Tag: জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড

  • জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডে সজীব ওয়াজেদ ও রাদওয়ান মুজিব, ঘুরে দেখলেন স্টল

    জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডে সজীব ওয়াজেদ ও রাদওয়ান মুজিব, ঘুরে দেখলেন স্টল

    সপ্তমবারের মতো সাভারে শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন কেন্দ্রে আয়োজিত হচ্ছে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। আর সেখানে অনুষ্ঠানের আগেই উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখলেন বঙ্গবন্ধুর দুই দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ও রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।

    আজ শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন তারা।

    এবার ৬টি ক্যাটাগরিতে প্রদান করা হবে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। সারা দেশ থেকে আসা ৭৫০টিরও বেশি সংগঠনের আবেদনের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই ও ফিল্ড ভিজিট তরুণদের সংগঠনকে প্রদান করা হচ্ছে এই অ্যাওয়ার্ড।

    সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক বলেন, তরুণ প্রজন্মকে দেশের জন্য কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য তাদের অসংখ্য উদ্যোগ রয়েছে। তাদের উদ্ভাবনী সব উদ্যোগের কারণেই তারুণ্যের সর্ববৃহৎ প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশজুড়ে প্রায় ৩ লাখের বেশি তরুণ সদস্যের এক নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে ইয়াং বাংলা। ‘কানেক্টিং দ্য ডটস’ স্লোগান নিয়ে কাজ করে যাওয়া ইয়াং বাংলার সঙ্গে আছে লাখ লাখ তরুণ। শুধু তাই নয়, তরুণদের জন্য পলিসি ডায়ালগ, লেটস টক, জয় বাংলা কনসার্ট থেকে শুরু করে আরও দুর্দান্ত জনপ্রিয় সব কার্যক্রমের আয়োজন করা হচ্ছে ২০১৪ সাল থেকে। আর এ কারণেই তরুণদের কাছে দারুণ জনপ্রিয় ইয়াং বাংলা নামটি।

    ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো সমাজে বাল্যবিবাহ বন্ধ, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষাদান ও সুস্থদের সহযোগিতা করা যুবক ও যুব সংগঠনকে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’র আওতায় পুরস্কৃত করা হয়। গত কয়েক বছরে এই পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তি ও সংগঠন আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার পাওয়া ১৪৫টি সংগঠন ছাড়াও ৩০০টির বেশি সংগঠন নিয়ে ইয়াং বাংলা বর্তমানে তারুণ্যের সর্ববৃহৎ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। এই সংগঠনগুলোসহ ইয়াং বাংলার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক। ২০২২ সালের মে মাসে ইয়াং বাংলার সদস্য হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    শুধু তাই নয়, ২০১৪ সালে যাত্রা শুরুর পর বিগত ৯ বছরে ইয়াং বাংলা মোট ৩০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে ইন্টার্নশিপ এবং উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সুযোগ প্রদান করেছে। সব মিলিয়ে সন্দেহাতীতভাবেই বলা যায়, তারুণ্যের সর্ববৃহৎ প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলা এবং এখনো তার কর্মপরিধি বৃদ্ধি করে চলেছে।

    এরই অংশ হিসেবে আবারও দেশের জন্য কাজ করে যাওয়াও তরুণ সংগঠনগুলোতে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করছে ইয়াং বাংলা।

  • জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পেল ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান

    জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পেল ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান

    জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার মো. আসাদুজ্জামান পেশায় রাজমিস্ত্রি হলেও নিজের লেখাপড়া চালানোর পাশাপাশি ‘মিলন স্মৃতি পাঠাগার’ নামে ১৬টি গ্রামে প্রতিষ্ঠা করেছেন পাঠাগার। স্বপ্ন রয়েছে সরিষাবাড়িতে একটি ‘লাইব্রেরি ভিলেজ’ গড়ে তোলার, যেখানে সব মানুষ এসে বিনামূল্যে যেন বই পড়তে পারেন।

    তার এই স্বপ্নপূরণে বড় অগ্রগতি হয়েছে শনিবার। আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ‘ইয়াং বাংলা’ ক্যাম্পেইন খুঁজে বের করেছে আসাদুজ্জামানকে। অসামান্য অবদানের জন্য তার হাতে তুলে দেয়া হয়েছে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’।

    সাভারের শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন ইন্সটিটিউটে আজ প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ও সিআরআইয়ের চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ জয় আসাদুজ্জামানকে পুরস্কার তুলে দেন।

    পুরস্কার পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমি নিজে রাজমিস্ত্রীর কাজ করি। লেখাপড়ার ও পাঠাগারের খরচ চালাই। এ পর্যন্ত ১৬টি গ্রামে আমি পাঠাগার স্থাপন করেছি। ভবিষ্যতে একটি ‘লাইব্রেরি ভিলেজ’ স্থাপন করারও পরিকল্পনা রয়েছে যেখানে প্রত্যেক গ্রামের ছেলেমেয়েই বিনামূল্যে বই পড়তে পারে।’

    আসাদুজ্জামান এই মিলন স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। যুব সমাজকে বই পড়ায় উৎসাহিত করার জন্য প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটি জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় মোট ১৬টি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেছে। যার মধ্যে ১টি শিশু পাঠাগার, ৪টি রাস্তার পাশের পাঠাগার এবং ৩টি রেলস্টেশন পাঠাগার রয়েছে।

    আসাদুজ্জামানসহ এদিন ৬টি বিভাগে ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডে’ দেয়া হয়। এছাড়া আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন দেশের আইকনিক প্রকাশনা উন্মাদ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক আহসান হাবীব এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে দূরের অন্ধকারে এক আলোকরশ্মি ইয়াংগুয়াং।

    পুরস্কার বিজয়ী ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছেন- রোবোলাইফ টেকনোলজিস: জয় বড়ুয়া লাবলু, বিকে স্কুল অব রিসার্চ: বিজন কুমার, বোসন বিজ্ঞান সংঘ: মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান, উচ্ছ্বাস: প্রসেনজিৎ কুমার সাহা, ইয়ুথ প্ল্যানেট: এ বি এম মাহমুদুল হাসান, বিজ্ঞানপ্রিয়: মুহাম্মদ শাওন মাহমুদ, মজার ইশকুল: আরিয়ান, মিলন স্মৃতি পাঠাগার: আসাদুজ্জামান, সুইচ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন: মো. মুইনুল আহসান, বিন্দু নারী উন্নয়ন সংগঠন: জান্নাতুল মাওয়া।

    ছয় বছর আগে শুরু হওয়া জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের জন্য এবার ৬০০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান আবেদন করে। এর মধ্যে ৩০ প্রতিষ্ঠানকে বাছাই করা হয়।পুরস্কার দেয়ার পর সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, বাংলাদেশের মানুষ দেশপ্রেম, পরিশ্রম আর মেধা দিয়ে নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করতে পারে। নিজের মধ্যে যদি দেশপ্রেম আর স্বাধীনতার চেতনা না থাকে তাহলে দেশের ভালো কিভাবে করবে- সে প্রশ্নও তিনি তুলে ধরেন।

    যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বর্তমান বিশ্বে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা বাংলাদেশের তরুণরা সমাধান করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

    মঞ্চে সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছ থেকে পুরস্কার নেয়ার পর নিজেদের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন বিজয়ীরা। কার্টুন ম্যাগাজিন উন্মাদের প্রধান সম্পাদক আহসান হাবীব বলেন, আমার খুব ভালো লাগছে। আমাদের উন্মাদের বয়স ৪৫ বছর। এত বছরে এসে আমরা এরকম একটি অ্যাওয়ার্ড পেলাম, এটা আমাদের কার্টুনিস্টদের খুবই উপকৃত করবে। বোসন বিকাশ সংঘের মাজেদুল ইসলাম বলেন, আমরা কাজ করে যাচ্ছি বিজ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ তৈরি করার লক্ষ্যে। এমন একটি বাংলাদেশ যেখানে মানুষ বিজ্ঞানমনস্ক হবে।

    শিক্ষার্থীদের গণিত ও বিজ্ঞান শিখতে অনুপ্রাণিত করতে বোসন বিজ্ঞান সংঘ ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে তারা নারীদের বিজ্ঞান এবং গণিত শিখতে অনুপ্রাণিত করতে একটি বিজ্ঞান প্রতিযোগিতার আয়োজন করার পরিকল্পনা করছে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের কাছ থেকে সেরা গণিত ক্লাব পুরস্কারে ভূষিত হয়। পুরস্কার জয়ের পর বিকে স্কুল অব রিসার্সের মিতুল দাশ বলেন, ভবিষ্যতে সুন্দর একটি বাংলাদেশ উপহার দিতে কাজ করতে চাই।

    বিজ্ঞানপ্রিয়র প্রতিনিধি শাওন মাহমুদ বলেন, এই পুরস্কারের জন্য সিআরআই ও ইয়াং বাংলাকে ধন্যবাদ। আমরা যখন কাজ করি তখন অনেক বাধা থাকে। কিন্তু এই ধরণের স্বীকৃতি আমাদের চলার পথকে অনেক সহজ করে দেয়।

    উচ্ছ্বাসের প্রতিনিধি প্রসেনজিৎ কুমার সাহা বলেন, এই সম্মাননা আমাদের আগামীর কাজগুলো করার ক্ষেত্রে অনেক অনুপ্রেরণা দিয়েছে এবং আশা করি আমাদের সামনের কাজগুলোও অব্যাহত থাকবে। ইয়ুথ প্লানেটের প্রতিনিধি এ বি এম মাহমুদুল হাসান বলেন, সম্মাননা কাজের পরিধি বাড়ায়। দায়িত্ব বেড়ে যায়। বিন্দু নারী উন্নয়ন সংগঠনের জান্নাতুল মাওয়া বলেন, আমরা একঝাঁক তরুণ নারী বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে জলবায়ুর নায্যতা নিয়ে কাজ করছি। সবাই যেন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার ন্যায্যতা পায়, সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। রোবোলাইফ টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জয় বড়ুয়া লাবলু বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে মূলত হাতবিহীন মানুষদের কৃত্রিম হাত ও রোবোলাইফ টেকনোলজিস সরবরাহ করে। এর সাহায্যে ব্রেইন কন্ট্রোলের মাধ্যমে হাত নাড়াতে বা ব্যবহার করতে পারা যায়। মজার ইশকুলের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক আরিয়ান আরিফ বলেন, মজার ইশকুল ২০১৩ সাল থেকে পথশিশুদের নিয়ে কাজ করছি। ২০০০ এর বেশি পথশিশুকে বিনামূল্যে শিক্ষা, খাদ্য ও প্রযুক্তি মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।

    সুইচ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মুইনুল আহসান ফয়সাল বলেন, সুইচ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন থেকে মূলত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করছি। চার শ’ অধিক ছেলেমেয়েদের পড়াচ্ছি। বিশেষ করে আগামী দিনের নেতৃত্ব হিসেবে তাদের গড়ে তোলাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য।

    ২৪ঘণ্টা/এনএম

  • আজ জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড তুলে দেবেন সজীব ওয়াজেদ

    আজ জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড তুলে দেবেন সজীব ওয়াজেদ

    ষষ্ঠবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। আজ শনিবার এই আয়োজনে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর চেয়ারপারসন সজীব ওয়াজেদ জয়। সিআরআইয়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইয়াং বাংলার নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিগত ৮ বছরে ৬ বার দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণদের হাতে তুলে দেওয়া হয় জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড।

    সজীব ওয়াজেদ দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণদের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন তারুণ্যের সর্ববৃহৎ প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলা। তরুণদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে এবং দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড, জয় বাংলা কনসার্ট, পলিসি ক্যাফেসহ তরুণদের কাছে জনপ্রিয় নানা কার্যক্রম পরিচালনা করে ইয়াং বাংলা। প্রায় ১ লাখের বেশি তরুণদের নিয়ে তৈরি ইয়াং বাংলার নেটওয়ার্ক। ‘কানেক্টিং দ্য ডটস’ স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করা ইয়াং বাংলা বর্তমানে তারুণ্যের সবচাইতে বড় প্ল্যাটফর্ম। ১৫ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী এবং ৫০০টির বেশি সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে ইয়াং বাংলার পথচলা। খবর বাসসের।

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেই ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্নপূরণের চেষ্টাই করছেন তার দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে যেই স্বপ্নের সূচনা করেন, সেই স্বপ্নপূরণ হয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটকে কক্ষপথে উৎক্ষেপণের মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর পেছনে বড় অবদান রাখেন।

    আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে যেই ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার কথা বলে তা বাস্তবায়নে সবচাইতে বড় কৃতিত্ব দেওয়া হয় সজীব ওয়াজেদ জয়কে। তার দূরদৃষ্টির কারণে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কোভিড সময় মোকাবিলা করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি উপদেষ্টা হিসেবে সজীব ওয়াজেদ অনলাইন স্কুলিং থেকে শুরু করে ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন পর্যন্ত জীবনের সব ক্ষেত্রে জেন নেক্সট ইনফো টেক-এ প্রতিনিধিত্ব করছেন।

    খালেদা জিয়াকে ‘পুতুল’ বানিয়েছিল তারেক : জয়
    বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস বিপর্যয়ের সময় ডিজিটাল রূপান্তরের সেবা পেয়েছে বাংলাদেশ। এটি টেলিমেডিসিন, ভার্চুয়াল কোর্ট এবং মোবাইল প্ল্যাটফর্ম এবং ই-কমার্সের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের কাছে অর্থ সরবরাহ সহ ডিজিটাল কার্যক্রমের বিস্তৃতির মধ্য দিয়ে তার অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। কোভিডয়ের সময় প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় টিকে থাকার ক্ষেত্রে প্রশংসা অর্জন করায় এই ডিজিটাল পরিষেবা সবচাইতে বড় অবদান রাখে।

    টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক এবং জনপ্রশাসনে হার্ভার্ডের স্নাতকোত্তর সজীব ওয়াজেদ জয় রাজনীতির চেয়ে তথ্যপ্রযুক্তির প্রতি বেশি আকৃষ্ট। বঙ্গবন্ধুর প্রথম নাতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একমাত্র ছেলে হওয়ায় তার রাজনীতিতে প্রবেশ সহজ ও স্বাভাবিক হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তিনি তার মায়ের আইসিটি উপদেষ্টা হিসেবে থাকতে পেরেই সন্তুষ্ট। জাতীয় জীবনের সব ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশনের জন্য জোর দিচ্ছেন তিনি এবং দেশ জুড়ে এক অনন্য ডিজিটাল চেতনা তৈরি করেছেন যা বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির আসন্ন চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।

    সিআরআইয়ের চেয়ারপারসন হিসেবে জয় পরবর্তী প্রজন্মকে প্রযুক্তিগতভাবে সক্ষম করে তুলতে চান। আর এভাবেই দেশ গঠনে এবং বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরে দেশের তরুণরা ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি। তরুণদের মধ্যে তার জনপ্রিয় অনুপ্রেরণা দেয়া বক্তব্য, ‘আমরাই পারি, আমরাই পারব’—বর্তমানে এক চেতনায় পরিণত হয়েছে।

    তরুণরাই এই দেশকে ভবিষ্যতে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আর এ কারণেই তরুণদের সঙ্গে বেশ কিছু ইন্টারঅ্যাক্টিভ কার্যক্রম সিআরআই ও ইয়াং বাংলার মাধ্যমে পরিচালনা করেন সজীব ওয়াজেদ। তার ইচ্ছায় ও একান্ত প্রচেষ্টায় নিয়মিত আয়োজিত হচ্ছে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড, জয় বাংলা কনসার্ট, লেটস টক, পলিসি ক্যাফে, ইন্টার্ন প্রোগ্রামসহ আরও বিভিন্ন কার্যক্রম।

    জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে তরুণদের বিভিন্ন উদ্যোগে অনুপ্রেরণা দেয়া হচ্ছে যা নীরবে এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বৈপ্লবিক কাজ করছে। সেটি ঢাকার পথশিশুদের শিক্ষিত করা থেকে শুরু করে সিলেটের দরিদ্র ও দুর্বল চা শ্রমিক সম্প্রদায়কে সাহায্য করা বা নারী নিরাপত্তা থেকে শুরু করে ট্রান্সজেন্ডারদের সক্ষম ও ক্ষমতায়ন করা পর্যন্ত বিস্তৃত। এই সংগঠনগুলোর কার্যক্রম জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডে স্বীকৃতি অর্জনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নজরে আসে যার স্বীকৃতি স্বরূপ পরবর্তীতে অনেক তরুণদের সংগঠন অর্জন করে আন্তর্জাতিক পুরস্কার।

    সজীব ওয়াজেদ জটিল ভাষায় কথা বলতে পছন্দ করেন না। তার সাক্ষাৎকারগুলো সে কারণে হয় সহজ, সরল এবং তথ্য নির্ভর, যা সমস্যাকে চিহ্নিত করে তা সমাধানের জন্য অনুপ্রেরণা জোগায়। পুরো করোনা মহামারির সময়ে তিনি বারবার স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার বিষয়ে জোর দিয়েছেন, বিষয়টি সবার কাছে ছড়িয়ে দেয়ার আগ পর্যন্ত তিনি এ বিষয়ে প্রচারণা চালিয়ে গেছেন। সিআরআইয়ের লেটস টক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি তরুণদের বিতর্কে না জড়িয়ে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।

    ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের অস্থিরতার মধ্যে জন্ম নেওয়া জয়ের শৈশব কেটেছে আনন্দহীন। শৈশবে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সেই ভয়াল রাতে ‘মিডনাইট ম্যাসাকার’-এর সঙ্গে তাকে মানিয়ে নিতে হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল এদিন। শুধু শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানা এই ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড থেকে বেঁচে যান। ‘হাসিনা : এ ডটারস টেল’ ডকুড্রামার মাধ্যমে সেই নৃশংস রাতের বর্ণনার পাশাপাশি সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘুরে দাঁড়াবার কথাও উঠে এসেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এগিয়ে যাওয়ায় আজ বাংলাদেশ এশিয়ান অর্থনীতির ‘টাইগার’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ পেল সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজান

    ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ পেল সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজান

    নিজস্ব প্রতিবেদক : সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন (CRI) এর তত্ত্বাবধানে ও ইয়ং বাংলা’র ব্যবস্থাপনায় দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণদের অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে দেওয়া হল জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড।

    ১৭ নভেম্বর (মঙ্গলবার) রাত ৮ টায় ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী শীর্ষ ৩০ টি সংগঠনের নাম ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

    কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স ক্যাটাগরিতে ৪র্থ স্থানে থাকা চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার অন্যতম সামাজিক সংগঠন “সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজান” এই পুরষ্কারে ভূষিত হয়।

    জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের জন্য এবার ৬০০ টিরও বেশি সংগঠন আবেদন করে। এদের মধ্যে প্রাথমিক তালিকায় থাকা সংগঠনগুলোর মধ্য থেকে নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ক্ষমতায়ন, যুব উন্নয়ন, দরিদ্রদের উন্নয়ন, মাদক মুক্ত সমাজ বিনির্মাণ, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখা, পরিবেশ সুরক্ষা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনসহ আরো বেশ কিছু ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এই সংগঠনগুলো থেকে বাছাই করে প্রাথমিক তালিকা তৈরি করা হয়।

    এতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অনবদ্য ভূমিকা রাখায় সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজান’কে “জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড” এ ভূষিত করা হয়।

    এ প্রসঙ্গে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজান এর সভাপতি মোঃ সাইদুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই অর্জন সমগ্র রাউজানবাসীর। আমরা মানুষের দুঃসময়ে আমাদের রাউজানবাসীর অভিভাবক এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি’র নির্দেশে নিজের জীবন বাজি রেখে কাজ করেছি। আজ এর স্বীকৃতি পেলাম। ফারাজ করিম চৌধুরীর সার্বিক সহযোগিতায় আমাদের এই সংগঠন আরো বহুদূর এগিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।

    জানা যায়, দুর্যোগকালীন সময়ে ত্রাণ দিয়ে সহযোগিতায় ২০১৫ সাল থেকে কাজ করেছে সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজান। এ পর্যন্ত ৭০ হাজার মানুষকে ত্রাণ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

    করোনা প্রাদুর্ভাবের কঠিন সময়ে এই সংগঠনের সদস্যরা জীবন বাজি রেখে অসহায় মানুষের জন্য কাজ করেছে। বর্তমানে শতাধিক সদস্য এই প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশব্যাপী কাজের পরিধি বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/নেজাম