Tag: চুয়েট

  • চুয়েটে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

    চুয়েটে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, “১৬ই ডিসেম্বর আমাদের বাঙালির ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবের দিন। এই বিজয় অর্জনে আমাদের হয়তো সময় কম লেগেছে, কিন্তু ত্যাগ করতে হয়েছে সবচেয়ে বেশি। পৃথিবীতে স্বাধীনতার এতো প্রাণের বিসর্জন খুবই বিরল। বিজয়ের অর্ধশতাব্দী পরেও আমরা স্বাধীনতার প্রকৃত উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি। স্বাধীনতা বিরোধী ও প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী এখনও দেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে তৎপর। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন সোনার বাংলার অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। এখন তিনি ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের সাথে এগিয়ে নিতে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প ঘোষণা করেছেন। এই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অগ্রগামী ভূমিকা রাখতে হবে। বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার সঙ্কটকে পূঁজি করে ভার্চুয়াল জগতে ডিজিটাল প্রযুক্তির অপব্যবহার করে একটি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী নানামুখী অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই ব্যাপারে আমাদের শিক্ষিতসমাজকে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে।”

    ১৬ই ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকাল ৯.৩০ ঘটিকায় চুয়েট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের পাদদেশে আয়োজিত মহান বিজয় দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে আয়োজিত “জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুনীল ধর, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান। ইইই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সম্পদ ঘোষ, মানবিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাহিদা সুলতানা এবং উপ-পরিচালক (তথ্য ও প্রকাশনা) মোহাম্মদ ফজলুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রধানগণের পক্ষে গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোছাম্মৎ তাহমিনা আক্তার, প্রভোস্টগণের পক্ষে শামসেন নাহার খান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ফারজানা রহমান জুথী, স্টাফ ওয়েলফেয়ার কমিটির সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহাম্মদ, শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. এম.কে. জিয়াউল হায়দার, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি আমিন মোহাম্মদ মুসা, স্টাফ এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন, শিক্ষার্থীদের পক্ষে রিয়ানা এবং কামরুল হাছান। উক্ত অনুষ্ঠানমালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীগণ অংশগ্রহণ করেন।

    এর আগে শুক্রবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে উপাচার্য ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচীর সূচনা হয়। পরে সকাল ৮.৪৫ ঘটিকায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম চুয়েট পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর একে একে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে মহান মুক্তিযুদ্ধে চুয়েটের দুই শহিদ শিক্ষার্থী শহিদ মোহাম্মদ তারেক হুদা ও শহিদ মোহাম্মদ শাহ-এর কবর জেয়ারত করা হয় এবং বাদে জুমা মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত বীর শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। বিজয় দিবসের অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে ছিল- শিক্ষক বনাম শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা বনাম কর্মচারীদের প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ, ছাত্র-ছাত্রীদের রচনা প্রতিযোগিতা, শিশুকিশোরদের দৌঁড় ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি ও দেশাত্মবোধক গান, ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি।

  • চুয়েটে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘ইইই ডে-২০২২’ শুরু

    চুয়েটে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘ইইই ডে-২০২২’ শুরু

    চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আয়োজনে “ইলেকট্রিক্যাল সার্জ” শিরোনামে ‘ইইই ডে-২০২২’ উপলক্ষ্যে তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আজ ৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১ টায় উৎসবের প্রথমদিনে ইইই বিভাগের সামনে থেকে এক আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইএমই ভবন থেকে পুরকৌশল ভবন হয়ে কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে গিয়ে শেষ হয়। এতে বিভিন্ন অতিথিবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।

    সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। ইইই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রুবাইয়াৎ তানভীরের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন এবং ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদ আবদুল মতিন ভূঁইয়া।

    ‘১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. ইফতেখার ইবনে জালালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড অটোমেশন বিভাগের ম্যানেজার প্রকৌশলী মুশফিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে চুয়েটের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, সেন্টার চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন। এবারের ইইই ডে-২০২২ এর আহ্বায়ক ছিলেন ইইই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সম্পদ ঘোষ।

    দুপুর সাড়ে ১২টায় “বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি চাকরির সুবিধা” (গভার্মেন্ট জব ইন বাংলাদেশ : পাওয়ার সেক্টও প্রেসপেক্টিভ) শীর্ষক সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রামের রাউজান তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সহকারী প্রধান প্রকৌশলী আফরোজা আক্তার এবং “ভবিষ্যতে ইন্ডাস্ট্রিতে পদার্পণের উপযোগী দক্ষতা আনায়ন” (লেন্ডিং অন দি ইন্ডাস্ট্রি উইথ ফিচার-ফিট স্কিল সেট) শীর্ষক সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড অটোমেশন বিভাগের ম্যানেজার প্রকৌশলী মুশফিকুর রহমান। তিনদিনব্যাপী ইইই ডে-এর অনুষ্ঠানমালার দ্বিতীয়দিনে থাকছে সার্কিট অলিম্পিয়াড, কুইজ প্রতিযোগিতা ও কেইস প্রতিযোগিতা এবং সমাপনী দিনে থাকছে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, পুরষ্কার বিতরণ, সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান প্রভৃতি।

    ২৪ঘণ্টা/জেআর

  • স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেকসই পরিকল্পনাকে গুরুত্ব দিতে হবে- চুয়েট ভিসি

    স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেকসই পরিকল্পনাকে গুরুত্ব দিতে হবে- চুয়েট ভিসি

    রাউজান প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, “বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনার বিকল্প নেই। টেকসই ও উদ্ভাবনী পরিকল্পনা ছাড়া কোনো উন্নয়নই যথার্থ হবে না। বর্তমান বাস্তবতায় সেই উন্নয়ন পরিবেশবান্ধবও হতে হবে। বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন “গ্রাম হবে শহর” প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের নবীন পরিকল্পনাবিদদের গবেষণা ও উদ্ভাবনের প্রতি মনোনিবেশ বাড়াতে হবে।”

    তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে স্টুডেন্টস কনভেনশন ধারণাটি অত্যন্ত সময়োপযোগী। এর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও শিক্ষক-শিক্ষার্র্থীদের মাঝে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি হয়। যা শক্তিশালী ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়ার পরিবেশকে সুসংহত হয়।”

    ৩ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে চুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা (ইউআরপি) বিভাগ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)-এর যৌথ উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত দুইদিনব্যাপী প্ল্যানিং স্টুডেন্ট কনভেনশন-২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    দেশের সাতটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত উক্ত কনভেনশনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার, এনজিপি, এনডিসি, পিএসসি; চুয়েটের স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান, কনভেনশন আয়োজক কমিটির আহবায়ক পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. এম. শফিক-উর-রহমান।

    এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) এর সভাপতি মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় করেন ইউআরপি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এটিএম শাহজাহান।

    কনভেনশনের দিনব্যাপী আয়োজন সকাল ৯.৩০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে এবং আনন্দ র‌্যালির মাধ্যমে শুরু হয়। র‌্যালিটি প্রশাসনিক ভবন থেকে পুরকৌশল ভবন হয়ে ইউআরপি ভবনে গিয়ে শেষ হয়। এতে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন। এরপরে ইউআরপি ভবনের নিচতলায় দেশের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থীদের তৈরি বিভিন্ন প্রজেক্ট ও পোস্টার প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।

    কনভেনশনে অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

    উক্ত কনভেনশনে দেশের প্রায় ৩০০ জন নবীন পরিকল্পনাবিদসহ সেইভ দ্য চিলড্রেন, ব্র্যাক-আরবান ডেভেলপমেন্ট ও অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। দুইদিনব্যাপী এই কনভেনশনে অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে ছিল- সেমিনার, চিত্র প্রদর্শনী ও পোস্টার প্রর্দশনী, টেকনিক্যাল সেশনে থিসিস, প্রজেক্ট উপস্থাপন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি।

    ২৪ঘণ্টা/এসএ

  • ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ : চুয়েট বন্ধ ঘোষণা

    ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ : চুয়েট বন্ধ ঘোষণা

    চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত সব ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ৬ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত ঈদুল আযহা উপলক্ষে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

    পাশাপাশি ছাত্রদেরকে মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিকেল ৫টার মধ্যে এবং ছাত্রীদেরকে বুধবার (১৫ জুন) সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যের কার্যালয়ে এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী।

    এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে গত কয়েক দিন ধরে বিরাজমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য ড. রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে চুয়েটের সব ডিন, ইনস্টিটিউট পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, প্রভোস্ট এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালক এর সমন্বয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্তক্রমে আজ মঙ্গলবার থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম পরীক্ষাসহ এবং আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হলো। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ৬ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত ঈদুল আযহা উপলক্ষে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

    একইসঙ্গে ছাত্রদেরকে আজ বিকেল ৫টার মধ্যে এবং ছাত্রীদেরকে আগামীকাল বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলো।

    তবে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের চলমান সব একাডেমিক কার্যক্রম যথারীতি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী।

    সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত শনিবার শহরে একটি বাস ৩০ মিনিট দাঁড় করিয়ে রাখাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পক্ষ দুটি আ জ ম নাছির উদ্দীন ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসানের অনুসারী বলে পরিচিত। এ ঘটনায় দুজন সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এরই জের ধরে গত দুইদিন ধরে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

    এছাড়া মঙ্গলবার সকাল থেকে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহরে আসার সব বাস আটকে দেয়। সকাল ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবহনের বাস চট্টগ্রাম শহরের উদ্দেশে রওনা দিলে তারা বাসগুলো আটকে পুনরায় গ্যারেজে ফেরত পাঠায়।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা ও এক ছাত্র বলেন, স্বাধীনতা চত্বরের আশপাশে অবস্থানকারী ওই তরুণদের হাতে রামদা ও লাঠি দেখা গেছে। এসময় তাদের মাথায় হেলমেট ছিল। তারা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলেও জানান তারা।

  • মঙ্গল শোভাযাত্রা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবিঃ চুয়েট ভিসি

    মঙ্গল শোভাযাত্রা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবিঃ চুয়েট ভিসি

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) বর্ণিল ও বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাঙালির প্রাণের উৎসব “বাংলা নববর্ষ-১৪২৯” উদযাপিত হয়েছে।

    এ উপলক্ষ্যে ১৪ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

    র‌্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ শিশুকিশোররা অংশগ্রহণ করেন। র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক ও গোল চত্বর প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনে এসে শেষ হয়।

    এ সময় চুয়েট ভাইস চ্যান্সেলর উপস্থিত সকলের সাথে কুশল বিনিময় এবং বাংলা নববর্ষ-১৪২৯ এর শুভেচ্ছা জানান।

    পরে প্রশাসনিক ভবনের নিচে র‌্যালিত্তোর এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. এম.এক. জিয়াউল হায়দার, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হারুন, স্টাফ এসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব মো. জামাল উদ্দীন।

    অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান।

    অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব। বৈশাখের অবিচ্ছেদ্য একটি অনুষঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা। ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। মঙ্গল শোভাযাত্রা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। তাই আমাদের বাঙালি জাতীয়বাদের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধারণ করতে হবে। পহেলা বৈশাখ সকল অশুভ শক্তিকে পেছনে ফেলে সামনের দিনগুলোতে সবার জন্য শান্তি বয়ে আনুক সেই প্রত্যাশা করি।”

  • প্রথম জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন চুয়েট

    প্রথম জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন চুয়েট

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র কর্তৃক আয়োজিত দেশের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রথম জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২২ এ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)।

    ১১ই এপ্রিল (সোমবার) বিকালে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় চুয়েট ডিবেটিং সোসাইটির একটি দল।

    বিজয়ী দলের বিতার্কিকরা হলেন- মেহজাবিন ইসলাম, আতকিয়া আতিকা ও হুমায়রা মেহজাবিন সেঁজুতি। প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক নির্বাচিত হয়েছেন চুয়েটের শিক্ষার্থী হুমায়রা মেহজাবিন সেঁজুতি।

    জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বিজয়ীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি চুয়েটে ডিবেটিং সোসাইটিকে যুক্তিবোধের চর্চার মাধ্যমে পড়াশোনার পাশাপাশি এ ধরনের সৃজনশীলতা অব্যাহত রাখার আহবান জানান।

    উল্লেখ্য, চুয়েট ডিবেটিং সোসাইটি ২০০৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্নে থেকেই যাত্রা শুরু করে। বিগত ২২ বছরে চুয়েট ডিবেটিং সোসাইটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করে এসেছে।

  • চুয়েটে দুইদিনব্যাপী পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ৪র্থ আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শুক্রবার শুরু

    চুয়েটে দুইদিনব্যাপী পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ৪র্থ আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শুক্রবার শুরু

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ৪র্থ আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শুক্রবার শুরু হচ্ছে।

    বিগত ৫০ বছরে দেশের পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষা ও গবেষণার সর্বশেষ অগ্রগতি নিয়ে আগামী ২২-২৩শে জানুয়ারি দুইদিনব্যাপী চতুর্থবারের মত “4th International Conference on Physics for Sustainable Development & Technology (ICPSDT-2022)” শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, চীন, নরওয়ে, ভারত, জাপানসহ পৃথিবীর প্রায় ১০টি দেশ হতে পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের কয়েকশ শিক্ষক, গবেষক, বিজ্ঞানী, প্রফেশনাল এবং উদ্যোক্তাগণের মিলনমেলা বসবে।

    উক্ত কনফারেন্সে পদার্থ বিজ্ঞানের বিষয়ের পাশাপাশি প্রযুক্তি সর্ম্পকিত তথা বর্তমান বিশ্বের আলোচিত ইস্যু ‘টেকসই উন্নয়ন ও প্রযুক্তি’ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধসমূহ উপস্থাপিত হবে। এবারের কনফারেন্স থিম হচ্ছে-​Advance of Physics Education and Research in Celebration of Golden Jubilee of Bangladesh.

    এ উপলক্ষ্যে আজ ২০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১ ঘটিকায় চুয়েটের পশ্চিম গ্যালারি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন কনফারেন্স সেক্রেটারি ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এইচ.এম.এ.আর. মারুফ।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন কনফারেন্স চেয়ার ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, কনফারেন্সের টেকনিক্যাল সেক্রেটারি ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার রায়, কনফারেন্সের ট্রেজারার ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ আলী, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ আলী, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. নুসরাত জাহান, কনফারেন্সের যুগ্ন-সদস্য সচিব ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. মুক্তার হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম।

    উল্লেখ্য, দুইদিনব্যাপী কনফারেন্সে ৫টি কী-নোট স্পিস, ৯টি ইনভাইটেড স্পিস, ৮টি টেকনিক্যাল সেশন, ১টি পোস্টার সেশনে মোট ১০১টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে। এছাড়া দ্বিতীয় দিনে কনফারেন্স থিমের উপর ঢাবি, রাবি, চবি, জাবি, বুয়েট, সাস্ট, জবি, কুয়েট, বাংলাদেশ এটমিক এনার্জি কমিশন ও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে দেশের প্রতিথযশা পদার্থবিদদের অংশগ্রহণে প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠিত হবে।

    পাশাপাশি প্যানেল আলোচক হিসেবে অধ্যাপক ড. গোলাম মোহাম্মদ ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. আজহারুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রশীদ, অধ্যাপক ড. মিহির কুমার রায় এবং সকল কী-নোট স্পিকার, ইনভাইটেড স্পিকার, সেশন চেয়ার, কো-চেয়ার ও অংশগ্রহণকারীদের সমন্বয়ে প্যানেল ডিসকাশন অনুষ্ঠিত হবে।

    এবারের কনফারেন্সে কী-নোট স্পীকার হিসেবে প্রথম দিন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন- কানাডার আলবার্টা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ওয়েইন কে. হাইবার্ট (Prof. Dr. Wayne K. Hiebert), বুয়েটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল বাসিত এবং বিএএস ফেলো অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. আজহারুল ইসলাম।

    অন্যদিকে কনফারেন্সের দ্বিতীয়দিনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন- শাহজাহাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধুরী ও বিসিএসআইআর’র ড. আবদুল গফুর।

    এদিকে আগামী ২৩ জানুয়ারি (রোববার) সকাল ১১ ঘটিকায় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। অনুষ্ঠানে কনফারেন্স স্পিকার হিসেবে থাকবেন বুয়েটের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. জীবন পোদ্দার। এতে বিশেষ অতিথি থাকবেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুনীল ধর এবং পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও কনফারেন্স চেয়ার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন কনফারেন্স সেক্রেটারি ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এইচ.এম.এ.আর. মারুফ।

  • চুয়েটে ‘অ্যাপ্লিকেশন্স অব সিএফডি’ শীর্ষক ওয়েবিনার সম্পন্ন

    চুয়েটে ‘অ্যাপ্লিকেশন্স অব সিএফডি’ শীর্ষক ওয়েবিনার সম্পন্ন

    চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে গণিত বিভাগের আয়োজনে ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় ÒApplications of Computational Fluid Dynamics (CFD)” শীর্ষক এক ওয়েবিনার সম্পন্ন হয়েছে।

    ২৯ আগস্ট (রবিবার) ১০ ঘটিকায় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে প্রধান অতিথি হিসেবে উক্ত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

    চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার দেব। উক্ত ওয়েবিনারে প্যানেল স্পিকার ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদ আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহতাব ইউ আহমেদ এবং চুয়েটের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী। ওয়েবিনার সঞ্চালনা করেন গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ফরহাদ উদ্দিন। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদসূচক বক্তৃতা দেন চবি গণিত অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম স্বপন।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “বর্তমানে পুরো বিশ্ব ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের দৌড়গোঁড়ায় এবং সবাই সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত। প্রযুক্তিখাতে অগ্রগতির জন্য প্রকৌশল শিক্ষার পাশাপাশি বিজ্ঞানের গুরুত্বও অপরিসীম। প্রকৌশল শিক্ষার প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই গণিতের অবদান অনস্বীকার্য। এজন্য বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার BDSTEM-এর মাধ্যমে গণিত, বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিখাতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। গণিত শাস্ত্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি শাখা Fluid Dynamics। কম্পিউটার প্রযুক্তি ও নিউমারিক্যাল অ্যানালাইসিসের সাহায্য বর্তমানে এ Fluid Dynamics নতুনভাবে Computational Fluid Dynamics বা CFD নামে সিম্যুলেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। উন্মুুক্ত করছে সম্ভবনার নতুন দিগন্ত। বর্তমানে প্রকৌশলীরা CFD রিলেটেড সিম্যুলেশন সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে কোন ধারণাকে আবিষ্কারের পূর্বেই একটি মডেলে রূপ দিয়ে কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করে দেখতে পারে। আমাদের চুয়েটের শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপনের মধ্যে দিয়ে নতুন নতুন আইডিয়াকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার যে চিন্তা, তার অনেক কিছুতেই এই CFD-কে কাজে লাগানো যাবে।”

    উক্ত ওয়েবিনারে প্যানেল স্পিকার হিসেবে ÒSteady fluid flow through a rotating curved with magnetic field along the center line” শিরোনামে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদ আলম, ÒGas Exchange Mechanism in Respiratory Channel of Human LungÓ শিরোনামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহতাব ইউ আহমেদ এবং ÒAnalysis of Boundary Layer Flow Over A Bullet Shaped Object With A Quasi-Linearization Iterative Scheme line” শিরোনামে চুয়েটের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী পৃথকভাবে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

    এন-কে

  • চুয়েটে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    চুয়েটে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ১৭ এপ্রিল (শনিবার) সকাল ১১ ঘটিকায় উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। চুয়েটে জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রবিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহম্মদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী।

    নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এটিএম শাহজাহানের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রধানগণের পক্ষে পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, প্রভোস্টগণের পক্ষে শহীদ তারেক হুদা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এম.কে. জিয়াউল হায়দার, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বনিক ও স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন। আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের স্মরণীয় একটি দিন। আজ আমরা ঐতিহাসিক মুজিবনগর সরকার গঠনের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। মুজিবনগর সরকার ছিল বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অন্যতম নিয়ামক। সেদিন আমাদের জাতীয় চার নেতা অস্থায়ী সরকার গঠন, তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধে সম্পৃক্ত করা, সর্বোপরি সঠিক ও সুচারুভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার মত কঠিন কাজটি দক্ষতার সাথেই সম্পন্ন করতে পেরেছিলেন বলেই মাত্র নয় মাসের মাথায় আমরা স্বাধীন ও সার্বভৌম একটি দেশ পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে এদেশের কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করার কাজটি অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল।”

    চুয়েট ভিসি আরো বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে করোনার ভয়াবহতা বেড়েই চলেছে। দেশ হারিয়েছে অনেক গুণী জাতীয় ব্যক্তিত্বকে। আমরাও অনেক স্বজন ও নিকটাত্মীদের হারিয়েছি। এই দুর্যোগময় মুহূর্তে নিন্মবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।”

    ২৪ ঘণ্টা/নেজাম

  • তুরস্ক রাষ্ট্রদূতের চুয়েট ক্যাম্পাস পরিদর্শন ও মতবিনিময়

    তুরস্ক রাষ্ট্রদূতের চুয়েট ক্যাম্পাস পরিদর্শন ও মতবিনিময়

    তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান বলেছেন, “তুরস্ক ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সর্ম্পক অত্যন্ত চমৎকার। অর্থনৈতিকভাবেও দুইদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের জিডিপি এবং মাথাপিছু আয় আশাব্যঞ্জকভাবে এগিয়েছে। বাংলাদেশে এখন তুরস্কের বিনিয়োগও বেড়েছে।”

    চুয়েটকে বাংলাদেশের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষাক্ষেত্রে একটি মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বর্তমান বাস্তবতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য ইনোভেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বেসরকারি সেক্টরে স্কিলস ডেভেলমেন্ট ভীষণ জরুরি। প্রযুক্তিগত দক্ষতা নতুন প্রজন্মকে অনেক বেশি এগিয়ে নিয়ে যাবে। সে লক্ষ্যে দুই দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে একাডেমিক এক্সচেঞ্জ, রিসার্চ প্রোগ্রাম ও একাডেমিক কোলাবোরেশনের ব্যাপারে আমরা আগ্রহী। একইভাবে চুয়েটের সাথেও তুরস্কের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে পারস্পরিক বিনিময় বাড়াতে আশাবাদী।”

    তিনি আজ রবিবার (১০ জানুয়ারি (রবিবার) বিকালে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর কাউন্সিল কক্ষে আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ডীন, পরিচালক ও বিভাগীয় প্রধানগণের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

    পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আয়শা আখতারের সঞ্চালনায় উক্ত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামস্থ তুরস্কের অনারারি কনসুল জেনারেল সালাহউদ্দিন কাসেম খান এবং চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। অনুষ্ঠানের শুরুতে চুয়েটের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তুরস্কের অনারারি কনসুল জেনারেল জনাব সালাহউদ্দিন কাসেম খান বলেন, তুরস্ক বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। দুই দেশের একাডেমিক কোলাবোরেশনের ব্যাপারে তুরস্ক আগ্রহী। এ.কে. খান ফাউন্ডেশন দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। চুয়েটের শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিকভাবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সফলতার স্বাক্ষর রাখছেন। এইটা আমাদের আশাবাদী করে তুলছে।”

    চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “তুরস্কের সাথে চুয়েটের সর্ম্পক পুরনো। ২০১৪ সালে তুরস্কের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত চুয়েট ক্যাম্পাসে এসেছিলেন। বর্তমানে তুরস্কের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনন্য মাত্রা পেয়েছে। তুরস্কের সাথে আমরা দ্বিপাক্ষিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময় ও যৌথ গবেষণা প্রোগ্রাম চালু করার বিষয়ে আশাবাদী।”

    এর আগে চুয়েটের ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম মহোদয়ের সাথে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন। এ সময় চট্টগ্রামস্থ তুরস্কের অনারারি কনসুল জেনারেল সালাহউদ্দিন কাসেম খান উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি এ.কে. খান ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে নির্মিত শামসেন নাহার খান হল পরিদর্শন করেন।

  • রবিবার চুয়েট পরিদর্শনে আসছেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান

    রবিবার চুয়েট পরিদর্শনে আসছেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : আগামী রবিবার (১০ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) পরিদর্শনে আসছেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান।

    তিনি রবিবার বিকাল সাড়ে ৩ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা চুয়েট ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। পরিদর্শনকালে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করবেন।

    এ সময় চট্টগ্রামস্থ তুরস্কের অনারারি কনসুল জেনারেল সালাহউদ্দিন কাসেম খান উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া চুয়েটের বিভিন্ন ল্যাবরেটরি-যন্ত্রপাতি সুবিধা ও নান্দনিক অবকাঠামোসমূহ পরিদর্শনসহ দুই দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার বর্তমান অবস্থা ও অগ্রগতি এবং কারিগরি শিক্ষায় দ্বি-পাক্ষিক মতবিনিময়ের পাশাপাশি চুয়েটের ডীন, পরিচালক ও বিভাগীয় প্রধানগণের সাথেও তিনি মতবিনিময় করার কথা রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/নেজাম

  • আগামীর সভ্যতা হবে জ্ঞাননির্ভর ও প্রযুক্তিভিত্তিক:  চুয়েট ভিসি

    আগামীর সভ্যতা হবে জ্ঞাননির্ভর ও প্রযুক্তিভিত্তিক: চুয়েট ভিসি

    চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, “মহান বিজয় দিবস আমাদের গৌরবের ও অহংকারের দিন। আজ আমরা একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের দ্বারপ্রান্তে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সারাদেশে কানেক্টিভিটির অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ আমাদের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডেড প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২১০০ সাল ডেল্টা প্ল্যান গ্রহণ করা হয়েছে।”

    চুয়েট ভিসি আরও বলেন, “বিশ্ব এখন ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের পথে হাঁটছে। বাংলাদেশেও করোনাকালে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, ওয়েবইনারে সেমিনার-কনফারেন্স আয়োজন, টেলিমেডিসিন সেবাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ চলছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সেবা এখন জনগণের দৌড়গোড়ার পৌঁছে গেছে। আগামীর সভ্যতা হবে জ্ঞাননির্ভর ও প্রযুক্তিভিত্তিক। তরুণ প্রজন্মকে এক্ষেত্রে দক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে।”

    তিনি আজ ১৬ ডিসেম্বর (বুধবার) চুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে আয়োজিত ৪৯তম মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    চুয়েটে মুজিব বর্ষ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি এবং গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. রণজিৎ কুমার সূত্রধরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহম্মদ, জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক।

    বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব এটিএম শাহজাহান এবং সহকারী রেজিস্ট্রার (সমন্বয়) মোহাম্মদ ফজলুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রধানগণের পক্ষে বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন, প্রভোস্টগণের পক্ষে শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বনিক, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ ইকরাম, স্টাফ এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।

    এর আগে সকালে বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এরপর চুয়েট ভাইস চ্যান্সেলর এবং চুয়েট পরিবারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে স্টাফ ওয়েলফেয়ার আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা এবং চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

    আলোচনা সভা শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে চুয়েটের শহীদ দুই শিক্ষার্থী শহীদ মোহাম্মদ তারেক হুদা ও শহীদ মোহাম্মদ শাহ-এর কবর জেয়ারত করা হয়। এছাড়া বাদ আছর স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।