Tag: ছুরিকাঘাত করে হত্যা

  • চট্টগ্রামে ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড় ভাই নিহত

    চট্টগ্রামে ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড় ভাই নিহত

    চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে মো. মুছা (৫৫) নামে একজন খুন হয়েছেন। শুক্রবার (৩০ জুন) সকালে দোহাজারী পৌরসভার ফুলতলা ছগির পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    পুলিশ জানিয়েছে, নিহত মুছা ও অভিযুক্ত আব্দুল বায়েজ ওই এলাকার মৃত আবদুল ওয়ারেছের ছেলে। দুজনের মধ্যে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার পর আব্দুল বায়েজ পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

    চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, লেনদেনের একটি বিষয় নিয়ে শুক্রবার সকালে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বড় ভাইকে ছুরিকাঘাত করে ছোট ভাই পালিয়ে। পরবর্তীতে আশেপাশের লোকজন এসে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

    তিনি আরও বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।

  • প্রস্রাব করতে বাধা দেওয়ায় কেয়ারটেকারের ভাইকে হত্যা

    প্রস্রাব করতে বাধা দেওয়ায় কেয়ারটেকারের ভাইকে হত্যা

    চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী থানা এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে মো. আজাদ (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। রোববার (২৮ মে) ভোরে থানার নতুন বাজার বিশ্বরোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    পুলিশ জানায়, আজাদের ভাই ওই এলাকার একটি জায়গার কেয়ারটেকার। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে জায়গাটিতে কয়েকজন প্রস্রাব করতে গেলে আজাদের ভাই তাদের বাধা দেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে বাগ-বিতণ্ডা হয়। কিছুক্ষণ পর আজাদও ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। বাগ-বিতণ্ডার একপর্যায়ে কেয়ারটেকার ও তার ভাই আজাদকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন অভিযুক্তরা।

    আজ (রোববার) ভোরে আজাদ নাস্তা আনার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। নতুন বাজার বিশ্বরোডের মুখে তাকে একা পেয়ে কয়েকজনে ঘিরে ধরে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    পাহাড়তলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হত্যাকাণ্ডে ৬ থেকে ৭ জন অংশ নেয়। তাদের নাম শনাক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাহাড়তলী থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

  • রাঙ্গুনিয়ায় ছুরিকাঘাতে এনজিও কর্মকর্তা চম্পা চাকমা নিহত

    রাঙ্গুনিয়ায় ছুরিকাঘাতে এনজিও কর্মকর্তা চম্পা চাকমা নিহত

    চট্টগ্রামে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ছুরিকাঘাতে চম্পা চাকমা (২৮) নামে এক এনজিও কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

    রোববার (৫ মার্চ) রাত সোয়া ৮ টার দিকে রাঙ্গুনিয়া থানাধীন ধামাইরহাট ওয়ান ব্যাংকের নিচে এ ঘটনা ঘটে।

    নিহত চম্পা চাকমা (২৮) রাঙ্গামাটির জেলার কোতোয়ালী থানার বন্দুক ভাঙ্গা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ছক্রছড়ি গ্রামের শান্তিময় চাকমার মেয়ে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পদক্ষেপ লালানগর শাখায় সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

    পুলিশ জানায়, হত্যাকারী হিসেবে অভিযুক্ত এনামুলের বাড়ি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার উত্তর পারুয়া গ্রামে। তিনি লাকড়ি সরবরাহের ব্যবসা করেন।

    রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহবুব মিল্কী গণমাধ্যমকে বলেন, ধামাইরহাট ওয়ান ব্যাংকের নিচে চম্পা চাকমা নামে এনজিও কর্মীকে এক যুবক গলায় ছুরিকাঘাত করে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গলার শ্বাসনালী বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে চিকিৎসক জানায়।

    তিনি আরও বলেন, হত্যাকান্ডে জড়িত যুবক এনামুলকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ পাঠানো হয়েছে।

    জানা গেছে, হত্যাকারী এনামুল তার বোনের নামে পদক্ষেপ এনজিও থেকে এক লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকার কিস্তিতে সুদসহ পরিশোধের কথা ছিল। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত তারিখে কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় এনামুলের সঙ্গে চম্পার ঝগড়া হয়।

  • সীতাকুণ্ডে ২৬ ঘণ্টা ব্যবধানে এবার দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে সিএনজি চালক খুন

    সীতাকুণ্ডে ২৬ ঘণ্টা ব্যবধানে এবার দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে সিএনজি চালক খুন

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ সীতাকুণ্ডে ২৬ ঘণ্টার ব্যবধানে এবার দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মো.একরাম হোসেন (২০) নামে এক সিএনজি অটো রিক্সা চালক নিহত হয়েছেন।

    আজ রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার পৌরসভাধীন ফায়ার সার্ভিসের সামনে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে এই ঘটনা ঘটে।

    এর আগে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার সময় পন্হিছিলা এলাকায় খুন হন খোরশেদ আলম নামে এক যুবক। নিহত সিএনজি চালক একরাম হোসেন বাড়বকুন্ড ইউনিয়নের নতুন পাড়া এলাকার মো. আবছারের পুত্র। তার শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রযেছে।

    জানা যায়, রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহাসড়কের পাশে অজ্ঞান অবস্থায় একরাম হোসেনকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পাশেই পড়ে ছিল তার চালিত সিএনজি অটোরিক্সাটি। এ সময় আশেপাশে জনতার ভিড় জমে যায়। খবর দেওয়া হয় থানায়। একই সময় একরাম হোসেনের চালিত সিএনজি অটো রিক্সার মালিকের ভাই জাহিদ হোসেন আসছিলেন চট্টগ্রাম শহর থেকে। জটলা দেখে গাড়ি থেকে নেমে তিনি একরামকে শণাক্ত করেন। পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় আহত একরাম হোসেনকে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে কুমিরা অতিক্রমকালে তার মৃত্যু হয়। সিএনজি অটো রিক্সাটি ছিনতাই করতে না পেরে চালককে ছুরিকাঘাত করে দুবৃত্তরা পালিয়ে যেতে পারে বলে স্থানীয়রা জানান।

    সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত এক সিএনজি চালককে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নেওয়ার পথিমধ্যে মারা যায়। অনেকেই ধারণা করছেন ছিনতাইকারীরা ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু ছিনতাইকারী হলে গাড়ি নিয়ে যেত। গাড়িটা সড়কের পাশে পড়ে ছিল। তদন্তের আগে কিছু বলা যাচ্ছেনা।

  • শশুর বাড়িতে প্রবাসী জামাইকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা

    শশুর বাড়িতে প্রবাসী জামাইকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা

    পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের পটিয়ার কুসুমপুরা ইউনিয়নের হরিনখাইনে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে সাইফুল ইসলাম সুমন (৩৫) নামের এক প্রবাসী ছুরিকাঘাতে নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

    গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটলেও আজ শনিবার ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই প্রবাসীর মৃত্যু হয়।

    নিহতের বড়ভাই ফারুক জানান, তার ভাই ছয় মাস আগে দুবাই থেকে দেশে আসেন। পারিবারিক সমস্যার জেরে তার ভাইয়ের স্ত্রী গত দুই মাস ধরে তার বাবার বাড়িতে ছিলেন। শুক্রবার রাতে তার ছোট ভাই সুমন শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গেলে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিলে তাকে ছুরিকাঘাত করে খুন করেছেন।

    পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন বলেন, গতকাল শুক্রবার রাতে সুমন তার শ্বশুরবাড়িতে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন। পরে আহত অবস্থায় চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হলে বিষয়টি আমরা জানতে পারি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে সুমনকে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু তার শ্বশুরবাড়ির পক্ষের লোকজনের দাবি স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার জেরে আত্মহত্যা করেছেন সুমন।

    জানা যায়, পটিয়ার কুসুমপুরা ইউনিয়নের বিনিনীহারা এলাকার আবুল কাসেমের ছেলে প্রবাসী সুমন হরিনখাইন হতে বিয়ে করেন চার বছর আগে। বিয়ের পর সুমন প্রবাসে চলে গেলে সুমনের পরিবারের সঙ্গে তার স্ত্রীর বনিবনা না হওয়ায় নিজের বাবার বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। ছয় মাস আগে সুমন দেশে ফিরলেও তার স্ত্রী বাবার বাড়িতেই থেকে আসছিলেন, সুমনও মাঝে মাঝে শ্বশুরবাড়িতে আসা-যাওয়া করছিলেন। শুক্রবার রাতে আবারও শ্বশুরবাড়ি গেলে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন সুমন। পরে শনিবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

    এদিকে ঘটনার তদন্তে পটিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন । নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে আজ শনিবার সাড়ে ছয়টার দিকে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো থানায় কোন অভিযোগ করা হয় নি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর