Tag: জাতীয় পার্টি

  • রাঙ্গার পরিবর্তে বাবলু আবারও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মনোনীত

    রাঙ্গার পরিবর্তে বাবলু আবারও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মনোনীত

    মশিউর রহমান রাঙ্গাকে সরিয়ে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন দলের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।

    রোববার (২৬ জুলাই) জাতীয় পার্টির যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের এক সাংগঠনিক আদেশে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।

    উল্লেখ্য যে, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু মহাসচিব হিসেবে মশিউর রহমান রাঙ্গার স্থলাভিষিক্ত হলেন। পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/১(১) ক উপধারা এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ আদেশ অদ্য ২৬ জুলাই ২০২০ থেকে কার্যকর বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ইভিএমের মাধ্যমে সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব সৈয়দপুর বিমানবন্দরে জিএম কাদের

    ইভিএমের মাধ্যমে সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব সৈয়দপুর বিমানবন্দরে জিএম কাদের

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, আমরা আশাবাদী এবং আমরা মনে করি যে, ইভিএম পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচন করলে সুষ্ঠ নির্বাচন করা সম্ভব। এটা নিয়ে আগে থেকে আশঙ্কা করা কোন কারন নেই। যদি আশঙ্কা করার কোন কারন যদি ঘটে তখন আমরা জানাবো।

    ১১ জানুয়ারি (শনিবার) দুপুরে ঢাকা থেকে নিজ নির্বাচনী এলাকা যাওয়ার পথে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের কাছে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এ কথা বলেন।

    জিএম কাদের বলেন, আমাদের প্রার্থীতো থাকার জন্য দাড়িয়েছে। ভবিষ্যত বানীতো আর কেউ বলতে পারে না। কার জীবনে কতটা স্থায়ীত্ব তা কেউ বলতে পারবে না।

    তিনি আরো বলেন, যে কোন দূর্যোগ মোকাবেলা করা সরকারের দায়িত্ব। এ ছাড়া আমাদের এমপি মন্ত্রীরা নতুন নতুন জায়গা শীতবস্ত্র বিতরন চলছে। কয়েকদিনের মধ্যে এ অঞ্চলে আরো শীতবস্ত্র বিতরন করার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

    এ সময় দলের মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা, নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আহসান আদেলুর রহমান আদেল, সৈয়দপুর, রংপুর ও কুড়িগ্রাম লালমনিরহাটের পার্টির নেতৃৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • রওশন প্রধান পৃষ্ঠপোষক, জিএম কাদের চেয়ারম্যান ও রাঙ্গা মহাসচিব নির্বাচিত

    রওশন প্রধান পৃষ্ঠপোষক, জিএম কাদের চেয়ারম্যান ও রাঙ্গা মহাসচিব নির্বাচিত

    জাতীয় পার্টির নবম কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক, সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের চেয়ারম্যান এবং মসিউর রহমান রাঙ্গা মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন।

    আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে পার্টির কাউন্সিলে তারা এসব পদে আগামী তিন বছরের জন্য নির্বাচিত হন।

    কাউন্সিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম তাদের নাম প্রস্তাব করলে উপস্থিত কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা এতে অনুমোদন দেন।
    এর আগে সকালে কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের।

    জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর এবারই প্রথম দলটির কাউন্সিল হয়েছে। এর আগে ৮টি কাউন্সিলই হয়েছে এরশাদের জীবদ্দশায় এবং তার উপস্থিতিতে।

    জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রে তিন বছর পরপর কাউন্সিল করার বিধান থাকলেও পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর কারণে ২৮ ডিসেম্বর নবম কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

    সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১৪ মে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির সর্বশেষ কাউন্সিল হয়। কাউন্সিলে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কো- চেয়ারম্যানের পদ তৈরি করে তাতে ভাই জিএম কাদেরকে আসীন করেন। পরে স্ত্রী রওশন এরশাদকে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যানের পদে বসান। এরশাদ জীবিত অবস্থায় চলতি বছরের ৫ মে তার ভাই জিএম কাদেরকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন।

    ১৪ জুলাই ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় এরশাদ মারা যান । এর চার দিনের মাথায় বনানীতে পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের নাম ঘোষণা করেন।

  • জাপা প্রার্থী বাবলু’র মনোনয়নপত্র জমা : চান্দগাঁও-বোয়ালখালীকে আধুনিক শহরে পরিণত করার ঘোষণা

    জাপা প্রার্থী বাবলু’র মনোনয়নপত্র জমা : চান্দগাঁও-বোয়ালখালীকে আধুনিক শহরে পরিণত করার ঘোষণা

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম-৮ আসনে (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) উপ-নির্বাচনে জাতীয় পার্টির দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব ও প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জিয়া উদ্দিন আহমদ বাবলু।

    বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসে জেলা উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের কাছে তিনি মনোনয়ন ফরম জমা দেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম নগর জাতীয় পার্টির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব সোলায়মান আলম শেঠ, উত্তর জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সায়েস্তা খান চৌধুরী, সংসদ সদস্য মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতি (বিব্লক)এর সভাপতি আলহাজ্ব হাসান মাহমুদ চৌধুরী সিআইপি, নগর জাতীয় পার্টির সেক্রেটারী ইয়াকুব হোসেন, উত্তর জেলার জেনারেল সেক্রেটারী শফিকুল আলম চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেন, জাতীয় পার্টির নেতা রাসেদুল আলম চৌধুরী, দিদারুল আলম চৌধুরী, নগর কমিটির সদস্য মাহমুদুল করীম, রানা মহাজন, আবদুর রউফ।

    এসময় জাতীয় পার্টির অসংখ্য নেতা কর্মী এবং চান্দগাঁও-বোয়ালখালী আসনের সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

    মনোনয়ন ফরম জমা দেয়ার পর সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে জিয়াউদ্দিন আহমদ বাবলু বলেন, অবহেলিত বোয়ালখালীকে আধুনিক উপশহরে পরিণত করার লক্ষে আমার প্রথম কাজ হবে কালুরঘাট সেতু নির্মান করা।

    চান্দগাঁও এলাকাকে উন্নত শহরে পরিণত করার জন্য ইতিমধ্যে আমার পরিবারের পক্ষে বিভিন্ন স্থানে উন্নয়নের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পারিবারিক ফান্ড দিয়ে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকাকে উন্নয়নের আওতায় আনা হয়েছে। এভাবে প্রতিটি এলাকাকে আধুনিকায়ন করা হবে।

    তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে অতীতে যেভাবে কাজ করেছি ভবিষ্যতেও কাজ করার মানসিকতা নিয়ে এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীও মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জিয়া উদ্দিন আহমদ বাবলুকে ঘোষণা দিবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    তিনি আরো বলেন, চান্দগাঁও-বোয়ালখালীকে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ মুক্ত এলাকায় রূপান্তর করা হবে। এছাড়াও দলমত নির্বিশেষে সকলের সার্বিক সহযোগিতা পেলে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবে বলে সাংবাদিকদের জানান।

    উল্লেখ্য যে, তিনি ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে চট্টগ্রাম ৯ কোতোয়ালী-বাকলিয়া আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। এছাড়াও তিনি জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকাকালীন মন্ত্রী ছিলেন। সরকারের নীতি নির্ধারক হিসেবে তিনি অগ্রণি ভুমিকা পালন করেন। তিনি মহাজোটেরও একজন প্রভাবশালী নেতা।

  • মাটির ওপরে ট্রেন ঠিকমত চলছে না,শুন্যের ওপর মেট্রোরেল চলবে কিভাবে?

    মাটির ওপরে ট্রেন ঠিকমত চলছে না,শুন্যের ওপর মেট্রোরেল চলবে কিভাবে?

    রেল দুর্ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ বলেছেন, একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটছে। মাটির ওপরে ট্রেন ঠিকমত চলছে না, মেট্রোরেল কিভাবে চালানো হবে? শুন্যের ওপর দিয়ে মেট্রোরেল করা হচ্ছে। এই ট্রেন যে পড়ে যাবে না, তার নিশ্চয়তা কি।

    বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে বিরোধী দলীয় নেতা এসব কথা বলেন।

    রওশন এরশাদ বলেন, একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। আমরা মাটির ওপর দিয়ে ট্রেন ঠিকমত চালাতে পারি না বলে দুর্ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে আবার শুন্যের ওপর দিয়ে মেট্রোরেল করা হচ্ছে তখন চালাবো কিভাবে? এই ট্রেন যে পড়ে যাবে না, তার নিশ্চয়তা কি।

    সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি জনগণের জন্য যা প্রয়োজন তাই নিয়ে কথা বলে। বিরোধী দল হিসেবে রাজনীতির ধারা বদলে দিয়েছি। অতীতের বিরোধী দল যা করেনি আমরা তা করেছি। আমরা যে সব কথা বললে জনগণের উপকার হয় সে সব নিয়ে কথা বলেছি।

    তিনি বলেন, যানজট নিরসনে বড় বড় ফ্লাইওভার, এখন মেট্রোরেল তৈরি করা হচ্ছে। এত টাকা খরচ করে এগুলো তৈরি না করে, এই টাকা দিয়ে সারা দেশে শিল্প উন্নয়ন করলে বেকার সমস্যা দূর হত। ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করা গেলে যানজট থাকতো না।

    বিরোধী দলের নেতা বলেন, বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি, কুমিল্লার সোহাগী জাহান তনু, পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আকতারের স্ত্রী মাহমুদা আকতারসহ এ পর্যন্ত যত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সবগুলোর দ্রুত বিচার সম্পন্ন করে মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য আইনমন্ত্রীকে বলেন, দ্রুত বিচার করুন। তাহলে মানুষের আস্থা ফিরে আসবে।

    রওশন বলেন, কিছু কিছু হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত হয় আবার কিছু হত্যাকাণ্ডের বিচার হচ্ছে না। নুসরাত হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করা হলেও সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার এখনো শুরুই হয়নি। কিছু কিছু মামলা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। যেগুলো সরকার চায় সেগুলো দ্রুত বিচার হয়। আর সরকার যেগুলো চায় না সেগুলো ঝুলিয়ে রাখা হয়। এসব মামলা দ্রুত বিচার কাজ সম্পন্ন করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

    চলমান ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে বিরোধী দলের নেতা বলেন, যখন ঢাকা ও চট্টগ্রামে ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু হয় তখন কিছু কিছু ক্লাব ও বাড়িতে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও নগদ টাকা পাওয়া গেছে। এই অভিযানে প্রধানমন্ত্রী নিজের দলের নেতাদেরও ছাড় দেননি। এসব ক্লাবে ক্যাসিনোর খবর স্থানীয় থানাগুলো কেন দেখেনি। আমি চাইবো শুদ্ধ অভিযান অব্যাহত থাকুক।

    নিরাপদ খাদ্য নিয়ে তিনি বলেন, এখন নিশ্চিন্ত মনে কোনো খাবার খাওয়া যায় না। হোটেলগুলো ২০ বছর আগের ঝোল ও ডাল বিক্রি করছে। খাদ্য নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ নেই। সরকার না চাইলে মানুষ হাজার চেষ্টা করেও নিরাপদ খাদ্য খেতে পারবে না।

    রোহিঙ্গা নিয়ে রওশন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু অনেক দিনের। এখনও হয়নি। কবে এটার সমাধান হবে, কে জানে। তাদেরকে যত তাড়াতাড়ি পাঠানো যায় ততই মঙ্গল।

  • শহীদ নূর হোসেন ‘ইয়াবাখোর’ ও ‘ফেনসিডিলখোর’ ছিলেন : রাঙ্গা

    শহীদ নূর হোসেন ‘ইয়াবাখোর’ ও ‘ফেনসিডিলখোর’ ছিলেন : রাঙ্গা

    স্বৈরাশাসক এরশাদের শাসনামলে পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া শহীদ নূর হোসেন মাদকাসক্ত ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা।

    তিনি বলেছেন, নূর হোসেন ‘ইয়াবাখোর’ ও ‘ফেনসিডিলখোর’ ছিলেন।

    আজ রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে আলোচনা সভায় রাঙ্গা এ মন্তব্য করেন। ১৯৮৬ সালের পর থেকে দিবসটিকে ‘গণতন্ত্র দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে জাতীয় পার্টি।

    আলোচনা সভায় মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘নুর হোসেনকে নিয়ে নাচানাচি করছে আওয়ামী লীগ-বিএনপি। তাদের কাছে ইয়াবা-ফেন্সিডিলখোর ও ক্যাসিনো ব্যবসায়ীদের গুরুত্ব বেশি। কিন্তু এরশাদ সাহেবের কাছে এরা কোনো গুরুত্ব পাননি। যারা গণতন্ত্রের ‘‘গ’’ বোঝে না। অ্যাডিক্টেড একটি ছেলে নুর হোসেন।’

    সেই মিটিং

    নুর হোসেনের হত্যা নিয়ে রাঙ্গা বলেন, ‘পুলিশ গুলি করল সামনে থেকে আর ঘুরে গিয়ে পেছন থেকে লাগল। কী হাস্যকর যুক্তি! তখনো তো একজন মারা গেছে, এখন প্রতিদিনই মানুষ মরছে।’

    জাপা মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্র আজ নির্বাসনে সুন্দরবনে, যদি বিশ্বজিৎ ও আবরারকে হত্যা করা না হতো তাহলে বলতাম গণতন্ত্র রয়েছে। শিক্ষককে পানিতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে, জাবি ভিসির পদত্যাগের জন্য আন্দোলন করছে ছাত্ররা।’

    আলোচনা সভায় জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, ‘এরশাদ সাহেব ১৯৮৬ সালে এই দিনে ঘোষণা দিয়েছিলেন, দেশে আর কোনোদিন সামরিক শাসন আসবে না। আর কিন্তু কখনই কাঠামোগতভাবে সামরিক শাসন আসেনি। যেদিন সঠিকভাবে ইতিহাস রচিত হবে, সেদিন দেশের মানুষ এই দিনটিকে গণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করবে।’

    প্রয়াত জাপা চেয়ারম্যান এরশাদের কথা স্মরণ করে কাদের বলেন, ‘এরশাদের জীবন ব্যবস্থা ছিল গণতন্ত্রের জন্য উৎসর্গ। উনি গণতন্ত্রের স্বার্থে বাধ্য হয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন। আবার যখন প্রয়োজন হয়েছে গণতন্ত্রের স্বার্থে উনি ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছেন।’

    ঢাকা মহানগর উত্তর জাপার সভাপতি প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম, সুনীল শুভরায়, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, আলমগীর সিকদার লোটন, ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক এমএ রাজ্জাক খান প্রমুখ।

  • জলঢাকায় জাতীয় পার্টিতে যোগদান ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    জলঢাকায় জাতীয় পার্টিতে যোগদান ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    নীলফামারীর জলঢাকায় মতবিনিময় সভা করেছে উপজেলা জাতীয় পার্টি।

    রবিবার(২০অক্টাবর) বিকেলে উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা জাতীয়পার্টির আয়োজনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জাতীয়পার্টির আহবায়ক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেল।

    এসময় বক্তব্যে রাখেন, উপজেলা জাতীয়পার্টির সদস্য সচিব অধ্যাপক মমিনুল ইসলাম মঞ্জু, উপজেলা জাতীয়পার্টির যুগ্ম আহবায়ক শাহ আব্দুল কাদের বুলু চৌধুরী, জাতীয়পার্টি নেতা বাবলুর রহমান, শরিফুল ইসলাম প্রিন্স, তাহমিদুর রহমান মিলন, যুব সংহতির জাকির হোসেন হাসু, জাতীয় ছাত্র সমাজের আহবায়ক আনোয়ার হোসেন ও সদস্য সচিব ছামিউল ইসলাম সোহাগ প্রমুখ।

    এ ছাড়াও সভায় উপজেলা জাতীয়পার্টিকে শক্তিশালী ও গতিশীল করার লক্ষে বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্যে রাখেন।

    এর আগে উপজেলা ছাত্রসমাজের বিভিন্ন ইউনিয়নে নবগঠিত ইউনিয়ন কমিটি ও উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করে এমপি রানা মোহাম্মদ সোহেল।

    পরে কৈমারী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মাহমুদ আলম দুদু ও শাহিনুজ্জামান শাহিনের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী এমপির হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে উপজেলা জাতীয়পার্টি এবং উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত নেতৃবৃন্দ শফিউল ইসলাম লিটু ও ইমন হাসান পাভেলের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী জাতীয় যুব সংহতিতে যোগদান করেন।