Tag: চীন

  • করোনা : চীনকে পেছনে ফেলে ২য় মৃত্যুপুরী স্পেন, ১ দিনে ৬৫৬সহ মৃতের সংখ্যা ৩৬৪৭

    করোনা : চীনকে পেছনে ফেলে ২য় মৃত্যুপুরী স্পেন, ১ দিনে ৬৫৬সহ মৃতের সংখ্যা ৩৬৪৭

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের উহানে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৩১ ডিসেম্বর। এরপর রীতিমত মৃত্যুর মিছিলে মৃত্যুপুরীতে রুপ নেয় চীন।

    মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মৃতের সংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে গেছে স্পেন। দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বেশি মৃত্যু হারের তালিকায় যোগ হয়েছে স্পেনের নাম।

    গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৫৬ জন। এ নিয়ে সেখানে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬৪৭ জন। তাছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৭ হাজার ৪৫৭ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯ হাজার ৫১৫ জন।

    স্পেনে এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৩৬৭ জন কোভিড-১৯ রোগী চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। এখনও চিকিৎসাধীন ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। এদের মধ্যে ৩ হাজার ১৬৬ জনের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন বলে জানা গেছে।

    স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবারের চেয়ে বুধবার (২৫ মার্চ) স্পেনের আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ২০ গুণ। সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে মাদ্রিদ। ব্যাপক ঝুঁকিতে আছে দেশটির স্বাস্থ্যকর্মীরা। পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের ১০ শতাংশই স্বাস্থ্যকর্মী।

    তবে মহামারি করোনা ভাইরাসে চীনে মৃত্যুর যে রেকর্ড ছিল তা অনেক আগেই অতিক্রম করেছে ইতালি। করোনায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন দেশটিতে। গত ২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে মারা গেছেন ৬৮৩ জন, মোট মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৭ হাজার ৫০৩ জনে। তাছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ২১০ জন। এ নিয়ে সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ৩৮৬ জন।

    এছাড়া, চীনে মোট ৮১ হাজার ২১৮ জনের শরীরে ধরা পড়েছে নভেল করোনাভাইরাস, মারা গেছেন ৩ হাজার ২৮১ জন।

    ২৪ ঘন্টা/আর এস পি

  • করোনায় মৃত্যুতে চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে ইতালি

    করোনায় মৃত্যুতে চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে ইতালি

    প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) সংক্রমণে ইতালিতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৪০৫ জনে।

    একইসঙ্গে ইউরোপের দেশটিতে এই সময়ে নতুন করে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৩২২ জন। এ নিয়ে মোট আক্রন্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ৩৫ জন।

    এ হিসেবে ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনের কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যু সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ইতালি। করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত এশিয়া দেশটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ২৪৫ জন।

    বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এ তথ্য জানায় ইতালি কর্তৃপক্ষ।

    গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে প্রথমবারের মতো শনাক্ত হয় নভেল করোনাভাইরাস। এ পর্যন্ত সেখানে মারা গেছেন ৩ হাজার ২৪৫ জন, আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ হাজার ৯২৮ জন। সংক্রমণ শুরুর পায় দুই মাস পর গত ২১ ফেব্রুয়ারি ইতালিতে প্রবেশ করে প্রাণঘাতী করোনা। এরপর মাত্র একমাসের মধ্যেই মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে দেশটি।

  • ‘চীনে করোনা আক্রান্তদের ৭০ ভাগই সুস্থ’

    ‘চীনে করোনা আক্রান্তদের ৭০ ভাগই সুস্থ’

    চীনে এ পর্যন্ত ৮০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণঘাতী নভেল করোনভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন অন্তত ৩ হাজার ১৩৬ জন। তবে আশার কথা, দেশটিতে ভাইরাস আক্রান্ত ৭০ শতাংশ মানুষই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। চীনে এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার মানুষ করোনামুক্ত হয়েছেন।

    সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান ড. টেড্রস আধানম গেব্রেইয়েসুস জেনেভায় সংস্থাটির সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ভাইরাসটি ইতোমধ্যে অনেক দেশেই পা রেখেছে। এটি প্যানডেমিকে (মহামারির চেয়ে বড় সংকট) পরিণত হওয়ার হুমকি এখন সত্য হতে চলেছে।’

    তিনি বলেন, ‘অল্প কিছু দেশ সম্প্রদায়ভিত্তিক সংক্রমণ আটকাতে সক্ষম হয়েছে। তবে, এ নিয়ে বিশ্ব নেতাদের এখনই হাল ছেড়ে দেয়ার দরকার নেই। চীনে ৮০ হাজারের বেশি করোনা রোগীর ৭০ শতাংশই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।’ দেশটিতে মহামারি প্রায় শেষের পথে বলেও মন্তব্য করেন ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক।

    এদিকে, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা। সংস্থাটির জরুরি কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক ড. মাইক রায়ান বলেন, ‘যখন কোনও কিছু (করোনাভাইরাস) ১০০টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে, আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়ায়, তখন চিন্তা তো হবেই। মাত্র দুই সপ্তাহ আগেও এটি ৩০টি দেশে ছিল।’

    ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি ও ইরান- এই চারটি দেশেই করোনা আক্রান্ত ৯৩ শতাংশ রোগী রয়েছেন। ৮০টি দেশে আক্রান্তের সংখ্যা একশ’রও নিচে। এছাড়া, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র ২০ শতাংশের শরীরে গুরুতর উপসর্গ দেখা গেছে, বাকি ৮০ শতাংশের শরীরেই বড়জোর হালকা নিউমোনিয়া দেখা গেছে।

  • করোনা ভাইরাস: ইরানে ২১০ জনের মৃত্যু

    করোনা ভাইরাস: ইরানে ২১০ জনের মৃত্যু

    প্রাণঘাতি নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। চীনের পর ইরান, ইতালি ও দক্ষিণ কোরিয়ায় মারাত্ম রূপ নিচ্ছে। ইরানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে অন্তত ২১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

    তবে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিহত হয়েছেন ৩৪ জন, আক্রান্ত হয়েছেন ২৮১ জন। তবে বাস্তবে এই সংখ্যা অনেক বেশি বলে জানিয়েছে বিশ্ব সংবাদমাধ্যম।

    ইরানে করোনায় নিহতদের বেশিরভাগই তেহরান এবং কোম শহরের। সর্বপ্রথম কোম শহরেই করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর তা ধীরে ধীরে দেশটির বেশ কয়েকটি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে ইরানেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

    করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইরানের এক সাবেক রাষ্ট্রদূতের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ভ্যাটিকান নগরীতে ইরানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া দেশটির একজন মন্ত্রী, সাংসদ এবং ভাইস প্রেসিডেন্টও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

    এরই মধ্যে অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ ব্যাতিত সকল মহাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনায় মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯২৩ জনে। আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫ হাজার ২০৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩৯৪৪৮ জন।

    সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, বেলারুশ ও লিথুয়ানিয়াও নিজেদের দেশে প্রথম করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে।

    এছাড়াও এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া- কোনও মহাদেশ বাদ যায়নি এই ভাইরাসের আক্রমণ থেকে।

  • উহান থেকে দিল্লিতে ২৩ বাংলাদেশি

    উহান থেকে দিল্লিতে ২৩ বাংলাদেশি

    প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে চীনের উহানে আটকে পড়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২৩ জন ভারতে পৌঁছেছেন। ফ্লাইট জটিলতার কারণে এসব শিক্ষার্থীকে সরাসরি দেশে আনা যায়নি। তাই ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে বিষয়টি সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ সরকার।

    পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম এই তথ্য জানিয়েছেন।

    তিনি জানান, আজ তারা উহান থেকে ভারতের দিল্লীতে পৌঁছেছেন। করোনাভাইরাস সংক্রামক হওয়া এবং তাতে আক্রান্ত ব্যক্তির উপসর্গ দেখা দিতে ১৪ দিন প্রয়োজন হয়। তাই দিল্লি থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে তারা সবাই ২ সপ্তাহ ‘কোয়ারেন্টাইনে’ থাকবে। এরপর তারা বাংলাদেশে আসবে।

    এর আগে করোনাভাইরাসের কারণে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে আটকে পড়া ৩১২ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

    করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা যাওয়ার পর চীনে বসবাসরত মানুষের মাঝে রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় উহান শহরটিকে অবরুদ্ধ করে দেয় চীন।

    পরিপ্রেক্ষিতে, চীনের হুবেই প্রদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী সেখানে অবরুদ্ধ হয়ে পড়লে চীনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে তারা দেশে ফেরার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুত তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

    বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ‘রেসকিউ ফেরি ফ্লাইট বিজি-৭০০২’ ২ ফেব্রুয়ারি ৩১২ জন বাংলাদেশিকে ফেরত আনে। এরপর আটকে পড়া বাকীদের আনতে ফ্লাইট মেলানো যাচ্ছিলো না। পরে ভারতের সাথে আলাপ করে কিছু বাংলাদেশী শিক্ষার্থীকে আনা হয়।

  • করোনাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭৬৪

    করোনাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭৬৪

    প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৬৪ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৯৯৭ জন। আর মহামারী এই ভাইরাসটি থেকে প্রাণে বেঁচেছেন ৩০ হাজার ৫৭ জন।

    শুধু উৎপত্তিস্থল চীনেই আজ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৭১৫ জন। এর মধ্যে শুধু নতুন করে মারা যান ৫২ জন। তবে এই ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে দেশটিতে।

    নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৪০৬ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮ হাজার ৬৪ জন। আর সব মিলিয়ে আরোগ্য লাভ করে ২৯ হাজার ৭৫৫ জন। আর সঙ্কটাপূর্ণ রোগীর সংখ্যা ৮ হাজার ৭৪৫ জন।

    আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ১৪৬ জন। এর মধ্যে নতুন করে মহামারী এই ভাইরাসটিতে কেউ আক্রান্ত হয়নি। মোট মৃতের সংখ্যা ১২ জন। এর মধ্যে শুধু আজকেই মারা গেছে ১ জন।

    তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রমোদতরী ‘ডায়মন্ড প্রিন্সেস’। জাহাজটিতে আজকে আর কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৪ জন। সেখানে আজ আর নতুন করে কেউ আক্রান্তও হয়নি। আজকে দক্ষিণ কোরিয়ার বাইরে নতুন করে কোথাও আক্রান্ত হয়নি।

    তাছাড়া, নতুন এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি, জাপান ও ইরানে। তবে উৎপত্তিস্থল চীনে এর প্রকোপ ধীরে ধীরে কমে আসছে।

  • করোনা ভাইরাস: বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ২৬১৯, চীনে ২৫৯২

    করোনা ভাইরাস: বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ২৬১৯, চীনে ২৫৯২

    বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) রবিবার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬১৯ জনে। এর মধ্যে চীনেই মৃত্যুর সংখ্যা ২ হাজার ৫৯২ জন। করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৯ হাজার ৫৬১ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে ১১ হাজারের বেশি লোকের অবস্থা সংকটাপন্ন। শুক্রবার পর্যন্ত করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৫ হাজার ২৩ জন। হতাহতদের মধ্যে বেশিরভাগই চীনের। তবে চীনের বাইরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।

    চীনের বাইরে করোনায় নিহত হয়েছেন- দক্ষিণ কোরিয়ায় সাত জন, জাপানের ডায়মন্ড প্রিন্সেস প্রমোদতরীতে তিন জন, ইতালিতে তিন জন, হংকংয়ে দুই জন, ইরানে আট জন, তাইওয়ান, জাপান, ফ্রান্স ও ফিলিপাইনে একজন। এ খবর দিয়েছে করোনাভাইরাস নিয়ে লাইভ আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডমিটারস।

    চীনে ধীরে ধীরে করোনায় আক্রান্ত ও নিহতের সংখ্যা কমে আসছে। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। তবে চীনে এই সংখ্যা নিম্নমুখী হলেও বিশ্বব্যাপী করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে চলেছে।

    চীনের সকল প্রদেশে শনাক্ত হয়েছে করোনাভাইরাস। নিহতদের বেশিরভাগই হুবেই প্রদেশের। প্রদেশটির উহান শহর থেকেই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। সংক্রমণ ঠেকাতে হাসপাতাল নির্মাণ, করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট আবিষ্কারে সরকারি অনুমোদনসহ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চীন। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আতঙ্কে জনমানবশূন্য ভৌতিক এলাকায় পরিণত হয়েছে চীনের একেকটি গ্রাম ও শহর।

    রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। উহান শহরে স্টেডিয়াম, কনফারেন্স সেন্টারসহ কয়েকটি ভেন্যুকে অস্থায়ী হাসপাতালে পরিণত করা হয়েছে। এই ভাইরাস মোকাবেলায় শুরু থেকে তাদের অবহেলা ও দুর্বলতার কথা স্বীকার করেছে চীন। হুবেই প্রদেশের রাস্তা-ঘাট, অলি-গলিতে ওষুধ ছিটাচ্ছে প্রশাসন। এছাড়া বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন মেডিকেল স্টাফরা। যাদেরকে সন্দেহ হচ্ছে তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে।

    চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, জাপান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্তত ৩৩টি দেশ ও অঞ্চলে শনাক্ত হয়েছে।

    করোনায় চীনের পরই সবচেয়ে ভয়াবহ হয়ে উঠছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেস, ইতালি ও ইরানে। রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় ৭৬৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া জাপানের প্রমোদতরীতে ৬৯১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

    এরই মধ্যে ইরানসহ বেশ কয়েকটি দেশে করোনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান ও ইতালিতে বেশ কয়েকটি এলাকায় জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এমনকি জরুরি প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।

    বেশকিছুদিন আগেই বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও। তবে চীনের বাইরে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় আবারও সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যা দেখা দেয়।

  • করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৬০

    করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৬০

    চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারা বিশ্বে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৬০ জনে। এছাড়া চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত হয়েছেন ৭৭ হাজারেরও বেশি মানুষ।

    গত বছরের শেষের দিকে সংক্রমিত হওয়া করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগকে কোভিড-১৯ নামে উল্লেখ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

    স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সর্বশেষ শনিবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা জানিয়েছে বেইজিং।

    চীন: দেশটির মূল ভূখণ্ডে ৭৬ হাজার ২৮৮ জন আক্রান্তের মধ্যে ২ হাজার ৩৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা, যেখানে প্রাণঘাতি এ ভাইরাসটির উৎপত্তি হয়েছিল।

    হংকং: আক্রান্ত ৬৯, মৃত্যু ২

    ম্যাকাও: আক্রান্ত ১০

    জাপান: দক্ষিণ চীন সাগরের তীরে অবস্থিত দেশটিতে ৭৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৩ জন মারা গেছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই ইয়োকোহামা বন্দরে নোঙ্গর করা প্রিন্সেস ডায়মন্ড নামের জাহাজের যাত্রী।

    দক্ষিণ কোরিয়া: আক্রান্ত ৩৪৬, মৃত্যু ২

    সিঙ্গাপুর: আক্রান্ত ৮৬

    যুক্তরাষ্ট্র: বিশ্বের শক্তিশালী অর্থনীতির দেশটিতে ৩৫ জন নাগরিক এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। চীনে থাকা তাদের এক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।

    থাইল্যান্ড: আক্রান্ত ৩৫

    তাইওয়ান: আক্রান্ত ২৬, মৃত্যু ১

    অস্ট্রেলিয়া: আক্রান্ত ২৩

    মালয়েশিয়া: আক্রান্ত ২২

    ইতালি: আক্রান্ত ১৯, মৃত্যু ১

    ইরান: আক্রান্ত ১৮, মৃত্যু ৪

    ভিয়েতনাম: আক্রান্ত ১৬

    জার্মানি: আক্রান্ত ১৬

    ফ্রান্স: আক্রান্ত ১২, মৃত্যু ১

    যুক্তরাজ্য: আক্রান্ত ৯

    সংযুক্ত আরব আমিরাত: আক্রান্ত ৯

    কানাডা: আক্রান্ত ৯

    ফিলিপাইন: আক্রান্ত ৩, মৃত্যু ১

    ভারত: আক্রান্ত ৩

    রাশিয়া: আক্রান্ত ২

    স্পেন: আক্রান্ত ২

    লেবানন: আক্রান্ত ১

    ইসরায়েল: আক্রান্ত ১

    বেলজিয়াম: আক্রান্ত ১

    নেপাল: আক্রান্ত ১

    শ্রীলঙ্কা: আক্রান্ত ১

    সুইডেন: আক্রান্ত ১

    কম্বোডিয়া: আক্রান্ত ১

    ফিনল্যান্ড: আক্রান্ত ১

    মিশর: আক্রান্ত ১ ।

  • করোনায় মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে

    করোনায় মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে

    চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্য মতে, বুধবার নতুন করে করোনা ভাইরাস মহামারীতে আরও ১৩৬ জনের মৃত্যুর পর মৃতের মোট সংখ্যা এখন ২ হাজার ছাড়িয়েছে।

    চীনের মূল ভূখন্ডে এখন আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪ হাজার ১৮৫ জন বলে জানিয়েছে তারা।
    মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার চার জনে দাঁড়িয়েছে, মৃতদের বেশিরভাগ হুবাই প্রদেশের মধ্যাঞ্চলের বাসিন্দা। সেখানে ডিসেম্বরে ভাইরাসটি প্রথম সনাক্ত হয়। এরপর তা মহামারী আকারে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।

    জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের প্রতিদিনের আপডেট তথ্য মতে, দেশজুড়ে ১ হাজার ৭৪৯ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে, যা এই মাসে নতুন আক্রান্তের মধ্যে সর্বনিম্ন সংখ্যা।

    নতুন সংক্রমণগুলো হুবাইয়ে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাসটির কেন্দ্র স্থলের বাইরে ১৫ দিনে কেবলমাত্র ৫৬টি নতুন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।

    চীনা কর্মকর্তাদের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রে সামান্য অসুস্থতার লÿণ পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসছে এবং এর প্রাদুর্ভাব তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

    মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন, চীনের গৃহিত পদক্ষেপগুলোর কারণে পরিস্থিতির ‘দৃশ্যমান অগ্রগতি’ হচ্ছে।

  • করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চীনকে চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়েছে বাংলাদেশ

    করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চীনকে চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়েছে বাংলাদেশ

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আজ এক অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছার নিদর্শন স্বরূপ চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের কাছে কিছু চিকিৎসা সরঞ্জাম হস্তান্তর করেছেন।

    সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে দশ লাখ হ্যান্ড গ্লাভস, পাঁচ লাখ ফেসমাস্ক, দেড় লাখ ক্যাপ, এক লাখ হ্যান্ড স্যানিটাইজার, পঞ্চাশ হাজার জুতার কভার এবং আট হাজার গাউন।

    অনুষ্ঠানে মোমেন করোনভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল উহান শহর থেকে ৩ শ’ ১২ বাংলাদেশি নাগরিককে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সহায়তার জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সরকারের পাশে দাঁড়াতে চিকিৎসা সরঞ্জামগুলো চীনে প্রেরণের জন্য তাঁর মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন এবং এসকল সরঞ্জাম বাংলাদেশে তৈরি করা হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, চীন থেকে ফিরে আসা শিক্ষার্থীরা করোনভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি এবং এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে কোনও করোনভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি।

    বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, আমরা বাংলাদেশ সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদারতার জন্য ধন্যবাদ জানাই।

    তিনি বলেন, চীন করোনভাইরাস শনাক্ত করতে বাংলাদেশকে ৫ শ’ উন্নত মানের কিট সরবরাহ করছে।

    লি জিমিং বলেন, করোনাভাইরাস সনাক্তকরণে বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়াতে চীনা দূতাবাস বেইজিং জেনোমিক্স ইনস্টিটিউট থেকে এই ৫ শ’ টেস্ট কিট অর্ডার করেছে।

  • করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮৬৮

    করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮৬৮

    চীনে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। নতুন করে ৯৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

    মঙ্গলবার হুবেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর প্রকাশ করেছে।

    নতুন করে মারা যাওয়া ৯৮ জনের ৯৩ জনই হুবেই প্রদেশের এবং ৫ জন অন্যান্য প্রদেশের।

    এদিকে আরও ১ হাজার ৮৮৬ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে। ফলে দেশটিতে এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭২ হাজার ৪৩৬।

    মঙ্গলবার বেইজিং ভিত্তিক আর্থিক ও সংবাদমাধ্যম সংস্থা কাইক্সিন জানিয়েছে, ইতোমধ্যে প্রায় ৩ হাজারেরও বেশি চীনা স্বাস্থ্যকর্মী করোনভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন। যা সরকারি রিপোর্টের চাইতে দ্বিগুণ।

    সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, আক্রান্ত রোগীদের প্রায় অর্ধেক গুরুতর অবস্থায় মারা যায়।

  • করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৭০

    করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৭০

    চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা এক হাজার ৭৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ১০৫ জনের। এ ছাড়া শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আজ সোমবার এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

    এদিকে কোভিড-১৯ নামকরণ করা এ রোগে বরাবরের মতোই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত চীনের হুবেই প্রদেশ। এ প্রদেশে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৬৯৬ জনের। আর আক্রান্তের সংখ্যা ৫৮ হাজার ১৮২। চীনের অন্যান্য প্রদেশ থেকে দক্ষ চিকিৎসাকর্মীদের আনা হচ্ছে হুবেই প্রদেশে। ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকাতে হুবেই প্রদেশে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সব ধরনের যান চলাচল।

    এরই মধ্যে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্তের তালিকায় যুক্ত হয়েছে ৩০টি দেশের নাম। চীনের বাইরে এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের। এর মধ্যে চীনের বাইরে ফিলিপাইন, ফ্রান্স, হংকং ও জাপানের পর তাইওয়ানে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

    তবে খুব ধীরে হলেও সুখবর হলো, কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার কমছে। তবু উহান শহরে আরো একটি অস্থায়ী হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। এ নিয়ে অস্থায়ী হাসপাতালের সংখ্যা দাঁড়াল দশে। উহানের একটি প্রদর্শনী কেন্দ্রে বানানো হয়েছে এই হাসপাতাল। মোট সাড়ে ৮০০ শয্যার এ হাসপাতালে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার আগ পর্যন্ত চিকিৎসা দেওয়া যাবে।

    হাসপাতালটি সাজানো হয়েছে একটু ভিন্নভাবে। টিভি আর স্টেরিও সিস্টেমের সঙ্গে সেখানে শিশুদের আঁকা ছবি রয়েছে। যা চিকিৎসক ও নার্সসহ রোগীদের কাজে উৎসাহ দেবে।

    উহানের নয়া প্রযুক্তি উন্নয়ন প্রশাসনের কর্মকর্তা ভু ইংচুন বলেন, ‘সবকিছু নিয়ে প্রস্তুত আছি আমরা। যেকোনো সময়ে রোগী এলে কোনো সমস্যা নেই। সবাই যেন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারে, সে কামনাই করছি।’

    এদিকে এই মহামারি নিয়ন্ত্রণে চীনের ইতিবাচক মনোভাবের প্রশংসা করেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।