Tag: চুয়েটে

  • চুয়েটে বর্ণাঢ্য আয়োজনে “মুজিববর্ষ কার্নিভাল” উদযাপিত

    চুয়েটে বর্ণাঢ্য আয়োজনে “মুজিববর্ষ কার্নিভাল” উদযাপিত

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং দি ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর বলেছেন, “মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের প্রকৌশলী সমাজেরও অবদান রয়েছে।

    চুয়েটও অহংকার করার মতো দুজন শহিদ ছাত্রকে পেয়েছে। যারা বঙ্গবন্ধুর আহবানে সাড়া দিয়ে দেশের মুক্তির জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন।

    বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বাধীনতার মুক্তি এনে দেওয়ার পরে পরবর্তীতে দেশ শাসন করতে গিয়ে অর্থনৈতিক মুক্তির রূপরেখাও তৈরি করে দিয়েছিলেন।

    রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে আজকে আমরা বিশ্বের ৩২তম পারমাণবিক শক্তির সদস্য হয়েছি। বর্তমানে দেশ শতভাগ বিদ্যুতায়িত হয়েছে।

    বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর রক্ত সেটা সফল হতে দেয়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি।” ​

    তিনি আরও বলেন, “দেশের উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রকৌশলী সমাজ অবদান রাখছেন। আমরা এই উন্নয়নের গর্বিত অংশীদার। আগামি দিনেও সারাবিশ্বে নেতৃত্ব দিতে আমরা প্রস্তুত।

    দেশকে এগিয়ে নিতে হলে ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের সুযোগ গ্রহণ করতে হবে। আমাদের বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগাতে হবে। সেজন্য শেখ হাসিনার সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন।”

    তিনি ৩১শে মার্চ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১২.৩০ ঘটিকায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ, চুয়েট-এর যৌথ আয়োজনে হাজার বছররের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত “মুজিববর্ষ কার্নিভাল-২০২২” এর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী এবং গেস্ট অব অনার ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

    প্রধান বক্তা বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “বাঙালি বীরের জাতি। তাই একাত্তরে আমাদের দমিয়ে রাখা যায়নি। বাংলা নামক এই জনপদের ইতিহাস অনেক প্রাচীন।

    এ জনপদে যারাই দেশ শাসন করেছে, তারাই আমাদের শোষণ করে গেছেন। কেবল আমাদের তিন হাজার বছরের ইতিহাসে মহাকালের মহানায়ক হয়ে বাঙালি জাতিকে মুক্তির দিশা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

    বঙ্গবন্ধু শৈশব থেকেই মানবকল্যাণ ও জনকল্যাণমুখী কাজের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি কারিগরি শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। সে লক্ষ্যেই প্রকৌশলীসমাজ বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন।”

    গেস্ট অব অনার চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “বঙ্গবন্ধুর সমগ্র জীবন জনগণের স্বার্থে সংগ্রাম ও ত্যাগে ভাস্মর। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের সেই চেতনা তরুণ প্রজন্মের মাঝে জাগ্রত করতে হবে।

    যাতে সেই চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে উন্নত-সম্মৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কাজে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগিতা করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ​ মুজিববর্ষ কার্নিভালের মাধ্যমে আমরা সেই প্রত্যাশাই রাখছি।”

    চুয়েটের মুজিববর্ষ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. রনজিৎ কুমার সূত্রধরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুনীল ধর, পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, চুয়েট মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি এবং তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান, জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী ও চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ। এতে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য ও চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার দেব, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিন মোহাম্মদ মুসা, স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য এবং শিক্ষার্থীদের পক্ষে ইমার হোসেন নিবর ও সাজিলা সুলতানা।

    জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে চুয়েটে মুজিববর্ষ উদযাপনের সচিত্র প্রতিবেদন ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ, চুয়েট-এর কার্যক্রম নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি (২) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফীন।

    অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম-সম্পাদক ড. স্বপন কুমার রায় এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রচার সম্পাদক নাহিদা সুলতানা।

    এর আগে সকাল ১০ ঘটিকায় মুজিববর্ষ কার্নিভাল উপলক্ষ্যে চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের নেতৃত্বে এক আনন্দ র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসে স্বাধীনতা চত্বর সংলগ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।

    পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে চুয়েট পরিবার ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দ। দিনব্যাপী মুজিববর্ষ কার্নিভাল উপলক্ষ্যে গৃহীত অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিলো- বঙ্গবন্ধুর “অসমাপ্ত আত্মজীবনী”-এর উপর কুইজ প্রতিযোগিতা, “মুজিব শতবর্ষে বাংলাদেশ” শিরোনামে রচনা প্রতিযোগিতা, প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, আইডিয়া শো-কেসিং প্রতিযোগিতা, শিক্ষার্থী বনাম শিক্ষক ও কর্মকর্তা বনাম কর্মচারী প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আতশবাজি প্রভৃতি।​

    ২৪ ঘন্টা/নেজাম রানা

  • চুয়েটে বঙ্গবন্ধুর ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ পালিত

    চুয়েটে বঙ্গবন্ধুর ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ পালিত

    চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে।

    আজ সোমবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বর সংলগ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

    এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।

    পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল কক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

    চুয়েটে জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান, জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী।

    অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল বাঙালির জন্য এক আনন্দঘন ঐতিহাসিক মুহূর্ত। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা এসেছিল।

    স্বাধীন দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন তা ছিল দেশ গঠনের একটি পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন। কীভাবে ভঙ্গুর অর্থনীতির একটি দেশকে এগিয়ে নিতে হবে এবং বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা তৈরির মাধ্যমে তিনি সুদূরপ্রসারী রূপরেখা দিয়েছিলেন।

    বঙ্গবন্ধুর সেই অসমাপ্ত স্বপ্ন তাঁরই সুযোগ্য উত্তরসূরী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে চলেছেন।”

    চুয়েট ভিসি আরো বলেন, “একটি দেশের উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে গবেষণার বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে।”

    ২৪ ঘন্টা/নেজাম রানা/প্রিন্স

  • মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে চুয়েটে মাদক ও র‌্যাগিং-এর বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে নানা আয়োজন

    মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে চুয়েটে মাদক ও র‌্যাগিং-এর বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে নানা আয়োজন

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ।চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে বছরব্যাপী গৃহীত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের মাঝে মাদক ও র‌্যাগিং-এর বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির নিমিত্তে অনুষদভিত্তিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আজ বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১ টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অনুষদভিত্তিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে পৃথক-পৃথক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

    এতে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক। প্রথম দফায় তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদভুক্ত তিনটি বিভাগ, দ্বিতীয় দফায় যন্ত্রকৌশল অনুষদভুক্ত তিনটি বিভাগ এবং তৃতীয় দফায় পুরকৌশল অনুষদ এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদভুক্ত মোট চারটি বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে মতবিনিময় ও আলোচনা করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট অনুষদের সম্মানিত ডীনগণ এবং বিভাগীয় প্রধানগণ অংশগ্রহণ করেন।

    এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, বর্তমান সরকার জঙ্গীবাদ, মাদক ও র‌্যাগিং-এর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। চুয়েট প্রশাসনও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে শান্তিপূর্ণ ও পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।

    তিনি বলেন, দেশের সবচেয়ে মেধাবী ছেলে-মেয়েরাই প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। আমরা চাই চুয়েটের সবুজ ক্যাম্পাস মাদক ও র‌্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাস হিসেবে দেশের অপরাপর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে নজীর স্থাপন করুক। সেজন্য বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছি।

    উল্লেখ্য, এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে চুয়েট প্রশাসনের অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত ৭ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের (‘১৯ ব্যাচ) নবাগত শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিতে আকষ্মিক পরিদর্শন করেন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

    এ সময় ক্যাম্পাসে যে কোন ধরণের র‌্যাগিং ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কথা আবাসিক শিক্ষার্থীদের আবারও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।

  • চুয়েটে মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে তিনদিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু

    চুয়েটে মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে তিনদিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তিনদিনব্যাপী “ইতিহাস কথা কয়” শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।

    বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বছরব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মকে জানান দেওয়ার লক্ষ্যে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে চুয়েট কর্তৃপক্ষ। প্রদর্শনীটি ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত চলবে।

    ৮ জানুয়ারি (বুধবার), বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত টিএসসি প্রাঙ্গণে সকাল ১১ টা থেকে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।চুয়েটে প্রদর্শনী দুর্লভ ও ঐতিহাসিক ৬৪০ ছবি

    এ সময় বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, হল প্রভোস্ট, মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে গঠিত স্টিয়ারিং কমিটি ও বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীগণ উপস্থিত ছিলেন।

    নবনির্মিত টিএসসি মিলনায়তনে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৌরবময় অবদান সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মের মাঝে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে মুজিব বর্ষ পালন করা হচ্ছে।

    বঙ্গবন্ধু তাঁর রাজনৈতিক জীবনে যে পরিমাণ জেল-জুলুম-অত্যাচার সহ্য করেছেন সেসব সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্মের জানা দরকার। চুয়েট প্রশাসনও বছরব্যাপী মুজিব বর্ষ উদযাপনের নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ‘ইতিহাস কথা কয়’ শিরোনামে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

    আশা করছি চুয়েটের ছাত্র-ছাত্রীসহ চুয়েট পরিবারের সকলে এসব ঐতিহাসিক ছবি ও প্রমাণ্যচিত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে।”

    প্রদর্শনীতে প্রাচীন বাংলা, ভারত উপমহাদেশে বৃটিশ শাসন, ভারতবাসীর প্রতিবাদ, আন্দোলন সংগ্রাম (১৭৫৭-১৯৪৭), দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান শাসনামল, পশ্চিম পাকিস্তানিদের পূর্ব বাংলার মানুষের উপর অত্যাচার, নির্যাতন, জুলুম, স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালির প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ (১৯৪৭-১৯৭১), ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু (১৯৭২-১৯৭৫) এবং ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকা- প্রভৃতি বিষয়ের দুর্লভ ও ঐতিহাসিক প্রায় ৬৪০টি ছবি স্থান পেয়েছে।

    এছাড়া প্রদর্শনীর প্রথমদিন ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র এবং সমাপনী দিনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচিত্র ‘গেরিলা’ প্রদর্শিত হবে। চুয়েট সাংবাদিক সমিতি, চুয়েট ফটোগ্রাফিক সোসাইটি এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চুয়েট শাখার সহযোগিতায় এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘দেশ’ একটি সম্মিলিত উচ্চারণ-এর উদ্যোগে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে।

    প্রদর্শনী প্রতিদিন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। উল্লেখ্য, ‘দেশ’ একটি সম্মিলিত উচ্চারণ সংগঠনের উদ্যোগে চুয়েটের প্রদর্শনীটি ৪৮০তম প্রদর্শনী।

  • চুয়েটে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও সভা অনুষ্ঠিত

    চুয়েটে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও সভা অনুষ্ঠিত

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ।রাউজান প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০১৯’ উদযাপিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের নেতৃত্বে দিবসটি উপলক্ষে এক আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়।

    সত্য-মিথ্যা যাচাই আগে, ইন্টারনেটে শেয়ার পরে’ প্রতিপাদ্যকে সামনে বর্ণাঢ্য র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, মেডিকেল সেন্টার ও গোল চত্বর হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, সেন্টার চেয়ারম্যান, আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষরাসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

    এ সময় র‌্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত বিভিন্ন প্লে-কার্ড ও ফেস্টুন বহন করেন। এ উপলক্ষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়েট উপাচার্য বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য ও গতিশীল নেতৃত্বে ডিজিটাল সেবা ও সুবিধা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রামের মানুষেরাও এখন ডিজিটাল সুবিধা প্রাপ্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সত্য-মিথ্যা যাচাই আগে, ইন্টারনেটে শেয়ার পরে’ এবারের ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের একটি সময়োপযুগী প্রতিপাদ্য।

    সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানোর জন্য প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী মুখিয়ে আছে। সামাজিক এই প্ল্যাটফর্মকে যাতে কেউ অপব্যবহার করতে না পারে সেজন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। একইসঙ্গে অন্যদের সচেতন করারও দায়িত্ব নিতে হবে।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়েট জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রবিউল আলম।

  • চুয়েটে দেশের প্রথম আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করবেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

    চুয়েটে দেশের প্রথম আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করবেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : বহুল প্রতীক্ষিত দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সর্বপ্রথম নির্মিতব্য “শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর” স্থাপন প্রকল্পের নির্মাণকাজের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে আগামীকাল রবিবার চুয়েটে আসছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, এম.পি.।

    রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় চুয়েট ক্যাম্পাসে উক্ত নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন তিনি। অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এম.পি. এবং চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম উপস্থিত থাকবেন।

    উল্লেখ্য, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উদ্যোক্তা সৃষ্টি, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে চুয়েটে “শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর” স্থাপন করা হচ্ছে।

    প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে চুয়েট ক্যাম্পাসে ৫ একর জমির উপর ১০ তলা ভবন বিশিষ্ট বহুল প্রতিক্ষীত ‘শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর’ নির্মিত হতে যাচ্ছে। ২০২০ সালের জুলাই মাসে মধ্যে এর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার কথা রয়েছে।

    ইনকিউবেটর নিয়ে চুয়েট শিক্ষার্থীদের মাঝেও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। চুয়েটের নির্মাণাধীন আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর প্রজেক্ট তরুণ প্রযুক্তিবিদদের জন্য অপার সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিবে বলে আশা করা হচ্ছে। যেখানে যে কেউ যে কোনো ধরণের সৃজনশীল আইডিয়া নিয়ে আসতে পারবে। এবং সেটাকে একটি প্রোডাক্টিভ পণ্য হিসেবে তৈরি করে বাজারজাত করার দায়িত্ব নেবেন ইনকিউবেটর সংশ্লিষ্টরা।

    এদিকে ইনকিউবেটরের নির্মাণকাজের উদ্বোধনের পর বেলা সাড়ে বারটায় চুয়েট রোবটিকস ল্যাব এবং মোবাইল গেইমস এন্ড অ্যাপস ডেভেলেপমেন্ট সেন্টারের উদ্বোধন করবেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।

    এরপরে তিনি বেলা পেণে ১টার সময় চুয়েট কাউন্সিল কক্ষে আইসিটি বিভাগের আইডিয়া প্রকল্প আয়োজিত চলমান “সোশ্যাল মিডিয়া প্যারেড” অনুষ্ঠানের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

  • কাল চুয়েটে আসছে রাষ্ট্রপতি : সমাবর্তন ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সাজ সাজ রব

    কাল চুয়েটে আসছে রাষ্ট্রপতি : সমাবর্তন ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সাজ সাজ রব

    নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ৪র্থ সমাবর্তন ও সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানকে ঘিরে বর্ণিল সাজে সেজেছে চুয়েট। রাষ্ট্রপতি এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ এর আগমনকে ঘিরে আয়োজনে যোগ হয়েছে বাড়তি মাত্রা।

    শুধু চুয়েট নয় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে চুয়েট এলাকা পর্যন্ত সড়কের আশপাশে বিরাজ করছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ। সড়কটির রাউজান অংশে মদুনাঘাট ব্রীজ থেকে চুয়েট এলাকা পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেছে রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষে উৎসাহ উদ্দীপনার পালে যেন ঢেউ লেগেছে রাউজানের সর্বত্র।চুয়েটে সাজসজ্জ্বা

    সন্ধ্যার পর যেন চুয়েট ক্যাম্পাস এলাকায় শোভা পাচ্ছে বর্ণিল আলোকচ্ছটা। শিক্ষক/শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরাজ করছে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা।

    সরেজমিনে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের একাংশ ঘুরে দেখা গেছে, পিংক, ক্লিন ও গ্রিন উপজেলা খ্যাত রাউজানের দক্ষিণাংশের পরিচ্ছন্ন পরিবেশটাকে আরো ঝকঝকে করে তুলতে রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর নির্দেশে সড়কের আশপাশের সৌন্ধর্য্যবর্ধন কাজে নেমে পড়েছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা।

    দিন-রাত সমানতালে চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। ইতিপূর্বে সড়কের আশপাশের গাছের গোড়ালিতে পিংক ও সাদা রঙের প্রলেপ লাগানো হলেও নতুন করে সেগুলো আবার রঙ করা হচ্ছে। সড়কের আশপাশের ঝোপঝাঁড় কেটে একেবারে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে গড়ে তোলা হচ্ছে। সমাবর্তন অনুষ্ঠানস্থলে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি।

    রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি উপলক্ষে রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে সার্বিক দিক নির্দেশনা দিয়েছেন রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়নে সার্বিক প্রস্তুতি ও করণীয় নিয়ে হচ্ছে সভা।চুয়েট

    চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) সূত্রে জানা গেছে, ৪র্থ সমাবর্তন ও সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানকে অনুষ্ঠান আগামীকাল ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গত চার বছরের সর্বোচ্চ সিজিপিএধারী ৪ জনকে “বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক” প্রদান করা হবে।

    তাঁরা হলেন- ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ই.এম.কে. ইকবাল আহামেদ, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রুবায়া আফসার, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সঞ্চয় বড়ুয়া এবং ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ রাশেদুর রহমান।

    এছাড়া সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ২ হাজার ১৪৮ জন গ্র্যাজুয়েট এবং ৮৩ জন পোস্ট-গ্র্যাজুয়েটসহ মোট প্রায় ২ হাজার ২৩১ জন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সমাবর্তন ডিগ্রী প্রদান করা হবে।

    গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। এতে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ.কে. আজাদ চৌধুরী।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এম.পি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এম.পি এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

    চুয়েটের গৌরবময় পথচলার ৫০ বছর পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে আগামী ৬ ডিসেম্বর, দিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হবে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এম.পি। এতে বিশেষ অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দিন, রেলপথ সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাউজানের সংসদ এ.বি.এম. ফজলে করিম চৌধুরী এম.পি।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। উক্ত সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের ভিভিআইপিগণ, মন্ত্রী পরিষদ সদস্যগণ, এমপিগণ, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে পাশকৃত বিপুল প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী, চুয়েট পরিবারের বর্তমান সদস্যগণ মিলে প্রায় ১০ হাজার লোকের মিলনমেলা বসতে পারে।

    সুবর্ণজয়ন্তীর জমকালো আয়োজনে থাকবে- আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে নগরজুড়ে আনন্দ র‌্যালি, সন্ধ্যায় আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রাতে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান, আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে চুয়েট ক্যাম্পাসে যাত্রা, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান, চুয়েটের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আমন্ত্রিত শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, নৈশভোজ, ফায়ারওয়ার্কস, জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী জেমস ও নগর বাউলের জমজমাট কনসার্ট প্রভৃতি।

    সমাবর্তন অনুষ্ঠান উপলক্ষে গত ৩০ নভেম্বর শনিবার চুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন সেবা সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক সভা সমন্বয় চুয়েট ভিসি ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

    চুয়েটে রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষে গত ২৭ নভেম্বর বুধবার চুয়েটের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে স্থাপিত হেলিপেডে হেলিকপ্টার মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

    চুয়েট সূত্র জানায়, আজ ৪ ও আগামীকাল ৫ ডিসেম্বর সমাবর্তন উপলক্ষে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি সনদ গ্রহণকারীদের মাঝে গাউন, ক্যাপ ও সমাবর্তন সামগ্রী প্রদান করা হবে। এবং আজ ৪ ডিসেম্বর বুধবার বেলা আড়াইটায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের প্যান্ডেলে সমাবর্তনের রিহার্সেল অনুষ্ঠিত হবে।

  • চুয়েটে ‘জিআইএস ও এর প্রয়োগ’ শীর্ষক শর্টকোর্সের সনদপত্র বিতরণ

    চুয়েটে ‘জিআইএস ও এর প্রয়োগ’ শীর্ষক শর্টকোর্সের সনদপত্র বিতরণ

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর সেন্টার ফর রিভার, হারবার এন্ড ল্যান্ড-স্লাইড রিসার্চ (সিআরএইচএলএসআর)-এর উদোগ্যে ভৌগলিক তথ্যব্যবস্থা পদ্ধতি নিয়ে ‘জিআইএস ও এর প্রয়োগ’ (GIS and Its Application) শীর্ষক শর্টকোর্সের সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান ২৭ নভেম্বর বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। সেন্টারের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আয়শা আখতারের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী লেঃ কর্ণেল সোহেল আহমেদ এবং চুয়েটের গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম।

    অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সেন্টারের গবেষণা সহকারী অধ্যাপক আহাদ হাসান তানিম। শর্টকোর্সে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের প্রায় অর্ধ-শতাধিক প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন। পরে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।

  • চুয়েটে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

    চুয়েটে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

    চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) লেভেল-১ কোর্সের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ১২ অক্টোবর (শনিবার) সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০ টায় সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ‘ক’ গ্রুপের (ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ) লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়। দুপুর একটানা পর্যন্ত চলে পরীক্ষা।

    অপরদিকে বিকেল আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত ‘খ’ গ্রুপের (ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগ) মুক্তহস্ত অংকন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ১২টি বিভাগে ভর্তির জন্য নিয়মিত ৮শ ৯০ আসনের (১১ টি উপজাতি কোটাসহ সর্বমোট ৯শ ১টি আসন) বিপরীতে মোট ১০ হাজার ৯শ ৭২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

    ভর্তি পরীক্ষার মুরুর এক ঘন্টা পর সকাল ১১টার দিকে ভর্তি পরীক্ষার বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এ সময় ভর্তি পরীক্ষা কমিটি-২০১৯ এর সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

    ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, সকলের সার্বিক সহযোগিতায় অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন সেবাপ্রদানকারী সংস্থা, প্রশাসন এবং চুয়েট পরিবারের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের সকলের সহযোগিতা মাধ্যমে এটি সম্ভব হয়েছে। সেজন্য আমি চুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

    প্রসঙ্গত, চুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষা ও মুক্তহস্ত অংকন দুই পর্বে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ইঞ্জিনিয়ার বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ নিয়ে ‘ক’ গ্রুপ। অন্যদিকে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগ নিয়ে ‘খ’ গ্রুপ। ‘ক’ গ্রুপে অংশগ্রহণকারীরা সকালে তিন ঘন্টাব্যাপী লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। অন্যদিকে ‘খ’ গ্রুপের পরীক্ষার্থীরা সকালে তিন ঘন্টাব্যাপী লিখিত পরীক্ষার পাশাপাশি বিকেলে দুই ঘন্টাব্যাপী মুক্তহস্ত অংকন পরীক্ষায়ও অংশগ্রহণ করেন।

    উল্লেখ্য, ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলসহ ভর্তি সম্পর্কিত যাবতীয় নির্দেশনা ও তথ্য-উপাত্ত চুয়েটের ওয়েবসাইটে (http://www.cuet.ac.bd/admission অথবা http://student.cuet.ac.bd/admission2019) পাওয়া যাবে।

  • চুয়েটে ১১৩তম সিন্ডিকেট সভা

    চুয়েটে ১১৩তম সিন্ডিকেট সভা

    শিক্ষাঙ্গন : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর সিন্ডিকেট কমিটির ১১৩তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ২৮ সেপ্টেম্বর (শনিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে অনুষ্ঠিত সভার সভাপতিত্ব করেন সিন্ডিকেটের চেয়ারম্যান ও চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

    সভায় সিন্ডিকেট সদস্যগণের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রবিউল আলম, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. মো. মাহামুদ-উল-হক, চুয়েটের ইনস্টিটিউট অফ কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী, গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম, ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর যন্ত্রকৌশল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. দীপক কান্তি দাশ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম্স বিভাগের অধ্যাপক ড. সুলতান আহমেদ, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সম্মানিত সদস্য (উন্নয়ন) মেজর ইঞ্জিনিয়ার সামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী (অবসরপ্রাপ্ত) এবং চুয়েটের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. রনজিৎ কুমার সূত্রধর।

    এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সিন্ডিকেটের সচিব ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার শেষে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

  • চুয়েটে ‘প্ল্যানিং ফেস্ট-২০১৯’ সম্পন্ন

    চুয়েটে ‘প্ল্যানিং ফেস্ট-২০১৯’ সম্পন্ন

    রাউজান প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা (ইউআরপি) বিভাগের উদ্যোগে উৎসবমুখর পরিবেশে ‘প্ল্যনিং ফেস্ট-২০১৯’ উদযাপিত হয়েছে।

    এ উপলক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে স্থাপত্য ও পরিকল্পনা বিভাগের সামনে থেকে চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের নেতৃত্বে এক আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি ইউআরপি বিভাগ থেকে শুরু হয়ে পুরকৌশল ভবন, প্রশাসনিক ভবন ও গোল চত্ত্বর হয়ে পুরকৌশল ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।

    র‌্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ঢাকঢোল পিটিয়ে ও ভুভুজেলা বাজিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রাকে প্রাণবন্ত করে রাখেন।

    এ উপলক্ষ্যে বিকেলে ইউআরপি বিভাগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. রিয়াজ আকতার মল্লিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক এবং সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোন লিমিটেডের পরিচালক শেখ মনোয়ার হোসাইন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইউআরপি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এটিএম শাহজাহান।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, পরিকল্পিত ও টেকসই উন্নয়নের জন্য একজন পরিকল্পনাবিদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। দেশের পরিকল্পিত উন্নয়নে চুয়েটের পরিকল্পনাবিদদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া সদ্য বিদায়ী ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত কর্মজীবনের জন্য তিনি শুভকামনা জানান।

    পরে সদ্য বিদায়ী ব্যাচ এবং নবীন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। প্ল্যানিং ফেস্ট -২০১৯ উপলক্ষে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

    সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোন লিমিটেডের পরিচালক শেখ মনোয়ার হোসাইন।

    দিনব্যাপী অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে ছিল- ফায়ারওয়ার্কস, বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে নাচ-গান, মুখাভিনয় ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও চুয়েটের ব্যান্ড দল ‘বীক্ষণ’-এর মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা।

    ২৪ ঘন্টা/এন রানা/রাজীব..