Tag: জাতিসংঘ

  • শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাল জাতিসংঘ

    শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাল জাতিসংঘ

    টানা চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে জাতিসংঘ।

    বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ অভিনন্দন জানানো হয়।

    জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, পুনরায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় আপনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। জাতিসংঘ বাংলাদেশের সঙ্গে থাকা সম্পর্ককে গভীরভাবে মূল্যায়ন করে। যার মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি উদারতা এবং একটি টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা।

    শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠিতে তিনি আরও বলেন, গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপে আপনার উপস্থিতি ও আপনার ওপর থাকা বিশ্বাসকে আমি সাধুবাদ জানাই। আমি আশা করতে পারি, বৈশ্বিক সমস্যাগুলোতে আপনাকে পূর্বের ন্যায় পাব। যার মধ্যে রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন এবং আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক কাঠামো।

    বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থে জাতিসংঘ আপনার সরকারের সঙ্গে কাজ করতে বদ্ধপরিকর বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন গুতেরেস।

  • ইউনেস্কোর ‘অনন্য বিশ্ব ঐতিহ্যের’ তালিকায় মুসলমানদের ইফতার

    ইউনেস্কোর ‘অনন্য বিশ্ব ঐতিহ্যের’ তালিকায় মুসলমানদের ইফতার

    জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত হলো ইফতার। পবিত্র রমজান মাসে মুসলিমদের ইফতারকে বুধবার বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করেছে ইউনেস্কো।

    সামাজিক-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যটিকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একসঙ্গে জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) এর কাছে আবেদন করেছিল ইরান, তুর্কি, আজারবাইজান ও উজবেকিস্তান।

    ইউনেস্কো বলেছে, ‘সমস্ত ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার পরে মুসলমানরা রমজান মাসে সূর্যাস্তের সময় ইফতার পালন করে। পবিত্র মাসে প্রার্থনার জন্য সূর্যাস্তের অপেক্ষার পর একসঙ্গে পরিবার ও সম্প্রদায়ের সবাই মিলে ইফতার করে থাকে। এর মাধ্য ভালো বন্ধন, দান, সংহতির মতো সামাজিক বিনিময় ঘটে থাকে।

    সোমবার থেকে বতসোয়ানায় মিটিং করছে আন্তঃসরকারি কমিটি ফর দ্য সেফগার্ডিং অব ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ কমিটি। তারাই বহু পুরনো ঐতিহ্যবাহী মুসলিম এই রীতিকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

    জাতিসংঘের সংস্থাটি বলেছে, ‘ইফতার সাধারণত পরিবারের মধ্যেই গ্রহণ করা হয়। পরিবারের ছোট বড় সকলে ইফতার বনানোর দায়িত্ব নেয়।’

    এছাড়াও ইউনেস্কোর বৈশ্বিক ঐতিহ্যের তালিকায় যোগ করা হয়েছে ইতালীয় অপেরা গান।

     

  • নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না জাতিসংঘ

    নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না জাতিসংঘ

    বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না জাতিসংঘ। গতকাল বুধবার জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের কার্যালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।

    জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া জাতিসংঘ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে না। আর হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ অন্যান্য সংগঠনের প্রতিবেদন তারা দেখেছেন।

    ব্রিফিংয়ে একজন প্রশ্নকারী বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে বিরোধী নেতাকর্মী ও সমালোচকদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চলমান পদ্ধতিগত দমন-পীড়ন একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানকে অসম্ভব করে তুলেছে। বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ মহাসচিব সুনির্দিষ্ট কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন?

    এ সময় কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়াই বাংলাদেশের জনগণ যাতে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেন, স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি জাতিসংঘ আবারও আহ্বান জানায়।

     

  • সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিরোধী মতের প্রতি সম্মান জরুরি: জাতিসংঘ

    সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিরোধী মতের প্রতি সম্মান জরুরি: জাতিসংঘ

    ধীরে ধীরে জাতীয় নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে উত্তেজনার শঙ্কা। এমনকি নির্বাচন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে রয়েছে সহিংসতার আশঙ্কাও।

    এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেছেন শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অধিকারবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার ক্লেমেন্ট ভউল। তিনি বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিরোধী মতের প্রতি সম্মান থাকা জরুরি।

    সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশ নিয়ে করা এক টুইট বার্তায় ক্লেমেন্ট ভউল এই মন্তব্য করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘চলমান প্রতিবাদ-বিক্ষোভে সহিংসতা ও গ্রেপ্তারের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এই অবস্থায় সব পক্ষকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি আমি।’

    তিনি আরও বলেন, ‘আমি কর্তৃপক্ষকে তাদের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছি যে, তারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অধিকার নিশ্চিত করবে এবং অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকবে। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য বিরোধী মতকে সম্মান করা গুরুত্বপূর্ণ।’

    সোমবার রাতের এই টুইটে বাংলাদেশের পতাকার একটি ছবি যুক্ত করে এসব কথা বলেন জাতিসংঘের বিশেষ এই র‌্যাপোর্টিয়ার। টুইটের হ্যাশট্যাগে এসময় তিনি ‘বাংলাদেশ’ শব্দটিও ব্যবহার করেন।

    এর আগে গত বছর বাংলাদেশ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন ক্লেমেন্ট ভউল। ডিসেম্বরে দ্বিতীয় সপ্তাহে টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় ক্লেমেন্ট বলেন, বাংলাদেশকে অবশ্যই শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে এবং বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

    ২০২২ সালের জুলাই মাস থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে হামলা ও প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের খবর পাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের ঘটনাবলী তিনি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলেও সেসময় জানান ক্লেমেন্ট।

    তারও আগে ২০২১ সালে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন জাতিসংঘের বিশেষ এই র‌্যাপোর্টিয়ার।

    উল্লেখ্য, ক্লেমেন্ট নাইলেতসোসি ভউল একজন টোগোলিজ কূটনীতিক এবং আইনজ্ঞ। টোগোতে জন্ম নেওয়া এই ব্যক্তি ২০১৮ সাল থেকে শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অধিকারের বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষ র‌্যাপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন।

    এর আগে ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস ফর হিউম্যান রাইটসে আফ্রিকান অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন ভউল।

  • বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের পেশাদারিত্বের ভূয়সী প্রশংসা জাতিসংঘের

    বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের পেশাদারিত্বের ভূয়সী প্রশংসা জাতিসংঘের

    জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জাঁ পিয়েরে ল্যাক্রোইক্স এবং ক্যাথরিন পোলার্ড আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে যৌথভাবে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

    জাতিসংঘ সদস্য অস্থিতিশীল দেশগুলোতে শান্তি রক্ষায় অবদানের জন্য তারা বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বৈঠকে তারা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, জলবায়ু পরিবর্তন ও নারীর নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

    জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল বলেছেন, জাতিসংঘ সফলভাবে তার শান্তিরক্ষা অভিযানের ৭৫ বছর পূর্ণ করেছে।

    এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে অত্যন্ত নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অবদান রেখে আসছে। বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সবচেয়ে বেশি সৈন্য প্রেরণকারী দেশ।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের নয়টি শান্তিরক্ষা মিশনে প্রায় ৭,৫০০ বাংলাদেশী নারী-পুরুষ নিযুক্ত রয়েছে।’
    ক্যাথরিন পোলার্ড যৌন নিপীড়ন ও নির্যাতন রোধে ট্রাস্ট ফান্ডে বাংলাদেশের অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

    জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ নারী নিরাপত্তা এবং (জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে) নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি যৌন নিপীড়ন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে তার সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি পুনর্ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ এ বিষয়ে তদন্তের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।

    জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি ঝুঁকিপূর্ণ দেশ এবং তার সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় নিজস্ব অর্থায়নে প্রশমন ও অভিযোজন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

    প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

  • জাতিসংঘের ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড’ পদক পেলেন ৫ বাংলাদেশি

    জাতিসংঘের ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড’ পদক পেলেন ৫ বাংলাদেশি

    শান্তি মিশনে আত্মত্যাগ করা বাংলাদেশের পাঁচ শান্তিরক্ষীকে মরণোত্তর ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড’ পদক দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পাঁচজনসহ বিশ্বের ৩৯ দেশের ১০৩ জন শান্তিরক্ষীকে তাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য এ পদক দিয়েছে জাতিসংঘ।

    জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের পক্ষে মেডেল গ্রহণ করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত। মেডেল গ্রহণের পর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ হলে রক্ষিত শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন তিনি।

    শোকবার্তায় তিনি শান্তিরক্ষায় জীবনদানকারী সকল শান্তিরক্ষীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং অপূরণীয় এই ক্ষতির জন্য তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।

    বাংলাদেশের যারা পদক পেয়েছেন, তারা হলেন সুদানের আবেইতে ইউএনএসএফএ মিশনের সার্জেন্ট মোহাম্মদ মনজুর রহমান; দক্ষিণ সুদানের ইউএনএমএসএস মিশনের ল্যান্স করপোরাল কফিল মজুমদার; সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের এমএনইউএসসিএ মিশনের সৈনিক মোহাম্মদ শরিফ হোসেন, সৈনিক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং সৈনিক মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন।

    বাংলাদেশ বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। বিশ্বের ৯টি মিশনে বাংলাদেশের প্রায় ৭ হাজার ৫০০ শান্তিরক্ষী এখন দায়িত্ব পালন করছেন। এ পর্যন্ত শান্তিরক্ষা মিশনে কর্তব্যরত অবস্থায় বাংলাদেশের ১৬৬ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।

  • বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করতে বছরে প্রয়োজন ৮শ কোটি টাকা

    বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করতে বছরে প্রয়োজন ৮শ কোটি টাকা

    পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করতে বছরে ৮০০ কোটি টাকা প্রয়োজন। আমাদের বিবেচনা করতে হবে এত টাকা খরচ করা যুক্তিসঙ্গত হবে কি না। তবে এই সক্ষমতা একদিন বাংলাদেশেরও তৈরি হবে।

    মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে বাংলাদেশ, কেনিয়া, রাশিয়া, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া ও মালদ্বীপের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

    পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভাসার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা সবই আছে। কিন্তু জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করতে হলে যে, আর্থিক সংশ্লেষ আছে তাতে এই মুহূর্তে এটার পক্ষে বেশি মতামত আসবে না। আমরা সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা সকলের ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এমনকি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ভাষার প্রতিও আমরা সমানভাবে শ্রদ্ধাশীল।

    শাহরিয়ার আলম বলেন, আমাদের ভাষা আন্দোলন আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনে শক্তি যুগিয়েছে। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনা জাতিসংঘে বাংলায় বক্তব্য দিয়েছেন। এখন বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হচ্ছে।

    তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতার আসার পরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের দাবি ওঠে। পরে ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কোতে প্রস্তাব তোলার পর এর স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার সক্ষমতা একদিন আমাদের হবে।

  • জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দিল বাংলাদেশ

    জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দিল বাংলাদেশ

    মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল পাঁচ দশক ধরে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে ফিলিস্তিনের বেশ কয়েকটি অঞ্চল।

    এই অবৈধ দখলদারিত্বের কারণে ইসরায়েল ‘কী ধরনের বিচারের মুখে পড়বে’ সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের (আইজিসে) মতামত জানতে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় জাতিসংঘে। এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ।

    প্রস্তাবের পক্ষে বাংলাদেশসহ ভোট দিয়েছে মোট ৮৭টি দেশ। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলসহ ২৬টি দেশ। আর ভোটদানে বিরত ছিল ৫৩টি দেশ। ৮৭টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়ায় এটি পাস হয়েছে।

    জাতিসংঘে এ প্রস্তাব পাস হওয়াকে নিজেদের বিজয় হিসেবে উল্লেখ করেছে ফিলিস্তিন। তারা বলেছে, এর মাধ্যমে ইসরায়েলের অপরাধ উন্মোচিত হবে।

    তবে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত যে মতামত দেবে— গুরুত্বের বিচারে তা যথেষ্ট হলেও, সেই মতামত বা পরামর্শ বাস্তবায়নের ক্ষমতা আইসিজের নেই।

    বাংলাদেশ ছাড়াও ফিলিস্তিনের পক্ষে যেসব দেশ ভোট দিয়েছে

    আলজেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা, আর্জেন্টিনা, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বাহামাস, বাহরাইন, বার্বাডোস, বেলজিয়াম, বেলিজ, বলিভিয়া, বসতওয়ানা, ব্রুনাই দারুসালাম, কম্বোডিয়া, চিলি, চীন, কলম্বিয়া, কিউবা, উত্তর কোরিয়া, জিবোতি, মিসর, এল সালভাদর, গ্যাবন, গ্রেনাডা, গিনি, গিনি-বিসাউ, গায়ানা, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইরাক, আয়ারল্যান্ড, জ্যামাইকা, জর্ডান, কাজাখস্তান, কুয়েত, কিরগিজস্তান, লাউস, লেবানন, লেসোতো, লিবিয়া, লুক্সেমবার্গ, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মালি, মাল্টা, মরিশানিয়া, মরিশাস, মেক্সিকো, মঙ্গোলিয়া, মরক্কো, মোজাম্বিক, নামিবিয়া, নিকারুগুয়া, নাইজেরিয়া, ওমান, পাকিস্তান, প্যারাগুয়ে, পেরু, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, কাতার, রাশিয়া, সেন্ট কিটস-নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট, সৌদি আরব, সেনেগাল, সিয়েরা লিয়ন, সিঙ্গাপুর, স্লোভেনিয়া, সোমালিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, সুদান, সিরিয়া, তাজিকিস্তান, ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগো, তিউনিসিয়া, তুর্কি, তুর্কমেনিস্তান, উগান্ডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভিয়েতনাম, ইয়েমেন, জাম্বিয়া এবং জিম্বাবুয়ে।

    যেসব দেশ বিপক্ষে ভোট দিয়েছে

    যুক্তরাষ্ট্র, আলবেনিয়া, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, কানাডা, কোস্টারিকা, চেক রিপাবলিক, এস্তোনিয়া, জার্মানি, হাঙ্গেরি, গুয়েতেমালা, ইসরায়েল, ইতালি, কেনিয়া, লাইবেরিয়া, লিথুয়ানিয়া, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, মাইক্রোওশেনিয়া, নাউরু, পালাউ, পাপুয়া নিউ গিনি, রোমানিয়া, যুক্তরাজ্য।

    যেসব দেশ ভোটদানে বিরত ছিল

    অ্যানডোরা, বেলারুশ, বসনিয়া, বুলগেরিয়া, বুরুন্ডি, ক্যামেরুন, আইভরি কোস্ট, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, ডমিনিকান রিপাবলিক, ইকুয়েডর, ইরিত্রি, ইথিওপিয়া, ফিজি, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জর্জিয়া, ঘানা, গ্রিস, হাইতি, হন্ডুরাস, আইসল্যান্ড, ভারত, জাপান, কিরিবাতি, লাটভিয়া, লিশচেনস্তেন, মালাই, মোনাকো, মন্তেনেগ্রো, মিয়ানমার, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, পানামা, ফিলিপাইন, দক্ষিণ কোরিয়া, মলদোভা, রুয়ান্ডা, সামোয়া, সান মারিনো, সার্বিয়া, স্লোভাকিয়া, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ সুদান, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ডস, থাইল্যান্ড, তানজানিয়া, উরুগুয়ে এবং ভানুয়াতু।

  • শুক্রবার রাতে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী

    শুক্রবার রাতে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৬তম অধিবেশন ও অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের পার্শ্ব-আলোচনায় যোগদান শেষে তাঁর যুক্তরাষ্ট্র সফর সমাপ্ত করে আগামীকাল শুক্রবার রাতে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে হেলসিঙ্কি হয়ে দেশে ফিরবেন।

    প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বলেন, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফর-সঙ্গীদের নিয়ে ফিনিশ রাজধানী হেলসিঙ্কি হয়ে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছুবে।’ ওয়াশিংটন ডিসি সময় ১৭:০০টায় ফ্লাইটটি ওয়াশিংটন ডিসি’র ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হেলসিঙ্কির উদ্দেশে রওয়ানা দিবে।

    এ সময় বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শহিদুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাবেন। ১ অক্টোবর স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে ফ্লাইটটি হেলসিঙ্কি-ভানতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। সেখানে ফিনল্যান্ডে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত (অনাবাসিক) মো. নাজমুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।

    হেলসিঙ্কিতে দুই থেকে তিন ঘন্টা যাত্রা-বিরতির পর হেলসিঙ্কি সময় সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দিবে। এ সময় বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাবেন ফিনল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত (অনাবাসিক) মো. নাজমুল ইসলাম।

    এর আগে ফিনিশ রাজধানী হেলসিঙ্কিতে দুই দিনের যাত্রা-বিরতির পর ১৯ সেপ্টেম্বর ৭৬তম ইউএনজিএ-তে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক পৌঁছান।
    ১৯ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর নিউইংর্কে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ৭৬তম ইউনাইটেড ন্যাশনস জেনারেল এসেমব্লি (ইউএনজিএ) ও কয়েকটি উচ্চ-পর্যায়ের পার্শ্ব-আলোচনায় অংশ নেন। পরে, ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি নিউইয়র্কে তাঁর সপ্তাহব্যাপী সরকারি সফর শেষে ওয়াশিংটন ডিসি’র উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেন।

    নিউইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্কে বক্তব্য রাখেন। নিউইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। তিনি বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাংলায় ভাষণ প্রদান করেন।

    ১৯ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অবস্থানকালে তিনি বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের ও রুদ্ধ-দ্বার বৈঠকে যোগ দেন এবং বিভিন্ন সরকার, রাষ্ট্র ও সংগঠনের প্রধানের সঙ্গে কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন।

    প্রধানমন্ত্রী ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শত-বার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁর সম্মানে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের নর্থ লনের ইউএন গার্ডেনে একটি চারাগাছ রোপন করেন।

    এন-কে

  • ভারতের নতুন টিকা নিতে পারবে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সবাই, দাবি মোদীর

    ভারতের নতুন টিকা নিতে পারবে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সবাই, দাবি মোদীর

    এবার জাতিসংঘে ৭৬তম আধিবেশনে বক্তৃতা দেবার সময় ভারতের তৈরী ডিএনএ টিকার বিষয়টা সামনে আনলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি দাবি করে বলেন, বিশ্বে প্রথম ডিএনএ টিকা ভারতেই তৈরি হয়েছে। এই টিকার বিশেষত্ব হচ্ছে- ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সবাই নিতে পারবে।

    ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, জাইডাস ক্যাডিলার তৈরি করেছে এই টিকা। আর এই টিকা বাজারে নিয়ে আসতে ও তৈরি করতে সাহায্য করছে নিয়ামক সংস্থা ডিসিজিএ।

    এই টিকার বিশেষত্ব হলো- তা করোনাভাইরাসের জিনগত বস্তুকে ব্যবহার করেই তার প্রতিরোধ করে। ভাইরাসের ওই জিনগত উপাদান এমন কিছু প্রোটিন তৈরি করে যাতে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সাড়া দেয়।

    জাতিসংঘে এই টিকা বিষয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘‘ডিএনএ টিকার পাশাপাশি ভারত এমআরএনএ টিকা তৈরির কাজেও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এই টিকা নাক দিয়েও নেয়া যায়। এই টিকা তৈরির জন্য প্রতিনিয়ত পরিশ্রম করছেন আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা।’’

    অবশ্য গত মাসেই ভারতের তৈরি বিশ্বের প্রথম ডিএনএ টিকাকে করোনা ভাইরাসের টিকা হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে ডিসিজিএ।

    জাতিসংঘে বক্তৃতা করার সময় নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন, ‘‘ভারতের ক্ষমতা সীমিত হতে পারে। তবে ভারত ‘সেবাই পরম ধর্ম’— এই নীতিতে বিশ্বাসী। এই নীতিকে আদর্শ মেনেই করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির জন্য নিজেদের যাবতীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে ভারত।’’

    এ সময় বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলোকে ভারতে এসে টিকা তৈরির প্রস্তাবও দেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।

    চলমান করোনা সঙ্কটের মাঝে গত এপ্রিল থেকে টিকা রপ্তানি করা বন্ধ করে দিয়েছিলো ভারত সরকার। এবার সেই বিষয়েও জাতিসংঘের মঞ্চ থেকে নতুন ঘোষণা দিলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।

    তিনি বলেন, “মানবসভ্যতার প্রতি ভারত তার কর্তব্য পালন করে চলেছে। তারই অংশ হিসেবে ভারত এবার বিদেশে টিকা রপ্তানি ফের শুরু করবে। যে সব দেশের টিকা প্রয়োজন তাদের টিকা দেবে ভারত।’’

    এন-কে

  • জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের দিন আজ

    জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের দিন আজ

    আজ ঐতিহাসিক ২৫ সেপ্টেম্বর। ১৯৭৪ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ অধিবেশনে প্রথম বারের মতো বাংলা ভাষায় ভাষণ দেন।

    বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ও বাংলা ভাষার এই উজ্জ্বল দিনেই বাংলায় দেওয়া বঙ্গবন্ধুর ভাষণের মাধ্যমে জাতিসংঘের সদস্য পৃথিবীর সব দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে পারে বাংলা ভাষার কথা, জানতে পারে বাংলা ভাষাভাষী বাঙালি জাতির জন্য রয়েছে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। তার নাম বাংলাদেশ।

    আর, বাংলা ভাষার নামে এই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য কোটি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাদের উন্মুখ করে তুলেছিলেন দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য প্রাণ বিসর্জন দিতে। তারও আগে যুক্ত হয়েছিলেন রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবির আন্দোলনে। জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিয়ে সেই তিনিই বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরেছিলেন এই ভাষাকে।

    বঙ্গবন্ধু এদিন ভাষণের শুরুতেই বলেন, ‘আজ এই মহামহিমান্বিত সমাবেশে দাঁড়াইয়া আপনাদের সাথে আমি এই জন্য পরিপূর্ণ সন্তুষ্টির ভাগীদার যে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ আজ এই পরিষদে প্রতিনিধিত্ব করিতেছেন। আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের পূর্ণতা চিহ্নিত করিয়া বাঙালি জাতির জন্য ইহা একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার অর্জনের জন্য এবং একটি স্বাধীন দেশে মুক্ত নাগরিকের মর্যাদা নিয়া বাঁচার জন্য বাঙালি জনগণ শতাব্দীর পর শতাব্দীব্যাপী সংগ্রাম করিয়াছেন, তাঁহারা বিশ্বের সকল জাতির সাথে শান্তি ও সৌহার্দ্য নিয়া বাস করিবার জন্য আকাঙ্ক্ষিত ছিলেন।’

    বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘যে মহান আদর্শ জাতিসংঘ সনদে রক্ষিত আছে, আমাদের লক্ষ লক্ষ মানুষ সেই আদর্শের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করিয়াছেন। আমি জানি, শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে সকল মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের উপযোগী একটি বিশ্ব গড়িয়া তোলার জন্য বাঙালি জাতি পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, আমাদের এই অঙ্গীকারের সাথে শহীদানের বিদেহী আত্মাও মিলিত হইবে।’

    এ বছর ২৫ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ প্রদানের ৪৭তম বার্ষিকী উদ্‌যাপনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের জন্য একটি ই-পোস্টার প্রকাশ করেছে।

    অন্যদিকে, এই দিনটিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য কর্তৃপক্ষ ২০১৯ সাল থেকে ‘বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’ হিসেবে পালন করে আসছে। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অন্যান্য অগ্রসর জাতির অভিবাসীদের সঙ্গে উজ্জ্বল পংক্তিভুক্ত হয় বাংলাদেশিরাও। এর আগে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সিনেটে একটি সেশনে আলোচনার পর আইন পরিষদে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ বছর তৃতীয় বারের মত সিনেটের আইন পরিষদ কর্তৃক নবায়ন হলো।

    যুক্তরাষ্ট্রের নিউইর্য়কে স্থানীয় সময় শনিবার বিকেল ৫টায় জ্যাকসন হাইটসের জুইশ সেন্টারে দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে মুক্তধারা। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। মূল প্রবন্ধ পাঠ করবেন জাতিসংঘে কর্মরত বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে সংসদ সদস্য ও সাবেক এফবিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন, বর্তমান এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দীন, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুস সোবহান গোলাপ, বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইমাম, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায় যোগ দেবেন।

    উপস্থিত থাকবেন নিউইয়র্ক স্টেট সেনেটর, কাউন্সিলম্যান, আমেরিকার মূলধারায় নব-নির্বাচিত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শাহানা হানিফ, সোমা সাঈদসহ নেতৃবৃন্দ। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বিশ্বজিত সাহা। সভাপতিত্ব করবেন মুক্তিযোদ্ধা ডা. জিয়াউদ্দীন আহমেদ।

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেদিন জাতিসংঘে ভাষণ দিয়েছিলেন সেই ২৫ সেপ্টেম্বরকে ২০২১ সালের জন্য ধারাবাহিকভাবে তৃতীয় বছরের মত ‘বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’ ঘোষণা করা হয়। গত ২১ জানুয়ারি মুক্তধারার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বিশ্বজিত সাহা ও সেনেটর স্টেভেস্কি বিলটি নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের আইনপরিষদে উত্থাপন করেন। ২৬ জানুয়ারি সর্বসম্মতভাবে বিলটি পাস হয়।

    এন-কে

  • প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে ভাষণ দেবেন আজ

    প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে ভাষণ দেবেন আজ

    জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে আজ শুক্রবার ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    জাতিসংঘের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা) সাধারণ অধিবেশনের চতুর্থ দিনের ভাষণ পর্ব শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

    দিনের শুরুতে ভাষণ দেবেন সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট নিকোস আনাস্তাসিয়াদেস। জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ওয়াল্টার স্টেইনমেইর এবং ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসসহ আট জনের ভাষণের পর বিশ্বমঞ্চে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    জাতিসংঘের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রত্যেক দেশের নেতা ১৫ মিনিট করে সময় পাবেন। ফলে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত ৯টার পরই ভাষণ দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবর রহমানের প্রথম বাংলা ভাষণকে অনুসরণ করে বাংলা ভাষায় এই ভাষণটি দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এটি হবে তাঁর ১৮তম ভাষণ। ১৯৯৬ সালে প্রথমবার তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম জাতিসংঘে ভাষণ দেন।

    সাধারণ অধিবেশনের ভাষণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন তরান্বিত করা, কোভিড টিকা নিয়ে বিভাজন দূর করা, ক্ষুধা ও দারিদ্র দূরীকরণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বকে আরও সক্রিয় হওয়াসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    এদিন অধিবেশনের দ্বিতীয় ভাগে ভাষণ দেবেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী সুগা ইয়োশিহিদে, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন, কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ খালেদ আল-হামাদ আল-সাবাহসহ অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা।

    সরকারি সফরনামা অনুযায়ী আজই নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর শেষ দিন। জাতিসংঘ অধিবেশন এবং নিউইয়র্কে অন্যান্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রীর আগামীকাল শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) থেকে বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ওয়াশিংটন ডিসি সফরের কথা রয়েছে।

    যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে শেখ হাসিনা ৩০ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন এবং হেলসিঙ্কিতে যাত্রা বিরতির পর ১ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।

    এন-কে