Tag: চীন

  • করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৩৬,আক্রান্ত ৩১১৬১

    করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৩৬,আক্রান্ত ৩১১৬১

    করোনাভাইরাসে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৩৬।

    মৃতদের অধিকাংশই করোনাভাইরাসের আঁতুড়ঘর হুবেই প্রদেশের। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৭৩ জনের মধ্যে ৬৯ জনই হুবেই প্রদেশের। তার মধ্যে শুধুমাত্র উহানেই মৃত্যু হয়েছে ৬৪ জনের। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩১,১৬১। নতুন করে ফের আক্রান্ত হয়েছেন ৩,১৪৩ জন।

    সংক্রমণ আটকাতে চীনের ১৯টি শহর বহির্বিশ্ব থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। বিমান তো বটেই, ট্রেন-বাস-ফেরি-সহ গণপরিবহণের সমস্ত ব্যবস্থা বন্ধ। স্কুল-কলেজ-অফিস বন্ধ। স্থানীয় বাসিন্দারা রীতিমতো ঘরবন্দি। এমনকি, বাজার করতে বেরেনোতেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তার উপরে রোগীর সংখ্যা যে মাত্রায় বাড়ছে, তাঁদের চিকিৎসার সমস্ত সুবিধা দেওয়াও সমস্যা হয়ে যাচ্ছে চীন সরকারের পক্ষে। ১ দিনের শিশুর দেহেও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে উহানে। একদিনের ওই শিশুকে নিয়ে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওই শিশুটিই এখন সর্বকনিষ্ঠ যার দেহে এই মারাত্মক ভাইরাসের লক্ষণ মিলল।

    ভাইরাসের মোকাবিলা নিয়ে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানিয়েছেন, রোগ নিয়ন্ত্রণের খুব গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে এখন দাঁড়িয়ে চীন। এই অবস্থায় স্থানীয় প্রশাসনকে তিনি অনুরোধ করেছেন, ভাইরাস আক্রান্তের খবর পাওয়া মাত্র যেন দ্রুত আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা হয়। এই রোগ নিয়ে গুজব ছড়ানো বন্ধ করার উপরেও জোর দিয়েছেন শি।

  • করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬৪

    করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬৪

    চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬৪ জনে। নিশ্চিতভাবে সংক্রমণের শিকার ২৮ হাজারের বেশি মানুষ।

    দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটির সংক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন ৭৩ জন। যাদের সবাই হুবেই প্রদেশের অধিবাসী। আরও ২৫ হাজারের মতো মানুষ রয়েছে সন্দেহের তালিকায়।

    এছাড়া, চীন’সহ অন্যান্য দেশে তিন লাখের মতো মানুষকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তাদের পরিবার-বন্ধুদের মধ্যে এক লাখ ৮৬ হাজারের বেশি মানুষ রয়েছেন নজরদারিতে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এখন পর্যন্ত ২০টি দেশে মারণব্যাধি ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বিমান, সমুদ্র, নৌ এবং স্থলবন্দরে কাজ করছে বিশেষ টিম।

    চীনের মূল ভূ-খণ্ডের বাইরে এখন পর্যন্ত মারা গেছে অন্তত দুইজন। মঙ্গলবার হংকংয়ে ৩৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তি প্রাণ হারান। তিনি কিছুদিন আগেই করোনাভাইরাসের উৎসস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ফিরেছিলেন। এর আগে, গত সপ্তাহে ফিলিপাইনে মারা যান উহানফেরত আরও একজন।

    গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। মহামারির আশঙ্কায় বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যেই চীন থেকে নিজ দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হওয়া এ ভাইরাস ঠেকাতে চীন-ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশ।

    বিশ্বের অনেক দেশই ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে চীন থেকে আগতদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বেশিরভাগ এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলো চীনগামী ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব থেকে একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে চীন।

    করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ কী?

    এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শুরুতে জ্বর ও শুষ্ক কাশি হতে পারে। এর সপ্তাহখানেক পর শ্বাসকষ্টও দেখা দেয়। অনেক সময় নিউমোনিয়াও হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা লাগে। তবে এসব লক্ষণ মূলত রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই জানা গেছে।

    সেক্ষেত্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার একদম প্রাথমিক লক্ষণ কী বা আদৌ তা বোঝা যায় কি-না তা এখনও অজানা। তবে নতুন এই করোনাভাইরাস যথেষ্ট বিপজ্জনক। সাধারণ ঠান্ডা-জ্বরের লক্ষণ থেকে এটি মৃত্যুর দুয়ার পর্যন্তও নিয়ে যেতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাসের নাম দিয়েছে ২০১৯ নভেল করোনাভাইরাস।

  • করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯০,আক্রান্ত ২৪ হাজার

    করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯০,আক্রান্ত ২৪ হাজার

    চীনে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৪৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৩২৪ জন।

    যে হুবেই প্রদেশ থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে, সেখানেই মারা গেছে সবচেয়ে বেশি, ৪৭৯ জন। আক্রান্ত ১৬ হাজার ৬৭৮ জন।

    মঙ্গলবার নতুন আক্রান্তদের সংখ্যা আগের তুলনায় একটু কম ছিল। ২৯ জানুয়ারি থেকে প্রতিদিন গড়ে হাজার চারেক মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদিন ৩ হাজার ৯৭১ জনের খবর পাওয়া গেছে।

    এদিকে চীনের বাইরে এ ভাইরাসে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে ফিলিপাইন এবং হংকংয়ে। ফিলিপাইনে মৃত ওই ব্যক্তির বয়স ৪৪ এবং হংকংয়ের বাসিন্দা লোকটির বয়স ৩৯। সম্প্রতি তারা উভয়েই উহান থেকে ফিরেছেন। ফিলিপাইনে মৃত ওই ব্যক্তি ২৫ জানুয়ারি থেকে ম্যানিলার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

    স্পেন, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের প্রায় ২০টি দেশে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।

    করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ‘হু’র মহাপরিচালক অ্যাডানোম গ্রেবিয়াসিস এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।

    চিকিৎসকেরা বলছেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। এটি মোড় নিতে পারে নিউমোনিয়া, রেসপিরেটরি ফেইলিউর বা কিডনি অকার্যকারিতার দিকে। পরিণতিতে ঘটতে পারে মৃত্যু।

    করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। লক্ষণগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মতো।
    কারও ক্ষেত্রে ডায়রিয়াও দেখা দিতে পারে।

    এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। সাধারণ ফ্লুর মতই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়াতে পারে এ রোগের ভাইরাস।

  • করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বৃদ্ধ দম্পতির হৃদয়বিদারক বিদায়

    করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বৃদ্ধ দম্পতির হৃদয়বিদারক বিদায়

    চীনে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। চীনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভাইরাসে মঙ্গলবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪২৭ আর আক্রান্ত হয়েছে ২০ হাজারের বেশী মানুষ।

    এর মধ্যে হৃদয় বিদারক একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা গেছে, অশীতিপর করোনাভাইরাস আক্রান্ত এক দম্পতি হাসপাতালে, এক অপরকে বিদায় জানাচ্ছেন। সেই ভিডিও টুইটারে ছেড়ে নিচে লেখা, “দম্পতির সংজ্ঞা কী? করোনাভাইরাস আক্রান্ত এক দম্পতি আইসিইউ-তে একে অপরকে বিদায় জানাচ্ছেন। হয়তো শেষবারের মতো!

    সেই ভিডিও দেখে নেটিজেনরা বেশ বিমর্ষ। একজন লিখেছেন, দেখেই খারাপ লাগছে বয়স্ক এই দুজনের ভিতর কী চলছে! সত্যি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ধন্যবাদ এমন ভিডিও আমাদের দেখানোর জন্য। আরো একজন লিখেছেন, দুজনেই ভালোবাসার প্রতি দায়বদ্ধ। সত্যি ভালোবাসা আমৃত্যু সঙ্গে থাকে।

    একজন একটু কড়া ভাষাই লিখেছেন, আমার হৃদয় ব্যাকুল হয়ে উঠেছে। কী করে একজন এই ধরণের ভিডিও করতে পারে। যে খানে দুজন অসহায় একে অপরের সাহায্যপ্রার্থী। মানুষের দুঃখ-কষ্ট অপিরিমিত। এই ভিডিও তার প্রমাণ। এমনটাও লিখেছেন এক নেটিজেন।

  • চীনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪২৫

    চীনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪২৫

    প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে চীনে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে মৃতের সংখ্যা। সর্বশেষ ৪২৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘আল জাজিরা’।

    সোমবার ৩৬১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। নতুন করে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে।

    এদিকে চীনের বাইরে এ ভাইরাসে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে ফিলিপাইনে। মৃত ওই ব্যক্তির বয়স ৪৪। সম্প্রতি তিনি উহান থেকে ফিরেছেন। মৃত ওই ব্যক্তি ২৫ জানুয়ারি থেকে ম্যানিলার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

    স্পেন, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের প্রায় ২০টি দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।

    করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ‘হু’র মহাপরিচালক অ্যাডানোম গ্রেবিয়াসিস এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।

    এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে চীনা অর্থনীতি। শুধু মানুষের জীবন নয়, এখন চীনের অর্থনীতির জন্যও হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে করোনাভাইরাস। আর চীন যখন হুমকিতে, তখন বৈশ্বিক অর্থনীতিও নিরাপদে থাকতে পারছে না।

    চীনের অভিযোগ, ভাইরাস নিয়ে বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। চায়না নববর্ষের ছুটি শেষে প্রায় দশ দিন পর লেনদেন শুরু হয়েছে দেশটির শেয়ারবাজারে। তবে প্রথমদিনেই বড় ধসের মুখে বাজার। সূচকের পতন হয়েছে প্রায় আট শতাংশ। যা গেলো চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। এছাড়া চীনে ব্যবসা পরিচালনা সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ সঙ্কটে চীনের আর্থিক ক্ষতি ৬ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছাতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম।

    ক্ষয়ক্ষতি কমাতে দেশের অর্থনীতিতে আরো ২ হাজার ২শ’ কোটি ডলার যোগ করতে যাচ্ছে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

    চীনাদের অন্য দেশ ভ্রমণে যাওয়া তো একরকম বন্ধই। ধস নেমেছে দেশটির সবচেয়ে লাভজনক পর্যটন খাতে। সারাবিশ্বের বিভিন্ন এয়ারলাইন্স বাতিল করছে চীনে ফ্লাইট পরিচালনা। যুক্তরাষ্ট্র চীন ভ্রমণে সরাসরিই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। প্রতিবেশী দেশগুলোতেও কমেছে পর্যটক আনাগোনা।

    চীনে ব্যবসা পরিচালনাকারী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান চীনে অবস্থিত তাদের শো-রুম, স্টল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিচ্ছে। দুটি থিম পার্ক বন্ধ করে দিয়েছে ডিজনি। এরইমধ্যে সারা বিশ্বের সাথে চীনের বাণিজ্যিক সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

    ক্রমাগত দরপতন হচ্ছে চীনের শেয়ারবাজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সূচকে। সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ পয়েন্ট হারিয়েছে বিভিন্ন সূচক। এবছর চীনের প্রবৃদ্ধি কমে সাড়ে ৫ শতাংশে নামতে পারে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান। উল্লেখ্য, ৮ দেশের পর এবার চীনাদের অন অ্যারাইভাল ভিসা স্থগিত করেছে মিয়ানমার ও ফিলিপাইন।

    চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে উৎপত্তি হওয়া করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অন্য দেশগুলোতেও দেখা যাচ্ছে। এরইমধ্যে চীনের সবগুলো প্রদেশ ছাড়াও অন্তত ২০টি দেশে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ রোগ মানুষের মাধ্যমেই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে চীন থেকে বাংলাদেশে আসা যাত্রীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে।

    সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। সেখানে আটকে পড়া ৩১৪ জনকে শনিবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

  • করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬১

    করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬১

    চীনে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬১ জন। রোববার মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৬ জনই ভাইরাসের উৎসস্থল হুবেই প্রদেশের। সেখানে এ পর্যন্ত মারা গেছেন অন্তত সাড়ে তিনশ’ জন।

    চীনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮২৯ জন। ফলে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ২০৫ জন।

    এছাড়া রোববার পর্যন্ত উহানে আরও ১ হাজার ৩৩ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন। উহান থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরবর্তী হুয়াগং শহরেও বেড়েছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা। সেখানে নতুন করে ২৪৪ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে অন্তত দুইজন।

    চীন ছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোতে নতুন করে ১৭১ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

    গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর সেটি ছড়িয়ে পড়েছে অন্তত ২০টি দেশে। চীনের বাইরে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে ফিলিপাইনে।

    মহামারির আশঙ্কায় বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে চীন থেকে নিজ নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণের এ ভাইরাস ঠেকাতে চীন-ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপান।

    ফিলিপাইনসহ অনেক দেশই এই ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে চীন থেকে আগতদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে। অনেক দেশের এয়ারলাইন্স চীনগামী ফ্লাইটও বন্ধ করে দিয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব থেকে এক প্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে চীন।

  • চীনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০৪

    চীনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০৪

    চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৩০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

    রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ‘সিসিটিভি’ এ খবর প্রকাশ করেছে।

    চীনে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২,০০০ জন। গত ডিসেম্বরে উহান শহর থেকে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস।

    চীন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী পুরো বিশ্বে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৪,৩৮০ জন। এর বেশিরভাগই চীনের। চীনের বাইরেও ২১টি দেশে এ ভাইরাসে ১০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

  • চীন থেকে ফিরেছে ৩১৬জন, জ্বর থাকায় ৮ জনকে নেয়া হচ্ছে কুর্মিটোলায়

    চীন থেকে ফিরেছে ৩১৬জন, জ্বর থাকায় ৮ জনকে নেয়া হচ্ছে কুর্মিটোলায়

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে চীনের উহান নগরীতে আটকে পড়া ৩১৬ জন বাংলাদেশিকে নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরেছে বিমানের বিশেষ ‘রেসকিউ ফেরি ফ্লাইট’ বিজি-৭০০২।

    আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা ৫৪ মিনিটে দেশে ফিরেছে বিমানের বিশেষ ফ্লাইটটি।

    রোগতত্ত্ব ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা হ্যান্ড স্ক্যানারের সাহায্যে ফ্লাইটের ভেতরে যাত্রীদের জ্বর আছে কি না, তা এখন পরীক্ষা করে দেখছেন।

    আগত যাত্রীদের মধ্যে ৮ জনের জ্বর ১০০ ডিগ্রির ওপরে। এজন্য তাদেরকে চিকিৎসার জন্য সরকারি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

    শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

    এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিমানের এই বিশেষ ফ্লাইটটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উহানের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

    হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ-উল আহসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। উহানের তিয়ানহে বিমানবন্দর থেকে যাত্রীদের নিয়ে রাত ২টার দিকে ফ্লাইটটি ঢাকায় ফেরার কথা থাকলেও প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করতে দেরি হয়ে যায় ফ্লাইটটির।

    উহানের তিয়ানহি ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় শনিবার ভোর পৌনে ৬টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল পৌনে ৮টায়) তাদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ ঢাকার উদ্দেশে উড়াল দেয়।

  • করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫৯

    করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫৯

    প্রাণঘাতি নোবেল করোনা ভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৯ জনে। অন্যদিকে ক্রমেই লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এদিন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১১,৭৯১ জন বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই এনিয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা হু। হু কর্তৃব করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়াকে বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

    মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫৯
    শুক্রবার চীন প্রশাসনের জানানো হয়েছিল মৃতের সংখ্যা ২১৩। শনিবার দিনের শুরুতে জানানো হয় মৃতের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ২৫৯ তে। বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনাই ঘটেছে চিনের হুবেই প্রদেশে।

    আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়েছে ১১, ৭৯১
    শুক্রবার চীনের প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯০০০। শনিবার জানানো হয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা ১১,৭৯১ জন। হুবেই প্রদেশে ইতিমধ্যেই নোবেল করোনা ভাইরাসকে মহামারি বলছে স্থানীয় প্রশাসন।

    হাসপাতাল থেকে মুক্ত ২৪৩ জন
    তবে এত কিছুর মধ্যেই কিছুটা আশার কথাও শোনা যাচ্ছে। সেখানকার হাসপাতাল থেকে ২৪৩ জনকে রোগ মুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। উহান প্রদেশে নোবেল করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা প্রথম সামনে আসে গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে।

    করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে- অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, আমেরিকা এবং চীনকে বাদ দিয়ে এশিয়ার সাতটি দেশে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।

  • চীন থেকে দেশে ফিরছেন ৩৬১ বাংলাদেশি

    চীন থেকে দেশে ফিরছেন ৩৬১ বাংলাদেশি

    মরণঘাতি করোনাভাইরাস আক্রান্ত চীনের উহান থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে রাতে দেশে ফিরছে ৩৬১ বাংলাদেশি। এর মধ্যে ১৮ শিশুসহ ১৯টি পরিবার রয়েছে।

    আজ শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন।

    এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. এ কে আব্দুল মোমেনে, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে চীনের উহান থেকে শিক্ষার্থীসহ ৩৬১ জন বাংলাদেশে আসার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে। গত রাতে চীনা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ক্লিলিয়ারেন্স দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

    ফেরত আসাদের চিকিৎসার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, করোনা মোকবিলায় আমাদের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমাদের চিকিৎসক এবং সাপোর্ট স্টাফরা প্রস্তুত। যারা ফেরত আসবেন তাদের ১৪ দিন পর্যবেক্ষণ করা হবে। এরমধ্যে কেউ আক্রান্ত হলে তাদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যারা উহানের বাংলাদেশিদের ফেরত আনতে যাবেন তাদের জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

    বিমানে বাংলাদেশি দুজন চিকিৎসকও থাকবেন। ফেরত আনতে যাওয়া ব্যক্তিরা আসার পর তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

    বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কুর্মিটোলা হাসপাতালে একজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আসল অবস্থা জানা যাবে। বর্তমানে ওই ব্যক্তি কোয়ারেন্টাইন অবস্থায় রয়েছেন।

  • করোনাভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৩ জনে

    করোনাভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৩ জনে

    চীনে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এদিকে নতুন করে আরো দুই হাজার জন আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। শুক্রবার জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন একথা জানায়।

    প্রাত্যহিক হাল নাগাদ তথ্যে কমিশন জানায়, এ ভাইরাসে নতুন করে ৪৩ জনের মৃত্যু হওয়ায় এ সংখ্যা বেড়ে ২১৩ জনে দাঁড়ালো। এদের এক জন ছাড়া সকলেই সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়া হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা। আর সেখানেই প্রথম ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে।

    নতুন এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগিদের আলাদা করে রাখাতে এক সপ্তাহ আগে হুবেইয়ে নজিরবিহীন বিভিন্ন পদক্ষেপ আরোপ এবং দেশব্যাপী অন্যান্য প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সত্ত্বেও সর্বশেষ এ মৃত্যু সংখ্যা এমন ইঙ্গিত দিচ্ছে যে সার্বিকভাবে চীনে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া অব্যাহত রয়েছে।

    বৃহস্পতিবার চীনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা নতুন করে দেশব্যাপী ৩৮ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল। এদের এক জন ছাড়া সকলেই হুবেইয়ের বাসিন্দা।

    জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানায়, চীনে নতুন করে এক হাজার ৯৮২ জন আক্রান্ত হওয়ায় এ রোগির সংখ্যা বেড়ে মোট প্রায় ১০ হাজার জনে দাঁড়ালো।

    এদিকে এ ভাইরাসের সম্ভাব্য উপসর্গ দেখা দেয়ায় আরো এক লাখ দুই হাজার লোককে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

  • করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭০

    করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭০

    চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকালের চেয়ে এ সংখ্যা বেশি ৩৭ জন। এর মধ্যে এ ভাইরাসের কেন্দ্রস্থল শুধু উহান শহরেই মারা গেছে ১৬২ জন। বাকিগুলো চীনের অন্যান্য শহরে।

    এছাড়া পুরো চীনে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭০০০ জনে। উহান শহরে এ সংখ্যা ৪৫৮৬ জন। ক্রমেই এর প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ছে চীনের সর্বত্রই।

    সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবারের চেয়ে বুধবার এ রোগে আক্রান্তের হার ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া চীনের বাইরে সারাবিশ্বে আরও ৯১ জনের দেহে এ ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিয়েছে।

    এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) জরুরি স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচির প্রধান ড. মাইক রায়ান বলেছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ‘পুরো বিশ্বকে সতর্ক হতে হবে।’

    তিনি করোনাভাইরাসের মারাত্মক প্রকোপের বিষয়ে চীনের পদক্ষেপের প্রশংসা করে বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ বড় হলেও প্রতিক্রিয়া ব্যাপক হয়েছে।’

    ভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী ‘জরুরি অবস্থায়’ রয়েছে কিনা তা নিয়ে চীনের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার আলোচনায় বসবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

    ড. রায়ান বলেন, এই রোগ কীভাবে সংক্রমিত হয় সে সম্পর্কে আরও জানতে একটি আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ দল চীন পাঠানো হচ্ছে।

    তিনি বলেন, ‘আমরা এ ঘটনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে এসেছি। আমরা বিশ্বাস করি যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ এখনও দানা বাঁধতে পারে।’

    গত ৩১ ডিসেম্বর উহানে এই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যাওয়ার পর চীনের সীমানা পেরিয়ে এই ভাইরাস রাজধানী বেইজিং, সাংহাই, ম্যাকাও ও হংকংয়ের বাইরে বিশ্বের ১৯টি দেশে ছড়িয়েছে।

    এ পর্যন্ত চীন, থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, হংকং, সিঙ্গাপুর, ভারত, মালয়েশিয়া, নেপাল, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং তাইওয়ানে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ইসরায়েলেও এক রোগীর শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাণকেন্দ্র চীনের মধ্যাঞ্চলের উহান শহর থেকে শত শত বিদেশি নাগরিককে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেছে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং নিহতের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকায় যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের উহান থেকে সরিয়ে নিচ্ছে।

    তবে বিস্তার ঠেকাতে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ এবং এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ চীনগামী বিমানের ফ্লাইট বাতিল করছে। এর মধ্যে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স, এয়ার এশিয়া, ক্যাথে প্যাসিফিক, এয়ার ইন্ডিয়া ও ফিনএয়ার ইতোমধ্যে চীনগামী বিমানের সংখ্যা কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে।

    ২০০৩ সালে একই গোত্রের ভাইরাস সিভিয়ার একিউট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোমের (সার্স) প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় চীনে। সেই সময় সার্সে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এবার ছাড়িয়ে গেছে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস। চীন থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্ববাজারে বড় ধরনের ধাক্কার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    গত সপ্তাহে চীনের প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তারের ঘটনায় দুই বার জরুরি বৈঠকে বসলেও বিশ্ব স্বাস্থ্যের জন্য করোনাভাইরাসকে হুমকি ঘোষণা করতে অস্বীকৃতি জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক এই সংস্থা বলছে, করোনাভাইরাস জরুরি অবস্থায় রয়েছে চীন।