চারদিকে সাজসাজ রব, ফেস্টুন-ব্যানারে দুই সপ্তাহ ধরেই উৎসবমুখর চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড মাঠের চারপাশ। বিভিন্ন ধরনের টুপি, গেঞ্জিসহ নানা রঙের পোশাক পরে মাঠে আসছেন নেতাকর্মীরা।
আজ রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে ঘিরে সকাল থেকেই আসতে শুরু করেছেন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আজ সকাল ১০টায় সিআরবি, ওয়াসা, কোতোয়ালি মোড়, টাইগারপাস, নিউমার্কেট, কাজির দেউড়ি মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পলোগ্রাউন্ডে যেতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা। এ সময় নেতাকর্মীদের লাল-সবুজের পতাকা হাতে ও টুপি মাথায় উচ্ছ্বসিত দেখা যায়। ঢোল-বাদ্যের তালে তালে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে দিচ্ছেন বিভিন্ন স্লোগান।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লালখানবাজার মোড় এলাকায় দেখা যায়, রাউজান উপজেলা সমাবেশস্থলে রওনা দিয়েছে একটি বড় মিছিল। এ সময় তাদের হাতে দেখা গেছে পতাকা, পানির বোতল ও শুকনো খাবার।
মিছিলে যোগ দেওয়া মোহাম্মদ হারুন পাশা ও মোহাম্মদ মুছা বলেন, আমরা রাউজান থেকে সকালে এসেছি। সকালে দামপাড়া নেমেছি। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে পলোগ্রাউন্ডের দিকে যাচ্ছি।
চন্দনাইশ থেকে আসা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা হাসান মো. মঈনউদ্দিন কালবেলাকে বলেন, কমলা কালারের টুপি পরে মিছিল নিয়ে জনসভায় যাচ্ছি। ১০ বছর পর চট্টগ্রামে কোনো জনসভায় নেত্রীকে দেখব আজ। খুবই খুশি লাগছে।
নগরীর প্যারেড ময়দানসহ যেসব স্পটে পার্কিং স্পেস করা হয়েছে, সেগুলোতেও বাস, মিনি ট্রাক, পিকআপ ঢুকতে শুরু করেছে। সমাবেশ শেষে তারা আবার ফিরে যাবেন এখান থেকেই।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সকাল সাড়ে ১০টা) চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিভিন্ন পরিবহনে আরও নেতাকর্মী ঢুকছেন শহরের প্রবেশমুখগুলো দিয়ে।
উপজেলার পাশাপাশি নগরের নেতাকর্মীর উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো। পলোগ্রাউন্ডে আসা নেতাকর্মীরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে ভোরেই রওনা দিয়েছেন তারা। সঙ্গে রেখেছেন মুড়ি, বিস্কুট, পানিসহ শুকনো খাবার। উদ্দেশ্য মাঠের খুব কাছ থেকেই নেত্রীকে একপলক দেখবেন, শুনবেন বক্তব্য।
পাহাড়তলী ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা সুফিয়ান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি সকাল থেকেই। মঞ্চের কাছাকাছি থেকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে একনজর দেখতেই এসেছি। সঙ্গে আমার বাবাও এসেছেন।
প্রায় ১০ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের ঐহিত্যবাহী পলোগ্রাউন্ডের সমাবেশ ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে নেতাকর্মীর মধ্যে। আরও দুই সপ্তাহ আগে থেকেই চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা সাজিয়ে তোলা হয়েছে ফেস্টুন-ব্যানারে। পলোগ্রাউন্ডের জনসভায় বিকেল ৩টায় বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিন ৩০টি প্রকল্প উদ্বোধন হবে প্রধানমন্ত্রীর হাতে। এ ছাড়া চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি। এর আগে সবশেষ ২০১২ সালে চট্টগ্রাম নগরীতে জনসভায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর প্রায় ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছেন চট্টগ্রামের নেতাকর্মীরা। অবশ্য ২০১৮ সালের মার্চে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।