Tag: ছাড়াল

  • করোনা ঝড়ে কাবু যুক্তরাষ্ট্র, মৃত্যু লাখ ছুঁই ছুঁই/ বিশ্বে ছাড়াল ৪৩ হাজার, আক্রান্ত ৫৪৩৯৭৯

    করোনা ঝড়ে কাবু যুক্তরাষ্ট্র, মৃত্যু লাখ ছুঁই ছুঁই/ বিশ্বে ছাড়াল ৪৩ হাজার, আক্রান্ত ৫৪৩৯৭৯

    ২৪ ঘণ্টা আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনা ঝড়ে কাবু যুক্তরাষ্ট্র। রোজ মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিচ্ছেন হাজারো মানুষ। কোভিড-১৯ মহামারীতে প্রাণহানিতে শীর্ষে থাকা দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে সমানতালে।

    সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে ১১শ’র বেশি মানুষ মারা গেছেন করোনাভাইরাসে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টা) কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন বলে তথ্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়।

    আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় সবার উপরে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৯৮ হাজার ৬৮৩ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৬ লাখ ৬৬ হাজার ৮২৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৪৬ হাজার ৯১৪ জন।

    এদিকে রোববার (২৪ মে) সকাল পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডোমিটারের সূত্র অনুসারে, সারা বিশ্বে ৫৪ লাখ ৩ হাজার ৯৭৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন তিন লাখ ৪৩ হাজার ৯৭৫ জন।

    আক্রান্তের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে ব্রাজিল, সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৪২ হাজার ৪১০ জন। মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ৯৩৪ জনের।

    আক্রান্তের তালিকায় তৃতীয়স্থানে আছে রাশিয়া, সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮৮২ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৩৮৮ জনের। মৃতের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে যুক্তরাজ্য। তবে আক্রান্তের তালিকায় দেশটি রয়েছে চতুর্থস্থানে। সেখানে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন ৩৬ হাজার ৭শরও বেশি মানুষ। আর আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৫৮ হাজার।

    মৃত্যুতে বিশ্বে তৃতীয়স্থানে আছে ইতালি সেখানে ৩২ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। আটাশ হাজার ৬৭৮ জন মৃত্যু নিয়ে চতুর্থস্থানে আছে স্পেন। স্পেনে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৮২ হাজার ৩৭০ জন। চারশোর মতো মৃত্যু কম নিয়ে পঞ্চমস্থানে আছে ফ্রান্স। ২২ ছাড়ানো মৃত্যু নিয়ে ষষ্ঠস্থানে আছে ব্রাজিল।

    আক্রান্ত ও মৃত্যু দুটোই বেড়েছে ভারতে। আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৪০০; মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮৬৮ জন।

    চীনে প্রথম ৪১ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছিল চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরে ভাইরাসজনিত অতি সংক্রামক রোগটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। ১ এপ্রিলের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে শনাক্ত হওয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখে পৌঁছে যায়।

    তারপরের ১০ লাখে সংক্রমিত হতে লাগে দুই সপ্তাহ। আর তার পরের ১০ লাখে পৌঁছাতে লেগেছিল ১২ দিন। আরও ১০ লাখ বাড়তে লেগেছিল ১৩ দিন। কিন্তু এর পরের ১০ লাখ সংক্রমণ হতে সময় লাগে সবচেয়ে কম সময় ১০ দিন।

    শনিবার পর্যন্ত বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যা ৩২ হাজার ৭৮ জন; মৃতের সংখ্যা ৪৫২ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • করোনায় মৃত্যু প্রায় ৩ লাখ ছুঁই ছুঁই, বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত ছাড়াল ৪৪ লাখ

    করোনায় মৃত্যু প্রায় ৩ লাখ ছুঁই ছুঁই, বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত ছাড়াল ৪৪ লাখ

    ২৪ ঘণ্টা আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনায় কাবু পুরো বিশ্ব। মহামারি কোভিড-১৯ ভাইরাসটির বয়স চার মাস পার হলেও বিশ্বের কোথাও এখনে নিয়ন্ত্রণের কোনো লক্ষণ মিলছে না।

    ভাইরাসের ছোবলে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে। বিশ্বজুড়ে ইতিমধ্যে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ লাখ ছাড়িয়েছে আর মৃতের সংখ্যা প্রায় তিন লাখ ছুঁই ছুঁই।

    যদিও এর ভ্যাকসিন আবিষ্কারে ওঠেপড়ে লেগেছেন বিজ্ঞানীরা। শতাধিক গবেষক দল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে এ ভাইরাসে গোটা বিশ্ব বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভাইরাস মোকাবেলায় দেশে দেশে চলছে লকডাউন, জরুরি অবস্থাসহ নানা পদক্ষেপ।

    কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে লকডাউন শিথিল করে বেকায়দায় আছে। সেখানে নতুন করে আবার আক্রমণ শুরু করেছে করোনা।

    বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার এ বলা হয়, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ লাখ ৯৮ হাজার ১৬৫ জন। এছাড়া এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৪৪ লাখ ২৯ হাজার ২২৩ জনের শরীরে।

    আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬৯ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ২৪ লাখ ৭২ হাজার ৮৯ জন। এদের মধ্যে ২৪ লাখ ২৬ হাজার ১৬৯ জনের শরীরে মৃদু সংক্রমণ থাকলেও ৪৫ হাজার ৯২০ জনের অবস্থা গুরুতর।

    ভাইরাসটি চীন থেকে ছড়ালেও বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১৪ লাখ ৩০ হাজার ৩৪৮ জন, সুস্থ হয়েছে তিন লাখ ১০ হাজার ২৫৯ এবং মারা গেছে ৮৫ হাজার ৯১৭ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু ও আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রে।

    মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরের অবস্থানে উঠে এসেছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩৩ হাজার ১৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ২৯ হাজার ৭০৫ জন।

    মৃত্যুর তালিকার তিন নম্বরে রয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩১ হাজার ১০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ১০৪ জন।

    স্পেনে আক্রান্ত দুই লাখ ৭১ হাজার ৯৫, সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ২২৭ এবং মারা গেছে ২৭ হাজার ১০৪ জন।

    এদিকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে রাশিয়ায়। আক্রান্তের হিসাবে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে দেশটি। এখানে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪২ হাজার ২৭১ জন, মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ২১২ জনের।

    ইংল্যান্ডে আক্রান্ত দুই লাখ ২৬ হাজার ৪৬৩, সেখানে কর্তৃপক্ষ সুস্থতার সংখ্যা প্রকাশ করেনি এবং মারা গেছে ৩৩ হাজার ১৮৬ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত এক লাখ ৭৮ হাজার ৬০, সুস্থ হয়েছে ৫৮ হাজার এবং মারা গেছে ২৭ হাজার ৭৪ জন।

    এছাড়া জার্মানিতে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৯৮ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৮৬১ জনের। তুরস্কে ১ লাখ ৪৩ হাজার ১১৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এখানে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৪ হাজার মানুষের। কানাডায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭২ হাজার ২৭৮ জন, মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৩০২ জনের।

    ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় চীনে। সেখানে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৯২৯ জন এবং মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৩ জন।

    এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ইরানে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১২ হাজার ৭২৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৭৮৩ জনের।

    পাকিস্তানে আক্রান্ত ৩৫ হাজার ২৯৮, সুস্থ হয়েছে ৮ হাজার ৮৯৯ এবং মারা গেছে ৭৬১ জন। ভারতে আক্রান্ত ৭৮ হাজার ৫৫ জন এবং মারা গেছে ২ হাজার ৫৫১ জন।

    বাংলাদেশে আক্রান্ত ১৭ হাজার ৮২২, সুস্থ হয়েছে ৩ হাজার ৩৬১ এবং মারা গেছে ২৬৯ জন। এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ২৬৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ২১৪ জন। ফলে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৩৬১ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • করোনা : যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু ৭৫ হাজার ছাড়াল/আফ্রিকায় মৃত্যু লাফিয়ে বাড়ার আশংকা!

    করোনা : যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু ৭৫ হাজার ছাড়াল/আফ্রিকায় মৃত্যু লাফিয়ে বাড়ার আশংকা!

    ২৪ ঘণ্টা আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টা) যুক্তরাষ্ট্রে আরও ২,৪৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৭৫ হাজার ছাড়াল।

    তাছাড়া মৃত্যু ও আক্রান্তের দিক থেকে শীর্ষে থাকা দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও প্রায় ১৩ লাখ যা বিশ্বের মোট আক্রান্তের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ!

    বাল্টিমোরভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় জনস হপকিন্স জানিয়েছে, দেশটিতে মোট আক্রান্ত দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৫৪ হাজার ৭৫০ জন। দেশটিতে মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ৭৫ হাজার ৫৪৩ জন, যা এই ভাইরাসে বিশ্বের মোট মৃত্যুর এক-চতুর্থাংশের বেশি।

    গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে দেশটিতে। নিউ ইয়র্কের চেহারা এখনও ভয়াবহ। হাসপাতালে নতুন রোগী নেওয়ার কার্যত কোনও জায়গা নেই। পাওয়া যাচ্ছে না মৃতদেহ কবর দেওয়ার জায়গা।

    তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এখনও লকডাউন তুলে জনজীবন স্বাভাবিক ছন্দে ফেরানোর পক্ষপাতী। তিনি আগেই বলেছিলেন, দিনের পর দিন এ ভাবে সব কিছু বন্ধ করে বসে থাকা সম্ভব নয়। অর্থনীতিকে সচল করতেই হবে।

    যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করে দিলে মৃতের সংখ্যা অনেক গুণ বেড়ে যাবে। বাড়বে আক্রান্ত। তখন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া আরও কঠিন হয়ে পড়বে।

    এরই মধ্যে আরও এক আতঙ্কের কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আফ্রিকাতেও মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। তাদের বক্তব্য, নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা না গেলে আফ্রিকায় এই মহামারি ভয়াবহতম চেহারা নিতে পারে। আক্রান্ত হতে পারেন তিন থেকে চার কোটি মানুষ। মৃত্যু হতে পারে ৮০ হাজার থেকে দুই লাখ লোকের।

    শুধু তাই নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, প্রথম আঘাতের পরে ফের নতুন ঢেউ নিয়ে ফিরে আসতে পারে করোনা। ফলে যে সব দেশ দ্রুত লকডাউন তোলার পরিকল্পনা করছে, তাদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত।

    ইউরোপ কিংবা অ্যামেরিকা যে ভাবে করোনার সঙ্গে লড়াই করেছে, আফ্রিকার দেশগুলির পক্ষে স্বাভাবিক ভাবেই সে ভাবে লড়াই করা সম্ভব নয়। অর্থনৈতিক ভাবে আফ্রিকার অধিকাংশ দেশই পিছিয়ে পড়া। করোনার পরীক্ষাও সেখানে ঠিক ভাবে হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন না।

    পরিস্থিতি এমনই চলতে থাকলে আফ্রিকায় করোনা ভয়াবহ চেহারা নেবে বলে আশঙ্কা। মৃত্যু হবে অসংখ্য লোকের। কিন্তু বিকল্প উপায়ও দেখতে পাচ্ছেন না অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ।

    তাঁদের বক্তব্য, ক্যামেরুন বুঝিয়ে দিয়েছে, এক মাস অর্থনীতি সচল না থাকলে আফ্রিকার অধিকাংশ দেশের কী ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে। বিপুল পরিমাণ অর্থ সাহায্য করে ক্যামেরুনের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। অন্য দিকে সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে।

    জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গোটা বিশ্বে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯ লাখ ১৬ হাজার। মৃত দুই লাখ ৭০ হাজার। সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৪৩ হাজার।

    তিরিশ হাজার ছাড়ানো মৃত্যু নিয়ে মৃত্যুর মিছিলে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে যুক্তরাজ্য। আক্রান্তে চতুর্থস্থানে আছে দেশটি, প্রায় ২ লাখ ৮ হাজার। তিরিশ হাজার ছুঁই ছুঁই মৃত্যু নিয়ে তৃতীয়স্থানে ইতালি; আক্রান্তে তৃতীয়স্থানে আছে দেশটি, ২ লাখ ১৫ হাজার।

    মৃত্যুর তালিকায় এক সময় দ্বিতীয়স্থানে থাকা স্পেন চতুর্থস্থানে নেমে এসেছে, ২৬ হাজার। তবে আক্রান্তের তালিকায় এখনো দ্বিতীয়স্থানে দেশটি, ২ লাখ ২১ হাজার। মৃত্যুতে পঞ্চমস্থানে ফ্রান্স, ২৬ হাজার ছুঁই ছুঁই। আক্রান্তে ষষ্ঠস্থানে আছে দেশটি, প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার।

    আক্রান্তে হঠাৎ ওপরে উঠে আসছে রাশিয়া। এক লাখ ৭৭ হাজার ছাড়ানো আক্রান্ত নিয়ে বর্তমানে পঞ্চমস্থানে আছে বিশ্বের বৃহত্তম দেশটি। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দেশ ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজার; মৃত্যু ১ হাজার ৮৮৯ জন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলাদেশে মৃত্যু ১৯৯ জন।

    করোনার প্রকোপ যত দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে, পৃথিবী জুড়ে অর্থনীতি ততই সংকটজনক চেহারা নিচ্ছে। অর্থনৈতিক ভাবে পৃথিবীর তৃতীয় শক্তিশালী দেশ জাপানে গভীর মন্দা শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আপাতত এই সংকট কাটার কোনও সম্ভাবনা নেই।

    এ দিকে হংকংয়ের একটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি জানিয়েছে, শুধু মুখ আর নাক নয়, চোখ দিয়েও করোনা ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করছে। শুধু তাই নয়, তাদের বক্তব্য সার্স ভাইরাসের চেয়ে করোনা অন্তত ১০০ গুণ বেশি শক্তিশালী।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি