Tag: জাপান

  • এবার চাঁদের মাটি স্পর্শ করল জাপান

    এবার চাঁদের মাটি স্পর্শ করল জাপান

    বিশ্বের পঞ্চম দেশ হিসেবে চন্দ্র অভিযানে সফল হলো জাপান। শুক্রবার মধ্যরাতে দেশটির চন্দ্রযান স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন (স্লিম) চাঁদের শিওলি কার্টার নামের একটি এলাকায় অবতরণ করেছে।

    এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জাক্সা)। এতে বলা হয়েছে, শুক্রবার জাপানের স্থানীয় সময় রাত ১২টা ২০ মিনিটে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করেছে স্লিম। তবে নভোযানটির সোলার প্যানেলগুলো কাজ করছে না। এ কারণে ব্যাটারি থেকে ‘ব্যাকআপ’ শক্তি নিয়ে এগোতে হচ্ছে স্লিমকে।

    চাঁদের এই অঞ্চলটি বর্তমানে সূর্যালোক পাচ্ছে, শিওলি কার্টারের অবস্থান সেখানে। চলতি মাসের শেষের দিকে অবশ্য এই অঞ্চলটি আড়ালে চলে যবে।

    শুক্রবার মধ্যরাতে এক সংবাদ সম্মেলনে জাক্সার গবেষণা বিভাগের প্রধান হিতোশি কুনিনাকা বলেন, ‘এক মাস আগে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে স্লিম। সে সময় সূর্যের অবস্থান যেখানে ছিল— এখন আর সেখানে নেই। ফলে গত বেশ কয়েক দিন ধরেই সৌরশক্তি গ্রহণ করতে পারছে না স্লিমের সোলার প্যানেলগুলো।’

    বর্তমানে স্লিমের ব্যাটারিতে যে পরিমাণ শক্তি সঞ্চিত রয়েছে, তাতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা নভোযানটি সচল থাকবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন কুনিনাকা।

    ‘শিওলি কার্টার ও তার আশপাশের এলাকায় যখন পূর্ণমাত্রায় সূর্যালোক পড়া শুরু হবে, তখন স্লিমও ফের সচল হবে।’

    চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের কিছুক্ষণ পর স্লিম থেকে সিগন্যাল আসাও বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ডিপ স্পেস নেটওয়ার্ক। তবে শক্তির অভাবে সিগন্যাল পাঠানো বন্ধ হয়ে গেছে, না কি শক্তি সঞ্চয়ের জন্য নভোযানটি সিগন্যাল পাঠানো বন্ধ রেখেছে— তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    তবে চাঁদে অবতরণ পুরোপুরি সফল হয়েছে নভোযানটির। হিতোমি কুনিনাকা জানান, শিওলি কার্টারে এলাকায় ১০০ মিটারের (৩২৮ ফুট) মধ্যে স্লিমকে নামানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, এবং সেই অনুযায়ীই অবতরণ করেছে স্লিম।

    সংবাদ সম্মেলনে কুনিনাকা বলেন,‘যানটি নামার আগে দেখে নেওয়া হয়েছিল কোথাও কোনও বাধা রয়েছে কিনা। ৫০ মিটার দূর থেকে সেটি পরীক্ষা করে দেখা হয়। সেই মতো সবুজ সংকেত পাওয়ার পরেই পালকের মতো চাঁদের বুকে নামে স্লিম।’

    গত বছর ৭ সেপ্টেম্বর স্লিম এর সফল উৎক্ষেপণ করেছিল জাপান। দেশটির ফ্ল্যাগশিপ রকেট এইচ ৩ বহন করে নিয়ে গিয়েছিল স্লিমকে। তারপর গত ২৫ ডিসেম্বর চাঁদের কক্ষপথে যানটি প্রবেশের কথা জানিয়েছিল জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

    প্রসঙ্গত এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন, চীন এবং ভারত— চারটি দেশে চাঁদে সফলভাবে নভোযান পাঠাতে পেরেছিল। এই তালিকায় পঞ্চম দেশ হিসেবে ঢুকল জাপান।

    এই যাত্রা অবশ্য সহজ ছিল না। গত কয়েক বছর ধরে চাঁদে নভোযান পাঠানোর চেষ্টা চালিয়ে আসছিল জাপান, কিন্তু প্রতিবারই কোনো না কোন কারণে ব্যর্থ হয়েছে সেসব চেষ্টা। সর্বশেষ গত বছর মার্চেও একবার চন্দ্রযান স্লিমকে উৎক্ষেপণের চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে তা ব্যর্থ হয়।

    চাঁদের মেরু অঞ্চলের পাহাড়ি এলাকাগুলোতে অক্সিজেন, পানি ও ধাতব পদার্থের অনুসন্ধানই এই জাপানের চন্দ্রাভিযানের প্রধান উদ্দেশ্য। শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে হিতোশি কুনিনাকা জানিয়েছেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে জাক্সা। সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন অনেকাংশে নির্ভর করছে এই অভিযানের সাফল্যের ওপর।

  • জাপানে রানওয়েতে দুই বিমানের সংঘর্ষ, নিহত ৫

    জাপানে রানওয়েতে দুই বিমানের সংঘর্ষ, নিহত ৫

    জাপানের রাজধানী টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরের রানওয়েতে যাত্রীবাহী বিমানের সাথে সংঘর্ষে দেশটির উপকূলরক্ষী বাহিনীর এক বিমানের অন্তত পাঁচ আরোহী নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে জাপান এয়ারলাইন্সের বিমানের সাথে উপকূলরক্ষী বাহিনীর বিমানের সংঘর্ষে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটেছে।

    টোকিও পুলিশের বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে দুই বিমানের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রাণহানির এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে, সন্ধ্যার দিকে হানেদা বিমানবন্দরের রানওয়েতে অবতরণ করার সময় ৩০০ জনের বেশি যাত্রীকে বহনকারী জাপান এয়ারলাইন্সের বিমানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

    জাপান এয়ারলাইন্সের বিমানটি অবতরণের সময় রানওয়েতে থাকা উপকূলরক্ষী বাহিনীর বিমানের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে জাপান এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী বিমানে আগুন ধরে যায়।

    জাপানে রানওয়েতে সংঘর্ষের পর বিমানে আগুন
    দেশটির উপকূলরক্ষী বাহিনী বলেছে, তাদের বোম্বার্ডিয়ার ড্যাশ-৮ বিমানে মোট ছয় কর্মকর্তা ছিলেন। তারা ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত নোটো উপদ্বীপে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিগাতা বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন। তাদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া অপরজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

    এনএইচকের প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রানওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা বিমানের সাথে সংঘর্ষের পরপরই জাপান এয়ারলাইন্সের বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এ সময় বিমানের জানালা দিয়ে আগুনের লেলিহান শিখা ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। এই ঘটনায় বিমানের পাশাপাশি হানেদা বিমানবন্দরের রানওয়েতেও আগুন ধরে যায়।

    এনএইচকে বলেছে, আগুন ধরে যাওয়া জাপান এয়ারলাইন্সের জেএএল-৫১৬ ফ্লাইটটি হোক্কাইডো বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেছিল। পরে সেটি হানেদা বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, হানেদা বিমানবন্দরের রানওয়েতে অবতরণ করা জাপান এয়ারলাইন্সের বিমানে আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর প্রায় দুই ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। বিমানবন্দরের অগ্নিনিরাপত্তা কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক তৎপরতা চালালেও এখনও বিমানটি জ্বলছে।

    জাপান এয়ারলাইন্সের একজন মুখপাত্র ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, হোক্কাইডোর শিন চিটোসে বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় ৩০০ জনের বেশি যাত্রীকে নিয়ে যাত্রা করেছিল জেএএল-৫১৬। হানেদা বিমানবন্দরে বিমানটির অবতরণের সময় নির্ধারিত ছিল ৫টা ৪০ মিনিট।

    এদিকে, জাপান এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, হানেদা বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের শিকার জাপান এয়ারলাইন্সের ওই বিমানে ৩৭৯ জন যাত্রী ও ক্রু ছিলেন। তাদের সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে।

  • প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাপানের উপমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

    প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাপানের উপমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জাপানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপমন্ত্রী কোমুরা মাসাহিরো।

    রোববার (৮ অক্টোবর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে দুজনের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

    এর আগে, শনিবার (৭ অক্টোবর) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বৈঠক করেন জাপানের উপমন্ত্রী। বৈঠকে তাদের মধ্যে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহরিয়ার আলম।

    শাহরিয়ার আলম বলেন, নির্বাচন প্রসঙ্গে আমরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আমাদের ইচ্ছাটা পুনর্ব্যক্ত করেছি। কিন্তু বাংলাদেশ জাপানের মধ্যে যে সম্পর্ক, দু–একটি রাষ্ট্র থেকে বিভিন্ন সময়ে যে ধরনের উদ্বেগ ও অন্যান্য বিষয়ে শুনেছেন, এ ধরনের কিছু তাদের নেই। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছি। যেটা প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছেন। আর সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকার বদ্ধপরিকর।

    জাপানের পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় উপমন্ত্রী কোমুরা মাসাহিরো বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় জাপান সন্তোষ প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে জাপান স্বেচ্ছায়, মর্যাদার ভিত্তিতে ও নিরাপদে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন আশা করে। মিয়ানমার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে, সেটাই প্রত্যাশা।

  • বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ পৌঁছেছে : প্রধানমন্ত্রী

    বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ পৌঁছেছে : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ-জাপান বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ‘ব্যাপক অংশীদারিত্ব’ থেকে সফলভাবে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ পৌঁছেছে।

    তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কিসিদা এবং আমি আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আদ্যপান্ত আলোচনা করেছি। আমরা খুব খুশী যে, আমরা বাংলাদেশ-জাপান বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পকর্কে ‘ব্যাপক অংশীদারিত্ব’ থেকে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে পৌঁছাতে পেরেছি।’

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিসিদার কার্যালয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর বিনিময় প্রত্যক্ষ করার পর যৌথ বিবৃতি প্রদানের পর এই মন্তব্য করেন।

    তিনি আরো বলেন, ‘আজ, প্রধানমন্ত্রী কিসিদা এবং আমি ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বের’ ওপর যৌথ বিবৃতি প্রদান করেছি। আমি বিশ্বাস করি যে, আমাদের দ’ুদেশের জনগণ ও সরকারের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার বোঝাপড়া, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা সামনের দিনগুলোতে আরো জোরদার হবে।’

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দুই পক্ষ কৃষি, শুল্ক সংক্রান্ত, প্রতিরক্ষা, তথ্য-প্রযুক্তি, সাইবার নিরাপত্তা, শিল্পোন্নোয়ন, মেধা সম্পদ, জাহাজ রিসাইক্লিং, এবং মেট্রোরেল বিষয়ে যেসব চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে,ভবিষ্যত সহযোগিতার ক্ষেত্রে তা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করবে।’

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে উভয় পক্ষ রোহিঙ্গা ইস্যুর পাশাপাশি মহেশখালি-মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন উদ্যোগ (এমআইডিআই) এবং বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট (বিগ-বি) অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, তাঁরা অতিরিক্ত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির কারণে স্থানীয় জনগণের জীবন ও জীবিকার মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।

    তিনি বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান খুঁজে বের করতে তাদের যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনার জন্য জাপানকে অনুরোধ জানিয়েছি।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরেই ঢাকা-নারিতা সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে।

    তিনি বলেন, ‘চলতি বছরের মধ্যে ঢাকা-নারিতা সরাসরি বিমান চলাচলের ঘোষণা করতে পেরে আমরা খুশী।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁরা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে এমআইডিআই ও বিগ-বি উদ্যোগ গ্রহণ এবং বঙ্গোপসাগর ও পাশ্ববর্তী অঞ্চলগুলোর যোগাযোগ স্থাপনের বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার হওয়ায় আমরা জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা জাপানের সঙ্গে আগামী দিনগুলোতে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি সম্পন্ন করার অপেক্ষায় আছি।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার হৃদয় ঘনিষ্ঠ জাপানের মতো একটি সুন্দর দেশে অবস্থান আমার জন্য সব সময় আনন্দের বিষয়।’

    তিনি বলেন, ‘আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর সম্পন্ন হওয়ায় পর টোকিওতে সরকারি সফর শুরু করতে পেরে আমি বিশেষভাবে আনন্দিত।’

    শেখ হাসিনা বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিসিদা এবং জাপান সরকারের আতিথেয়তায় আমি এবং আমার প্রতিনিধিদলের সদস্যরা গভীরভাবে মুগ্ধ।

    তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে বিশেষ স্থান দখল করে আছে। যে কয়েকটি দেশ ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে দ্রুত স্বীকৃতি দিয়েছিল জাপান তাদের মধ্যে একটি।

    তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক জাপান সফরের মাধ্যমে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছেন।

    মহামারি কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার আগে ২০১৯ সালে সর্বশেষ সফরের পরে তিন বছর পর শেখ হাসিনা জাপান সফর করছেন।

    এরআগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৫ দিনের সরকারি সফরে ২৫ এপ্রিল সকালে ঢাকা ত্যাগ করেন এবং একই দিন স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে টোকিও’র হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাপান বিমানবন্দরে লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানায় এবং গার্ড অব অনার প্রদান করে।

     

  • সহযোগিতা জোরদারে ঢাকা ও টোকিও’র মধ্যে ৮টি চুক্তি স্বাক্ষরিত

    সহযোগিতা জোরদারে ঢাকা ও টোকিও’র মধ্যে ৮টি চুক্তি স্বাক্ষরিত

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপানে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের দ্বিতীয় দিনে ঢাকা ও টোকিও আজ আটটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

    কৃষি, মেট্রোরেল, শিল্প উন্নয়ন, জাহাজ রিসাইক্লিং, শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়, মেধাসম্পদ, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আইসিটি এবং সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতা বিষয়ে দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

    পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে চুক্তিগুলো বিনিময় করা হয়।

    প্রথম চুক্তিটি হলো- বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয় এবং জাপানের কৃষি, বন ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কৃষি গবেষণা ও উন্নয়ন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কৃষি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সহযোগিতা স্মারক (এমওসি)।

    দ্বিতীয় চুক্তিটি হলো- শুল্ক আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে শুল্ক বিষয়ক সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা সংক্রান্ত জাপান সরকার এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি। এর লক্ষ্য শুল্ক অপরাধ প্রতিরোধ, তদন্ত এবং শুল্ক পদ্ধতির সরলীকরণ ও সমন্বয়ের জন্য সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা গ্রহণ করা।

    তৃতীয় চুক্তিটি হলো- বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ‘বাংলাদেশ-জাপান ইন্ডাস্ট্রিয়াল আপগ্রেডিং পার্টনারশিপ কোঅপারেশনের ওপর একটি ফ্রেমওয়ার্ক প্রতিষ্ঠার জন্য যৌথভাবে বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদারের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিল্পের মানোন্নয়নের সম্ভাবনা অন্বেষণ করার জন্য একটি এমওসি।

    ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) অবস্থান থেকে উত্তরণ লাভের জন্য এবং “ভিশন ২০৪১” এর সাথে সঙ্গতি রেখে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ হওয়ার চলমান প্রচেষ্টার জন্য বাণিজ্য কর্মক্ষমতা এবং পণ্য বৈচিত্র্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারী ও বেসরকারী উভয় পর্যায়ে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার।

    চতুর্থ চুক্তিটি হলো- প্রতিরক্ষা সংলাপ, সফর বিনিময়, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, কোর্স, সেমিনার, কর্মশালা, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং এর সাথে প্রাসঙ্গিক অন্য কোনো সম্মত কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এবং জাপান সরকারের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত স্মারক।

    পঞ্চম চুক্তিটি হলো- মেট্রো রেলের ক্ষেত্রে সহযোগিতা, মেট্রো রেল নীতি, আইন ও প্রবিধান বিষয়ে সহযোগিতা, অবকাঠামো, রোলিং স্টক ও সিস্টেমের জন্য প্রযুক্তি; নিরাপত্তা নীতি ও ব্যবস্থাপনা এবং দুর্যোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে জাপানের ভূমি, অবকাঠামো, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সহযোগিতা স্মারক।

    ষষ্ঠ চুক্তিটি হলো- জাপানের ভূমি, অবকাঠামো, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের মধ্যে জাহাজ রিসাইক্লিংয়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতা স্মারক। বাংলাদেশী পক্ষ ২০২৩ সালের মধ্যে জাহাজের নিরাপদ ও পরিবেশসম্মতভাবে রিসাইক্লিং করার জন্য হংকং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন (এইচকেসি) মেনে

    চলার জন্য প্রয়োজনীয় সক্ষমতা অর্জনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে।
    জাপানি পক্ষ জাহাজ রিসাইক্লিং করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা প্রদানের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে। এগুলোর মধ্যে একটি ট্রিটমেন্ট, স্টোরেজ এবং ডিসপোজাল সুবিধা প্রতিষ্ঠা করা এবং এইচকেসি এর বিধানগুলোর শর্ত পূরণে বাংলাদেশকে সহায়তা করা।

    তথ্য বিনিময় ও চর্চা, আইপিআরের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, শিল্পের বিকাশ ও উদ্ভাবনের জন্য আইপিআর সিস্টেমের উন্নতির মাধ্যমে মেধাসম্পদ অধিকার (আইপিআর) সিস্টেম ও চর্চার বিষয়ে জাপান পেটেন্ট অফিস এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পেটেন্ট, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্ক বিভাগের মধ্যে সপ্তম সহযোগিতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

    অষ্টম চুক্তিটি হলো- বাংলাদেশের আইসিটি বিভাগ, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সাইবার নিরাপত্তাসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এমওসি।

    কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডেও চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকের-উজ-জামান, সড়ক পরিবহন ও জনপথ বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

    চুক্তি স্বাক্ষরের আগে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও জাপানের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

    নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বর্ধিত বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা এবং রোহিঙ্গা ইস্যুসহ সংশ্লিষ্ট পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আলোচনায় প্রাধান্য পায়।

  • জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রী

    জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান সফরের দ্বিতীয় দিনে আজ এখানে জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

    প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম সাখাওয়াত হোসেন  জানিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এখানে ইম্পেরিয়াল প্যালেসে স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় সম্রাটের সাথে সাক্ষাত করেন।’

    এদিকে, জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি, বাংলাদেশ-জাপান বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান, জাইকার প্রেসিডেন্ট, জেট্রোর চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদীয় লীগের সভাপতি এখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আকাসাকা প্যালেসে তার সঙ্গে পৃথক অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎ করেন।

    এর আগে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী গতকাল (২৫ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে টোকিও’র হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।প্রধানমন্ত্রী ২৫ এপ্রিল সকালে জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৫ দিনের সরকারি সফরে ঢাকা ত্যাগ করেন।

    জাপানের বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয় এবং তাঁকে স্ট্যাটিক গার্ড অব অনারও প্রদান করা হয়।

  • জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে ‘স্মোক বোমা’ হামলা

    জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে ‘স্মোক বোমা’ হামলা

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা হয়েছে। তবে হামলার সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা কর্মীদের তৎপরতার ফলে অক্ষত আছেন কিশিদা।

    স্থানীয় সময় শনিবার জাপানের ওয়াকাইয়ামা শহরে ঘটেছে এই হামলা। ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

    শনিবার ওয়াকাইয়ামা শহরের সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। নির্দিষ্ট সময়ে তিনি মঞ্চে ওঠার পরপরই তাকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় সেই বোমাটি।

    আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, বোমাটি প্রাণঘাতী ছিল না । জাপানের বার্তাসংস্থা কিওডো নিউজ এজেন্সিসহ দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে ছোড়া সেই বস্তুটি ‘স্মোম বোম্ব’ জাতীয় বোমা ছিল বলে ধারণা করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ ধরনের বোমায় ব্যাপক পরিমাণে ধোঁয়া সৃষ্টি হলেও বিস্ফোরণজনিত ক্ষয়ক্ষতি হয় না।

    শনিবারের বিস্ফোরণের ঘটনায় হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা বোমাটি বিস্ফোরণের পরপরই এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনতে যারা জড়ো হয়েছিলেন, বিস্ফোরণের পর তারাও ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েন।

    গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ।

  • ২৫ এপ্রিল জাপান সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    ২৫ এপ্রিল জাপান সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    আগামী ২৫ এপ্রিল চারদিনের সফরে জাপান যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারপ্রধানের জাপান সফরে দেশটির সঙ্গে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    এতে জানানো হয়, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা আমন্ত্রণে ২৫ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত জাপান সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরে সরকারপ্রধানকে জাপানের সম্রাট অভ্যর্থনা জানাবেন। দেশটি সফরকালে শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে একটি শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হবেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যার সম্মানে একটি কাজের নৈশভোজের আয়োজন করবেন।

    জাপান সফরে প্রধানমন্ত্রী বিনিয়োগবিষয়ক এক শীর্ষ সম্মেলন, কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং বাংলাদেশ সম্প্রদায়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কয়েকজন জাপানি নাগরিকের হাতে ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার সম্মাননা তুলে দেবেন।

    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, সরকারপ্রধানের জাপান সফরে দেশটির সঙ্গে বেশ কয়েকটি সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

    গত বছরের নভেম্বরের শেষের দিকে সরকারপ্রধানের জাপান সফর করার কথা ছিল। কিন্তু শেষ সময়ে সফরটি স্থগিত করা হয়।

    উল্লেখ্য, সরকারপ্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে প্রথম জাপান সফর করেন। এরপর তিনি ২০১০, ২০১৪, ২০১৬ এবং সবশেষ ২০১৯ সালে টোকিও সফর করেন। আর এবারের সফর প্রধানমন্ত্রীর দেশটিতে ষষ্ঠ সফর হতে যাচ্ছে।

  • জাপানে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প

    জাপানে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প

    জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় হোক্কাইডো দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শনিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ২৭ মিনিটের দিকে হোক্কাইডো দ্বীপের পূর্ব অংশ রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে। তবে এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত কোনও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।

    জাপানের জাতীয় ভূবিজ্ঞান গবেষণা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা এনআইইডি বলেছে, ভূমিকম্পটি নেমুরো উপদ্বীপের ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬১ কিলোমিটার গভীরে উৎপত্তি হয়েছে। ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

    হোক্কাইডোর দু’টি পৌরসভায় ভূমিকম্পটির মাত্রা জাপানের ৭ পয়েন্টের রিখটার স্কেলে ৫ এর নিচে ছিল বলে জানিয়েছে এনআইইডি।

    জাপানের আবহাওয়া সংস্থার মতে, সাধারণত এমন মাত্রার ভূমিকম্পে তাক থেকে আসবাবপত্র ও সরঞ্জাম পড়ে যায়। অনেক আসবাবপত্র নির্ধারিত স্থান থেকে সরে যেতে পারে।

    এদিকে, একই দিনে তুরস্কেও আঘাত হেনেছে ভূমিকম্প। গত ৬ ফেব্রুয়ারির প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের ক্ষত কাটিয়ে না উঠতেই শনিবার স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় আনাতোলিয়া প্রদেশের নিগদে শহর ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে।

    ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় ভূমিকম্প কেন্দ্র (ইএমএসসি) বলেছে, তুরস্কের মধ্যাঞ্চলে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এই ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতি কিংবা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।

    অন্যদিকে, শনিবার স্থানীয় সময় বিকেলের দিকে মিয়ানমারের আয়াবতী ও রাখাইন রাজ্যেও জোড়া ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশের কক্সবাজারেও।

    বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. আবুল কালাম মল্লিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাখাইন রাজ্যের ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার আগারগাঁও থেকে ৩৭৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩৯ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডে উৎপত্তি হওয়া এ ভূমিকম্পের রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১।

    এর আগে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ে মাঝারি মাত্রার এক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। ওই ভূমিকম্প বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট জেলায়ও অনুভূত হয়।

    মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছিল, ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে বাংলাদেশের সিলেটের ছাতকে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ছাতকের ১১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ৪ দশমিক ৩ মাত্রার এই ভূমিকম্প হয়েছে।

  • প্রধানমন্ত্রী জাপান সফরে যেতে পারেন এপ্রিলে

    প্রধানমন্ত্রী জাপান সফরে যেতে পারেন এপ্রিলে

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্থগিত জাপান সফর আগামী এপ্রিলে হতে পারে।

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক এম. নজরুল ইসলাম শেখ হাসিনার সঙ্গে জাপানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, ‘রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি আজ প্রধানিমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তাঁকে মার্চ অথবা এপ্রিলে জাপান সফরের প্রস্তাব দেন।’

    উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের কথা ছিল।

  • টাইব্রেকারে জাপানকে কাঁদিয়ে কোয়ার্টারে ক্রোয়েশিয়া

    টাইব্রেকারে জাপানকে কাঁদিয়ে কোয়ার্টারে ক্রোয়েশিয়া

    কাতার বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডের পঞ্চম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল জাপান ও ক্রোয়েশিয়া। দুই দলের লড়াইয়ে ১২০ মিনিট খেলা শেষে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে এশিয়ার জায়ান্টদের ৩-১ ব্যবধানে হারায় ক্রোয়েশিয়া। এই পর্বে ক্রোয়াটদের জয়ের নায়ক ছিলেন ডমিনিক লিভাকোভিচ।

    জাপানের নেয়া চারটি শতের তিনটিই ঠেকিয়ে দেন তিনি। কাতার বিশ্বকাপের এই প্রথম পেনাল্টি শ্যুটআউটে জাপানকে কাঁদিয়ে শেষ আটে উঠলো ক্রোয়েশিয়া।
    সোমবার আল ওয়াকরার আল জানোব স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই বড় সুযোগ পেয়েছিল জাপান। ওয়াতারু এনদোর ক্রসে ছয় গজ বক্সের মুখে ডিফেন্ডার শোগো তানিগুচির হেড অল্পের জন্য জালে জড়ায়নি।

    ত্রয়োদশ মিনিটে ডি বক্সে জুনিয়া ইতোর বাড়ানো বলে ছুটে গিয়ে পা ছোঁয়াতে পারেননি ফরোয়ার্ড দাইজেন মায়েদা। ৪০ তম মিনিটে দাইচি কামাদার শট গোলপোস্টের ওপর দিয়ে যায়। ৪৩ তম মিনিটেই কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় জাপান। ডান দিক থেকে বক্সে প্রতিপক্ষের ক্রস ক্লিয়ার করতে পারেনি ক্রোয়েট ডিফেন্ডাররা।

    গোলপোস্টের কাছ থেকে নিখুঁত শটে জাপানকে এগিয়ে দেন মায়েদা।

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেই ম্যাচে ফিরে সমতা। ৫৫ মিনিটে দেইয়ান লভরেনের ক্রসে ডি-বক্সে চমৎকার হেডে গোলটি করেন পেরিসিচ। এই নিয়ে বিশ্বকাপে ৬টি গোল হয়ে গেল ৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের। নির্ধারিত সময়েও ম্যাচের ফলাফল না হওয়ায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

    সেই অতিরিক্ত সময়েও কোনো দল গোল করতে পারেনি। ম্যাচ অবধারিতভাবে গড়ায় পেনাল্টি শ্যুট আউটে। সেই পর্বে জাপানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শেষ আট নিশ্চিত করে ফেলে ক্রোয়েশিয়া।

  • স্পেনকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন জাপান

    স্পেনকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন জাপান

    এবারের কাতার বিশ্বকাপে চমক দেখাল এশিয়ার ফুটবল পরাশক্তি জাপান। সূর্যোদয়ের দেশটি নিজেদের প্রথম ম্যাচে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দিয়েছিল। এবার তারা একই ব্যবধানে হারালো ২০১০ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে। যার সুবাদে ‘ই’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়েই নকআউট পর্বে গেল এশিয়ান জায়ান্টরা। শেষ ষোলোয় উঠে বিশ্ব আসরের মঞ্চে জাপানিদের নতুন করে আলোর উদয় হল।

    বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দোহার খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে শুরুতেই পিছিয়ে পড়েছিল জাপান। আধিপত্য দেখিয়ে খেলতে থাকা স্পেন ম্যাচের ১১তম মিনিটেই এগিয়ে যায়। দলটির ফরোয়ার্ড আলবার্তো মোরাতার গোলে এগিয়ে যায় স্প্যানিশরা। আজপিলইকুয়েতার ক্রস থেকে দারুণ হেড করে দলকে এগিয়ে দেন অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের এই তারকা।

    এর পরেও আক্রমণ চালিয়ে যায় স্প্যানিশরা। ফলে প্রথমার্ধে জাপান বলার মত তেমন কোনোই আক্রমণ করতে পারেনি। ফলে পজিশন অনেকটা ব্যাকফুটে ছিল জাপান। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই নিজেদের সর্বশক্তি উজাড় করে দেন জাপানের ফুটবলাররা। এতেই বাজিমাত করে এশিয়ার দলটি। মাত্র ১৮ শতাংশ বল নিজেদের পায় নিয়েই বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের পরাজয়ের স্বাদ পাইয়ে দেন জাপানিরা।

    এদিক বিরতি থেকে ফিরেই ৪৮ মিনিটে গোল করে জাপানকে সমতায় ফেরান প্রথমার্ধের একাদশ থেকে বদলি হিসেবে নামা দোয়ান। এই গোলের রেশ কাটতে না কাটতে আবার গোল করে লিড নিয়ে নেয় জাপান। যদিও গোলটি নিয়ে কিছুটা বিতর্ক থাকতেই পারে মানুষের মনে।

    ৫১তম মিনিটে স্পেনের রক্ষণে বাম পাশ থেকে আক্রমণ করে জাপান। এতে মিতোমার ক্রস থেকে বল পেয়ে যান তানাকা। ফলে সহজেই গোল করে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান তানাকা। তবে অফসাইডের শঙ্কা থাকলেও রেফারি ভিএআর প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে জাপানের গোলকে বৈধ বলে ঘোষণা করেন। ফলে জাপানও পায় ২-১ গোলের লিড।

    ৭১ মিনিটে আবারও গোলের সুযোগ পায় জাপান। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন আসানো। শুরুর মতো শেষ দিকেও স্পেন গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে। তবে আক্রমণ চালালেও গোলমুখে তেমন চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি। ফলে ২-১ ব্যবধানে জিতে যায় জাপান। সাবেক দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই নক আউট রাউন্ডে পা রাখলো জাপান।