Tag: ছিনতাই

  • চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি প্রতিরোধে সীতাকুণ্ডে পুলিশের আয়োজনে সচেতনতামূলক সভা

    চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি প্রতিরোধে সীতাকুণ্ডে পুলিশের আয়োজনে সচেতনতামূলক সভা

    সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : “পুলিশের সঙ্গে কাজ করি, মাদক-জঙ্গী-সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়ি” এই শ্লোগানে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি প্রতিরোধে সীতাকুণ্ড মডেল থানার আয়োজনে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের নুনাছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফিরোজ আলম মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সীতাকুণ্ড সার্কেল) শম্পা রানী সাহা।

    তিনি বলেন, চুরি-ডাকাতি রোধ ও অপরাধ দমনে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। কোন অপরাধী ছাড় পাবে না। যারাই জুয়া-মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত রয়েছেন তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সকলকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।

    তিনি আরো বলেন, শীত মৌসুমে এলাকায় চুরি-ডাকাতি বৃদ্ধি পাওয়ার আশংঙ্কা থাকে। তাই পুলিশের পাশাপাশি জনসাধারণকে রাতের বেলা নিজ নিজ এলাকায় স্বেচ্ছাশ্রমে গ্রুপ ভিত্তিক পাহারার ব্যবস্থা করা জরুরী। চুরি-ডাকাতি প্রতিরোধে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। সকল প্রকার অপরাধ দমনে পুলিশের পাশাপাশি জনগনকেও সচেতন হতে হবে।

    সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই হারুনুর রশিদের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিতি ছিলেন, ১নং ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম নিজামী।

    বক্তব্য রাখেন মডেল থানার ওসি ( ইন্টেলিজেন্ট) সুমন বনিক, পৌর কমিশনার আনোয়ার হোসেন ভূইয়া, মাইমুদ্দিন মামুন, সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের সহ-সাধারণ নাছির উদ্দিন অনিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিএসসি, ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ ওবাইদুল্লাহ, বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার এসআই মোঃ কাউসারসহ মডেল থানার পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ।

  • ছাত্রলীগ নেতা সাদিক ২৬ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের মূল হোতা

    ছাত্রলীগ নেতা সাদিক ২৬ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের মূল হোতা

    সাতক্ষীরায় বিকাশের ২৬ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের মূল হোতা (মাস্টারমাইন্ড) জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে আলাদা একটি মামলা হয়েছে।

    ছিনতাই হওয়া ২৬ লাখ টাকার মধ্যে ২২ লাখ টাকা নেন জেলা ছাত্রলীগ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিক। কালীগঞ্জ থেকে টাকা ছিনতাইয়ের পর তারা আশাশুনিতে এসে মোটরসাইকেলের রঙ পরিবর্তন করেন। পথে পুলিশ তল্লাশি রয়েছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করে চক্রের কয়েকজন। এ ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

    রোববার (১ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান তার সম্মেলন কক্ষে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, টাকা ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত মোট নয়জনের সাতজনকে আটক করা হয়েছে। এরই মধ্যে দুই আসামি সাইফুল ইসলাম ও মামুনুর রহমান দ্বীপ পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শনিবার ভোরে নিহত হয়েছে। দুজন আসামি আজিজুর ও সামী হাসান সোহানকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাদিকের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে বলে জানান তিনি।

    পুলিশ সুপার আরও বলেন, গত ৩১ অক্টোবর কালীগঞ্জ উপজেলার পাওখালী থেকে বিকাশের তিনজনকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে অস্ত্রের মুখে ফাঁকা গুলি করে ২৬ লাখ টাকা ছিনতাই করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় সাইফুল ও দ্বীপকে গ্রেফতার করা হলে তারাও নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে জানায়, এই ছিনতাইয়ের মূল হোতা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান। পরে তাদের কাছ থেকে তিনটি অস্ত্র, গুলি, দুটি মোটরসাইকেল এবং নগদ টাকা জব্দ করা হয়।

    পুলিশ সুপার জানান, সাইফুল ও দ্বীপ বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেও সৈয়দ সাদিকুর রহমান পলাতক। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সাদিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে আলাদা একটি মামলা হয়েছে।

    প্রেসব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইলতুৎমিশ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহউদ্দিনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

  • লামায় চালককে খুন করে মোটর সাইকেল ছিনতাই : দুই ঘাতক আটক

    লামায় চালককে খুন করে মোটর সাইকেল ছিনতাই : দুই ঘাতক আটক

    বান্দরানের লামা উপজেলায় এক চালককে খুন করে মোটর সাইকেল নিয়ে পালানোর সময় দুই ঘাতককে আটক করেছে পুলিশ।

    বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার লামা-সুয়ালক সড়কের টংকাবতী এলাকার রহিম কন্ট্রাকটরের বাগানের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আকরাম হোসেন (২২) লামা পৌরসভা এলাকার সাবেক বিলছড়ি গ্রামের বাসিন্দা তফজল হোসেন তবুর ছেলে।

    এ ঘটনায় আটকরা হলো- লামা সদর ইউনিয়নের বৈল্লারচর গ্রামের বাসিন্দা তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে বেলাল হোসেন (২০) ও রুপসীপাড়া ইউনিয়নের হ্লাচাই পাড়া গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে মো. নুর হোসেন (১৯)।

    স্থানীয সূত্র জানায়, বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বেলাল হোসেন ও নুর হোসেন যাত্রী সেজে বান্দরবান জেলার মাঝেরপাড়া যাওয়ার নাম করে লামা বাজার থেকে আকরাম হোসেনের মোটর সাইকেল ভাড়া করে।

    মোটর সাইকেলটি সড়কের রহিম কন্ট্রাক্টরের বাগানের পাশে গেলে দুই যাত্রী সংঘদ্ধ হয়ে খুর দিয়ে আকরাম হোসেনের গলা কেটে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই চালক আকরামের মৃত্যু হয়।

    পরে মোটর সাইকেল নিয়ে পালানোর সময় সড়কের পথচারীরা ঘটনাটি দেখে স্থানীয় ক্যয়াজুপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জকে জানায়। তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকৃত মোটর সাইকেলসহ দুই ঘাতককে আটক করেন পুলিশ।

    ক্যায়াজুপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম সরকার ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, চালক আকরাম হোসেনকে খুন করে মোটর সাইকেল নিয়ে পালানোর সময় দুই জনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদ চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • ডাকাতির পর পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিতেন ওরা ১১ জন

    ডাকাতির পর পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিতেন ওরা ১১ জন

    ওরা এগারো জন। দেশের স্বার্থে বড় কোন অসাধারণ কর্মযজ্ঞে এদের কোন ভুমিকা না থাকলেও এ ১১ জনের রয়েছে মানুষ থেকে সর্বস্ব লুটে নেওয়ার প্রতিভা। বাস ও ট্রেন যাত্রীদের নিঃস করে পথে বসিয়ে তার মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে পাহাড়ের গুহায় আত্মগোপনে থাকাটা ছিলো তাদেও কৌশল।

    চট্টগ্রাম নগরীর টাইগারপাস, পাহাড়তলী ও জেলার সীতাকুণ্ড, মিরসরাই, লাকসাম, ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লাসহ বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় সুযোগ বুঝে বাস ও ট্রেনযাত্রীদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্যরা। যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও ল্যাপটপসহ দামী জিনিসপত্র লুট করে নিমিষেই পাহাড়ের গুহায় জাদুকরের মতোই হারিয়ে যায় এ ডাকাত চক্রটি।

    ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নানা অভিযানেও তাদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়ে উঠেনা। তবে গত ২ থেকে আড়াই মাস আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়া এ ডাকাতচক্রের কয়েকজন সদস্যের কাছ থেকে পুলিশ বেশ কিছু তথ্য পায়। তথ্যের ভিত্তিতে গত দুমাসে জামিনপ্রাপ্ত ডাকাত দলের সদস্যদের উপর পুলিশ নজরদারি বাড়ায়।

    আর পুলিশের নজরদারির জালে আটকা পড়ে চক্রের ১১ সদস্য। শনিবার ভোরে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার টাইগার পাস এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওরা ১১ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে দুইজন ‘গরীবের ডাক্তার’ খ্যাত সীতাকুণ্ডের আলোচিত চিকিৎসক শাহ আলম হত্যার আসামী।

    এসময় তাদের কাছ থেকে কাঠের বাটযুক্ত লোহার তৈরী দুটি দেশীয় এলজি, দুটি কার্তুজ, ২ টি কালো রংয়ের টিপ ছোরা, ১ টি লোহার তৈরী ছেনি, ৬ টি কাঠের বাটযুক্ত কিরিচ, ১ টি সাদা রংয়ের পিকআপ (ঢাকা মেট্রো-ঠ- ১১-২১৯১) ও ১টি সিলভার রংয়ের প্রাইভেট কার (চট্টমেট্রো-খ-১১-০১৫০) জব্দ করা হয়।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সীতাকুণ্ড জলিল টেক্সটাইল কুতুব মেম্বার বাড়ির শো. শফির ছেলে মো. সালাউদ্দিন (২৪), ভোলা জেলার চরফ্যাশন গোর আলা মুক্ষি বাড়ির নুরনবী সিকদারের ছেলে মো. রাজু (১৯), কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম বাসন্ডা পশ্চিম পাড়ার মৃত মো. ফরিদের ছেলে ইসরাফিল হোসেন আলম (২২), নোয়াখালী জেলার সোনাইমুরি নাটোর শহরের মৃত আলী আহাম্মদের ছেলে মো. আকবর হোসেন (২২), জি বাড়িয়া নবীনগর জাফরপুর জব্বার পুলিশের বাড়ির মো. কামালের ছেলে মো. সেলিম (২৮), নোয়াখালী মাইজদি নালা নগরের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মো. টিটু (২৫), সীতাকুণ্ড উপজেলার ইমাম নগরের কাশেম মাস্টার বাড়ির ইব্রাহিমের ছেলে মো. ইয়াসিন (২৩), কুমিল্লা চান্দিনার জোয়ার হালাল বাড়ির মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে মো. ফজর আলী (৩৫), নগরীর আকবর শাহ থানা মিরপুর আবাসিকের রাজা কমিশনারের ভাড়াটিয়া আব্দুল মালেকের ছেলে মো. সুমন (২৫), নোয়াখালি সুধারামপুর সুন্দরপুরের চেয়ারম্যান বাড়ির মো. মানিকের ছেলে মো. রহিম প্রকাশ হৃদয় (২২) ও কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোটের দাউদপুর মজুমদার বাড়ির মৃত আবুল কালামের ছেলে মো. পলাশ হোসেন (২৫)।

    শনিবার দুপরে নগরীর মোমিন রোডে মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য তুলে ধরেন নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-দক্ষিণ) শাহ মো.আব্দুর রউফ, এসি কোতোয়ালি নোবেল চাকমা। এর আগে শনিবার সকালে নগরীর কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মোহসিন ওরা ১১ জনের গ্রেফতার তথ্যটি নিশ্চিত করলেও বিস্তারিত জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

    সংবাদ সম্মেলনে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান বলেন, গ্রেফতারের পর ওরা ১১ জনই চট্টগ্রাম নগরীর সাগরিকায়, সীতাকুণ্ডের পন্থিছিলায়, মিরসরাই, ফেনীর মহিপালে, নোয়াখালী, লাকসাম ও কুমিল্লাসহ অন্তত দুশটি ডাকাতির ঘটনার কথা স্বীকার করেছে।

    তিনি বলেন, ডাকাতরা প্রতিদিন ভোরে প্রাইভেট কার ও পিকআপ ভ্যান নিয়ে নগরী ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াতো। দোকান ও প্রতিষ্ঠান টার্গেট করতো। দোকান ভাঙার বিভিন্ন সরঞ্জাম সাথে নিয়ে রাতে টার্গেটকৃত দোকান বা প্রতিষ্ঠানের তালা কৌশলে ভেঙ্গে সব লুট করে পালিয়ে যেতো।

    এছাড়াও এ ডাকাত দলের সদস্যরা বাস বা ট্রেনের সময়সূচি টার্গেট করে পাহাড়ের কাছাকাছি অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অবস্তান করতো। সময় সুযোগ বুঝে ঝাপিয়ে পড়ে যাত্রীর সর্বস্ব লুটে নিয়ে আবার পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিতেন।

    পুলিশ কর্মকর্তা মেহেদী বলেন, আড়াই বছর জেল কেটেছে এদের দলনেতা মো. সালাউদ্দিন। সম্প্রতি সে জামিনে বেরিয়ে ফের ডাকাতি চক্রের লিড দিচ্ছে। কোতোয়ালি থানা পুলিশের বিচক্ষনতায় অস্ত্র ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যান এবং প্রাইভেটকারসহ এ চক্রের ১১জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

    কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মোহসিন জানান, সশস্ত্র ডাকাত দলটি ডাকাতির উদ্দ্যেশে পিকআপ ও একটি প্রাইভেটকার নিয়ে নগরীর টাইগারপাস এলাকার জসিমের চায়ের দোকানের সামনে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ খবরে দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার সময় অভিযানে যায় কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম। এসময় পুলিশের গাড়ি দেখে ডাকাতদল তাদের ব্যবহৃত গাড়িসহ পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে ঘেরাও করে গাড়িসহ তাদের গ্রেফতার করে।

    ওসি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা শুধু ডাকাতি নয় তারা ছিনতাই কাজেও খুব পারদর্শী। এরা প্রতিদিন ভোরে বাস ও ট্রেন যাত্রীদের কাছ থেকে ছিনতাই করে থাকে। এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন নির্জন সড়কে অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের রিকশা ও সিএনজি আটকে তাদের দামী জিনিসপত্র হাতিয়ে নেন। এমনকি তাদের সাথে থাকা পাসপোর্ট ও ভিসাও হাতিয়ে নিয়ে পরবর্তীতে তা ফেরৎ নিতে বিকাশের মাধ্যমে টাকাও আদায় করেছে বলে অনেক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছে।

    ওসি মো. মোহসিন বলেন, সম্প্রতি নগরীর টাইগারপাস মোড়ে প্রাইভেট কার ব্যবহার করে দুটি ছিনতাইয়ের ঘটনার সূত্র ধরে শনিবার মধ্যরাতে চক্রটির অবস্থান নিশ্চিত করে অভিযান চালিয়ে ১১ সদস্যকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।

    এদের মধ্যে সীতাকুণ্ড জলিল টেক্সটাইল কুতুব মেম্বার বাড়ির শো. শফির ছেলে মো. সালাউদ্দিন (২৪) ও নোয়াখালী মাইজদি নালা নগরের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মো. টিটু (২৫) সীতাকুণ্ডের আলোচিত ডা. শাহ আলম হত্যাকাণ্ডের আসামি। সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের বরাতে এ তথ্যটিও নিশ্চিত করেন কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মোহসীন।