Tag: জাতিসংঘ

  • দ্বি-পাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে রোডম্যাপ তৈরির প্রস্তাব কুয়েতের

    দ্বি-পাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে রোডম্যাপ তৈরির প্রস্তাব কুয়েতের

    কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল-খালিদ আল-সাবাহ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশেনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এতে দ্বি-পাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে একটি রোডম্যাপ (পথনকশা) তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।

    জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ঐ বৈঠকের পর নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তারা আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে একটি রোডম্যাপ ও একটি অভিযোগ্য কর্মসূচি প্রস্তুত করতে চাই।’

    ড. মোমেন দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, উভয় প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার সূত্র ধরে তিনি পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ও সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র বাছাই করতে কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে একটি তেল শোধনাগার স্থাপনের ব্যাপারে তার দেশের আগ্রহের কথাও ব্যক্ত করেন এবং তাদের দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা চান।

    তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এসব প্রস্তাবকে স্বাগত জানান এবং প্রস্তাবিত তেল শোধনাগারের জন্য প্রয়োজনীয় জমি প্রদানের ব্যাপারে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের প্রয়োজনীয় সামরিক প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহযোগিতা দিব।’

    ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী পাঠিয়ে কুয়েতের দিকে তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল এবং এই সহযোগিতার স্বীকৃতিস্বরূপ কুয়েত তাদের একটি সামরিক ইউনিটের নামকরণ করে ‘বাংলাদেশ কন্টিনজেন্ট’।

    পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, কুয়েত তাদের কুয়েত ফান্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পাঁচ কোটি মার্কিন ডলার প্রদান করে এবং বাংলাদেশ সরকার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের আওতায় পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ব্যয় করা হয়।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশ পাঁচটি মেঘা প্রকল্পের জন্য কুয়েত ফান্ডের মাধ্যমে আরো ১০ কোটি মার্কিন ডলার গ্রহণে কুয়েতের সঙ্গে আলোচনার একে বারে শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

    পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সময় থেকেই কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অন্যন্য।’

    এর আগে শেখ হাসিনা সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টিফান লফভেনের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক করেন। সমসাময়িক বিশ্বে একজন বিখ্যাত শ্রমিক নেতা হওয়ার খ্যাতি অর্জন করেন স্টিফান।

    বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বলেন, তাঁর সরকার কর্মীদের স্বার্থের জন্য আরো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং এ ব্যাপারে তিনি তাঁর পরামর্শ চান। শেখ হাসিনা একই সঙ্গে তাঁকে অবহিত করেন যে প্রণোদনা প্যাকেজের কারণে মহামারি করোনাভাইরাস চলাকালেও কোন বাংলাদেশী গার্মেন্ট শ্রমিক চাকরি হারায়নি।

    পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা হোটেল লটে নিউইয়র্ক প্যালেসে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বিফ্রিংকালে উপস্থিত ছিলেন।

    এন-কে

  • সুদানে অভ্যুত্থান চেষ্টার নিন্দা জাতিসংঘ মহাসচিবের

    সুদানে অভ্যুত্থান চেষ্টার নিন্দা জাতিসংঘ মহাসচিবের

    জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস সুদানে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার নিন্দা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি দেশটির গণতন্ত্রের উত্তরণে অর্জন রক্ষা করারও আহ্বান জানিয়েছেন।

    জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক এ কথা জানিয়েছেন।

    তিনি জানান, মহাসচিব একটি অন্তর্ভূক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল এবং গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য সুদানের জনগণের আকাঙ্খা বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে সকল পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    উল্লেখ্য, সুদানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে দেশটিতে মঙ্গলবার সকালে ব্যর্থ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা চালানোর খবর প্রচারিত হয়।

    এন-কে

  • জাতিসংঘ অধিবেশনে অংশ নিতে চায় তালেবান

    জাতিসংঘ অধিবেশনে অংশ নিতে চায় তালেবান

    জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের চলতি অধিবেশনে যোগ দিতে চায় আফগানিস্তানের তালেবান সরকার। এই আগ্রহের কথা জানিয়ে গত সোমবার জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে চিঠিও দিয়েছে তারা।

    বিবিসি জানিয়েছে, তালেবানের চিঠি পাওয়ার বিষয়টি মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফানে ডুজারিখ।

    তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে পাঠানো চিঠিতে জানান, জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের এ সম্মেলনে অংশ নিতে চায় তালেবান।

    জাতিসংঘ নিযুক্ত ক্ষমতাচ্যুত আফগান সরকারের রাষ্ট্রদূত গোলাম ইসাকজাইকে সরিয়ে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে এই চিঠিতে।

    জাতিসংঘের এই অধিবেশনে গোলাম ইসাকজাইয়েরই অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। তবে তালেবান সরকার ইসাকজাইয়ের পরিবর্তে সুহাইল শাহিনকে জাতিসংঘে স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ায় জটিলতা শুরু হয়েছে।

    এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে বিশ্ব সংস্থার নয় সদস্যের একটি কমিটি। তবে তা সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শেষ হওয়ার আগে সম্ভব কিনা তা নিশ্চিত নয়।

    এন-কে

  • প্রধানমন্ত্রীকে জাতিসংঘের এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার প্রদান

    প্রধানমন্ত্রীকে জাতিসংঘের এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার প্রদান

    জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) দারিদ্র্য দূরিকরণ, পৃথিবীর সুরক্ষা এবং সকলের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণের সার্বজনীন আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের সঠিক পথে অগ্রসরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ প্রদান করেছে।

    স্থানীয় সময় সোমবার নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ পুরস্কার গ্রহণ করে বলেন, তিনি বাংলাদেশের জনগণকে এটি উৎসর্গ করছেন।’

    মোমেন সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যের (এসডিজি) বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতা অর্জনের পর টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে (এসডিজি) দ্রুত এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে এ পুরস্কার পাওয়াকে দেশের সফলতার গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে অভিহিত করেন।

    বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও উন্নয়ন কৌশলবিদ অধ্যাপক জেফ্রি ডি. সচ’র নেতৃত্বে জাতিসংঘ মহাসচিবের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০১২ সালে এসডিএসএন প্রতিষ্ঠা করা হয়।

    টেকসই উন্নয়নের জন্য বাস্তব ভিত্তিক সমাধান জোরদারে বিশ্বের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগানোই এ প্লাটফর্মের লক্ষ্য।

    অনুষ্ঠানের সঞ্চালক শেখ হাসিনাকে ‘জুয়েল ইন দি ক্রাউন অব দি ডে’ হিসেবে তুলে ধরেন এবং সচ বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাস চলাকালেও এসডিজি প্রচারণা কার্যক্রম চালাতে তাঁর নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।

    এ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এ পুরস্কার হচ্ছে এসডিজি’র লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে জোরালো দায়িত্ব পালনের একটি প্রমাণপত্র।’

    প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের (ইউএনজিএ) ফাঁকে আজ আরো কয়েকটি আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ব্রিটেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের যৌথভাবে আয়োজিত জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সরকার প্রধানদের গুরুত্বপূর্ণ রুদ্ধদ্বার বৈঠকে অংশ নেন।

    এন-কে

  • জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বঙ্গবন্ধুর নামে বেঞ্চ উৎসর্গ ও বৃক্ষরোপণ

    জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বঙ্গবন্ধুর নামে বেঞ্চ উৎসর্গ ও বৃক্ষরোপণ

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সদর দপ্তরের উত্তরের লনের বাগানে একটি বৃক্ষরোপণ করেছেন। এ সময় তিনি একটি বেঞ্চ উৎসর্গ করেছেন।

    নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি এ বৃক্ষরোপণ এবং বেঞ্চ উন্মুক্ত করেন।

    এ সময় তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ‘এই বৃক্ষটাও শতবর্ষের ওপর টিকে থাকবে এবং শান্তির বারতাই বয়ে বেড়াবে।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা সবসময় শান্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যই ছিল তাঁর এই সংগ্রাম। সেখানে বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের কথাও যেমন তিনি ভেবেছেন তেমন সারাবিশ্বের ক্ষুধা ও দারিদ্র জর্জরিত, শোষিত-বঞ্চিত মানুষের কথাও তিনি বলেছেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, এটাই ছিল তাঁর লক্ষ্য। কারণ এতে করেই শান্তি আসবে এবং শান্তির সন্ধানেই তিনি ছিলেন। শান্তির জন্যই তিনি সংগ্রাম করেছেন। আর শান্তি ছাড়া কখনো কোন দেশের উন্নতি হয়না।

    তিনি বলেন, এটা আমরা খুব ভালো বুঝি যে একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই উন্নতি হওয়া সম্ভব।

    তিনি বলেন, আজ এখানে একটি বৃক্ষরোপণ করা হলো, যে সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশকে জাতিসংঘ স্বীকৃতি দেয় (১৭ সেপ্টেম্বর) এবং তাঁর পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘে আসেন এবং এখানে বাংলায় ভাষণ প্রদান করেন (২৫ সেপ্টেম্বর)। কাজেই সেই মাসে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের উত্তরের লনে বাগানে বৃক্ষরোপন করা হলো এবং একটি বেঞ্চ উৎসর্গ করা হলো। এই বৃক্ষটাও শতবর্ষের ওপর টিকে থাকবে এবং শান্তির বারতাই বয়ে বেড়াবে বলেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বৃক্ষ যেমন পরিবেশ রক্ষা করে তেমনি মানুষকে খাদ্য ও ছায়া দেয়। আর মানুষের জীবনকেও রক্ষা করে।

    এজন্য তিনি জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধিসহ প্রবাসী বাংলাদেশীদের ধন্যবাদ জানান।

    এরআগে, প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের অংশগ্রহণে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। তিনি রোববার জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনে যোগদান করতে ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক পৌঁছেন।

    এন-কে

  • আজ ফিনল্যান্ড থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    আজ ফিনল্যান্ড থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    ফিনল্যান্ডে দুদিন যাত্রা বিরতি শেষে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা হবেন।

    বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আজ রোববার হেলসিঙ্কি থেকে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হবেন, এবং একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রীর পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

    নিউইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী বিগত বছরগুলোর মতো এবারও বাংলায় ভাষণ দেবেন। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনে শেখ হাসিনা বেশ কয়েক জন বিশ্বনেতার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী।

    এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিতে হেলসিঙ্কি হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে ঢাকা ত্যাগ করেন।

    ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীর ইতালি সফরের দেড় বছর পর এটি তাঁর প্রথম বিদেশ সফর।

    প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন এবং সেখানে বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য সরকারি সফরের অংশ হিসেবে ১৯ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অবস্থান করবেন।

    নিউইয়র্কে যাওয়ার পথে শেখ হাসিনা হেলসিঙ্কিতে দুদিনের যাত্রা বিরতি করছেন।

    নিউইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদর দফতরে সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

    ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী বিগত বছরগুলোর মতো এবারও বাংলায় তাঁর ভাষণ দেবেন।

    বাসস জানিয়েছে, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আহ্বানে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের একটি ছোট দলের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। পরে, প্রধানমন্ত্রী একটি গাছের চারা রোপণ করবেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর সম্মানে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের উত্তর লনে ইউএন গার্ডেনে একটি বেঞ্চ উৎসর্গ করবেন। ওইদিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নেটওয়ার্ক’ শীর্ষক একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন।

    এরপর ২১ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ বিতর্কের উদ্‌বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আয়োজিত ‘বিজনেস গোলটেবিল : ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল’-অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন।

    এরপর ২২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী ‘ডারবান ডিক্লারেশন অ্যান্ড প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন’ গ্রহণের ২০তম বার্ষিকী উপলক্ষে সাধারণ পরিষদের একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেবেন।

    এ ছাড়া তিনি ‘হোয়াইট হাউস বৈশ্বিক কভিড-১৯ শীর্ষ সম্মেলন : মহামারির সমাপ্তি এবং আরও ভালো অবস্থা গড়ে তোলা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন এবং বক্তৃতা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

    সেদিন বিকেলে শেখ হাসিনা ‘রোহিঙ্গা সংকট : একটি টেকসই সমাধানের জন্য করণীয়’ শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং সেখানে পূর্বে-রেকর্ড করা বক্তৃতা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

    এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সুইডিশ মিশন আয়োজিত ‘জাতিসংঘের সাধারণ কর্মসূচি : সমতা ও অন্তর্ভুক্তি অর্জনের পদক্ষেপ’ শীর্ষক নেতাদের নেটওয়ার্কের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

    প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বানে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দশক কর্মসূচির অংশ হিসোবে খাদ্য ব্যবস্থা শীষর্ক সম্মেলনে যোগ দেবেন।

    নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনে শেখ হাসিনা বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডেরিকসেন, বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিজ মিয়া আমোর মোটলি কিউসি, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট, নেদারল্যান্ডের রানী ম্যাক্সিমা, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সালিহ এবং ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট এনগুয়েন জুয়ান ফাইক।

    এ ছাড়া শেখ হাসিনা জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং ইইউ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন।

    জাতিসংঘ অধিবেশন এবং নিউইয়র্কে অন্যান্য অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রীর ২৫-৩০ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসি সফরের কথা রয়েছে।

    যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে শেখ হাসিনা ৩০ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন এবং হেলসিঙ্কিতে যাত্রা বিরতির পর ১ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।

    এন-কে

  • জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী

    জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭৬তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনে যোগ দিতে ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে আজ শুক্রবার ঢাকা ত্যাগ করেছেন।

    বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি চাটার্ড ফ্লাইট আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহন করে হেলসিঙ্কির উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ছেড়ে যায়।

    প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এর আগে জানিয়েছিলেন, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইতালি সফরের দেড় বছর পরে এটি প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফর।

    প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন এবং সেখানে বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য সরকারি সফরের অংশ হিসেবে ১৯ থেকে নিউইয়র্কে অবস্থান করবেন। নিউইয়র্কে যাওয়ার পথে শেখ হাসিনা হেলসিঙ্কিতে দুদিনের যাত্রাবিরতি করবেন।

    প্রধানমন্ত্রী ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টায় (হেলসিঙ্কি সময়) হেলসিঙ্কি থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন এবং একইদিন স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

    নিউইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে সাধারণ বিতর্কে ভাষণ দেবেন।

    ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী বিগত বছরগুলোর মতো এবারও বাংলায় তাঁর ভাষণ দেবেন।

    আগামী ২০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আহ্বানে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের একটি ছোট দলের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। পরে, তিনি একটি গাছ লাগাবেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর সম্মানে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের উত্তর লনে ইউএন গার্ডেনে একটি বেঞ্চ উৎসর্গ করবেন।

    বিকেলে, প্রধানমন্ত্রী ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নেটওয়ার্ক’ শীর্ষক একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

    ২১ সেপ্টেম্বর, শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ বিতর্কের উদ্‌বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কর্তৃক আয়োজিত ‘বিজনেস গোলটেবিল : ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল’ অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন।

    ২২ সেপ্টেম্বর, প্রধানমন্ত্রী ডারবান ডিক্লারেশন অ্যান্ড প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন গ্রহণের ২০তম বার্ষিকী উপলক্ষে সাধারণ পরিষদের একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেবেন।

    এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী ‘হোয়াইট হাউস বৈশ্বিক কোভিড-১৯ শীর্ষ সম্মেলন : মহামারির সমাপ্তি এবং আরও ভাল অবস্থা গড়ে তোলা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন এবং বক্তৃতা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

    সেদিন বিকেলে শেখ হাসিনা ‘রোহিঙ্গা সংকট : একটি টেকসই সমাধানের জন্য করণীয়’ শীর্ষক একটি উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং সেখানে আগে-রেকর্ড করা বক্তৃতা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

    ২৩ সেপ্টেম্বর, প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সুইডিশ মিশন আয়োজিত ‘জাতিসংঘের সাধারণ কর্মসূচি : সমতা ও অন্তর্ভুক্তি অর্জনের পদক্ষেপ’ শীর্ষক নেতাদের নেটওয়ার্কের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। তিনি জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ মহাসচিব কর্তৃক আহ্বান করা ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দশক কর্মসূচির অংশ হিসেবে খাদ্য ব্যবস্থা শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন।

    নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনে শেখ হাসিনা বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

    তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডেরিকসেন, বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিজ মিয়া আমোর মোটলি কিউসি, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট, নেদারল্যান্ডের রানী ম্যাক্সিমা, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ এবং ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট এনগুয়েন জুয়ান ফাইক।

    এ ছাড়া, প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং ইইউ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন।

    জাতিসংঘ অধিবেশন এবং নিউইয়র্কে অন্যান্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রীর ২৫ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসি সফরের কথা রয়েছে।

    যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে শেখ হাসিনা ৩০ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন এবং হেলসিঙ্কিতে যাত্রাবিরতির পর ১ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।

    এন-কে

  • দীর্ঘ বিরতির পর বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী, যোগ দিচ্ছেন জাতিসংঘের অধিবেশনে

    দীর্ঘ বিরতির পর বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী, যোগ দিচ্ছেন জাতিসংঘের অধিবেশনে

    নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিতে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ২ সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা ছাড়ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনাকালে দীর্ঘ ১৯ মাস পর এটি হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফর।

    বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিতে দুই সপ্তাহের সফরে করোনা মহামারির পর প্রথম বিদেশ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন তিনি।

    জানা যায়, ঢাকা থেকে রওনা হয়ে ১৭-১৮ সেপ্টেম্বর ফিনল্যান্ডে অবস্থান করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক পৌঁছাবেন তিনি। ১৯-২৪ সেপ্টেম্বর এ ছয়দিন নিউইয়র্কে অবস্থান করবেন প্রধানমন্ত্রী। ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন তিনি। নিউইয়র্ক সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটন ডিসিতে যাবেন, সেখানে ২৫-৩০ সেপ্টেম্বর অবস্থান করবেন। ৩০ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে ১ অক্টোবর দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

    নিউইয়র্কে সীমিত আকারে দুই সপ্তাহব্যাপী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশন মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) শুরু হয়েছে। অধিবেশনের উদ্বোধন করেন সাধারণ পরিষদের সভাপতি আবদুল্লা শহিদ এবং জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস জলবায়ু সংকট, সংঘর্ষ এবং কোভিড-১৯-এর এ চ্যালেঞ্জিং বছর মোকাবিলায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে আশা ও ঐক্য জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন।

    জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস উদ্বোধনী ভাষণে বলেছেন, যে কোন দিক থেকেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বিশ্ব সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে। মানব সভ্যতার অদৃশ্য শত্রু মহামারি করোনা। এখন সময় তাকে মোকাবিলা করার।

    এবারের অধিবেশনে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ব নেতারা বক্তব্য দেওয়া শুরু করবেন। ২১ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

    এন-কে

  • জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশন শুরু

    জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশন শুরু

    জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশন মঙ্গলবার নিউইয়র্কে শুরু হয়েছে। খবর সিনহুয়া’র।

    সাধারণ পরিষদের সভাপতি এবং জাতিসংঘ মহাসচিব জলবায়ু সংকট, সংঘর্ষ এবং কভিড-১৯ এর এই চ্যালেঞ্জিং বছর মোকাবেলায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে আশা ও ঐক্য জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন।

    ৭৬তম অধিবেশনের সভাপতি আবদুল্লা শহিদ বলেছেন, এটি একটি পীড়াদায়ক ও চ্যালেঞ্জের বছর। তিনি নানা ধরণের চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘বিশ্বের কোটি কোটি লোক অসুস্থ হয়েছে। লাখ লাখ লোক মারা গেছে। কোটি কোটি লোক মহামারির করুণ শিকারে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ, সংঘর্ষ এবং অস্থিতিশীলতার কারণে বিশ্ব জুড়েই উদ্বেগ রয়েছে।’

    তিনি আরও বলেন, কিন্তু আমাদেরকে নতুন অধ্যায় শুরুর পথ বেছে নিতে হবে। আমাদেরকে আশা রাখতে হবে। পরিস্থিতির অবশ্যই পরিবর্তন আসবে। আর এ পরিবর্তনের জন্যে আমাদেরকে অবশ্যই উদ্যোগ নিতে হবে।

    জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস উদ্বোধনী ভাষণে বলেন, ‘যে কোন দিক থেকেই দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর থেকে বিশ্ব সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে। মানব সভ্যতার অদৃশ্য শত্রু মহামারি করোনা। এখন সময় তাকে মোকাবেলা করার। আমি মনে করি- আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সকল চ্যালেঞ্জই এক হয়ে সমাধান করতে পারবে।’

    বিশেষ করে কভিড-১৯ এর কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সকলের জন্যে টিকা দেয়ার গতি এবং চিকিৎসা সুযোগ বাড়িয়ে আমাদেরকে এই শত্রু মোকাবেলা করতে হবে।

    বিশ্ব যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে তা প্রকৃতিগত নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব মানুষের তৈরি। তিনি বিশ্ব অর্থনৈতিক পদ্ধতিকে ধনী দরিদ্রের বিভাজনের জন্যে দায়ী করে বলেন, মানুষের মাত্রাতিরিক্ত লোভ এই গ্রহকে ধ্বংস করছে।

    গুতেরেস বলেন, কাজের মাধ্যমে আমাদের ঐক্য এবং বহুমুখী চেতনার মাধ্যমে আমরা এইসব চ্যালেঞ্জ ও বিভাজন দূর করতে পারি।

    বিদায়ী সভাপতি ভলকান বজকির টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করার আহ্বান জানান। তিনি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং এই গ্রহবাসীর জন্যে নীল নকশা হিসেবে উল্লেখ করেন।

    তিনি আরো বলেন, দিন দিনই বিশ্বায়ন আরো সম্প্রসারিত হচ্ছে। আমরা পরষ্পর যুক্ত এবং নির্ভরশীল হচ্ছি। তাই জাতীয়তাবাদী সমাধান দিয়ে আমরা আমাদের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলা করতে পারবো না।

    এন-কে

  • ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের দুই কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে : জাতিসংঘ

    ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের দুই কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে : জাতিসংঘ

    সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রায় ১৭ শতাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। এর ফলে দেশের দুই কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট গতকাল সোমবার কাউন্সিলের ৪৮তম অধিবেশনে একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য তুলে ধরেন।

    মিশেল ব্যাচেলেট জানান, মালদ্বীপের ৮০ শতাংশের বেশি স্থলভাগের অবস্থান সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র এক মিটারের কম। এর মধ্যেই দেশটি মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, যা সমুদ্রের মাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও খারাপ হবে।

    প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশির ভাগ অঞ্চলে দৈনিক উচ্চ জোয়ারের জেরে বন্যা হতে পারে। এ ছাড়া সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রায় ১৭ শতাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। এর ফলে দেশের দুই কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

    পরিবেশগত দুর্যোগের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া এশিয়ার একটি গুরুতর ঘটনা। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালে চীন, বাংলাদেশ, ভারত এবং ফিলিপাইনে অন্যান্য দেশের তুলনায় দুর্যোগের কারণে বাস্তুচ্যুতির ঘটনা বেশি ঘটেছে, যা বিশ্বের মোট ৭০ শতাংশ।

    এন-কে

  • আল জাজিরার প্রতিবেদন নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত চায় বিএনপি

    আল জাজিরার প্রতিবেদন নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত চায় বিএনপি

    বাংলাদেশকে নিয়ে প্রকাশিত আল জাজিরার প্রতিবেদনের অভিযোগের বিষয়ে জাতিসংঘের তদন্ত দাবি করেছে বিএনপি। বুধবার বিকেলে দলের স্থায়ী কমিটির এক সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই দাবি জানান।

    তিনি বলেন, ‘আল জাজিরার প্রতিবেদন শাসনের অভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন তথা দুঃশাসনের এক বিশাল ক্যানভাসের কেবলই ক্ষুদ্র চিত্র, রাষ্ট্র ক্ষমতার চরম অপব্যবহার ও মাফিয়া সংস্কৃতির এক অতি ক্ষুদ্রাংশ, রাষ্ট্রযন্ত্রকে কুক্ষিগত করে ক্ষমতার দখলদারিত্ব অব্যাহত রাখার ভয়ানক প্রক্রিয়ার এক অতি ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ এবং লাগামহীন সাগরসম দুর্নীতির একটি ট্রিপ অব দ্য আইসবার্গ। দেশের চলমান এই শ্বাসরুদ্ধকর বাস্তবতায় বিএনপি এসব মনে করে।’

    খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘একদিকে সরকার আল জাজিরার পুরো প্রতিবেদনকেই মিথ্যা ও বানোয়াট বলে নাকচ করে দিয়েছে। অপরদিকে দায়সারাভাবে জাতিসংঘের কর্তৃক তদন্ত আহ্বানে অনাপত্তি জানিয়ে বলেছে, তদন্ত হতেই পারে, এ ব্যাপারে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আবার অন্যদিকে আল জাজিরার বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেখানে তথ্যগত ভুল আছে, সেগুলো আমরা তুলে ধরবো এবং আমরা মামলা করবো।’

    তিনি বলেন, ‘আল জাজিরার প্রতিবেদনে উল্লেখিত অভিযোগগুলোর সত্যতা যাচাই না করেই সরকার প্রতিবেদনটিকে ঢালাওভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। অথচ সঠিক তথ্যের প্রকাশই হচ্ছে ভুল তথ্যের জবাব। আর অপ্রচার থেকে ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের উপায়ও হচ্ছে আসল সত্য তুলে ধরা। কিন্তু সরকার প্রতিবেদনের মূল বিষয় বস্তু উহ্য রেখে খণ্ডিত তথ্য অথবা প্রান্তিক বিষয়ের ওপর ভর করে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব প্রকাশ করে চলছে। যদিও তথ্যচিত্রটি সম্প্রচারের আগে অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়েছিল, যা তারা উপেক্ষা করেছে।’

    গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

    সংবাদ সম্মেলনের পর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। এতে সিঙ্গাপুর থেকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

  • জাতিসংঘের ৩ টি নির্বাহী বোর্ডের সহ-সভাপতি ফাতিমা

    জাতিসংঘের ৩ টি নির্বাহী বোর্ডের সহ-সভাপতি ফাতিমা

    জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) এবং জাতিসংঘ প্রকল্প সেবাসমূহের কার্যালয়ের (ইউএনওপিএস) নির্বাহী বোর্ডের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

    সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এ নির্বাচন হয়।

    বুলগেরিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি এই বোর্ডসমূহের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। অন্য দুজন সহসভাপতি হলেন- নেদারল্যান্ড ও গাম্বিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি।

    নবনির্বাচিত কার্যনিবাহী বোর্ডের প্রথম সভায় দেয়া বক্তব্যে রাবাব ফাতিমা জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ এই তিন সংস্থার কাজে বাংলাদেশের প্রতি আস্থা রাখা বোর্ড সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।

    তিনি বোর্ডসমূহের কাজ, বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব কাটিয়ে উঠার প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের পূর্ণ সহযোগিতার নিশ্চয়তা দেন।

    চলতি বছর রাষ্ট্রদূত ফাতিমা ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন।

    বিসিএস (পররাষ্ট্র ক্যাডার) ১৯৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তা রাবাব ফাতিমা এর আগে নিউইয়র্ক, জেনিভা, কলকাতা ও বেইজিংয়ে বাংলাদেশ মিশনে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতিসংঘ সদর দফতরে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।