Tag: জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট

  • হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের ওষুধ বিক্রিকালে ফার্মাসিস্ট ও ইনচার্জ আটক

    হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের ওষুধ বিক্রিকালে ফার্মাসিস্ট ও ইনচার্জ আটক

    জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সরকারি ফ্রি ওষুধ বাইরে কালোবাজারে অসৎ ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেয়ার সময় দুই কর্মকর্তাসহ তিনজনকে হাতেনাতে ধরেছে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই।

    আজ বুধবার (১০ জুন) দুপুরে তাদের আটক করা হয়। এ সময় জব্দ করা হয়েছে সরকারি দামি সব ইনজেকশন। যার বাজার মূল্য প্রায় দেড় লাখ টাকা।

    এনএসআই সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধভাবে সরকারি ওষুধ বিক্রি করে আসছিল জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কয়েকজন কর্মচারী।

    আজ দুপুরে গোপনে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে অবস্থান নেয় এনএসআইয়ের একটি দল। সরকারি দেড় লাখ টাকার ওষুধ বিক্রির সময় হাতেনাতে আটক করা হয় ইনস্টিটিউটের ফার্মাসিস্ট নির্মল সরকারকে (৪৭)।

    পরে জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগী হিসেবে উঠে আসে স্টোর ইনচার্জ বশির উদ্দিন আহমেদের(৪৮) নামও। পরে তাকেও আটক করা হয়।

    এ সময় ২০০ পিস (ক্লাক্সো৬০ ইনজেকশন) ৩০ বক্স (ক্লন্ট ৭৫) ওষুধ তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য আনুমানিক দেড় লাখ টাকা। কিন্তু সেসব ওষুধ বাইরে মাত্র ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছিল।

    আটকদের শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনএসআইয়ের অভিযান পরিচালনাকারী বিশেষ দল।

    এ ব্যাপারে শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জানে আলম মুন্সি জানান, তাদের থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

    জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক মীর জামাল উদ্দিন জানান, এনএসআই ও পুলিশ আমাদের দুই জন স্টাফকে সরকারি ওষুধ বাইরে বিক্রির অভিযোগে ধরে নিয়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি ও ওষুধ বিক্রির অভিযোগে অফিসিয়াল ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

    জানা গেছে, ফার্মাসিস্ট নির্মল কুমার সকারের বাবার নাম মাখন সরকার। টাঙ্গাইলের মীর্জাপুর ইসাইল এলাকায় তার গ্রামের বাড়ি। আর স্টোর ইনচার্জ বশির উদ্দিন আহমেদের বাবার নাম মৃত কামাল উদ্দিন। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দ্বেবীদার উপজেলার বড়খালঘর এলাকায়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে সম্রাট

    জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে সম্রাট

    কারাগারে অসুস্থবোধ করায় ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে। এর আগে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়েছিল।

    মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তাকে ঢামেকে আনা হয়।

    ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার জাহিদ জানান, সম্রাটকে ঢাকা মেডিক্যালের চিকিৎসকরা হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পরামর্শ অনুযায়ী সম্রাটকে হৃদরোগ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

    ঢামেক সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে সম্রাট কারাগারে অসুস্থবোধ করায় তাকে ঢামেকের জরুরি বিভাগে নিয়ে এসেছিলেন কারারক্ষীরা। পরে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে হৃদরোগ বিভাগে রেফার করেছেন।

    সম্রাটের সঙ্গে থাকা কারারক্ষী মুজাহিদুল জানান, তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে কারারক্ষী ও পুলিশি পাহারায় তাকে ঢামেকে আনা হয়েছিল।

    এর আগে শনিবার (৫ অক্টোবর) গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে অভিযান চালায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

    ওই গ্রামের মনির চৌধুরীর বাড়ি থেকে সম্রাট ও আরমানকে আটক করা হয়। পরে তাদের সঙ্গে নিয়ে রোববার (০৬ অক্টোবর) দিনভর রাজধানীতে সম্রাট ও আরমানের বাড়িতে অভিযান চালায় র‌্যাব।

    এছাড়া মদ্যপ অবস্থায় পেয়ে আটকের সময়ই আরমানকে ছয়মাসের কারাদণ্ড দেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর কাকরাইলের কার্যালয়ে বন্যপ্রাণীর চামড়া সংরক্ষণের দায়ে সম্রাটকেও একই মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।

    এরপর সম্রাটকে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। আর আরমানের জায়গা হয় কুমিল্লা কারাগারে।