Tag: জামাই

  • শশুর বাড়িতে প্রবাসী জামাইকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা

    শশুর বাড়িতে প্রবাসী জামাইকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা

    পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের পটিয়ার কুসুমপুরা ইউনিয়নের হরিনখাইনে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে সাইফুল ইসলাম সুমন (৩৫) নামের এক প্রবাসী ছুরিকাঘাতে নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

    গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটলেও আজ শনিবার ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই প্রবাসীর মৃত্যু হয়।

    নিহতের বড়ভাই ফারুক জানান, তার ভাই ছয় মাস আগে দুবাই থেকে দেশে আসেন। পারিবারিক সমস্যার জেরে তার ভাইয়ের স্ত্রী গত দুই মাস ধরে তার বাবার বাড়িতে ছিলেন। শুক্রবার রাতে তার ছোট ভাই সুমন শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গেলে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিলে তাকে ছুরিকাঘাত করে খুন করেছেন।

    পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন বলেন, গতকাল শুক্রবার রাতে সুমন তার শ্বশুরবাড়িতে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন। পরে আহত অবস্থায় চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হলে বিষয়টি আমরা জানতে পারি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে সুমনকে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু তার শ্বশুরবাড়ির পক্ষের লোকজনের দাবি স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার জেরে আত্মহত্যা করেছেন সুমন।

    জানা যায়, পটিয়ার কুসুমপুরা ইউনিয়নের বিনিনীহারা এলাকার আবুল কাসেমের ছেলে প্রবাসী সুমন হরিনখাইন হতে বিয়ে করেন চার বছর আগে। বিয়ের পর সুমন প্রবাসে চলে গেলে সুমনের পরিবারের সঙ্গে তার স্ত্রীর বনিবনা না হওয়ায় নিজের বাবার বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। ছয় মাস আগে সুমন দেশে ফিরলেও তার স্ত্রী বাবার বাড়িতেই থেকে আসছিলেন, সুমনও মাঝে মাঝে শ্বশুরবাড়িতে আসা-যাওয়া করছিলেন। শুক্রবার রাতে আবারও শ্বশুরবাড়ি গেলে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন সুমন। পরে শনিবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

    এদিকে ঘটনার তদন্তে পটিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন । নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে আজ শনিবার সাড়ে ছয়টার দিকে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো থানায় কোন অভিযোগ করা হয় নি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

    শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

    মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে স্থানীয় এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে।

    অভিযুক্ত ধর্ষক জামাইয়ের নাম হাবিবুর রহমান হাবিব (২৫)। সে ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার নান্দেশ্বরী এলাকার সোহরাব হোসেনের ছেলে। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক হাবিব পলাতক রয়েছে।

    এদিকে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক হাবিবুর রহমান হাবিবকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাতে ভুক্তভোগী মেয়েটির মা বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। শনিবার সন্ধ্যায় সাটুরিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাড়ি সাটুরিয়া উপজেলার সাফুল্লী চকপাড়া এলাকায় এবং সে স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী।

    ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর মা অভিযোগ করেন, তার স্বামী সাটুরিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সাটুরিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মার্কেটে ব্যবসা করেন এবং মেয়ে সাটুরিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। সেই সুবাদে তারা মেয়েকে (ওই স্কুলছাত্রী) নিয়ে সাটুরিয়া বাজারের এরশাদ চৌধুরীর (ধর্ষকের শ্বশুরবাড়ি) তিনতলা বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া থাকেন। শনিবার সন্ধ্যায় ধর্ষক হাবিবুর রহমান তার শ্বশুর এরশাদ চৌধুরীর বাড়িতে বেড়াতে আসে এবং ওই ভাড়া বাসায় তার মেয়েকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে।

    এরপর তার মেয়ের চিৎকারে ধর্ষকের শাশুড়ি শাহনাজ চৌধুরী এগিয়ে আসলে ধর্ষক হাবিব পালিয়ে যায়। পরে তিনি শনিবার রাতেই বাদী হয়ে সাটুরিয়া থানায় ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।

    সাটুরিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই উজ্জল হোসেন জানান, এই ঘটনায় মামলা হলে শনিবার রাতেই ধর্ষককে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু অভিযুক্ত ধর্ষক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি।

    সাটুরিয়া থানার ওসি মো: মতিয়ার রহমান মিঞা বলেন, ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়েছে। পরে রোববার ওই স্কুলছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল এবং জবানবন্দীর জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।