নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১১জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দুই শতাধিক চোরাই মোবাইল সেট।
গতকাল বুধবার দিনব্যাপী সিরিজ অভিযান পরিচালনা করে এসব মোবাইল চোর ও ছিনতাইকারীদের আটক করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত মোবাইলগুলো নগরীর বিভিন্ন বাসা বাড়ি থেকে, যানজট ও নানান অনুষ্ঠানের ভিড়ে সাধারণ মানুষের প্যান্টের পকেট থেকে, চলমান গাড়ির জানালা থেকে ছোঁ মেরে এবং ছিনতাই করেছে আটককৃতরা।
আটককৃতরা হলেন- রাজিব হোসেন (২৭), মো. শাহ আলম (৩০), শাকিল (২৪), মহিউদ্দিন (২৭), ইয়াকুব হোসেন সাইমুন (১৯), মো. শাহাদাত (২২), মো. সাজ্জাদ (২২), মিজানুর রহমান রাকিব (২০), দুলাল (২০), রবিন (২৩) ও মো. ফজলুল করিম (৩৫)।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার সময় নগরীর কোতোয়ালি থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) পলাশ কান্তি নাথ।
তিনি বলেন, নগরীর পুরাতন রেল স্টেশন থেকে প্রথমে ২ মোবাইল চোরকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতদের দেওয়া তথ্যমতে বুধবার দিনব্যাপী সিরিজ অভিযান পরিচালনা করে কোতোয়ালি থানা পুলিশের কয়েকটি টিম।
পুরাতন রেল স্টেশন, নতুন রেল স্টেশন ও নিউমার্কেট এলাকায় এসব সিরিজ অভিযান পরিচালিত হয়। মোট ১১জনকে আটক করে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে মোট ২০২টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা চট্টগ্রাম শহরে চোরাই মোবাইল বিক্রির সঙ্গে ৫০ জন ব্যবসায়ী জড়িত থাকার তথ্য দিয়েছে। তাছাড়া মোবাইল চুরিতে অন্তত এক ডজনের চাইতেও বেশি গ্রুপ পুরো চট্টগ্রাম শহরজুড়ে সক্রিয় রয়েছে বলেও তারা জানিয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মহসীন বলেন, আটককৃতরা সকলেই নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে চুরি ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত। জিজ্ঞাসাবাদে তারা মোবাই চুরি ও ছিনতাইয়ের বেশ কয়েকটি কৌশল পুলিশকে জানায় এবং এসব কাজে জড়িত থাকা অনেকের বিষয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে।
তাদের দেওয়া তথ্যগুলো যাচাই এবং এসব চক্রে জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হবে বললেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।
সংবাদ সম্মেলনে কোতেয়ালী জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার নোবেল চাকমাও উপস্থিত ছিলেন।
২৪ ঘণ্টা/রাজীব