Tag: জন্মদিন

  • শেখ রাসেলের জন্মদিন আজ

    শেখ রাসেলের জন্মদিন আজ

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন আজ, ১৮ অক্টোবর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের এ দিনে ধানমন্ডিতে জন্মগ্রহণ করেন।

    শিশু রাসেলের জীবন সম্পর্কে শিশু-কিশোরদের কাছে তুলে ধরতে তার জন্মদিনকে ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে তৃতীয়বারের মতো পালিত হচ্ছে ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২৩’। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’।

    শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

    শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের ছাত্র ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার শত্রু ঘৃণ্য ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পাননি শিশু শেখ রাসেল। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে পিশাচরা নির্মমভাবে তাকেও হত্যা করেছিল।

    শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

    শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে।

    আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন ‘শেখ রাসেল দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

  • শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন আজ

    শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন আজ

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন আজ বুধবার।

    ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ ফজিলাতুন নেছার ঘর আলো করে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের নেতৃত্ব দেওয়া শেখ হাসিনাকে এখন দক্ষিণ এশিয়ারই অন্যতম সেরা নেতা মনে করা হয়।

    জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী জন্মদিনে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তার অনুপস্থিতিতেই দিনটি উৎসবমুখর পরিবেশে নানা কর্মসূচি উদযাপন করবে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।

    কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। কেন্দ্রীয়ভাবে এদিন বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

    এর আগে সকাল ১০টায় ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে (বাসাবো, সবুজবাগ) বৌদ্ধ সম্প্রদায়, সকাল ৯টায় খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (সিএবি) মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে এবং বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন করবে। এসব কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

    একই দিনে ঢাকাসহ সারাদেশে সব সহযোগী সংগঠন আলোচনা সভা, আনন্দ র‌্যালি, শোভাযাত্রা, দোয়া মাহফিল, বিশেষ প্রার্থনা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীসহ দিবসটির তাৎপর্য অনুযায়ী যথাযথ স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিধি মেনে বিভিন্ন কর্মসূচি করবে।

    আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে, তার নেতৃত্বে অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে একটি রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করেছেন।

    সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনেও শেখ হাসিনা বিশ্বনেতাদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতায় পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের আশ্রয় দিয়ে সারাবিশ্বে হয়েছেন প্রশংসিত। বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।

    রাজনৈতিক বিশ্লেকদের মতে, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই করোনা মহামারির মধ্যেও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এশিয়ার প্রায় সব দেশের ওপরে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্ব, সময়োচিত পদক্ষেপ, মানুষের জন্য আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা, অর্থনীতিকে বাঁচাতে প্রণোদনা ঘোষণা এবং বাস্তবায়নের কারণে দেশে অনাহারে একজন মানুষেরও মৃত্যু হয়নি। খাদ্যের জন্য কখনো কোথাও হাহাকার হয়নি।

    শেখ হাসিনার সরকারের আমলেই বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি ও একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ শেষ করা সম্ভব হয়েছে। সংবিধান সংশোধনের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরায় প্রতিষ্ঠা, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি এবং সমুদ্রে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ব্লু ইকোনমির নতুন দিগন্ত উন্মোচন হয়।

    তার সরকার ভারতের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন ও ছিটমহল বিনিময়, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে মহাকাশ জয়, সাবমেরিন যুগে বাংলাদেশের প্রবেশ, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন নতুন উড়াল সেতু, মহাসড়কগুলো ফোর লেনে উন্নীত করে।

    প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত, দারিদ্র্যের হার হ্রাস, মানুষের গড় আয়ু প্রায় ৭৪ বছর চারমাসে উন্নীত, যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন, সাক্ষরতার হার ৭৫ দশমিক ৬০ শতাংশে উন্নীত করা, বছরের প্রথম দিনে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে নতুন বই পৌঁছে দেওয়া, মাদরাসা শিক্ষাকে মূলধারার শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা ও স্বীকৃতি দান, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, প্রত্যেকটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ, নারীনীতি প্রণয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, ফাইভ-জি মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার চালুসহ অসংখ্য ক্ষেত্রে কালোত্তীর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

    ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রবক্তা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহণের পর থেকে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যদিয়ে দলকে সুসংগঠিত করেন। ১৯৯৬ সালে প্রথম, ২০০৮ সালে দ্বিতীয়, ২০১৪ সালে তৃতীয় এবং ২০১৮ সালে চতুর্থবারের মতো নির্বাচনে জয়লাভ করে দলকে দেশের নেতৃত্বের আসনে বসাতে সক্ষম হন।

    দাদা শেখ লুৎফর রহমান ও দাদি সাহেরা খাতুনের অতি আদরের নাতনি শেখ হাসিনার শৈশব-কৈশোর কেটেছে টুঙ্গিপাড়ায়। শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রেহানা ও শেখ রাসেলসহ তারা পাঁচ ভাই-বোন। বর্তমানে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছাড়া কেউই জীবিত নেই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মা শেখ ফজিলাতুন নেছাসহ সবাই ঘাতকদের নির্মম বুলেটে নিহত হন।

    শেখ হাসিনার শিক্ষাজীবন শুরু হয় টুঙ্গিপাড়ার এক পাঠশালায়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে পরিবারকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। তখন পুরান ঢাকার রজনী বোস লেনে ভাড়া বাসায় ওঠেন তারা।

    বঙ্গবন্ধু যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভার সদস্য হলে সপরিবারে ৩ নম্বর মিন্টো রোডের বাসায় তারা বসবাস শুরু করেন। শেখ হাসিনাকে ঢাকার টিকাটুলির নারী শিক্ষা মন্দিরে ভর্তি করা হয়। এখন এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি শেরেবাংলা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে খ্যাত। শুরু হয় তার শহর বাসের পালা।

    তিনি ১৯৬৫ সালে আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ১৯৬৭ সালে ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়) থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন। ওই বছরেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সে ভর্তি হন এবং ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

    শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সরকারি ইন্টামেডিয়েট গার্লস কলেজের ছাত্রী সংসদের সহসভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ওই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরের বছর সভাপতি হন।

    তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর ছাত্রলীগের সদস্য হন। পরে তিনি রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। ছাত্রজীবন থেকেই শেখ হাসিনা সব গণআন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

    বঙ্গবন্ধুর আগ্রহে ১৯৬৮ সালে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনার বিয়ে হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের করাচিতে নিয়ে যাওয়ার পর গোটা পরিবারকে ঢাকায় ভিন্ন এক বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখা হয়।

    অবরুদ্ধ বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই শেখ হাসিনা গৃহবন্দি অবস্থায় তার প্রথম সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়ের মা হন। ১৯৭২ সালের ৯ ডিসেম্বর কন্যাসন্তান সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের জন্ম হয়।

    শেখ হাসিনাকে একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়। এ হামলায় তিনি বেঁচে গেলেও সমাবেশে আসা ২৪ জন নিহত হন। এছাড়া অন্তত ৫০০ নেতাকর্মী আহত হন।

    শিল্প সংস্কৃতি ও সাহিত্য অন্তঃপ্রাণ শেখ হাসিনা লেখালেখিও করেন। তার লেখা ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩০টিরও বেশি।

    প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- শেখ মুজিব আমার পিতা, সাদা কালো, ওরা টোকাই কেন, বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম, দারিদ্র্য দূরীকরণ, আমাদের ছোট রাসেল সোনা, আমার স্বপ্ন আমার সংগ্রাম, সামরিকতন্ত্র বনাম গণতন্ত্র, আর্ন্তজাতিক সর্ম্পক উন্নয়ন, বিপন্ন গণতন্ত্র, সহে না মানবতার অবমাননা, আমরা জনগণের কথা বলতে এসেছি, সবুজ মাঠ পেরিয়ে ইত্যাদি।

    ২৪ঘণ্টা/বিআর

  • ডা.শাহাদাতের জন্মদিনে কোতোয়ালী থানা ছাত্রদলের দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

    ডা.শাহাদাতের জন্মদিনে কোতোয়ালী থানা ছাত্রদলের দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

    আজ মঙ্গলবার (২ জুন) চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের ৫৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে কোতোয়ালী থানা ছাত্রদলের উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

    ডা. শাহাদাত হোসেনের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু এবং সাফল্য কামনায় আয়োজিত উক্ত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে কোতোয়ালী থানা ছাত্রদল নেতা আরশে আজিম আরিফের সভাপতিত্বে।

    এতে উপস্থিত ছিলেন ৩২ নং আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডে বিএনপি মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী নুর মোহম্মদ লেদু, ৩২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আবুল বশর, মহানগর ছাত্রদল নেতা সৌরভ প্রিয় পাল, কোতোয়ালী থানার ছাত্রদল নেতা ইয়াকুব আলী জুয়েল, ৩২ নং আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড ছাত্রদল সাধারন সম্পাদক মহিউদ্দিন খান রাজিব, কোতোয়ালী থানা ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম, ২১ নং জামালখান ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা রিফাত হোসেন সহ নেতৃবৃন্দ।

    উল্লেখ্য যে, ডাক্তার শাহাদাত হোসেন একজন সজ্জন ব্যাক্তি ও পরিছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে চট্টগ্রামবাসীর মনে ইতিমধ্যেই স্থান করে নিয়েছেন। রাজনীতিবিদ হওয়া সত্ত্বেও পেশায় তিনি একজন চিকিৎসক হওয়ার দরুন, তিনি জনগণের সেবায় আরো বেশি ভুমিকা পালন করছেন। করোনার কারণে স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিনি বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ছিলেন। করোনার সময়ে কর্মহীন নগরবাসীর সেবায় তাঁর ভুমিকা অনস্বীকার্য।

     

  • বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব ববির আজ জন্মদিন

    বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব ববির আজ জন্মদিন

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। জাতীয় ডেস্ক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য দৌহিত্র, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার একমাত্র পুত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি’র জন্মদিন আজ।

    ১৯৮০ সালের ২১ মে জন্মগ্রহণ করা রাদওয়ানের আজ ৪০ বছর পূর্ণ হল। লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স থেকে গভর্নেন্স অ্যান্ড হিস্ট্রি বিষয়ে স্নাতক রাদওয়ান একই প্রতিষ্ঠান থেকে কমপ্যারেটিভ পলিটিক্স বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেন তিনি।

    তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় রাদওয়ানের মেজো বোন টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য। তাদের বাবা শফিক আহমেদ সিদ্দিক দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন।

    রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরআইয়ের ট্রাস্টি হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি দেখভাল করেন। সিআরআইয়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইয়ং বাংলার মাধ্যমে তরুণদের ক্ষমতায়ন ও উদ্বুদ্ধকরণের কাজ করছেন তিনি।

    এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর ‍জীবনী গ্রাফিক্যাল উপস্থাপনার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ‘গ্রাফিক নভেল মুজিব’ প্রকাশের প্রধান কারিগর ও প্রকাশক রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।

    বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রকাশের পর শিশু-কিশোর ও তরুণদের কাছে তার ঘটনাবহুল জীবন নতুন রূপে তুলে ধরার জন্য বইটিকে গ্রাফিক নভেলে রূপ দেওয়ার উদ্যোগ নেন তিনি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিখ্যাত ব্যক্তিদের নিয়ে গ্রাফিক নভেল হলেও বাংলাদেশে এ ধরনের উদ্যোগ এটাই প্রথম।

    একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার দুই মেয়ে কীভাবে জীবনসংগ্রাম করেছেন সেসব ঘটনা নিয়ে ডকুড্রামা ‘হাসিনা: অ্যা ডটার টেইল’ নির্মাণের নেপথ্যে ছিলেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। এর মাধ্যমে রাজনৈতিক ইতিহাসের ঘটনাবলী সামনে আনার প্রকল্পগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা করছেন তিনি। গ্রাফিক নভেল মুজিব ও ডটারস টেইল দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে।

    রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক পেশাগত জীবনে একজন স্ট্র্যাটেজি পরামর্শদাতা। তিনি স্ট্র্যাটেজি ও যোগাযোগ বিষয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও সরকারি সংস্থাকে পরামর্শ দেন।

    জীবনের একটা বড় অংশ দেশের বাইরে কাটালেও রাদওয়ান মুজিব তার মায়ের পরিবারের রাজনৈতিক আবহ ও আদর্শ নিয়েই বড় হয়েছেন। এখন বেশ কয়েক বছর ধরে দেশেই কাটাচ্ছেন বেশিরভাগ সময়।

    তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ সভাপতি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলে ফ্রস্ট অব দ্য ওয়ার্ল্ড এর স্যার ডেভিডকে রাদওয়ান মুজিবের দেওয়া সাক্ষাৎকার ওই গ্রেফতারের বিরুদ্ধে বিশ্ব জনমত গড়তে বড় ভুমিকা রাখে। এ সময়ে সরাসরি রাজনীতির বাইরে থেকে দেশ গড়ার কাজে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন তিনি।

    বড় খালা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশ পরিচালনায় গবেষণাভিত্তিক তথ্য ও তত্ত্ব দিয়ে সহযোগিতা করছেন। তার সুযোগ্য নেতৃত্ব ও পরামর্শে পরিচালিত সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) থেকে এ কাজগুলো করা হচ্ছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • শুভ জন্মদিন মোজার্ট অব মাদ্রাজ

    শুভ জন্মদিন মোজার্ট অব মাদ্রাজ

    সুরের এক বিস্ময়কর জাদুকরের নাম এ আর রহমান। সংগীতের কোন নির্দিষ্ট ধারায় তাঁকে ফেলা যায় না। তাঁর গান যুগযুগ ধরে শ্রোতাদের আচ্ছন্ন করে রেখেছে। আজ ৬ জানুয়ারি ভারতীয় এ সঙ্গীতশিল্পীর ৫৩তম জন্মদিন।

    ১৯৬৭ সালের ৬ জানুয়ারি মাদ্রাজের (বর্তমান চেন্নাই) এক শৈব হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পারিবারিক নাম ছিল এ এস দিলীপ কুমার, ধর্মান্তরের পর নাম রাখা হয় আল্লাহ রাখা রহমান, সংক্ষেপে এ আর রহমান। সাংসারিক জীবনে তার সহধর্মিনীর নাম সায়রা বানু। রহমান-বানু দম্পতির ঘরে রয়েছে তিন সন্তান খাদিজাহ, রহিমা ও আমান। এ আর রহমানের বাবা আর কে শেখর মুধালিয়ার ছিলেন মালায়ালাম মুভির একজন মিউজিক কম্পোজার ও কন্ডাক্টর। তার মায়ের নাম ছিল কস্তুরি (মুসলিম হওয়ার পরে তার নাম হয় করিমা বেগম)।

    মাত্র ছয় বছর বয়সে পিয়ানো হাতে নেন রহমান। তাঁর নয় বছর বয়সে বাবা মারা গেলে গোটা পরিবার আর্থিক টানাপোড়েনে পড়ে। সংগীতের যন্ত্রপাতি ভাড়া দিয়ে সংসার চলত তাঁদের।

    সত্তরের দশকে মাদ্রাজের বিশিষ্ট সংগীতগুরু ছিলেন মাষ্টার ধনরাজ। বাবার বন্ধু বলেই তাঁর কাছে কিছুকাল গানের তালিম নেন রহমান। মাত্র ১১ বছর বয়সে কিবোর্ড বাদক হিসেবে কাজ শুরু করেন সেসময়ের প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক ইলিয়ারাজার সঙ্গে। রহমানের বন্ধুরাও ছিল সব গানপাগল। বন্ধু শিবমনি, জন অ্যান্থনি ও রাজাকে নিয়ে ‘রুটস’নামে একটি ব্যান্ড গঠন করেন।

    সাধারণ শ্রোতাদের পাশাপাশি ব্যকরণ জানা শ্রোতারাও আচ্ছন্ন হন রহমানের গান শুনে। ব্যকরণ জানা শ্রোতাদের কাছে তিনি এক জটিল ধাঁধা। সান্তানা থেকে সুফিয়ানা অর্থাৎ হিন্দুস্তানি সুরের সঙ্গে পশ্চিমা সুর এমনকি জাপানি পেন্টাটনিক সুরের অদ্ভুত সমন্বয় ফুটে ওঠে তাঁর গানে।

    রহমান তার মিউজিক ক্যারিয়ার শুরু করেন টিভি বিজ্ঞাপন এর মিউজিক করে। তিনি ৫ বছরে ৩০০ এরও বেশি বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেল করেছেন। ১৯৮৯ সালে তিনি নিজের স্টুডিও চালু করেন।

    কিছু বিজ্ঞাপনের অ্যাওয়ার্ড ফাংশন এর মাধ্যমে পরিচালক মণি রত্নম এর সাথে পরিচয় হয় রহমানের। নিজের কিছু বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেল রত্নম কে শোনান। রত্নম তাঁর কাজ খুব পছন্দ করেন এবং তাঁর পরিচালিত ‘রোজা’ ছবির সংগীতের দায়িত্ব দেন। রোজা ছবির অবিস্মরণীয় সাফল্যের পর রহমানকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

    মোজার্ট অব মাদ্রাজ এ আর রহমান

    গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক এ আর রহমানকে অনেকেই ভালবেসে মোজার্ট অব মাদ্রাজ নামে ডাকেন। তার জীবনের অন্যতম অর্জন আসে ২০০৯ সালে। ওই বছর ৮১তম অস্কার আসরে ড্যানি বয়েলের আলোচিত সিনেমা ‘স্লামডগ মিলিনিয়র’র মিউজিক কম্পোজার হিসেবে সেরা অরিজিনাল মিউজিক স্কোর ও সেরা অরিজিনাল সং ‘জয় হো’র জন্য ডাবল অস্কার জেতেন।

    এ আর রহমানের সঙ্গীত কৌশল বলিউডকে দিয়েছে নতুন ধরনের সাঙ্গীতিক অভিজ্ঞতা। তারই স্বীকৃতিতে মণি রত্নমের ‘রোজা’ সিনেমার দুটি গান জিতেছিল দুটি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড। জিতেছেন একটি বাফটা, গোল্ডেন গ্লোব, চারটি ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ও ফিল্মফেয়ারসহ অসংখ্য পুরস্কার। এ ছাড়া ২০০৯ সালে টাইম ম্যাগাজিনের জরিপে বিশ্বের সেরা ১০ প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের তালিকায় তার নাম স্থান পায়। ২০১০ সালে রাষ্ট্রীয় উপাধি ‘পদ্মভূষণ’ অর্জন করেন। সম্প্রতি ব্রিটেনভিত্তিক একটি ম্যাগাজিন তাকে ‘টুমরোস মিউজিক আইকন’ উপাধি দিয়েছে।

    বিস্ময়কর এ আর রহমানের যে কোনো কম্পোজিশন বের হওয়ার আগেই সুপারহিট। তার প্রতিটি গানই একটি স্বতন্ত্র শিল্প। সাধারণ স্রোতারা তাঁর সুরে যেমন মুগ্ধ, তেমনি মুগ্ধ যারা গানের ব্যকরণ জানেন-তারাও। গানের ব্যকরণ জানা সুধীজনের কাছে রহমান আজও এক ধাঁধা। তাঁর সুরে যেমন তামিল আমেজ থাকে, তেমনি হিন্দুস্থানী ঘরাণায় তাঁর দখল বিস্ময়কর। তাঁর কম্পোজিশনে পশ্চিমা সুর তো আছেই, সেই সঙ্গে জাপানি পেন্টাটনিক সুর উঁকি দেয়। পাঞ্জাবি সুফি পপ থেকে শুরু করে তাঁর কম্পোজিশনে বাংলার বাউল সুরের প্রয়োগে রীতিমতো বিস্মিত হয়ে যেতে হয়। এ সব মিলিয়ে এ আর রহমান এক অতলান্ত সাঙ্গীতিক বিস্ময়।

    প্লে ব্যাক বা চলচ্চিত্রে গান গেয়ে এ আর রহমান এর আত্মপ্রকাশ বম্বে (তামিল, ১৯৯৫) ছবিতে। এর আগে তিনি অনেক গানে কোরাস এ কন্ঠ দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রথম কোন গানে পূর্নাঙ্গ ভূমিকা পালন করেন বম্বে সিনেমার হাম্মা হাম্মা গানটিতে। মুভি বোম্বের (১৯৯৫) তু হি রে.. গানটি এবং বোম্বে থিম মিউজিক ট্র্যাকটি এ তার অনন্য দু’টি সৃষ্টি। তার সেরা অধিকাংশ ট্র্যাক বা মুভিই প্রথমে তামিল ভাষায় করা, যা পরে হিন্দিতে ডাব করা হয়েছে। সেই ১৯৯২ সাল থেকে ২০০৯ পর্যন্ত তিনি তামিল, তেলেগু, হিন্দি, মালায়ালাম, মারাঠি, কানাড়া, ম্যান্ডারিন ও ইংরেজি ভাষায় উপহার দিয়েছেন দুই শতাধিকেরও (ডাবিং ও সিঙ্গেলসহ) বেশি অ্যালবাম। ১৯৯৭ সালের ১৫ আগস্ট তার কন্ঠে প্রথম অ্যালবাম বের হয় বন্দে মাতরম শিরোনামে সনি মিউজিক কোম্পানির পক্ষ থেকে। বন্দে মাতরম মাইলস্টোন অ্যালবামটি শুধু ইন্ডিয়াতে তখন বিক্রি হয়েছিল ১.২ কোটি পিস! ১৯৯৯ সালে জার্মানির মিউনিখে কনসার্টে মাইকেল জ্যাকসনের সঙ্গে পারফর্ম করেছেন তিনি।

    ২০০২-এ বিশ্ববিখ্যাত কম্পোজার অ্যান্ড্রু লয়েড ওয়েবারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রিলিজ দেন তার প্রথম স্টেজ প্রডাকশন বোম্বে ড্রিমস। ২০০৭ সালে তাজমহলকে দ্য নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্স-এ স্থান পাইয়ে দেয়ার জন্য প্রমোশন হিসেবে ওয়ান লাভ গানটি ৬টি ভাষায় রিলিজ দেন।

    তার মিউজিক করা উল্লেখ করার মতো হিন্দি মুভিগুলো হলো বোম্বে (১৯৯৫), রঙ্গিলা (১৯৯৫), দিল সে.. (১৯৯৮), তাল (১৯৯৯), লগান (২০০১), সাথিয়া (২০০২), রাঙ্গ দে বাসন্তী (২০০৬), গুরু (২০০৭), যোধা আকবর (২০০৮), জানে তু… ইয়া জানে না (২০০৮), স্লামডগ মিলিয়নেয়ার (২০০৮), ইয়ুভরাজ (২০০৮), গজনি (২০০৮), দিল্লি-৬ (২০০৯) ইত্যাদি।

    কম্পোজিশনের পাশাপাশি তিনি একজন অসাধারণ ভোকালিস্টও; হাইপিচ, স্পিরিচুয়ালিটি তার কণ্ঠের অনন্য বৈশিষ্ট্য। এ আর রহমানের কণ্ঠের প্রথম গান মুভি বোম্বের (১৯৯৫) হাম্মা হাম্মা। তবে বন্দে মাতরাম (বন্দে মাতরাম), লুকা ছুপি (রাঙ্গ দে বাসন্তী), তেরে বিনা (গুরু), খাজা মেরে খাজা (যোধা আকবর), ও… সয়া (স্লামডগ মিলিয়নেয়ার), রেহনা তু (দিল্লি-৬) ইত্যাদি ট্র্যাকগুলোকে তার ভোকাল মাস্টার পিস বলা যেতে পারে।

    তিনিই একমাত্র ইন্ডিয়ান মিউজিশিয়ান, যার অ্যালবাম বিশ্বজুড়ে ২০ কোটি কপির চেয়েও বেশি বিক্রি হয়েছে।

  • বন্ধুর জন্মদিনে অ্যালকোহল পানে তিন ছাত্রের মৃত্যু, আশঙ্কাজনক ৩

    বন্ধুর জন্মদিনে অ্যালকোহল পানে তিন ছাত্রের মৃত্যু, আশঙ্কাজনক ৩

    কুষ্টিয়ায় বন্ধুর জন্মদিনে কোমল পানীয় স্পিডের সঙ্গে অ্যালকোহল মিশিয়ে পান করে বিকেএসপির বাস্কেট বল খেলোয়ারসহ তিন কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। একই কারণে তাদের আরও তিন বন্ধু অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

    বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে পাঁচটার থেকে রাত সাড়ে ৭টার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

    নিহতরা হলেন- শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে ও বিকেএসপির বাস্কেট বল খেলোয়ার জাহিদুর রহমান সাজিদ (১৯), থানাপাড়া এলাকার আরমান আলীর ছেলে পাভেল (২০) এবং কুঠিপাড়া এলাকার সাগরের ছেলে ফাহিম (১৮)।

    গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও তিন বন্ধু। তারা হলেন সুরুজ (২০), শান্তি (১৮) ও আতিকুল (২১)।

    উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের রাজশাহী মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে বলে জানান কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার।

    হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে পাভেল, সাজিদ, শান্ত, ফাহিম, আতিকুল ও সুরুজ নামে একে একে ছয়জন প্রায় কাছাকাছি বয়সের ছেলে অসুস্থ হয়ে জরুরি বিভাগে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা পাকস্থলী ওয়াসসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন। চিকিৎসারত অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়। শিক্ষার্থীরা সবাই কুষ্টিয়া ইসলামীয়া কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র।

    চিকিৎসাধীন শান্ত বলেন, দুপুর ২টার দিকে বন্ধু সুরুজের জন্মদিনের পার্টি উপলক্ষ্যে শহরের প্রধান সড়ক সংলগ্ন পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে কেক কাটাসহ পার্টির আয়োজন ছিলো। সেখানে কোমল পানীয় স্পিডসহ হালকা কিছু খাবার ব্যবস্থা ছিলো। আতিকুল ইসলাম কটা নামের এক বন্ধু হোমিওপ্যাথি দোকান থেকে একটি শিশিতে অ্যালকোহল নিয়ে আসে। ওইটা কোমল পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে আমরা সবাই পান করি। খাওয়া দাওয়া শেষে আড্ডা দিয়ে বাড়ি চলে যাই। বেলা তিনটার দিকে আমি চরমভাবে পেটে ব্যাথাসহ শ্বাসকষ্টেভুগে অসুস্থ হয়ে পড়ি। হাসপাতালে আসার পর দেখি আমরা যে কয়জন পার্টিতে ওই পানীয় খেয়েছিলাম তারা সবাই অসুস্থ হয়ে এখানে এসেছে।

    আতিকুল ইসলাম কটা শহরের কোনো একটি হোমিওপ্যাথি দোকান থেকে নিউ লাইফ ল্যাবরেটরি ঢাকা বাংলাদেশ লেভেল যুক্ত একটি তরল কেমিক্যালের বোতলে (caconite nap) নামের কেমিকেল নিয়ে সবাই মিলে তা পান করেছেন বলে চিকিৎসকদের জানিয়েছেন রোগীরা। ব্যবহৃত খালি সেই বোতলটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    কুষ্টিয়া জেনারেল হাসাপাতালে তদন্তের দায়িত্ব পালনকালে থানার উপ-পরিদর্শক সামছুর রহমান বলেন, বিষক্রিয়ায় এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

    কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এরা সবাই তরুণ। তারা অ্যালকোহলজাতীয় দ্রব্য কোথায় পেল বা কে বিক্রি করল বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে।

  • রাউজানে সাংবাদিক পুত্রের জন্মদিনে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে কোরআন ও কিতাব বিতরণ

    রাউজানে সাংবাদিক পুত্রের জন্মদিনে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে কোরআন ও কিতাব বিতরণ

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : রাউজানের পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের হামজার পাড়া জামে মসজিদ ফোরকানিয়া মাদ্রাসার আরবী অধ্যায়নরত সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে পবিত্র কোরআন শরীফ, নূরানী কায়দা কিতাব বিতরণ ও দোয়া মাহফিল ২২ নভেম্বর আলহাজ্ব এ.কে.এম ফরিদ আহমেদের সভাপতিত্বে ও মহিউদ্দীন লিংকনের সঞ্চালনায় হামজার পাড়া জামে মসজিদ ফোরকানিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে উপস্থিত ছিলেন হামজার পাড়া জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্ব আবদুল মাবুদ, পূর্ব গুজরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল কায়ুম, দৈনিক ভোরের কাগজের রাউজান প্রতিনিধি সাংবাদিক এম. রমজান আলী, পূর্ব গুজরা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, জামাল উদ্দিন জনি, মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, মোহাম্মদ আবু ফয়েজ, হাফেজ মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আজাদ।

    সভায় ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় আরবী অধ্যায়রত শতাধিক সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে পবিত্র কোরান শরীফ ও নূরানী কায়দা কিতাব বিতরণ করা হয়। সভা শেষে দেশ ও জাতির সুখ, শান্তি, ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

    উল্লেখ্য দৈনিক ভোরের কাগজ ও সাপ্তাহিক স্লোগান পত্রিকার রাউজান প্রতিনিধি সাংবাদিক এম রমজান আলী ও ফাতেমা ইয়াছমিন দম্পত্তির একমাত্র পুত্র সন্তান রাওনাফ বিন আলী (আরাফ) এর ২য় জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে ব্যতিক্রমী এই আয়োজন করেন সাংবাদিক রমজান আলী। পুত্রের উজ্জল ভবিষ্যত কামনা করে জন্য তিনি সকলের কাছে দোয়া চেয়েছন।

  • শুভ জন্মদিন রুনা লায়লা

    শুভ জন্মদিন রুনা লায়লা

    আজ উপমহাদেশের প্রখ্যাত গায়িকা রুনা লায়লার ৬৭তম জন্মদিন। পাঁচ দশকের দীর্ঘ সঙ্গীত জীবনে ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান করেছেন দমাদম মাস্ত কালান্দার খ্যাত এই গুণী তারকা শিল্পী। কুড়িয়েছেন উপমহাদেশের কোটি মানুষের ভালোবাসা।

    রুনা লায়লা ১৯৫২ সালে সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন রুনা লায়লা। বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা আনিতা সেন ওরফে আমেনা লায়লা ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী। তার মামা সুবীর সেন ভারতের বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী।

    রুনা লায়লার যখন আড়াই বছর বয়স তার বাবা রাজশাহী থেকে বদলি হয়ে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের মুলতানে যান। সে সূত্রে তার শৈশব কাটে পাকিস্তানের লাহোরে। সঙ্গীতভূবনে পাঁচ দশক কাটিয়ে ফেলে এখনও সেরা হয়েই বিচরণ করছেন এই শিল্পী।

    দীর্ঘ সঙ্গীত জীবনে ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান করেছেন। কুড়িয়েছেন উপমহাদেশের কোটি মানুষের ভালোবাসা। তার দমাদম মাস্ত কালান্দার গান উপমহাদেশ বিখ্যাত। আজ জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ভাসছেন রুনা লায়লা। জন্মদিনের আগেই সুরকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

    ‘একটি সিনেমার গল্প’ সিনেমার একটি গানের সুর করে এ পুরস্কার পান তিনি। এছাড়া জন্মদিনের আগে নিজের সুর-কণ্ঠে প্রকাশ পেয়েছে ‘ফেরাতে পারিনি’ শিরোনামের নতুন গানের ভিডিও। এদিকে ২২ নভেম্বর কলকাতায় অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ ভারতের দিবারাত্রির ক্রিকেট টেস্ট ম্যাচ শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন রুনা লায়লা।

    এসব মিলিয়ে ৬৭তম জন্মদিনটি বিশেষ হয়ে রইল এ গুণী শিল্পীর জন্য। ছোটবেলায় পাকিস্তানের ‘যুগ্নু’ ছবিতে প্রথম প্লেব্যাক করেন রুনা লায়লা। ১৯৭৪ সালে প্রয়াত সত্য সাহার সুরে ‘জীবন সাথী’ ছবিতে গান দিয়ে বাংলাদেশের ছবিতে প্রথম প্লেব্যাক করেন। এরপর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অসংখ্য ছবির গানে একচেটিয়াভাবে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।

    নন্দিত এই শিল্পী অভিনয় করেছেন ‘শিল্পী’ নামক চলচ্চিত্রেও। পেয়েছেন নানা পুরস্কার। এসবের মধ্যে রয়েছে দেশ থেকে পাঁচবার জাতীয় চলিচ্চত্র পুরস্কার, স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার। এছাড়া ভারত থেকে পেয়েছেন সায়গল পুরস্কার। পাকিস্তান থেকে অর্জন করেছেন নিগার, ক্রিটিক্স, গ্র্যাজুয়েটস পুরস্কারসহ জাতীয় সঙ্গীত পরিষদ স্বর্ণপদক। নব্বইয়ের দশকে গিনেস বুকে স্থান পান এই গুণী শিল্পী।

    সুর সম্রাজ্ঞী রুনা লায়লাকে ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ পরিবারের পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

  • আজ প্রকাশকের জন্মদিন

    আজ প্রকাশকের জন্মদিন

    পাঠক প্রিয় অনলাইন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজের প্রকাশক নুর মোহাম্মদ রানার জন্মদিন আজ।

    নুর মোহাম্মদ রানা রাউজানের হলুদিয়া ইউনিয়নের উত্তর সর্তা গ্রামের মরহুম নুরুল ইসলামের পাঁচ সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে।

    নুর মোহাম্মদ রানা সাংবাদিক,কলামিস্ট,প্রাবন্ধিক এবং সুফী বক্তা হিসেবে বেশ পরিচিত। তিনি দীর্ঘদিন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভির চট্টগ্রাম অফিসে রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে দৈনিক ভোরের দর্পন পত্রিকার চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান এবং জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ২৪ ঘন্টা ডট নিউজের প্রকাশক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।

    তিনি আলামিয়া নুর ইসলাম স্মৃতি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম রিপোটার্স ফোরামের সদস্য, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেনশন চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন।

    তার জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন, সামাজিক সংগঠন , ব্যক্তিবর্গ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

    ব্যাক্তি জীবনে দুই পুত্র ও এক কণ্যা সন্তানের জনক। তার স্ত্রী একজন সু-গৃহিণী। ওনার আম্মাজান বেঁচে আছেন।

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ পরিবার এর পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা অভিনন্দন ও শুভ কামনা।আগামীর অগ্রযাত্রা সফলতার প্রত্যাশায় শুভ জন্মদিন।

    তিনি সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন।

  • ফজলে করিম এমপি’র জন্মদিন : দোয়া মাহফিল ও এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ

    ফজলে করিম এমপি’র জন্মদিন : দোয়া মাহফিল ও এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ

    রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর জন্মদিন উপলক্ষে রাউজানে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে খতমে কোরআন, দোয়া মাহফিল ও এতিম, গরীব ও দু:স্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

    সকালে রাউজান সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মসজিদে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাজী আব্দুল ওহাব, সি. সহ সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন চৌধুরীসহ দলের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

    চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপির জন্মদিন উপলক্ষে পৌরসভা যুবলীগ, ছাত্রলীগ, রাউজান উপজেলা যুবলীগ,ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ করা হয়।

    সোশ্যাল সার্সেস ইউনিয়ন অব রাউজানের পক্ষ থেকে কদলপুর ইউনিয়নের কাদেরিয়া তৈয়বিয়া এতিমখানায় খতমে কোরআন এতিমদের মাঝে খাবার বিতর করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আহবায়ক মহিউদ্দিন ইমন, যুগ্ম আহবায়ক দিদারুল আলম, আহমেদ সৈয়্যদ, সদস্য সচিব তপন দে, সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের সভাপতি সাইদুল ইসলাম, সম্পাদক ইমতিয়াজ জামাল নকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মঈনুদ্দিন জামাল চিশতিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

    রাউজান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও রাউজান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাউজান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম আব্দুর রশিদ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি আরমান সিকদার, সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদসহ অন্যান্যরা উপসস্থিত ছিলেন।

    উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নে অনলাইন এ্যাক্টিভিটিস গ্রুপ অব রাউজানের উদ্যোগে এতিমখানায় খাবার বিতরণ করেন আওয়ামীলীগ নেতা জিয়াউল হক চৌধুরী সুমন। তাছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সাংসদের জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

  • আজ তোফায়েল আহমেদের জন্মদিন

    আজ তোফায়েল আহমেদের জন্মদিন

    মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের নায়ক তোফায়েল আহমেদের ৭৭তম জন্মদিন আজ।

    ১৯৪৩ সালের ২২ অক্টোবর দ্বীপজেলা ভোলার কোড়ালিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

    পিতা আজহার আলী ও মাতা ফাতেমা খানম ছিলেন এলাকার সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। ১৯৬৪ সালে ভোলা শহর নিবাসী সম্ভ্রান্ত বংশীয় আলহাজ মফিজুল হক তালুকদারের জ্যেষ্ঠা কন্যা আনোয়ারা বেগমের সঙ্গে তিনি পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন।

    তারা এক কন্যাসন্তানের জনক-জননী। তাদের কন্যা তাসলিমা আহমেদ জামান মুন্নী চিকিৎসক, জামাতা তৌহিদুজ্জামান তুহিন খ্যাতনামা কার্ডিওলজিস্ট- বর্তমানে স্কয়ার হসপিটালে কর্মরত।

    তোফায়েল আহমেদ ভোলা সরকারি হাইস্কুল থেকে ১৯৬০ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ থেকে আইএসসি ও বিএসসি পাস করেন যথাক্রমে ১৯৬২ ও ১৯৬৪ সালে। পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে এমএসসি পাস করেন।

    কলেজ জীবন থেকেই তোফায়েল আহমেদের রাজনীতিতে পথচলার শুরু। ১৯৬৭ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত ডাকসুর ভিপি ছিলেন তিনি। এ সময়টাতে চারটি ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত ছয় দফাকে ১১ দফায় অন্তর্ভুক্ত করে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেন।

    এর আগে দীর্ঘ প্রায় ৩৩ মাস কারাগারে আটক বঙ্গবন্ধুসহ ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’র সব রাজবন্দিকে নিঃশর্ত মুক্তিদানে তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ তুমুল গণআন্দোলন গড়ে তোলে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুসহ সব রাজবন্দিকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী। পরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে জাতির পিতাকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৯৬৯-এ তিনি ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালের ৭ জুন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।

    তিনি ছিলেন ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং ‘মুজিব বাহিনী’র অঞ্চলভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত চার প্রধানের একজন। ১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় তাকে রাজনৈতিক সচিব নিয়োগ করেন। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি এ পদে বহাল ছিলেন। ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে নিজ জেলা ভোলা থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে দেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার প্রতিষ্ঠার পর প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় রাষ্ট্রপতির বিশেষ সহকারী নিযুক্ত হন।

    ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর প্রথমে গৃহবন্দি ও পরে ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর তাকে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘ ৩৩ মাস তিনি কারান্তরালে ছিলেন।

    ১৯৭৮-এ কুষ্টিয়া কারাগারে অন্তরীণ থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। দীর্ঘ ১৪ বছর তিনি সফলভাবে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

    ১৯৭০-এ পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ, ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে সর্বমোট ৮ বার তিনি এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৯২তে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন এবং দীর্ঘ ১৮ বছর এ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

    ১৯৯৬-এ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের গণরায়ে দীর্ঘ ২১ বছর পর মহান জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের নেতৃত্ব প্রদানকারী দল আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব লাভ করে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ‘জাতীয় ঐকমত্যের সরকারে’ তিনি শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। অর্পিত দায়িত্ব সাফল্যের সঙ্গে যথাযথভাবে পালন করে দেশ-বিদেশে রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেন।

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য, সাবেক শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদকে রাজনৈতিক জীবনে ব্যাপক সংগ্রাম ও বিস্তর বন্ধুর পথ অতিক্রম করতে হয়েছে। আজও তিনি তার সংগ্রামী জীবনে সততা, মেধা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও বাগ্মিতার কারণে সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করে জনকল্যাণমূলক রাজনীতির অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন।

  • জন্মদিনে শেখ রাসেলের সমাধিতে আ’লীগের শ্রদ্ধা

    জন্মদিনে শেখ রাসেলের সমাধিতে আ’লীগের শ্রদ্ধা

    ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বিপথগামী হায়েনাদের বুলেটের আঘাতে সপরিবারে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধু। এ হত্যাযজ্ঞ থেকে বাদ যায়নি বঙ্গবন্ধু পরিবারের সর্ব কনিষ্ঠ সদস্য শেখ রাসেলও। সে রাতে তাকেও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। আজ ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেলের ৫৫তম জন্মদিন৷

    এ উপলক্ষে শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেলের সমাধিস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা শেখ রাসেলের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

    এ সময় মতিয়া চৌধুরী, মাহবুব উল আলম হানিফ, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, হাছান মাহমুদ ও জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ জ্যেষ্ঠ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

    এরপর বঙ্গবন্ধু ও তার কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্ট রাতে যারা নিহত হন, তাদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন তারা।

    আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা লীগ, তাঁতি লীগ, ছাত্রলীগসহ দলটির অন্যান্য অঙ্গ, সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে শেখ রাসেলের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

    শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ এবং এর অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।