Tag: জামিন

  • মানহানির মামলায় খালেদার স্থায়ী জামিন

    মানহানির মামলায় খালেদার স্থায়ী জামিন

    মানহানির অভিযোগে নড়াইলে করা এক মামলায় স্থায়ী জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

    বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী ও এ এস এম আবদুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

    এদিন আদালতে বেগম জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

    মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলি আদালতে মানহানির একটি মামলা করেন জেলার নড়াগাতী থানার চাপাইল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান রায়হান ফারুকী ইমাম।

    জিয়া চ্যারিটেবল ও অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাভোগ করছেন খালেদা জিয়া। স্বাস্থ্যগত ও মানবিক কারণ দেখিয়ে বেগম জিয়ার পক্ষে দুই দফা জামিন আবেদন করা হলেও উচ্চ আদালতে তা বাতিল হয়ে যায়। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।

    বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করে তাঁর কারামুক্তি চেয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।

    গত মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সকালে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধামমন্ত্রী বরাবর এ আবেদনটি পাঠানো হয়। আবেদনের অনুলিপি আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছেও পাঠানো হয়েছে।

    আবেদনকারী আইনজীবী বলেন, ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা ১১, ৪৮(৩) ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুয়ায়ী মানবিক কারণে দণ্ড মওকুফের পাশাপাশি কারামুক্তির আবেদন করছি।’

  • জামিন চেয়ে খালেদা জিয়ার আপিল

    জামিন চেয়ে খালেদা জিয়ার আপিল

    জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জামিন চেয়ে করা হাইকোর্টের খারিজাদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেছেন।

    আজ বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ১৪০১ পৃষ্ঠার আপিল আবেদন দাখিল করা হয়। এ মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে।

    খালেদা জিয়ার আপিলের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তাঁর আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন।

    এর আগে মামলাটিতে গত ৩১ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করলেন তার আইনজীবীরা।

    গত ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।

    এরপর ২০ জুন বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। গত বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করা হয়।

    এ মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

  • বিএনপির তিন শীর্ষ নেতার জামিন

    বিএনপির তিন শীর্ষ নেতার জামিন

    হত্যার হুমকির দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ দলটির তিন নেতার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তারা। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিনের আদেশ দেন।

    জামিন পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

    এর আগে সকালে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন ফখরুলসহ বিএনপির তিন নেতা। আসামিদের পক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ আরও অনেকে জামিনের আবেদন করেন।

    বাদীপক্ষে আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিনের এ আদেশ দেন।

    গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী আদালতে এই মামলা দায়ের করেন। এরপর বিচারক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

    মামলায় এই তিনজন ছাড়াও আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বুয়েটের বহিষ্কৃত শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা ও ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক ভূঁইয়া।

    মামলার আরজিতে বলা হয়, গত ২৩ জুলাই বাদীর বাসায় রেজিস্ট্রি ডাকযোগে একটি চিঠি পাঠান বুয়েটের শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা। চিঠিতে বলা হয় ‘বাদী একজন মামলাবাজ। তিনি শেখ হাসিনার দাপটে খালেদা জিয়াসহ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা করে যাচ্ছেন। খালেদা জিয়াকে বন্দি রেখে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করছেন বাদী।’

    চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘আইএসের কাছে এ বিষয়ে লেখা হয়েছে। কাজেই এ বি সিদ্দিকীকে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়।’

    আরজিতে আরও বলা হয়, ‘এর আগে গত মে মাসে তারেক রহমান বাদী এ বি সিদ্দিকীকে খুন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক ভূঁইয়া তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে চেষ্টা করেও সফল হননি। তবে এইবার বাদী বাঁচতে পারবেন না বলে চিঠিতে হুমকি দেওয়া হয়।’

    মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ‘এ ধরনের চিঠি পেয়ে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চেয়ে আবেদন করেছেন। তারপরও হুমকি পেয়ে তিনি মামলা করলেন। মামলায় বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করছেন।’