চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন উত্তাপ ছাড়িয়ে সহিংসতায় রূপ নিচ্ছে। নগরীর ১১ নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগ সমর্থক বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী মোরশেদ আক্তারের বাড়ীর সামনে প্রতিপক্ষের হামলায় তানভীর (৪২) নামে একজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। সে স্থানীয় যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল।
বুধবার (১৮ মার্চ) রাত ১১ টার দিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত তানভীর আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর মোরশেদ আকতার চৌধুরীর সমর্থক বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে মোরশেদ আকতার চৌধুরী বলেন, আমার প্রতিপক্ষ কাউন্সিলরপ্রার্থী ইসমাইলের লোকজন দলবদ্ধ হয়ে খুব দ্রুততার সাথে আমার সমর্থক ও কর্মী তানভীরকে ছুরি মেরে পালিয়ে যায়। আমি খুব কাছেই ছিলাম। ঘটনা শোনার সাথে সাথে আমি ঘটনাস্থলে আসি। তানভীরকে হাসপাতালে নিতে নিতেই সে মৃত্যুবরণ করে। ঘটনাস্থল থেকে সোহেল, নিছার, হিরণ নামের তিনজনকে দৌড়ে পালাতে দেখেছে আমার সমর্থকেরা। তারা আমার প্রতিপক্ষ কাউন্সিলর প্রার্থী ইসমাইলের সমর্থক বলে জানতে পেরেছি।
দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা সৈয়দ মো. জনি বলেন, আমরা দ্রুত এসে দেখি সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি বুঝে ওঠার আগেই সব শেষ হয়ে গেলো। তানভীর আমাদের খুব সক্রিয় কর্মী ছিল।
অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলরপ্রার্থী অধ্যাপক মো. ইসমাইল বলেন, আমি সরকার দলীয়প্রার্থী। এসব ঘটনা আমার দ্বারা সম্ভব কি? নিজেরা নিজেরা টাকার ভাগ নিয়ে হয়তো ঘটনা ঘটিয়েছে তারাই, এখন দোষ চাপাচ্ছে আমার সমর্থকদের উপর। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত এবং দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতারেরও দাবি জানান। এই ধরণের ঘটনা অনাকাঙ্খিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইনুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর রাত সাড়ে ১১টায় তানভীর মারা যায় বলে নিশ্চিত করেছেন চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জহিরুল হক।
এসআই জহির বলেন, কুপিয়ে আহত করার কারণে অধিক রক্ত ক্ষরণে তানভীরের মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।