Tag: ছোট ভাই

  • করোনায় মারা গেলেন রাষ্ট্রপতির ছোট ভাই

    করোনায় মারা গেলেন রাষ্ট্রপতির ছোট ভাই

    করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ছোট ভাই ও সহকারী একান্ত সচিব মুক্তিযোদ্ধা মো: আবদুল হাই (ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    বৃহস্পতিবার রাত ১ টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি মৃত্যুবরণ করেন। রাষ্ট্রপতির এডিসি আরিফুর রহমান খবরটি নিশ্চিত করেন।

    তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ৫ জুলাই রাষ্ট্রপতির ছোট ভাই আবদুল হাইকে ঢাকা সিএমএইচের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আইসিইউতে নেয়া হয়।তাকে প্লাজমা থেরাপিসহ নিবিড় চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছিল। কিন্তু চিকিৎসকদের সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে তার মৃত্যু হয়।

    মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক। তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকায় বসবাস করছিলেন। তার শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে গত ২ জুলাই নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    আবদুল হাইয়ের ছেলে ব্যবসায়ী সাইফ মো. ফারাবিও কিছুদিন আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন।

    নয় ভাই-বোনের মধ্যে আবদুল হাই ছিলেন অষ্টম। তার জন্ম হয়েছিল ১৯৫৩ সালে। আবদুল হাই রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করছিলেন। রাষ্ট্রপতির ভাই মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী শোক প্রকাশ করেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মাশরাফির ছোট ভাই মোরসালিনও করোনা আক্রান্ত

    মাশরাফির ছোট ভাই মোরসালিনও করোনা আক্রান্ত

    বাংলাদেশ জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা আগেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এবার আক্রান্ত হলেন তার ছোট ভাই মোরসালিন।

    মাশরাফির মামা নাহিদুর রহমান মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, মাশরাফির ছোট ভাই মোরসালিনও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। করোনা টেস্টে তারও পজিটিভ এসেছে। তবে পরিবারের বাকি সবাই ভালো আছে।

    নাহিদুর রহমান আরও বলেন, মাশরাফির অবস্থা এখন আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছে। তার পরিবারের সবাই সুস্থ আছে। মাশরাফি করোনা আক্রান্ত হওয়ার তার ছেলে সাহেল ও মেয়ে হুমায়রাকে আমার বাসায় রাখা হয়েছে। তারা সুস্থ আছে।

    এর আগে সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে করোনা আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে মাশরাফির ছোট ভাই মোরাসালিন বলেন, কিছুক্ষণ আগে রেজাল্ট পেলাম, আমি করোনা পজিটিভ। তবে আমার এখনও কোনো উপসর্গ দেখা দেয়নি। আপাতত ভালো আছি আমি।

    মাশরাফির স্ত্রী সুমনা হক সুমির করোনা টেস্টের রেজাল্ট এখনও আসেনি। তার রেজাল্ট বুধবার পাওয়া যেতে পারে।

    শনিবার সন্ধ্যায় করোনা আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে মাশরাফি নিজের অফিসিয়াল ফেসবুকে লেখেন, আজকে আমার করোনা রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, যাতে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • লামায় ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে বড় বোনের সংবাদ সম্মেলন

    লামায় ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে বড় বোনের সংবাদ সম্মেলন

    বান্দরবানের লামা উপজেলায় আপন ছোট ভাই কর্তৃক পৈত্রিক সম্পত্তি আত্মসাতসহ প্রাণ নাশের আশঙ্কায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন বড় বোন জোবেদা বেগম (৪০)।

    শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বেলা ১১ টার দিকে লামা প্রেসক্লাবের মিডিয়া কনফারেন্স রুমে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

    অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভাই এস.এম বদরুল বারীর সন্ত্রাসী ভূমি আগ্রাসীমূলক কর্মকান্ড ও প্রাণ নাশের হুমকির তথ্য তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতা করেন বড় বোন জোবেদা বেগম।

    বোন জোবেদা বেগম লিখিত বক্তেব্যে জানায়, তার বাবা মৃত কুতুব উদ্দিনের নামে লামা পৌরসভা এলাকার হাসপাতাল পাড়ায় ৫২ শতক জমি রয়েছে। জমির ওয়ারিশ যথাক্রমে তাদের মা, দু’ভাই ও দু’বোন। কিন্তু তাদের ভাই বদরুল বারী ও তার স্ত্রী রৌশন আরা মিলে পৈত্রিক সম্পত্তি পুরোটাই আত্মসাত করার জন্য পায়তারা শুরু করেন।

    জোবেদা বেগম জানান, ইতোপূর্বে তিনি সামাজিক সিদ্ধান্তক্রমে তার অংশে বাবার পুরাতন ঘরটিতে অবস্থান করছেন। সম্প্রতি পাকা অবকাঠামো নির্মান কাজ শুরু করলে ভাই বদরুল বারী ও তার স্ত্রী রৌশন আরা সন্ত্রাসী কায়দায় জোবেদা বেগমের কাছে মোটা অংকের টাকা অথবা তিন শতাংশ জমি দাবী করে জোরপূর্বক সাদা কাগজ কার্টিজে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে এখন কাজে বাধাঁ দিচ্ছেন।

    জোবেদা বেগম আরো বলেন, তার ভাই বদরুল বারী একজন নেশাগ্রস্থ উম্মাদ-উচ্ছৃঙ্খল। সে তার বাবার জীবদদশায় থাকাকালীন সময় পুরো সম্পত্তি নিজের নামে এককভাবে লিখে নেওয়ার চাপ প্রয়োগ ও বাবাকে একাধিকবার লাঞ্চিত করলে, বাবা কুতুব উদ্দিন ষ্টোক করেন। খবর পেয়ে অসুস্থ্য বাবাকে আমরা চট্টগ্রাম নিয়ে চিকিৎসা করাই। চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে ভাই বদরুল বারী বাবার কোন খোঁজ রাখেনি, উপরন্ত বাবার সম্পত্তি এককভাবে আত্মসাতের ষড়যন্ত্র শুরু করেন। বর্তমানে বদরুল বারী ও তার স্ত্রীর রৌশন আরার উগ্র আচরণে জোবেদা বেগম অসহায় ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

    তিনি আশংকা করেন, তার ভাই ও ভাই’র স্ত্রী যে কোন সময় তার উপর হামলা চালাতে পারে।