Tag: জন্মদিন

  • শুভ জন্মদিন মাশরাফি

    শুভ জন্মদিন মাশরাফি

    মাশরাফি বিন মর্তুজা। বাংলাদেশের ক্রিকেটের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। একজন জীবন্ত কিংবদন্তি। তারই হাত ধরে নতুনভাবে পথ চলতে শুরু করেছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট। দেশের ক্রিকেটকে যিনি নিয়ে গেছেন সম্মানজনক এক উচ্চতায়। সেই লড়াকু সৈনিক বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক,বর্তমান সাংসদ নড়াইল এক্সপ্রেসখ্যাত মাশরাফি বিন মর্তুজার শুভ জন্মদিন আজ।

    ১৯৮৩ সালের আজকের এই দিনে নড়াইলের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা। তবে শুধু মাশরাফিরই নয়, মজার বিষয় হলো ছেলে সাহেলের জন্মও একই দিনে। ২০১৪ সালের এই দিনে ঢাকায় জন্ম হয় তার ছেলে সাহেলের। একই দিন পিতা-পুত্রের জন্মদিন।

    ব্যাট আর বল হাতে টিম টাইগারদের নেতৃত্বদানকারী এ ক্যাপ্টেন ইতোমধ্যে পার করে ফেলেছেন ৩৬টি বসন্ত। আজ শনিবার তার ৩৭তম বসন্তে দিলেন।

    মাশরাফি ও ছেলে সোহেলর আজ একই দিন জন্মদিন

    মাশরাফি প্রতিটি পদক্ষেপ হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেয় সবার, তার একটুখানি থেমে যাওয়ায় থেমে যায় পুরো দেশ। বল হাতে তিনি দৌড়ালে আনন্দে উদ্ভাসিত হয় প্রতিটি মানুষ। সাধারণ মানুষকে কেউ পছন্দ করে, কেউবা অপছন্দ করে। এটাই স্বাভাবিক। তবে এই মানুষটিকে অপছন্দ করে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তিনি কোটি বাঙালির ভালোবাসার মানুষ।

    ডানহাতি ব্যাটসম্যান, বোলিংয়ের ধরন ডানহাতি মিডিয়াম পেশ বোলার মাশরাফি। এ দেশের ক্রিকেটকে অন্যতম এক স্তম্ভে পৌঁছে দেওয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি কৃতিত্বের দাবিদার যে মানুষগুলো তাদের মধ্যে অন্যতম একজন মাশরাফি। ডাক নাম কৌশিক হলেও ম্যাশ, সুপারম্যাশ, নড়াইল এক্সপ্রেস, পাগলা, গুরু… এমন হরেক নামেই ভক্তকুলের কাছে পরিচিত তিনি।

    নানাবাড়িতেই মাশরাফির বড় হওয়া। নিজের বাসা থেকে নানাবাড়ি ৫ মিনিট দূরত্বের হওয়ায় বিশেষ কোনো অসুবিধাও হয়নি থাকতে। খেলার প্রতি মাশরাফির আগ্রহ ছিল ছোটবেলা থেকে। বাড়ির পাশের স্কুল মাঠে বড়দের ক্রিকেট খেলতে দেখে ক্রিকেটের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হয় তার। দাঁড়িয়ে থাকতেন উইকেট কিপারের পাশে। ছোট মানুষ আহত হবে ভেবে বড়রা তাকে সরিয়ে দিত। হয়ত তখন থেকেই শিশু মাশরাফি ভবিষ্যতের চিত্রপটে সাজাতেন বাংলাদেশ ক্রিকেট জগতকে!

    ফুটবল আর ব্যাডমিন্টন বেশ পছন্দ করতেন মাশরাফি। পছন্দের কাজের তালিকায় ছিল চিত্রা নদীর বুকে দাপিয়ে বেড়ানো আর সাঁতার কাটা। বাইক চালাতে ভালো লাগে মাশরাফির। আর তাইতো প্রায়ই নড়াইলের স্থানীয় ব্রিজের এপার ওপার বাইকে চক্কর দেন। নিজের শহর, শহরের মানুষগুলোকে ভীষণ ভালোবাসেন মাশরাফি। প্রতিদানে নিজেও পেয়েছেন নিখাদ ভালোবাসা। তাইতো নড়াইলে খ্যাতি মিলেছে ‘প্রিন্স অব হার্টস’ উপাধির।

    যার বোলিং নৈপুণ্যে বার বার হতবাক হই আমরা সেই মাশরাফি কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ে পছন্দ করতেন ব্যাটিং। যদিও বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম সারির উইকেট শিকারি বোলার তিনি এবং সমর্থকদের কাছে ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ নামে পরিচিত।

    ২০০১ সালে টেস্টের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলে অভিষেক ঘটে মাশরাফির। ২০০৯ পর্যন্ত এই ফরম্যাটে খেলেছেন মোট ৩৬টি ম্যাচ। আদায় করেছেন ৭৮টি উইকেট। অবসরের ঘোষণা না দিলেও টেস্টে হয়তো আর ফিরবেন না তিনি।

    একই বছর ওয়ানডেতে অভিষেক ঘটে এই গতি তারকার। সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনাল পর্যন্ত ২১৭টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে তুলে নিয়েছেন ২৬৬টি উইকেট। ২০১৭ সালে টি-টোয়েন্টিতে অবসর নেওয়া মাশরাফির সংগ্রহ ৫৪ ম্যাচে ৪২টি উইকেট।

    শরীরের জোর থেকে যার মনের জোর বেশি তিনি মাশরাফি। নিজের প্রচণ্ড কঠিন মানসিক শক্তির বলে বার বার থেমে গিয়েও আবার সামনে এগিয়েছেন। ইনজুরি নামক ক্যারিয়ারঘাতী বিপদকে অভিষেক থেকে সঙ্গী করে চলছেন এই পেশার। বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন ইনজুরিকে। হাসপাতালের ভয়ানক ছুরি-কাঁচি আর সার্জারিকে তোয়াক্কা না করে বারবার নামছেন সবুজ গালিচার মাঠে। দৌড়ে যাচ্ছেন নিজের দলের জন্য, নিজের দেশের জন্য।

    কোনো দলের বিপক্ষে যত বার মাঠে নেমেছেন তার চেয়ে বেশি বোধহয় দাঁড়িয়েছেন ইনজুরির বিপক্ষে। কতশত বার যে মাশরাফি ইনজুরিতে কাতরাতে কাতরাতে মাঠ ছেড়েছেন তার হিসেব করলে ভুল করবেন যে কেউ। তবু বারবার ফিরে এসেছেন তিনি, নতুন শক্তিতে, নতুন উদ্যমে। অবশ্য যে মানুষটির প্রতিটি হৃৎস্পন্দন জুড়ে দেশ আর দেশের মানুষ, এমন দুঃসাহস তো তাকেই মানায়!

    বার বার বাদ পড়ে দলে ফেরত আসার জন্য ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিকে ‘কামব্যাক কিং’ নামে ডাকা হর। বার বার ইনজুরিতে পড়েও বীরদর্পে প্রত্যাবর্তন করা মাশরাফিকে তবে কী বলে ডাকা উচিত?

    মাশরাফির চিকিৎসক অস্ট্রেলিয়ান শল্যবিদ ডেভিড ইয়াং। ২০০৩ সাল থেকে মাশরাফির দেখভালের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। প্রতিবার মাঠে খেলতে নামেন মাশরাফি আর চমকে ওঠেন ডেভিড। অবিশ্বাস্য চোখে বলে ওঠেন, এও কী সম্ভব! এমন ইনজুরি থেকে সদ্য সেরে ওঠা একজন মানুষ কিনা ফাস্ট বোলিং করছে! রান বাঁচাতে হুট-হাট লাফঝাঁপ দিচ্ছে! তিনি হতবাক হয়ে যান আর পরের বার মাশরাফি ফের ইনজুরিতে পড়লে হয়ত মনে মনে হেসে বলেন, আমাকে আরেক বার হতবাক কর, পাগলা। বার বার অবাক করে দাও।

    আসলে ইনজুরিতে পড়ে বারবার ফিরে আসার মন্ত্র জানেন মাশরাফি। সেই অদৃশ্য মন্ত্রের জোরে জয় করেন সব বাঁধা। দেশের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে জিতেছেন, দলকে জিতিয়েছেন। আর তাইতো মাশরাফি কেবল ক্রিকেটার পরিচয়ে আটকে থাকেন না। সাধারণ মানুষের কাছে তিনি হয়ে যান সুপারম্যানের মতো সুপারম্যাশ। হয়ে ওঠেন অনুপ্রেরণা আর সাহসের উৎস।

    কী মন্ত্রের জোরে ইনজুরিতে পায়ের নিচে পিষে খেলেন মাশরাফি? তিনি নিজেই জবাব দেন, ‘বার বার ইনজুরি থেকে ফিরে আসার প্রেরণা পাই, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে। এমনও ম্যাচ গেছে আমি হয়তো চোটের কারণে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছিলাম না। দুই তিনটা বল করেই বুঝতে পারছিলাম সমস্যা হচ্ছে। তখন তাদের স্মরণ করেছি। নিজেকে বলেছি, হাতে-পায়ে গুলি লাগার পরও তারা যুদ্ধ করেছিলেন কীভাবে? তোর তো একটা মাত্র লিগামেন্ট নেই! দৌড়া…’

    এই পাগলা আসলেই দৌড়ে যাচ্ছে। কাঁধে তার দেশের মানুষের ভালোবাসার বেশ বড় বোঝা নিয়েই দৌড়ে চলছে অবিরত। মাঠে সঙ্গীদের পরামর্শ দিচ্ছেন, এক সঙ্গে আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়ছেন, প্রয়োজনে একটু শাসনও করে নিচ্ছেন বড় ভাই বা অভিভাবক হিসেবে। ড্রেসিং রুমের বারান্দা থেকেও মাঠে থাকা সতীর্থদের নানা অঙ্গভঙ্গিতে সাহস দিচ্ছেন, নির্দেশনা দিচ্ছেন। তা লুফেও নিচ্ছেন সবাই। গুরুর চোখের ভাষা, হাতের ভাষা সবকিছু যে মুখস্থ সবার!

    ২০১৪ সালের এই দিনে মাশরাফি বিন মর্তুজা-স্ত্রী সুমনা হক সুমির কোল আলোকিত করে পৃথিবীতে আসে ছেলে সাহেল।

    বাবা ও ছেলের জন্য ‘২৪ ঘন্টা নিউজ’ পরিবার থেকে রইলো জন্মদিনের অকৃত্রিম শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। শুভ জন্মদিন মাশরাফি, শুভ জন্মদিন সাহেল। খেলে যাক মাশরাফি, জিতে যাক তার পাহাড়সম মানসিক মনোবল। আমাদের ক্রিকেট ট্রফি হিসেবে মাশরাফি বিন মুর্তজা আলোকিত করে রাখুন ক্রিকেটাঙ্গনের সাজানো শোকেস।

     

     

  • শুভ জন্মদিন জেমস

    শুভ জন্মদিন জেমস

    বাংলাদেশের ব্যান্ড সঙ্গীতের অন্যতম জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী নগরবাউলখ্যাত ফারুক মাহফুজ আনাম জেমসের জন্মদিন আজ।

    তবে দিনটি নিয়ে তার কোনো উচ্ছ্বাস নেই। বিশেষ কোনো আয়োজনও নেই বলে তিনি জানিয়েছেন। জাঁকজমক আয়োজনে মন টানে না তার। তাই নিজে সাদামাটাভাবে এ দিনটি কাটান।

    কিন্তু ভক্তরা তার জন্মদিন উপলক্ষে নানা আয়োজন করেন। এসব দেখতে তার ভালো লাগে। তবে বেশি হৈহুল্লোড় ভালো লাগে না। তাই আজকের দিনটি জেমস আগের দিনের মতো করেই কাটাবেন।

    জেমস

    এ প্রসঙ্গে এ সঙ্গীতশিল্পী বলেন, ‘অন্যসব দিনের মতোই আজকের দিনটি কাটবে। বিশেষ কোনো আয়োজন নেই। ভক্তরা আয়োজন করবে। ওগুলো দেখতেই ভালো লাগে। তবে সবার কাছে দোয়া চাই। আগামীতে যাতে নতুন গান নিয়ে শ্রোতাদের সামনে হাজির হতে পারি।’

    এই রকস্টারের জন্ম ১৯৬৪ সালে নওগাঁর পত্নীতলায়। তবে কৈশোর, তারুণ্য কাটিয়েছেন চট্টগ্রামে। বাবা সরকারি বড় কর্মকর্তা ছিলেন। যিনি পরবর্তীতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।  জেমস ছিলেন অনেকটা বোহেমিয়ান। চট্টগ্রামে আজিজ বোর্ডিংয়ের একটি রুমে থেকে সঙ্গীত চর্চা ও সন্ধ্যার পর নাইট ক্লাবে গান করতেন। এভাবেই জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ সময় কেটেছে তার। পরে ঢাকা চলে আসেন।

    জেমস ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ব্যান্ড ‘ফিলিংস’। ১৯৮৭ সালে প্রথম অ্যালবাম ‘ষ্টেশন রোড’ প্রকাশ পায়। ১৯৮৮ সালে ‘অনন্যা’ নামের একক অ্যালবাম প্রকাশ করে সুপারহিট হয়ে যান জেমস।

    এরপর ১৯৯০ সালে ‘জেল থেকে বলছি’, ১৯৯৬ ‘নগর বাউল’, ১৯৯৮ সালে ‘লেইস ফিতা লেইস’, ১৯৯৯ সালে ‘কালেকশন অব ফিলিংস’ অ্যালবামগুলো প্রকাশ পায়।

    এরপর ‘ফিলিংস’ ভেঙে জেমস গড়ে তোলেন নতুন লাইনআপে ব্যান্ড ‘নগর বাউল’। এই ব্যান্ড ‘দুষ্টু ছেলের দল’ এবং ‘বিজলি’ অ্যালবাম দুটির মধ্যেই আটকে যায়।

    জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার গ্রহণ

    জেমসের উল্লেখযোগ্য অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে স্টেশন রোড (১৯৮৭), জেল থেকে বলছি (১৯৯০), নগর বাউল (১৯৯৬), লেইস ফিতা লেইস (১৯৯৮), কালেকশন অফ ফিলিংস (১৯৯৯), দুষ্টু ছেলের দল (২০০১) প্রভৃতি।

    জেমসের গাওয়া একক অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে অনন্যা (১৯৮৮), পালাবি কোথায় (১৯৯৫), দুঃখিনী দুঃখ করোনা (১৯৯৭), ঠিক আছে বন্ধু (১৯৯৯), আমি তোমাদেরই লোক (২০০৩), জনতা এক্সপ্রেস (২০০৫), তুফান (২০০৬), কাল যমুনা (২০০৯)।

    ২০০৪ সালে কলকাতার সংগীত পরিচালক প্রিতমের সঙ্গে গান নিয়ে কাজ করেন জেমস। ২০০৫ সালে বলিউডে গ্যাংস্টার চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেন। চলচ্চিত্রে তার গাওয়া ভিগি ভিগি গানটি ব্যপক জনপ্রিয়তা পায় এবং এক মাসেরও বেশি সময় গানটি বলিউড টপচার্টের শীর্ষে ছিল।
    ২০০৬ সালে আবারো বলিউডের ছবিতে কণ্ঠ দেন। ২০০৭ সালে তিনি লাইফ ইন এ মেট্রো চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেন। চলচ্চিত্রে তার গাওয়া গান দুইটি হল রিশতে এবং আলবিদা। আর তাতেই বাজিমাত।

    জেমস

    জেমসের গাওয়া সেরা ১০ গান এরমধ্যে, বাংলাদেশ, জেল থেকে আমি বলছি, মা, দুখিনী দুঃখ করো না, লেইস ফিতা লেইস, বাবা কতো দিন, বিজলী, দুষ্টু ছেলের দল, মিরাবাঈ, পাগলা হাওয়া, গুরু ঘর বানাইলা কি দিয়া উল্লেখযোগ্য।

    ২০০৫ সালে বলিউডের ‘গ্যাংস্টার’ ছবিতে ‘ভিগি ভিগি’ নামে একটি গান করে সেখানেও বেশ আলোচিত হন। পরে বলিউডের আরও কয়েকটি ছবিতে গান করেন।

    উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে সেরা গায়ক হিসেবে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার’ গ্রহণ করেন জেমস।

    গানের মত তারায় তারায় রটিয়ে যাক জেমসের জীবনের সফলতা। সেই সাথে এ প্রজন্মের গুরুর হাত ধরে বাংলা ব্যান্ড গান রটিয়ে যাক বিশ্বজুড়ে। সেই শুভ কামনায় ২৪ ঘন্টা নিউজের পক্ষ থেকে শুভ জন্মদিন গুরু, শুভ জন্মদিন জেমস।

  • সীতাকুণ্ডে ছাত্রলীগের আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন

    সীতাকুণ্ডে ছাত্রলীগের আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩ তম জন্মদিন পালন করেছে সীতাকুণ্ড উপজেলা ১০ নং সলিমপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ। এ উপলক্ষে শনিবার সকালে উপজেলার পাকারাস্তার মাথা আফতাব অটো মোবাইলস এর সামনে কেক কাটার আয়োজন করা হয়।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি আলহাজ্ব এস এম আল মামুন।

    সলিমপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছৈয়দ শামছ মাহমুদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ শাহজান।

    বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক শায়েস্তা খান। বক্তব্য রাখেন ১০ নং ছলিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দীন আজিজ, ছলিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী গোলাম মহিউদ্দীন।

    চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের শিক্ষা ও পাঠাগার সম্পাদক ওয়াহিদুল আলম নান্টু, উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি এস এম আল নোমান, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইমাম এবং সা:সম্পাদক আরজু, ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম জিকু, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য অভি,নাহিদ, ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সালাউদ্দিন প্রমুখ।

    ২৪ ঘন্টা/আরএস..

  • আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন

    আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন

    আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন আজ। মধুমতি নদী বিধৌত গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের প্রথম সন্তান তিনি।

    বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নব পর্যায়ের বাংলাদেশের ইতিহাসের নির্মাতা। হিমাদ্রী শিখর সফলতার মূর্ত-স্মারক, উন্নয়নের কাণ্ডারি। উন্নত সমৃদ্ধ আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার তিনি। বাঙালির আশা-আকাঙ্খার একান্ত বিশ্বস্ত ঠিকানা, বাঙালির বিশ্বজয়ের স্বপ্ন-সারথী। বিশ্বরাজনীতির উজ্জ্বলতম প্রভা, বিশ্ব পরিমণ্ডলে অনগ্রসর জাতি-দেশ-জনগোষ্ঠীর মুখপাত্র, বিশ্বনন্দিত নেতা।

    বারবার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা ‘নীলকণ্ঠ পাখি’, মৃত্যুঞ্জয়ী মুক্তমানবী। তিমির হননের অভিযাত্রী, মাদার অব হিউম্যানিটি। আত্মশক্তি-সমৃদ্ধ-সত্য-সাধক। প্রগতি-উন্নয়ন শান্তি ও সমৃদ্ধির সুনির্মল-মোহনা। এক কথায় বলতে গেলে সমুদ্র সমান অর্জনে সমৃদ্ধ শেখ হাসিনার কর্মময় জীবন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেধা-মনন, সততা, নিষ্ঠা, যোগ্যতা, প্রাজ্ঞতা, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদারমুক্ত গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গী ও দুরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। এক সময়ের কথিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত যে বাংলাদেশকে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করতে হয়েছে শেখ হাসিনার কল্যাণমুখী নেতৃত্বে সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

    শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার আজ সফলতার সাথে টানা তৃতীয় মেয়াদে চতুর্থবারের মতো দেশ পরিচালনা করছেন। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে দেশবাসী আজ সুফল পাচ্ছে। অমিত সম্ভাবনার দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে এক অপ্রতিরোধ্য গতিতে। সকল প্রতিবন্ধকতা সমস্যা-সংকট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ আজ স্বপ্লোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে।

    তাঁর শাসনামলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি, একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য সম্পন্ন করা, সংবিধান সংশোধনের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, ভারত ও মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি ও সমুদ্রবক্ষে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ব্লু ইকোনমির নতুন দিগন্ত উন্মোচন, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট সফল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে মহাকাশ জয়, সাবমেরিন যুগে বাংলাদেশের প্রবেশ, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন নতুন উড়াল সেতু, মহাসড়কগুলো ফোর লেনে উন্নীত করা, এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৯০৯ ডলারে উন্নীত, প্রবৃদ্ধি ৮.১ শতাংশ, দারিদ্র্যের হার হ্রাস, বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২২ হাজার মেটাওয়াট ছাড়িয়ে যাওয়া, ৯৪ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ-সুবিধার আওতায় আনা, যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন, স্বাক্ষরতার হার ৭৩.৯ শতাংশে উন্নীত করা, বছরের প্রথম দিনে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীর হাতে বিনা মূল্যে নতুন বই পৌঁছে দেওয়া, মাদ্রাসা শিক্ষাকে মূলধারার শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত করা ও স্বীকৃতি দান, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, প্রত্যেকটি জেলায় একটি করে সরকারি/বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ, নারী নীতি প্রণয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, ফোর-জি মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার চালুসহ অসংখ্য ক্ষেত্রে কালউত্তীর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

    একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তাঁর অবদান আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ইতিমধ্যে তিনি শান্তি, গণতন্ত্র, স্বাস্থ্য ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার, দারিদ্র্য বিমোচন, উন্নয়ন এবং দেশে দেশে জাতিতে জাতিতে সৌভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার জন্য ভূষিত হয়েছেন অসংখ্য মর্যাদাপূর্ণ পদক, পুরস্কার আর স্বীকৃতিতে।

    নিখাদ দেশপ্রেম, দূরদর্শিতা, দৃঢ় মানসিকতা ও মানবিক গুণাবলি তাঁকে আসীন করেছে বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জন্মদিন আজ গোটা বাঙালি জাতির জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন।

    তার জন্মদিন পালনে বেশ কিছু কর্মসূচী গ্রহণ করেছে তাঁর দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার (মেরুল বাড্ডা) ও সকাল ৯টায় খ্রিস্টান এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (সিএবি) মিরপুর ব্যাপ্টিস চার্চ এবং সকাল ১১টায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। এসব কর্মসূচিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। একইদিন ঢাকাসহ সারাদেশে সকল সহযোগী সংগঠন র‌্যালি, শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, আলোকচিত্র প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। বিকেল সাড়ে তিনটায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।