Tag: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

  • করোনা টিকা: এনআইডিহীন শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়েছে জবি

    করোনা টিকা: এনআইডিহীন শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়েছে জবি

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) যেসব শিক্ষার্থীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই তাদেরকে জন্ম নিবন্ধনের তথ্যাদি নিজ স্টুডেন্ট পোর্টালে লগইন করে ইনপুট করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি এনআইডি কার্ডধারী শিক্ষার্থীদেরও রেজিষ্ট্রেশন করে জরুরি ভিত্তিতে টিকা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

    শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ ওহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব বিষয় জানানো হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ টিকা প্রদান সাপেক্ষে খুব দ্রুতই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ সে প্রেক্ষিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত/গবেষণারত যে সকল শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র আছে তাদেরকে সরাসরি www.surokkha.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে নিবন্ধন করে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হবে।

    আরও বলা হয়, ১৮ বা ১৮ বছরের বেশি বয়সের শিক্ষার্থীদের যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তাদেরকে জন্মনিবন্ধন নম্বর নিজ নিজ স্টুডেন্ট পোর্টালে লগইন করে নির্ধারিত লিংকে আগামী ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তথ্যাদি ইনপুট করতে হবে। পরবর্তীতে তাদের জন্মনিবন্ধনের তথ্যাদি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে www.surokkha.gov.bd ওয়েবসাইটে সংযুক্ত করার পর তারাও একই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টিকা গ্রহণের জন্য রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবে।

    এছাড়া যাদের জন্মনিবন্ধন সনদ নেই তাদেরকে জরুরি ভিত্তিতে জন্মনিবন্ধন করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এর পূর্বে গত ৩ থেকে ১০ জুন এবং ১৮ থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত টিকার জন্য শিক্ষার্থীদের তথ্য নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

    এন-কে

  • দুই সেমিস্টারের পরীক্ষা নেওয়ার পরই খুলবে জবি

    দুই সেমিস্টারের পরীক্ষা নেওয়ার পরই খুলবে জবি

    আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজস্ব একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে খোলা যাবে। তবে সেমিস্টার পরীক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে এখনই বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।

    আজ বুধবার এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে আলাপকালে এমন তথ্য জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ।

    অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সামনে পরীক্ষা যেহেতু আছে এখন ক্লাস হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। পরীক্ষাটা হচ্ছে এখন প্রধান বিষয়। দুই সেমিস্টার হওয়ার পরই বিশ্ববিদ্যালয় খোলার চিন্তা ভাবনা। এর আগে ক্লাস হওয়ার সম্ভাবনা দেখছি না, সম্ভব না।’

    কোষাধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘আসলে পরীক্ষাটাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। তাই একসঙ্গে পরীক্ষা নেওয়া, ক্লাস নেওয়া সম্ভব না।’

    গতকাল ১৪ সেপ্টেম্বর দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ টিকার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে, এরপর দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলা যাবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    এন-কে

  • নতুন ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নে জবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ

    নতুন ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নে জবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের মাষ্টারপ্ল্যানসহ সকল উন্নয়ন প্রকল্প নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ও দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় উপাচার্যের কক্ষের সামনে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

    এ সময় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর একটি স্বারকলিপি প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করেন ও তাদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

    স্বারকলিপিতে তারা বলেন, বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমের খবরে আমরা জানতে পেরেছি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নতুন ক্যাম্পাসের প্রকল্পের তিন দফায় মেয়াদ বাড়লেও এখন পর্যন্ত মাষ্টারপ্ল্যানের কোম্পানী নিয়োগ হয়নি। কোম্পানী নিয়োগে জটিলতা তিন বছরে মাস্টারপ্ল্যান কোম্পানী নিয়োগ দিতে পারেনি। আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাস্টারপ্ল্যান নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে একটি চিঠি প্রেরণ করা হবে বলে আমরা জেনেছি।

    আরও জানা যায়, ২০১৯ সালে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন: ভূমি অধিগ্রহন ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের জন্য ২৯ কোটি ৫৮ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরবানাকে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগে সুপারিশ করা হয়। গত ১১ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০২০-২১ আর্থিক বার্ষিক কর্মসূচির সভায় নতুন ক্যাম্পাস প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগ ও মাস্টার প্লান প্রনয়নের জন্য ক্রয় প্রক্রিয়া পিপিআর অনুযায়ী না হওয়ায় বিষয়টি মন্ত্রনালয় থেকে অনুমোদন দেয়নি। পরবর্তীতে মাস্টারপ্ল্যানের কাজের জন্য সিঙ্গেল চয়েজের ভিত্তিতে আরবানা কোম্পানীকে প্রায় ৫ কোটি টাকায় কাজ করার জন্য নির্দিষ্ট করে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু নিয়মের ব্যতয় ঘটায় এ সিদ্ধান্তও বাতিল করা হয়।

    ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টারপ্লানের একটি চিত্র উপস্থাপন করা হয়। ২০২১ সালের ৩ জুন মাস্টারপ্ল্যানের কোম্পানী নিয়োগে জটিলতা ও অনিয়মের কারণে পুরো প্রক্রিয়া বাতিল করেন। গত ২৩ আগস্ট মাস্টারপ্লানের জন্য পূনঃদরপত্র আহ্বানের কথা থাকলেও পূনঃবিজ্ঞপ্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাহায্যে মাস্টারপ্লানের কাজের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিন দফায় বৃদ্ধি হয়েছে। মাস্টারপ্লান না হওয়ায় লেক নির্মানের টেন্ডার বাতিল হয়েছে। আটকে আছে পুরো কাজ। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এই কাজটি না করা গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ আরও দীর্ঘায়িত হবে।

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস প্রকল্প পরিচালক এ বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। মাস্টারপ্ল্যানের কাজ টেন্ডারের মাধ্যমে হলে নতুন ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত করা যাবে। মাস্টারপ্ল্যান প্রক্রিয়াটির কাজ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে যাবে। এভাবে কাজটি করলে অনেক দীর্ঘায়িত হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমরা এবিষয়টি নিয়ে শঙ্কিত। অতএত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নতুন ক্যাম্পাসের মাস্টারপ্ল্যানসহ সকল উন্নয়ন কাজ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় দ্রুত বাস্তবায়ন করতে আপনার সুদৃষ্টি কামনা করছি।

    শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের প্রাণের স্পন্দন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের নতুন ক্যাম্পাসের জন্য কেরানীগঞ্জে জায়গা বরাদ্দ দেয়ার পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো মাস্টারপ্ল্যান ঠিক হয়নি। এখন আবার মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় না করলে অনেক দীর্ঘ সময় চলে যাবে শুধু মাস্টারপ্ল্যান ঠিক করতে। এতে করে ৫-৭ বছর আর কোনো কাজই হবে না। এজন্য আমরা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দাবি জানাচ্ছি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অতি দ্রুত সকল উন্নয়ন কাজের কার্যক্রম শুরু করতে হবে।

    এন-কে

  • ভিসিরা এখন রাষ্ট্রপতির স্বপ্ন না দেখে যুবলীগ সভাপতি হবার স্বপ্ন দেখেন

    ভিসিরা এখন রাষ্ট্রপতির স্বপ্ন না দেখে যুবলীগ সভাপতি হবার স্বপ্ন দেখেন

    ভাইস চ্যান্সেলরের মতো মহিমান্বিত পদকে জনগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মীজানুর রহমান কলুষিত করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।

    তিনি বলেন, ‘একদা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভাইস চ্যান্সেলররা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর বা দেশের রাষ্ট্রপতি হবার স্বপ্ন দেখতেন। আর এখন তারা যুবলীগের সভাপতি হবার স্বপ্ন দেখেন।’

    রবিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

    রিজভী বলেন, ‘এই আওয়ামী জাহেলিয়াতের আমলে অবস্থা এতটাই বিপর্যয়কর অবস্থায় পৌঁছেছে, এই দেশে এখন একজন উপাচার্য পদের চেয়ে যুবলীগের নেতা হওয়াকে বেশি গৌরবজনক মনে করে। গণভবনের আনুকূল্য একজন উপাচার্যকে কতটা রুচিহীন, অমার্জিত ও অসংস্কৃত করে তুলতে পারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মিজানুর রহমান তার উদাহরণ।’

    তিনি বলেন, ‘এই উন্মাদ একনায়কতন্ত্রের যুগে আমাদের রাষ্ট্র, সমাজ ও চিন্তা-চেতনায় যে পচন ধরেছে, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আকাংখা তারই নগ্ন বহিঃপ্রকাশ। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ী ও সম্ভ্রমপূর্ণ বিদ্যাপীঠ গড়ে তোলার বদলে ভাইস চ্যান্সেলরের দিবাস্বপ্ন যুবলীগের চেয়ারম্যান হওয়া। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পদ ভাইস চ্যান্সেলরের মতো মহিমামন্বিত পদকে কলুষিত করলেন জনগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মিজানুর রহমান।’

    তিনি আরও বলেন, ‘জুয়া-ক্যাসিনো ও অবৈধ টাকা মিশ্রিত একটি প্রতিষ্ঠানের নাম হয়ে পড়েছে যুবলীগ। স্বাধীনতাত্তোর জেলা শহরগুলোতে যুবলীগের নেতারা ছিলেন মূর্তিমান আতঙ্ক। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ পেয়েও মিজানুর রহমান এখনও যুবলীগ তথা ক্যাসিনো লীগের প্রেসিডিয়ামের ১ নম্বর সদস্য হিসাবে আছেন ! এই পদটা ছাড়েননি ! কতটা নির্লজ্জ, নির্বোধ ও দলকানা হলে ভিসির মতো পদ ছেড়ে তিনি যুবলীগের সভাপতি হতে চান!

    এ থেকে স্পষ্ট যে, মিজানুর রহমানরা ক্যাসিনোর হিসাবটা বুঝে গেছেন, এখন নতুন সম্রাট হতে তিনি খুবই আগ্রহী! উনি যোগ্য ছিলেন যুবলীগের হাতুড়ী বাহিনীর নেতা হওয়ার। উনাকে করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। দীর্ঘদিনের শ্রদ্ধা-সম্ভ্রমের এই পদটিকে কলঙ্কিত করছে ড. মিজান। এই সরকারের পচনটা মাথায়।’

    রিজভী বলেন, ‘সরকার এখন কুশিক্ষা-অশিক্ষায় একটি দলীয় বুদ্ধিজীবী শ্রেণী তৈরি করার ব্রত নিয়েছে। ফলে প্রথিতযশা শিক্ষাবিদদের অবজ্ঞা করে উপাচার্য করা হচ্ছে নিরুচীর দলীয় কর্মীদের। ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির গর্ব ১০ টাকায় চা-সিঙ্গারা, রাজশাহীর ভিসির স্বপ্ন জয় হিন্দ প্রতিষ্ঠা, বুয়েটের ভিসি হল ডরমেটরিতে তার পালিত ক্যাডারদের হাতে আবরার ফাহাদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে বলে অনাকাঙ্খিত মৃত্যু। সমাজের এই চরম অবক্ষয়ের জন্য দায়ী জবাবদিহিহীন রাষ্ট্র ব্যবস্থা। যে রাষ্ট্র দখল করে আছে একটি ভোট ডাকাত অবৈধ সরকার। তাদের বিদায় না ঘটানো পর্যন্ত এই পচন বন্ধ করা সম্ভব নয়।’

  • জবির ভিসি লুটপাট করতে ‘যুবলীগের’ দায়িত্ব পেতে চান’

    জবির ভিসি লুটপাট করতে ‘যুবলীগের’ দায়িত্ব পেতে চান’

    লুটপাট করতেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য (ভিসি) মীজানুর রহমান যুবলীগের দায়িত্ব পেতে চান বলে মন্তব্য করেছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

    শনিবার(১৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়া মুক্তি পরিষদ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য এ মন্তব্য করেন। আয়োজক সংগঠনের সহসভাপতি তাজুল ইসলাম গাজীর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    ‘প্রতিহিংসার বিচারে বন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি’ শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে পত্রিকায় দেখলাম, আরো দুর্ভাগ্যজনক। আমি আকাশ থেকে পড়েছি। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলর বলতে পারেন, কোন একটি রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি পদ যদি তাকে দেয় তাহলে উনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলরের পদ ছেড়ে দিতে পারেন। চিন্তা করেন।

    তিনি বলেন, আজকে পত্রিকায় দেখলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মীজানুর রহমান ঘোষণা করেছেন, যদি যুবলীগের দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয় তাহলে তিনি উপাচার্যের দায়িত্ব ছেড়ে দিতে পারেন! ধিক, লজ্জা। সমাজ কোথায় গেয়েছে। যে ভাইস চ্যান্সেলর এই ধরণের যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের শাসন করবেন। তার চোখ রাঙ্গানীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রকম্পিত থাকবে- সে যুবলীগের দায়িত্ব পেতে চান! কি জন্য? কারণ যুবলীগের দায়িত্বে গেলে ক্যাসিনো চালানো যায়। যুবলীগের দায়িত্বে গেলে টেন্ডার…। চিন্তা করেন, একজন ভাইস চ্যান্সেলরের লক্ষ্য কি হয়ে গেছে। যদি যুবলীগের প্রেসিডেন্ট হতে পারে তাহলে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের ব্যবস্থা আছে। ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে হয়তো সেটা নাই।

    দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে মন্তব্য করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আজকে অনেকগুলো ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গেছে। ব্যাংক থেকে যারা ঋণ নিচ্ছেন, তারা আর ঋণ ফেরত দিচ্ছেন না। এই ঋণ নিচ্ছেন আওয়ামী লীগের ব্যবসায়ী ও সমর্থক গোষ্ঠীরা। আর খেলাপি না দিয়ে সরকার তাদেরকে আরো সুযোগ করে দিয়েছে। ফলে ব্যাংকগুলো আজকে খালি হয়ে গেছে।

    বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, দেশ পরিচালনার জন্য সরকারের কাছে যে রাজস্ব থাকা দরকার (গত ৫ বছরের তিনগুন ট্র্যাক্স বাড়ানোর পরও) তা তাদের কাছে নাই। এজন্য দেশ পরিচালনা করতে বেসরকারি ও আধাসরকারি খাতের টাকা সরকার নিয়ে যাচ্ছে। এরপরও যখন পারছে না তখন প্রধানমন্ত্রী বলছেন, মহাসড়কেও টোল বসানো হবে। তাই বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, তারা সরকার চালাতে পারছে না। কেনো পারছে না? কারণ কেউ কাউকে সহযোগিতা করছেন না।

  • জবিতে ছাত্রদলের মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা

    জবিতে ছাত্রদলের মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা

    বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার হত্যার বিচার দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিলে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। এ সময় ছাত্রলীগের মারধরে ছাত্রদলের দুজন গুরুতর জখম হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    বুধবার সকাল ৯টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় জবি ছাত্রদলের দুই নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

    শিক্ষার্থীরা জানান, কেন্দ্রীয় প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলায় সমবেত হয় এবং সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে থেকে আবরার হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি নিয়ে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি অবকাশ ভবনের সামনে আসলে পেছন থেকে শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়।

    এ ঘটনায় জবি ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক আলী হাওলাদার ও ছাত্রদল কর্মী জাহিদকে কোতোয়ালি থানায় আটক করা হয়েছে। এছাড়া জবি ছাত্রদলের সহসভাপতি মিজানুর রহমান নাহিদকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং যুগ্ম-সম্পাদক মিজানুর রহমান শরীফকে সুমনা হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যলয় ছাত্রদল সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, আবরার হত্যার প্রতিবাদ ও ছাত্রদলের ক্যাম্পাসে নিয়মিত যাওয়ার কর্মসূচি হিসাবে ক্যাম্পাসে গেলে ছাত্রলীগ আমাদের ওপর হামলা করে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের ক্যাম্পাস, আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আমরা নিয়মিত আসবো। এত কেউ বাধা দিল এর জবাব ক্যাম্পাসেই দেয়া হবে।

    এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) মওদুদ বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দু’গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হচ্ছিল। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা ছাত্রদলের দুজনকে আটক করেছি। তারা আমাদের হেফাজতে রয়েছে।