Tag: জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি

  • একনেকে ১২৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ প্রকল্প অনুমোদন

    একনেকে ১২৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ প্রকল্প অনুমোদন

    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১ হাজার ২৬৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা খরচে পাঁচটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে চারটি নতুন প্রকল্প এবং একটি সংশোধিত প্রকল্প। প্রকল্পগুলোর পুরো টাকাই দেবে সরকার।

    আজ মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। সভার সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    প্রধানমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে এবং অন্যান্য মন্ত্রী-সচিবরা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে একনেক সভায় অংশ নেন।
    একনেক সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পরীকল্পনামন্ত্রী।

    অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘জামালপুর জেলার দিগপাইত-সরিষাবাড়ি-তারাকান্দি সড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প। এতে খরচ হবে ২৭৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘সীমান্ত এলাকায় বিজিবির ৭৩টি কম্পোজিট/আধুনিক বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট (বিওপি) নির্মাণ’ প্রকল্প। এতে খরচ হবে ২৩৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

    সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘৮টি সরকারি শিশু পরিবারে ২৫ শয্যাবিশিষ্ট শান্তিনিবাস স্থাপন’ প্রকল্প। এতে খরচ হবে ৭৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন মেয়াদে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

    প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ‘৪০টি উপজেলায় ৪০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও চট্টগ্রামে একটি ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি স্থাপন (প্রথম সংশোধন)’ প্রকল্প। এতে খরচ হচ্ছে ৩৩৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

    মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্প। এতে খরচ হবে ২৪৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • একনেকে দশ হাজার কোটি টাকার আট প্রকল্প অনুমোদন

    একনেকে দশ হাজার কোটি টাকার আট প্রকল্প অনুমোদন

    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১০ হাজার ৪৬৮ কোটি ২৪ লাখ টাকার ৮ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে পাওয়া যাবে ৫ হাজার ৯৬৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। বৈদেশিক সহায়তা হিসেবে ৪ হাজার ৪২৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে পাওয়া যাবে ৭৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

    মঙ্গলবার (৩ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. নুরুল আমিন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম প্রমুখ।

    একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো- ৭৩২ কোটি ৩২ লাখ টাকার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘জরুরি পানি সরবরাহ প্রকল্প’; এবং ৭৮৬ কোটি ২৭ লাখ টাকার ‘আমিনবাজার ল্যান্ডফিল সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ প্রকল্প’।

    ২৬৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের শেখপাড়া (ঝিনাইদহ)-শৈলকুপা-লাঙ্গলবাঁধ (শ্রীপুর)-ওয়াপদা মোড় (মাগুরা) জেলা মহাসড়ক প্রশস্ত ও মজবুতকরণ প্রকল্প’; ৪০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘রাজশাহী বিসিক শিল্পনগরী-২ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প’; ৪৩৩ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার মুন্সিগঞ্জ থেকে খানপুরা এবং কাজিরহাট থেকে রাজধরদিয়া পর্যন্ত যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প; ৫৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একই মন্ত্রণালয়ের ‘কুড়িগ্রাম জেলার কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট ও ফুলবাড়ী উপজেলাধীন ধরলা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণসহ বাম ও ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প; ৫৬৬ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ও শাজাহানপুর এলাকা রক্ষা প্রকল্প এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প’।

  • একনেকে আড়াই হাজার কোটি টাকার নয় প্রকল্প অনুমোদন

    একনেকে আড়াই হাজার কোটি টাকার নয় প্রকল্প অনুমোদন

    বিসিক প্লাস্টিক শিল্পনগরী প্রকল্পসহ ৯ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এতে মোট ব্যয় হবে ২ হাজার ৪২২ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

    আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়।

    একনেক সভা শেষে প্রকল্পগুলো নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নুরুল আমিন।

    পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, এই ৯টি (নতুন ও সংশোধিত) প্রকল্পে সরকারি অর্থায়ন করা হবে ২ হাজার ১০৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ব্যয় করা হবে ৩১৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভৌত ও অবকাঠামো বিভাগের সদস্য শামিমা নার্গিসসহ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য সদস্যরা।

  • একনেকে চার হাজার কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন

    একনেকে চার হাজার কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন

    ভাণ্ডাল জুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্পসহ ৯টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এতে ব্যয় হবে ৪ হাজার ৩২৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

    মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারী) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়।

    একনেক সভা শেষে প্রকল্পগুলো নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

    পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, এই নয়টি (নতুন ও সংশোধীত) প্রকল্পে সরকারি অর্থায়ন করা হবে ৪ হাজার ২৪৯ কোটি ৯ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ব্যয় করা হবে ৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৬৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

  • একনেকে ২৩ হাজার কোটি টাকার ৮ প্রকল্প অনুমোদন

    একনেকে ২৩ হাজার কোটি টাকার ৮ প্রকল্প অনুমোদন

    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২২ হাজার ৯৪৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷

    মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারী) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়।

    বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

    তিনি জানান, আজকের একনেক সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘বিসিক শিল্প পার্ক, সিরাজগঞ্জ (তৃতীয় সংশোধনী)’ প্রকল্প, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘এসআরডিআই-এর ভবন নির্মাণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি (সিসিবিএস)’ প্রকল্প, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন, জামালপুর (প্রথম সংশোধন)’ প্রকল্প, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) স্থাপন (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্প ও ‘কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর এলাকার নির্বাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নয়ন’ প্রকল্প, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘বেতগ্রাম-তালা-পাইকগাছা-কয়রা মড়ক যথাযথমানে উন্নীতকরণ’ প্রকল্প, ‘লক্ষ্মীপুর শহর সংযোগ সড়ক (আর-১৪৫) ও লক্ষ্মীপুর-চরআলেকজান্ডার-সোনাপুর-মাইজদী (জেড-১৪০৫) সড়ক প্রশস্তকরণ’ প্রকল্প এবং ‘ভোলা (পরান তালুকদারহাট)-চরফ্যাশন (জরমানিকা) আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

  • একনেকে ১১ হাজার ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ প্রকল্প অনুমোদন

    একনেকে ১১ হাজার ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ প্রকল্প অনুমোদন

    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১১ হাজার ৪২ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

    আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়।

    সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. নুরুল আমিন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম প্রমুখ।

    পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, আজকের একনেক সভায় ৮টি প্রকল্প তুলে ধরা হয়। তার মধ্যে ৭টি অনুমোদন দিয়ে একটি প্রকল্প বাদ দেয়া হয়।

    পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের চারটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘সিংড়া-গুরুদাসপুর-চাটমোহর সড়কের (জেড-৫২০৯) সিংড়া অংশের সড়ক বাঁধ উঁচুকরণসহ পেভমেন্ট পুনঃনির্মাণ ও প্রশস্তকরণ’ প্রকল্প; ‘পুঠিয়া-বাগমারা মহাসড়ক (জেড-৬০০৪) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প; ‘সুগন্ধা নদীর ভাঙন হতে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু (দোয়ারিকা সেতু) রক্ষার্থে ৩ দশমিক ৭৬৫ কিলোমিটার নদীতীরে স্থায়ী রক্ষাপ্রদ কাজ’ প্রকল্প এবং ‘জরাজীর্ণ, অপ্রশস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিদ্যমান বেইলি সেতু এবং আরসিসি সেতু প্রতিস্থাপন (ঢাক জোন)’ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

    এ ছাড়া স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘সমগ্র দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ’ প্রকল্প; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার, বরিশাল স্থাপন’ প্রকল্প এবং ‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘নরসিংদী বিসিক শিল্পনগরী সম্প্রসারণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পও অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

  • একনেকে দশ প্রকল্প অনুমোদন

    একনেকে দশ প্রকল্প অনুমোদন

    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) নির্বাহী কমিটির সভায় ১১ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে।

    আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এসব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।

    একনেক সভা শেষে এসব তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

    তিনি বলেন, অনুমোদিত প্রকল্পে সরকার অর্থায়ন করবে ৮ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। বৈদেশিক অনুদান ২৬৭ কোটি টাকা, আর ঋণ ২ হাজার ৯২৮ কোটি টাকা।

    আজকের একনেক বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর অন্যতম জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা।

    বৈঠকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো- বাংলাদেশে চারটি মেরিন একাডেমি স্থাপন প্রকল্প (৩য় সংসোধিত)। কিশোরগঞ্জ-পাকুন্দিয়া-টোক জেলা মহাসড়কে উন্নীতিকরণ প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭২৯ কোটি টাকা। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে তিনটি সেতু নির্মাণ প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৮৮ কোটি টাকা। স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৭১২ কোটি টাকা।

    রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে পরমাণু শক্তি কমিশনের রেগুলেটরি ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়ন প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। রংপুর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে। পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি প্রকল্প-৩। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা। শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলায় চরআত্রা এলাকা রক্ষা প্রকল্প। এতে ব্যয় হবে ৫৫৭ কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প এলাকায় গভীর নলকূপ স্থাপন প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৩২ কোটি টাকা।

  • নতুন দুই মেট্রোরেলসহ ১০ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

    নতুন দুই মেট্রোরেলসহ ১০ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

    মেট্রোরেলের নতুন দুই প্রকল্পসহ মোট ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)।

    মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।

    মেট্রোরেল দুটির বেশিরভাগ অংশই মাটির নিচ দিয়ে যাবে। ১০ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার ২৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ৩০ হাজার ৪৬৬ কোটি, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫১৫ কোটি ৮৪ লাখ এবং বৈদেশিক ঋণ ৬৯ হাজার ৪৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। মোট টাকার মধ্যে দুই মেট্রোরেল প্রকল্পেই ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৩ হাজার ৭৯৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

    মেট্রোরেলের এই দুই প্রকল্পসহ মোট তিনটি প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন পেল। প্রথমে অনুমোদন পাওয়া মেট্রোরেল প্রকল্পের নাম ‘ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এমআরটি লাইন- ৬)’ প্রকল্প। আজ অনুমোদন পাওয়া নতুন দুই প্রকল্পের নাম ‘ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-১)’ এবং ‘ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৫): নর্দান রুট’ প্রকল্প।

    এছাড়াও অনুমোদন পাওয়া ৮ প্রকল্প হলো- সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘ডোমার-চিলাহাটি-ভাউলাগঞ্জ (জেড-৫৭০৬), ডোমার(বোড়াগাড়ী)-জলঢাকা-(ভাদুরদরগাহ) (জেড-৫৭০৪) এবং জলঢাকা-ভাদুরদরগাহ-ডিমলা (জেড-৫৭০৩) জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ ও ‘কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামড়াঘাট জেলা মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণসহ ছয়না-যশোদল-চৌদ্দশত বাজার সংযোগ সড়ক নির্মাণ’ প্রকল্প; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘গৃহায়ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধন) প্রকল্প’, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকাস্থ মিরপুর পাইকপাড়ায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বহুতল আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ’ ও ‘ঢাকার আজিমপুরে বিচারকদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ (প্রথম সংশোধন) প্রকল্প; পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘ইরিগেশন ম্যানেজমেন্ট ইনম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্ট ফর মুহুরী ইরিগেশন প্রজেক্ট (দ্বিতীয় সংশোধন) প্রকল্প এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিরসনে সিলেট বন বিভাগে পুনঃবনায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প।

    নতুন মেট্রারেল প্রকল্প:
    লাইন-১ এর আওতায় মোট ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৬ দশমিক ২১৫ কিলোমিটার পাতাল (আন্ডারগ্রাউন্ড) মেট্রোরেল এবং কুড়িল থেকে পূর্বাচল ডিপো পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৬৯ কিলোমিটার এলিভেটেড মেট্রোরেল হবে।

    লাইন-৫ এর আওতায় ২০ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে হেমায়েতপুর থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার এলিভেটেড মেট্রোরেল এবং আমিনবাজার থেকে ভাটারা পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার পাতাল (আন্ডারগ্রাউন্ড) মেট্রোরেল হবে।

    আর এমআরটি লাইন-৬ রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল সিটি সেন্টার পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার এলিভেটেড মেট্রোরেল নির্মাণকাজ চলমান। লাইন-৬ প্রকল্পে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি সাত লাখ ২১ হাজার টাকা খরচ করা হচ্ছে। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে পাঁচ হাজার ৩৯০ কোটি ৪৮ লাখ এবং জাইকা দিচ্ছে ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি ৫৯ লাখ ২১ হাজার টাকা। ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুনে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

    প্রথম বা লাইন-৬ প্রকল্পের চেয়ে আজকের একনেক সভায় অনুমোদন পাওয়া মেট্রোরেলের নতুন দুই প্রকল্প বড় ও খরচও অনেক বেশি। তবে লাইন-৬-এ নির্মাণের জন্য ১২ বছর সময় ধরা হলেও এই নতুন দুই প্রকল্পে কম সময় ধরা হয়েছে। এমআরটি লাইন-১ বাস্তবায়নের জন্য সময় ধরা হয়েছে ৭ বছরের কিছু বেশি, অর্থাৎ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর এমআরটি লাইন-৫ নির্মাণের জন্য সময় ধরা হয়েছে সাড়ে ৯ বছর, অর্থাৎ ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

    এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেবে ১৩ হাজার ১১১ কোটি ১১ লাখ এবং বৈদেশিক ঋণ ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। আর এমআরটি লাইন-৫ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি ৫৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। এর মধ্যে ১২ হাজার ১২১ কোটি ৪৯ লাখ ৬৭ দেবে বাংলাদেশ সরকার এবং ২৯ হাজার ১১৭ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার বৈদেশিক ঋণ।

    সড়ক পরিহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রকল্প দুটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। প্রকল্প দুটিতে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ প্রদান করছে। প্রথমটিতেও জাইকা ঋণ প্রদান করেছে।

    ১২ শতাংশ ডিসকাউন্ট রেট ধরে প্রকল্পটি দুটির আর্থিক ও অর্থনৈতিক আয়-ব্যয় বিশ্লেষণ করা হয়েছে। বিশ্লেষণ অনুযায়ী, দুটি প্রকল্পই আর্থিকভাবে লাভজনক নয়। তবে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক।

    এ রকম পরিপ্রেক্ষিতে আর্থিক আয়-ব্যয় বিশ্লেষণের ফল বিবেচনায় না নিয়ে অর্থনৈতিক আয়-ব্যয় বিশ্লেষণের ফল বিবেচনায় নেয়া হয়েছে প্রকল্প দুটির ক্ষেত্রে। আর্থিক ক্ষতি একটি থাকবে দুই হাজার ৪২৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা এবং অন্যটিতে ৭ হাজার ৩২৭ কোটি ৯৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আর অর্থনিতিক দিক থেকে একটি প্রকল্পে ৯৪৯ কোটি ৯৭ লাখ এবং অন্যটিতে ৫ হাজার ৩০ কোটি ৪৭ লাখ ৪৬ হাজার টাকা লাভ হবে।