Tag: চুয়েট শিক্ষার্থী

  • সড়ক দুর্ঘটনায় আহত চুয়েট শিক্ষার্থী তাহমিদের মৃত্যু,চুয়েট ভিসি’র শোক

    সড়ক দুর্ঘটনায় আহত চুয়েট শিক্ষার্থী তাহমিদের মৃত্যু,চুয়েট ভিসি’র শোক

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কের লিচু বাগান এলাকায় ট্রাকের সঙ্গে সিএনজি ট্যাক্সির সংঘর্ষে আহত চুয়েট শিক্ষার্থী তাহমিদ চৌধুরী (২৩) ও আর বাঁচলনা। প্রায় ৩৬ ঘন্টা হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াই করে অবশেষে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

    আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় নগরীর জিইসি মোড়স্থ মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাহমিদ মারা যায়।

    নিহত তাহমিদ চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ‘১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বৈলছড়ির কে.বি. বাজার এলাকার শাহাব উদ্দিন আহমেদ এবং বেগম রোকসানা শাহাবের একমাত্র সন্তান বলে জানা গেছে।

    গত শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কের লিচু বাগান এলাকায় ট্রাকের সঙ্গে সিএনজি ট্যাক্সির সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয় চার জন। তাদেরকে স্থানীয়দের সহায়তায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার দিন ফয়সাল রিদুয়ান কবির নামের একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

    সোমবার সকালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাহমিদ চৌধুরীর। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া কাজী রোসালিয়া এবং নাসিবা নাওয়ার নামে আরো দুজন আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।

    পরিবারসূত্রে জানা যায়, মরহুম তাহমীদুল ইসলাম চৌধুরীর নামাজে জানাজা আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি বেলা ২ ঘটিকায় নগরীর পাঁচলাইশস্থ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর বাসভবন (পাঁচলাইশ থানার পশ্চিমে) প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।

    এরপর তাঁকে গ্রামের বাড়ি বাঁশখালী নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে রাত ৮ টায় দ্বিতীয় নামাজে জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।

    চুয়েট ভিসি’র শোক প্রকাশ : সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত চুয়েট শিক্ষার্থী তাহমীদুল ইসলাম চৌধুরী (২৩)র মৃত্যুতে চুয়েট পরিবারে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

    তিনি এক শোকবার্তায় বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মেধাবী ছাত্র তাহমীদুল ইসলাম চৌধুরীর এই অকালে ঝরে যাওয়া আমাদের সকলকে অত্যন্ত বেদনাহত করেছে। তাঁর মৃত্যুতে চুয়েট পরিবারের জন্য বড় ক্ষতি হয়ে গেল। আমি চুয়েট পরিবারের পক্ষ থেকে তাহমীদুল ইসলাম চৌধুরীর আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতবাসী করেন।

    একইসঙ্গে শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। মহান রাব্বুল আলামিন যেন তার পরিবারের সকলকে এ শোকের ভার বহনের ক্ষমতা দেন।

  • নিখোঁজ চুয়েট ছাত্র শহীদুল : ডিবি পরিচয়ে নিয়ে গেছে বলছে পরিবার, পুলিশ বলছে কিছুই জানে না!

    নিখোঁজ চুয়েট ছাত্র শহীদুল : ডিবি পরিচয়ে নিয়ে গেছে বলছে পরিবার, পুলিশ বলছে কিছুই জানে না!

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানার নয়া বাজার মৌসুমি আবাসিক এলাকা থেকে গত ৩ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিখোঁজ হয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষার্থী শহীদুল ইসলাম আজাদ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা) পর্যন্ত তার কোন খোঁজ মেলেনি।

    পরিবার ও তার বন্ধু এবং স্বজনরা তার সন্ধান চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পোস্ট করেছেন। এতে অনুরোধ করে বলা হয় কেউ শহীদুলের খোঁজ পেয়ে থাকলে (০১৭১৫৯৭৮১৭০)- এই নাম্বার এ যোগাযোগ করার জন্য।

    পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে গত মঙ্গলবার ৩ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে দিকে মৌসুমি আবাসিক এলাকা তানযীমুল উম্মাহ মাদ্রাসার সামনে থেকে ডিবি পরিচয়ে একটি মাইক্রোবাসে চুয়েট শিক্ষার্থী শহীদুলকে তুলে নিয়ে গেছে। তবে পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা থানা ও ডিবি অফিসে যোগাযোগ করলে তারা কেও শহীদুলকে আটক করেনি বলে জানায়।

    নিখোঁজ শহীদুল চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা ১নং বড়হাতিয়া ইউনিয়ের মাল পুকুরিয়া গ্রামের মো. শাহ আলমের ছেলে।

    এদিকে নিখোঁজ হওয়ার দুইদিন অতিবাহিত হলেও শহীদুল ইসলামের কোন খোঁজ না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছে পরিবার। এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে নগরীর পাহাড়তলী থানায় একটি সাধারণ ডায়রী (জি.ডি নং :১৬৩,তারিখ:৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ইংরেজি) করেছেন নিখোঁজ শহীদুল ইসলামের পিতা মো. শাহ আলম।

    তিনি জানান, আমার ছেলে শহীদুল চুয়েট’র মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে অধ্যায়নরত। সে পড়াশুনার পাশাপাশি টিউশনি করেই সময় কাটান। অন্য কোন বাজে আড্ডায় কখনো সে সময় দেয়নি। সে কোন রাজনৈতিক দলের সাথেও যুক্ত নয়, পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ে। এরপরও কেন আমার ছেলেকে অপহরণ করা হলো তা বুঝতে পারছি না।

    তিনি বলেন, শুনেছি ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে মঙ্গলবার রাতে আমার ছেলেকে মাইক্রোতে তুলে নিয়ে গেছে। তবে এরপর থেকে পাহাড়তলী থানা ও ডিবি পুলিশ কার্যালয়ে বারবার যোগাযোগ করেও আমার ছেলের কোন খোঁজ পাচ্ছি না। আজ দুদিন হয়ে গেলো আমার ছেলে নিখোঁজ। আমার ছেলেকে তোমরা এনে দাও বলতে বলতে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পাহাড়তলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাইনুর রহমান বলেন, চুয়েট শিক্ষার্থী শহীদুলকে কে বা কারা মঙ্গলবার রাতে তুলে নিয়ে গেছে বলে বুধবার বিকেলে থানায় একটি জিডি করেন শহীদুলের বাবা। তবে এ নামে কাউকে আটক করার তথ্য আমাদের কাছে নেই।

    পরিবারের তথ্যমতে আমরা ডিবিতেও খবর নিয়েছি, তারাও জানিয়েছে আটক করেনি। তবে শহীদুল ইসলামকে কারা কি কারণে তুলে নিয়ে গেছে সে ব্যাপারে আমরা অনুসন্ধান করছি। মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে আমরা শহীদুলের অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।