Tag: চিকিৎসা

  • ভাটিয়ারীতে চিকিৎসার অভাবে বিছানায় কাতরাচ্ছে সফি,সাহায্যের আকুতি

    ভাটিয়ারীতে চিকিৎসার অভাবে বিছানায় কাতরাচ্ছে সফি,সাহায্যের আকুতি

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না মোঃ সফি (৪৫) নামের এক হতদরিদ্র ব্যক্তি। তিনি সীতাকুণ্ড উপজেলার ৯নং ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের খায়রুল আলম মেম্বারের বাড়ির মৃত শামসুল আলম এর পুত্র। সফি দুর্ঘটনায় আহত হয়ে দীর্ঘদিন যাবত চিকিৎসার অভাবে বিছানায় কাতরাচ্ছে।

    জানা গেছে, চলিত বছরের ১৪ জানুয়ারী বাড়ির পাশে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতস্পৃষ্টে সে মারাত্মক জখম হন। সেসময় তার দুইহাত, দুই চোখ, দুই পা এবং কোমড়ে আঘাত পান। একটি চোখ তার অকেজো হয়ে যায়। দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরও তিনি সুস্থ্য হননি। সহায় সম্পত্তি যা ছিল সব বিক্রি করেও তিনি সুস্থ্য হননি। চিকিৎসা খরচ চালাতে না পেরে হাসপাতাল ছেড়ে বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি।

    বর্তমানে স্ত্রী, দুই কন্যা আর বৃদ্ধ মা’কে নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় চরম দুঃসহ জীবন-যাপন করছেন সফি। নিয়মিত দিতে পারছেনা ঘর ভাড়া, খেতে পারছেন না ঔষধ। তার চিকিৎসার জন্যে প্রয়োজন অনেক টাকার।

    সফি বলেন, খুবি মানবতার জীবন-যাপন করছি। আমার পক্ষে চিকিৎসার খরচ বহন করা সম্ভব নয়। মানবতার খাতিরে সমাজের বিত্তশালীরা একটু সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দিলে আমার উন্নত চিকিৎসা করানো সম্ভব হবে। সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিরা সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহবান (বিকাশ: ০১৮১৪-৮৭১৮১০)।

    এন-কে

  • হাসপাতালে-হাসপাতালে ঘুরেছি/আকুতি মিনতি করেও চিকিৎসা জুটেনি, বাঁচাতে পারলাম না বাচ্চাকে!

    হাসপাতালে-হাসপাতালে ঘুরেছি/আকুতি মিনতি করেও চিকিৎসা জুটেনি, বাঁচাতে পারলাম না বাচ্চাকে!

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। বিশেষ প্রতিবেদন : চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানা এলাকায় অটোরিকশার সাথে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হয়েছে চার বছরের শিশু শাওন। তার নাক দিয়ে ব্লিডিং শুরু হলে স্বজনরা তাকে নিয়ে প্রথমে ছুটে যান নিকটস্থ বেপজা হাসপাতালে।

    অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে শিশুটিকে নিয়ে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ছুটে গেলেন স্বজনরা। সেখানেও চিকিৎসা জুটেনি। এরপর আহত শিশুটিকে নিয়ে স্বজনরা ছুটে গেলেন সাউথ পয়েন্ট হাসপাতালে। সেখানেও জুটেনি তার চিকিৎসা!

    অবশেষে তাকে নিয়ে শেষ ভরসাস্থল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলেও ততক্ষনে শিশু শাওনের দেহ নিস্তেজ হয়ে পড়ে। শিশুর স্বজনদের কঠিন কথাটি শুনালেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। বললেন শিশু শাওন আর বেঁচে নেই।হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরেও চিকিৎসা পায়নি শাওন

    মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটলেও আহত শিশুটিকে নিয়ে তার একটু সুচিকিৎসা ব্যবস্থার করার জন্য স্বজনরা বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সময় নষ্ট করেছেন শুধুমাত্র এ হাসপাতাল টু ওই হাসপাতালে ঘুরতে ঘুরতে। এমন শংকটাপণ্ন অবস্থার পরও কোন হাসপাতালের মন গলাতে পারেনি শিশু শাওনের পরিবার।

    সড়ক দুর্ঘটনায় আহত চার বছরের শিশু বাচ্চার চিকিৎসা সেবা না পাওয়ার এমন অভিযোগ করে শাওনের বাবা জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমার ছেলে শাওন আজ মঙ্গলবার দুপুরে পতেঙ্গা এলাকায় অটোরিকশার সাথে ধাক্কা খেলে গুরুতর আহত হয়। তার নাক দিয়ে ব্লিডিং শুরু হলে তাকে প্রথমে নিকটস্থ বেপজা হাসপাতালে নেয়া হয়।

    এরপর তাকে নিয়ে নগরীর আরো দুটি হাসপাতালে ঘুরেছি। কোনো হাসপাতাল ভর্তি নিতে রাজি হয়নি। অবশেষে মঙ্গলবার পৌনে ৩টার দিকে যখন তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হলো তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক জানালেন শিশু শাওন আর নেই! এক ঘণ্টার মধ্যে যদি তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা হতো তাহলে শাওন সুস্থ হয়ে যেতো বলে দাবী তার।

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শিশু শাওনের স্বজনদের আহাজারীতে ভারী হয়ে উঠে হাসপাতালের পরিবেশ। শিশুটির বাবা জাহিদ হোসেন কান্না করতে করতে গণমাধ্যমকে বলেন, এত আকুতি মিনতি করেও আমার বাচ্চাকে বাঁচাতে পারলাম না। আমার শিশু পুত্রটির এমন কি অপরাধ ছিলো যে চিকিৎসা না পেয়ে মরতে হলো। এর চেয়ে ব্যর্থতা কি হতে পারে।

    এদিকে হাসপাতালের স্ট্রেচারে রাখা শাওনের মরদেহ নিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন স্বজনরা। নানা তার নাতি হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে গড়াড়ড়ি খাচ্ছেন। এ এক হৃদয় বিদারক দৃশ্য।

    জানা যায়, গ্রামের বাড়ি রংপুর হলেও চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় থাকেন শিশু শাওনের পরিবার। শাওনের মরদেহ রংপুর নিয়ে যাবে এবং সেখানেই দাফন কাজ সম্পন্ন করবে বলে জানালেন নিহত শাওনের পরিবার।

    প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির পর থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসার অভাবে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। চট্টগ্রামে বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরেও একটি আইসিইউ বেডের অভাবে মৃত্যু হয়েছে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর।

    হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল ঘুরেও চিকিৎসা না পেয়ে স্বজন হারানোর অভিযোগ করেছেন বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার পরিবারও। হাইকোর্টের আদেশ, সরকারি নির্দেশ, মেয়রের হুমকি জনগণের প্রবল প্রতিবাদেও এই করোনাকালে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর যেন মন গলছে না!

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • চিকিৎসার প্রয়োজনে যুক্তরাজ্য যেতে হাইকোর্টে জামিন চেয়েছেন খালেদা জিয়া

    চিকিৎসার প্রয়োজনে যুক্তরাজ্য যেতে হাইকোর্টে জামিন চেয়েছেন খালেদা জিয়া

    জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে ফের হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনে বলা হয়েছে, ‘তিনি গুরুতর অসুস্থ। তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। জামিন পেলে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যেতে চান।’

    মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুলের হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন আবেদন দাখিল করা হয়। খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    জামিন আবেদনে যুক্তিতে বলা হয়েছে, ‘খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ্য এবং তাঁর উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তাঁর উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে না। তাই জামিন পেলে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যাবেন।’

    খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন জানান, ‘খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের একটাই কারণ সেটা হলো মানবিক।’

    গত বছরের ডিসেম্বর মাসে এই মামলায় আপিল বিভাগ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন।

    গত বছরের ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ৭ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অর্থদণ্ড স্থগিত এবং সম্পত্তি জব্দের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়ে দুই মাসের মধ্যে ওই মামলার নথি তলব করেছিলেন। এরপর ২০ জুন বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। গত বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করা হয়।

    ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন।

  • আনোয়ারায় টাকার অভাবে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত মিনু শীল, সাহায্যের আবেদন

    আনোয়ারায় টাকার অভাবে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত মিনু শীল, সাহায্যের আবেদন

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। আনোয়ারা প্রতিনিধি : টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না মিনু শীল (৪০) নামের এক হতদরিদ্র নারী। তিনি আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের বাসিন্দা বিধান শীলের স্ত্রী।

    মিনু শীল দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ হয়ে চিকিৎসার অভাবে বিছানায় কাতরাচ্ছে। তার স্বামী বিধান শীলের দু’চোখের দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে যাওয়ায় তার পক্ষে চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব নয়।

    গতকাল মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) মিনু শীলের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে রায়পুর ইউনিয়নের লোকনাথ সেবাশ্রমের সদস্যরা খবর পেয়ে মিনু শীলের বাড়িতে এসে তাদের সহযোগিতার মাধ্যমে বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩য় তলায় ১৩ নং বেডে ভর্তি করানো হয়।

    মিনু শীলের স্বামী বিধান শীল জানায়, আমার এক ছেলে সন্তান রয়েছে। আমার দু’টি চোখ অন্ধ হয়ে যাওয়ায় চোখে দেখতে পায় না। আমার স্ত্রীর দীর্ঘদিন যাবৎ শারীরিক অবস্থা আশংকা জনক হলেও আমার পক্ষে চিকিৎসার খরচ বহন করা সম্ভব নয়।

    মানবতার খাতিরে সমাজের বিত্তশালীরা একটু সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দিলে আমার স্ত্রীর উন্নত চিকিৎসা করানো সম্ভব হবে।সহযোগিতা পাঠানোর জন্য বিকাশ নাম্বার 01927752117

  • চিকিৎসায় নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী

    চিকিৎসায় নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী

    চিকিৎসাশাস্ত্রে বিশেষ অবদানের জন্য যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার ২০১৯ পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী।

    তারা হলেন-যুক্তরাষ্ট্রের উইলিয়াম কেইলিন, পিটার র‌্যাটক্লিফ এবং যুক্তরাজ্যের গ্রেগ সেমেনজা।

    ২০১৯ সালের প্রথম সেশনের এই পুরস্কার সুইডেনের স্টকহোম ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট থেকে ঘোষণা করা হয়।

    অক্সিজেনের প্রাপ্যতা উপর নির্ভর করে মানবদেহের কোষগুলো কিভাবে খাপ খাইয়ে নেয় সেটি নিয়ে কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তাদের ২০১৯ সালের নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।

    সুইডেনের স্থানীয় সময় সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে নোবেল কমিটি তাদের ভেরিফায়েড টুইটার পেজে এক পোস্টে এই তিন বিজ্ঞানীর নোবেলপ্রাপ্তির তথ্য নিশ্চিত করেন।

    নোবেল কমিটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই ত্রয়ীর আবিষ্কারের মধ্যদিয়ে ‘রক্ত স্বল্পতা, ক্যানসার এবং অন্যান্য অনেক রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য নতুন কৌশল’আবিষ্কারের পথ সুগম হয়েছে।