Tag: ছাত্রলীগ

  • রাবিতে সাইকেল চুরি করে বিক্রি করে দিল ছাত্রলীগ কর্মী

    রাবিতে সাইকেল চুরি করে বিক্রি করে দিল ছাত্রলীগ কর্মী

    রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মাদার বখশ্ হল থেকে চুরি হয় একটি সাইকেল। আর সেই চুরির ঘটনায় ক্যাম্পাদের ছাত্রলীগ কর্মী বিজয় কৃষ্ণ বণিক জড়িত বলে প্রমাণ পেয়েছেন হল প্রশাসন।

    ছাত্রলীগ কর্মী বিজয় কৃষ্ণ বণিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থী হয়েও ২১৭ নম্বর কক্ষে থাকেন।

    গত শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের প্রথম ব্লকের ১০২ নম্বর কক্ষের সামনে থেকে শিক্ষার্থী তরিকুল রহমান তারেকের সাইকেল চুরি হয়।

    ওইদিনই সাইকেল চুরি যাওয়ার ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন তারেক।

    সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার রাতে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চোরকে সনাক্ত করে হল প্রশাসন।

    হল প্রশাসন জানিয়েছে, শিমুল আহমেদ নামে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেহেরচন্ডী এলাকায় এক বাসিন্দা সাইকেলটি চুরি করেছেন। তিনি বহিরাগত।

    এরপরই অভিযুক্ত চোরকে মতিহার থানা পুলিশের কাছে তুলে দেয় হল প্রশাসন।

    ফুটেজে দেখা যায়, শনিবার দুপুর ১২টা ৫৭মিনিটে বিজয় ও ‘চোর’ শিমুল হলের প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করেন। এরপর তারা দুজনে একসঙ্গে হেঁটে ওয়াশরুমে যায়। মাত্র এক মিনিট পরে একসঙ্গেই ওয়াশরুম থেকে ফিরে আসে দুজন। ১০২ নং কক্ষের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ‘চোরকে ’সেই কক্ষের সামনে রাখা সাইকেলটি দেখিয়ে দেয় বিজয়।

    আবার দুপুর ১টা ১মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে সেই চোরের সঙ্গে দেখা যায় ছাত্রলীগ কর্মী বিজয়কে।
    ফুটেজে দেখা যায়, তারা দুজনে হলে প্রবেশ করে। এসময় বিজয় হলের গেস্টরুমে প্রবেশ করার পর পর শিমুল সাইকেলে চড়ে বসেন এবং এটি চালিয়ে দ্রুত হল থেকে বেরিয়ে যান।

    এদিকে আটক শিমুলকে জিজ্ঞাসাবাদে চুরির সঙ্গে বিজয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি।

    এ বিষয়ে হলের আবাসিক শিক্ষক কাজী জাহিদুর রহমান বলেন, বহিরাগত শিমুল আহমেদকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী বিজয় কৃষ্ণ বণিক সাইকেলটি চুরি করেছে। চুরির পর সাইকেলটিকে এক হাজার ছয়শ টাকায় বিক্রয় করেছে বলে স্বীকার করেছে তারা। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

  • বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ছাত্রলীগ প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে: ফারাজ করিম

    বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ছাত্রলীগ প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে: ফারাজ করিম

    নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান : বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দক্ষিণ রাউজান ছাত্রলীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা, শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঙ্গগলবার (১৪ জানুয়ারি) নোয়াপাড়া পথেরহাটস্থ ভারতশ্বরী প্লাজা চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্য নির্বাহী সদস্য, উদীয়মান রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক ফারাজ করিম চৌধুরী।

    দ. রাউজান ছাত্রলীগের সভাপতি ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সালাউদ্দিনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পূর্ব গুজরা ইউপি চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, বাগোয়ান ইউপি চেয়ারম্যান ভূপেষ বড়ুয়া, পশ্চিম গুজরা ইউপি চেয়ারম্যান লায়ন সাহাব উদ্দিন আরিফ, উরকিরচর ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়্যদ আব্দুল জব্বার সোহেল, পাহাড়তলী ইউপি চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিন, কদলপুর ইউপি চেয়াম্যান তসলিম উদ্দিন চৌধুরী। অতিথি ছিলেন সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের উপদেষ্টা স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের পরিচালক এস এ এম হোসাইন, আজমান বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি সেলিম চৌধুরী, দক্ষিণ রাউজান পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ম্যালকম চক্রবর্তী।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফারাজ করিম চৌধুরী বলেন, ছাত্রলীগ দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। এই সংগঠনটি বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ছাত্রলীগ প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। মেধাবী নেতৃত্বের মাধ্যমে ছাত্রলীগকে মাদকমুক্ত, সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে আরো অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।

    অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগ,যুবলীগ ও দক্ষিণ রাউজান ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দক্ষিণ রাউজানের আওতাধীন সাতটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি, আহবায়ক, ইমাম গাজ্জালী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও নোয়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিগণ বক্তব্য রাখেন।

    পরে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নেতৃবৃন্দদের নিয়ে কেক কাটেন ফারাজ করিম চৌধুরী।

    প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ত্রিশজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে শিক্ষা উপরকরণ দেওয়া হয়। বিকেলে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

  • শিক্ষার্থীদের ব্যায়ামাগার ‘পাহারা দেয়’ কুবি ছাত্রলীগ!

    শিক্ষার্থীদের ব্যায়ামাগার ‘পাহারা দেয়’ কুবি ছাত্রলীগ!

    কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যায়ামাগার এখন অনেকটাই শাখা ছাত্রলীগের অঘোষিত ‘দলীয় কার্যালয়’।

    বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সরাসরি কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় নিজেদের ইচ্ছেমতো খুলে এখানে বসেই নিয়মিত সাংগঠনিক কার্যক্রম চালান শাখা ছাত্রলীগের নেতারা।

    তবে দলীয় অফিস নয়, বরং ব্যায়ামাগারটি রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিয়মিত পাহারা দিয়ে দেখভাল করেন বলে দাবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতির। যদিও ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যোগদানের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পূর্বে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এটিকে ‘দলীয় কার্যালয়’ বলেই উল্লেখ করেছিলেন।

    জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের উত্তরপাশে অবস্থিত ব্যায়ামাগারটি উদ্বোধন করেন। প্রায় ৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ব্যয়ে ১৭টি ব্যায়ামের যন্ত্র কেনা হয় ব্যায়ামাগারটিতে।

    কিন্তু উদ্বোধনের কিছুদিন পরই শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ব্যায়ামাগারটিতে নিজেদের দলীয় স্টিকার সম্বলিত টেবিল এবং চেয়ার ঢোকালে ব্যায়ামের জায়গা আরও সংকীর্ণ হয়ে পড়ে।

    ব্যায়ামাগারটি পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখা যায়, ব্যায়ামাগারের একপাশে ছাত্রলীগ নেতাদের বসার জন্য চেয়ার-টেবিল পাতা, শাখা ছাত্রলীগের পদধারী কয়েকজন ব্যায়ামাগারের ভেতর বসিয়েছেন আড্ডা, চলে ধূমপানও।

    ব্যায়ামাগারে চেয়ার-টেবিল পেতে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানোয় ব্যায়ামাগারের জায়গা সংকীর্ণ হয়ে এসেছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। পাশাপাশি ব্যায়ামাগারে আসতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন বলেও অভিযোগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের।

    ব্যায়ামাগারের সুবিধাবঞ্চিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম ইনজামাম জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি একটি ব্যায়ামাগার খোলা হলেও সেখানে প্রশাসনের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ নেই। পর্যাপ্ত জায়গাও নেই ব্যায়ামাগারে। কুবির ব্যায়ামাগার একটি নামমাত্র প্রতিষ্ঠান।’

    এদিকে অভিযোগ উঠেছে ব্যায়ামগারটি প্রায়শই তালাবদ্ধ থাকে। যার চাবি থাকে শুধুমাত্র শাখা ছাত্রলীগ নেতাদের কাছেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের কারও হাতে নেই এর চাবি বা নিয়ন্ত্রণ।

    এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শারীরিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক মনিরুল আলম বলেন, ‘প্রশাসন থেকে ব্যায়ামাগার পরিচালনার কোনো নির্দেশনা বা কোনো চাবি আমাকে দেওয়া হয়নি। আমাকে শুধুমাত্র এর জিনিসপত্র কেনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো এবং আমি বাজেটের আলোকে তা কিনে দিয়েছি। বাদবাকি কে কিভাবে ব্যায়ামাগার চালাচ্ছে আমার জানা নেই।’

    এমন অবস্থায়, ছাত্রলীগ নেতাদের ইচ্ছামতো এটি খোলা এবং বন্ধ করা হয়। প্রায় সময়ই নেতারা ভেতরে বসে আড্ডা দেন, এবং দলীয় কার্যক্রম করে থাকেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। গত ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং গত ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ব্যায়ামাগারের সামনে জাতীয় পতাকার পাশাপাশি ছাত্রলীগের দলীয় পতাকা উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকতা পালন করে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি থেকে শুরু করে অনেক নেতাকর্মীকে ব্যায়ামাগারটিকে ‘দলীয় কার্যালয়’ উল্লেখ করে প্রচার করতে দেখা গেছে।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের এক শিক্ষার্থী জানান, ‘এমনিতেই গাদাগাদি এবং তার উপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতাদের ব্যায়ামাগারে কর্তৃত্ব দেখে আর ওখানে যাওয়ার আগ্রহ হয় নাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যায়ামাগার কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের অফিস কিভাবে হয় তা আমার বোধগম্য নয়।’

    উপর্যুক্ত অভিযোগ অস্বীকার করে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, ‘এটা আসলে আমাদের অফিস না, বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়ামও (ব্যায়ামাগার) না। আমরা কিছু ছেলে আবেদন করে জিমের কিছু জিনিসপত্র আনিয়েছি প্রশাসন থেকে। এটা মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ রাস্তার কাজের লোকদের লেবার শেড হিসেবে তৈরি হয়েছিল। পরে আমরা এটাকে জিম করে দিতে বলেছি। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই আসে, খেলে, ব্যায়াম করে আর আমরা এটা পর্যায়ক্রমে নিজেদের ছেলেদের দিয়ে পাহারা দিয়ে রাখি। না হয় জিমের জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাবে।’

    ব্যায়ামাগারের জিনিসপত্র পাহারার দায়িত্ব ছাত্রলীগের কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর জন্য লোক দেয় না বলেই আমরা এটা নিজেরা পাহারা দেই। এটি বাংলাদেশের একমাত্র জিমনেশিয়াম যেটা আমাদের পাহারা দেওয়ার জন্য এর কোনো জিনিস হারায়নি। প্রশাসনের লোক না থাকায় আমরা নিজেরা নিজেদের জিনিস দেখে রাখছি।’

    যখন-তখন ব্যায়ামাগার বন্ধ করে রাখেন এবং খুলেন, এতে করে শিক্ষার্থীরা কিভাবে ব্যায়াম করতে পারে?- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি একইসুরে জানান, ‘আমরা ২৪ ঘন্টা খুলে দিয়ে চলে গেলে তো জিনিসপত্র চুরি যাবে।’

    বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের এ বিষয়ে বলেন, ‘ব্যায়ামাগারকে ছাত্রলীগ তাদের অফিস হিসেবে ব্যবহার করতে পারে না। এটা শারিরীক শিক্ষা দপ্তরের দায়িত্বে থাকবে। ব্যায়ামাগার বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর এবং এটি সবাই ব্যবহার করবে সমভাবে। এর ব্যত্যয় হয়ে থাকলে আমরা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবো।’

  • মোছলেম উদ্দীনের পক্ষে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জহিরের প্রচারনা

    মোছলেম উদ্দীনের পক্ষে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জহিরের প্রচারনা

    চট্টগ্রাম ৮ আসনের নৌকার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দীন আহমেদের পক্ষে পাঁচলাইশ ও মোহরা এলাকায় প্রচারনা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী জহির।

    প্রচারনার শুরুতেই অসীক দত্তের সভাপতিত্বে এবং ইসমাঈল হোসেন শিমুলের পরিচালনায় পথ সভা অনুষ্ঠিত হয় উক্ত সভায় উদ্ভোধক হিসেবে ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী জহির, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন সাতকানিয়া পৌরসভার মেয়র জোবায়ের আহমেদ,প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্হিত ছিলেন দক্ষিন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্মসাধারন সম্পাদক আবু সাদেত মো:সায়েম,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন দক্ষিন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জায়েদ বিন কাশেম,মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সায়েম তালুকদার,উত্তর জেলা ছাত্রলীগ নেতা কবির হাসনাত,আইন কলেজের সাবেক জিএস শাহাদাত হোসাইন,অনিক দাশ,,মরতুজা সুমন,এম আই সাহিদ,দ্বীপ দে,নাহিদুল ইসলাম রুমি,রাইসুল মাহমুদ,মোঃ রুবেল,আবদুল হান্নান সায়েম,পূজন সরকার সহ আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগ,ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতৃবৃন্দ উপস্হিত ছিলেন।

  • ছাত্রলীগের পূর্ণ দায়িত্ব পেলেন জয়-লেখক

    ছাত্রলীগের পূর্ণ দায়িত্ব পেলেন জয়-লেখক

    ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারমুক্ত করে পূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

    আজ শনিবার দেশের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের পূর্ণ দায়িত্ব অর্পণের ঘোষণা দেন।

    আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের একটি প্রস্তাব রেখেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ থেকে ছাত্রলীগকে ভারমুক্ত করে দিলাম। আজ থেকে আর ভার থাকবে না। আজকের দিন থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক আর ভারপ্রাপ্ত নয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী থেকে তারা ভারমুক্ত হলো।

    এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ভারমুক্ত করার বিষয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী এখন বক্তব্য দেবেন। তার বক্তব্যের আগে বলতে চাই- আমাদের ছাত্রলীগ ভারপ্রাপ্ত। ভারপ্রাপ্ত কথাটি কেমন যেন শোনায়। তাই আমি ছাত্রলীগকে ভারমুক্ত করার জন্য আমাদের নেত্রীর কাছে অনুরোধ জানাই।

    উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখ অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়।

    বিতির্কিত কর্মকান্ডের জন্য ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে সরিয়ে দিয়ে জয় ও লেখককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।

  • মর্যাদাপূর্ণ সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে গড়ে তোলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    মর্যাদাপূর্ণ সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে গড়ে তোলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নীতি ও আদর্শ নিয়ে চলার মাধ্যমে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের পাশপাশি ছাত্রলীগকে একটি মর্যাদাপূর্ণ সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কথা এর সকল নেতা-কর্মীকে মনে রাখতে হবে। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলা, ঐতিহাসিক ৬ দফা, ১১ দফা এবং আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিরুদ্ধে সারাদেশে আন্দোলন গড়ে তোলা এবং সর্বোপরি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।’

    তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে তাদের আচার-আচরণ, তাদের কথা-বার্তা, তাদের রাজনীতি-সবকিছু সেইভাবেই করা উচিত। যেন এই সংগঠনটা একটা মর্যাদাপূর্ণ হয় এবং দেশ ও জাতির কাছে যেন তারা একটা আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করে চলতে পারে।’

    প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির যে কোন ক্রান্তিলগ্নে ছাত্রলীগ সবসময় বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেছে। আমার বাবা-যখন জেলে থাকতেন তখন ছাত্রলীগ যোগাযোগ রাখতো আমার মায়ের সঙ্গে এবং তিনিই সবসময় ছাত্রলীগকে নির্দেশনা দিতেন এবং সেই নির্দেশনা মোতাবেকই ছাত্রলীগ কাজ করতো।

    তিনি বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে একটি সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগের যে ঐতিহ্য, যে অবদান এটা প্রতিটা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর মনে রাখা উচিত।’

    এরআগে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে ’৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। এ সময় সমবেত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত এবং পরে ছাত্রলীগের দলীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়।
    অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চারনেতা, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টের শহিদগণ এবং সকল গণঅন্দোলনে আত্মাহুতিদানকারি ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগ এবং এর সকল সহযোগী সংগঠনের আত্মাহুতিদানকারীদের স্মরণে সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

    এর পরেই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক উপ-কমিটির পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

    প্রধানমন্ত্রী তাঁর ছোটবেলায় দেখা এদেশের রাজনীতির উদাহারণ টেনে বলেন, ‘আইয়ুব খান ‘মার্শাল ল’ দিয়ে ক্ষমতা দখল করে প্রেসিডেন্ট হলো। আগে ক্ষমতা দখল, তারপর দলগঠন এবং তারপরে ছাত্র সংগঠনের কিছু ছেলেদের হাতে অস্ত্র দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদের একটা অবস্থান নেওয়ার অপচেষ্টা।’

    তিনি বলেন, ‘তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে ’৭৫ এর জাতির পিতাকে হত্যার পর দেশে হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের মধ্যদিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করে যখন জিয়াউর রহমান আসে তখনও দেখি তার একই চরিত্র। ঠিক আইয়ুব খানের পদাংক অনুসরণ করে তিনি মেধাবী ছাত্রদের হাতে অস্ত্র ও অর্থ তুলে দিয়ে তাদের ব্যবহার করতেন একটা লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে। অবৈধভাবে দখলকরা ক্ষমতাকে বৈধ করার একটা হাতিয়ার হিসেবে।’

    শেখ হাসিনা বলেন, এভাবে বহু মেধাবী ছাত্রের জীবন তারা নষ্ট করেছে। যুদ্ধাপরাধী রাজাকার-আলবদরদের কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে তাদের রাজনীতি করার অধিকার দেওয়ার পাশাপাশি ৭ খুনের আসামীকেও রাজনীতি করতে দিয়েছে।

    আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি তোফায়েল আহমেদ এমপি, দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের পক্ষ থেকে খালেদ মোহাম্মদ আলী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

    ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন। দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

    অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে পরিচয় করিয়ে দেন।

    মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সারাদেশ থেকে আগত ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ এবং বিশিষ্ট নাগরিকসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    জয়-লেখককে ভারপ্রাপ্ত থেকে ভারমুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী

    অনুষ্ঠানে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অনুরোধের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদককে পূর্ণকালিন দায়িত্ব ও প্রদান করেন।

    বাংলা, বাঙালির স্বাধিকার অর্জনের লক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন।

    জাতির পিতার বক্তব্য ‘ছাত্রলীগের ইতিহাস বাঙালির ইতিহাস’ উদ্বৃত করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, এই ছাত্রলীগ ১৯৭৫ সালের পর প্রথম যে প্রতিবাদটা, সেটাও ছাত্রলীগের কিছু ছেলে এবং সেই সাথে ছাত্র ইউনিয়ন সহ অন্যান্য সংগঠন মিলেই করেছিল।

    সে সময়ে ‘তাঁর রিফিউজি জীবন যাপনকালিন তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রথম দাবিটাও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেই হয়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেময়কার যুবলীগ নেতৃবৃন্দ এবং মিজানুর রহমান চৌধুরী সংসদে দাঁড়িয়ে দাবি তোলেন, বলেও জানান।

    ’৭৫ এর পর ষড়যন্ত্রকারী ভেবেছিল আওয়ামী লীগ আর কোনদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেই আওয়ামী লীগ সংগ্রামের মধ্যদিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে আবার সরকার গঠন করেছে।’

    সেজন্য ছাত্রলীগকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন,‘আমি এটাই চাই আগামী দিনে এই ছাত্রলীগ যেন একটা নীতি আদর্শ নিয়ে চলে। জাতির পিতা যে লক্ষ্য নিয়ে দেশ স্বাধীন করেন সেই ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত করেই বাংলাদেশকে আমরা গড়ে তুলবো। আর আমরা যে তা পারি সেটা সরকারে আসার পরেই আমরা প্রমাণ করেছি।’

    তিনি বলেন, ‘প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন আগামীর নেতৃত্ব যেন এই একটি আদর্শ ভিত্তিক সংগঠনের মধ্যদিয়েই যেন চলে আসে সেটা ছাত্রলীগকে মনে রাখতে হবে। এই সংগঠনটার মধ্যদিয়েই যেন আগামীদিনের নেতৃত্ব বেরিয়ে আসে।’

    তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ছাত্রলীগের হাতে তিনি কাগজ-কলম তুলে দিয়েছিলেন। আর খালেদা জিয়া তুলে দিয়েছিল অস্ত্র।

    তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি কম্পিউটার দিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাই প্রথম কম্পিউটার প্রশিক্ষণ শুরু করেন। আজ যে ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে সমর্থ হয়েছি সেখানে ছাত্রলীগের অনেক অবদান রয়েছে।

    শেখ হাসিনা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং ‘কারাগারের রোজনামচা’ নামক বঙ্গবন্ধুর লেখা আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ দুটি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মনযোগ দিয়ে পাঠ করার পরামর্শ দেন। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে পাকিস্তান ইন্টালিজেন্স রিপোর্ট নিয়ে প্রকাশিতব্য (সিক্রেট ডকুমেন্ট অব ইন্টালিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দি নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) ১৪ খন্ডের ভলিউমটি দেশের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানার জন্য প্রত্যেকটি ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর অবশ্য পাঠ্য হিসেবেও উল্লেখ করেন।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র থাকার সময়ই জাতির পিতার ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলে ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ এবং কারাগারে যাওয়া। ঢাবি’র ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারিদের আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার হওয়া। মুচলেখা দিয়ে ছাত্রত্ব গ্রহণের সুযোগ থাকলেও অনিয়মের সংগে আপস না করার মত দৃঢ়চেতা মনভাবের অনেক ঘটনার বিস্তারিতও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা এখান থেকে জানতে পারবে, উল্লেখ করেন তিনি।

    তিনি বলেন, পাকিস্তানীরা শুধু বাংলা ভাষায় কথা বলতে বাধা দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, তারা ফরমান জারি করেছিল যে, বাংলা অক্ষর পরিবর্তন করে আরবি হরফে বাংলা ভাষা লিখতে হবে।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম ছিল তা ছাত্রলীগকে দিয়েই শুরু হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। এরপর যে সংগ্রাম হয়েছে সেখানে ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল।’

    তিনি বলেন, ১৯৫৮ সালে যখন মার্শাল ল’ দেয়া হলো তখন বঙ্গবন্ধু কারাগারে থেকেই সিদ্ধান্ত নিলেন যে, যেভাবেই হোক এই বাংলাকে মুক্ত করতে হবে, স্বাধীন করতে হবে। ১৯৬০ সালে বঙ্গবন্ধু যখন জেল থেকে মুক্তিলাভ করেন তখন শুধু রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল তা নয়, তখন তার ঢাকার বাইরে যাওয়াও নিষিদ্ধ ছিল। তখন তিনি ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করার নির্দেশনা দিয়ে পদক্ষেপ নেন।

    আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সেই লক্ষ্যে জাতির পিতা পুরো বাংলাদেশে ‘নিউক্লিয়াস’ গঠন করেন। প্রত্যেক জেলা এবং ইউনিয়নে দু-তিন সদস্যবিশিষ্ট একটা নিউক্লিয়াস গঠন করে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাধীনতার চেতনাকে উদ্বুদ্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন এবং জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে মানুষের মাঝে চেতনা তৈরি করে জনগণকে সেটা গ্রহণ করানোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন ছাত্রলীগকে।

  • আজ ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

    আজ ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

    বাংলাদেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দানকারী ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আজ ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।

    বাংলা, বাঙালির স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জন্ম হয়। উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও প্রচীন ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭২তম বার্ষিকী উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

    সংগঠনটির ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বর্ণাঢ্যভাবে পালন করতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে ৩দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৬টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সকল সাংগঠনিক কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।

    সকাল ৭টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে কেক কাটা হবে।

    এদিকে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগ পুর্ণমিলনীর আয়োজন করেছে। পুর্ণমিলনীতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন।

    এছাড়া, ৬ জানুয়ারি সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাশে বটতলায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালন করা হবে। ৭ জানুয়ারি সকাল ১০টায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ এবং বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতার সামনে দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।

    বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার দীর্ঘ রাজনৈতিক পরিক্রমায় ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ৫৮’র আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ৬ দফার পক্ষে গণঅংশগ্রহণের মাধ্যমে মুক্তির সনদ হিসেবে এই দাবিকে প্রতিষ্ঠা করে। এরপর ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্ত করে আনা, ৭০’র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়লাভ এবং ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পরাধীন বাংলায় লাল সবুজের পতাকার বিজয় ছিনিয়ে আনতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

    ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে অংশ নেয় ছাত্রলীগ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা সপরিবারে হত্যার পর ছিনতাই হয়ে যায় স্বাধীনতার চেতনা ও গণতান্ত্রিক ধারা।

    ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) দেশে ফিরে স্বাধীনতার চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক ধারা পুনরুদ্ধারে আন্দোলনের সূচনা করেন। ছাত্রলীগ ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে অনন্য ভূমিকা পালন করে।

  • সাংবাদিক শেলুর পা ভেঙে দেয়া ছাত্রলীগ নেতা রাকিব আটক

    সাংবাদিক শেলুর পা ভেঙে দেয়া ছাত্রলীগ নেতা রাকিব আটক

    দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকার প্রতিষ্ঠালগ্নের জামালপুর সংবাদদাতা ও পল্লীকণ্ঠ প্রতিদিনের সিনিয়র সাংবাদিক এপেক্সিয়ান শেলু আকন্দকে নির্যাতনের একপর্যায়ে দু’পা ভেঙে দিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা পৌর কাউন্সিলর রুনু খানের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা সন্ত্রাসী রকিব খানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা। উক্ত ঘটনায় সন্ত্রাসী রকিব খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    আশংকাজনক অবস্থায় শেলু আকন্দকে আজ দুপুরে জামালপুর হাসপাতাল থেকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেছে। জামালপুরের ইতিহাসে এমন জঘন্যতম ঘটনার নিন্দার ঝড় ওঠেছে। ফুসে ওঠেছে সাংবাদিক সমাজ।

    ঘটনাটি ঘটে গতকাল বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১১টায় শহরের দেওয়ানপাড়ায় পুরাতন এসডিওর বাড়ির পিছনে শহর বাইপাস রোডে।

    পথচারী এবং স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার শেষে তাকে জামালপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন বেঁচে থাকলেও সাংবাদিক শেলু আকন্দ আজীবনের জন্য একজন পঙ্গুত্ববরণ করবে।

    হাসপাতালের বেডে শুয়ে আহত শেলু আকন্দ বলেন, আমি ডায়াবেটিসের রোগী। প্রতিদিন সকাল ও রাতে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে শহর বাইপাস রোডে হাটাহাটি করি। বুধবার রাতে হেঁটে যাওয়ার সময় পৌর কাউন্সিলর রুনু খানের ছেলে জেলা ছাত্রলীগ নেতা রাকিব খান, তুষার খান, স্বজন খান ও তুহিন খানসহ ১০/১২ জন আমার উপর হামলা চালায়।

    ছাত্রলীগ নেতা রাকিব

    তারা লোহার জিআই পাইপ দিয়ে আমার দুই পায়ে এলোপাথাড়ি পেটাতে থাকে। পেটানোর সময় তারা বলে মামলার সাক্ষী হইছস না, সাক্ষী দিবি, তর সাক্ষীর হওয়ার স্বাদ মিটাইতাছি। লোহার পাইপ দিয়ে পেটাতে পেটাতে আমার দুই পা গুড়িয়ে দিয়েছে।

    এর ৬ মাস আগে পেশাগত দায়িত্বপালনকালে দৈনিক কালের কন্ঠের সাংবাদিক মোস্তফা মনজুর উপর হামলা করে বেধড়ক মারধর করেছিল কাউন্সিলর রুনু খান ও তার ছেলে রাকিব খানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা।

    ওই মামলার ২নং সাক্ষী ছিল সাংবাদিক শেলু আকন্দ। সাংবাদিকের ওপর হামলার মামলায় সাক্ষী হওয়ায় সাংবাদিক শেলু আকন্দ হামলার শিকার হয়েছেন।

    জামালপুর সদর থানার ওসি মো. সালেমুজ্জামান জানিয়েছে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় রুনু খানের ছেলে সাকিব খানকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান চলছে।

    জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা ও সাধারন সম্পাদক লুৎফর রহমান সাংবাদিক শেলু আকন্দের উপর হামলার নির্দেশদাতা পৌর কাউন্সিলর রুনু খান ও হামলাকারী রকিব খানসহ হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি।

  • ১৩নং পাহাড়তলী ওয়ার্ড যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রলীগ’র বিজয় দিবস উদযাপন

    ১৩নং পাহাড়তলী ওয়ার্ড যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রলীগ’র বিজয় দিবস উদযাপন

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ।ডেস্ক : নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে  চট্টগ্রাম সিটির ১৩নং পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগ। 

    সকাল ৮ টায় জাতীয় সংঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে যৌথ উদ্যেগে আয়োজিত বিজয় দিবসের দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির শুরু হয়। সকাল ১০টায় বর্ণাঢ্য এক বিজয় র‍্যালী ওই এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শেখ রাসেল শিশু পার্ক সংলগ্ন শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর র‌্যালির সমাপ্তি ঘটে। এরপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    দিনব্যাপী আয়োজনের দ্বিতীয় পর্ব বিকাল ৫টায় শুরু হয়। মুক্তিযুদ্ধ, জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান ও দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ব্যাপি উন্নয়নের প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়।

    চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ এর সদস্য ও ওমরগণি এম,ই,এস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রসংসদ এর ভি,পি মো. ওয়াসিম উদ্দীন চৌধুরী এর সভাপতিত্বে এবং নগর যুবলীগের সদস্য মো. আবু বক্কর ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় উক্ত কর্মসূচি পালিত হয়।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন ১৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এর যুগ্ম সম্পাদক মো. আবুল হাশেম শাহ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এর সদস্য মো. নাছির, নাসরিন রসুল, মো. জমির উদ্দীন, সবেক ছাত্রনেতা মো. হেলাল উদ্দিন, ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা খালেদ মোশারফ রকেট, হাজী মো. নাসির উদ্দিন, মো. শামচ্ছু দোহা শাহিন, যুবলীগ নেতা এস,এম,মাহাতাব, মোজাম্মেল হক সুমন, দুলাল হোসেন, আল-আমিন, কাজী মোঃ কায়সার, মিজানুর রহমান মিজান, ইলিয়াস, আলী আজগর, মোঃ ফয়সাল, সাইদুর রহমান বাবু, মোঃ পারভেজ, মোঃ তুহিন, ছাত্রলীগ নেতা মোঃসাঈদ আব্দুল্লাহ রকি,মোঃ আরিফ, যুবনেতা আবু হানিফ খোকা, আরিফুল ইসলাম, ছাত্রনেতা মোঃ রশীদুল ইসলাম রানা, হাসান ইমাম মান্না প্রমুখ।

  • চাঁদা না পেয়ে শেখ রাসেল স্কুলের কাজ বন্ধ করে দিলো ছাত্রলীগ

    চাঁদা না পেয়ে শেখ রাসেল স্কুলের কাজ বন্ধ করে দিলো ছাত্রলীগ

    চাঁদা না দেওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের নামে নির্মাণাধীন স্কুলের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।

    রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুরঞ্জিত প্রসাদ বৃত্তসহ দুই ছাত্রলীগ নেতা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন বলে জানা গেছে।

    স্কুলটির নির্মাণ কাজের তত্ত্বাবধানকারী মমতাজ উদ্দীন জানান, কাজ শুরুর পর আগস্টের প্রথম সপ্তাহে রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী মমতাজ উদ্দীনের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তারা মমতাজ উদ্দীনকে কার অনুমতি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন জিজ্ঞাসা করেন। একপর্যায়ে মমতাজ উদ্দীনের কাছে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। অন্যথায় স্কুলের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয় তারা।

    প্রায়ই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী কর্মস্থলে গিয়ে তার কাছে চাঁদা দাবি করতেন। আজ রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে রাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুরঞ্জিত প্রসাদ বৃত্তসহ দুজন গিয়ে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেয় এবং ম্যানেজার আশরাফুল ইসলামকে তুলে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই কাজ বন্ধ রয়েছে।

    মমতাজ উদ্দীন আরও বলেন, আজ ম্যানেজার আশরাফুলকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। আমরা অনিরাপত্তায় ভুগছি। শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি ভেবে কাজ বন্ধ রয়েছে। এভাবে চললে কাজ শেষ হবে না। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

    আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমাকে তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস্ কমপ্লেক্সের পেছনে ধরে নিয়ে যায়। বিষয়টি শীঘ্রই মীমাংসা করে নেওয়ার কথা বলে আমাকে ছেড়ে দেয়। ছাত্রলীগ নেতা বৃত্তের ছবি দেখালে বৃত্ত তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল বলে নিশ্চিত করেন। তবে বৃত্তের সঙ্গে থাকা অন্যজনের পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি।

    বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সরেজমিনে নির্মাণাধীন স্কুল প্রাঙ্গনে দেখা যায়, শ্রমিকরা কাজের পরিবর্তে একসঙ্গে মাঠে বসে আছেন। হুমকির পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তারা।

    সবুজ নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘সকাল থেকে কাজ করছিলাম। দুপুরে দু’জন এসে ম্যানেজারকে কাজ বন্ধ করে দিতে বলে। তাকে তুলেও নিয়ে যায়। কাজ করতে গেলে কখন কি ঝামেলা হয়? তাই আমরা কাজ করছি না।’

    তবে অভিযুক্ত সুরঞ্জিত প্রসাদ বৃত্ত বলেন, আমি আজকে স্কুলের ওদিকে যাইনি। এগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি কাউকেই তুলে আনিনি কিংবা স্কুলের কাজ বন্ধ করেও দেইনি। এর আগেও বৃত্ত রাবির শহীদ সোহওয়ার্দী হলে দুই শিক্ষার্থী ও একটি খাবারের দোকান থেকে চাঁদাবাজি করেন।

    এ বিষয়ে রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু দাবি করে বলেন, আমরা কখনোই কারও কাছে এ ব্যাপারে চাঁদা দাবি করিনি। আজকের ঘটনাটি এখনও জানি না। তবে কেউ যদি ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে এমন কাজ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা শুনেছি। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।’

    এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান বলেন, আমি এখনো অভিযোগ পাইনি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর পুত্রের নামে বিদ্যালয় হবে আর কেউ চাঁদা না পেয়ে কাজ বন্ধ করে দিবে এটা মেনে নেওয়া হবে না।

    চলতি বছরের ৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী মাঠের দক্ষিণ পাশে স্কুলটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন রাজশাহী সিটি কপোর্রেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। নির্মাণ কাজের জন্য বরাদ্দ হয় ১০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শিকদার কনস্ট্রাকশন স্কুলটির নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায়। আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকেই কাজ শুরু হয়।

  • অধ্যক্ষকে পুকুরে নিক্ষেপ: ছাত্রলীগের ৪ জন স্থায়ী বহিষ্কার

    অধ্যক্ষকে পুকুরে নিক্ষেপ: ছাত্রলীগের ৪ জন স্থায়ী বহিষ্কার

    রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত এবং পুকুরের ফেলে দেয়ার ঘটনায় চার শিক্ষার্থীকে ছাত্রত্ব বাতিলসহ ১৬ ছাত্রের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ইনস্টিটিউটের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দোষী ১৬ জনই ইনস্টিটিউট শাখার ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

    ইতোমধ্যে চার শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার, পাঁচ শিক্ষার্থীর মূল সনদপত্র আগামী তিন বছর আটকে রাখা এবং সাত শিক্ষার্থীকে টিসি (ট্রান্সফার সার্টিফিকেট) দিয়ে অন্য ইনস্টিটিউটে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

    শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

    ছাত্রত্ব বাতিল ৪ শিক্ষার্থীরা হলেন- মূল হোতা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কম্পিউটার বিভাগের ৮ম পর্বের শিক্ষার্থী কামাল হোসেন ওরফে সৌরভ, একই সেশনের ইলেকট্রো মেডিকেল বিভাগের ৭ম পর্বের শিক্ষার্থী রায়হানুল ইসলাম, ইলেকট্রনিক্স বিভাগের ৫ম পর্বের ছাত্র মুরাদ হোসেন ও মেকানিক্যাল বিভাগের ৩য় পর্বের শিক্ষার্থী সাজিব হোসেন।

    ৩ বছরের জন্য স্থগিত শিক্ষার্থীরা হলেন- ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের ছাত্র কৌশিক জামান ওরফে বনি, ইলেকট্রো-মেডিকেল বিভাগের সালমান রহমান ওরফে টনি, পাওয়ার বিভাগের সাব্বির অহম্মেদ, মেকাট্রনিক্স বিভাগের হাসিবুল হাসান ও কম্পিউটার বিভাগের মারুফ হোসেন।

    বদলি ৭ শিক্ষার্থীরা হলেন- ইনস্টিটিউটের পাওয়ার বিভাগের ৬ষ্ঠ পর্বের (অকৃতকার্য) নাঈম ইসলাম, ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের ৭ম পর্বের প্লাবন কুমার কুন্ডু, মেকাট্রনিক্স ৭ম পর্বের মেহেদী মাহমুদ, মেকানিক্যাল বিভাগের ৭ম পর্বের মেহেদি হাসান, ইলেকট্রনিক্স বিভাগের ৫ম পর্বের ওমর আজিজ, ৩য় পর্বের কম্পিউটার বিভাগের মাহবুবুর রহমান ও পাওয়ার ৩য় পর্বের মাসুদ রানা মীম।

    অধ্যক্ষ বলেন, ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ওই সভায় দোষীসাব্যস্ত হওয়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    এদিকে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অধ্যক্ষের দায়ের করা মামলাটি প্রথমে চন্দ্রিমা থানা পুলিশ তদন্ত করছিল। পরে ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় মামলাটি মহানগর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের কাছে স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে ডিবি পুলিশ মামলাটির তদন্ত করছে।

    শিগগিরই এ মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে বলেও জানান রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস।

  • সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বহিষ্কার, কমিটি বিলুপ্ত

    সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বহিষ্কার, কমিটি বিলুপ্ত

    সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিককে সাময়িকভাবে বহিষ্কার ও মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়েছে।

    এতে উল্লেখ করা হয়েছে, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমানের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হলো। একইসঙ্গে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় তা বিলুপ্ত করা হলো।

    ওই চিঠিতে আগামীতে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের লক্ষ্যে পদপ্রত্যাশীদের কাছে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে জীবনবৃত্তান্ত আহবান করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ফাঁকা গুলি করে বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে ২৬ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের মাস্টারমাইন্ড জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিক ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। ছিনতাইকৃত ২৬ লাখ টাকা থেকে ২২ লাখ টাকা ভাগ পান সাদিক।অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এ ঘটনার তদন্ত করে ছিনতাইয়ের মূল রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয় জেলা পুলিশ।

    এছাড়া ছিনতাইয়ে জড়িত সাদিকের দেহরক্ষী সাইফুল ইসলাম ও দ্বীপ গত ২৯ নভেম্বর রাতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়। নিহত দ্বীপ সাতক্ষীরা শহরের মুনজিতপুরের ময়নুল ইসলামের ছেলে ও সাইফুল ইসলাম কালিগঞ্জের ইজরপুর গ্রামের আবদুস সবুর সরদারের ছেলে। তারা দুজনই ছাত্রলীগকর্মী। নিহতরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমানের দেহরক্ষী হিসাবে পরিচিত।