Tag: জলাবদ্ধতা

  • দুঃখ খ্যাত ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত

    দুঃখ খ্যাত ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত

    নিলয় ধর, যশোর প্রতিনিধি:-দুঃখ খ্যাত ভবদহ এলাকাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে জোয়ারাধার (টিআরএম) চালুর দাবীতে হাজার হাজার নারী-পুরুষ মানববন্ধন অংশ নিয়েছে।

    শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে সমাবেশ এবং ১১ থেকে১২ টা পর্যন্ত যশোর মশিয়াহাটীতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

    মাটির ঘর ডুবে গিয়ে জল চালে উঠে গিয়েছে। আর যা কিছু ছিলো সব এখন পানির নিচে। পানি না সরালে এভাবে আর জীবন চলে না।কথাগুলো বলছেন যশোরের জলাবদ্ধ জনপদ ভুক্তভোগী বাসিন্দা।

    বহু মানুষের দুর্গতি অনেক সময় ২/১জন প্রভাবশালী ব্যক্তির জন্য অর্থপ্রসূ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। তাঁরা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সেই দুর্দশার অবসান তো চায়ই না বরং সেটিকে যথাসম্ভব প্রলম্বিত করার চেষ্টা করেন। সুবিধাপ্রাপ্ত সেই ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের কারণে নির্বল দুর্দশাগ্রস্তদের দুঃখের তিমির শেষ হয় না।

    এই মনুষ্যলালিত সুদীর্ঘ দুর্দশার নির্মম ছবি যশোরের ভবদহ অঞ্চলের মানুষ দেখে আসছে। যশোরের অভয়নগর, মনিরামপুর ও কেশবপুর এবং খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার অংশবিশেষ নিয়ে এই অঞ্চল। সেখানে ছোট–বড় ৫৪টি বিল আছে। এ অঞ্চলের পানি ওঠানামার পথ মুক্তেশ্বরী, টেকা, শ্রী ও হরি নদী। কিন্তু সব নদীই কমবেশি ভরাট হয়ে বিলের চেয়ে উঁচু হয়ে গেছে। ফলে বর্ষায় নদীর পানি বিলে ঢুকে সব তলিয়ে যায়। এবার প্রায় ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষায় প্রতিবছরই নদী খননসহ নানা প্রকল্প নেয় সরকার।

    গত ৪/৫ বছরে ভবদহে খনন প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হলেও বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ভবদহ অঞ্চলের মুক্তেশ্বরী, টেকা, শ্রী ও হরি নদীর পানি চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১৪টি প্রকল্পে প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকার পাইলট চ্যানেল খননকাজ হয়েছে। এতে এলাকাবাসীর কোনো উপকার হয়নি।

    এরই মধ্যে প্রায় ৮০৮ কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্প নিয়েছে । ‘ভবদহ ও তৎসংলগ্ন বিল এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ’ নামের এই প্রকল্পে ৬২টি নদী ও খাল পুনঃখনন, খালের ওপর ১৯টি কালভার্ট নির্মাণ, বাঁধ ও সড়ক নির্মাণ এবং ২০টি স্লুইসগেট নির্মাণ ও সংস্কারের কথা উল্লেখ আছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের খুশি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁরা বলছেন, কয়েক বছরে ভবদহের খনন প্রকল্পে যে দুর্নীতি হয়েছে, তাতে পুরো টাকাই পানিতে গেছে। নতুন করে ৮০৮ কোটি টাকার প্রকল্পে মন্ত্রী, সাংসদ, ঠিকাদার ও ব্যক্তিবিশেষের বড় আকারে দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি হবে, ভবদহের জলাবদ্ধতা দূর হবে না।

    শনিবার সকালে মণিরামপুর উপজেলার জলাবদ্ধ মশিয়াহাটি স্কুল মাঠের সামনে রাস্তায় এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে জলাবদ্ধ এলাকার বাসিন্দারা সহ আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, সংগ্রাম কমিটিগণ অংশ নেন । এই সময় বক্তারা, ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনের নামে জনপ্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারাদের উল্লেখ করে বলে অভিযোগ করেন। এই টিআরএম ভবদহ বাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি। স্থানীয়ভাবে যারা এ বিষয় নিয়ে আন্দোলন করছেন তাদেরও প্রাণের দাবি এই টিআরএম সুতরাং, যত দ্রুত এই পদ্ধতি কার্যকর করা যাবে, তত দ্রুতই পানিবন্দি এ দশা থেকে মুক্তি মিলবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

     

  • যশোরে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানে পানিতে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন

    যশোরে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানে পানিতে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন

    নিলয় ধর, যশোর প্রতিনিধি : যশোরে ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) প্রকল্প এবং আমডাঙ্গা খাল সংস্কার,বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি।

    সোমবার (০৫ অক্টোবর) সকাল ১১টার যশোর অভয়নগর উপজেলার মশিয়াহাটী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত মানববন্ধনে ভবদহসহ আশপাশের এলাকার সহস্রাধিক বাসিন্দা অংশ নেন।

    জলাবদ্ধতা নিরসনে ভবদহ এলাকায় টিআরএম চালু,আমডাঙ্গা খাল সংস্কার,জলাভূমি করার চক্রান্ত প্রতিহত , জলপ্রাবাহে প্রতিবন্ধকতা অপসারণ সকল নদী ও খাল পুনরুদ্ধার,ভবদহ সুইস গেট ২১ও ৯ ভেন্টের মাঝ দিয়ে রাসরি নদীতে সংযোগের দাবীতে জলের মধ্যে মানববন্ধন করে বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান তারা।

    এ মানববন্ধন বক্তারা বলেন- দীর্ঘ ৪০ বছর ভবদহের মানুষ জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। যশোরের অভয়নগর, মনিরামপুর, কেশবপুরসহ আশপাশের গ্রামের ২ লাখ মানুষ জলাবদ্ধতায় ভুগছে। পশু ও মানুষে একত্রে বসবাস করছে। বন্ধ হয়েছে চাষাবাদ, নেই জীবিকা উপার্জনের পথ। মেলেনি কোন ত্রাণ বা সরকারি সহায়তা।

    পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতীর কারণে ভবদহ এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। পনি সরান, নইলে আমাদেরকে মেরে ফেলেন। ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে অবিলম্বে টিআরএম চালু, আমডাঙ্গা খাল প্রসস্থকরণ ও টেকা, শ্রীহরি নদীর খনন, স্লুইচ গেটে বৈদ্যুতিক সেচ পাম্প স্থাপন, ত্রাণের ব্যবস্থা করা, সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে আসন্ন বেরো মৌসুমে কৃষকের চাষের ব্যবস্থা করা সহ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান তারা।

    এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে নাগরিকদের মধ্যে। এ দাবি মানা না হলে ভোট বর্জনের সিদ্ধান্তও তারা নিতে পারে। তাদের দাবি মানা না হলে আগামী দিনে তারা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলে সাফ জানিয়েছেন।

    ভবদহ পানিনিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ব্যর্থতায় ভবদহের শতাধিক গ্রাম তলিয়ে গিয়েছে।ক্ষতিগ্রস্ত সব পরিবারের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ঘর পুনর্নির্মাণ করতে হবে। তার স্থায়ী সমাধানের জন্য বিল কপালিয়ায় টিআরএম জোয়ারধারার চালু করতে হবে। এই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সোমবার যশোর মশিয়াহাটীতে মানববন্ধন করেন।

    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুল হামিদ ও রণজিৎ কুমার বাওয়ালি। কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবীর জাহিদ, সদস্য সচিব চৈতন্য পাল, উপদেষ্টা হাচিনুর রহমান,৫নং হরিদাসকাটি সুকৃতি রায়, সংগ্রাম কমিটির সদস্য সচীব কাত্তিক বকশী।

    ভবদহ পানি নিষ্কাষণ আন্দোলন কমিটির ব্যানারে মানবন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে প্রায় প্রতিটি বাড়ি পানিবন্দী হয়ে পড়ে। তলিয়ে যায় বাড়ি-ঘরসহ মাঠের সব ফসল। অসহায় অধিকাংশ মানুষকে ঘরছাড়া হতে হয়। কিন্তু এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য দীর্ঘদিন ধরে বিল কপালিয়া বা ভবদহ সংলগ্ন অন্য কোন বিলে টিআরএম বাস্তবায়নের দাবি জানালেও সে দাবি উপেক্ষিত হচ্ছে। এর পরিবর্তে অপরিকল্পিতভাবে নদী থেকে পলি অপসারণ করা হচ্ছে। যা আবার নদীতে গিয়ে পড়ছে। তাই অবিলম্বে টিআরএম বাস্তবায়নের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।

    এছাড়াও গত রবিবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘটের ডাক দেয় ভবদহ পানি নিস্কাশন আন্দোলন কমিটি। অবস্থান ধর্মঘটে অংশ নেন অভয়নগর ও মণিরামপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের পানিবন্দি হাজার হাজার নারী-পুরুষ।ভবদহের পানিবন্দি মানুষের অবস্থান ধর্মঘট ও স্মারকলিপি পেশ করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

     

  • যশোরে ভবদহে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান করা হবে: প্রতিমন্ত্রী স্বপন

    যশোরে ভবদহে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান করা হবে: প্রতিমন্ত্রী স্বপন

    নিলয় ধর,যশোর প্রতিনিধি : পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেছেন, ভবদহ জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান করা হবে। তার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। সেগুলো বাস্তবায়ন হলে ভবদহের জলাবদ্ধতার আর সমস্যা থাকবেই না। বর্তমানে ভবদহ বিস্তার এলাকায় নদীতে পলি জমে বিলের পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে না।

    যার কারনে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে এলাকার জনসাধারণ চরম দূর্ভোগের মধ্যে দিন জীবনযাপন করছে। চাষীদের ফসল ও মৎস ঘেরে মাছ ভেসে যাওয়াসহ বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এগুলো মাথায় নিয়ে সরকার ভবদহের স্থানীয় সমাধানের জন্য যা করণিয় তা দ্রুত করবেন বলে জানান।

    প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার রাতে মণিরামপুর হরিদাসকাটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজনে মুক্তেশ্বরী ডিগ্রী কলেজের হলরুমে মণিরামপুর ও অভয়নগর উপজেলার সূধীজনের সাথে ভবদহের সমস্যা বিষয় প্রল্পে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য উপরোক্ত কথা বলেন।

    অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি অধীর কুমার পাঁড়ের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ভবদহ পানি নিষ্কাশন কমিটির সভাপতি ও অভয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র এনামুল হক ফরাজী বাবুল।

    এই সময় হরিদাসকাটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির লিটনের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন মুক্তেশ্বরী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ প্রবীর কুমার মল্লিক,কুলটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্র রায়,অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউপি চেয়ারম্যান বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস,প্রেমবাগ ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক মফিজুর রহমানসহ ভবদহ পানি নিষ্কাশন কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ সূধীজন।

    ২৪ ঘণ্টা/আসাদ