জামালপুরের সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা আন্তঃনগর যমুনা এক্সপ্রেসের তিনটি বগিতে আগুন দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। শনিবার (১৮ নভেম্বর) দিনগত রাত ১টা ২০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে।
তালহা বিন জসিম জানান, কে বা কারা এতে আগুন দিয়েছে তা নিশ্চিত হতে পারেনি। সংবাদ পেয়ে ১০ মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। তিনটি বগিতে একসঙ্গে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর জানতে পারেনি তারা। ট্রেনটি রাত ২টা ২০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল।
এ বিষয়ে জামালপুর রেলওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারা মিয়া বলেন, ঢাকা থেকে দেরি করে যমুনা এক্সপ্রেস সরিষাবাড়ীতে প্রবেশ করে। স্টেশনে যাত্রী নামার পরপর ট্রেনে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সে সময় ট্রেনে যাত্রী কম ছিল। হতাহতের বিষয়ে এখনই বলা যাচ্ছে না।
জামালপুরের বকশীগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার স্ত্রী মনিরা বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত গোলাম রব্বানী নাদিম নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি উপজেলার নিলাখিয়া ইউনিয়নের গোমের চর গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে রাতে বাড়িতে ফেরার সময় ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত গোলাম রব্বানী নাদিমের ওপর হামলা করে। স্থানীয় সাংবাদিক এবং পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখান থেকে রাতেই তাকে ২৫০ শয্যার জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
নাদিমের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন রিফাতের অভিযোগ, বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর লোকজন তার বাবার ওপর এ হামলা চালিয়েছে।
জামালপুরে অটোরিকশায় ট্রাকের ধাক্কায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। শুক্রবার (৯ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার রানাগাছা উত্তরপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলায় ইটাইল ইউনিয়নের সোলায়মান (৫৫), আব্দুল মজিদ (৪৮), জয়নাল আবেদীন (৪২) ও সাহেদ আলী (৫৫)। আহতরা হলেন- মো. হানিফ মিয়া, মো. শফিকুল ও খলিল মিয়া।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রানাগাছা উত্তরপাড়া এলাকায় ময়মনসিংহ শহরগামী একটি ট্রাক জামালপুর শহরগামী অটোরিকশাটি ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ছয়জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হলে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
জামালপুর সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নিজাম বলেন, ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর একজনের মৃত্যু হয়। পরে ময়মনসিংহ নিয়ে যাওয়ার পথে আরও দুজন মারা যান। মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
জামালপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করে থানায় আনা হচ্ছে। ঘটনার পরপরই ট্রাকচালক পালিয়ে গেছেন।
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনের ছাদ থেকে দুজনের মরদেহ এবং একজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে লাশ দুটিসহ আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ।
নিহত দুজনের মধ্যে এক জনের নাম নাহিদ (৪০)। অপর জনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, আহত ব্যক্তির নাম রুবেল। তাঁকে উদ্ধার করে জামালপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনের ছাদে ১৫ থেকে ২০ জন যাত্রী ভ্রমণ করছিল। ট্রেনটি গফরগাঁও স্টেশন পার হলে চার থেকে পাঁচ সদস্যের একটি ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ট্রেনের ছাদে অবস্থানরত যাত্রীদের ওপর হামলা চালায় এবং তাদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এ সময় নাহিদ, রুবেলসহ আরও তিন জন ডাকাতদের সঙ্গে কথা বলতে যান। পরে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ময়মনসিংহ স্টেশনের আগে কেওয়াটখালী এলাকার ওভারব্রিজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুজন ট্রেন থেকে ছিটকে পড়ে যান এবং নাহিদ, রুবেলসহ আরেক জন ট্রেনের ছাদেই পড়ে থাকেন।
জামালপুর রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিলন মিয়া জানান, কমিউটার ট্রেনটি ময়মনসিংহ স্টেশন ছাড়ার পর স্টেশন মাস্টার জানান ট্রেনের ছাদে অজ্ঞাত তিন জন লোক আহত অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে ট্রেনটি পিয়ারপুর স্টেশনে এলে ট্রেনের ছাদে আহত ব্যক্তিদের খোঁজা হয় এবং জামালপুর স্টেশনে ট্রেনের যাত্রাবিরতিকালে তিন জনকেই উদ্ধার করে জামালপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশের ঘটনায় জামালপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি), বর্তমানে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি), আহমেদ কবীরকে বিভাগীয় শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি আর কখনও পদোন্নতি পাবেন না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুণ আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান, জামালপুরের ঘটনায় আহমেদ কবীরকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তাঁকে নিম্ন পদে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর কখনও পদোন্নতি হবে না। তিনি উপসচিব হিসেবে তাঁর চাকরি জীবন শেষ করবেন।
২০১৯ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে জামালপুরের তৎকালীন ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে তাঁর অফিসের এক নারী সহকর্মীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। এ ঘটনায় গোটা সিভিল প্রশাসনসহ দেশব্যাপী সমালোচনার জন্ম দেন ওই ডিসি।
ওই সময় আহমেদ কবীরকে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে তাতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন।
জামালপুর প্রতিনিধি:জামালপুর-২ ইসলামপুর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ফরিদুল হক খান দুলালসহ একদিনেই নতুন করে ৫৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
বুধবার (৩ জুন) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবের নমুনা পরীক্ষায় তাদের করোনা শনাক্ত হয়।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা: মাহফুজুর রহমান সোহান জানান, ময়মনসিংহ পিসিআর ল্যাবের নমুনা পরীক্ষায় জামালপুরের ৫৭ জনের কোভিড-১৯ সংক্রমণ ধরা পড়ে। এদের মধ্যে ৩ জনের ফলোআপ রিপোর্ট হওয়ায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ইসলামপুরে সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান দুলাল ছাড়াও একই উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস সালাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোজীনা আক্তারসহ ইসলামপুর উপজেলাতেই আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ জন।
এছাড়া বকশীগঞ্জে ১৮, সদরে ৮, দেওয়ানগঞ্জে ৩, মাদারগঞ্জে ২, মেলান্দহে ১ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩০৭ জন।
জামালপুরে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ জন ও সুস্থ্য হয়েছেন ১৩২ জন।
জামালপুর প্রতিনিধি:করোনা পরিস্থিতি এবার তারাবিতে মুসল্লির সংখ্যা কম থাকায় আর্থিক সংকটে আছেন ইমাম,মুয়াজ্জিন ও খাদেমরা। এমন অবস্থায় ব্যক্তিগত অর্থায়নে তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।
আজ বৃহস্পতিবার (২১মে) দুপুরে মেলান্দহ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মির্জা আজম অডিটরিয়ামে উপজেলার ১হাজার ৫০০ ইমাম-মোয়াজ্জিন ও খাদেমদের মাঝে ১০কেজি চাল, ১কেজি ডাল, ১কেজি চিনি, ১কেজি লবণ,১ প্যাকেট সেমাই ও সাবানসহ খাদ্য সামগ্রী উপহার তুলে দেন মির্জা আজম এমপি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মেলান্দহ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামান, উপজেলা নিবার্হী অফিসার তামিম আল ইয়ামিন, মেলান্দহ পৌরসভার মেয়র শফিক জাহেদী রবিন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জিন্নাহ প্রমূখ।
আলোচনা সভা শেষে দেশে করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় পেতে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
জামালপুর প্রতিনিধি:বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আলোচনা সভা,দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২০মে) বকুলতলাস্হ জেলা আওয়ামী লীগের দর্লীয় কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভা,দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি।
মির্জা আজম এমপি বলেন, দীর্ঘ নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭মে দেশে ফেরেন তিনি। দেশে ফেরার পর থেকে শেখ হাসিনা টানা চার দশক ধরে সফলতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশের স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী, প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে।
শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের কারণেই আওয়ামী লীগ চারবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে এবং বর্তমানেও ক্ষমতাসীন। আওয়ামী লীগের এই শাসন আমলেই দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নতুন মাত্রা সূচিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যেই দেশ নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়শীল দেশে উন্নীত হয়েছে।
দোয়া ও ইফতার মাহফিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী’র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী আলহাজ্ব মোঃ রেজাউল করিম হীরা,জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানা,মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি, এ্যাডভোকেট আমান উল্লাহ আকাশ,জিএসএম মিজানুর রহমান মিজান,পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মাসুম রেজা রহিম ও সরিষাবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা প্রমূখ।
আলোচনা সভা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দেশের মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।
জামালপুর প্রতিনিধি:করোনা পরিস্থিতিতে এবার তারাবিতে মুসল্লির সংখ্যা কম থাকায় আর্থিক সংকটে আছেন ইমাম-মুয়াজ্জিনরা।
এমন অবস্থায় ব্যক্তিগত অর্থায়নে তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।
আজ বুধবার (২০মে)দুপুরে মাদারগঞ্জ মির্জা আজম অডিটরিয়ামে উপজেলার এক হাজার ইমাম ও মোয়াজ্জেমদের মাঝে ১১কেজি চাল, ১কেজি ডাল, ১কেজি চিনি, ১কেজি লবণ,১ প্যাকেট সেমাই ও সাবানসহ খাদ্য সামগ্রী উপহার তুলে দেন মির্জা আজম এমপি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান বেলাল, উপজেলা নিবার্হী অফিসার আমিনুল ইসলাম, মাদারগঞ্জ সার্কেলে এএসপি সামিউল আলম ও মাদারগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মির্জা গোলাম কিবরিয়া কবির।
দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকার প্রতিষ্ঠালগ্নের জামালপুর সংবাদদাতা ও পল্লীকণ্ঠ প্রতিদিনের সিনিয়র সাংবাদিক এপেক্সিয়ান শেলু আকন্দকে নির্যাতনের একপর্যায়ে দু’পা ভেঙে দিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা পৌর কাউন্সিলর রুনু খানের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা সন্ত্রাসী রকিব খানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা। উক্ত ঘটনায় সন্ত্রাসী রকিব খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আশংকাজনক অবস্থায় শেলু আকন্দকে আজ দুপুরে জামালপুর হাসপাতাল থেকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেছে। জামালপুরের ইতিহাসে এমন জঘন্যতম ঘটনার নিন্দার ঝড় ওঠেছে। ফুসে ওঠেছে সাংবাদিক সমাজ।
ঘটনাটি ঘটে গতকাল বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১১টায় শহরের দেওয়ানপাড়ায় পুরাতন এসডিওর বাড়ির পিছনে শহর বাইপাস রোডে।
পথচারী এবং স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার শেষে তাকে জামালপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন বেঁচে থাকলেও সাংবাদিক শেলু আকন্দ আজীবনের জন্য একজন পঙ্গুত্ববরণ করবে।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে আহত শেলু আকন্দ বলেন, আমি ডায়াবেটিসের রোগী। প্রতিদিন সকাল ও রাতে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে শহর বাইপাস রোডে হাটাহাটি করি। বুধবার রাতে হেঁটে যাওয়ার সময় পৌর কাউন্সিলর রুনু খানের ছেলে জেলা ছাত্রলীগ নেতা রাকিব খান, তুষার খান, স্বজন খান ও তুহিন খানসহ ১০/১২ জন আমার উপর হামলা চালায়।
তারা লোহার জিআই পাইপ দিয়ে আমার দুই পায়ে এলোপাথাড়ি পেটাতে থাকে। পেটানোর সময় তারা বলে মামলার সাক্ষী হইছস না, সাক্ষী দিবি, তর সাক্ষীর হওয়ার স্বাদ মিটাইতাছি। লোহার পাইপ দিয়ে পেটাতে পেটাতে আমার দুই পা গুড়িয়ে দিয়েছে।
এর ৬ মাস আগে পেশাগত দায়িত্বপালনকালে দৈনিক কালের কন্ঠের সাংবাদিক মোস্তফা মনজুর উপর হামলা করে বেধড়ক মারধর করেছিল কাউন্সিলর রুনু খান ও তার ছেলে রাকিব খানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা।
ওই মামলার ২নং সাক্ষী ছিল সাংবাদিক শেলু আকন্দ। সাংবাদিকের ওপর হামলার মামলায় সাক্ষী হওয়ায় সাংবাদিক শেলু আকন্দ হামলার শিকার হয়েছেন।
জামালপুর সদর থানার ওসি মো. সালেমুজ্জামান জানিয়েছে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় রুনু খানের ছেলে সাকিব খানকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান চলছে।
জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা ও সাধারন সম্পাদক লুৎফর রহমান সাংবাদিক শেলু আকন্দের উপর হামলার নির্দেশদাতা পৌর কাউন্সিলর রুনু খান ও হামলাকারী রকিব খানসহ হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি।