Tag: চ্যাম্পিয়ন

  • যুব এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

    যুব এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

    ২০১৮ সালে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে শেষ বলে হেরে শিরোপার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিল বাংলাদেশের যুবাদের। এবার সেই স্টেডিয়ামেই ইতিহাস লিখল নতুন প্রজন্মের যুবারা। ২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপের পর আরও একবার বাংলাদেশের ক্রিকেটে বড় সাফল্য এল যুবাদের হাত ধরে। এবার এশিয়া মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল।

    দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজারো প্রবাসী বাংলাদেশি সাক্ষী হলেন জুনিয়র টাইগারদের নতুন কীর্তির। বিজয় দিবসের ঠিক একদিন পর দুবাই থেকে ভেসে এলো দেশের ক্রিকেটের গৌরবমাখা অনন্য অর্জনের খবর। এশিয়া কাপের ফাইনালে আরব আমিরাতকে বাংলাদেশ হারাল ১৯৫ রানের বড় ব্যবধানে। আসরের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক আশিকুর রহমান শিবলির সেঞ্চুরিতে ভর করে বাংলাদেশ তুলেছিল ২৮৩ রান। জবাবে আরব আমিরাত অলআউট হয়ে গেছে মাত্র ৮৭ রানে।

    গ্রুপপর্বেও আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৬০ রানে বড় জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে হারিয়েছে টুর্নামেন্টে রেকর্ড আট বারের শিরোপাজয়ী ভারতকে। আসরজুড়ে অপরাজিত থেকে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে ছিল জুনিয়র টাইগাররা। ফাইনালে সেই আমেজটা টাইগাররা ধরে রাখল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। একপেশে ফাইনালে কোনো সুযোগই তারা দেয়নি প্রতিপক্ষ আরব আমিরাতকে।

    শুরুতে ছিল আশিকুর রহমান শিবলীর ১২৯ রানের ম্যারাথন এক ইনিংস। তাকে সঙ্গ দিয়েছিলেন চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং আরিফুল ইসলাম। একজনের রান ৬০, আরেকজন করেছেন ৫০। এরপর বল হাতে গতি আর সুইংয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেছেন রোহানাত দৌলা বর্ষণ-মারুফ মৃধারা। বর্ষণ নিয়েছেন তিন উইকেট। দুই উইকেট নিয়ে জয়ের মিছিলে শামিল হয়েছেন আরেক পেসার ইকবাল হোসাইন ইমন।

    ২৮৩ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে কোনো পর্যায়েই সুবিধা করতে পারেনি আরব আমিরাতের ছেলেরা। ইনিংসের প্রথম বলটা চার মেরে শুরু করলেও টাইগার পেসারদের সামনে অসহায় হয়েই থাকতে হয়েছে তাদের। অর্জুন শর্মাকে সাজঘরে ফেরান এই টুর্নামেন্টে তারকা হয়ে ওঠা পেসার মারুফ মৃধা। দলের রান তখন ১২। দলীয় ২৮ রানের সময় আবারও তার আঘাত। এবার ফিরলেন অক্ষত রাই।

    ৩৫ থেকে ৪৫, ১০ রানের ব্যবধানে আরও তিন উইকেট হারায় আরব আমিরাত। তিনবারই বাংলাদেশের নায়ক বর্ষণ। তার ইনসুইং আর আউটসুইংয়ে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে স্বাগতিকদের মিডল অর্ডার। ৪৫ রানে পঞ্চম উইকেটের পরেই বরং কিছুটা প্রতিরোধ দেখায় দলটি। ধ্রুব পরশহার এবং ইয়ায়িন রাই মিলে ১৬ রান যোগ করেন। এজন্য দুজনে খেলেছেন ৫ ওভারের বেশি।

    তাদের সেই জুটি ভেঙেছেন ইমন। পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ একেবারেই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন এই পেসার। ৬১ রানে পতন ঘটে ৭ম উইকেটের। এরপর ৭১ রানে হার্দিক পাইকে ফেরান স্পিনার জীবন। আর ৭২ রানে মারুফের বলে আউট হন আইমান আহমেদ। বাংলাদেশের জয় তখন ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার।

    শেষ উইকেটের জন্য খানিক সংগ্রাম করতে হয়েছে টাইগার বোলারদের। ধ্রুব প্রতিরোধ করতে চেয়েছেন ১১তে নামা অমিদ রহমানকে সঙ্গে নিয়ে। সেখানে এসেছে আরও কিছু রান। তবে তাতে ম্যাচের গল্প বদলানো যায়নি। আরব আমিরাত আউট হয় ৮৭ রানে। বাংলাদেশ হয়ে যায় যুব এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন।

    এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুতে উইকেট হারালেও খুব বেশি সমস্যায় পড়তে হয়নি তাদের। দলীয় ১৪ রানের মাথায় জিশানের উইকেট বাংলাদেশের জন্য পরিস্থিতি খানিক কঠিন করলেও সেখান থেকে দ্রুতই ঘুরে দাঁড়ায় জুনিয়র টাইগাররা।

    চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ১২৫ রানের বড় এক পার্টনারশিপ গড়েন ফর্মের তুঙ্গে থাকা শিবলী। দুজনের এই জুটিই অনেকটা এগিয়ে দেয় বাংলাদেশকে। দুজনেই রান তুলেছেন সাবলীল ভঙ্গিতে। ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন দুজনেই। সবকিছু যখন ছিল ঠিকঠাক, তখনই আঘাত আসে টাইগার শিবিরে। ৬০ রান করে ফিরে যান রিজওয়ান।

    এরপরে ক্রিজে এসেই ঝড় তুলেছেন আরিফুল ইসলাম। শিবলীর সঙ্গে তার জুটি ছিল ৮৬ রানের। এরমাঝে ৫০ রান একাই তুলেছিলেন আরিফুল। ৩৯ বলে পেয়েছেন ফিফটির দেখা। একইসঙ্গে শতকের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেছিলেন শিবলী। টুর্নামেন্টে এটি তার দ্বিতীয় শতক।

    আরিফুল অবশ্য আউট হয়েছেন ফিফটির পরের বলেই। এরপর খানিক ধুঁকেছে বাংলাদেশ। আহরার আমিন এবং মোহাম্মদ শিহাব দুজনেই আউট হয়েছেন দ্রুত। তবে শেষদিকে দ্রুতগতির এক কার্যকরী ইনিংস উপহার দিয়েছেন অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। ১০ বলে ২১ রান করে দলের ইনিংসে রেখেছেন কার্যকরী ভূমিকা। তবে অবিচল ছিলেন শিবলী। নিজের ইনিংসটা টেনে নিয়েছেন ১২৯ পর্যন্ত। বাংলাদেশও তাতে পেয়েছে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পুঁজি।

  • বলিউডে প্রথমবারের মত অভিনয় করছেন মাইক টাইসন

    বলিউডে প্রথমবারের মত অভিনয় করছেন মাইক টাইসন

    বলিউডে অভিষেক করতে চলেছেন খ্যাতিমান বক্সিং চ্যাম্পিয়ন মাইক টাইসন। তিনি তেলেগু তারকা বিজয় দেভেরাকোন্ডার সঙ্গে ‘লাইগার’ সিনেমায় অভিনয় করবেন।

    ধর্মা প্রোডাকশনের অধীনে করণ জোহর প্রযোজিত এই সিনেমাতে আরও অভিনয় করবেন অনন্যা পান্ডে।

    জোহর সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সিনেমাতে টাইসনের সম্পৃক্ততার খবর ঘোষণা করেন।

    টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘প্রথমবারের মতো, রিংয়ের রাজাকে ভারতীয় সিনেমার বড় পর্দায় দেখা যাবে! মাইক টাইসনকে ‘লাইগার’ দলে স্বাগত জানাই!’

    দেভেরাকোন্ডাও তার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টার দিয়ে ঘোষণা দিয়েছেন। যেখানে দেখা গেছে যে, তার অর্ধেক মুখ টাইসনের সঙ্গে মিশে গেছে।

    তিনি আরো বলছেন, “আমরা আপনাদের বড় ধামাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম! আমরা সবেমাত্র শুরু করছি। প্রথমবারের মতন ভারতীয় পর্দায় অভিনয় করতে চলেছেন বক্সিং এর ঈশ্বর। কিংবদন্তি, সেরা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ! আয়রন মাইক টাইসন।’

    যদিও সিনেমায় টাইসন কোন চরিত্রে অভিনয় করবেন তা প্রকাশ করা হয়নি, তবে টিজার ভিডিওটি ইঙ্গিত দেয় যে সিনেমাতে দেবরাকোন্ডা এবং টাইসনের মধ্যে একটি বড় মুখোমুখি হবে।

    এন-কে

  • বোয়ালখালীতে এএনএফএল ব্যাডমিন্টন টূর্ণামেন্ট চ্যাম্পিয়ন চৌধুরী ফাউন্ডেশন

    বোয়ালখালীতে এএনএফএল ব্যাডমিন্টন টূর্ণামেন্ট চ্যাম্পিয়ন চৌধুরী ফাউন্ডেশন

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে মুজিববর্ষ উপলক্ষে আলহাজ্ব এম. এ হাশেম ফাউন্ডেশন আয়োজিত এএনএফএল ব্যাডমিন্টন টূর্ণামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চৌধুরী ফাউন্ডেশন।

    শুক্রবার (১৫ জানুয়ারী) রাতে উপজেলার গোমদন্ডী ফুলতলে আয়োজিত টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় বেলাল ড্রাগসকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে চৌধুরী ফাউন্ডশন।

    এ টূর্ণামেন্টে ২০টি দল অংশ নেয়। এর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ফাইনালে উঠে আসে চৌধুরী ফাউন্ডেশন ও বেলাল ড্রাগস। টুর্নামেন্টে বেলাল ড্রাগস রানার্স আপ ও ৩য় স্থান অধিকার করে রায়হান জুটি। ম্যান অব দ্যা টূর্ণামেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন মো. শফিক। খেলা পরিচালনা করেছেন হেলাল উদ্দিন টিপু, এসএম জসিম উদ্দিন ও মো. জাহাঙ্গীর আলম।

    ফাইনাল খেলা শেষে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. জহুরুল ইসলাম জহুরের সভাপতিত্বে পুরুস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন ট্রপি তুলে দেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমদ।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আছিয়া খাতুন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোজাম্মেল হক চৌধুরী, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল করিম, বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম, জেলা ফুটবল এসোসিশনের সভাপতি এস. এম শহিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বোরহান উদ্দিন মো. এমরান, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আবদুল কাদের সুজন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শাহনেওয়াজ হায়দার শাহীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন।

    ২৪ ঘণ্টা/পূজন

  • কিংবদন্তী ব্যাডমিন্টন ফেস্টিভ্যাল এর চ্যাম্পিয়ন “ওল্ড ইজ গোল্ড শার্টলারস”

    কিংবদন্তী ব্যাডমিন্টন ফেস্টিভ্যাল এর চ্যাম্পিয়ন “ওল্ড ইজ গোল্ড শার্টলারস”

    বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন এর গ্রাউন্ডে এসএসসি ২০০০ ও এইচএসসি ২০০২ ব্যাচের গ্রুপ “আমরাই কিংবদন্তী” এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্ট এ পুরুষ ডাবল’স এ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে “ওল্ড ইজ গোল্ড শার্টলারস” ও কাপল ডাবল’স এ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে “ডাবল ট্রাবল”।

    আয়োজনে পুরুষ ডাবল’স এ ১৬ টি দল অংশগ্রহণ করে এবং কাপল ডাবল’স এ ৫ টি দল অংশগ্রহণ করে।

    নতুন বছরকে উৎসব মুখর করতে এবং এসএসসি ২০০০ ও এইচএসসি ২০০২ ব্যাচ এর বন্ধুদেরকে সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়।

    কিংবদন্তী ব্যাডমিন্টন ফেস্টিভ্যাল এ কাপল ডাবলস

    আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন ইয়ারা গ্রুপ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাফিন ইয়ারা; বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউল হক জুয়েল এবং “আমরাই কিংবদন্তী” গ্রুপের এডমিন নাজমুল হোসেন।

    “মানবতার কল্যানে কিংবদন্তী সবখানে” এই নীতিকথা থেকে এই অনলাইন গ্রুপটি আগামীর পথে অগ্রসর হচ্ছে।

  • বঙ্গবন্ধু টি-২০’র চ্যাম্পিয়ন খুলনা

    বঙ্গবন্ধু টি-২০’র চ্যাম্পিয়ন খুলনা

    বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ ২০২০ এ গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে হারিয়ে আসরে শিরোপা জিতল জেমকন খুলনা। আগে ব্যাটিং করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ১৫৫ রান সংগ্রহ করে জেমকন খুলনা। জবাবে ১৫০ এ থামে চট্টগ্রাম। ৫ রানের জয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো খুলনা।

    শিরোপার জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে চার ও ছক্কা মেরে ভালো শুরু করেন চট্টগ্রামে লিটন দাস ও সৌম্য সরকার; তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। শুভাগত হোম রান তোলার গতিতে লাগাম টানার সাথে সাথে উইকেটও শিকার করেন। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই সৌম্যকে বোল্ড করেন তিনি। ওই ওভারেই ইমরুল কায়েস ক্যাচ ফেলাই জীবন পেয়েছিলেন সৌম্য।

    নিজের প্রথম ওভারে এসে আল আমিন হোসেন দুর্দান্ত পেসে নাকাল করেন মোহাম্মদ মিঠুনকে। চট্টগ্রামের অধিনায়ক ফেরেন ৭ রানে (৫ বল)। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিং করা লিটন রান আউট হন ২৩ রানে (২৩ বল)। ৫১ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে চট্টগ্রাম।

    শামসুর রহমান শুভ ও সৈকত আলির ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ বের করে নেওয়ার পথে থাকে চট্টগ্রাম। সেই সময়েই মাত্র ৩ রানের এক দুর্দান্ত ওভার করে আল আমিন চট্টগ্রামকে চাপে ফেলে। ফলশ্রুতিতে পরে ওভারেই হাসান মাহমুদকে মেরে খেলতে গিয়ে লং অনে শুভাগতর তালুবন্দী হন শামসুর। ৩ চারে ২১ বলে ২৩ রান করেন তিনি।

    বেশ কিছু ক্যাচ হাতছাড়া করে খুলনার ফিল্ডাররা নিজেদের কঠিন ও সেই সাথে ম্যাচ জমিয়ে উঠতে সাহায্য করেন। শামসুর ফেরার পরে মোসাদ্দেক হোসেনের সাথে জুটি গড়েন সৈকত। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে। ৪১ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি।

    জয়ের জন্য শেষ ওভারে চট্টগ্রামের দরকার ছিল ১৬ রান। প্রথম দুই বলে ৩ রান দেওয়ার পরে টানা দুই বলে মোসাদ্দেক ও সৈকতের উইকেট শিকার করে হ্যাটট্রিকের আশা জাগান শহিদুল ইসলাম। শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়েই ওভার সম্পন্ন করেন এই পেসার। ৫ রানের জয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো জেমকন খুলনা।

    তার আগে টস হেরে ব্যাটিং করে খুলনা। শুরুতেই জহুরুল ইসলাম ও ইমরুল কায়েসের উইকেট হারায় দলটি। দুইটি উইকেটই শিকার করেন ডানহাতি স্পিনার নাহিদুল ইসলাম। ভালো খেলতে থাকা জাকির হাসান ২০ বলে ২৫ রান করে সহজ ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন।

    চতুর্থ উইকেটে ৪০ রানের জুটি গড়েন আরিফুল হক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২৩ বলে ২১ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলে আউট হন আরিফুল। শুভাগত হোম ১২ বলে ১৫ রান করে ফেরেন শরিফুল ইসলামের শিকার হয়ে।

    খুলনার পক্ষে একাই লড়াই করেছিলেন অধিনায়ক রিয়াদ। সপ্তম ওভারে নেমে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলেন তিনি। টুর্নামেন্টে নিজের সর্বোচ্চ ৭০ রান করেন খুলনার অধিনায়ক। তার ৪৮ বলের অপরাজিত ইনিংসটি সাজান ছিল ৬টি চার ও ২টি ছক্কায়।

    নির্ধারিত ২০ ওভারে খুলনা পেয়েছিল ১৫৫ রানের সংগ্রহ। চট্টগ্রামের পক্ষে নাহিদুল ও শরিফুল ২টি করে উইকেট শিকার করেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    জেমকন খুলনা ১৫৫/৭ (২০ ওভার)
    রিয়াদ ৭০*, জাকির ২৫, আরিফুল ২১, শুভাগত ১৫, ইমরুল ৮, মাশরাফি ৫;
    নাহিদুল ২/১৯, শরিফুল ২/৩৩, মোসাদ্দেক ১/২০, মুস্তাফিজ ১/২৪।

    গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ১৫০/৬ (২০ ওভার)
    সৈকত ৫৩, শামসুর ২৩, লিটন ২৩;
    শহিদুল ২/৩৩, শুভাগত ১/৮, আল আমিন ১/১৮।

    ফলাফল : ৫ রানের জয়ে চ্যাম্পিয়ন জেমকন খুলনা।

    ম্যাচসেরা: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (জেমকন খুলনা)।

  • সীতাকুণ্ডে মরহুম বদিউল আলম স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবলে গোলাবাড়িয়া ফুটবল ক্লাব চ্যাম্পিয়ন

    সীতাকুণ্ডে মরহুম বদিউল আলম স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবলে গোলাবাড়িয়া ফুটবল ক্লাব চ্যাম্পিয়ন

    কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় ও সীতাকুণ্ড বদিউল আলম মার্কেটের স্বত্বধিকারী মরহুম বদিউল আলম স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আজ শুক্রবার বিকালে সীতাকুণ্ড সরকারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উক্ত ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। মাসব্যাপী এ টুর্নামেন্টে ৩২ টি দল অংশ নেয়। ফাইনাল খেলায় বাঁশবাড়িয়া ফুটবল একাদশকে ১-০ গোলে হারিয়ে গোলাবাড়িয়া ফুটবল ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

    ফাইনাল খেলায় প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল বাকের ভুইয়ার সহধর্মীনী সীতাকুণ্ড মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী সুরাইয়া বাকের। বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মরহুম বদিউল আলমের পুত্র মোঃ সেলিম, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সেক্টেটারী প্রদীপ ভট্টচার্য, পৌর কাউন্সিলর দিদারুল আলম এ্যাপোলো, ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মোঃ কামাল উদ্দিন, সীতাকুণ্ড নাগরিক অধিকার অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সদস্য সচিব লায়ন মোঃ গিয়াস উদ্দিন, সীতাকুণ্ড সমিতি চট্টগ্রাম সহ-সভাপতি লায়ন কাজী আলী আকবর জাসেদ, সামাজিক সংগঠন দিশারীর চেয়ারম্যান লায়ন এড.সালাউদ্দিন লাভলু, মাসুদুল আলম মাসুদ, ক্রীড়া সংগঠক ফজলে এলাহী পায়েল, আওয়ামীলীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলমসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

  • লা লিগা চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ

    লা লিগা চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ

    মঞ্চটা প্রস্তুতই ছিলো। অপেক্ষা ছিলো রিয়াল মাদ্রিদের শিরোপা হাতে নেয়ার আনুষ্ঠানিকতা। ঘরের মাঠে ভিয়ারিয়ালকে হারাতে কোন ভুল করেনি সার্জিও রামোসের দল। যার ফলে দুই বছর পর স্প্যানিশ লা লিগার শিরোপা জিতে নিয়েছে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা।

    বৃহস্পতিবার রাতে রিয়ালের সমীকরণটা ছিলো জিতলে আজই নিশ্চিত শিরোপা, হারলে বা ড্র করলে অপেক্ষা করতে হবে রোববার রাতের ম্যাচের। দ্বিতীয় কোন পথের জন্য অপেক্ষা করেনি স্পেনের সফলতম ক্লাবটি। ভিয়ারিয়ালকে ২-১ গোলে হারিয়েই নিজেদের ৩৪তম লিগ শিরোপা নিশ্চিত করেছে রিয়াল মাদ্রিদ।

    স্পেনের সফলতম ক্লাব তারা আগেই ছিল। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার (২৬) চেয়ে ৭টি বেশি লিগ শিরোপা জেতা ছিল তাদের। চলতি মৌসুমের লা লিগা জিতে ব্যবধানটা আরও বাড়িয়ে নিল লস ব্লাঙ্কোসরা।

    ঘরের মাঠে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচে শুরু থেকেই জয়ের জন্য বাড়তি উদ্যমী দেখা যায় রিয়ালকে। মিনিট দশেকের মধ্যেই তৈরি করে দুইটি দারুণ সুযোগ। তবে কাজে লাগাতে পারেনি সেগুলো। ফলে পাওয়া হয়নি গোল, বাড়তে থাকে অপেক্ষা।

    সেই অপেক্ষা বেশি বাড়তে দেননি ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা। ম্যাচের ২৯ মিনিটে লুকা মদ্রিচের পাস থেকে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে চলতি লিগে নিজের ২০তম গোলটি করেন এ ফরাসি তারকা। পরে তার পা থেকেই আসে জয়সূচক গোলটিও।

    ম্যাচের ৭৭ মিনিটের সময় করা গোলটি ছিল ঘটনাবহুল। ডি-বক্সের মধ্যে রামোস ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় রিয়াল। স্বভাবতই শট নিতে এগিয়ে যান রামোস। তবে তিনি গোলবারে না মেরে আলতো টোকায় পাস বাড়িয়ে দেন বেনজেমার উদ্দেশ্যে, সেটি জালেও জড়ান বেনজেমা।

    কিন্তু প্রতিপক্ষের আপত্তির মুখে বাতিল হয়ে যায় গোলটি। কেননা রামোস শট করার আগে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন বেনজেমা। ফলে আবার নিতে হয় পেনাল্টি শট। এবার স্পটকিক নেন বেনজেমা নিজেই। লিগে নিজের ২১তম গোলের মাধ্যমে দলের জয়টাও একপ্রকার নিশ্চিত করে ফেলেন তিনি।

    তবে ম্যাচের শেষদিকে উজ্জীবিত ফুটবল খেলতে শুরু করে ভিয়ারিয়াল। ৮৩ মিনিটের সময় একটি গোল শোধ করেন ভিসেন্তে ইবোরা। এর মিনিট পাঁচেক পর জোড়া সুযোগ নষ্ট করে তারা। না হয় বাড়তে পারতো রিয়ালের শিরোপার অপেক্ষা। তা হয়নি। ফলে ম্যাচ শেষে শিরোপা উল্লাসে মাতে স্পেনের রাজধানীর ক্লাবটি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাডমিন্টনে চ্যাম্পিয়ন পরিসংখ্যান বিভাগ

    কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাডমিন্টনে চ্যাম্পিয়ন পরিসংখ্যান বিভাগ

    কুবি প্রতিনিধি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আন্তঃবিভাগ ব্যাডমিন্টন (ছাত্রী) প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পরিসংখ্যান বিভাগ। বুধবার (৪ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাডমিন্টন কোর্টে ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে প্রথম রানার-আপ হয়েছে ইংরেজি বিভাগ এবং দ্বিতীয় রানার-আপ হয়েছে লোকপ্রশাসন বিভাগ।

    পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ড. মো. শামিমুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী।

    এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. রশিদুল ইসলাম শেখ, সাধারণ সম্পাদক ড. স্বপন চন্দ্র মজুমদার এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক কিছুর চাহিদা রয়েছে। কিন্তু আমাদের রিসোর্স কম। প্রশাসন কে কাজ করতে দিতে হবে।’

  • সীতাকুণ্ডে ফুলতলা প্রিমিয়ার লীগ ক্রিকেটে এন.ইউ স্টার চ্যাম্পিয়ন

    সীতাকুণ্ডে ফুলতলা প্রিমিয়ার লীগ ক্রিকেটে এন.ইউ স্টার চ্যাম্পিয়ন

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডে ফুলতলা প্রিমিয়ার লীগ নাইট শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে।

    সামাজিক সংগঠন সুকৃতি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে মাসব্যাপী উক্ত ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ২৪ টি দল অংশ নেয়।

    শনিবার সন্ধ্যায় উক্ত ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা দিদারুল আলম চৌধুরী বাড়ির মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় এন ইউ স্টার ক্রিকেট দল এফ সি সি একাদশ ফুলতলাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।

    উক্ত ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৮ নং সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির আহমেদ।

    সুকৃতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি সফিউর গাউস চৌধুরী মামুনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ দিদারুল আলম চৌধুরী, সাংবাদিক কামরুল ইসলাম দুলু, ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আজম, মোঃ নজরুল করিম চৌধুরী, সোনাইছড়ি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক অহিদুল আলম চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম, মোঃ মহিউদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির আহবায়ক মোঃ কোরবান আলী, যুগ্ন আহবায়ক মিলন চৌধুরী, সদস্য সচিব মোহাম্মদ রকি প্রমুখ।

    খেলায় চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের খেলোয়াড়দের হাতে ট্রফি ও নগদ প্রাইজমানি তুলে দেন প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ।

  • বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী

    বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী

    বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সপ্তম আসর বঙ্গবন্ধু বিপিএলের নতুন চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী। ফাইনালে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন খুলনা টাইগারর্সকে ২১ রানে হারিয়ে বিপিএল প্রথম শিরোপা ঘরে তুলে আন্দ্রে রাসেলের রাজশাহী রয়ালস।

    এর আগে ২০১৬ সালে ফাইনালে উঠে ঢাকা ডায়নামাইটের বিপক্ষে হেরে শিরোপ বঞ্চিত হয়েছিল রাজশাহী।তবে এবার আর হতাশ হতে হয়নি। শিরোপা নিয়েই বাড়ি ফিরেছে আন্দ্রে রাসেলের নেতৃত্বাধীন দলটি।

    শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে রাজশাহী। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন ইরফান শুক্কর। ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে ২০ বলে ৪১ রান করেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ নওয়াজ। ১৬ বলে ২৭ রান করেন আন্দ্রে রাসেল।

    বিপিএল প্রথম শিরোপা জয়ের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১১ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যাওয়া দলকে খেলায় ফেরাতে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন শামসুর রহমান শুভ। তৃতীয় উকেটে রাইলি রুশোর সঙ্গে গড়েন ৭৪ রানের জুটি।

    ২ উইকেটে ৮৫ রান করা খুলনা এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শিরোপা জয়ের লড়াই থেকে ছিটকে যায়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন শামসুর রহমান শুভ। তার ইনিংসটি ৪৩ বলে ৪টি চার ও দুটি ছক্কায় সাজানো। এছাড়া ৩৭ রান করেন রুশো। ২১ রান করে ফেরেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

    এর আগেআন্দ্রে রাসেল ও মোহাম্মদ নওয়াজের ব্যাটিং ঝড়ে বিপিএল ফাইনালে ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে রাজশাহী রয়েলস। ইনিংসের প্রথম ১৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১০০ রান করা রাজশাহী পরের ৫ ওভারে তুলে নেয় ৭০ রান।

    শেষ ৩০ বলে অবিচ্ছিন্ন ৭১ রানের জুটি গড়ে দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর উপহার দেন রাসেল ও নওয়াজ। তাদের দায়িত্বশীলতায় লড়াই করার মতো পুঁপি পায় রাজশাহী। মাত্র ১৬ বল খেলে ৩টি ছক্কায় ২৭ রান করেন রাসেল। আর ২০ বল খেলে ৬টি চার ও দুই ছক্কায় ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন নওয়াজ।

    শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে যায় রাজশাহী। দলীয় মাত্র ১৪ রানে ওপেনার আফিফ হোসেনের উইকেট হারায় তারা।

    তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার লিটন দাসের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়েন ইরফান শুক্কর। দলীয় ৬৩ রানে ফেরেন জাতীয় দলের তারকা ওপেনার লিটন দাস। তার আগে ২৮ বলে এক চার ও এক ছক্কায় করেন ২৫ রান।

    ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন ইরফান শুক্কর। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩২ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। ঘরোয়া লিগের এ তারকা ক্রিকেটার আগের ম্যাচেও অসাধারণ ব্যাটিং করেছিলেন। ফাইনাল নিশ্চিত করার ম্যাচে খেলেছিলেন ৪৫ রানের ইনিংস।

    শুক্রবার দলীয় ৯৯ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন ইরফান শুক্কর। তার আগে ৩৫ বলে ৬টি চার ও দুই ছক্কায় খেলেন ৫২ রানের ঝকঝকে ইনিংস।

    ইরফান আউট হওয়ার পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল ও মোহাম্মদ নওয়াজ। পাকিস্তান ব্যাটসম্যান নওয়াজকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংসের শেষ দিকে রীতিমতো তাণ্ডব চালান রাজশাহীর ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    রাজশাহী রয়েলস: ২০ ওভারে ১৭০/৪ (ইরফান ৫২, নওয়াজ ৪১*, রাসেল ২৭*, লিটন ২৫, আফিফ ১০, শোয়েব মালিক ৯; আমির ২/৩৫)।

    খুলনা টাইগার্স: ২০ ওভারে ১৪৯/৮ (শামসুর রহমান ৫২, রুশো ৩৭, মুশফিক ২১; ইরফান ২/১৮, কামরুল ইসলাম ২/২৯, আন্দ্রে রাসেল ২/৩২)।

    ফল: রাজশাহী রয়েলস ২১ রানে জয়ী।