Tag: চেকপোস্ট

  • করোনা মোকাবেলায় নগরীর প্রবেশমুখে বসছে চেকপোস্ট : সুজন

    করোনা মোকাবেলায় নগরীর প্রবেশমুখে বসছে চেকপোস্ট : সুজন

    করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় জনসচেতনতার পাশপাশি নগরীর প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসানোর ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশেনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন। মাস্ক পরিধান ছাড়া কোন দূরপাল্লার বাস-যানবাহনকে নগরে ঢুকতে দেয়া হবে না।

    ‘মরণব্যাধী করোনা করবেনা কাউকে করুণা’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নগরবাসীর প্রতি আমার আহ্বান থাকবে আপনারা বিয়ে-শাদী, মেজবান বা সামাজিক অনুষ্ঠানাদিতে অতিরিক্ত জনসমাগম করবেন না। আপনাদের সামান্যতম অবহেলা ও উদাসিনতা নাগরিক জীবন বড় ধরণের হুমকির মুখে পড়তে পারে।

    তিনি আজ রোববার (২২ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর নুতন ব্রিজ এলাকায় করোনা থেকে রক্ষায় সচেতনতায় জনসধারণের মাঝে মাস্ক বিতরণ ও পথ সভায় একথা বলেন।

    এ সময় প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরীসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রশাসক তখন হেঁটে পুরো এলাকা ঘুরে দেখেন এবং গরীব অসহায় যাদের মাস্ক কেনার সামথ্য নাই এ রকম বিপুল জনগোষ্ঠীকে নিজ হাতে মাস্ক বিতরণ ও পরিয়ে দেন।

    নতুন ব্রিজ এলাকার গোল চত্বর মোড় থেকে চাক্তাই ব্রিজ পর্যন্ত হেঁটে পরিদর্শনকালে তিনি রাস্তা দখল করে থাকা বেশ কিছু ভাসমান দোকান পরিচ্ছন্ন কর্মী ও সেবকদের দিয়ে সরিয়ে দেন।
    সে সময় রাস্তার মশার ওষুধ ছিটানো হয়। পথে পড়ে থাকা আবর্জনাও পরিস্কারের ব্যবস্থা করা হয়। করোনা ও ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া মোকাবেলায় জনসাধারণের মাঝে বিলি করা হয় প্রচারপত্র।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, গতকাল (২১ নভেম্বর) করোনা মহামারিতে আমেরিকায় ২ লাখ ও আমাদের দেশে ৪০ জন মৃত্যু বরণ করেছে। তাই নিজের ও পরিবারের সুরক্ষায় অবশ্যই মাস্ক পরিধান ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলাচলের কোন বিকল্প নাই।

    নগরবাসীর প্রতি আমার আহবান থাকবে নিজে বাঁচুন, পরিবারকে বাঁচান। আর আপনাদের নিজেদের আশপাশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। কারণ এখন ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায়না। করোনার সাথে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া প্রকোপ বাড়লে জন স্বাস্থ্য বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ হুমকির মুখে পড়তে পারে। তাই জনসাধারণের সাবধানতা অবলম্বন জরুরি। তিনি ব্যবসায়ী দোকানদারদেরও মাস্ক ছাড়া কোন পণ্য বিক্রি করতে নিষেধ করেন।

  • বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে সাড়ে ৩ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী দেশে ফিরেছে

    বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে সাড়ে ৩ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী দেশে ফিরেছে

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ।নিলয় ধর, (বেনাপোল) যশোর প্রতিনিধি:ভারতে বেড়াতে যাওয়া ও চিকিৎসা শেষে আটকে পড়া ১৭৭ জন বাংলাদেশী দেশে ফিরেছেন। মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা পর্যান্ত তারা দেশে প্রবেশ করেন।

    এর আগে গত সোমবার পর্যন্ত বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে ৩৩৫৪ জন নারী-পুরুষ ও শিশু দেশে ফিরে আসে।

    এদের সকলকে যশোরের ঝিকরগাছার গাজির দরগাহ ও বেনাপোল পৌর বিয়ে বাড়ি কমিউনিটি সেন্টারের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টোইনে রাখা হয়।

    এই নিয়ে অর্থাৎ গত ৩৬ দিনে দেশে ফিরল ৩ হাজার ৫ শত ৩১ জন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী। এসময়ের মধ্যে ৭ জন পাসপোর্ট যাত্রী ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়ায় মৃত্যুবরণ করেন।

    সারা বিশ্বে মহামারি করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় গত (৬ এপ্রিল) সরকার ঘোষণা দেয় বিদেশ থেকে যারা দেশে ফিরবে তারা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তত্ত¡াবধানে নিয়োজিত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকবে। তারই ধারাবাহিকতায় ০৬ এপ্রিল থেকে ১৩ মে সোমবার পর্যন্ত ভারত থেকে ৩৫৩১ জন বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রী বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে (৭ জনের মৃত দেহ) ছিলো। সকলকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টোইনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে যারা ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছে এবং কোভিড-১৯ শনাক্ত হননি তারা বাড়ি ফিরে গেছে। বাকিরা এখনও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছে।

    বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানিয়েছেন, ভারত থেকে ফেরত আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের ইমিগ্রেশন এর আনুষ্ঠানিকতা শেষে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে নিকটস্থ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে।

    মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত সময়ে এ পথে ভারত থেকে চিকিৎসা ও ভ্রমন শেষে দেশে ফেরা ১৭৭ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, উপজেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যশোরের ঝিকরগাছা থানার গাজির দরগাহ মাদ্রাসায় কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে গেছেন।

    শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডল জানিয়েছেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভারত থেকে ফেরত আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ১৪ দিন রাখা হচ্ছে। যেসব যাত্রী দেশে এসেছে তাদের আমরা (যশোর-বেনাপোল) মহাসড়কের গাজিরদরগাহ নামক ১টি মাদ্রাসায় রেখেছি। সেখানে তারা ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর যদি কারো শরীরে করোনা সংক্রামক ধরা না পড়ে তাহলে সরাসারি বাড়ি চলে যাবে।

    তবে নির্ভরযোগ্য সুত্র জানানো হয়, ভারতে চিকিৎসা শেষে অনেকে এই প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে না থাকার জন্য অপরাগতা প্রকাশ করলে তাদের কাগজ পত্র যাচাই বাছাই করে বাড়িতে বিশেষ ব্যাবস্থায় কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য পাঠানো হচ্ছে। তবে ওই এলাকার প্রশাসনকে ওইসব ভারত ফেরত লোকদের ব্যাপারে অবহিত করা হচ্ছে। যেন তারা ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ফটিকছড়ির ১৩ প্রবেশপথে চেকপোস্ট

    ফটিকছড়ির ১৩ প্রবেশপথে চেকপোস্ট

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি :::: চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ১৩ প্রবেশপথে চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। উপজেলায় প্রবেশ এবং বের হওয়া সীমিত করতে চেকপোস্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    উপজেলার ফটিকছড়ি থানার অংশে আছে আটটি প্রবেশপথ। এগুলো হচ্ছে- নাজিরহাট পৌরসভার ঝংকার নতুন ব্রিজ, টেকের দোকান নাজিরহাট-কাজিরহাট সড়ক, খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নয়াবাজার আর্মি ক্যাম্প, লক্ষ্মীছড়ি-কাঞ্চননগর সড়ক, রোসাংগিরি-ধলইঘাট, জাফতনগর ইউনিয়নের তকিরহাট বাজার, ধর্মপুর ইউনিয়নে রাউজান-ফটিকছড়ি সংযোগ সড়ক এবং সমিতিরহাট ইউনিয়নের দরগাহ রোড।

    উপজেলার ভুজপুর ইউনিয়নে আছে পাঁচটি প্রবেশপথ। এগুলো হচ্ছে- বাগানবাজার ইউনিয়নের গার্ডের দোকান, দাঁতমারা ইউনিয়নের বালুটিলা বাজার, নারায়ণহাট ইউনিয়নের শ্বেতছড়া বাজার, নেপচুন বাজার এবং ভুজপুর ইউনিয়নের গাড়িটানা এলাকা।

    এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সায়েদুল আরেফিন বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা থেকে কিছু লোক ফটিকছড়িতে প্রবেশ করছে। অথচ এক এলাকার মানুষ অন্য এলাকায় যাবার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আছে। তাদের কারণে ফটিকছড়ি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়েছে। এজন্য চেকপোস্ট বসিয়ে প্রবেশপথ গুলোতে কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়েছে।