চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানার মৌলভীপাড়া এলাকায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় একই পরিবারের দগ্ধ আরো তিন সদস্য হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা গেছে। এ ঘটনায় একই পরিবারের ৪ সদস্যই চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে তথ্যটি নিশ্চিত করেন ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সদীপ কুমার দাশ। তিনি বলেন, গত ১৯ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরী ডবলমুরিং থানার মৌলভীপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। এতে একই পরিবারে স্বামী স্ত্রী ও তাদের দুই সন্তান অগ্নিদগ্ধ হয়েছিল।
অগ্নিদগ্ধদের উদ্ধার করে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ৪ বছরের শিশু সন্তান আশরাফুলকে মৃত্যু হয়। একই পরিবারের বাকি তিনজনের অবস্থা গুরুতর দেখে সকলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে চমেকের কর্তব্যরত চিকিৎসক। ঘটনার ৪দিন পর গত বুধবার ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় দগ্ধ তিনজনের মৃত্যু হয়। আরো খবর : আগুনে পুড়ে শিশুর মৃত্যু
নিহতরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের গৌরনগর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে আমির হোসেন (৩২), তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী খালেদা আক্তার (২৫) এবং তাদের সন্তান উনিয়া (৫)। এর আগে ঘটনার পরদিন সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে পরিবারের অপর সন্তান আশরাফুল (৪)।
নিহত আমির হোসেনের ভাই জামাল হোসেন জানান, আমির হোসেন পেশায় মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে তিনি চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার মৌলভীপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত ১৯ অক্টোবর রাতে ঘুমানোর পর হঠাৎ করে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে ঘরে আগুন ধরে যায়। এতে তারা চারজনই দগ্ধ হয়।
পরে তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশরাফুলকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে আমির হোসেন, রাত ১১টার দিকে উনিয়া এবং দিবাগত রাত ২টার দিকে খালেদা মারা যান।
নিহতদের মধ্যে আশরাফুলের মরদেহ চট্টগ্রামেই দাফন করা হয়েছে। বাকি তিনজনের মরদেহ গৌরনগর গ্রামের ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে বলেও নিহতদের পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে।