Tag: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

  • ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিবে’

    ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিবে’

    অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ে মতামত গ্রহণের লক্ষ্যে আজ রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকালে এক মতবিনিময় সভা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্যবৃন্দ যথাক্রমে- তোফায়েল আহমেদ, জেসমিন টুলী, ড. মোঃ আব্দুল আলীম ও ছাত্র প্রতিনিধি সাদিক আরমান।

    মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) শারমিন জাহান, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আহসান হাবীব পলাশ, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ আসফিকুজামান আফতাব, পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) নোমান হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (ভূমি অধিগ্রহণ) এ. কে. এম. গোলাম মোর্শেদ খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক, জেলা কমান্ড্যান্ট (আনসার ও ভিডিপি) মোঃ আবু সোলায়মান বিভিএমএস, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ ইউনুস আলী ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিবৃন্দ প্রমুখ।

    মতবিনিয় সভায় কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ”আমরা আশা করছি নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলো আগামী ৩১ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে আমরা সরকারের কাছে পেশ করতে পারবো। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। আমাদের কাজের সাথে নির্বাচন কমিশনের কাজের কোন সাংঘর্ষিক বিষয় নেই। আমরা চাই, বর্তমান নির্বাচন কমিশন জাতিকে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেবেন।”
    সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, “জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে যদি স্বাধীন ভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেয়া হয়, তাহলে একটি চমৎকার, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সম্ভব। নির্বাচন ব্যবস্থাকে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত রাখা গেলে প্রশাসন সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাবে। আমরা আশা করছি, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাবে।”

  • ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন করা যায়: প্রধান উপদেষ্টা

    ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন করা যায়: প্রধান উপদেষ্টা

    আগামী বছর ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে দেশে জাতীয় নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায় বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার সকালে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের রূপরেখা তুলে ধরেন তিনি।

    ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘যদি অল্প কিছু সংস্কার করে ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে তৈরি করার ভিত্তিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয় তাহলে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়তো সম্ভব হবে। আর যদি এর সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি তাহলে আরও অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। মোটাদাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।’

    দেশবাসীকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি সকল প্রধান সংস্কারগুলি সম্পন্ন করে নির্বাচন আয়োজন করার ব্যাপারে বারবার আপনাদের কাছে আবেদন জানিয়ে এসেছি।

    তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে সবচেয়ে বড় কাজ ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা। এটা এমনিতেই কঠিন কাজ। এখন কাজটা আরও কঠিন হলো এজন্য যে গত তিনটা নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ করার সুযোগ ছিল না। ভোটার তালিকা যাচাই করার সুযোগ হয়নি কারোর। গত ১৫ বছরে যারা ভোটার হবার যোগ্য হয়েছে তাদের সবার নাম ভোটার তালিকায় তোলা নিশ্চিত করতে হবে। এটা একটা বড় কাজ। ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর এখানে গলদ রাখার কোনো সুযোগ নেই। দীর্ঘদিন পর এবার বহু তরুণ তরুণী জীবনে প্রথমবারের মতো ভোট দেবে। অতীতে তাদেরকে সে অধিকার এবং আনন্দ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল।’

    এবারের নির্বাচনে তরুণদের ভোটদান একটি স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই অভিজ্ঞতাকে মসৃণ করার সমস্ত আয়োজন করতে হবে। আমার একান্ত ইচ্ছা এবারের নির্বাচনে প্রথমবারের তরুণ তরুণী ভোটারেরা শতকরা ১০০ ভাগের কাছাকাছি সংখ্যায় ভোট দিয়ে একটি ঐতিহ্য সৃষ্টি করুক। নির্বাচন কমিশন এবং সকল সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক দলের প্রতি আমার আহ্বান সবাই মিলে আমরা যেন এই লক্ষ্য অর্জনে নানা প্রকার সৃজনশীল কর্মসূচি গ্রহণ করি। এখন থেকে সবাই মিলে এমন একটা ঐতিহ্য সৃষ্টি করতে পারি যে স্থানীয় নির্বাচনসহ সকল নির্বাচনে সকল কেন্দ্রে প্রথমবারের ভোটাররা ১০০ শতাংশের এর কাছাকাছি সংখ্যায় ভোটদান নিশ্চিত করবে। এটা নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে কোনো সরকার মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেবার সাহস করতে পারবে না।’

    আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটদান নিশ্চিত করার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘অতীতে আমরা এ ব্যাপারে অনেকবার আশ্বাসের কথা শুনেছি। এই সরকারের আমলে এটা যেন প্রথমবারের মতো বাস্তবায়িত হয় এটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। এর জন্য একটা নির্ভরযোগ্য ব্যবস্থা করতে হবে। সবকিছুই সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এর সঙ্গে যদি আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়া আরও উন্নত করতে চাই, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করতে চাই, তাহলে প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিস্তৃতি ও গভীরতা অনুসারে নির্বাচন কমিশনকে সময় দিতে হবে।’

  • পাতানো সংসদ নির্বাচন, ভোটের হার নিয়েও বিতর্ক : টিআইবি

    পাতানো সংসদ নির্বাচন, ভোটের হার নিয়েও বিতর্ক : টিআইবি

    একপাক্ষিক ও ‘পাতানো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ’ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়নি। নির্বাচনে শেষের এক ঘণ্টায় ১৫.৪৩ শতাংশ ভোটসহ মোট ৪১.৮ শতাংশ ভোট পড়া বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপিসহ ১৫টি নিবন্ধিত দলের অনুপস্থিতি ও তাদের নির্বাচন বর্জনের কারণে বেশিরভাগ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। অন্তত ২৪১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি।

    ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া ট্রাকিং’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তুলে ধরেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ (বুধবার) রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজেদের কার্যালয়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন টিআইবির গবেষক মাহফুজুর হক, নেওয়াজুল মওলা, সাজেদুল ইসলাম।

    এটা ছিল নির্বাচন কেন্দ্রীক প্রাথমিক গবেষণা প্রতিবেদন। পরবর্তীতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছে টিআইবি। গবেষণায় ৫০টি আসন দৈবচয়ন পদ্ধতিতে বাছাই করে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সকল বিষয়ের তথ্য-উপাত্ত নেওয়া হয়েছে

    গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একপাক্ষিক ও পাতানো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়নি। সংসদে ব্যবসায়ী আধিপত্যের মাত্রাও একচেটিয়া পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। বেশিরভাগ আসনেই নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়নি। অন্তত ২৪১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি।

    বিএনপিসহ ১৫টি নিবন্ধিত দলের অনুপস্থিতি ও তাদের নির্বাচন বর্জনের প্রেক্ষাপটে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও উৎসবমুখর দেখাতে ক্ষমতাসীন দল বিবিধ কৌশল গ্রহণ করে। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর চেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেশি ছিল। ২৬৬ জন দলীয় প্রার্থীর বিপরীতে স্বতন্ত্র ২৬৯ জন।

  • বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি: যুক্তরাষ্ট্র

    বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি: যুক্তরাষ্ট্র

    বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর।

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণ এবং গণতন্ত্র, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি তাদের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে। যুক্তরাষ্ট্র লক্ষ করেছে, ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিরোধী দলের হাজার হাজার সদস্যকে গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনের দিন অনিয়মের খবরে উদ্বিগ্ন।

    পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে একমত যে, এই নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি। নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ না করায় আমরা হতাশ।’

    নির্বাচনকালীন সময়ে এবং এর আগের মাসগুলোতে যেসব সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, তার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব সহিংসতার গ্রহণযোগ্য তদন্ত এবং দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। সব দলের প্রতি সহিংসতাকে পরিহার করারও আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন।

    মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে একটি অবাধ ও মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় (ইন্দো–প্যাসিফিক) অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অভিন্ন লক্ষ্যে কাজ করা, বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষা ও নাগরিক সমাজের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখা এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

  • এক নজরে কে কোন আসনে জয়ী

    এক নজরে কে কোন আসনে জয়ী

    জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনে ভোট স্থগিত ছিল। অন্যদিকে নানা অনিয়ম ও সংঘর্ষের ঘটনায় ময়মনসিংহ-৩ আসনের ফলাফল নির্বাচন কমিশন থেকে বন্ধ রাখা হয়। তাহলে সংসদীয় ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনে নির্বাচনের ফলাফল পাওয়া গেছে। যারমধ্যে আওয়ামী লীগ ২২৩টি, স্বতন্ত্রপ্রার্থী ৬২টি, জাতীয় পার্টি ১১টি এবং অন্যান্য দল ২টি আসনে জয়লাভ করে।

    নিম্নে সারা দেশের বিভাগ অনুযায়ী ক্রমান্বয়ে ২৯৮টি আসনের বেসরকারীভাবে বিজয়ীদের তালিকা দেয়া হলো-

    ঢাকা বিভাগ

    ঢাকা-১: সালমান এফ রহমান (আওয়ামী লীগ

    ঢাকা-২: কামরুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ)

    ঢাকা-৩: নসরুল হামিদ বিপু (আওয়ামী লীগ)

    ঢাকা-৪: আওলাদ হোসেন (স্বতন্ত্র)

    ঢাকা-৫: মশিউর রহমান মোল্লা সজল (স্বতন্ত্র)

    ঢাকা-৬: মোহাম্মদ সাঈদ খোকন (আওয়ামী লীগ)

    ঢাকা-৭: মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম (আওয়ামী লীগ)

    ঢাকা-৮: আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম (আওয়ামী লীগ)

    ঢাকা-৯: সাবের হোসেন চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)

    ঢাকা-১০: ফেরদৌস আহমেদ (আওয়ামী লীগ)

    ঢাকা-১১: ওয়াকিল উদ্দিন (আওয়ামী লীগ)

    ঢাকা-১২: আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল (আওয়ামী লীগ)

    ঢাকা-১৩: জাহাঙ্গীর কবির নানক (আওয়ামী লীগ)

    ঢাকা-১৪: মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল (আওয়ামী লীগ)

    ঢাকা-১৫: কামাল আহমেদ মজুমদার (আওয়ামী লীগ)

    ঢাকা-১৬: ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ (আওয়ামী লীগ)

    ঢাকা-১৭: মোহাম্মদ এ আরাফাত (আওয়ামী লীগ)

    ঢাকা-১৮: মো. খসরু চৌধুরী (স্বতন্ত্র)

    ঢাকা-১৯: সাইফুল ইসলাম (স্বতন্ত্র)

    ঢাকা-২০: বেনজীর আহমেদ (আওয়ামী লীগ)

    গাজীপুর-১: আ ক ম মোজাম্মেল হক (আওয়ামী লীগ)

    গাজীপুর-২: জাহিদ আহসান রাসেল (আওয়ামী লীগ)

    গাজীপুর-৩: রুমানা আলী (আওয়ামী লীগ)

    গাজীপুর-৪: সিমিন হোসেন রিমি (আওয়ামী লীগ)

    গাজীপুর-৫: আখতারউজ্জামান (স্বতন্ত্র)

    নারায়ণগঞ্জ: গোলাম দস্তগীর গাজী (আওয়ামী লীগ)

    নারায়ণগঞ্জ-২: নজরুল ইসলাম বাবু (আওয়ামী লীগ)

    নারায়ণগঞ্জ-৩: আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত (আওয়ামী লীগ)

    নারায়ণগঞ্জ-৪: এ কে এম শামীম ওসমান (আওয়ামী লীগ)

    নারায়ণগঞ্জ-৫: এ কে এম সেলিম ওসমান (জাতীয় পার্টি)

    টাঙ্গাইল-১: ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক (আওয়ামী লীগ)

    টাঙ্গাইল-২: তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির (আওয়ামী লীগ)

    টাঙ্গাইল-৩: আমানুর রহমান খান রানা (স্বতন্ত্র)

    টাঙ্গাইল-৪: আবদুল লতিফ সিদ্দিকী (স্বতন্ত্র)

    টাঙ্গাইল-৫: ছানোয়ার হোসেন (স্বতন্ত্র)

    টাঙ্গাইল-৬: আহসানুল ইসলাম টিটু (আওয়ামী লীগ)

    টাঙ্গাইল-৭: খান আহমেদ শুভ (আওয়ামী লীগ)

    টাঙ্গাইল-৮: অনুপম শাহজাহান (আওয়ামী লীগ)

    মুন্সিগঞ্জ-১: মহিউদ্দিন আহমেদ (আওয়ামী লীগ)

    মুন্সিগঞ্জ-২: সাগুফতা ইয়াসমিন (আওয়ামী লীগ)

    মুন্সিগঞ্জ-৩: মোহাম্মদ ফয়সাল (স্বতন্ত্র)

    নরসিংদী-১: নজরুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ)

    নরসিংদী-২: আনোয়ারুল আশরাফ খান (আওয়ামী লীগ)

    নরসিংদী-৩: সিরাজুল ইসলাম মোল্লা (স্বতন্ত্র)

    নরসিংদী-৪: নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন (আওয়ামী লীগ)

    নরসিংদী-৫: রাজিউদ্দিন আহমেদ (আওয়ামী লীগ)

    রাজবাড়ী-১: কাজী কেরামত আলী (আওয়ামী লীগ)

    রাজবাড়ী-২: জিল্লুল হাকিম (আওয়ামী লীগ)

    গোপালগঞ্জ-১: মুহাম্মদ ফারুক খান (আওয়ামী লীগ)

    গোপালগঞ্জ-২: শেখ ফজলুল করিম সেলিম (আওয়ামী লীগ)

    গোপালগঞ্জ-৩: শেখ হাসিনা (আওয়ামী লীগ)

    মাদারীপুর-১: নুর-ই-আলম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)

    মাদারীপুর-২: শাজাহান খান (আওয়ামী লীগ)

    মাদারীপুর-৩: মোসা. তাহমিনা বেগম (স্বতন্ত্র)

    ফরিদপুর-১: আবদুর রহমান (আওয়ামী লীগ)

    ফরিদপুর-২: শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)

    ফরিদপুর-৩: এ কে আজাদ (স্বতন্ত্র)

    ফরিদপুর-৪: মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন (স্বতন্ত্র)

    শরীয়তপুর-১: মো. ইকবাল হোসেন (আওয়ামী লীগ)

    শরীয়তপুর-২: এ কে এম এনামুল হক শামীম (আওয়ামী লীগ

    শরীয়তপুর-৩: নাহিম রাজ্জাক (আওয়ামী লীগ)

    কিশোরগঞ্জ-১: সৈয়দ জাকিয়া নূর (আওয়ামী লীগ)

    কিশোরগঞ্জ-২: সোহরাব উদ্দিন (স্বতন্ত্র)

    কিশোরগঞ্জ-৩: মুজিবুল হক চুন্নু (জাতীয় পার্টি)

    কিশোরগঞ্জ-৪: রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক (আওয়ামী লীগ)

    কিশোরগঞ্জ-৫: আফজাল হোসেন (আওয়ামী লীগ)

    কিশোরগঞ্জ-৬: নাজমুল হাসান পাপন (আওয়ামী লীগ)

    মানিকগঞ্জ-১: সালাহউদ্দিন মাহমুদ (স্বতন্ত্র)

    মানিকগঞ্জ-২: দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু (স্বতন্ত্র)

    মানিকগঞ্জ-৩: জাহিদ মালেক (আওয়ামী লীগ)

    চট্টগ্রাম বিভাগ

    চট্টগ্রাম-১: মাহবুব উর রহমান রুহেল (আওয়ামী লীগ)

    চট্টগ্রাম-২: খাদিজাতুল আনোয়ার সনি (আওয়ামী লীগ)

    চট্টগ্রাম-৩: মাহফুজুর রহমান (আওয়ামী লীগ)

    চট্টগ্রাম-৪: এসএম আল মামুন (আওয়ামী লীগ)

    চট্টগ্রাম-৫: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (জাতীয় পার্টি)

    চট্টগ্রাম-৬: এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)

    চট্টগ্রাম-৭: ড. হাছান মাহমুদ (আওয়ামী লীগ)

    চট্টগ্রাম-৮: আবদুচ ছালাম (স্বতন্ত্র)

    চট্টগ্রাম-৯: ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (আওয়ামী লীগ)

    চট্টগ্রাম-১০: মহিউদ্দিদি বাচ্চু (আওয়ামী লীগ)

    চট্টগ্রাম-১১: এম আব্দুল লতিফ (আওয়ামী লীগ)

    চট্টগ্রাম-১২: মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)

    চট্টগ্রাম-১৩: সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ (আওয়ামী লীগ)

    চট্টগ্রাম-১৪: মো. নজরুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ)

    চট্টগ্রাম-১৫: আব্দুল মোতালেব (স্বতন্ত্র)

    চট্টগ্রাম-১৬: মজিবুর রহমান (স্বতন্ত্র)

    কুমিল্লা-১: ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর (আওয়ামী লীগ)

    কুমিল্লা-২: আবদুল মজিদ (স্বতন্ত্র)

    কুমিল্লা-৩: জাহাঙ্গীর আলম সরকার (স্বতন্ত্র)

    কুমিল্লা-৪: আবুল কালাম আজাদ (স্বতন্ত্র)

    কুমিল্লা-৫: আবু জাহের (স্বতন্ত্র)

    কুমিল্লা-৬: আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার (আওয়ামী লীগ)

    কুমিল্লা-৭: ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত (আওয়ামী লীগ)

    কুমিল্লা-৮: আবু জাফর মোহাম্মদ শামীম (আওয়ামী লীগ)

    কুমিল্লা-৯: তাজুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ)

    কুমিল্লা-১০: আ হ ম মুস্তফা কামাল (আওয়ামী লীগ)

    কুমিল্লা-১১: মুজিবুল হক (আওয়ামী লীগ)

    চাঁদপুর-১: ড. সেলিম মাহমুদ (আওয়ামী লীগ)

    চাঁদপুর-২: মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (আওয়ামী লীগ)

    চাঁদপুর-৩: ডা. দীপু মনি (আওয়ামী লীগ)

    চাঁদপুর-৪: মুহাম্মদ শফিকুর রহমান (আওয়ামী লীগ)

    চাঁদপুর-৫: মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ)

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১: সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান (স্বতন্ত্র)

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২: মঈন উদ্দিন মঈন (স্বতন্ত্র)

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩: র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪: আনিসুল হক (আওয়ামী লীগ)

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫: ফয়জুর রহমান (আওয়ামী লীগ)

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬: ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ)

    নোয়াখালী-১: এইচ এম ইব্রাহিম (আওয়ামী লীগ)

    নোয়াখালী-২: মোরশেদ আলম (আওয়ামী লীগ)

    নোয়াখালী-৩: মো. মামুনুর রশীদ কিরন (আওয়ামী লীগ)

    নোয়াখালী-৪: মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)

    নোয়াখালী-৫: ওবায়দুল কাদের (আওয়ামী লীগ)

    নোয়াখালী-৬: মোহাম্মদ আলী (আওয়ামী লীগ)

    ফেনী-১: আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)

    ফেনী-২: নিজাম উদ্দিন হাজারী (আওয়ামী লীগ)

    ফেনী-৩: লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (জাতীয় পার্টি)

    লক্ষ্মীপুর-১: আনোয়ার হোসেন খান (আওয়ামী লীগ)

    লক্ষ্মীপুর-২: নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন (আওয়ামী লীগ)

    লক্ষ্মীপুর-৩: মোহাম্মদ গোলাম ফারুক (আওয়ামী লীগ)

    লক্ষ্মীপুর-৪: মো. আবদুল্লাহ (স্বতন্ত্র)

    কক্সবাজার-১: সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম (বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি)

    কক্সবাজার-২: আশেক উল্লাহ রফিক (আওয়ামী লীগ)

    কক্সবাজার-৩: সাইমুম সরওয়ার কমল (আওয়ামী লীগ)

    কক্সবাজার-৪: শাহীন আক্তার (আওয়ামী লীগ)

    রাঙামাটি: দীপংকর তালুকদার (আওয়ামী লীগ)

    খাগড়াছড়ি: কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (আওয়ামী লীগ)

    বান্দরবান: বীর বাহাদুর উশৈ শিং (আওয়ামী লীগ)

    রাজশাহী বিভাগ

    রাজশাহী-১: ওমর ফারুক চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)

    রাজশাহী-২: শফিকুর রহমান বাদশা (স্বতন্ত্র)

    রাজশাহী-৩: মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ (আওয়ামী লীগ)

    রাজশাহী-৪: মো. আবুল কালাম আজাদ (আওয়ামী লীগ)

    রাজশাহী-৫: মো. আব্দুল ওয়াদুদ (আওয়ামী লীগ)

    রাজশাহী-৬: মো. শাহরিয়ার আলম (আওয়ামী লীগ)

    নাটোর-১: অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ (স্বতন্ত্র)

    নাটোর-২: শফিকুল ইসলাম শিমুল (আওয়ামী লীগ)

    নাটোর-৩: জুনাইদ আহমেদ পলক (আওয়ামী লীগ)

    নাটোর-৪: ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী (আওয়ামী লীগ)

    চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১: ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল (আওয়ামী লীগ)

    চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২: জিয়াউর রহমান (আওয়ামী লীগ)

    চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩: আব্দুল ওদুদ (আওয়ামী লীগ)

    বগুড়া-১: সাহাদারা মান্নান (আওয়ামী লীগ)

    বগুড়া-২: শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ (জাতীয় পার্টি)

    বগুড়া-৩: খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী (স্বতন্ত্র)

    বগুড়া-৪: এ, কে, এম রেজাউল করিম তানসেন (জাসদ)

    বগুড়া-৫: মজিবুর রহমান মজনু (আওয়ামী লীগ)

    বগুড়া-৬: রাগেবুল আহসান রিপু (আওয়ামী লীগ)

    বগুড়া-৭: ডা. মোস্তফা আলম নান্নু (আওয়ামী লীগ)

    সিরাজগঞ্জ-১: তানভীর শাকিল জয় (আওয়ামী লীগ)

    সিরাজগঞ্জ-২: জান্নাত আরা হেনরী (আওয়ামী লীগ)

    সিরাজগঞ্জ-৩: ডা. আব্দুল আজিজ (আওয়ামী লীগ

    সিরাজগঞ্জ-৪: শফিকুল ইসলাম শফি (আওয়ামী লীগ)

    সিরাজগঞ্জ-৫: আবদুল মমিন মন্ডল (আওয়ামী লীগ)

    সিরাজগঞ্জ-৬: চয়ন ইসলাম (আওয়ামী লীগ)

    পাবনা-১: মো. শামসুল হক টুকু (আওয়ামী লীগ)

    পাবনা-২: আহমেদ ফিরোজ কবির (আওয়ামী লীগ)

    পাবনা-৩: মো. মকবুল হোসেন (আওয়ামী লীগ)

    পাবনা-৪: গালিবুর রহমান শরীফ (আওয়ামী লীগ)

    পাবনা-৫: গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স (আওয়ামী লীগ)

    নওগাঁ-১: সাধন চন্দ্র মজুমদার (আওয়ামী লীগ)

    নওগাঁ-২: সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী (আওয়ামী লীগ)

    নওগাঁ-৪: এস এম ব্রহানী সুলতান মামুদ (স্বতন্ত্র)

    নওগাঁ-৫: নিজাম উদ্দিন জলিল জন (আওয়ামী লীগ)

    নওগাঁ-৬: মো. ওমর ফারুক সুমন (স্বতন্ত্র)

    খুলনা বিভাগ

    খুলনা-১: ননী গোপাল মণ্ডল (আওয়ামী লীগ)

    খুলনা-২: সেখ সালাউদ্দিন জুয়েল (আওয়ামী লীগ)

    খুলনা-৩: এসএম কামাল হোসেন (আওয়ামী লীগ)

    খুলনা-৪: আব্দুস সালাম মুর্শেদী (আওয়ামী লীগ)

    খুলনা-৫: নারায়ণ চন্দ্র চন্দ (আওয়ামী লীগ)

    খুলনা-৬: মো. রশীদুজ্জামান (আওয়ামী লীগ)

    বাগেরহাট-১: শেখ হেলাল উদ্দিন (আওয়ামী লীগ)

    বাগেরহাট-২: শেখ সারহান নাসের তন্ময় (আওয়ামী লীগ)

    বাগেরহাট-৩: হাবিবুন নাহার (আওয়ামী লীগ)

    বাগেরহাট-৪: বদিউজ্জামান সোহাগ (আওয়ামী লীগ)

    সাতক্ষীরা-১: ফিরোজ আহমেদ স্বপন (আওয়ামী লীগ)

    সাতক্ষীরা-২: আশরাফুজ্জামান আশু (জাতীয় পার্টি)

    সাতক্ষীরা-৩: আ ফ ম রুহুল হক (আওয়ামী লীগ)

    সাতক্ষীরা-৪: এসএম আতাউল হক দোলন (আওয়ামী লীগ)

    যশোর-১: শেখ আফিল উদ্দিন (আওয়ামী লীগ)

    যশোর-২: ডা. তৌহিদুজ্জামান তুহিন (আওয়ামী লীগ)

    যশোর-৩: কাজী নাবিল আহমেদ (আওয়ামী লীগ)

    যশোর-৪: এনামুল হক বাবুল (আওয়ামী লীগ)

    যশোর-৫: ইয়াকুব আলী (স্বতন্ত্র)

    যশোর-৬: আজিজুল ইসলাম (স্বতন্ত্র)

    নড়াইল-১: বিএম কবিরুল হক (আওয়ামী লীগ)

    নড়াইল-২: মাশরাফি বিন মর্তুজা (আওয়ামী লীগ)

    মাগুরা-১: সাকিব আল হাসান (আওয়ামী লীগ)

    মাগুরা-২: বীরেন শিকদার (আওয়ামী লীগ)

    কুষ্টিয়া-১: রেজাউল হক চৌধুরী (স্বতন্ত্র)

    কুষ্টিয়া-২: কামারুল আরেফিন (স্বতন্ত্র)

    কুষ্টিয়া-৩: মাহবুবউল আলম হানিফ (আওয়ামী লীগ)

    কুষ্টিয়া-৪: আবদুর রউফ (স্বতন্ত্র)

    মেহেরপুর-১: ফরহাদ হোসেন (আওয়ামী লীগ)

    মেহেরপুর-২: নাজমুল হক সাগর (আওয়ামী লীগ)

    চুয়াডাঙ্গা-১: সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন (আওয়ামী লীগ)

    চুয়াডাঙ্গা-২: মো. আলী আজগার (আওয়ামী লীগ)

    ঝিনাইদহ-১: মো. আব্দুল হাই (আওয়ামী লীগ)

    ঝিনাইদহ-২: মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী (স্বতন্ত্র)

    ঝিনাইদহ-৩: মো. সালাহ উদ্দিন মিয়াজী (আওয়ামী লীগ

    ঝিনাইদহ-৪: মো. আনোয়ারু আজীম আনার (আওয়ামী লীগ)

    বরিশাল বিভাগ

    বরিশাল-১: আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ (আওয়ামী লীগ)

    বরিশাল-২: রাশেদ খান মেনন (বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি)

    বরিশাল-৩: গোলাম কিবরিয়া টিপু (জাতীয় পার্টি)

    বরিশাল-৪: পঙ্কজ নাথ (স্বতন্ত্র)

    বরিশাল-৫: জাহিদ ফারুক (আওয়ামী লীগ)

    বরিশাল-৬: আব্দুল হাফিজ মল্লিক (আওয়ামী লীগ)

    ভোলা-১: তোফায়েল আহমেদ (আওয়ামী লীগ)

    ভোলা-২: আলী আজম মুকুল (আওয়ামী লীগ)

    ভোলা-৩: নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন (আওয়ামী লীগ)

    ভোলা-৪: আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (আওয়ামী লীগ)

    বরগুনা-১: গোলাম সরোয়ার টুকু (স্বতন্ত্র)

    বরগুনা-২: সুলতানা নাদিরা (আওয়ামী লীগ)

    পটুয়াখালী-১: এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার (জাতীয় পার্টি)

    পটুয়াখালী-২: আ স ম ফিরোজ (আওয়ামী লীগ)

    পটুয়াখালী-৩: এস এম শাহজাদা (আওয়ামী লীগ)

    পটুয়াখালী-৪: মহিব্বুর রহমান মহিব (আওয়ামী লীগ)

    ঝালকাঠি-১: ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (আওয়ামী লীগ)

    ঝালকাঠি-২: আমির হোসেন আমু (আওয়ামী লীগ)

    পিরোজপুর-১: শ ম রেজাউল করিম (আওয়ামী লীগ)

    পিরোজপুর-২: মো. মহিউদ্দিন মহারাজ (স্বতন্ত্র)

    পিরোজপুর-৩: মো. শামীম শাহনেওয়াজ (স্বতন্ত্র)

    সিলেট বিভাগ

    সিলেট-১: ড. এ কে আব্দুল মোমেন (আওয়ামী লীগ)

    সিলেট-২: শফিকুর রহমান চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)

    সিলেট-৩: হাবিবুর রহমান হাবিব (আওয়ামী লীগ)

    সিলেট-৪: ইমরান আহমদ (আওয়ামী লীগ)

    সিলেট-৫: মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী (স্বতন্ত্র)

    সিলেট-৬: নুরুল ইসলাম নাহিদ (আওয়ামী লীগ)

    সুনামগঞ্জ-১: রনজিত চন্দ্র সরকার (আওয়ামী লীগ)

    সুনামগঞ্জ-২: ড. জয়া সেন গুপ্তা (স্বতন্ত্র)

    সুনামগঞ্জ-৩: এম এ মান্নান (আওয়ামী লীগ)

    সুনামগঞ্জ-৪: মোহাম্মদ সাদিক (আওয়ামী লীগ)

    সুনামগঞ্জ-৫: মহিবুর রহমান মানিক (আওয়ামী লীগ)

    হবিগঞ্জ-১: আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী (স্বতন্ত্র)

    হবিগঞ্জ-২: ময়েজ উদ্দিন শরীফ (আওয়ামী লীগ)

    হবিগঞ্জ-৩: আবু জাহির (আওয়ামী লীগ)

    হবিগঞ্জ-৪: ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন (স্বতন্ত্র)

    মৌলভীবাজার-১: মো. শাহাব উদ্দিন (আওয়ামী লীগ)

    মৌলভীবাজার-২: শফিউল আলম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)

    মৌলভীবাজার-৩: মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান (আওয়ামী লীগ)

    মৌলভীবাজার-৪: উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ (আওয়ামী লীগ)

    ময়মনসিংহ বিভাগ

    ময়মনসিংহ-১: মাহমুদুল হক সায়েম (স্বতন্ত্র)

    ময়মনসিংহ-২: শরীফ আহমেদ (আওয়ামী লীগ)

    ময়মনসিংহ-৪: মো. মোহিত উর রহমান (আওয়ামী লীগ)

    ময়মনসিংহ-৫: মো. নজরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র)

    ময়মনসিংহ-৬: মো. আবদুল মালেক সরকার (স্বতন্ত্র)

    ময়মনসিংহ-৭: এ বি এম আনিছুজ্জামান (স্বতন্ত্র)

    ময়মনসিংহ-৮: মাহমুদ হাসান সুমন (স্বতন্ত্র)

    ময়মনসিংহ-৯: আবদুস সালাম (আওয়ামী লীগ)

    ময়মনসিংহ-১০: ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল (আওয়ামী লীগ)

    ময়মনসিংহ-১১: মো. আব্দুল ওয়াহেদ (স্বতন্ত্র)

    নেত্রকোণা-১: মোশতাক আহমেদ রুহী (আওয়ামী লীগ)

    নেত্রকোণা-২: মো. আশরাফ আলী খান খসরু (আওয়ামী লীগ)

    নেত্রকোণা-৩: ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু (স্বতন্ত্র)

    নেত্রকোণা-৪: সাজ্জাদুল হাসান (আওয়ামী লীগ)

    নেত্রকোণা-৫: আহমদ হোসেন (আওয়ামী লীগ)

    জামালপুর-১: নূর মোহাম্মদ (আওয়ামী লীগ)

    জামালপুর-২: ফরিদুল হক খান (আওয়ামী লীগ)

    জামালপুর-৩: মির্জা আজম (আওয়ামী লীগ)

    জামালপুর-৪: আবদুর রশীদ (স্বতন্ত্র)

    জামালপুর-৫: আবুল কালাম আজাদ (আওয়ামী লীগ)

    শেরপুর-১: মো. ছানুয়ার হোসেন ছানু (স্বতন্ত্র)

    শেরপুর-২: মতিয়া চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)

    শেরপুর-৩: এডিএম শহিদুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ)

    রংপুর বিভাগ

    রংপুর-১: মো. আসাদুজ্জামান (স্বতন্ত্র)

    রংপুর-২: আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)

    রংপুর-৩: গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জাতীয় পার্টি)

    রংপুর-৪: টিপু মুনশি (আওয়ামী লীগ)

    রংপুর-৫: মো. জাকির হোসেন সরকার (স্বতন্ত্র)

    রংপুর-৬: ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)

    দিনাজপুর-১: মো. জাকারিয়া (স্বতন্ত্র)

    দিনাজপুর-২: খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (আওয়ামী লীগ

    দিনাজপুর-৩: ইকবালুর রহিম (আওয়ামী লীগ)

    দিনাজপুর-৪: আবুল হাসান মাহমুদ আলী (আওয়ামী লীগ)

    দিনাজপুর-৫: মোস্তাফিজুর রহমান (আওয়ামী লীগ)

    দিনাজপুর-৬: মো. শিবলী সাদিক (আওয়ামী লীগ)

    নীলফামারী-১: মো. আফতাব উদ্দিন সরকার (আওয়ামী লীগ)

    নীলফামারী-২: আসাদুজ্জামান নূর (আওয়ামী লীগ)

    নীলফামারী-৩: মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল (স্বতন্ত্র

    নীলফামারী-৪: সিদ্দিকুল আলম (স্বতন্ত্র)

    কুড়িগ্রাম-১: এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান (জাতীয় পার্টি)

    কুড়িগ্রাম-২: মো. হামিদুল হক খন্দকার (স্বতন্ত্র)

    কুড়িগ্রাম-৩: সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে (আওয়ামী লীগ)

    কুড়িগ্রাম-৪: মো. বিপ্লব হাসান (আওয়ামী লীগ)

    পঞ্চগড়-১: মো. নাঈমুজ্জামান ভুঁইয়া মুক্তা (আওয়ামী লীগ)

    পঞ্চগড়-২: মো. নুরুল ইসলাম সুজন (আওয়ামী লীগ)

    লালমনিরহাট-১: মোতাহার হোসেন (আওয়ামী লীগ)

    লালমনিরহাট-২: নুরুজ্জামান আহমেদ (আওয়ামী লীগ)

    লালমনিরহাট-৩: অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান (আওয়ামী লীগ)

    ঠাকুরগাঁও-১: রমেশ চন্দ্র সেন (আওয়ামী লীগ (আওয়ামী লীগ)

    ঠাকুরগাঁও-২: মো. মাজহারুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ)

    ঠাকুরগাঁও-৩: হাফিজ উদ্দিন (জাতীয় পার্টি)

    গাইবান্ধা-১: আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার (স্বতন্ত্র)

    গাইবান্ধা-২: শাহ সারোয়ার কবীর (স্বতন্ত্র)

    গাইবান্ধা-৩: উম্মে কুলসুম স্মৃতি (আওয়ামী লীগ)

    গাইবান্ধা-৪: মো. আবুল কালাম আজাদ (আওয়ামী লীগ)

    গাইবান্ধা-৫: মাহমুদ হাসান রিপন (আওয়ামী লীগ)

    জয়পুরহাট-১: সামছুল আলম দুদু (আওয়ামী লীগ)

    জয়পুরহাট-২: আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন (আওয়ামী লীগ)

  • নৌকা বনাম আওয়ামীলীগের উদ্বেগ-উৎকন্ঠার ভোট

    নৌকা বনাম আওয়ামীলীগের উদ্বেগ-উৎকন্ঠার ভোট

    একদিকে শঙ্কা-উৎকণ্ঠা-উদ্বেগ, অন্যদিকে উৎসবের আমেজ। অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। রবিবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ‘ভোটখেলায়’ আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নন। তাই এবার ভোটারদের মনে উৎসবের সঙ্গে জোরেশোরে শঙ্কাও ভর করেছে। তবে, নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভোটারদের নির্ভয়ে কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।

    ইতোমধ্যে আসনগুলোতে পৌঁছে গেছে ব্যালট পেপারসহ ভোটের সব উপকরণ। এবারই প্রথম ব্যালট পেপার পৌঁছানো হয়নি ভোটের আগের দিন। রবিবার সকালে ৭টার মধ্যে প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এসব ব্যালট তুলে দেবেন।

    চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয়েছে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে নৌবাহিনীর পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি।

    এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১২৫ জন প্রার্থী। তবে সবার দৃষ্টি আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ঘিরে। চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে অন্তত ১০টি আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ভোটযুদ্ধে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে লড়ে যাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের কারণে নৌকা প্রতীক পেলেও সহজ জয়ের পথে ‘চ্যালেঞ্জ’-এ পড়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট, কল্যাণ পার্টিসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থী রয়েছেন ভোটের মাঠে।

    চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) : মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মাহবুব উর রহমান রুহেল। তবে তাঁর জন্য ‘কাল’ হয়ে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন। ভোটে ছোট-বড় আরও ৫ প্রার্থী থাকলেও নৌকার রুহেলকে কঠিন লড়াই করতে হবে শক্তিশালী গিয়াসের সঙ্গে। মানুষ ভোট দিতে পারলে এ আসনে গিয়াসের জয় ‘অপ্রতিরোধ্য’ বলে মনে করছেন ভোটাররা। ১৬ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভা মিলে এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৫২৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭৪১ এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭৭ হাজার ৭৮২ জন। স্থায়ী ১০৬টি কেন্দ্রে ৭১৭টি বুথে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন তারা।

    চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) : আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনির ‘বাধা’ স্বতন্ত্র প্রার্থী পদত্যাগী উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মো. আবু তৈয়ব। শেষ মুহূর্তে এসে সনিকে ‘সমর্থনের’ কথা বলে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে গেছেন চার বারের এমপি তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী। মাঠে আছেন তাঁর ভাতিজা সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ। চাচা-ভাতিজার লড়াই থামলেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে নৌকা ও স্বতন্ত্রে। এ আসনে আওয়ামী লীগের আরেক স্বতন্ত্রসহ প্রার্থী রয়েছেন আরও তিনজন।

    ফটিকছড়িতে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৪৯০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩৯ হাজার ৯০৪ জন, মহিলা ভোটার ২ লাখ ১৬,৫৮৩ জন। তিনজন হিজড়া ভোটার। কেন্দ্র আছে ১৪২টি।

    চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) : চট্টগ্রামের একমাত্র দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে তিনবারের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী। তবে এবার তাকে মাড়িয়ে যেতে হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরীর পথ। বিভিন্ন দলের আরও ৫ প্রার্থী থাকলেও লড়াইটা জমবে মিতা-জামালের মধ্যে— বলছেন ভোটাররা।

    সন্দ্বীপে ২ লাখ ৪১ হাজার ৯১৪ জন ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২৩ হাজার ৯৬৯ জন পুরুষ, মহিলা ১ লাখ ১৭ হাজার ৯৪৩ জন। ১টি পৌরসভা ও ১৫ ইউনিয়নে কেন্দ্র আছে ৮৪টি।

    চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) : আওয়ামী লীগের প্রার্থী এস এম আল মামুনের পথ থেকে দুই বারের সংসদ সদস্য দিদারুল আলম চৌধুরী সরে দাঁড়ালেও ‘কাঁটা’ হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী লায়ন মো. ইমরান। ফলে অন্য দলের ৫ প্রার্থীর মতো স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমরানের সঙ্গে লড়তে হচ্ছে। তবে, এ আসনে স্বতন্ত্রকে খুব একটা ‘মাথায়’ নেয়নি স্থানীয় আওয়ামী লীগ। মামুনের সঙ্গে অনেকটা ‘নিশ্চিন্ত’ সময় পার করেছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। কিন্তু, স্বতন্ত্রের ইমরানও ‘নাছোড়বান্দা’ শেষ মুর্হূর্ত পর্যন্ত ‘দৌড়ে’ গেছেন।

    চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) : উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কাণ্ডারি এম এ সালামকে নৌকার বহর থেকে নামিয়ে জোটের ‘ভাগ’ নিয়েছেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। ভোটের মাঠে লাঙল নামালেও বাধা হয়েছে আওয়ামী স্বতন্ত্র। জোটসঙ্গীরা পাশে না থাকায় তাকে লড়তে হচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ শাহজাহানের সঙ্গে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর ‘সঙ্গ’ দেয়ায় খুব একটা সহজ হচ্ছে না আনিসুলের নির্বাচনীযাত্রা। তাদেরও ডিঙাতে হবে বিএনএফ, সুপ্রীম পার্টি, গণতান্ত্রিক ফোরাম, ইসলামী ফ্রন্ট ও ইসলামীক ফ্রন্টের মতো দলের ৫ প্রার্থীকে।

    চট্টগ্রাম-৬ ( রাউজানে) : এখানে ‘অপ্রতিদ্বন্দ্বী’ আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফজলে করিম চৌধুরী। এবার সংসদে পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে মন্ত্রীর ‘চেয়ারে’ দেখতে চান ভোটাররা। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট শফিউল আজম থাকলেও ভোটারদের সব হিসাব-নিকাশ ফজলে করিম চৌধুরীকে ঘিরেই। প্রার্থী আছে জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, ইসলামিক ফ্রন্টেরও।

    চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) : এই আসনে ‘অপ্রতিরোধ্য’ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। দলের কেউ তাঁর বিরোধিতা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হননি, নেই অন্য দলের হেভিওয়েট কোনো প্রার্থীও।

    চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) : নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদকে ‘বিসর্জন’ দিয়ে এই আসনটি ‘জোটবন্ধু’ জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আসন ভাগে পেলেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ‘কাবু’ করতে পারেনি ‘ভাগীদার’ সোলায়মান আলম শেঠ। ‘তকদির’ খারাপ তাঁর। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম ও বিজয় কুমার চৌধুরীর ‘শক্তিশালী’ অবস্থানে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন শেঠ। আরও ৮ প্রার্থী থাকলেও মূলত তাদের ঘিরেই ভোটারদের যত হিসেব নিকেশ।

    চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) : এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। আরো ৬ প্রার্থী থাকলেও মহিউদ্দিনপুত্রেরই জয় হবে— এমনটাই হিসাব কষে ফেলেছেন ভোটাররা। তবে প্রতিদ্বন্দ্বীকে প্রতিদ্বন্দ্বীই ধরে নিয়েছেন তিনি। গেছেন ভোটারের দ্বারে দ্বারে।

    চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং- পাহাড়তলী-হালিশহর) : এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চুর সঙ্গে জমবে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সিটি মেয়র মঞ্জুর আলমের সঙ্গে। ‘তালে’ আছেন আওয়ামী স্বতন্ত্র ফরিদ মাহমুদও।

    চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) : আওয়ামী লীগের প্রার্থী তিনবারের এমপি এম এ লতিফকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে চাপের মুখে ফেলেছেন চসিক কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন। নগর আওয়ামী লীগকে সাঙ্গ করে প্রচারণার চালিয়ে গেছেন তিনি। জয়ের ব্যাপারে শুরু থেকে ‘কনফিডেন্ট’ লতিফ, সুমনও শতভাগ আশাবাদী। অন্যান্য আসনের মতো এ আসনেও ‘খেলা হবে’ লতিফ বনাম সুমনের।

    চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) : শুধু চট্টগ্রাম নয়, সারা দেশে আলোচনার আসন পটিয়া। ভোটের মাঠে চলছে, বর্তমান সংসদ সদস্য হুইপ সামশুল হক চৌধুরীকে হটাতে নাকি পর্দার অন্তরালে ‘কলকাঠি’ নাড়ছে দেশের বৃহৎ একটি শিল্পগ্রুপ। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলামের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়ছেন হুইপ সামশুল। ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী এম এ মতিনসহ এ আসনে প্রার্থী আছেন ৬ জন। তবে লড়াইটা সামশুল হক চৌধুরীর সঙ্গে আওয়ামী প্রার্থী মোতাহেরের সঙ্গে। তাদের ঘিরে আশঙ্কা রয়েছে সংঘাতেরও।

    চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) : আওয়ামী লীগের প্রার্থী ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই। আছে জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, ইসলামী ফ্রন্ট, সুপ্রীম পার্টির মতো কয়েকটি দলের ৬ প্রার্থী। এই আসনেও জাবেদের জয় অনিবারণীয়।

    চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) : বীরমুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রার্থী করেছে আওয়ামী লীগ। তবে মানতে পারেন নি উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার চৌধুরী। উপজেলা চেয়ারম্যানের চেয়ার ছেড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তিনি। দুই চৌধুরীতেই জমবে এ আসনের ভোটখেলা।

    চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) : সবাইকে অবাক করে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী। দলীয় ‘বলয়ে’ শক্ত অবস্থানে স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মোতালেব। ‘ভোটখেলা’ হবে তাঁদের দুজনের সঙ্গে। মোতালেবের ‘জয়জয়কার’ হলেও নদভীর কি ‘খেল’ শেষ পর্যন্ত দেখতে ‘উন্মুখ’ ভোটাররা।

    চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) : ভোটের শুরু থেকে প্রায় শেষ পর্যন্ত ‘বিতর্কিত’ কর্মকাণ্ডে শীর্ষ অবস্থানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। সাংবাদিকদের মারধর, পুলিশের হাত কেটে নেওয়ার হুমকি— কিছুই বাদ রাখেন নি ভোটের মাঠে। এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতা মুজিবুর রহমান সিআইপিকে কিভাবে ‘ট্যাগেল’ দেন দেখার বিষয়। মোস্তাফিজ-মুজিবুর ‘খেলায়’ সুবিধা করতে চান আবদুল্লাহ কবির লিটন। এ আসনেও প্রার্থীর ছড়াছড়ি। আওয়ামী ও আওয়ামী স্বতন্ত্র বাদে প্রার্থী আছেন আরও ৭ জন।

    চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে এবার মোট ভোটার ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৩৯৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৯০ জন, নারী ভোটার ৩০ লাখ ২৪ হাজার ৭৫১ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৫৬ জন।

    চট্টগ্রামের সব আসন মিলিয়ে মোট ভোটকেন্দ্র ২০২৩টি এবং ভোট গ্রহণ কক্ষ ১৩ হাজার ৭৩২টি। প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ৪৩ হাজার ২১৯। ১০ শতাংশ অতিরিক্তসহ ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকবে মোট ৪৭ হাজার ৫৪৪ জন।

    চট্টগ্রামের ১০টি আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জানান, রবিবার সকাল ৭টার মধ্যে প্রত্যেক নির্বাচনী আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নেতৃত্বে ব্যালট বিতরণ শেষ করা হবে। প্রতিটি উপজেলায় আলাদা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ করা হবে এবং নগরীর চারটি আসনের জন্য আলাদা তিনটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ করা হয়েছে।

    চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা বলেন, ‘নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে বিজিবি, আনসার কোস্টগার্ড দায়িত্ব পালন করবে। কোনো ভোটারকে যদি কেউ বাধা দেয়, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’

  • চট্টগ্রামে প্রার্থীরা ভোট কে কোথায় দিবেন

    চট্টগ্রামে প্রার্থীরা ভোট কে কোথায় দিবেন

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হবে রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

    নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় নিজেদের ভোট দিবেন।

    জানা গেছে, চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাইর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহবুব রহমান রুহেল সকাল আটায় উত্তর ধুম দৌলত বিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিবেন।

    চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ. বি. এম. ফজলে করিম চৌধুরী গহিরা এ জে কে ওয়াই বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পদুয়া ইউনিয়নের সুখ বিলাস উচ্চ বিদ্যালয়ে, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল নগরের আন্দরকিল্লা মুসলিম অ্যাডুকেশন সোসাইটি বিদ্যালয়ে, চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম নগরের হাজী দাউদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এম আবদুল লতিফ নগরের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের বারিক মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ আনোয়ারা হাইলধর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট প্রদান করবেন।

    উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম ১৬টি আসনে ১২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

    জেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৬৩ লাখ ৭ হাজার ৯৯৫ জন। এর মধ্যে ৩২ লাখ ৮২ হাজার ২৫৫ জন পুরুষ ও ৩০ লাখ ২৪ হাজার ৬৮৪ জন পুরুষ।

  • আসনপ্রতি সাত কোটি টাকার বেশি খরচ ইসির

    আসনপ্রতি সাত কোটি টাকার বেশি খরচ ইসির

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিশাল অঙ্কের বাজেট ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ অর্থ ভোটের দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি প্রিজাইডিং-পোলিং অফিসারসহ নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের দুদিনের সম্মানী ভাতা হিসেবে দেওয়া হবে।

    ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২৩০০ কোটি টাকা। এ নির্বাচনে আসনপ্রতি সাত কোটি টাকার বেশি ব্যয় করবে ইসি।

    তিনি আরও জানান, নির্বাচন পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলা খাত মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছিল। পরে বরাদ্দের চাহিদা বেড়ে সবমিলিয়ে ব্যয় প্রায় ২৩০০ কোটি টাকায় দাঁড়াতে পারে।

    ইসি কর্মকর্তারা জানান, এবারের নির্বাচনে তিন হাজারের মতো ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। এ ছাড়া, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের সংখ্যা ও মোতায়েনের সময় বাড়ায় ব্যয় বেড়েছে।

    জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে প্রাপ্ত চাহিদা অনুযায়ী সম্ভাব্য ব্যয় প্রায় এক হাজার ২২৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা এবং নির্বাচন পরিচালনা খাতে সম্ভাব্য ব্যয় এক হাজার ৫০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এতে আসনপ্রতি ব্যয় দাঁড়াচ্ছে সাত কোটি টাকার বেশি।

    সংসদ নির্বাচনে ব্যয় বরাদ্দের বিষয়ে অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ইসির জন্য প্রথমে এক হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি, সময় বাড়ানো, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা বাড়ানো ইত্যাদি কারণে ব্যয় অনেক বেড়েছে। দুই হাজার কোটি টাকার বেশি অতিরিক্ত ব্যয় বরাদ্দ লাগবে। ইতোমধ্যে ইসি সচিব মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা করে ৭০২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে দিয়েছি। বাকিটাও দেওয়া হবে।

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এক দিনের জন্য প্রিজাইডিং অফিসার চার হাজার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার তিন হাজার এবং পোলিং অফিসার দুই হাজার করে টাকা পাবেন। যাতায়াত ভাড়ার জন্য তারা অতিরিক্ত জনপ্রতি এক হাজার টাকা করে পাবেন।

    এ ছাড়া, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোট প্রদানের গোপন কক্ষ ও বেষ্টনীর জন্য প্রতিটি কক্ষের জন্য ৮০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট বা ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা সম্পন্ন কর্মকর্তারা নির্বাচনের আগে ও পরের দুই দিনসহ মোট পাঁচ দিনের জন্য দিনে নয় হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। স্টাফ ভাতা হিসেবে প্রতিদিন পাবেন আরও এক হাজার টাকা।

    এর বাইরে ব্যালট পেপার আনা-নেওয়া, রিটার্নিং অফিসারের সহায়ক কর্মকর্তাদেরও ভাতা দেওয়া হবে।

    সর্বশেষ ২০১৮ সালের একাদশ সংসদের তুলনায় ২০২৪ সালে ভোটার, ভোটকেন্দ্র, ভোটকক্ষ যেমন বেড়েছে; তেমনই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, নির্বাচনী কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনি সরঞ্জামও বেশি ব্যবস্থাপনা করতে হয়েছে।

    আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপ্তি ১০ দিন থেকে বাড়িয়ে ১৩ দিন করা হয়েছে। নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সম্মানীসহ জ্বালানি, পরিবহন খাতের বরাদ্দও বেড়েছে।

    এবার ১১ কোটি ৯৭ লাখ ভোটারের এ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র্রের সংখ্যা ৪২ হাজারের বেশি। ভোটকক্ষ দুই লাখ ৬১ হাজারের বেশি।

    প্রতি কেন্দ্রে থাকবেন ১৫-১৭ জন নিরাপত্তা সদস্য

    এবারের নির্বাচনে সারা দেশে আনসার সদস্য থাকছেন পাঁচ লাখ ১৬ হাজার জন। পুলিশ ও র‌্যাব থাকছেন এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন, কোস্টগার্ড দুই হাজার ৩৫০ জন এবং ৪৬ হাজার ৮৭৬ জন বিজিবি সদস্য থাকছেন। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য থাকছেন প্রায় অর্ধলাখ।

    নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে এবার চার লাখ ছয় হাজার ৩৬৪ প্রিজাইডিং অফিসার, দুই লাখ ৮৭ হাজার ৭২২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৪৪৩ জন পোলিং অফিসার, সবমিলিয়ে মোট নয় লাখ নয় হাজার ৫২৯ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

    বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা এবং ইসি সচিবালয় ও প্রশিক্ষণেও বিপুল অর্থ খরচ হচ্ছে।

    দলীয় ও স্বতন্ত্র মিলে এবার ১৯৭০ জন প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ অংশ নিচ্ছে ২৮টি দল। বিএনপি ও সমমনাদের ভোট বর্জনের মুখে এবারও আইনশৃঙ্খলায় বেশি সময় ধরে নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন রাখা হচ্ছে।

    নওগাঁ-২ আসনের একজন প্রার্থী মারা যাওয়ায় ৭ জানুয়ারি ২৯৯টি আসনে ভোট হবে। ওই আসনের নির্বাচন পরে অনুষ্ঠিত হবে।

    আগের ১১ নির্বাচনের যত ব্যয়

    একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন : ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জন্য মোট ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। পরে তা আরও বাড়ে।

    দশম সংসদ নির্বাচন : ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোটে মোট ব্যয়ের পরিমাণ ছিল প্রায় ২৬৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

    নবম সংসদ নির্বাচন: ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের ভোটে ১৬৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়।

    অষ্টম সংসদ নির্বাচন : মোট ব্যয় হয় ৭২ কোটি ৭১ লাখ টাকা।

    সপ্তম সংসদ নির্বাচন : পরিচালনা বাবদ ব্যয় ১১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

    ষষ্ঠ জাতীয় নির্বাচন : মোট ৩৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়।

    পঞ্চম সংসদ নির্বাচন : পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলা খাতে ব্যয় হয় ২৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

    চতুর্থ সংসদ নির্বাচন : ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

    তৃতীয় সংসদ নির্বাচন : ৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা।

    দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন : ব্যয় হয় ২ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

    প্রথম সংসদ নির্বাচন: ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ ৩ কোটি ৫২ লাখ ৫ হাজার ৬৪২ জন ভোটারের এ নির্বাচনে ব্যয় ছিল ৮১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।

  • তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা

    তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা

    আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েছেন বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী। তাদের মধ্যে কেউ-কেউ শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে পরাজয়ও বরণ করতে পারেন।

    দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ অনেক দল এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তবে, নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে উৎসাহিত করেছে আওয়ামী লীগ। এ কারণে অন্যান্য আসনের মতো মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের আসনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

    সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অন্য সব নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ছাড়া অন্যান্য প্রার্থীর পক্ষে কাজ করলে শাস্তির মুখোমুখি হতেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এবারের চিত্র ভিন্ন। স্থানীয় নেতাকর্মীরাও বাধাহীনভাবে যে যার পক্ষে কাজ করছেন। এ কারণে সুবিধা পাচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

    দীপু মনি-শামছুল হক ভূঁইয়া

    চাঁদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিকে ছাড় দিতে নারাজ স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শামছুল হক ভূঁইয়া। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের নির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ঈগল প্রতীকে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুজন প্রার্থীই নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার অংশ হিসেবে এলাকায় গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করছেন। ড. শামছুল হক ভূঁইয়া মনে করেন, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের উদাহরণ হিসেবে এবারের নির্বাচন সবার মনে জায়গা করে নেবে। কাজেই সবাই ভোটকেন্দ্রে এসে তাকে ভোট দেবেন।

    অন্যদিকে, গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে ভোটারদের উদ্দেশ্যে ডা. দীপু মনি বলেন, ভোট দেওয়াটা নাগরিক অধিকার এবং কর্তব্যও বটে। তার প্রশ্ন, যদি ১৫ বছর ভালো কাজ করে থাকি এবং খারাপ কাজ যদি না করে থাকি, তাহলে নির্বাচনে কম নম্বরে পাস করব কেন? বেশি নম্বর পেয়েই পাস করব।

    দস্তগীর গাজী-শাহজাহান ভূঁইয়া

    নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তিনবারের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূঁইয়া।

    দলীয় ও স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণায় পাল্টাপাল্টি সভা-সমাবেশ, শোডাউনে সরগরম নির্বাচনী এলাকা। পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকানেও নির্বাচনী হাওয়া বইছে।

    গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, আমি ১৫ বছর ধরে রূপগঞ্জের উন্নয়ন করে যাচ্ছি। আমার বিশ্বাস জনগণ আমাকে নয় উন্নয়নকে ভোট দেবে। নতুন যাকেই চাইবে তাকেই ভোট দেবে। নির্বাচন নিয়ে আমরা কোনো আশঙ্কা প্রকাশ করছি না। আমরা চাচ্ছি সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন আরও উৎসবমুখর হোক। আমরা সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি। তাই এখানে কোনো শঙ্কা নেই।

    স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়া বলেন, নির্বাচনে আমার প্রার্থী হওয়ার একটি কারণ, রূপগঞ্জের নির্যাতিত জনগণের পাশে থাকা। আমরা তাদের দখল করা জমি উদ্ধার করতে চাই। আমি নির্বাচিত হলে রূপগঞ্জে অস্ত্র ও মাদক নির্মূলে কাজ করব। রূপগঞ্জের জনগণ আমার সঙ্গে আছে।

    নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন-সাইফুল ইসলাম খান বীরু

    নরসিংদী-৪ আসনে এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন মনোহরদী উপজেলার পাঁচবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান বীরু।

    সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই প্রার্থী আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট চাচ্ছেন। তাদের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

    সাধন চন্দ্র মজুমদার-খালেকুজ্জামান তোতা

    নওগাঁ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য খালেকুজ্জামান তোতা। তিনি চন্দননগর ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। এ ছাড়া, তিনি নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি।

    নুরুজ্জামান আহমেদ-সিরাজুল হক

    লালমনিরহাট-২ আসনে নির্বাচন করছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও আদিতমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল হক।

    স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল হকের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে বক্তব্য দিয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুজ্জামান আহমেদের ছোট ভাই মাহবুবুজ্জামান আহমেদ। মাহবুবুজ্জামান আহমেদ কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।

    আ ক ম মোজাম্মেল হক-রেজাউল করিম রাসেল

    গাজীপুর-১ আসনে টানা চতুর্থবারের মতো দলীয় প্রতীক নৌকা পেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাসেল।

    জানা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রাসেলের বড় শক্তি গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। গাজীপুর মহানগরীর ১৮টি ওয়ার্ড রয়েছে আসনটিতে। মহানগরীর ওই এলাকাগুলোতে জাহাঙ্গীর আলমের আধিপত্য রয়েছে। যার কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী রাসেলের জন্য আশীর্বাদ জাহাঙ্গীর। এ আসনে রাসেলকে বিজয়ী করতে মাঠে নেমেছেন জাহাঙ্গীর আলম ও তার সমর্থকরা।

    জাহিদ আহসান রাসেল-কাজী আলিম উদ্দিন

    গাজীপুর-২ আসনে নৌকার মাঝি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। আসনটিতে আওয়ামী লীগের আরও দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। একজন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলিম উদ্দিন, অপরজন গাজীপুর মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম।

    এর মধ্যে কাজী আলিম উদ্দিনের পক্ষে কাজ করছেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। দুই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের হয়ে জাহাঙ্গীরের প্রচারণার ফলে গাজীপুরে তৈরি হয়েছে ভোটের নতুন সমীকরণ।

    স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ নেওয়ার বিষয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, প্রত্যেকে নির্বাচন করতে পারবেন। কোনো প্রার্থী যেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে না পারেন। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনকে একটা সুন্দর ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন উপহার দিতে চাই। সে লক্ষ্যে আমরা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। এটাকে যেন কেউ ভুলভাবে ব্যাখ্যা না দেন। আমাদের প্রত্যেকের রক্তে আওয়ামী লীগ। আমরা জন্মগতভাবে আওয়ামী লীগ করি।’

    এনামুর রহমান-মুরাদ জং

    ঢাকা-১৯ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার মো. তৌহিদ জং ওরফে মুরাদ ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুই প্রার্থীর কারণে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হয়েছেন প্রতিমন্ত্রী এনামুর। শেষ পর্যন্ত ফলাফল কী হয়, জানা যাবে ৭ জানুয়ারি।

    শাহরিয়ার আলম-রাহেনুল হক

    রাজশাহী-৬ আসনে টানা চতুর্থবারের মতো মনোনয়ন পেয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাহেনুল হক রায়হান। এ আসনে ১৯৯৯ এর উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দলের একটি অংশের নেতাকর্মীরা রাহেনুল হকের পক্ষে মাঠে নেমেছেন। এ নির্বাচনে শাহরিয়ারের সঙ্গে রাহেনুলের শক্ত লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

    মাহবুব আলী-ব্যারিস্টার সুমন

    হবিগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক যুবলীগ নেতা ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

    আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নির্বাচনের মাঠে সক্রিয় আছেন ব্যারিস্টার সুমন। তিনি ঈগল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে এ দুই প্রার্থী ও তাদের কর্মীরা গ্রামে-গ্রামে ঘুরে সাধারণ ভোটারদের নিজেদের পক্ষে টানার চেষ্টা করছেন। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তাদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

    ফরহাদ হোসেন-আব্দুল মান্নান

    মেহেরপুর-১ আসনে আবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। নৌকা প্রতীকের এ প্রার্থীর বিরুদ্ধে ট্রাক প্রতীক নিয়ে লড়তে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন দুবারের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল মান্নান। দলের আরেক সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদিনও রয়েছেন এ দৌড়ে। তবে, ফরহাদ হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নানকে বেশ বেশি সক্রিয় দেখা যাচ্ছে।

    স্থানীয়রা বলছেন, নির্বাচনে ফরহাদের সঙ্গে আব্দুল মান্নানের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

    জুনাইদ আহমেদ পলক-শফিকুল ইসলাম শফিক

    নাটোর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নৌকা এবং সদ্য পদত্যাগকারী সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিকের ঈগল প্রতীকের লড়াই জমজমাট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    দৃশ্যমান উন্নয়ন ও বেকারদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতের জন্য হাইটেক পার্ক করার জন্য নতুন ও তরুণদের ভোট টানবেন পলক। অপরদিকে, ১৫ বছরে সুবিধা ও দলের পদবঞ্চিতদের ভোট টানবেন শফিক— এমনটাই আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

    প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, গত ১৫ বছর নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনের মানুষ যে উন্নয়ন, সেবা ও সুশাসন পেয়েছে; সেই নৌকার প্রতি আস্থা ও সমর্থন আবারও তারা ব্যক্ত করবেন। আগামী ৭ জানুয়ারি নাটোর-৩ আসন থেকে বিপুল পরিমাণ ভোট নৌকা মার্কায় দিয়ে সিংড়াবাসী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবেন।

    শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, সিংড়ার জনগণের ভালোবাসায় একবার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, দুবার উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে প্রায় ১৫ বছর দায়িত্ব পালন করেছি। সিংড়ার জনগণের দাবির মুখে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আশা করছি, এবার বঞ্চিত মানুষের আশার প্রতিফলন ঘটবে। জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখব।

  • নির্বাচনী অ্যাপে ঘরে বসেই মিলবে ভোটার নম্বর ও কেন্দ্র

    নির্বাচনী অ্যাপে ঘরে বসেই মিলবে ভোটার নম্বর ও কেন্দ্র

    ভোটার, প্রার্থী ও নাগরিকদের বিভিন্ন তথ্যের নিশ্চয়তা দিতে ‘স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বিডি’ নামের একটি অ্যাপ চালু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে ভোটার নম্বর, কেন্দ্রের নাম ও লোকেশন, ভোট পড়ার হার, প্রার্থীদের হলফনামাসহ নির্বাচনের বিভিন্ন তুলনামূলক চিত্র ঘরে বসেই যে কেউ জেনে নিতে পারবেন।

    আজ শুক্রবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বিডি নামের যে অ্যাপ সম্প্রতি আমরা উদ্বোধন করেছিলাম, সেখানে কেন্দ্রভিত্তিক দুই ঘণ্টা পরপর ভোট পড়ার হার জানা যাবে। ভোটকেন্দ্রের তথ্য এখনই জানতে পারছেন, যেকোনো ভোটারের ভোটকেন্দ্র কোনটি এবং লোকেশন কোথায় জানা যাচ্ছে।

    এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল পাওয়া গেলেও কেন্দ্রীভূত ফলাফল পাওয়া যাবে না। কেননা, পার্বত্য অঞ্চল বা মনপুরার মতো দুর্গম অঞ্চল থেকে কোনো কারণে ফলাফল পাঠাতে না পারলে ভোটের পারসেন্টেজে গরমিল হয়ে যেতে পারে। তবে সম্ভব হলে আমরা জানাব। ২০ শতাংশ ভোটকেন্দ্র এখনও নেটওয়ার্কের বাইরে। আমরা সেখানে বিজিবি, পুলিশের ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক ব্যবহার করব।’

    ইসির সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফুল হোসেন বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনের ভোটার, নাগরিকরা যেন ম্যাপ দেখে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন, সেই ব্যবস্থা আছে অ্যাপে। এ ছাড়াও প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছে তথ্য নিয়ে দুই ঘণ্টার পরপর আসনভিত্তিক ভোট পড়ার হার জানাব। প্রার্থীর ছবিসহ তথ্যও পাওয়া যাবে।

    অন্যান্য নির্বাচনের তথ্যও দেওয়ার চেষ্টা করছি। অ্যান্ড্রয়েড ও অ্যাপল উভয় প্লে স্টোর থেকেই অ্যাপটি পেয়ে যাবেন।’
    অ্যাপটি ফোনে ইনস্টল করার পর ভোটের ফলাফল, আইন ও বিধি, নিবন্ধিত দলের তালিকা, আসন ভিত্তিক প্রার্থীর তালিকা, ভোট পড়ার হার, দল ভিত্তিক প্রাপ্ত আসন সংখ্যাসহ নানা পরিসংখ্যা বা তুলনামূলক চিত্রও পাওয়া যাবে। এ ছাড়াও মিলবে পূর্বের নির্বাচনের তথ্যও।

    অ্যাপটি ব্যবহার করতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ ও মোবাইল নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে হয়।

    পরবর্তীতে কেন্দ্রের নাম, কেন্দ্রের লোকেশন, ভোটার নম্বর, প্রার্থীদের নাম ও ছবি প্রভৃতি তথ্য জানতে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম তারিখ দিলেই নিমিষেই মেলে চাহিদা মোতাবেক তথ্য।

    অ্যাপটি গত ১২ নভেম্বর উদ্বোধন করেছে নির্বাচন কমিশন। গুগল প্লে স্টোর বলছে এ পর্যন্ত এক লাখের বেশিবার ডাউনলোড করা হয়েছে এটি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এতে ২৮টি দল ও স্বতন্ত্রদের নিয়ে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছে এক হাজার ৯৭০ জন। এতে ৯০ জন নারী প্রার্থী ও ৭৯ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

  • দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন

    আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের নিমিত্তে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে ‘In Aid to the Civil Power’-এর আওতায় সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী ভোটগ্রহণের পূর্বে, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরে শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী ৩ থেকে ১০ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন/স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান করবে।

    মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

    আইএসপিআর জানিয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা/উপজেলা/মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবে। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বাহিনীসমূহ এলাকাভিত্তিক মোতায়েন সম্পন্ন করছে। সেনাবাহিনী ৬২টি জেলায় নিয়োজিত হয়েছে। সমতলে সীমান্তবর্তী ৪৫টি উপজেলায় বিজিবি এককভাবে দায়িত্ব পালন করবে; এ ছাড়াও সীমান্তবর্তী ৪৭টি উপজেলায় সেনাবাহিনী বিজিবির সাথে এবং উপকূলীয় ৪টি উপজেলায় কোস্ট গার্ড-এর সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করবে।

    উপকূলীয় দুটি জেলাসহ (ভোলা ও বরগুনা) সর্বমোট ১৯টি উপজেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। বাংলাদেশ বিমানবাহিনী হেলিকপ্টারযোগে দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের ভোটকেন্দ্রসমূহে প্রয়োজনীয় হেলিকপ্টার সহায়তা প্রদান করবে। জরুরি প্রয়োজনে নির্বাচনী সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

    সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যৌথ সমন্বয় সেল স্থাপন করা হয়েছে, যা ১০ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত কার্যকরী থাকবে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ উপলক্ষে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে সশস্ত্র বাহিনী সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।