপ্তাহ ধরে আব্দুল বাসেত হাসান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডিউটি (দায়িত্ব পালন) করেছিলেন।

    আজ ২২ এপ্রিল বুধবার চট্টগ্রাম বিভাগে ১৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি নানুপুর সাব-সেন্টার চিকিৎসক আব্দুল বাসেত হাসান (২৯)সহ ৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়।

    করোনা পজেটিভ বাকি দুজনই ৪২ বছর বয়সী। একজন নগরীর লালখান বাজার এলাকার মোরশেদ মঞ্জিলে এবং অন্যজন নগরীর বালুছড়া এলাকার ঈসা খান মঞ্জিলের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

    এ ছাড়াও লক্ষ্মীপুর সদরে ৩২ বছর বয়সী একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর। তিনি বলেন, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৫ জন।

    এনিয়ে চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাড়ালো ৪৩ জন। এর মধ্যে এক শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/ এম জুনায়েদ/আর এস পি

  • বোয়ালখালীতে ২৫ চিকিৎসক-নার্স পেলেন ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম

    বোয়ালখালীতে ২৫ চিকিৎসক-নার্স পেলেন ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। বোয়ালখালী প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) পেয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ২৫ জন চিকিৎসক ও নার্স।

    এছাড়া মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্ল্যাভসসহ নানা সুরক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

    আজ সোমবার (২৩ মার্চ) উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদফতরের সহযোগীতায় এসব ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আছিয়া খাতুন।

    এতে করে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সরা ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের মাধ্যমে পূর্ণ সুরক্ষা পাবেন এবং হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নির্দ্বিধায় দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ইউএনও আছিয়া খাতুন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আতিক উল্লাহ, উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুলতান মাহমুদ ।

    উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান বলেন , উপজেলা হাসপাতালে কর্মরত ২৫ জন চিকিৎসক ও সিনিয়র স্টাফ নার্স ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) পেয়েছেন। আরো ২০ জন নার্স, ২ জন ওয়ার্ডবয়সহ ৩১ জনের জন্য এসব সরঞ্জাম প্রয়োজন ।

    ২৪ ঘন্টা/পূজন সেন/আর এস পি

  • এবার চিকিৎসক করেনায় আক্রান্ত

    এবার চিকিৎসক করেনায় আক্রান্ত

    ডেল্টা মেডিকেল কলেজে এন্ড হসপিটালের একজন চিকিৎসক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

    রোববার (২২ মার্চ) তার শরীরে করোনার অস্তিত্ব ধরা পড়ে। তিনি মিরপুরের টোলারবাগের এক করোনা (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা করেছিলেন।

    হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার হিসেবে কাজ করছেন ৩০ বছর বয়সী ওই চিকিৎসক।

    বাংলাদেশ ডক্টর’স ফাউন্ডেশনের প্রধান প্রশাসক ডা. নিরুপম দাস সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, আজ (রোববার) তার (ওই চিকিৎসকের) ভাইরাস ইনফেকশনের প্রতিবেদন এসেছে। বর্তমানে রাজধানীর বাসাবো এলাকায় নিজ বাসায় কোয়ারেন্টাইনে আছেন তিনি। দ্রুতই তাকে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে নেয়া হবে।

    এর আগে ডেল্টা মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের ৪ জন চিকিৎসক, ১২ জন নার্স এবং ৩ জন স্টাফকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। গত ২০ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া রোগীর চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন তারা।

    বাংলাদেশে গত ১৮ মার্চ করেনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এরপর ২১ মার্চ আরো একজনের মৃত্যু হয়।

    এর আগে বোবরার (২২ মার্চ) দুপুরে ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, গত ২৪ ঘণ্টা দেশে নতুন করে ৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে ২৭ জনের কথা জানিয়েছিলেন তিনি। এই চিকিৎসককে ধরে সেই সংখ্যা দাঁড়ালো ২৮ জনে। তবে নতুন করে আর কেউ মারা যাননি। তবে আক্রান্তদের মধ্যে আরো ৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলেও জানান ফ্লোরা। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরলেন ৫ জন। অর্থাৎ বর্তমানে ২১ জন করোনা রোগী আছে বাংলাদেশে।

  • ভাইরাল “হ্যালো রোহান”র হোতা চিকিৎসক আদনান রিমান্ডে

    ভাইরাল “হ্যালো রোহান”র হোতা চিকিৎসক আদনান রিমান্ডে

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাসে চট্টগ্রাম মেডিকেলে মৃত্যুর গুজব ছড়ানো ভাইরাল হওয়া অডিও “হ্যালো রোহান”র মূল হোতা চিকিৎসক ও যুবদল নেতা ইফতেখার মোহাম্মদ আদনানকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    গত ২১ মার্চ শনিবার সন্ধায় নগরীর পাঁচলাইশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চিকিৎসক আদনানকে গ্রেফতারের পর পুলিশ ২২ মার্চ রবিবার দুপুরে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। মহানগর হাকিম আবু সালেহ মোহাম্মদ নোমানের আদালত শুনানি শেষে ইফতেখার মোহাম্মদ আদনানকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

    তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) শাহাবুদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) নিয়ে গুজব ছড়ানোর অপরাধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পাঁচলাইশ থানায় দায়েরকৃত একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে চিকিৎসক ও যুবদল নেতা ইফতেখার মোহাম্মদ আদনানকে রবিবার দুপুরে আদালতে আনা হয়।

    জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচলাইশ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতের কাছে ১০ দিনের রিমাণ্ড আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আরো খবর : হ্যালো রোহান শিরোনামে গুজব সৃষ্টির নায়ক চিকিৎসক আদনান গ্রেফতার

    পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, করোনা ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী আতংককে পুঁজি করে জনমনে ভীতি তৈরি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার উদ্দেশ্যে ডা. ইফতেখার আদনান করোনায় মৃত্যুর মিথ্যা তথ্য সম্বলিত একটি অডিও ক্লিপ তৈরি করেন।

    পরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করা তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে সেই অডিও ক্লিপ ফেসবুক মেসেঞ্জারে ছড়িয়ে দেন। অডিও ক্লিপটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে পুলিশ তদন্তে নামে।

    অবশেষে গত ২১ মার্চ শনিবার বিকেলে নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে চিকিৎসক আদনানের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। একই দিন মধ্যরাতে পাঁচলাইশ থানায় পুলিশ বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ৩১ ও ৩৫ ধারায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

    ওই মামলায় চিকিৎসক ও যুবদল নেতা আদনানকে রবিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয় এবং পুলিশের পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসাবাদেও জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত শুনানী শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরীর দুই নম্বর গেইট মেয়র গলিতে চিকিৎসক আদনানের বসবাস। তিনি বিএনপির (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল) রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক। ইউএসটিসি থেকে এমবিবিএস পাশ করে আদনান আবুল খায়ের গ্রুপ ও মেডিকেল সেন্টারে কর্মরত ছিলেন।

    পুলিশ জানায়, গত ১৯ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৩৫ সেকেন্ডের একটি অডিও ভাইরাল হয়। যেখানে টেলিফোনে রোহান নামে একজনকে সতর্ক করা হচ্ছিল। ওই অডিওতে বলা হয়, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কয়েকদিনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৮ থেকে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

    ২৪ ঘন্টা/আর এস পি

  • করোনা : হ্যালো রোহান শিরোনামে গুজব সৃষ্টির নায়ক চিকিৎসক আদনান গ্রেফতার!

    করোনা : হ্যালো রোহান শিরোনামে গুজব সৃষ্টির নায়ক চিকিৎসক আদনান গ্রেফতার!

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে কেন্দ্র করে একটি মহল গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত কয়েকদিন ধরে ৩৫ সেকেন্ডের একটি অডিও বার্তা ভাইরাল হয়েছে।

    যার মাধ্যমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৮/১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে পরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।

    এদিকে ম্যাসেঞ্জারে গুজব সৃষ্টির বিষয়ে সিএমপি পুলিশের সাইবার ক্রাইম টিম সক্রিয় ও সজাগ রয়েছে। ফেসবুক মেসেঞ্জারে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ইতিমধ্যে এক চিকিৎসকে আটক করেছে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।

    আজ শনিবার বিকেলে ইফতেখার আদনান নামে এ চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে জানিয়ে বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে বললেন পুলিশ।

    গুজব সৃষ্টিকারী চিকিৎসক ইফতেখার মোহাম্মদ আদনান চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম নগরীর ও আর নিজাম রোডে বেসরকারি ক্লিনিক মেডিকেল সেন্টারে কর্মরত বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    এর আগে সকালে সেই গুজব সৃষ্টিকারীও প্রশাসনের নজরদারির মধ্যে রয়েছেন জানিয়ে সিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ মাহবুবর রহমান গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, গুজব সৃষ্টির বিষয়ে পুলিশের সাইবার ক্রাইম টিম সক্রিয় ও সজাগ আছে।

    তাছাড়া গুজবে যাতে আতঙ্কিত না হয় সে জন্য নগরীর ১৬টি থানা এলাকায় চালানো হচ্ছে পুলিশের মাইকিং। ইতিমধ্যে রটনাকারীদের মধ্যে একজনকে ধরা হয়েছে, আরেকজনকে পুলিশ চিহ্নিত করেছে বলে জানান তিনি।

    চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, মানুষের মধ্যে একটা অযথা আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটা বিশেষ মহল এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে। এর আগে গুজব সৃষ্টির অভিযোগে পটিয়ায় এক প্রকৌশলী এবং নগরীতে আটক করা হয়েছে এক ব্যবসায়ীকে।

  • করোনাভাইরাস সম্পর্কে প্রথম সতর্ক করা চিকিৎসকও বাঁচলেন না

    করোনাভাইরাস সম্পর্কে প্রথম সতর্ক করা চিকিৎসকও বাঁচলেন না

    করোনাভাইরাস সম্পর্কে সবার আগে সতর্ক করে দেওয়া সেই চিকিৎসক লি ওয়েনলিয়াং নিজেই এবার প্রাণ হারালেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভাইরাসের কেন্দ্রস্থল উহানে ওই চিকিৎসক মারা যান।

    বিবিসি জানায়, ১২ জানুয়ারি থেকে লি ওয়েনলিয়াং হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও তার শরীরে করোনাভাইরাসের বিষয়টি ধরা পড়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি। রোগীর দেহ থেকে লির শরীরে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা যায়।

    ২৭ বছর বয়সী এ চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর নিয়ে চীনা গণমাধ্যম বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে। পরে উহান সেন্ট্রাল হসপিটাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ২টা ৫৮ মিনিটে তার মৃত্যু হয়েছে।

    চীনের গ্লোবাল টাইমস প্রথমে লির মৃত্যুর খবর দেয়। পরে তা প্রত্যাহার করে ওই চিকিৎসক সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন বলে জানায় ওই সংবাদমাধ্যম। চীনের পিপলস ডেইলিও লির মৃত্যুর খবর জানিয়ে টুইট করেছিল।

    এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর লি এক বার্তায় তার সহকর্মীদের বলেছিলেন, নতুন এ করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি। আর সেজন্য চীনা কর্তৃপক্ষ তার মুখ বন্ধ করে দিয়েছিল মুচলেকা আদায় করে। সেই ডাক্তারকেই এখন ‘হিরো’র আসনে বসাচ্ছে পুরো চীন।

    বিবিসি আরও জানিয়েছে, চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের খবর সংগ্রহ করা হচ্ছিল। করোনার প্রাদুর্ভাবের সময় চিকিৎসক লি ওয়েনলিয়াং সহকর্মী ডাক্তারদের সতর্ক করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সে সময় তাকে কেউ গুরুত্ব দেয়নি। এমনকি পুলিশ তাকে শাসিয়ে চুপ করিয়ে দেয়।

    হাসপাতালের বিছানা থেকে চিকিৎসক লি চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েবোতে জানিয়েছেন সেসব কথা। ওয়েবোর পোস্টে ওই চিকিৎসক বলেন, ‘আমি লি ওয়েনলিয়াং। উহান সেন্ট্রাল হাসপাতালের একজন চক্ষুবিশেষজ্ঞ।’

    ভাইরাসে আক্রান্তদের তার হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। ৩০ ডিসেম্বর লি তার ফেলো চিকিৎসকদের একটি চ্যাট গ্রুপে বার্তা দেন। সেখানে তিনি ফেলো চিকিৎসকদের করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্ক করেন।

    ডিসেম্বর মাসে করোনাভাইরাস নিয়ে কাজ করার সময় চিকিৎসক লি পাবলিক সিকিউরিটি ব্যুরোর কর্মকর্তার সঙ্গে সফর করেন।

    তারা তাকে একটি চিঠিতে সই করতে বলেন। ওই চিঠিতে লির বিরুদ্ধে মিথ্যা মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে। বলা হয়, এ ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণের কথা বলে তিনি সমাজের ক্ষতি করছেন।

    পুলিশ বলছে, গুজব ছড়ানোর কারণে যে আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল চিকিৎসক লি ছিলেন তাদের মধ্যে একজন। যদিও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তবে সে ঘটনাটিও দেরিতে ঘটে।

    চীনের প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩৬ জনে। এর মধ্যে হুবেই প্রদেশে নতুন করে ৬৯ জন মারা গেছেন।

  • অবহেলিত ফটিকছড়ির ২০ শয্যা হাসপাতাল, ২ চিকিৎসক দিয়ে চলছে দায়সারা চিকিৎসা!

    অবহেলিত ফটিকছড়ির ২০ শয্যা হাসপাতাল, ২ চিকিৎসক দিয়ে চলছে দায়সারা চিকিৎসা!

    এম জুনায়েদ, ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : অপূর্ণতা ও দুরাবস্থায় চলছে ফটিকছড়ি উপজেলা ২০ শয্যা হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবার মান। নানা অবহেলায় মাত্র ২জন চিকিৎসক দিয়ে দায়সারা ভাবে চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। এতে এলাকার সাধারণ মানুষ অসুখ বিসুখেও সরকারী হাসপাতাল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।

    বাধ্য হয়েই পাশ্ববর্তী প্রাইভেট ক্লিনিক ও জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যেতে হয় তাদের। আর এ কারণেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে প্রাইভেট ক্লিনিক। জনগনের টাকায় কেনা উন্নতমানের মেশিনসহ কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হতে চলেছে ফটিকছড়ির ২০শয্যা এ হাসপাতালের। জনবল ও রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে মেশিনগুলো অকেজো হয়ে পরে রয়েছে।

    উপজেলার পৌরসভাসহ পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের ২ লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয় “ফটিকছড়ি সদর ২০ শয্যা এ হাসপাতাল। কিন্তু প্রতিষ্ঠার এক যুগ পরেও সেবাদানে এখনো পূর্ণতা পায়নি হাসপাতালটি। ২০০৬ সালে তত্ববধায়ক সরকারের সময় নির্মিত হাসপাতালটি চিকিৎসকের অভাবে এখন জনগণের কোন কাজে আসছেনা। ফলে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষ।

    কাগজে কলমে হাসপাতালটিতে একজন গাইনিসহ মোট ৭ জন ডাক্তারের অনুমোদিত পদ থাকলেও ২ জনের বেশি ডাক্তার নিয়মিত কর্মস্থলে থাকে না। প্রতিষ্ঠানটিতে প্রতিদিন আউটডোর চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত আছেন মাত্র ২ জন ডাক্তার। অথচ প্রান্থিক জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালটি নির্মাণ করা হলেও এটি এখন অনেকটা রোগীবিহীন ফাঁকা পড়ে আছে। স্থায়ী ডাক্তার নিয়োগ দিলেও তারা কেউ সেখানে উপস্থিত থাকেন না বলে স্থানীয়রা জানান।

    সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৩ তলা ভবনের ২য় ও ৩য় তলায় রোগীদের ওয়ার্ডের বেডে, কবুতরের বিস্টাসহ ধুলা-বালিতে আচ্ছাদিত হয়ে আছে। এলোমেলো ভাবে পড়ে রয়েছে চিকিৎসা উপকরণগুলো। তবে ভবনের নিচ তলায় একজন ডাক্তার কিছু রোগীকে আউটডোর চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

    হাসপাতালে আসা রোগীদের সাথে কথা হলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এতো বছর হয়ে গেল এখানো আমাদের হাসপাতালটি চালু হয়নি। তারা আরও জানান, কোন রকমে চিকিৎসা পেলেও ঔষধ মিলে না।

    ফটিকছড়ি পৌর মেয়র ইসমাইল হোসেন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, ফটিকছড়ি সদর ২০ শয্যা হাসপাতালটিতে পর্যাপ্ত ডাক্তারসহ চিকিৎসা সুবিধা দেওয়ার সরঞ্জাম বরাদ্ধ না থাকায় এটি জনগণের কোনো উপকারে আসছে না। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

    এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইলিয়াছ চৌধুরীর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি এসব সমস্যার কথা স্বীকার করে ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, ‘হাসপাতালটির জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চেয়ে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়েছে। আশা করছি খুব সহসা এটিকে পূর্ণাঙ্গ সেবাদানের জন্য গড়ে তোলা সম্ভব হবে।