Tag: জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন

  • ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশু মৃত্যু হ্রাস করে: সিভিল সার্জন

    ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশু মৃত্যু হ্রাস করে: সিভিল সার্জন

    সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রাম জেলা পর্যায়েও সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠত হয়েছে দিনব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৩।

    আজ ১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলার মিরসরাই উপজেলা সদরের মিরসরাই ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে একটি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাইয়ে দিয়ে জেলা পর্যায়ের জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী।

    মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা জেরীন। বক্তব্য রাখেন এমটি (ইপিআই) কবির হোসাইন ও হেলথ এডুকেটর প্রবীর মিত্র। অনুষ্ঠানে চিকিৎসক, নার্স, জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

    জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, সরকারের সকল মন্ত্রনালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হয়ে থাকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতায় ইতোমধ্যে আমরা যেভাবে করোনা মোকাবিলায় সক্ষম হয়েছি, ঠিক জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন বাস্তবায়নও অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লক্ষ আই.ইউ) ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লক্ষ আই.ইউ) খাওয়ানো হচ্ছে। শিশুর বয়স ৬ মাস পুর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণ মত ঘরে তৈরী সুষম খারার দিতে হবে। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর অপুষ্টি, রাতকানা রোগ প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, হাম, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার হ্রাসসহ সকল ধরণের মৃত্যুর হার হ্রাস করে।

    তিনি বলেন, কোন শিশু যাতে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাসসুল খাওয়া থেকে বাদ না পড়ে সে লক্ষ্যে বিভাগের প্রত্যেক জেলা, মহানগর, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে জনগণকে জানান দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি মসজিদ, হাটবাজার, বাস স্ট্যান্ড, নৌ-ঘাটসহ গুরুত্বপূর্ণস্থানেও ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। সরকারী প্রতিষ্টান, জনপ্রতিনিধি, আনসার-ভিডিপি ও এনজিও সংস্থাগুলো ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের যে কোন ধরণের অপপ্রচার ও গুজব রোধে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের বিশেষ টিমগুলো ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন মনিটরিং করছেন। মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমেও এ কার্যক্রম মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।

  • চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

    চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

    সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্টিত হয়েছে দিনব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৩।

    আজ ১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে একটি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাইয়ে দিয়ে এ প্লাস ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ও উপ-পরিচালক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।

    জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. গোলাম মোস্তফা জামাল, সেবা তত্তাবধায়ক রাশনা দাশ, নার্সেস কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম, ডলি বিশ্বাস, শর্মিলা মল্লিক, এমটি (ইপিআই) স্বরূপানন্দ রায়, ফয়েজ আহমদ প্রমূখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

    জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেনারেল হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ও উপ-পরিচালক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ কর্মসূচীর শুভ সূচনা করেন। ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লক্ষ আই.ইউ) ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লক্ষ আই.ইউ) খাওয়ানো হচ্ছে। শিশুর বয়স ৬ মাস পুর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণ মত ঘরে তৈরী সুষম খারার দিতে হবে। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর অপুষ্টি, রাতকানা রোগ প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, হাম, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার হ্রাসসহ সকল ধরণের মৃত্যুর হার হ্রাস করে।

  • চট্টগ্রামে সাড়ে ১৩ লাখ শিশু ‘ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাবে

    চট্টগ্রামে সাড়ে ১৩ লাখ শিশু ‘ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাবে

    চট্টগ্রাম জেলার নগর ও উপজেলা পর্যায়ে ৬-৫৯ মাস বয়সী ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৬২৫ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে আগামীকাল মঙ্গলবার।

    চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী গতকাল রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।

    সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইনে চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলায় ৮ লাখ ২৭ হাজার ৬২৫ জন এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় ৫ লাখ ৪১ হাজার জন শিশুকে টিকা দেওয়া হবে। জেলায় ৮ লাখ ২৭ হাজার ৬২৫ জনের মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৯৬ হাজার ৭৯০ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ৩০ হাজার ৮৩৫ জন।

    এছাড়া সিটি করপোরেশন এলাকায় ৫ লাখ ৪১ হাজার জনের মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৮১ হাজার জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ৬০ হাজার জন।

    এ সময় সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

    চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলার ২০০টি ইউনিয়নে একযোগে এ ক্যাপসুল খাওয়া হবে। এর জন্য স্থায়ী, অস্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ ৪ হাজার ৮৩২টি কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    ভ্রমণে থাকাকালীন সময়েও বিভিন্ন স্টেশন, টার্মিনাল, লঞ্চ ও ফেরী ঘাটে শিশুকে টিকা দেওয়া যাবে।
    তিনি আরও জানান, ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুরা পাবে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল। সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

    কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, এমওডিসি ডা. নুরুল হায়দার, স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া প্রমুখ।

    প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৮ জুন অনুষ্ঠিত ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইনে চট্টগ্রাম জেলায় ৯৯ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়।

  • চট্টগ্রামে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাবে ৮ লাখ ২৭ হাজার শিশু

    চট্টগ্রামে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাবে ৮ লাখ ২৭ হাজার শিশু

    সারাদেশের ন্যায় আগামী ১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জেলায় অনুষ্টিত হবে দিনব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৩। ঐ দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলার ১৫ উপজেলার ২’শ ইউনিয়নের ৬’শ ওয়ার্ডের ১৭টি স্থায়ী, ১৫টি ভ্রাম্যমান ও ৪ হাজার ৮’শটি অস্থায়ীসহ মোট ৪ হাজার ৮৩২টি কেন্দ্রে ৬-১১ মাস বয়সী ৯৬ হাজার ৭৯০ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লক্ষ আই.ইউ) ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ৩০ হাজার ৮৩৫ জন শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লক্ষ আই.ইউ) খাওয়ানো হবে। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময়ে জেলার ১৫ উপজেলায় মোট ৮ লাখ ২৭ হাজার ৬২৫ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি সালের গত ১৮ জুন জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬-১১ মাস বয়সী মোট ৯৪ হাজার ৮৮ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লক্ষ আই.ইউ) খাওয়ানো হয়েছিল, যার অর্জিত হার ছিল ৯৯ শতাংশ ও ১২-৫৯ মাস বয়সী মোট ৭ লাখ ২৬ হাজার ৩৮৭ জন শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লক্ষ আই.ইউ) খাওয়ানো হয়েছিল, যার অর্জিত হার ছিল ৯৯ শতাংশ। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন নিয়ে গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। উৎসবমুখর পরিবেশে এ ক্যাম্পেইন সফল করা হবে।

    এ উপলক্ষে আজ ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ২টায় চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা পর্যায়ে এডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী এসব কথা বলেন।

    স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের অধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্টান ও জাতীয় পুষ্টি সেবার বাস্তবায়নে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় এডভোকেসী সভার আয়োজন করেন।

    সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্তাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমওডিসি ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার।

    সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোঃ ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, জেলা পুলিশের পরিদর্শক ফরিদা ইয়াসমিন, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএস ডা. মোঃ নওশাদ খান, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর সালমা আক্তার, লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. মোঃ হানিফ প্রমূখ।

    জেলার ১৫ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ও মেডিকেল অফিসারসহ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গণমাধ্যম, সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ের কর্মকর্তা সভায় অংশ নেন।

    সভাপতির বক্তব্যে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, জেলার বাইরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ ৪১ হাজার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিতব্য এ ক্যাম্পেইন সফল করতে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। আগামী ১২ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপজেলাগুলোতে ৫০ জন স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ১৬০ জন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ৪৮৫ জন স্বাস্থ্য সহকারী, ৭২০ জন পঃ পঃ সহকারী, ১৯৬ জন পঃ পঃ পরিদর্শক, ৯ হাজার ৬৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক, ১৪ জন স্যানিটারী ইন্সপেক্টর, ৫৩২ জন সিএইচসিপি ও ৮৫ জন স্যাকমো জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে নিয়োজিত থাকবে। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে।

    তিনি বলেন, এ কর্মসুচী সফল করতে সকল ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ৬-৫৯ মাস বয়সী সকল শিশু যাতে ঐদিন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাসসুল পায় সে লক্ষ্যে প্রত্যেক উপজেলা সদর, প্রত্যেক ইউনিয়নের মসজিদে নামাজের সময়, জুমার খুৎবায়, ইপিআই কেন্দ্র ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ সর্বত্র মাইকিং করে জনগণকে জানান দেয়া হবে। ভ্রমণে থাকাকালীন সময়েও রেল স্টেশন, বাস টার্মিনাল, ফেরী ঘাট ও লঞ্চ ঘাটে অবস্থিত টিকা কেন্দ্রসহ যে কোন টিকাদান কেন্দ্র থেকে শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে পারবে। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখতে সরকারী প্রতিষ্টান, জনপ্রতিনিধি, আনসার-ভিডিপি ও এনজিও সংস্থাগুলো কাজ করবে। সরকারী কর্মকর্তা, মাঠকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী শিশুদেরকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজে নিয়োজিত থাকবে।

    সিভিল সার্জন বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর অপুষ্টি, অন্ধত্ব প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, হাম ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার হ্রাসসহ সকল ধরণের মৃত্যুর হার হ্রাস করে। ভরাপেটে এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। তবে কোন অসুস্থ বাচ্চাকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবেনা। পরিবারের রান্নায় ভিটাামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ ভোজ্য তেল ব্যবহার শিশুর জন্য যথেষ্ট উপকারী। মা ও শিশুর পুষ্টির জন্য গর্র্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি করে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ খাবার খেতে দিতে হবে। শিশুর জন্মের সাথে সাথে মায়ের বুকের শাল দুধ খাওয়াতে হবে এবং ৬ মাস পর্যন্ত বুকের দুধ ছাড়া অন্য কিছু দেয়া যাবে না। শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে দুই বছর পর্যন্ত মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণমত ঘরে তৈরি পুষ্টি সমৃদ্ধ সুষম খাবার খাওয়াতে হবে। কোন শিশু ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো থেকে যাতে বাদ না যায় সে দিকে সবাইকে অবশ্যই নজর রাখতে হবে। সকলের আন্তরিক সহযোগিতা পেলে এ কর্মসূচী সফল হবে।

  • ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশু মৃত্যু হ্রাস করে : সাংসদ দিদার

    ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশু মৃত্যু হ্রাস করে : সাংসদ দিদার

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়েও সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্টিত হয়েছে দিনব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৩।

    আজ রোববার (১৮ জুন) সকালে জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারীস্থ হোসাইনীয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে একটি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাইয়ে দিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ের জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব দিদারুল আলম।

    বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ও সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যৌথভাবে ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেন।

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মোঃ ইফতেখার আহমদের সভাপতিত্বে ও সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ নুর উদ্দিন রাশেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহাদাত হোসেন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জিয়াউল কাদের, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার শফিউল আলম, ইউনিসেফ’র বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর ইউ বে সুই, হোসাইনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভিন আক্তার, বিদ্যালয পরিচালনা কমিটির সভাপতি শামসুল আরেফিন, ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাজিম উদ্দিন, স্থানীয় সাংবাদিক সেকান্দর হোসাইন, সাইফুল মাহমুদ, কামরুল ইসলাম দুলু, স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার অহিদুল আলম, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ত্রিদীপ সরকার, হুমায়ুন আহমেদ, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক, স্বাস্থ্য সহকারী, পরিবার কল্যাণ সহকারী, স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ ও ওয়ার্ডেও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

    আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্টিত দিনব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন চলাকালীন সীতাকুন্ড উপজেলায় মোট ২৪০টি স্থায়ী ও অস্থায়ী কেন্দ্রে ৬-৫৯ মাস বয়সী মোট ৬১ হাজার ৮৫০ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। তন্মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী ৯ হাজার ৭৪০ জন শিশুকে একটি করে নীল ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৫২ হাজার ১১০ জন শিশুকে একটি করে লাল ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।

    জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব দিদারুল আলম বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ কর্মসূচীর শুভ সূচনা করেন। ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লক্ষ আই.ইউ) ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লক্ষ আই.ইউ) খাওয়ানো হচ্ছে। শিশুকে সুস্থ রাখতে হলে জন্মের ৬ মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ ছাড়া আর অন্য কোন খাবার দেয়া যাবে না। শিশুর বয়স ৬ মাস পুর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণ মত ঘরে তৈরী সুষম খারার দিতে হবে। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর অপুষ্টি, রাতকানা রোগ প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, হাম, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার হ্রাসসহ সকল ধরণের মৃত্যুর হার হ্রাস করে।

    তিনি বলেন, সরকারের সকল মন্ত্রনালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হয়ে থাকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতায় ইতোমধ্যে আমরা যেভাবে করোনা মোকাবিলায় সক্ষম হয়েছি, ঠিক জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন বাস্তবায়নও অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

    তিনি আরও বলেন, কোন শিশু যাতে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাসসুল খাওয়া থেকে বাদ না পড়ে সে লক্ষ্যে বিভাগের প্রত্যেক জেলা, মহানগর, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে জনগণকে জানান দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি মসজিদ, হাটবাজার, বাস স্ট্যান্ড, নৌ-ঘাটসহ গুরুত্বপূর্ণস্থানেও ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। সরকারী প্রতিষ্ঠান, জনপ্রতিনিধি, আনসার-ভিডিপি ও এনজিও সংস্থাগুলো ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের যে কোন ধরণের অপপ্রচার ও গুজব রোধে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। বিভাগীয় ও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের বিশেষ টিমগুলো ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন মনিটরিং করছেন। মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমেও এ কার্যক্রম মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।

  • ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন আজ

    ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন আজ

    সারাদেশে রোববার (১৮ জুন) ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন কর্মসূচি পরিচালিত হবে। এই কর্মসূচির আওতায় সারাদেশে ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ক্যাম্পেইন চলবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে দুর্গম এলাকায় এই ক্যাম্পেইন চলবে টানা চার দিন।

    গত বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এই কর্মসূচির আওতায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৫ লাখ শিশুকে নীল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আর ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় ১ কোটি ৯৫ লাখ শিশুকে খাওয়ানো হবে লাল রঙের ক্যাপসুল।

    তিনি বলেন, শিশুদের ভরা পেটে ভিটামিন ‘এ প্লাস’ খাওয়াতে হবে। কান্নারত বা অসুস্থ শিশুকে খাওয়ানো যাবে না।

    ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে শিশুর উপকারিতা

    > অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে

    > দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে

    > সব ধরনের মৃত্যুর হার ২৪ শতাংশ হ্রাস করে

    > এছাড়াও হাম, ডায়রিয়া এবং নিউমোনিয়ার কারণে মৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস করে

    প্রসঙ্গত, বরাবরের মতো এবারেও ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের যৌথ আয়োজনে রয়েছে জাতীয় পুষ্টিসেবা, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।

  • জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন

    জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন

    পাঁচ দফা সময় পিছিয়ে অবশেষে দেশজুড়ে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে আজ (বুধবার)। চলবে ১৯ জুন পর্যন্ত। সারাদেশে মোট ২ কোটি ২০ লাখেরও বেশি শিশুকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

    দেশের নিয়মিত টিকাদান কেন্দ্র এবং সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার ওয়ার্ডগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিকা খাওয়ানো হচ্ছে।

    বুধবার (১৫ জুন) বিকেল ৩টায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

    জানা গেছে, সারা দেশে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের বিনামূল্যে একটি করে নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকাদান কর্মসূচি বিভাগ থেকে জানানো হয়, দেশের সব ইপিআই কেন্দ্র এবং স্থায়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চারদিন পরিচালিত হবে এ ক্যাম্পেইন। নির্ধারিত ইপিআই শিডিউল অনুযায়ী প্রত্যেক ওয়ার্ডের (পুরনো) আটটি সাব-ব্লকে সপ্তাহের চার কর্মদিবসে নির্ধারিত ইপিআই কেন্দ্রে পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্য সহকারী, পরিবার কল্যাণ সহকারী ও স্বেচ্ছাসেবী কর্তৃক উদ্দিষ্ট শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

    এছাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক ও অন্যান্য সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন এলাকায়ও ইপিআই কেন্দ্রগুলোতে এ কার্যক্রম চলবে।

  • চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাবে ৮ লাখ ২০ হাজার শিশু

    চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাবে ৮ লাখ ২০ হাজার শিশু

    সারাদেশের ন্যায় আগামী রোববার (১২ জুন) থেকে বুধবার (১৫ জুন) পর্যন্ত চট্টগ্রামেও অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে ৪ দিনব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২২। ঐ সময়ে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলায় ৬-১১ মাস বয়সী ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ৮ লাখ ২০ হাজার ৩৭৫ জন শিশুকে একটি করে নীল ও লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

    তন্মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী ৯১ হাজার ৮৬২ জন শিশু খাবে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লক্ষ আই.ইউ) ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ২৮ হাজার ৫১৩ জন শিশু খাবে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লক্ষ আই.ইউ)। ২০২১ সালের ১১-১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬-১১ মাস বয়সী ৯০ হাজার ১৯০ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লক্ষ আই.ইউ) খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল নির্ধারণ করা হলে এর অর্জিত হার ছিল ৯৮ শতাংশ এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ৪ হাজার ৮’শ জন শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লক্ষ আই.ইউ) খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল নির্ধারণ করা হলে এর অর্জিত হার ছিল ৯৮ শতাংশ।

    এ উপলক্ষে জেলা পর্যায়ের সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা আজ বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেল ৩টায় নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্টিত হয়।

    সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্টিত কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএস ডা. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, এমওডিসি ডা. মোঃ নুরুল হায়দার চৌধুরী ও ডিএসএমও (যক্ষা) ডা. প্রমিতি কর্মকার।

    সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী এ ক্যাম্পেইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অপুষ্টিতে ভোগা শিশুরা বর্তমান সময়ে খুবই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাই জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে অপুষ্টি দূরীকরণ সম্ভব হবে। সামাজিক ও শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে মাস্ক পরিধানসহ হাত ধোয়ার বিধি মেনে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। কোন শিশু ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো থেকে যাতে বাদ না যায় সে দিকে সবাইকে অবশ্যই নজর রাখতে হবে। এছাড়া শিশুর বয়স ৬ মাসপূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণমত ঘরে তৈরি পুষ্টি সমৃদ্ধ সুষম খাবার খাওয়াতে হবে।

    তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর অপুষ্টি, অন্ধত্ব প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, হাম ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার হ্রাসসহ সকল ধরণের মৃত্যুর হার হ্রাস করে। পরিবারের রান্নায় ভিটাামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ ভোজ্য তেল ব্যবহার শিশুর জন্য যথেষ্ট উপকারী। মা ও শিশুর পুষ্টির জন্য গর্র্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি করে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ খাবার থেতে দিতে হবে।

    চট্টগ্রাম জেলার প্রত্যেক উপজেলায় ইতিপূর্বে অনুষ্ঠিতব্য সকল জাতীয় কর্মসূচীসমূহ শতভাগ সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আসন্ন জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী সকল কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এ ব্যাপাওে সকল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তাগণকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

    সিভিল সার্জন আরও বলেন, মসজিদ-মন্দির-উপাসনালয়, হাটবাজার, বাস স্ট্যান্ড ও নৌ-ঘাটসহ গুরুত্বপূর্ণস্থানেও মাইকিং করে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে। এ কর্মসূচী সফল করতে সরকারী প্রতিষ্টান, জনপ্রতিনিধি, আনসার-ভিডিপি ও এনজিও সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারী কর্মকর্তা, মাঠকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী শিশুদেরকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজে নিয়োজিত থাকবে।

    জেলা সিভিল সার্জন সূত্র জানায়, এবার চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলার ২’শ ইউনিয়নের ৬’শ ওয়ার্ড, ১৫টি স্থায়ী কেন্দ্র, ১৫টি ভ্রাম্যমান কেন্দ্র ও ৪ হাজার ৮’শ কেন্দ্র, বিমান বন্দর ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমে ১২-১৫ জুন তারিখে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৩৯ জন স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ১৩৬ জন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ৫৪০ জন স্বাস্থ্য সহকারী, ৬৮৬ জন পঃ পঃ সহকারী, ১৫৩ জন পঃ পঃ পরিদর্শক, ৯ হাজার ৬৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক, ১৫ জন স্যানিটারী ইন্সপেক্টর, ৫০৯ জন সিএইচসিপি ও ৮২ জন স্যাকমো জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের দায়িত্বে নিয়োজিত ধাকবে।

  • ১৫ উপজেলায় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাবে ৮ লাখ ৪১ হাজার শিশু

    ১৫ উপজেলায় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাবে ৮ লাখ ৪১ হাজার শিশু

    সারাদেশের ন্যায় আগামী ১২ জুন (রোববার) থেকে ১৫ জুন (বুধবার) পর্যন্ত চট্টগ্রামেও অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে ৪ দিনব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২২।

    চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলায় ৬-১১ মাস বয়সী ও ১২-৫৯ মাস বয়সী প্রায় ৮ লাখ ৪১ হাজার শিশুকে একটি করে নীল ও লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

    এ উপলক্ষে জেলা পর্যায়ে এডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা আজ সোমবার (৩০ মে) সকাল ১১টায় নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্টিত হয়।

    সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রামে উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার চৌধুরী ও সহকারী জেলা প্রাথমিক প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ কফিল উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান।

    মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওডিসি ডা. মোঃ নুরুল হায়দর চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসআইএমও ডা. এ.এফ.এম জাহিদ।

    সভায় জেলার ১৫ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

    স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন স্বাস্থ্য অধিদফতরের জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্টানের জাতীয় পুষ্টি সেবার বাস্তবায়নে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সভার আয়োজন করেন। উক্ত ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময়ে জেলা পর্যায়ে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য বিধি মেনে ৬-১১ মাস বয়সী ৯৪ হাজার ৩৪৫ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লক্ষ আই.ইউ) ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৩ জন শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লক্ষ আই.ইউ) খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

    সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী এ ক্যাম্পেইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অপুষ্টিতে ভোগা শিশুরা বর্তমান সময়ে খুবই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাই জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে অপুষ্টি দূরীকরণ সম্ভব হবে। সামাজিক ও শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে মাস্ক পরিধানসহ হাত ধোয়ার বিধি মেনে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। কোন শিশু ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো থেকে যাতে বাদ না যায় সে দিকে সবাইকে অবশ্যই নজর রাখতে হবে। এছাড়া শিশুর বয়স ৬ মাসপূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণমত ঘরে তৈরি পুষ্টি সমৃদ্ধ সুষম খাবার খাওয়াতে হবে।

    তিনি বলেন, মসজিদ-মন্দির-উপাসনালয়, হাটবাজার, বাস স্ট্যান্ড ও নৌ-ঘাটসহ গুরুত্বপূর্ণস্থানেও মাইকিং করে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে। এ কর্মসূচী সফল করতে সরকারী প্রতিষ্টান, জনপ্রতিনিধি, আনসার-ভিডিপি ও এনজিও সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারী কর্মকর্তা, মাঠকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী শিশুদেরকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজে নিয়োজিত থাকবে।

    তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে তিনি নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

    সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর অপুষ্টি, অন্ধত্ব প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, হাম ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার হ্রাসসহ সকল ধরণের মৃত্যুর হার হ্রাস করে। পরিবারের রান্নায় ভিটাামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ ভোজ্য তেল ব্যবহার শিশুর জন্য যথেষ্ট উপকারী। মা ও শিশুর পুষ্টির জন্য গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি করে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ খাবার থেতে দিতে হবে। চট্টগ্রাম জেলার প্রত্যেক উপজেলায় ইতিপূর্বে অনুষ্ঠিতব্য সকল জাতীয় কর্মসূচী সমূহ শতভাগ সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আসন্ন জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী সকল কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। পূর্বের সফলতা এবারও ধরে রাখতে হবে।

    তিনি আরও বলেন, এই কর্মসূচী সঠিকভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। উক্ত কর্মসূচী বাস্তবায়নে জেলা সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে সকল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তাগণকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

  • রাউজানের পশ্চিম গুজরায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কর্মসূচির উদ্বোধন

    রাউজানের পশ্চিম গুজরায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কর্মসূচির উদ্বোধন

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের আওতায় রাউজানের পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মফিজুর রহমান সওদাগরের বাড়ি, সাব ব্লক খ/১ এ ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়।

    রবিবার (১১ অক্টোবর) সকালে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন রাউজান প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি সাংবাদিক নেজাম উদ্দিন রানা ও উত্তর গুজরা ডাঃ রাজা মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য, সমাজসেবক লিয়াকত আলী চৌধুরী।

    এ সময় স্বাস্থ্য সহকারি সুজিত ধর, মোঃ ইলিয়াছ উপস্থিত ছিলেন। এ দিন কেন্দ্রটিতে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ১৪ শিশুকে ভিটামিন এ (নীল ক্যাপসুল) ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১১৪ জন শিশুকে লাল ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।

    উল্লেখ্য, গত ৪ অক্টোবর জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হয়। শেষ হবে আগামী ১৫ অক্টোবর। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, রাউজান উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নে এবার ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ১ বছর থেকে ৬ বছর বয়সের শিশুদের ৪৫ হাজার লাল ক্যাপসুল এবং ৫ মাস থেকে ১ বছর বয়সী শিশুদের ৬ হাজার নীল ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • জেলা পর্যায়ে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সীতাকুণ্ডে উদ্বোধন

    জেলা পর্যায়ে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সীতাকুণ্ডে উদ্বোধন

    কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম জেলা পর্যায়ে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০২০ সীতাকুণ্ডে উদ্বোধন করা হয়েছে।

    আজ রবিবার (৪ অক্টোবর) সকালে সীতাকুণ্ড উন্নয়ন সরকারী আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি হিসেবে উক্ত ক্যাস্পেইনের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক ডা..হাসান শাহরিয়ার কবীর।

    চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ও সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জন ডা.ফজলে রাব্বির সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নুর উদ্দিন রাশেদ, মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বনিক, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নুরচ্ছফা, ডাব্লিউ এইচও প্রতিনিধি ডা.জাহেদ এবং ইউনিসেফ এর ডা. উবা সুই চৌধুরী।

    উল্লেখ্য যে, ৪ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ১৪ দিনব্যাপী সারাদেশে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপিত হবে। চট্টগ্রাম জেলার ১৫টি উপজেলায় এবার মোট ৭ লাখ ৮৭ হাজার ২৩৩ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৮৮ হাজার ৭১৩ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ছয় লাখ ৯৮ হাজার ৫২০ জন শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এ কর্মসূচি পালন করা হবে।

    এব্যাপারে চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক ডা.হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, করোনার কারণে এবার সরকার ক্যাম্পেইনটা এক দিনের না করে ১৪ দিন ব্যাপী করেছে। ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে ক্যাম্পেইন। ১৪ দিনের এই প্রোগ্রাম যেটি জাতীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করে থাকেন। এটি সফলতার সহিত উৎসাহব্যাঞ্জকভাবে আমরা পালন করছি। ভিটামিন এ এই ক্যাপসুল শিশুদের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাতকানা রোগসহ শিশুর রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সীতাকুণ্ডে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে অবহিতকরন সভা অনুষ্ঠিত

    সীতাকুণ্ডে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে অবহিতকরন সভা অনুষ্ঠিত

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০২০ উপলক্ষ্যে বুধবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনের নতুন ভবনে অবহিতকরন ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নুর উদ্দিন এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস.এম আল মামুন।

    সভায় জানানো হয় আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপিত হবে। কোভিড পজিটিভ হোক বা নেগেটিভ হোক, ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সের সকল শিশুকেই ভিটামিন এ খাওয়াতে হবে। শুধুমাত্র শিশুর যদি শ্বাসনালীর অসুস্থতা বা শ্বাসকষ্ট অথবা অন্য কোন মারাত্মক অসুস্থতা থাকে তবে শিশুকে ভিটামিন এ খাওয়ানো যাবে না। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে ১টি নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ১টি লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

    সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়,সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ রাশেদুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন সাবেরী, মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বনিক, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা লুৎফর নেছা বেগম, প্রেসক্লাব সভাপতি সুমিত্র চক্রবর্তী, যুব কর্মকর্তা শাহ আলম, ইউপি চেয়ারম্যান রেহান উদ্দিন, তাজুল ইসলাম নিজামী, সাদাকাত উল্লাহ মিয়াজী, মোরশেদ হোসেন চৌধুরী, নাজীম উদ্দিন, সালাউদ্দিন আজিজ এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ উপজেলা পরিষদ এর বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম/দুলু