Tag: চুয়েট

  • চুয়েটে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২০ উদযাপিত

    চুয়েটে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২০ উদযাপিত

    চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ “যদিও মানছি দূরত্ব, তবুও আছি সংযুক্ত” প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে চতুর্থবারের মত বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২০’ উদযাপিত হয়েছে।

    এ উপলক্ষ্যে আজ ১২ ডিসেম্বর (শনিবার) সকালে চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

    এ সময় প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডীন জামাল উদ্দিন আহম্মদ, মুজিববর্ষ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি এবং গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. রনজিৎ কুমার সূত্রধর, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক এবং রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

    এদিকে দিবসাটি উদযাপনের অংশ হিসেবে শনিবার সন্ধ্যায় কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগিতায় এক ওয়েবইনারের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

    ওয়েবইনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। ওয়েবইনার পরিচালনা করেন সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোকাম্মেল হক।

  • ভারতের পুনেতে ‘দ্য ড্রয়িং বোর্ড’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক স্থাপত্য প্রতিযোগিতায় চুয়েট প্রথম রানার্স-আপ

    ভারতের পুনেতে ‘দ্য ড্রয়িং বোর্ড’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক স্থাপত্য প্রতিযোগিতায় চুয়েট প্রথম রানার্স-আপ

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : ভারতের পুনে’তে অনুষ্ঠিত ‘দ্য ড্রয়িং বোর্ড’ (The Drawing Board-TDB) শীর্ষক আন্তর্জাতিক স্থাপত্য প্রতিযোগিতার ৫ম আসরে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর স্থাপত্য বিভাগের একটি দল প্রথম রানার্স আপ হয়েছে। দলের সদস্যরা হলেন- ফয়সাল হোসেন, সুমাইয়া সুলতানা এবং সাদমান আলী।

    সম্প্রতি ‘Temporary Homes for Transient Construction Labourers’ শ্লোগানে বেঙ্গালুরু ভিত্তিক ‘মাইন্ডস্পেস আর্কিটেক্টস’ এবং পুনে ভিত্তিক ‘রোহান বিল্ডার্স’ যৌথভাবে প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করে।

    প্রতিযোগিতায় পুরস্কার হিসেবে চুয়েটের দলটি পেয়েছে প্রশংসাপত্র এবং ৩৫ হাজার ভারতীয় রুপি। এবার বিশ্বের ১৪টি দেশের প্রায় ১৩০০ শিক্ষার্থী ভার্চুয়ালি এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। বিজয়ীগণ প্রকৃত বিশ্বের নকশা এবং প্রয়োগের অভিজ্ঞতা লাভের জন্য রোহান বিল্ডার্সে ইন্টার্নশিপের জন্যও বিবেচিত হবেন।

    এবারের প্রতিযোগিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল ভারতে ক্ষণস্থায়ী নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য অস্থায়ী গৃহ নির্মাণ। উল্লেখ্য, ‘দ্য ড্রয়িং বোর্ড’ (The Drawing Board-TDB) ভারতের একটি জাতীয় স্থাপত্য প্ল্যাটফর্ম যেখানে শিক্ষার্থীরা স্থানীয় ঐতিহ্য রক্ষার সময় সম্প্রদায়ের জীবনযাপন ও সাফল্যের উপায় গঠনে তাদের বোঝাপড়া এবং দক্ষতা যাচাইয়ের সুযোগ পান।

    এদিকে ভারতে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়
    বিজয়ী তিন শিক্ষার্থী ফয়সাল হোসেন, সুমাইয়া সুলতানা এবং সাদমান আলীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চুয়েটের এই সফলতা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি আহবান জানান। একইসাথে চট্টগ্রামস্থ
    ভারতীয় দূতাবাসের সহকারী হাই কমিশনার এবং স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. জি.এম. সাদিকুল ইসলামও বিজয়ী শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/নেজাম

  • স্বপ্নের প্রকল্প : চুয়েটের শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর

    স্বপ্নের প্রকল্প : চুয়েটের শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর

    ফজলুর রহমান : ‘‘কি যে এক নতুন অনুভূতি, আমার চোখে পানি চলে আসছে, খুশিতে কান্না চলে আসার মতো অবস্থা আমার”-চুয়েটের শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর পরিদর্শন করার সময় বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সম্মানিত ব্যবস্থাপনা পরিচালনা (সচিব) হোসনে আরা বেগম, এনডিসি। ১৩ নভেম্বর সবুজ ক্যাম্পাসের উজ্বল আলোয় তিনি প্রকল্প স্থানে পা ফেলতে না ফেলতেই এমন অনুভূতির প্রকাশ ঘটান। এরপর বিশালাকার ইনকিউবেটর অবকাঠামো ঘুরে ঘুরে দেখে আরো মুগ্ধতা প্রকাশ করেন দেশের তথ্য-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অন্যতম শীর্ষ পর্যায়ে থাকা এই ডায়নামিক ব্যক্তিত্ব। চুয়েটের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমও অনেক স্বপ্নে গড়া এই প্রকল্পে পা রেখে নতুন আবেগে ভাসেন।

    চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ নির্মিত হচ্ছে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের প্রথম ইনকিউবেটর – শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইকিউবেটর। যা বাস্তবায়ন হলে দেশের তথ্য-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতৃন দিগন্তের উন্মোচন হতে পারে। ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে অগ্রযাত্রার ক্ষেত্রেও নতুন মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে।

    এবার আমরা ইনকিউবেটরের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখি।

    ইনকিউবেটর কি?
    ইনকিউবেটর মানে আমরা সাধারণত বুঝি ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর যন্ত্র। কিন্তু এখানে না আছে ডিম না ফুটবে বাচ্চা। এইরূপ প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নতুন নতুন আইডিয়া, উদ্ভাবন বা গবেষণালব্ধ ফলাফলকে প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিসে রূপান্তর ঘটানোর লক্ষে প্রারম্ভিক সহায়তা প্রদান করা। এর মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি হবে।

    বিজনেস ইনকিউবেটর কি?
    বিজনেস ইনকিউবেটর হ’ল একটি কর্মক্ষেত্র, যা একটি ছাদের নীচে সমস্ত প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও আনুষাঙ্গিক সুবিধা নিশ্চিত করে স্টার্টআপ/ নতুন উদ্যোগকে সহায়তা করা হয়। ডেস্ক বা অফিস ছাড়াও, ইনকিউবেটরে প্রায়শই বিশেষজ্ঞ পরামর্শদাতা, অর্থ সহায়তা , প্রশাসনিক সহায়তা, অফিস সরঞ্জাম, প্রশিক্ষণ এবং সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের গমনাগমনসহ আবাসিক সংস্থান থাকে।

    ইনকিউবেটরের ইতিহাস

    ইনকিউবেশন সংক্রান্ত কার্যক্রম সফলভাবে শুরু হয় সেই ১৯৫৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে Batavia Industrial Centre (BIC) এর মাধ্যমে। বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ১০ হাজার আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর রয়েছে। National Business Incubation Association (NBIA)-এর ২০০৫ সালের তথ্য মতে, কেবল উত্তর আমেরিকায় এসব ইনকিউবেটরের মাধ্যমে প্রায় ১০ মিলিয়ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের পার্শ্ববর্তি দেশ চীনে ৭০০ এর অধিক এবং ভারতে ৭০ এর অধিক ইনকিউবেটর রয়েছে।চীন ও ভারতে ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক ইনকিউবেটর স্থাপনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব হয়েছে। আইটি সেক্টরে নতুন নতুন সফল উদ্যোক্তা গড়ে উঠেছে। এটা বলা হয় যে, ইনকিউবেটরে ১ ডলার বিনিয়োগ করলে ৩০ ডলার আয় করা যায়।

    চুয়েটের শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর
    দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সফল উদ্যোক্তা তৈরি, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে চুয়েটের স্নাতকদের দক্ষ এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পারদর্শী হিসেবে গড়ে তোলা এবং ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবোরেশনকে আরো সম্মৃদ্ধ করার পাশাপাশি চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকদের গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমকে বেগবান করার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অধিকতর ভূমিকা রাখার নিমিত্তে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সর্বপ্রথম ইনকিউবেটর শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রায় ১২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারের একটি ড্রিম প্রকল্প হিসেবে এটাকে বিবেচনা করা হচ্ছে। বর্তমানে এটার নির্মাণকাজ প্রায় শেষের দিকে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) এর ২৬তম সভায় গত ০৬ জুন, ২০১৭ খ্রি. একনেক চেয়ারম্যান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চুয়েটের শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন প্রকল্পটির অনুমোদন দেন।

    বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় চুয়েট ক্যাম্পাসে ১০ তলা ভবনের মূল ইনকিউবেশন ভবন তৈরি হবে। যাতে গবেষণা কেন্দ্র, ইনোভেশন জোন, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমি কোলাবরেশন জোন, আইডিয়া ডেভল্পমেন্ট জোন, ফুডকোর্ট, প্রদর্শনী কক্ষসহ আইটি কোম্পানির জন্য অত্যাধুনিক অফিস কক্ষ থাকবে। এছাড়াও একটি ৬ তলা বিশিষ্ট মাল্টিপারপাস ভবনে অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি, প্রশিক্ষণ কক্ষ এবং কনফারেন্স কক্ষ থাকবে। স্টার্টআপ কোম্পানিকে আবাসিক সুবিধা প্রদানের জন্য একটি পুরুষ এবং একটি নারী ডরমিটরি তৈরি হচ্ছে। ইনকিউবেটর স্থাপন প্রকল্পের আওতায় দুইটি বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপনেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

    এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মূল উদ্দেশ্য হলো:
    ১। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক/ স্নাতকদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা প্রদান।
    ২। বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইটি/ আইটিএস শিল্পের মধ্যে কার্যকর সংযোগ স্থাপন করা।
    ৩। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমের সংযোগ স্থাপন করা।
    ৪। ভৌত অবকাঠামো ও আনুসঙ্গিক সুবিধাদি তৈরি করা।

    নামকরণ: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অনুমোদনক্রমে ‘চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের নাম “চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর” নামে নামকরণ করা হয়।

    রক্ষণাবেক্ষণ ও জনবল: এই প্রকল্পের মাধ্যমে আহরিত সম্পদের ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। এজন্য “চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রাক্কালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এবং চুয়েট কর্তৃপক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নান্তে আহরিত সম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য জনবল, অপারেশন এবং দৈনন্দিন ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয় ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মাধ্যমে চুয়েট কর্তৃপক্ষকে বাজেট বরাদ্দের কথা রয়েছে। প্রকল্পের ভৌত অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ, জনবল ও পরিচালন চুয়েটের বাৎসরিক আর্থিক বরাদ্দ হতে মিটানো হবে।

    পরিচালক নিয়োগ: প্রকল্পের জন্য অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার লক্ষে একটি পূর্ণাঙ্গ জনবল কাঠামো গড়ে তোলা হবে। বর্তমানে এই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হলেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের যুগ্মসচিব সৈয়দ জহুরুল ইসলাম। ইনকিউবেট পরিচালনার জন্য চুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক, বিশিষ্ট প্রযুক্তিবিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক-কে পরিচালক পদে সাময়িকভাবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। সার্বিক তদারকিতে আছেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (অপারেশন এন্ড মেইন্টেন্যান্স) নরোত্তম পাল। এছাড়া নির্মাণ কাজ তদারকিতে আছেন চুয়েটের নির্বাহী প্রকৌশলী আতাউর রহমান।

    প্রশিক্ষণ: প্রকল্পে আইটি বিষয়ে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল তৈরির জন্য অনুমোদিত ডিপিপিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি গ্রাজুয়েটদের আইটি সার্ভিস প্রফেশনালে রূপান্তর করার জন্য প্রশিক্ষণের সুযোগ রাখা হয়েছে। ডিপিপি’র বিবরণ অনুযায়ী চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার আইটি বিষয়ক শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল এবং এন্টারপ্রিনিউর হিসেবে গড়ে তোলাই মূল লক্ষ্য। ইতিমধ্যে চুয়েটের ২৫০জন শিক্ষার্থীকে বিগডাটা, এআই, সাইবার নিরাপত্তা,ডাটা এনালেটিক্স, মেশিন সার্ভিং, ব্লকচেইন বিষয়ে দক্ষ প্রশিক্ষক দ্বারা প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।এই কাজে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী এবং অভ্যন্তরীণ/ আর্ন্তজাতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সমঝোতা স্মারক সম্পন্ন করে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ডিপিপি-তে নির্দেশনা আছে।

    গবেষণা: এখানে গবেষণার ক্ষেত্রে মাস্টার্স এবং পিএইচডি শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব প্রদান করতে হবে।গবেষণার ফলাফল হিসেবে প্রত্যেকটি গবেষণা প্রস্তাব হতে একটি স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশনাসহ সেমিনার/ ওয়ার্কশপ করতে হবে। প্রকাশনার সময় অর্থায়নের উৎস প্রকাশনায় উল্লেখ করতে হবে এবং গবেষণা সমাপ্তিতে প্রেজেন্টেশন এবং গবেষণা সংক্রান্ত সব তথ্যাদি প্রকল্প অফিসে দাখিল করতে হবে। এরইমধ্যে ৭টি গবেষণা প্রকল্পে ৪৭ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফলগুলোকে টেকসই এবং পণ্য হিসেবে রূপান্তর করার লক্ষে এগুলোকে ইনকিউবেটরে স্টার্টআপ হিসেবে গড়ে তোলাসহ অধিকতর সুবিধা প্রদান করা হবে।

    চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর সফলভাবে বাস্তবায়ন ও পরিচালনার মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তথ্য-প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখতে সক্ষম হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেন্জ মোকাবেলা ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে চুয়েটের শিক্ষার্থীদের এই ভূমিকা রাখার মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়কে তথ্য-প্রযুক্তির শিক্ষা-গবেষণায় “Center of Excellence” হিসেবে গড়ে উঠতে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।

    লেখক: প্রাবন্ধিক এবং সহকারী রেজিস্ট্রার, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)।

     

  • চুয়েট কর্মচারী ক্লাবের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সম্পন্ন

    চুয়েট কর্মচারী ক্লাবের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সম্পন্ন

    চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর কর্মচারী ক্লাবের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান এবং ক্লাবের সমাপনী সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আজ ১৬ নভেম্বর (সোমবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে উক্ত পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

    কর্মচারী ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ ফজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, চুয়েট স্টাফ ওয়েলফেয়ারের সভাপতি অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহম্মদ এবং চুয়েট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন। কর্মচারী সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আল হান্নানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কর্মচারী ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আজিজুর রহমান এবং বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আহবায়ক মো. আবদুর রহমান।

    এতে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়।

    অনুষ্ঠানে কর্মচারী ক্লাবের পক্ষ থেকে স্টাফ ওয়েলফেয়ারের সভাপতি অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহম্মদ, উপ-প্রধান শারীরিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, সহকারী রেজিস্ট্রার (সমন্বয়) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান, চীফ টেকনিক্যাল অফিসার মোহাম্মদ হারুন এবং সহকারী পরিচালক (নিরাপত্তা) মো. আনিসুজ্জামান খানকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • চুয়েটে শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর পরিদর্শনে হাইটেক পার্কের এমডি আসছেন আগামীকাল

    চুয়েটে শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর পরিদর্শনে হাইটেক পার্কের এমডি আসছেন আগামীকাল

    চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ নির্মিতব্য শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম আগামীকাল ১৩ নভেম্বর (শুক্রবার) চুয়েট ক্যাম্পাসে আসবেন।

    পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, প্রকৌশলী ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে মতবিনিময় করবেন।

    উল্লেখ্য, দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সফল উদ্যোক্তা তৈরি, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে উদ্ভাবনী কার্যক্রমকে উৎসাহিত করা এবং ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবোরেশনকে আরো সম্মৃদ্ধ করার পাশাপাশি আইটি শিল্পে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের সুযোগ আরও অবারিত করার মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের আয় প্রত্যাশিত মাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ সর্বপ্রথম শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর প্রকল্প স্থাপন করা হচ্ছে। প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারের একটি ড্রিম প্রকল্প হিসেবে এটাকে বিবেচনা করা হচ্ছে। বর্তমানে এটার নির্মাণকাজ প্রায় শেষের দিকে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) এর ২৬তম সভায় গত ০৬ জুন, ২০১৭ খ্রি. একনেক চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চুয়েটের শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন প্রকল্পটির অনুমোদন দেন।

    বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় চুয়েট ক্যাম্পাসে ১০ তলা ভবনের ৭ তলা পর্যন্ত ইনকিউবেশন ভবন তৈরি হবে। ৭ তলা ভবনটির প্রতি ফ্লোরে ৫ হাজার বর্গফুট করে মোট ৩৫ হাজার বর্গফুট স্পেস থাকবে। এছাড়া ৬ তলা ভিত্তিসহ ৪ তলা পর্যন্ত ২ টি ডরমেটরি ভবন যার প্রতি ফ্লোরে ৫ হাজার করে দুটি ভবনে মোট ৪০ হাজার বর্গফুট এবং ৮ তলা ভিত্তির ৬ তলা পর্যন্ত মাল্টিপারপাস প্রশিক্ষণ ভবন যার প্রতি ফ্লোরে ৬ হাজার বর্গফুট করে মোট ৩৬ হাজার বর্গফুট জায়গা থাকবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • চুয়েট ভিসি’র সাথে অস্ট্রেলিয়ান সংস্থা এসএমইসি প্রতিনিধির মতবিনিময়

    চুয়েট ভিসি’র সাথে অস্ট্রেলিয়ান সংস্থা এসএমইসি প্রতিনিধির মতবিনিময়

    চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের সাথে অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন পরামর্শক সংস্থা ‘এসএমইসি’ (ঝগঊঈ)-এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আহমেদ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

    আজ রবিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে ভাইস চ্যান্সেলর কার্যালয়ে উক্ত সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় হয়।

    এ সময় বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. রওশন মমতাজ, চুয়েটের পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রবিউল আলম, স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. জি.এম. সাদিকুল ইসলাম এবং সেন্টার ফর রিভার, হারবার অ্যান্ড ল্যান্ডস্লাইড রিসার্চ-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আয়শা আখতার উপস্থিত ছিলেন।

    প্রসঙ্গত, এসএমইসি হচ্ছে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বৈশ্বিক প্রকৌশল, পরিচালনা, উন্নয়ন পরামর্শক ও উদ্ভাবনী সমাধান সরবরাহ প্রদানকারী একটি অস্ট্রেলিয়ান সংস্থা।

    মতবিনিময়কালে অস্ট্রেলিয়ান সংস্থা ‘এসএমইসি’ (ঝগঊঈ)-এর প্রতিনিধি দল চুয়েটের সাথে পারস্পারিক সহযোগিতা চুক্তির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এই চুক্তির আওতায় চুয়েটের শিক্ষার্থী ও গ্র্যাজুয়েটরা ইন্টার্নশিপের পাশাপাশি প্রজেক্ট ভিত্তিক কর্মসংস্থানেরও সুযোগ পাবেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন পুরকৌশল সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে দুটি প্রতিষ্ঠান একসাথে গবেষণা পরিচালনার সুযোগ পাবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • চুয়েট ভিসি দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পাওয়ায় শিক্ষক সমিতির সংবর্ধনা ও মতবিনিময়

    চুয়েট ভিসি দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পাওয়ায় শিক্ষক সমিতির সংবর্ধনা ও মতবিনিময়

    চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর শিক্ষক সমিতি ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পাওয়ায় এবং দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।

    আজ ০৫ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে উক্ত সংবর্ধনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও সংবর্ধেয় অতিথি হিসেবে ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

    শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি জনাব শ্যামল আচার্যের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ড. মো. সানাউল রাব্বী।

    শিক্ষক সমিতির প্রচার ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক নাহিদা সুলতানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। পরে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সম্মানিত শিক্ষকগণ তাদের বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • চুয়েট একাডেমিক কাউন্সিলের ১২১তম সভা অনুষ্ঠিত

    চুয়েট একাডেমিক কাউন্সিলের ১২১তম সভা অনুষ্ঠিত

    চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর একাডেমিক কাউন্সিলের ১২১তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আজ ২২ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সকালে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়েটের একাডেমিক কাউন্সিলের সভাপতি ও ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

    এতে চুয়েট একাডেমিক কাউন্সিলের অভ্যন্তরীণ এবং বহিঃসদস্যগণ সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক অংশগ্রহণ করেন।

    সভায় অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়াসহ একাডেমিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • মহামারি পরিস্থিতিতে বিগ ডাটা ও ক্লাউড কম্পিউটিং প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে:চুয়েট ভিসি

    মহামারি পরিস্থিতিতে বিগ ডাটা ও ক্লাউড কম্পিউটিং প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে:চুয়েট ভিসি

    চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের আয়োজনে এবং চুয়েট কম্পিউটার ক্লাবের সহযোগিতায় “বিগ ডাটা অ্যানালাইটিক্স অ্যান্ড ক্লাউড কম্পিউটিং” (ডবনরহধৎ ড়হ ইরম উধঃধ অহধষুঃরপং ধহফ ঈষড়ঁফ ঈড়সঢ়ঁঃরহম) শীর্ষক এক ওয়েবইনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শনিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭.০০ ঘটিকায় উক্ত ওয়েবইনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

    কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে ওয়েবইনারে কী-নোট স্পিকার ছিলেন কানাডার সাসকাচেওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের (টহরাবৎংরঃু ড়ভ ঝধংশধঃপযবধিহ) কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. চঞ্চল রায় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রাজ্জাক। ওয়েবইনারটি পরিচালনা করেন সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবং ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিগ ডাটা ও ক্লাউড কম্পিউটিং প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে কাজ করছে। এসব ক্ষেত্রে আমাদের তরুণ প্রকৌশলীদের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। বর্তমান বৈশ্বিক মহামারি পরিস্থিতিতে তিনি এসব প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে উচ্চতর গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার আহবান জানান।”

    উক্ত ওয়েবইনারে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকমণ্ডলীসহ প্রায় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • চুয়েটে “কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিং অ্যান্ড ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট” শীর্ষক ওয়েবইনার অনুষ্ঠিত

    চুয়েটে “কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিং অ্যান্ড ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট” শীর্ষক ওয়েবইনার অনুষ্ঠিত

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর কম্পিউটার ক্লাবের উদ্যোগে “কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিং অ্যান্ড ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট” শীর্ষক এক ওয়েবইনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ২৯ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় উক্ত ওয়েবইনারের উদ্বোধন করেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

    কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিনের পরিচালনায় ওয়েবইনারে কী-নোট স্পীকার ছিলেন সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক শাহরিয়ার মনজুর এবং কোড-মার্শাল এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান।

    ওয়েবইনারে বক্তারা প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় সফলতা পাওয়ার বিভিন্ন কৌশল এবং প্রোগ্রামিংয়ে ক্যারিয়ার গঠনের সম্ভাবনা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এতে চুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দুই শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করেন।

    ওয়েবইনারে সরাসরি প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আলোচকদের নিকট বিভিন্ন বিষয়ে সমাধান ও পরামর্শ গ্রহণ করেন৷

    ২৪ ঘণ্টা/আব্বাস/নেজাম

  • চুয়েটে পুরকৌশল ও স্থাপত্যবিদদের জন্য জাপানে ক্যারিয়ার বিষয়ক ওয়েবইনার অনুষ্ঠিত

    চুয়েটে পুরকৌশল ও স্থাপত্যবিদদের জন্য জাপানে ক্যারিয়ার বিষয়ক ওয়েবইনার অনুষ্ঠিত

    চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর পুরকৌশল ও স্থাপত্য বিভাগের যৌথ উদ্যোগে জাপানে ক্যারিয়ার বিষয়ক  “Job Opportunity in Japan for Civil Engineering and Architects” শীর্ষক এক ওয়েবইনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আজ ০৯ সেপ্টেম্বর (বুধবার), ২০২০ খ্রি. সকালে উক্ত ওয়েবইনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

    পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পালের সভাপতিত্বে উক্ত ওয়েবইনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রবিউল আলম এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. জি.এম. সাদিকুল ইসলাম।

    উক্ত ওয়েবইনারে জাপান থেকে ভেন্টুরাস বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইউরিকো উয়েদা স্যান এবং জাপান এশিয়া গ্রপের প্রতিনিধি হিসেবে হিরোমিতসু শিবা সাকি এবং ভেন্টুরাস বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার জনাব সৌরভ রায় অংশগ্রহণ করেন।

    এতে প্রধান বক্তা ছিলেন জাপান এশিয়া গ্রপের প্রতিনিধি ড. মোহাম্মদ আখারুজ্জামান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জনাব নাজিয়া হোসাইন।

    ওয়েবইনারে চুয়েটের পুরকৌশল ও স্থাপত্য বিভাগের গ্র্যাজুয়েটদের চাকরির সম্ভাবনা ও সুবিধাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • তাইওয়ানে স্থাপত্য ও নগর পরিকল্পনা বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর সাফল্য

    তাইওয়ানে স্থাপত্য ও নগর পরিকল্পনা বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর সাফল্য

    নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান (চট্টগ্রাম) : তাইওয়ানে অনুষ্ঠিত ৮ম টিম-২০ (The 8th TEAM20 Architecture & Urban Planning Competition) স্থাপত্য ও নগর পরিকল্পনা বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সাফল্য পেয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর স্থাপত্য বিভাগের দুই শিক্ষার্থী।

    ৩১ আগস্ট রাতে অনলাইন ভোটিংয়ের মাধ্যমে অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

    প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ১০ জনের তালিকায় স্থান পায় চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের ‘১৩ ব্যাচের দুই শিক্ষার্থী তাহজীবা তারান্নুম এবং মাহজেরীন সুলতানা ঐশীর পৃথক দুটি প্রজেক্ট।

    গত জুনে অনলাইনে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় তাইওয়ান ও চীন ছাড়াও দক্ষিণ পূর্ব-এশিয়া, ইউরোপ, দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের প্রায় ১৮৩টি প্রজেক্ট সাবমিট করা হয়। এতে তাহজীবা তারান্নুমের প্রজেক্ট ৬ষ্ঠ এবং মাহজেরীন সুলতানা ঐশীর প্রজেক্ট ৭ম স্থান নির্বাচিত হয়। উল্লেখ্য, “টিম-২০” একটি আন্তর্জাতিক স্থাপত্য শিক্ষা ও প্রতিযোগিতা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান। স্থাপত্য , নগর ও পল্লী উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী স্নাতক প্রকল্পের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করাই টিম-২০ এর লক্ষ্য।

    তাহজীবা তারান্নুমের প্রজেক্টটি ছিল বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া রেশম শিল্প নিয়ে। রেশম চাষ উন্নয়নের লক্ষ্যে “একটি আদর্শ রেশম পল্লী নির্মাণ, বাংলায় রেশম চাষের উন্নয়নের লক্ষ্য” শিরোনামের এই প্রকল্পটি মূলত বাংলাদেশ সরকারের “একটি বাড়ি, একটি খামার” শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনস্থ বাংলাদেশ রেশম চাষ উন্নয়ন বোর্ডের একটি গ্রামভিত্তিক ক্ষুদ্র প্রকল্প। ত্রিপুরা উপজাতি গোষ্ঠীর ঐতিহ্যগত গৃহ নির্মাণশৈলীকে প্রাধান্য দিয়ে এবং রেশম পোকার গুটি তৈরী হতে সুতা আহরণ পর্যন্ত উৎপাদন স্থানগুলো স্থাপত্যের নিরিখে পরিকল্পনা করে শৃঙ্খলাবদ্ধ, টেকসই ও সাশ্রয়ীভাবে এ রেশমশিল্প প্রকল্পের নির্মাণ। যাতে একটি সংস্কৃতিমনা উপজাতিকে উৎপাদনশীল শিল্পের সাথে সংযুক্ত করে তাদের স্বকীয়তা ও সামাজিক অবস্থান দৃঢ়তা পায়।

    মাহজেরীন সুলতানার প্রজেক্টটি ছিল দিনাজপুরে একটি উন্নত কৃষি বিষয়ক গবেষণাগার এবং ট্রেনিং সেন্টারের পরিকল্পনা নিয়ে। বাংলাদেশের প্রাচীন স্থাপনা মহাস্থানগড়ের স্থাপত্যশৈলীকে অনুসরণ করে সাধারণ কৃষক ও গবেষকদের জন্য একটি মিলনায়তনের পরিকল্পনা করা হয় এই প্রজেক্টে।

    তাইওয়ানের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দুই শিক্ষার্থী তাহজীবা তারান্নুম এবং মাহজেরীন সুলতানাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চুয়েটের এই সফলতা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি আহবান জানান।

    একইসাথে স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. জি.এম. সাদিকুল ইসলামও বিজয়ী শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর