Tag: চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন

  • আইজিপি হলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন

    আইজিপি হলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন

    র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে বাংলাদেশ পুলিশের ৩১তম মহাপরিদর্শক (আইজি) হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে।

    রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনটি স্বাক্ষর করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস।

    চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিসিএস ৮ম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি ১৯৬৪ সালের ১২ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার শ্রীহাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকসহ (সম্মান) স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

    ১৯৮২ সালে বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের ১৯৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে পুলিশের সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট (এএসপি) হিসেবে যোগ দেন। ২০২১ সালের বছরের মে মাসে তিনি অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতি পান। এর আগে তিনি ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন।

    কর্মজীবনে আবদুল্লাহ আল-মামুন পুলিশ সদর দপ্তর, মেট্রোপলিটন পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের দায়িত্ব পালন করেছেন।

    এছাড়া জাতিসংঘ শান্তি মিশনে কাজ করার মাধ্যমে তিনি বিশ্ব শান্তিরক্ষার জন্য উজ্জ্বল অবদান রেখেছেন।
    তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর সার্কেল এএসপি, সিরাজগঞ্জের রাইগনজ সার্কেল এএসপি, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ সার্কেল এএসপি, চাঁদপুরের অতিরিক্ত এসপি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিএমপি), আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এএসপি, এডিসি (ডিএমপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া নীলফামারী জেলার সুপারিনটেনডেন্ট পুলিশ (ডিপি), ডিএমপির ডেপুটি কমিশনার (ডিসি), এআইজি (এস্টাবলিশমেন্ট) এবং ঢাকা সদর দপ্তরের এআইজি (গোপনীয়) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ও ডিআইজি হন। অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পেয়েছেন।

  • র‌্যাবের মহাপরিচালক করোনায় আক্রান্ত,হাসপাতালে ভর্তি

    র‌্যাবের মহাপরিচালক করোনায় আক্রান্ত,হাসপাতালে ভর্তি

    করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। বুধবার তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

    বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে এ বিষযে র‌্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘শারীরিকভাবে অসুস্থবোধ করায় আমি নমুনা পরীক্ষা করাই। গতকাল নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

    তার পরই আমি রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। ’

    র‍্যাব ডিজি বলেন, ‘এখন কিছুটা সুস্থবোধ করছি। হাসপাতালে ভর্তি থেকেই চিকিৎসা করাচ্ছি। যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠি, সেজন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। ’

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ঈদে ঘরে থাকুন : র‌্যাব ডিজি

    ঈদে ঘরে থাকুন : র‌্যাব ডিজি

    এবার ঈদুল ফিতরে ঘরের বাইরে না যেয়ে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

    তিনি বলেছেন, এবার একেবারেই ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে আমরা দেশবাসী পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে যাচ্ছি যখন প্রায় প্রতিটা জেলা করোনা আক্রান্ত। তার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাত। দেশবাসীকে অনুরোধ করব, ঈদের দিনে কেউ ঘোরাফেরার জন্য বাইরে বের হবেন না। আপনারা ঘরে থাকুন, আপনাদের জন্য আমরা আছি বাইরে।

    আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর ও চলমান করোনা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে র‌্যাবের গৃহীত আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে অনলাইনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব বলেন র‌্যাব ডিজি। শুক্রবার (২২ মে) বেলা সোয়া ১১টায় শুরু হয় মতবিনিময়।

    মতবিনিময়কালে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা প্রত্যেক বছর খোলা আকাশের নিচে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করে থাকি। কিন্তু এবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকারি নির্দেশনা মতে মসজিদগুলোতে একটা নির্দিষ্ট সময় বিরতিতে একাধিক ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এই ঈদের নামাজকে ঘিরে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ন্যায় র‌্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।’

    তিনি বলেন, ‘অন্যান্যবার ঈদের নামাজকে ঘিরে অল্প সময়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রয়োজন হতো। কিন্তু এবার মসজিদে ঈদের নামাজ হওয়ার কারণে দীর্ঘসময় ধরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে। সেজন্য মসজিদ কমিটি ও সম্মানিত মুসল্লিদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মসজিদে আসবেন, লাইন ধরে আসবেন, নামাজ শেষে একটা নির্ধারিত সময় গ্যাপ দিয়ে পরের ঈদের দ্বিতীয় বা তৃতীয় নামাজে জামাতের আয়োজন বা ব্যবস্থা করবেন।’

    এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব মহাপরিচালক মামুন বলেন, ‘এবার ঈদের দিনে বিনোদনের নামে ঘোরাঘুরির বা কোনো বিনোদন কেন্দ্রে, দর্শনীয় স্থানে জমায়েত করা যাবে না। অনুরোধ করব, আপনারা ঘরেই থাকবেন। বিনোদন কেন্দ্র বা দর্শনীয় স্থানগুলোতে র‌্যাবের নজরদারি থাকবে। জমজমাট ঈদ উদযাপন না হয় অন্য কোনো ঈদে করা যাবে।’

    ঈদুল ফিতরের নামাজকে ঘিরে এবং এই করোনার মধ্যে উগ্রবাদী, সন্ত্রাসী কিংবা জঙ্গিবাদী কোনো হুমকি বা হামলার ব্যাপারে শঙ্কা আছে কি-না জানতে চাইলে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘এই সংকটময় মুহূর্তে র‌্যাব তাদের দায়িত্ব পালনে পিছুপা হয়নি বরং চলমান যে প্রক্রিয়া সেটা আরও গতিশীল ও ত্বরান্বিত রেখেছে। করোনা সংকট র‌্যাবকে দমিয়ে রাখতে পারবে না। দেশ ও জনগণের পাশে থাকবে।’

    ‘তাই আমি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলতে চাই, কোনো সন্ত্রাসী, উগ্রবাদী কিংবা জঙ্গিগোষ্ঠীর অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অপতৎপরতা কঠোরভাবে দমন করা হবে। সেজন্য র‌্যাবের গোয়েন্দা টিম কাজ করছে। নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করছে র‌্যাবের সাইবার টিম।’

    ‘উস্কানি, নাশকতামূলক এবং জঙ্গি অপতৎপরতা বন্ধে নজরদারি বৃদ্ধি, চেকপোস্ট বৃদ্ধি করা হয়েছে। রিজার্ভ ফোর্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত রাখা হয়েছে’-যোগ করেন র‌্যাব ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর