Tag: চীন

  • চীনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩২

    চীনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩২

    চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে প্রায় ৬ হাজার। চীনের ন্যাশনাল হেল্থ কমিশন এ তথ্য জানিয়েছে।

    বুধবার (২৯ জানুয়ারি) চীনা গণমাধ্যম সিনহুয়ায় এক বিশেষজ্ঞের বরাতে বলা হয়েছে, আতঙ্ক ছড়ানো নতুন ভাইরাসে আক্রান্ত সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

    মঙ্গলবার পর্যন্ত গুরুতর মোট রোগীর সংখ্যা ছিল ৯৭৬। এ পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৬০ জন। অবশ্য এরই মধ্যে নতুন করে ৬ হাজার ৯৭৩ জন মানুষ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

    আরও জানায়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ আকার ধারণ করতে পারে আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে। চীন ছাড়াও ১৭টি দেশের ৭১ জন এ করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার চীন নাগরিকদের বিদেশভ্রমণ স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাডেমিক সকল কার্যক্রম।

    অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে প্রথমবারের মতো গবেষণাগারে করোনাভাইরাস তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এতে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

    গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর থেকে দেশটিতে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বাড়তেই আছে।

    কমপক্ষে দুই হাজার শয্যাবিশিষ্ট দু’টি নতুন অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে। মাস্ক এবং সুরক্ষিত পোশাক উৎপাদনে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানি।

    অপরদিকে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ক্ষমতা আরও প্রবল হচ্ছে এবং সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন।

    চীনের হুবেই প্রদেশে ৫০ হাজারের বেশি মেডিকেল স্টাফ এই ভাইরাস প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ এবং চিকিৎসায় অংশ নিয়েছেন।

    চীন ছাড়াও থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, নেপাল, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা এবং তাইওয়ানে এই ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন এ ভাইরাসের নাম দিয়েছে ২০১৯ নভেল করোনাভাইরাস।

  • চীনে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০৬

    চীনে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০৬

    প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস মারাত্মক রূপ নিয়েছে। যা মোকাবেলায় হিমহিম খেতে হচ্ছে চীনকে। এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৬ জনে। আক্রান্ত সাড়ে চর হাজারের বেশি।

    এক কোটি ১০ লাখ মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। চীনা বর্ষবরণেও আছে কড়াকড়ি। বেইজিং, সাংহাই, সিয়ান এবং তিয়ানজিয়ানে দূরপাল্লার বাস বন্ধ রয়েছে। চীন ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ডসহ ১৩ দেশে এরই মধ্যে ৪৪ জন করোনা আক্রান্ত চিহ্নিত করা হয়েছে।

    গত ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশির মত সমস্যা দেখা দেয়।

    এদিকে, ড্যানি শোহাম নামে এক ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক কর্মকর্তা দাবি করেছেন, চীনের জৈব রাসায়নিক অস্ত্র গবেষণাগার থেকে বিশ্বজুড়ে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে।

  • চীনে আটকে পড়াদের ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

    চীনে আটকে পড়াদের ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনে মারাত্মক করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে আটকে পড়া যে সব বাংলাদেশী ‘দেশে ফিরতে চান’ তাদের ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন।

    পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম আজ এ কথা জানিয়েছেন।

    ফেসবুক পোষ্টে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ‘এ ব্যাপারে আমরা চীন সরকারের সাথে আলোচনা শুরু করেছি।’

    তিনি আরো বলেন, তাদের ফিরিয়ে আনার উপায় বের করার জন্য পররাষ্ট্র দফতর করোনা ভাইরাস আক্রান্ত অঞ্চলে চীনা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার পরিকল্পনা করেছে। কারণ, সেখানে লোকজনের প্রবেশ এবং বেরিয়ে আসা বন্ধ করে ভ্রমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

    শাহরিয়ার আলম বলেন, যারা দেশে ফিরতে চান আজকের মধ্যেই তাদের তালিকা তৈরির প্রাথমিক নির্দেশনা দেয়া হবে।

    প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’

    ভাইরাসের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে জরুরি সহায়তা প্রদানের প্রয়োজনে বেইজিংয়ের বাংলাদেশী দূতাবাস প্রবাসী বাংলাদেশীদের যোগাযোগের জন্য ইতোমধ্যে ২৪ ঘন্টা হটলাইন চালু করেছে।

    হটলাইন নম্বর হচ্ছে + ৮৬ ১৭৮-০১১১-৬০০৫ এবং এই নম্বরটি চীনে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিশেষত শিক্ষার্থী ও গবেষকদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

    ভাইরাস আক্রান্ত অঞ্চল উহানে বর্তমানে প্রায় ৩শ’ থেকে ৪শ’ বাংলাদেশী শিক্ষার্থী অবস্থান করছে।
    বাংলাদেশী দূতাবাস এর আগে জানিয়েছিল যে, বেইজিংয়ে বাংলাদেশী মিশন তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে।

    চীনে প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সোমবার মৃতের সংখ্যা ৮০ জনে দাঁড়িয়েছে এবং আরো কয়েকশ’ জন নতুন করে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ায় তাদের আলাদা করে এবং ভ্রমণ বন্ধ রাখা হয়েছে। বিদেশী সরকারগুলো চীনে আটকে পরা তাদের নাগরিকদের সহায়তা প্রদানের চেষ্টা চালাচ্ছে।

  • করোনা ভাইরাসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬

    করোনা ভাইরাসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬

    চীনের উহান শহর থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ জনে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দুই সহস্রাধিক হয়েছে। দেশটির কর্তৃপক্ষ রবিবার এই তথ্য জানিয়েছে।

    এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ইতিমধ্যে উহানসহ দেশটির ১৪টি শহরে মোট ৪৭ মিলিয়ন (চার কোটি ৭০ লাখ) লোক আবদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন। নতুন দেশ হিসেবে কানাডায় করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর আগে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, থাইল্যান্ড, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

    চীনের স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, এই ভাইরাসে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নতুন করে ৬৮৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। মৃত ১৫ জনের মধ্যে হুবেই প্রদেশের ১৩ জন। এছাড়া দেশটির সাংহাইয়ে এই ভাইরাসে প্রথম কারো মৃত্যু হয়েছে। শুধু হুবেই প্রদেশেই ৫২ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।

    দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং শনিবার ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরোর বৈঠকে বলেছেন, দেশ ‘গুরুতর পরিস্থিতির’ মোকাবিলা করছে।

    সম্প্রতি চীনের উহান শহরে করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশির মত সমস্যা দেখা দেয়।

    বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রুখতে বিভিন্ন দেশ সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বন্দরে বন্দরে সতর্কতা জারি রয়েছে। এছাড়া চীনও এই ভাইরাস মোকাবেলায় সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করছে।

  • চীনে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১

    চীনে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১

    চীনের প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস নতুন নতুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। এতে মৃত বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ২৮৭ জন।

    বিবিসি জানায়, সর্বশেষ নিহতদের ১৫ জনই হুবেই প্রদেশের। এই প্রদেশেই ভাইরাসটি প্রথমে ছড়িয়ে পড়েছিল।

    এদিকে এমন সময় প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, যখন দেশটির পঞ্জিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চান্দ্রবর্ষ উদ্‌যাপন শুরু করেছে চীনারা।

    ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় অনেক অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। উহান প্রদেশে একটি নতুন হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে।

    প্রাণঘাতী এই ভাইরাস এখন ইউরোপেও ছড়িয়ে পড়েছে। ফ্রান্সে এই ভাইরাসে আক্রান্ত তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে শুক্রবার রাতে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

    চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে রুশ গণমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, হুবেই প্রদেশে ছড়িয়ে পড়া এই করোনাভাইরাস ঠেকাতে সামনে থেকে লড়াই চালিয়ে যাওয়া ডাক্তার লিয়াং উদং (৬২) অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। তিনি উহান শহরে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

    সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া এই রোগের লক্ষণ হলো- শুকনো কাশির পর জ্বর আসে। সপ্তাহখানেক পর শ্বাস-প্রশ্বাস কমে যায়। এরপর আক্রান্তদের মধ্যে কিছু লোককে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন দেখা দেয়। প্রতি চারজনের একজনের অবস্থা খুবই খারাপ হয়।

  • চীনে ভাইরাসে ২৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৮৩০

    চীনে ভাইরাসে ২৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৮৩০

    চীনে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ জনে দাঁড়িয়েছে এবং আরো ৮৩০ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। শুক্রবার চীন সরকার এ তথ্য জানিয়েছে।

    জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানায়, কর্তৃপক্ষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে এমন এক হাজার ৭২ জনকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে। চীনের মধ্যাঞ্চলীয় উহান নগরীতে প্রথম এ ভাইরাস দেখা দেয়।

    এ ভাইরাস বিশ্বব্যাপী মানব স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমন ঘোষণা দেয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর মৃত্যুর বর্ধিত এ সংখ্যা প্রকাশ করা হলো।

    এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে চীন উহান ও এর পার্শ্ববর্তী কয়েকটি নগরীর প্রায় ২ কোটি মানুষকে কার্যকরভাবে আলাদা করে রাখা হয়েছে এবং বেইজিং দেশব্যাপী এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের কথা ঘোষণা করেছে।

    কেননা, নতুন চন্দ্র বর্ষের ছুটির জন্য এ সপ্তাহে কোটি কোটি লোক ইতোমধ্যে দেশব্যাপী ভ্রমণ শুরু করেছে।

    জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, বৃহস্পতিবার এ ভাইরাসে নতুন করে আটজনের মৃত্যু এবং দেশব্যাপী আরো ২৫৯ জনের নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়ায় এ সংখ্যা সংশোধন করা হয়।

    তারা আরো জানায়,মোট আক্রান্ত ৮৩০ জনের মধ্যে ১৭৭ জনের অবস্থা আশংকাজনক।
    এছাড়া ৩৪ জন পুরোপুরি সুস্থ্য হয়ে ওঠায় তাদেরকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

    উল্লেখ্য, শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত এ ভাইরাস উহানের সামুদ্রিক খাবার ও পশুর বাজার থেকে ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা যায়।

  • এসএআরএস ভাইরাস ঠেকাতে শাহজালালে সর্বোচ্চ সতর্কতা

    এসএআরএস ভাইরাস ঠেকাতে শাহজালালে সর্বোচ্চ সতর্কতা

    চীনের রহস্যজনক নতুন ভাইরাস সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (এসএআরএস) ঠেকাতে দেশের প্রধান বিমানবন্দর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্ক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) চীন থেকে আগত যাত্রীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।

    বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চীনের নতুন ভাইরাস যাতে কোনোভাবেই বাংলাদেশে ছড়াতে না পারে, সেজন্য নানা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার চীন থেকে আসা তিনটি সরাসরি ফ্লাইটের যাত্রীদের ফিজিক্যাল স্ক্রিনিং করা হচ্ছে।

    বিমানবন্দরে স্থাপিত থার্মাল স্ক্যানারের ভেতর দিয়ে আসার সময় সংকেত দিলে ওই যাত্রীকে পরীক্ষা করবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। সাধারণত কারও শরীরের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট থাকলেও থার্মাল স্ক্যানার সংকেত দেয়। এ হিসেবে ওই যাত্রীকে বিমানবন্দরে কোয়ারেনটাইন রুমে রেখে পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসা দেওয়া হবে। এরপর শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী ওই যাত্রীকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।

    জানা গেছে, ঢাকা-চীন-ঢাকা রুটে প্রতিদিন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, চায়না ইস্টার্ন ও চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইনসের ছয়টি ফ্লাইট যাওয়া-আসা করে। এসব এয়ারলাইন্স যোগে প্রতিদিন চীন ও বাংলাদেশে বেশ কিছু যাত্রী আসা যাওয়া করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে চীনে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনাকারী প্লেন সংস্থাকে এ সম্পর্কে অবহিতও করা হয়েছে।

  • বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীতে চীন সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে : রাষ্ট্রদূত

    বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীতে চীন সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে : রাষ্ট্রদূত

    ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, চলতি বছর সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীতে চীন তাঁর প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে। এবছর একই সঙ্গে উদযাপিত হবে ঢাকা-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪৫ বছর।

    তিনি বলেন, ‘গোটা বাংলাদেশ এ বছরটি ‘মুজিববর্ষ’ হিসাবে উদযাপন করবে এবং এই মহামানবের প্রতি চীনা জনগণের সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য চীনা দূতাবাস আমাদের বাংলাদেশী বন্ধুদের সঙ্গে এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান উদযাপনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবে।’

    লি জিমিং গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় থিয়েটারে ‘হ্যাপি চাইনিজ নিউ ইয়ার গালা ২০২০, চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ৪৫তম বার্ষিকী ও মুজিববর্ষ’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন।

    রাষ্ট্রদূত বলেন, উন্নয়ন কৌশল এবং বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) এর মধ্যে যৌথ সহযোগিতা বাড়াতে ৪৫তম বার্ষিকীকে একটা বিরাট সুযোগ হিসাবে গ্রহন করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের সঙ্গে হাত বাড়াতে চীন প্রস্তুত রয়েছে।

    তিনি বলেন, পারস্পরিক বিশ্বাস ও সুবিধা নীতির ভিত্তিতে গত ৪৫ বছর চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক সময় ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এবং সম্পর্ক উন্নয়নের গতিশীলতা বজায় রাখতে পেরেছে।

    তিনি আরো বলেন, ‘চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক বর্তমানে ইতিহাসের সবচেয়ে ভাল সময়ে রয়েছে।’
    রাষ্ট্রদূত বলেন, ২০১৯ সালে চীন-বাংলাদেশ জনগণ পর্যায়ে সম্পর্ক এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের চমৎকার উন্নয়ন ঘটেছে। এ সময় ৩৭ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশী পর্যটক চীন ভ্রমন করেছে এবং ৫ হাজারের বেশী বাংলাদেশী শিক্ষার্থী চীনে পড়াশুনা করছে।

    তিনি স্মরণ করেন যে, ১৯৫০ ও ১৯৬০ সালে তৎকালীন চীনা প্রধানমন্ত্রী চু এনলাই দু’দফা ঢাকা সফর করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও দুবার চীন সফর করেছিলেন।

    লি বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অনেক আগেই আমাদের দুই দেশের প্রবীণ নেতারা বন্ধুত্বের বীজ রোপণ করেছিলেন। এটি এখন গভীর শিকড় গেড়েছে এবং সমৃদ্ধ ফল সহ একটি বিশাল বৃক্ষে পরিণত হয়েছে।

    গত সপ্তাহে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেছিলেন যে, চীনা জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে শুভেচ্ছাসহ ‘চাইনিজ নববর্ষের বার্তা’ পেয়েছে। বার্তায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শতবর্ষ ধরে চীন ও বাংলাদেশের সম্মানজনক বন্ধুত্বের উল্লেখ এবং এই সম্পর্ক ভবিষ্যতে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।

    শেখ হাসিনা চীনা জনগণ ও সরকারকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং নতুন বছরে চীনা জনগণের শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি এবং সুখী জীবন কামনা করেছেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা এটির অত্যন্ত প্রশংসা করি।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এ সময় তিনি দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

    তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী দিনে এই সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। অনুষ্ঠানে জিনজিয়াং আর্ট থিয়েটারের পরিচালক লি ইওং এবং বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারের এম দেলোয়ার হোসেন বক্তব্য রাখেন।

    পরে, চীনের জিনজিয়াং উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল থেকে আগত একদল শিল্পী বর্ণাঢ্য পরিবেশনা উপস্থাপন করে।

    চীনা নববর্ষ সাধারণত গুও নিয়ান (অর্থাৎ নববর্ষ উদযাপন) হিসাবে পরিচিত। এটি চীনা সংস্কৃতিতে সর্বাধিক আনুষ্ঠানিক এবং আনন্দের সঙ্গে উদযাপিত উৎসব।

    ঢাকায় চীনা দূতাবাস বিগত টানা দশ বছর ধরে বাংলাদেশে ‘হ্যাপি চায়নিজ নববর্ষ’ অনুষ্ঠান করে আসছে। এতে বাংলাদেশীরা চীনা সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার সুযোগ পাচ্ছেন।

  • চীনে সড়ক ধসে বাস গর্তে, নিহত ৬

    চীনে সড়ক ধসে বাস গর্তে, নিহত ৬

    চীনে সড়ক ধসে তৈরি হওয়া গর্তে বাস পড়ে ৬ জন নিহত ও ১৬ জন আহত হয়েছেন।

    সোমবার (১৪ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকালে দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় চিংহাই প্রদেশের প্রধান শহর শিনিংয়ের একটি হাসপাতালের সামনে প্রধান সড়কে যাত্রীবাহী বাস থামার পর সড়কের একটি অংশ ধসে পড়লে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    এই দুর্ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা গেছে, যাত্রীবাহী বাসটি সড়কের ওই গর্তে পড়ে যাওয়ার পর গর্তটি আরও বিস্তৃত হয়, এর কিছুক্ষণের মধ্যে একটি বিস্ফোরণ ঘটে।

    ওই গর্তের ব্যস প্রায় ১০ মিটার বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

    এ ঘটনায় নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ১৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রদেশ কর্তৃপক্ষ।

  • মেয়রের বাসা থেকে ১৩ টন স্বর্ণ উদ্ধার

    মেয়রের বাসা থেকে ১৩ টন স্বর্ণ উদ্ধার

    চীনে অবৈধভাবে গড়ে তোলা এক স্বর্ণের বাড়ির খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। বাড়িটি সাবেক এক মেয়রের।

    সেই মেয়রের বাসা থেকে ১৩ টন স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। চীনের পুলিশ ডানজহোর প্রদেশের সাবেক মেয়র জাং কিউয়ের বাড়ির বেসমেন্ট থেকে এই সোনা উদ্ধার করে। যার পুরোটাই অবৈধভাবে উপার্জন করা স্বর্ণ।

    স্বর্ণ ছাড়াও ওই মেয়রের বাসা থেকে কয়েকশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়া গেছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশের মুদ্রাও পাওয়া গেছে যার পরিমাণ প্রায় ৩৪ মিলিয়ন ইউরো।

    দুর্নীতির অভিযোগে মেয়রের বাড়িতে অনুসন্ধান করার আদেশ দেয় দেশটির জাতীয় তত্ত্বাবধান কমিশন।

    এছাড়া, মেয়রের মালিকানায় রয়েছে কয়েকটি বিলাসবহুল বাড়ি। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, তার বাড়ি থেকে যে সম্পদ উদ্ধার হয়েছে তা দিয়ে দুইবার গ্রীসকে দেউলিয়া থেকে বাঁচানো যেত।

    উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে রাষ্ট্রপতি হিসাবে শিজিনপিং নিয়োগের পর থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইকে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছেন। এ পর্যন্ত দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ২৫৪ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন তিনি।

  • রোহিঙ্গা ইস্যুতে মানবাধিকার পরিষদে ৩৭-২ ভোটে বাংলাদশের জয়

    রোহিঙ্গা ইস্যুতে মানবাধিকার পরিষদে ৩৭-২ ভোটে বাংলাদশের জয়

    মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করার আশ্বাস দিলেও ঠিকই শেষ পর্যন্ত মিয়ানমারের পাশেই দাড়ালো চীন। রোহিঙ্গাসহ মিয়ানমারে সংখ্যালঘুদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন-নিপীড়নের আন্তর্জাতিক তদন্ত ও বিচারের আহ্বানসংবলিত প্রস্তাবকে একপেশে বলে অভিহিত করে এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মানবাধিকার পরিষদে ভোটাভুটির আহ্বান জানিয়েছিল চীন। একই সঙ্গে চীন ও মিয়ানমার সবাইকে প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল।

    ভোটের শেষে ফলে দেখা গেছে, চীন ও ফিলিপাইন ছাড়া কেউই ওই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়নি।

    ভারত, জাপান, নেপাল, কঙ্গো, ক্যামেরুন, অ্যাঙ্গোলা ও ইউক্রেন—এই সাতটি দেশ ‘অ্যাবস্টেইন’ ভোট দিয়ে কারো পক্ষ নেওয়া থেকে বিরত থাকে। প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে ৩৭-২ ভোটে।

    ► মানবাধিকার পরিষদে বাংলাদেশের উদ্যোগে ইইউ ও ওআইসির যৌথ প্রস্তাব ৩৭-২ ভোটে গৃহীত
    ► রোহিঙ্গা নিপীড়নের বিচার ও রাষ্ট্রহীনতা দূর করতে হবে, মিয়ানমারকে প্রত্যাবাসন চুক্তি বাস্তবায়নের তাগিদ

    ভোটের হিসাবে দেখা যায়, ৪৭ সদস্যের মানবাধিকার পরিষদে গতকাল মিয়ানমার ইস্যুতে ভোট দেয়নি কিউবা। জানা গেছে, কিউবার প্রতিনিধিরা ভোটের সময় অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তাঁরা দৃশ্যত প্রস্তাবটির পক্ষে অবস্থান নিয়ে ভোট দেওয়া থেকেই বিরত থেকেছেন। সাধারণত কিউবা সুনির্দিষ্ট কোনো দেশভিত্তিক প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে থাকে।

    ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে নতুন করে রোহিঙ্গা সংকট শুরু হওয়ার পর রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটিতে মিয়ানমারের পক্ষে এবারই সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনের সমান্তরাল নীতিতে চলা রাশিয়া বর্তমানে মানবাধিকার পরিষদের সদস্য নয়। প্রস্তাবসম্পর্কিত দেশ হিসেবে মিয়ানমার মানবাধিকার পরিষদে প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বক্তব্য দিলেও সদস্য না হওয়ায় ভোট দিতে পারেনি।

    বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমান ও অন্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ বিষয়ে এবারের প্রস্তাবটি এনেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। গৃহীত প্রস্তাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর যৌন অপরাধসহ সব ধরনের অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মানবাধিকার লঙ্ঘনসংশ্লিষ্ট সব আন্তর্জাতিক বিধান ও আন্তর্জাতিক বিচারপ্রক্রিয়া তথা জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার আওতায় আনার জন্য তদন্তপ্রক্রিয়া জোরদার করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রকারান্তরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে (আইসিসি) চলমান প্রক্রিয়ার পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের (আইসিজে) শরণাপন্ন হওয়ার উদ্যোগকে আন্তর্জাতিক পরিসরে উৎসাহিত করা হয়েছে।

    এ ছাড়া মিয়ানমারবিষয়ক ‘নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তথ্যানুসন্ধানী মিশনের’ প্রতিবেদনগুলো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের মাধ্যমে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সব অঙ্গ-সংগঠনের বিবেচনার্থে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রস্তাবটিতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চলমান সব প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে এরূপ পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এখতিয়ারের কথা পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

    জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মো. শামীম আহসান গতকাল সন্ধ্যায় ভোটের আগে মানবাধিকার পরিষদকে বলেন, মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্মম নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন। তবে, দুই বছর পেরিয়ে গেলেও মিয়ানমার এখনো উত্তর রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে।

    গৃহীত প্রস্তাবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পাদিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী উত্তর রাখাইন অঞ্চলে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে পূর্ণ নিরাপত্তা ও সম্মানের সঙ্গে নিজেদের আবাসস্থলে ফিরে যেতে উৎসাহিত করতে মানবাধিকার পরিষদ মিয়ানমারকে আহ্বান জানিয়েছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করে প্রস্তাবে রোহিঙ্গারা ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত তাদের গুরুভার বহনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার হওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়কে আহ্বান জানানো হয়েছে।

    বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পক্ষে জবাবদিহি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পথে এই প্রস্তাব একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে।

    ভোটের আগেই মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেন, মিয়ানমার তার অভ্যন্তরীণ বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে অপরাধের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সক্ষম। প্রস্তাবে কেবল একটি সম্প্রদায়ের মনোভাব প্রতিফলিত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

    চীনা প্রতিনিধিও প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বলেন, গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের মধ্যে মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠকসহ সাম্প্রতিক সময়ে যে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে সেগুলো তুলে ধরতে এই প্রস্তাব ব্যর্থ হয়েছে।

    ফিলিপাইনের প্রতিনিধি প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার কথা বলে এই সংকটের মূল কারণগুলো সমাধানের ওপর জোর দেন। জাপানের প্রতিনিধি মিয়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানান।