Tag: জামাপুরের ডিসি

  • জামালপুরের সেই ডিসির বেতন কমে অর্ধেক

    জামালপুরের সেই ডিসির বেতন কমে অর্ধেক

    আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশের ঘটনায় জামালপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি), বর্তমানে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি), আহমেদ কবীরকে বিভাগীয় শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি আর কখনও পদোন্নতি পাবেন না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

    জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুণ আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান, জামালপুরের ঘটনায় আহমেদ কবীরকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তাঁকে নিম্ন পদে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর কখনও পদোন্নতি হবে না। তিনি উপসচিব হিসেবে তাঁর চাকরি জীবন শেষ করবেন।

    ২০১৯ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে জামালপুরের তৎকালীন ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে তাঁর অফিসের এক নারী সহকর্মীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। এ ঘটনায় গোটা সিভিল প্রশাসনসহ দেশব্যাপী সমালোচনার জন্ম দেন ওই ডিসি।

    ওই সময় আহমেদ কবীরকে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে তাতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন।

  • এবার দিনাজপুরের ডিসির বিরুদ্ধে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ (ভিডিও)

    এবার দিনাজপুরের ডিসির বিরুদ্ধে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ (ভিডিও)

    জামালপুরের জেলা প্রশাসকের (ডিসি) পর এবার নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলমের বিরুদ্ধে।

    ভিডিওবার্তায় এক নারী দাবি করেছেন, পরিচয় হওয়ার পর ডিসি মাহমুদুল আলম নানা প্রলোভনে তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সেই ফাঁদে পা দিয়ে সংসার ভেঙেছে তার। ঘটনা প্রকাশ করলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয় বলে অভিযোগ ওই নারীর। ভিডিওটি এরইমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

    ভাইরাল ভিডিওতে ওই নারী দাবি করেন, জামালপুরের ডিসির নারী কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার পর তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক। ঘটনা প্রকাশ করলে হত্যার হুমকিও দেয়া হয় তাকে। এই তথ্যপ্রযুক্তি আর ডিজিটাল যুগে ডিসি এবং তার ফোন যাচাই করলে সব বেরিয়ে পড়বে বলেও ভিডিও বার্তায় দাবি করেন ওই নারী। এক পর্যায়ে তাকে বাঁচাতে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপির দৃষ্টি কামনা করে কেঁদেও ফেলেন তিনি।

    তবে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম বলছেন, এঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা নেই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তদন্ত করেছেন। তারাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

    জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ওই নারীর ভিডিওবার্তাটি ফেসবুকে ভাইরাল হয় মাস দেড়েক আগে। এর কয়েকদিন পর আরেকটি ভিডিওবার্তা ফেসবুকে ভাইরাল হয়। সেখানে তিনি জেলা প্রশাসককে নির্দোষ দাবি করেন। স্বামী সেলিমের চাপের মুখে জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ওই ভিডিওবার্তা ফেসবুকে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন। তাকে নিয়ে গণমাধ্যমে খবর এলে বুধবার বিকালে ওই নারীর আরও একটি ভিডিওবার্তা ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তিনি এঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান জিয়াকে দায়ী করেছেন। বলেছেন, তাকে চাপে ফেলে ডিসির বিরুদ্ধে ওই ভিডিওবার্তা ফেসবুকে তিনি ছেড়েছিলেন।

    দিনাজপুর শহরে ওই নারীর বাড়ি। তার বাবা প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা। তিনি দিনাজপুরের দক্ষিণ কোতয়ালীস্থ একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা। তার তিনটি সন্তানও রয়েছে। তার সাথে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তবে, তার মা সংবাদ প্রকাশের আগে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করলেও এখন আর এবিষয়ে কথা বলছে চাইছেন না।

    সচেতন মহল বলছে, ডিসির বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির ভিডিওবার্তা যদি মিথ্যা হয়, তবে কেন ওই নারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিলেন না তিনি। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছে তারা।

    এর আগে গত আগস্ট মাসে জামালপুরের ডিসির একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওটিতে ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে তার অফিসের এক নারী কর্মীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। ওই ঘটনায় জামালপুরসহ সারাদেশের মানুষের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরে আহমেদ কবীরকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

  • আপত্তিকর ভিডিও ভাইরালে আলোচিত সে ডিসি সাময়িক বরখাস্ত

    আপত্তিকর ভিডিও ভাইরালে আলোচিত সে ডিসি সাময়িক বরখাস্ত

    ২৪ ঘন্টা ডেস্ক : নারী সহকর্মীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় ওএসডি হওয়া জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

    ঘটনা তদন্তে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গঠিত কমিটির সুপারিশের আলোকে বুধবার তাকে বরখাস্ত করা হয়। তবে বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে শুক্রবার।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহম্মদ শুক্রবার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ অনুযায়ী জামালপুরের সাবেক ডিসি আহমেদ কবীরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়ে গেছে। এরপর বিধি অনুযায়ী অন্যান্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    জামালপুরের ডিসির একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় গত মাসের শেষের দিকে। ভিডিওটিতে ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে তার অফিসের এক নারী কর্মীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। ওই ঘটনায় জামালপুরসহ সারা দেশের মানুষের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

    এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে ২৫ আগস্ট আহমেদ কবীরকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওই দিনই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখা) ড. মুশফিকুর রহমানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

    কমিটিতে সদস্য হিসেবে ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি, ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনারের একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) একজন প্রতিনিধি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন শৃঙ্খলা অধিশাখার উপসচিব সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রথমে কমিটিকে ১০ কর্মদিবস সময় দেয়া হয়।

    তদন্ত কমিটি জামালপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সরেজমিন গিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে। এই সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ না হওয়ায় কমিটি সময় আরও ১০ দিন বাড়িয়ে নেয়।

    ২২ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি। তবে প্রতিবেদনে কী উঠে এসেছে সে বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি কেউ।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা যুগান্তরকে জানান, প্রতিবেদনে ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে মন্তব্য করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে সে ব্যাপারেও প্রয়োজনীয় সুপারিশ করা হয়েছে।

    ২৪ ঘন্টা/আরএস..