Tag: চীন

  • বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে আরও মনোযোগ দেওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী

    বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে আরও মনোযোগ দেওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী উল্লেখ করে বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মূল কেন্দ্র বিন্দু হওয়া উচিত দুই দেশের আরও উন্নয়ন।

    চীনের উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী সান ওয়েইডং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি বলেন, ‘দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও ক্ষেত্রে আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত আমরা দেশকে কীভাবে আরও উন্নত করতে পারি।’

    বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

    চীনের মন্ত্রী বলেন, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও হাইটেক সহযোগিতা জোরদার করতে আগ্রহী।

    তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আরও সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে।’

    বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ চীনের উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি বরাদ্দ করেছে এবং তারা সেখানে শিল্প স্থাপন করতে পারে।

    চীনের উপমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীনা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান।

    বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে তিনি বলেন, প্রায় ১০ বছর আগে তিনি বাংলাদেশ সফর করেছেন। তবে, এবার বাংলাদেশকে অনেক বেশি উন্নত দেখেছেন।

    তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।

    তিনি বলেন, তিনি পদ্মা সেতু ও বাংলাদেশে চীনের সহায়তায় নির্মিত আরো পাঁচটি প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন।

    প্রধানমন্ত্রীও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে তার ব্যক্তিগত শুভেচ্ছা জানান।

    তিনি বলেন, প্রায় ছয় হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী চীনে পড়াশোনা করছে এবং তাদের মধ্যে অনেকেই কোভিড মহামারী চলাকালীন দেশে ফিরে এসেছে।

    শেখ হাসিনা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা চালিয়ে যেতে মহামারীর পরে সে দেশে ফিরে যেতে সহায়তা করার জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

    এ সময় প্রধানমন্ত্রীর এম্বাসাডর-এটলার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন উপস্থিত ছিলেন।

    চীনের উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী সান ওয়েইডং দুই দিনের সরকারি সফরে শুক্রবার রাতে ঢাকা এসেছেন।

  • চীনে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট, সপ্তাহে সাড়ে ৬ কোটি আক্রান্তের শঙ্কা

    চীনে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট, সপ্তাহে সাড়ে ৬ কোটি আক্রান্তের শঙ্কা

    চীনে করোনাভাইরাসের নতুন একটি ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ছে। ‘এক্সবিবি’ নামক করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্টটি জুনের শেষ দিকে এতটাই ব্যাপক সংক্রমণ ঘটাতে পারে যে সপ্তাহে সাড়ে ছয় কোটির বেশি মানুষ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর চীন ‘জিরো কোভিড’ নীতি থেকে সরে আসার পর নতুন ভ্যারিয়েন্টটি ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যার ফলে দেশটিতে করোনার নতুন ঢেউ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে।

    স্বাস্থ্যবিদরা আশঙ্কা করছেন এক্সবিবির সংক্রমণে এই মাসের শেষ নাগাদ দেশটিতে সপ্তাহে ৪ কোটি সংক্রমণ ছাড়িয়ে যেতে পারে। আর জুনের শেষে সংক্রমণ সপ্তাহে সাড়ে ছয় কোটিতে পৌঁছাতে পারে।

    ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে দেশটিতে একদিনে তিন কোটি সত্তর লাখ মানুষের আক্রান্ত হওয়ার রেকর্ড হয়েছিল। এটিই এখন পর্যন্ত একদিনে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের রেকর্ড।

    এক্সবিবি হলো ওমিক্রনের বিএ.২.৭৫ এবং বিজে.১ এর সাব-ভ্যারিয়েন্টের একটি হাইব্রিড সংস্করণ। এতে ইমিউনকে দুর্বল করে ব্যাপক সংক্রমণের ক্ষমতা রয়েছে।

    স্পাইক প্রোটিনে এক্সবিবি’র সাতটি মিউটেশন রয়েছে। ইমিউন সিস্টেম এক্সবিবিকে চিনতে সময় নেয়। এটি ইমিউন কোষকে কৌশলে ধোকা দিয়ে শরীরের কোষে আরও সহজে প্রবেশ করতে পারে।

    গেল মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নেয়। এর কয়েক সপ্তাহ না যেতেই চীনে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট।

    এখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যে করোনার ধরন বিশ্লেষণ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, জরুরি অবস্থা শেষ হয়ে গেলেও মহামারি শেষ হয়নি।

    চীনের গ্লোবাল টাইমস জানায়, চায়না সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (চায়না সিডিসি) অনুসারে, এক্সবিবি মিউট্যান্টের সংক্রমণের হার ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি ০.২ শতাংশ থেকে এপ্রিলের শেষের দিকে ৭৪.৪ শতাংশে পৌঁছে। তারপরে মে মাসের শুরুতে তা ৮৩.৬ শতাংশে বেড়েছে।

    গবেষণায় দেখা গেছে, এক্সবিবির সংক্রমণক্ষমতা এবং ভ্যাকসিন প্রতিরোধের ক্ষমতা আগের ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে শক্তিশালী। তবে জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের মতে, এর প্যাথোজেনিসিটিতে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই।

    চায়না সিডিসির সাপ্তাহিক প্রকাশিত ডেটায় দেখা যায় যে, ৩৬৮টি কোভিড-১৯ সংক্রমণের মধ্যে ১০৪ জন দ্বিতীয়বার সংক্রমিত হয়েছেন। যদিও এদের বড় একটি অংশ বুস্টার ডোজ পেয়েছেন।

    এর আগে সংক্রমণের ব্যাপক বৃদ্ধির সময় চীনে পণ্য মজুতের দিকে ঝুঁকেছিল মানুষ। এতে এক প্রকার সংকট তৈরি হয়। দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাও গুরুতর চাপের মধ্যে পড়েছিল। হাসপাতালগুলি রোগী দিয়ে ভরে যায় এবং ওষুধের ঘাটতিতে বিপাকে পড়ে দেশটির স্বাস্থ্যসেবা।

    এবার করোনার নতুন সংস্করণকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে চীন। চীনের শীর্ষস্থানীয় শ্বাসযন্ত্রের রোগ বিশেষজ্ঞ ঝং নানশান আশা করছেন, চীন শিগগিরই দেশে কোভিড-১৯-এর সর্বাধিক প্রভাবশালী স্ট্রেনকে লক্ষ্য করার জন্য দুটি নতুন ভ্যাকসিন পাবে।

    গত সোমবার চীনের গুয়াংঝু প্রদেশে গ্রেটার বে এরিয়া সায়েন্স ফোরামকে তিনি বলেছিলেন, ওমিক্রনের সাবভেরিয়েন্টগুলিকে লক্ষ্য করে ভ্যাকসিনগুলি প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছে। শিগগিরই এগুলো বাজারে আসবে।

    আরও চারটি নতুন ভ্যাকসিনও শিগগিরই অনুমোদন পাবে বলে আশা করা হয়েছিল। তবে সেগুলি কবে নাগার আসতে পারে বা অনুমোদন পাবে সে সম্পর্কে তিনি বিশদ কিছু জানাননি।

    পিকিং ইউনিভার্সিটি ফার্স্ট হাসপাতালের শ্বাস-প্রশ্বাস বিশেষজ্ঞ ওয়াং গুয়াংফা গ্লোবাল টাইমসকে বলেছেন, দ্বিতীয় ঢেউটি প্রথমটির মতো খারাপ হবে না, বা হাসপাতালগুলিকে অতিরিক্ত চাপে ফেলবে না। কারণ পুনরায় সংক্রমণ সাধারণত হালকা হয়। অর্থাৎ রোগীর অবস্থা গুরুতর করে না।

    তবে ওয়াং সংক্রমণ প্রতিরোধে জটিল রোগে আক্রান্ত ও দুর্বল মানুষদের ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। এই ধরনের মানুষের জন্য সংক্রমণটি ক্ষতির কারণ হতে পারে।

    চীন ক্সবিবি মোকাবিলায় দুটি ভ্যাকসিন অনুমোদন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, শিগগিরই আরও তিন-চারটি অনুমোদন দেওয়া হবে। আরও কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরিতে আমরা অন্যান্য দেশের চেয়ে এগিয়ে চলেছি।

  • তৃতীয় মেয়াদে চীনের প্রেসিডেন্ট হলেন শি জিনপিং

    তৃতীয় মেয়াদে চীনের প্রেসিডেন্ট হলেন শি জিনপিং

    টানা তৃতীয় মেয়াদে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর অর্থনীতির দেশ চীনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন শি জিনপিং।

    শুক্রবার (১০ মার্চ) চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে ২ হাজার ৯৫২ ভোট পেয়ে পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

    দেশটির আইনপ্রণেতারা সর্বসম্মতিক্রমে শি জিনপিংকে ভোট দিয়েছেন। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার অনুমতি দিয়েছে সংসদ।

    এদিন বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ ফলাফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আইনপ্রণেতারা উঠে দাঁড়ান এবং শির পক্ষে হাততালি দেন। বার্ষিক আইনসভার এ সম্মেলনে শিকে কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে পুনর্নিযুক্ত করা হয়। আশা করা হচ্ছে, শনিবারই দেশটির প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে বলে ।

    গত বছরের ২২ অক্টোবর চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) সম্মেলনে শি জিনপিংকে দলের মূল নেতা হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর মাধ্যমেই নজীরহীনভাবে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় বসা পাকাপোক্ত হয় তার।

    এর আগে, ২০১২ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসেন শি জিনপিং। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি সর্বসম্মতিক্রমে জয়লাভ করেন। এবার টানা তৃতীয় মেয়াদের তিনি প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় বসলেন।

  • চীনের ৯০ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত : সমীক্ষা

    চীনের ৯০ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত : সমীক্ষা

    চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত চীনের ৯০ কোটি নাগরিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের চালানো এক সমীক্ষায় এমনটাই দেখা গেছে। ওই সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬৪ শতাংশ মানুষের শরীরে এ ভাইরাস রয়েছে।

    এ ছাড়া দেশটির প্রদেশভিত্তিক সংক্রমণের ক্ষেত্রে মোট জনসংখ্যার ৯১ শতাংশ সংক্রমণ নিয়ে সবার শীর্ষে রয়েছে গানসু। আর ৮৪ শতাংশ সংক্রমণ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ইউনান ও ৮০ শতাংশ সংক্রমণ নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কিংহাই প্রদেশ। আজ বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি অনলাইন এ খবর দিয়েছে।

    এদিকে চীনা শীর্ষ এক মহামারি বিশেষজ্ঞ সতর্ক করেছেন, আসছে চীনা লুনার নিউ ইয়ারে দেশটির গ্রামাঞ্চলে সংক্রমণ আরও বাড়বে। চীনের সেন্টার ফর ডিজেস কন্ট্রোলের সাবেক প্রধান ও মহামারি বিশেষজ্ঞ জেং গুয়াং সতর্ক করে বলেন, চীনের এই করোনা ঢেউয়ের চূড়ান্ত পর্যায় দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত স্থায়ী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    আসছে ২৩ জানুয়ারি চীনে লুনার নিউ ইয়ার উদযাপন করা হবে। আর নিউ ইয়ার উপলক্ষে লাখ লাখ চীনারা শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন। কেউ কেউ মহামারি শুরুর পর এই প্রথমবার বাড়িতে যাচ্ছেন। কারণ মহামারির কারণে গত বছরগুলোতে তারা বাড়ি যেতে পারেননি।

    সম্প্রতি ব্যাপক আন্দোলনের মুখে চীন শূন্য-কোভিড নীতি থেকে সরে আসে এবং করোনার কঠোর বিধিনিষেধ তুলে নেয়। বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর থেকে দৈনিক করোনা সংক্রমণ পরিসংখ্যান প্রকাশও বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। আর গত ৮ জানুয়ারি থেকে বিদেশিদের দেশটিতে প্রবেশের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে।

    এদিকে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর দেশটিতে ব্যাপকভাবে কোভিড সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। এতে বড় বড় শহরগুলোর হাসপাতালে কোভিড রোগীতে প্রচণ্ড ভিড় তৈরি হয়।

    চলতি মাসের শুরুতে এক অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ জেং গুয়াং বলেছিলেন, এখন গ্রামীণ এলাকায় মনোযোগ দেওয়ার সময়। গ্রামাঞ্চলে ইতোমধ্যেই অনেক বয়স্ক, অসুস্থ ও প্রতিবন্ধী কোভিড চিকিৎসার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েছেন।

  • চীনের সিচুয়ানে শক্তিশালী ভূমিকম্প, নিহত ২

    চীনের সিচুয়ানে শক্তিশালী ভূমিকম্প, নিহত ২

    চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে দু’জন নিহত ও অনেক লোক আহত হয়েছেন।

    বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে ভূ-পৃষ্ঠের স্বল্প গভীরে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। এ ঘটনায় উদ্ধার কর্মীরা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্যায়ের জরুরি তৎপরতা শুরু করেছে। খবর এএফপি’র।

    খবরে বলা হয়, দেশটির মেগাসিটি চংকিংয়ের প্রায় ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে লুক্সিয়ান কাউন্টিতে বৃহস্পতিবার ভোর রাতের আগে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে।

    মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানায়, রিখটার স্কেলে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৪ ভাগ। তবে চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্কস সেন্টার জানায়, এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক।

    উভয় সংস্থা জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূ-পৃষ্ঠের মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে।

    চীনের জাতীয় ভূমিকম্প কর্তৃপক্ষ জানায়, এ ভূমিকম্পে দু’জন নিহত ও ৫৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশংকাজনক।

    কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, এতে লুক্সিয়ানে অনেক ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে এবং আরো বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে ভূমিকম্পের ঘটনায় হাজার হাজার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্র পরিচালিত সিজিটিএন দু’জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।

    সিচুয়ানের স্থানীয় সরকার জানায়, ভূমিকম্পের কারণে অনেক বিদ্যুত লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৬২ হাজার পরিবার বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

    উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে চীনের সিচুয়ান প্রদেশে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৯ ভাগ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে ৮৭ হাজার মানুষ প্রাণ হারান বা নিখোঁজ হন।

    এন-কে

  • চীনে বিবিসির সম্প্রচার নিষিদ্ধ

    চীনে বিবিসির সম্প্রচার নিষিদ্ধ

    যুক্তরাজ্য চীনের ইংরেজি ভাষার টেলিভিশন চ্যানেল সিজিটিএনের সম্প্রচার লাইসেন্স বাতিল করার সপ্তাহখানেকের মাথায় পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে বিবিসির সম্প্রচার নিষিদ্ধ করল বেইজিং।

    করোনাভাইরাস মহামারি ও উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের যেসব প্রতিবেদন সাম্প্রতিক সময়ে বিবিসি প্রকাশ করেছে, সেগুলোর সমালোচনা করে চীন এই সম্প্রচার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

    এদিকে বিবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজের সম্প্রচার নিষিদ্ধ করার চীনের এ পদক্ষেপকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ‘খর্ব করার অগ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে যুক্তরাজ্য। খবর বিবিসির।

    আইন ভঙ্গের অভিযোগে যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রক সংস্থা চীনের ইংরেজি ভাষার টেলিভিশন চ্যানেল সিজিটিএনের সম্প্রচার লাইসেন্স বাতিল করে।

    চীনের চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ও বেতার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিবিসির প্রতিবেদনে চীনের সম্প্রচার নীতিমালার ‘মারাত্মক লঙ্ঘন’ ঘটেছে।

    ওই নীতিমালায় বলা হয়েছে– ‘সংবাদ হতে হবে সত্য ও নিরপেক্ষ, চীনের জাতীয় স্বার্থের জন্য তা ক্ষতিকর হওয়া চলবে না’। সেই শর্ত পূরণে বিবিসির ওই প্রতিবেদন ব্যর্থ হয়েছে বলে চীনের ভাষ্য।

    এর প্রতিক্রিয়ায় বিবিসি এক বিবৃতিতে বলেছে, চীন সরকারের সিদ্ধান্তে তারা ‘হতাশ’।

    যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব চীনের পদক্ষেপের সমালোচনা করে একে ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার অগ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

  • চীনে রেস্তোরাঁ ধসে ২৯ জনের মৃত্যু

    চীনে রেস্তোরাঁ ধসে ২৯ জনের মৃত্যু

    চীনের শানজি প্রদেশে একটি রেস্তোরাঁ ধসে অন্তত ২৯ জন নিহত ও ৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

    জন্মদিনের একটি পার্টি চলাকালীন শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে এ দূর্ঘটনা ঘটে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।

    উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ শানজির জিয়াংফেন এলাকায় দুই তলা ওই ভবনটি থেকে ৫৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এদের অনেকেই আহত হয়েছেন।

    রোববার চীনের জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ২৯টি মৃতদেহ ছাড়াও ২৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, এদের মধ্যে ৭ জন গুরুতর আহত হওয়া ছাড়াও ২১ জন সামান্য আঘাত পেয়েছেন।

    চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিজিটিএন জানিয়েছে, রবিবার সকালের দিকে উদ্ধার কাজে ইতি টানা হয়েছে। তবে ভবন ধসের কারণ এখনো জানা যায়নি।

    কেন্দ্রীয় সরকার থেকে স্থানীয় সরকার ঘটনাটি তদন্ত করে দেখবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • রাশিয়ার পর করোনা ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিল চীন

    রাশিয়ার পর করোনা ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিল চীন

    রাশিয়ার পর এবার চীন তাদের নিজেদের তৈরি করোনাভাইরাসের একটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে।

    এটাই চীনা সরকারের অনুমোদন পাওয়া প্রথম করোনা ভ্যাকসিন। এর আগে রাশিয়া তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে।

    চীনের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ চেন ওয়ের একটি টিম এই ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করেছে। প্রথম দু’টি ধাপে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর এই ভ্যাকসিনের সফলতার পরই চীন সরকার এই ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিল। খবর আনাদোলু ও সিনহুয়ার।

    দু’টি ধাপেই পরীক্ষামূলক প্রয়োগে এই ভ্যাকসিন নিরাপদ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।

    যুক্তরাষ্ট্রের মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে প্রকাশিত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তথ্যের বরাত দিয়ে সিনহুয়া জানিয়েছে, করোনার এই ভ্যাকসিনটি নিরাপদ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে কার্যকর।

    ভ্যাকসিনটি ৩২০ জন স্বেচ্ছাসেবীর দেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়। প্রথম ধাপের ট্রায়ালে ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সী ৯৬ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে ২২৪ জন স্বেচ্ছাসেবক এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে।

    পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফলে ভ্যাকসিনটি কার্যকরভাবে স্বেচ্ছাসেবীদের দেহে নিরপেক্ষ অ্যান্টিবডি তৈরি এবং রোগ প্রতিরোধে সক্ষমতা দেখিয়েছে।

    গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। চীন থেকে এই ভাইরাস এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে তাণ্ডব চালাচ্ছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বিশ্বের বৃহত্তম উভচর বিমানের সফল উড্ডয়ন করল চীন

    বিশ্বের বৃহত্তম উভচর বিমানের সফল উড্ডয়ন করল চীন

    সমুদ্রে বিশ্বের বৃহত্তম উভচর বিমানের সফল উড্ডয়ন সম্পন্ন করেছে চীন। জটিল আবহাওয়াতেও উড়তে সক্ষম এজি৬০০ নামের দূরপাল্লার এই বিমানের বহন-ক্ষমতাও অনেক।

    গতকাল ২৬ জুলাই সকালে স্থানীয় প্রযুক্তিতে স্থানীয়ভাবে তৈরি এই বিমানটি পূর্ব চীনের শানতুং প্রদেশের ছিংতাওয়ে সমুদ্রের ওপরে সফলভাবে উড়েছে।

    রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান নির্মাতা কোম্পানি এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশান অব চায়না (এভিক) এসব তথ্য জানিয়েছে।

    বিমানটি ছিংতাওয়ের সমুদ্র থেকে সকাল ১০টা ১৮ মিনিটে উড্ডয়ন করে এবং সফলভাবে প্রায় ৩১ মিনিটের টেস্ট ফ্লাইট সম্পন্ন করে।

    এর আগে ২০১৭ সালে বিমানটি প্রথম আকাশে ওড়ে এবং ২০১৮ সালে একে একটি জলাশয় থেকে পরীক্ষামূলকভাবে আকাশে ওড়ানো হয়।

    এখন সমুদ্র থেকে টেস্ট ফ্লাইট সম্পন্ন হবার পর বিমানটিকে আরও বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই কেবল একে আনুষ্ঠানিকভাবে অপারেশনে নামানো হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • দেশে চীনের করোনা ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমোদন

    দেশে চীনের করোনা ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমোদন

    এই প্রথম চীনের একটি ভ্যাকসিনকে বাংলাদেশে ফেজ থ্রি ট্রায়ালের জন্য আইসিডিডিআর,বিকে অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ বিএমআরসি।

    আইসিডিডিআর,বি-এর অনুমোদনের জন্য আবেদন করার পর দেশে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়।

    করোনা ভাইরাসের এ ভ্যাকসিনটি প্রাথমিকভাবে সরকারি ৮টি কোভিড হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর প্রয়োগ করা হতে পারে বলেও জানা গেছে।
    এর আগে সবাইকে ছাড়িয়ে করোনার ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে চীন। গত ২৯ জুন ইয়াহু নিউজের খবরে বলা হয়, দেশটির সেনাবাহিনীর গবেষণা শাখা এবং স্যানসিনো বায়োলজিকসের (৬১৮৫.এইচকে) তৈরি একটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন মানব শরীরে প্রয়োগের অনুমতি পেয়েছে।

    তবে আপাতত ভ্যাকসিন শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যবহার করা হবে। স্যানসিনো বলেছে, চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন গত ২৫ জুন এডি৫-এনকোভ ভ্যাকসিনটি সৈন্যদের দেহে এক বছরের জন্য প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। স্যানসিনো বায়োলজিকস এবং একাডেমি অফ মিলিটারির একটি গবেষণা ইনস্টিটিউট যৌথভাবে ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে।

    বাংলাদেশে যে ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল দেয়া হচ্ছে সেটি চূড়ান্ত সফল হলে সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য চীন সফলভাবে কোনো ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারলে যাবতীয় সহযোগিতা ও সহায়তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেবে দেশটি। এমনটাই জানিয়েছেন চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান।

    গত ২১ জুন ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান জানান, বাংলাদেশ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু এবং এক্ষেত্রে বাংলাদেশ অবশ্যই অগ্রাধিকার পাবে। এছাড়া, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও চীন নিবিড়ভাবে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চীনে করোনার প্রথম ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমোদন

    চীনে করোনার প্রথম ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমোদন

    ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে নিরাপদ এবং কার্যকর প্রমাণিত হওয়ার চীনের সামরিক বাহিনীর গবেষণা শাখা এবং স্যানসিনো বায়োলজিকসের (৬১৮৫.এইচকে) তৈরি একটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সৈন্যদের দেহে প্রয়োগের করার অনুমোদন পেয়েছে । ভ্যাকসিনটি শুধু দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্যদের মাঝে এক বছরের জন্য প্রয়োগ করা হবে বলে সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে স্যানসিনো বায়োলজিকস।

    এতে বলা হয়েছে, নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাজনিত রোগ প্রতিরোধের জন্য চীনের তৈরি আটটি ভ্যাকসিন দেশে এবং বিদেশে মানবদেহে পরীক্ষার অনুমোদন পায়। সামরিক বাহিনীর গবেষণা শাখা এবং স্যানসিনো বায়োলজিকসের তৈরি এডি৫-এনকোভ ভ্যাকসিনটি সেগুলোর একটি। এই ভ্যাকসিনটি কানাডায় মানবদেহে পরীক্ষারও অনুমতি পেয়েছে।

    স্যানসিনো বলেছে, চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন গত ২৫ জুন এডি৫-এনকোভ ভ্যাকসিনটি সৈন্যদের দেহে এক বছরের জন্য প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। স্যানসিনো বায়োলজিকস এবং একাডেমি অব মিলিটারি সায়েন্সের (এএমসি) একটি গবেষণা ইনস্টিটিউট যৌথভাবে ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে।

    ভ্যাকসিনটির সামরিক ব্যবহারে চায়না সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন বিভাগের অনুমোদনের ব্যাপারে স্যানসিনো বলছে, বর্তমানে এডি৫-এনকোভ ভ্যাকসিনটি শুধু সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যবহার সীমাবদ্ধ থাকবে। লজিস্টিকস সাপোর্ট ডিপার্টমেন্টের অনুমোদন ছাড়া বৃহৎ পরিসরে টিকাপ্রদানের কার্যক্রম সম্প্রসারিত করা যাবে না।

    ভ্যাকসিনটি সৈন্যদের জন্য নেয়া বাধ্যতামূলক কিংবা ঐচ্ছিক কিনা সে ব্যাপারে বাণিজ্যিক গোপনীয়তার কথা উল্লেখ করে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি স্যানসিনো। এ ব্যাপারে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক ই-মেইল বার্তায় স্যানসিনোর কাছে মন্তব্য জানতে চেয়েছিল।

    এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে চীনের সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানির আরও দুটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিদেশ সফরে যাওয়া দেশটির সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শরীরে প্রয়োগের অনুমোদন দেয়া হয়। এরপরই সেনাবাহিনীর সদস্যদের দেহে নতুন এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমোদন দেয়া হলো।

    স্যানসিনোর এডি৫-এনকোভ ভ্যাকসিনটির প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফলে দেখা যায়, নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগ কোভিড-১৯ প্রতিরোধ করার সক্ষমতা রয়েছে ভ্যাকসিনটির। তবে চীনা এই কোম্পানি বলেছে, এই মুহূর্তে ভ্যাকসিনটির বাণিজ্যিক সাফল্যের নিশ্চয়তা দেয়া যাচ্ছে না।

    বিশ্বজুড়ে পাঁচ লাখের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নভেল করোনাভাইরাসের এখনও চূড়ান্ত কোনও ভ্যাকসিন পাওয়া যায়নি। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক ডজনেরও বেশি ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ধাপে রয়েছে। এছাড়া শুধু চীনের তৈরি ৮টি ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগের পর্যায়ে রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • জ্যাক মাকে হটিয়ে চীনের শীর্ষ ধনী পোনি মা

    জ্যাক মাকে হটিয়ে চীনের শীর্ষ ধনী পোনি মা

    আলিবাবা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা এখন আর চীনের ধনীতম ব্যক্তি নন। সেই জায়গাটি নিয়েছেন টেনচ্যান্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের পোনি মা।

    ৫০০০ কোটি ডলার মূল্যের সম্পত্তি নিয়ে জ্যাক মাকে ছাড়িয়ে গেছেন পোনি মা। জ্যাক মা-র সম্পত্তির পরিমাণ ৪৮০০ কোটি ডলার।

    টেনচ্যান্ট মূলত একটি কম্পিউটার গেম নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। ২০১৮ সালে পোনি মা-র সংস্থা টেনচ্যান্টকে নতুন অনলাইন গেম বানাতে নিষেধ করে চীনের সরকার। কিন্তু করোনা মহামারীর সময় অনলাইন গেমের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। লকডাউনে ঘরবন্দি থাকায় অনেকেই অনলাইন গেম খেলে সময় কাটাচ্ছেন। এই সুযোগে টেনচ্যান্টের ব্যবসা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে বাড়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম। চীনের সবচেয়ে দামি কোম্পানি হিসাবে আলিবাবাকে টপকে ওই সংস্থা উঠে আসে এক নম্বরে।

    এদিকে ধনীতমদের তালিকায় তিন নম্বরে উঠে এসেছেন ৪০ বছর বয়সী কলিন হুয়াং। পিনডুওডুও নামে এক শপিং অ্যাপ সংস্থার মালিক কলিনের সম্পত্তির পরিমাণ ৪৩০০ কোটি ডলার। অর্থাৎ তিন লক্ষ কোটি টাকার বেশি।

    ২০১৯ সালে পিনডুওডুও কোম্পানির মূল্য বেড়েছে তিনগুণ। গত রোববার সংস্থাটির মূল্য জ্যাক মা-র আলিবাবাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ফোর্বস ম্যাগাজিনের রিয়েল টাইম বিলিওনেয়ার্স ইনডেক্সে দেখা যায়, গত শুক্রবার কলিন হুয়াং-এর পিনডুওডুও সংস্থার শেয়ারের দাম বেড়েছিল ছয় শতাংশ। নাসড্যাকে তার দাম উঠেছিল ৮৭.৫৮ ডলার পর্যন্ত।

    করোনা মহামারীর সময় দ্রুতগতিতে পরিবর্তন ঘটছে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে গিয়ে ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে অর্থনীতির ডিজিটাইজেশন। আর এই সুযোগে ব্যবসা বাড়িয়েছে ইন্টারনেটভিত্তিক কোম্পানিগুলো। এতে করে বড় ধরণের এমন রদবদল ঘটে গেছে ধনীদের তালিকায়ও।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর