Tag: ছেলে

  • হাজী সেলিমের ছেলে কাউন্সিলর ইরফান গ্রেপ্তার

    হাজী সেলিমের ছেলে কাউন্সিলর ইরফান গ্রেপ্তার

    ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ এরফান সেলিমকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

    নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা মামলায় আজ সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে সাংসদ হাজী সেলিমের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    গতকাল রবিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর ধানমন্ডির কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে কয়েকজন নেমে এসে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় আজ সোমবার (২৬ অক্টোবর) ভোরে থানায় মামলা দায়ের করেন ঘটনার শিকার লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ।

    ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মামলার এজাহারে সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ এরফান সেলিম, তাঁর বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদ, হাজি সেলিমের মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো দুই-তিনজনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

    এজাহারে বলা হয়, এরফানের গাড়ি ওয়াসিফকে ধাক্কা মারার পর তিনি (লে. ওয়াসিফ) সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে আসামিরা একসঙ্গে বলতে থাকেন, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবাহিনী বের করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বের করতেছি। তোকে এখনি মেরে ফেলব’ বলে কিল-ঘুষি মারেন এবং তাঁর স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

    এজাহারে লে. ওয়াসিফ বলেন, ‘তারা আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যান। পরে আমার স্ত্রী, স্থানীয় জনতা এবং পাশে ডিউটিরত ধানমন্ডি থানার ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে উদ্ধার করে আনোয়ার খান মডেল হাসপাতালে নিয়ে যান।’

    মামলায় মোট পাঁচটি ফৌজদারি অপরাধের ধারার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অপরাধগুলো হলো দণ্ডবিধি ১৪৩ অনুযায়ী বেআইনি সমাবেশের সদস্য হয়ে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধমূলকভাবে বল প্রয়োগ করা, ৩৪১ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তিকে অবৈধভাবে নিয়ন্ত্রণ করা, ৩৩২ ধারা অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তার কাজে বাধাদানের উদ্দেশ্যে আহত করা, ৩৫৩ ধারা অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তার ওপর বল প্রয়োগ করা এবং ৫০৬ ধারায় প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া।

    আজ সোমবার সকালে মামলা দায়েরের পর ঘটনাস্থলে যান পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান এবং ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) আব্দুল্লাহ হিল কাফি।

    গতকাল রবিবার সন্ধ্যার ওই ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাস্থলে লোকজন জমে গেলে সংসদ সদস্যের গাড়িটি ফেলে পালিয়ে যান মারধরকারীরা। পরে পুলিশ এসে গাড়ি ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।

    পুলিশ জানায়, নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়েছিল ‘সংসদ সদস্য’ স্টিকার লাগানো হাজী সেলিমের গাড়ি। এরপর নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা মোটরসাইকেল থামান এবং নিজের পরিচয় দেন। এসময় হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে দুইজন ব্যক্তি নেমে এসে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমকে মারধর করেন। একপর্যায়ে ওই কর্মকর্তা আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন।

    পুলিশ সূত্র মতে, ঘটনার সময় সাংসদ হাজী সেলিম গাড়িতে ছিলেন না। তাঁর ছেলে ও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন।

    মারধরের কারণে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম বেশ আহত হন। সঙ্গে থাকা তাঁর স্ত্রীর গায়েও হাত দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। ওয়াসিম তাঁর স্ত্রীর বই কিনে মোটরসাইকেলে ফিরছিলেন। গাড়িতে হাজী সেলিমের ছেলে ও তাঁর নিরাপত্তাকর্মীসহ কয়েকজন ছিলেন বলে জানা যায়।

    ওই ঘটনায় একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া যায়। সেখানে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমের মুখে রক্ত ও আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। ভিডিওটিতে দেখা ও ধানমন্ডি থানার সামনে থাকা জব্দ হাজী সেলিমের গাড়ির নম্বর ছিল ঢাকা মেট্টো– ঘ ১১-৫৭৩৬। গাড়িটির চালককেও থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • করোনা সন্দেহে অসুস্থ পিতাকে চট্টগ্রাম থেকে বস্তাবন্দি করে গ্রামে ফেলে গেল দুই ছেলে/করুণ মৃত্যু

    করোনা সন্দেহে অসুস্থ পিতাকে চট্টগ্রাম থেকে বস্তাবন্দি করে গ্রামে ফেলে গেল দুই ছেলে/করুণ মৃত্যু

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। ডেস্ক নিউজ : করোনা আক্রান্ত সন্দেহে চট্টগ্রামের মাঝির হাট থেকে অসুস্থ জন্মদাতা পিতাকে বস্তায় ভরে গ্রামের বাড়ি পাবনার চাটমোহর উপজেলায় ফেলে গেল তারই দুই সন্তান।

    মঙ্গলবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। কিছুক্ষণ পরেই ওই ব্যক্তি মারা যান। এরপর বিকাল ৩টার দিকে গ্রামবাসী তার জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করে।

    জানা গেছে, উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের বরদানগর দক্ষিণপাড়া গ্রামের আজির উদ্দিন মুসুল্লীর ছেলে রফিক মুসুল্লী (৪৮) চট্টগ্রামে থাকা তার দুই ছেলে রাসেল মুসুল্লী ও জাহিদ মুসুল্লীর কাছে থাকতেন। ঈদের দিন রফিক মুসুল্লী অসুস্থ হয়ে পড়েন।

    এরপর তার দুই ছেলে রফিককে বস্তায় ভরে একটি মাইক্রোবাসে করে গ্রামে নিয়ে এসে বস্তাবন্দী অবস্থায় বাড়িতে ফেলে রেখে দ্রুত সটকে পড়েন দুই ছেলে। কিছুক্ষণ পরেই তার মৃত্যু ঘটে।

    ছাইকোলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অসুস্থতার কারণে রফিকের মৃত্যু হয়েছে। সে করোনায় আক্রান্ত ছিলো না।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চাটমোহর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন বলেন, ‘করোনা সন্দেহে রফিক মুসুল্লীর দুই ছেলে বস্তবন্দী করে তাকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রামের বাড়িতে ফেলে রেখে চলে যায়। তবে তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন না। ডায়াবেটিস ও অ্যাজমার রোগী ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • আশি বছরের বৃদ্ধা মায়ের জমি লিখে ঈদের দিন রাস্তায় ফেলে গেল ৩ ছেলে

    আশি বছরের বৃদ্ধা মায়ের জমি লিখে ঈদের দিন রাস্তায় ফেলে গেল ৩ ছেলে

    ২৪ ঘণ্টা জেলা সংবাদ : আশি বছরের বৃদ্ধা ছিরাতুন্নেছা। তিনি জয়পুরহাট পৌর শহরের জানিয়ার বাগান এলাকার মৃত নূর মোহাম্মদ মোল্লার স্ত্রী। তার তিন তিনটি স্বচ্ছল ছেলে থাকা স্বর্ত্তেও ঈদের দিন তাকে থাকতে হয় রাস্তায়। 

    ঈদের দিনে রাস্তায় বসে আহাজারি/ আর্তনাথ করতে দেখে অচলপ্রায় বৃদ্ধার পাশে এসে স্থানীয়রা বিষয়টি শুনে হতবাক। তারা বিষয়টি অবহিত করতে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করেন। ফোন পেয়ে পুলিশ অসহায় বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে সোমবার ২৫ মে রাতেই জয়পুরহাট কারীগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সেফ হোমে রেখে আসে।

    সোমবার রাতেই বৃদ্ধার পক্ষে তার নাত বৌ শিল্পী আক্তার বাদী হয়ে তার শ্বশুর ও চাচা শ্বশুরদের বিরুদ্ধে মামলা করলে বৃদ্ধার তিন ছেলেকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- একই এলাকার আব্দুর রাজ্জাক, মোয়াজ্জেম হোসেন ও মোজাম্মেল হক।

    জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহরিয়ার খান জানান, আটককৃতরা কৌশলে তাদের মায়ের নামের সব জমি লিখে নেন। এরপর থেকে ছেলেরা ৮০ বছরের ওই বৃদ্ধা মায়ের ভরণ-পোষণে অবহেলা, গালমন্দ, মানষিক নির্যাতনসহ তার প্রতি চরম অমানবিক আচরণ করতে থাকেন।

    এরই এক পর্যায়ে মায়ের ভরণ পোষণ কোন ছেলেই আর গ্রহণ করবেন না বলে সোমবার সকালে জয়পুরহাট-আক্কেলপুর সড়কের পাশে বৃদ্ধা মা ছিরাতুন্ন্ছোকে ফেলে রেখে চলে যান তারা। পরে ৯৯৯ নাম্বারে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা খুন

    ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা খুন

    নরসিংদীর পলাশে পারিবারিক কলহের জের ধরে ছেলের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছে বাবা। এ ঘটনার পর থেকে ঘাতক ছেলে আরিফ রয়েছে। নিহত পিতার নাম জমির উদ্দিন মোল্লা (৬২)।

    শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের চরআলী নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    ঘাতক আরিফ মোল্লা পর পর তিনটি বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করেন। এই ঘরে এক সন্তান রেখে কিছুদিন যাওয়ার পর তাকে রেখে আরেকটি বিয়ে করেন তিনি। এ নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী’র ভরণ পোষণ নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোমেন মিয়ার উপস্থিতিতে সালিশ বসে। এরই জের ধরে পিতার ওপর ক্ষিপ্ত হয় ঘাতক আরিফ।

    এদিকে বিকেলে বৈঠক শেষে বাড়ি ফেরার পথে আরিফ তার বাবাকে আটকিয়ে এলোপাথারি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান জমির উদ্দিন।

    পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত আরিফকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

  • ছেলের হাতে বাবা খুন

    ছেলের হাতে বাবা খুন

    পাবনার চাটমোহরে ছেলে ইসমাইল হোসেনের ছুড়ে মারা ইটের আঘাতে খুন হয়েছেন বাবা খন্দকার ছানোয়ার হোসেন (৫৭)।

    মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের তেবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    নিহত ছানোয়ার হোসেন ওই গ্রামের মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে এবং তিনি হরিপুর পোস্ট অফিসের পিয়ন হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

    স্থানীয়রা জানান, বিকেলে ছেলে ইসমাইলের স্ত্রীর সাথে তার মায়ের তর্ক-বিতর্ক ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এ খবর শুনে ইসমাইল বাড়িতে ফিরে তার মাকে মারতে উদ্যত হলে বাবা ছানোয়ার তাকে বাধা দেন। এ সময় তিনি লাঠি দিয়ে ছেলে ইসমাইলকে মারতে শুরু করলে তিনি দৌড় দেন। একপর্যায়ে রাস্তা থেকে ইট তুলে তার বাবাকে লক্ষ্য করে ছুড়ে মারেন ইসমাইল। মাথায় ইটের আঘাত লেগে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বাবা ছানোয়ার। এ সময় তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।

    প্রথমে তাকে হরিপুর বাজারের পল্লি চিকিৎসক রতন কুমারের কাছে নিয়ে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ নাসীর উদ্দিন জানান, লাশ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। সেই সাথে অভিযুক্ত ছেলে ইসমাইলকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

  • বাবার কবরের ওপর ছেলের টয়লেট নির্মাণ

    বাবার কবরের ওপর ছেলের টয়লেট নির্মাণ

    মুক্তিযোদ্ধা বাবার কবরের ওপর তারই ছেলের বিরুদ্ধে শৌচাগার নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। দুদিন আগে শৌচাগার নির্মাণের কাজ শুরু হলেও গতকাল রোববার বিকেলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা এটি ভেঙে দেন।

    বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বারুনিঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। মুক্তিযোদ্ধা ওই বাবার নাম আবদুস সাত্তার। ছেলের নাম আবদুর রউফ। তিনি একজন কাস্টমস কর্মকর্তা।

    পরিবারের সদস্যরা জানান, মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তার ২০১৭ সালে মারা গেলে তার ১২ শতক জমি দুই ছেলে ও দুই মেয়ে ভাগ করে নেন।

    বড় ছেলে আসাদ খান মুনির জানান, জমি ভাগাভাগি হলেও নিজের অংশ নিয়ে ছোটভাই কাস্টমস ইন্সপেক্টর আবদুর রউফ ক্ষুব্ধ ছিলেন। এর জেরে সম্প্রতি তিনি বাবার কবরের প্রাচীরের ওপর থেকে প্রাচীর তুলে শৌচাগার নির্মাণ শুরু করেন। বিষয়টি জানার পর পরিবারের সবাই বাধা দিলেও রউফ তাতে কর্ণপাত করেননি।

    স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা হযরত আলী জানান, মুক্তিযোদ্ধা বাবার কবরের ওপর টয়লেট নির্মাণ করার খবর শুনে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা সেখানে যান। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানালে তিনি কবরের ওপর তোলা টয়লেটের প্রাচীর ভেঙে ফেলার নির্দেশনা দেন। সন্ধ্যায় স্থানীয়রা প্রাচীরটি ভেঙে ফেলেছেন।

    টয়লেট নিমার্ণের বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধার ছেলে আবদুর রউফ বলেন, জমি-জমা ভাগাভাগির সময় কবরের জায়গাটা তার ভাগেই পড়েছে। কিন্তু তিনি কবর দখল করে কিছু করছেন না।

    তবে বিষয়টি স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠরা এবং মুক্তিযোদ্ধারা রোববার সন্ধ্যায় সমাধান করে দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

  • টাকার বিনিময়ে নিজ সন্তানকে বিক্রি করলো পিতা

    টাকার বিনিময়ে নিজ সন্তানকে বিক্রি করলো পিতা

    মাথার উপর ঋনের বোঝা। ঋণ পরিশোধের চাপের মাঝেই ৫২ হাজার টাকার লোভনীয় প্রস্তাব। তাই ঋণ থেকে মুক্তি পেতে নিজের বিবেক-বুদ্ধি হারিয়ে কিছু টাকার জন্য নিজের ঔরসজাত সন্তানকে বিক্রী করে দিয়ে জন্মদাতা পিতা।

    সন্তানকে বিক্রি করে ক্লান্ত হননি পিতা, কখনো কখনো অভিনয়ের ছলে সন্তানের জন্য ফেলেছেন চোখের পানিও। সামাজিকতা রক্ষায় সাজিয়েছেন ছেলে নিখোঁজের নাটক। কখনো সন্তানের জন্য নিজের বউকে পাঠিয়েছেন বৈদ্য বাড়িতে। ওঝার তাবিজ দোয়ায় সন্তানের খোঁজ মেলে এই আশাতেই মা দৌঁড়ঝাঁপ করেছেন এখান থেকে ওখানে। এভাবেই কেটে গেছে টানা তিনমাস। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার সমাপ্তি ঘটে তিনমাস পর পুলিশ ছেলেটিকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে।

    আজ ২ অক্টোবর বুধবার দুপুরে রাউজান থানা কার্যালয়ে সাত বছরের শিশু সন্তান রাব্বিকে যখন তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তখন সেখানে আনন্দ অশ্রুতে ছলছল করে উঠে মায়ের চোখ। সিনেমার গল্পকেও হার মানানো এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটে তিনমাস পূর্বে।

    শিশু রাব্বীর নিকট আত্মীয় রহিম বিন হোসেন জানান, শিশু রাব্বির পিতা কুমিল্লা নিবাসী আহসান উল্ল্যাহ পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর চাক্তাই এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। রাব্বির নানার বাড়ি মহেশখালী শাপলাপুর মিঠাখালী গ্রামে। সেখান থেকে পেশায় দিনমজুর আহসান উল্লাহর পরিচয় ঘটে রাউজানের কচুখাইন এলাকার জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তির সাথে।

    পরিচয়ের সূত্র ধরে জাকির হোসেন তার বউয়ের বড় বোন বাচু আকতারের জন্য একটি ছেলে সন্তান কেনার আগ্রহ দেখালে টাকার লোভে পড়ে আহসান উল্ল্যাহ নিজ সন্তানকে ৫২ হাজার টাকায় বিক্রী করেন। এর মাঝে পরিবারে আহসান উল্ল্যাহ তার মেয়ে নিখোঁজের কল্পকাহিনী সাজান। বাচু আকতারের সংসারে চারটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।

    টানা তিনমাস সন্তানের জন্য হণ্যে হয়ে এখানে সেখানে ছুটে বেরিয়েছেন তার মা নাছিমা আকতার। দিনে দৌঁড়ঝাপ শেষে রাতে অশ্রুচোখে নিন্দ্রাহীন চোখে তাকিয়ে থাকতেন কখন কোলে ফিরে আসবে বুকের মানিকধন। এভাবে তিনমাস অতিক্রম হওয়ার পর জাকির হোসেন রাব্বির মায়ের কাছে তার সন্তানের খবর জানিয়ে সন্তান ফেরত নিলে ৯০ হাজার টাকা দাবী করেন।

    হত-দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া নাসিমা আকতার উপায়ান্তর না দেখে অবশেষে পুলিশের শরণাপন্ন হন। নিজে স্বশরীরে রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ কেফায়েত উল্লাহর কার্যালয়ে গিয়ে ঘটনার আদোপ্যন্ত খুলে বললে ওসি বিষয়টি দেখার জন্য নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শেখ জাভেদ মিয়াকে নির্দেশ দেন।

    ১ অক্টোবর মঙ্গলবার ফোর্স নিয়ে রাতে নগরীর দিদার মার্কেট এলাকা থেকে শিশুকে উদ্ধার করে রাউজান থানা কার্যালয়ে নাছিমা আকতারের হাতে তার সন্তানকে তুলে দেওয়া হয়। এ সময় পিতা আহসান উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। মায়ের কাছে সন্তান ফিরিয়ে দেওয়ার সময় থানা চত্বরে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

    টাকার জন্য সন্তান বিক্রীর বিষয়ে পিতা আহসান উল্ল্যাহ বলেন, ঋণের দায়ে তিনি এই কাজটি করেছেন।

    রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ কেফায়েত উল্লাহ বলেন, শিশু রাব্বিকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।