Tag: জাহাঙ্গীর আলম

  • জাহাঙ্গীরের পেছনে ঘুরত মন্ত্রী-এমপিরা

    জাহাঙ্গীরের পেছনে ঘুরত মন্ত্রী-এমপিরা

    প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মচারী থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর আলমের অবশেষে তদন্ত শুরু হয়েছে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন যে, আমার একজন পিয়নও ৪০০ কোটি টাকার মালিক। সেই পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সেইসঙ্গে তাদের এই হিসাব খোলার ফর্মসহ যাবতীয় তথ্য আগামী পাঁচদিনের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়।

    কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সব ব্যাংওক এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গ তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব থাকলে সে সব লেনদেন মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ২৩-গ ধারায় ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হল।

    উল্লেখ্য যে, গত বছরের ৬ ডিসেম্বরে জাহাঙ্গীরকে গণভবনে এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয় এবং তার ব্যাপারে গোয়েন্দা তদন্ত শুরু হয়। কিন্তু তার আগেই জাহাঙ্গীর পালিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

    জাহাঙ্গীরের অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থের পরিমাণ পাঁচশ কোটি টাকার ওপর বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর তথাকথিত বিশেষ সহকারী হিসেবে থাকার সময় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছিলেন এবং জাহাঙ্গীরকে সম্মান সমীহ করতো না-এমন আওয়ামী লীগের নেতা সংখ্যা খুব কম ছিল।

    বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, সেই সময় জাহাঙ্গীরের এতটাই প্রভাব ছিল যে জাহাঙ্গীরের বাবার মৃত্যুর পর ঢাকা মেডিকেল কলেজে মন্ত্রীদের ঢল নেমেছিল। ১০ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী চাটখিলে গিয়েছিলেন লাশ দাফন করতে। শুধু তাই নয়, জাহাঙ্গীর বিভিন্ন মন্ত্রীদেরকে ডেকে পাঠাতেন এবং জাহাঙ্গীরের বাড়িতে অনেক মন্ত্রী যাতায়াত ছিল। আওয়ামী লীগের নোয়াখালী অঞ্চলের একাধিক অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরকে প্রধান অতিথি করা হতো। আবার তখন বিশেষ অতিথি হতেন আওয়ামী লীগের অনেক কেন্দ্রীয় নেতা।

    আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা এই বাস্তবতা স্বীকার করে বলেছেন যে, জাহাঙ্গীরের তখন ক্ষমতা এতটাই ছিল যে, তারা অপমানজনক হলেও এটা মেনে নিতেন।

    বিভিন্ন সময় দেখা গেছে যে, জাহাঙ্গীর প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নেতা এবং মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে সত্য, মিথ্যা নানা কথা বলতেন। অনেকে হয়তো প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের জন্য জাহাঙ্গীরের কাছে ধর্না দিত। জাহাঙ্গীর তাদের কাছ থেকে উৎকোচ নিতো এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দিতো। গণভবনের পাস দেয়ার ক্ষেত্রেও জাহাঙ্গীর প্রভাব বিস্তার করতো। অনেক বিতর্কিত ব্যবসায়ীকে গণভবনে ঢুকিয়ে দিয়ে মোটা অঙ্কের আর্থিক লেনদেন করতো জাহাঙ্গীর। আর এ সমস্ত বিষয়গুলো যখন প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসে তখন প্রধানমন্ত্রী বিষয় তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন এবং তদন্তের পর জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

    তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, জাহাঙ্গীরের এখন দেশে সম্পদের পরিমাণ খুবই কম। ঢাকায় তার কয়েকটি বাড়ি রয়েছে। নোয়াখালীতে তার প্রসাদসম বাড়ি রয়েছে। এছাড়া কিছু জমিজমা রয়েছে। তবে অধিকাংশ সম্পত্তি জাহাঙ্গীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

  • জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত আইনানুগ ছিল না : হাইকোর্ট

    জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত আইনানুগ ছিল না : হাইকোর্ট

    গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের প্রক্রিয়া আইনানুগ ছিল না বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

    এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে রোববার (১৮ জুন) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

    রায়ের পর জাহাঙ্গীরের আইনজীবীরা জানান, আদালত রিট মামলাটি নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন। রায়ে আদালত পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের ক্ষেত্রে যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে বলেও জানান তারা।

    এর আগে মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের রায় কয়েক দফা পেছানো হয়।

    আদালতে জাহাঙ্গীরের পক্ষে সময় আবেদন করেন ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সারোয়ার পায়েল।

    গত ৪ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দফা পিছিয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে রুলের রায় ঘোষণার জন্য ২ মে দিন ধার্য করা হয়।

    গত ২৮ মার্চ এ রুলের চূড়ান্ত শুনানির পর ৩০ মার্চ রায়ের জন্য দিন নির্ধারণ করেন আদালত। কিন্তু ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষে শুনানি করতে আবেদন করে। সে আবেদন গ্রহণ করে রায় ঘোষণা পিছিয়ে মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দিন রাখেন আদালত। এদিনও রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনে আদালত রায় ঘোষণা পিছিয়ে ২ মে দিন ধার্য করেন।

    গত ১৫ মার্চ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি শুরু হয়।

    এর আগে গত বছরের ২৩ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

    বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। স্থানীয় সরকার সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

    গত বছরের ১৪ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জাহাঙ্গীর আলম পদ ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে তাকে সাময়িক বরখাস্তের আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। ব্যারিস্টার মশিউর রহমান সবুজ জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে এ রিট দায়ের করেন।

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে কটাক্ষের অভিযোগে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হওয়া জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

  • আমাদের পরিবার জন্মগতভাবে আওয়ামী লীগ : জাহাঙ্গীর

    আমাদের পরিবার জন্মগতভাবে আওয়ামী লীগ : জাহাঙ্গীর

    গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, আমরা আওয়ামী লীগের সমর্থক। আমার মা ও আমাদের পরিবার জন্মগতভাবে আওয়ামী লীগ। কেউ মানুক বা না মানুক সেটা তাদের ব্যাপার।

    রোববার (২৮ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও মা জায়েদা খাতুনকে নিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি আরও বলেন, সারাজীবন আওয়ামী লীগ করেছি, এখনও আছি। কে কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না। আর আমার বহিষ্কারের বিষয়টি দলীয় ব্যাপার। এ বিষয়ে দল বুঝবে।

    জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার মা মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসেছেন। নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম কেনার পর আমি এসেছিলাম। সেসময় আমি শ্রদ্ধা শেষে দোয়া নিয়েছিলাম। আজ আমার মা-ও শ্রদ্ধা জানিয়ে দোয়া নিয়ে গেলেন। উনার (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) উছিলায় আমরাও যেন ভালো থাকতে পারি। আমরা মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর কাছে এসেছি, নেত্রীর (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) বাড়িতে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমরা সহযোগিতা চাই।

    এ সময় জায়েদা খাতুন বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নে আমি সকলের সহযোগিতা চাই। সকলের সঙ্গে মিলেমিশে গাজীপুর সিটির উন্নয়নে কাজ করবো। উন্নয়নের কাজে আমার ছেলে জাহাঙ্গীরও সঙ্গে থাকবে।

    এর আগে ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নবনির্বাচিত মেয়র জায়েদা খাতুন। পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় তাদের সঙ্গে প্রায় সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

     

  • সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করব, কারও সঙ্গে দ্বন্দ্ব চাই না: জাহাঙ্গীর

    সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করব, কারও সঙ্গে দ্বন্দ্ব চাই না: জাহাঙ্গীর

    গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র জায়েদা খাতুনের ছেলে ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, মায়ের পাশে থেকে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাব। কারও সঙ্গে দ্বন্দ্ব চাই না। সবার সহযোগিতা নিয়ে কাজ করতে চাই। শুক্রবার (২৬ মে) দুপুরে নগরীর ছয়দানা এলাকার নিজ বাসভবনে জনতা ও কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

    এর আগে সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে কর্মী, সমর্থক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ফুলের তোড়া ও মালা হাতে নিয়ে নবনির্বাচিত সিটি মেয়র জায়েদা খাতুন ও জাহাঙ্গীর আলমকে অভিনন্দন জানাতে আসে।

    এ সময় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‌‌‘আপনাদের জয় হয়েছে, আর যারা অপরাধী তারা অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তাদের আর কিছু বলার নেই। আমি ও আমার মা এই শহরকে আপনাদের সহযোগিতায় চালাব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে সবাই যেন সহযোগিতা করে।

    তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন আমাকে কোন পরিস্থিতিতে কোথায় নিয়ে গেছে। আপনাদের শক্তি দিয়ে আমি দেখিয়েছি। আপনারাই আমার সবচেয়ে আপনজন। অনেকে আপনাদের ক্ষতি করতে চাইবে, আপনারা খেয়াল রাখবেন। কেউ আঘাত করলে তাকে আঘাত করতে হয় না। শহরের মালিক যে জনগণ এটা আপনাদের ভোটে বিজয়ের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে।

    জাহাঙ্গীর বলেন, আমার মা মানে আপনাদের মা। আমার বাড়ি আপনাদের সবার জন্য উন্মুক্ত। যেকোনো সময়, যেকোনো প্রয়োজনে আপনারা আসবেন। আমার মা এবং আমি মিলে আপনাদের জন্য সার্বিক সহযোগিতা করব।

    তিনি বলেন, এ শহর শকুনের চাপা পড়েছিল। অনেকে বিভিন্নভাবে পাঁয়তারা করেছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাওয়া শুরু হয়েছে। উনি আমাদের অভিভাবক, উনাকে সহযোগিতা করব।

    জাহাঙ্গীর আরও বলেন, কাউকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে দেখা যাবে না। কারণ, যারা শহরের মেয়র বানাতে পারে তারা এই সমাজে সব করতে পারে। পেশিশক্তি দিয়ে মানুষের মন জয় করা যায় না। ওয়ার্ড, থানা এবং মহানগরের সবাইকে নিয়ে পঞ্চায়েত সিস্টেম করে শাসন ব্যবস্থা এবং সিটি করপোরশনের কাজ যেন মানুষ সহজে করতে পারে আমার মায়ের সঙ্গে থেকে কাজটা করে দেব।

  • সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরকে দুদকে তলব

    সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরকে দুদকে তলব

    অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গাজীপুরের বরখাস্ত হওয়া মেয়র জাহাঙ্গীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    তলবি নোটিশে তাকে আগামী ২২ মে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক আলী আকবর অনুরোধ করেছেন।

    বুধবার (১৭ মে) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

    বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতসহ ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে তাকে তলব করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

    গত বছরের জুন মাসে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতসহ ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। একইসঙ্গে দুই সদস্যের টিম গঠন করা হয়। সংস্থাটির সচিব মো. মাহবুব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

    ওই প্রজ্ঞাপনে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ভুয়া দরপত্র, নির্দিষ্ট কোম্পানিকে দর দেওয়ার অনুরোধ সংক্রান্ত (আরএফকিউ) দরপত্রে অনিয়ম, বিভিন্ন পদে অযৌক্তিক লোকবল নিয়োগ, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষ্যে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে ও একই কাজ বিভিন্ন প্রকল্পে দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, প্রতি বছর হাটবাজার ইজারার টাকা যথাযথভাবে নির্ধারিত খাতে জমা না রাখাসহ বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এছাড়া ভূমি দখল ও ক্ষতিপূরণ ছাড়া রাস্তা প্রশস্তকরণ সংক্রান্ত অভিযোগও রয়েছে।

    প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, উল্লিখিত অভিযোগগুলো ক্ষমতার অপব্যবহার, বিধিনিষেধের পরিপন্থি কার্যকলাপ, দুর্নীতি ও ইচ্ছাকৃত অপশাসনের শামিল, যা সিটি কর্পোরেশন আইনানুযায়ী অপসারণযোগ্য অপরাধ। ইতোমধ্যে এসব অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রম শুরু করার মাধ্যমে অপসারণের কার্যক্রমও শুরু করেছে। সুষ্ঠু তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

    এর আগে ওই বছরের ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জাহাঙ্গীর আলমের কিছু বিতর্কিত মন্তব্য সংবলিত ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর গত ৩ অক্টোবর জাহাঙ্গীর আলমকে শোকজ করা হয়েছিল। আর গত ১৫ মে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ।

  • জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার

    জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার

    গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।

    সোমবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    এর আগে রোববার (১৪ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে জাহাঙ্গীর আলমকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি ওঠে।

  • জাহাঙ্গীর ঋণখেলাপি, মনোনয়নপত্র বৈধ বলার সুযোগ নেই : হাইকোর্ট

    জাহাঙ্গীর ঋণখেলাপি, মনোনয়নপত্র বৈধ বলার সুযোগ নেই : হাইকোর্ট

    স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ অনুযায়ী গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন ঋণখেলাপি ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। তাই তার মনোয়নপত্র আইন অনুযায়ী বৈধ বলার সুযোগ নেই।

    মনোয়নপত্র বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাহাঙ্গীর আলমের রিট খারিজের লিখিত আদেশে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুবুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।

    এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার ৫ পৃষ্ঠার লিখিত আদেশ প্রকাশ করা হয়েছে।

    এতে বলা হয়েছে, গত ২৭ এপ্রিল মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন সিআইবি রিপোর্টে জাহাঙ্গীর আলমের নাম ছিল। গত ২ মে তিনি সিআইবি রিপোর্টের ওপর স্থগিতাদেশ নিয়েছেন।

    স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ এর ৯ (২) ধারা তুলে ধরে আদেশে বলা হয়েছে, এই আইন অনুযায়ী জাহাঙ্গীর আলম মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে গৃহীত কোন ঋণ বা কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হন তাহলে ঋণগ্রহীতা ছাড়াও বন্ধকদাতা বা জামিনদার ঋণ খেলাপি বলে গণ্য হবেন।

    এর আগে গত ৮ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাহাঙ্গীর আলমের দায়ের করা রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।

    বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুবুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

    আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামাল, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, মো. আসাদুজ্জামান মনির, ওয়ায়েস আল হারুনী, নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী প্রমুখ।

    এখন পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেননি।

    গত ৭ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন জাহাঙ্গীর আলম। রিটে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

    গত ৪ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের করা জাহাঙ্গীর আলমের আপিল নামঞ্জুর হয়।

    গত ৩০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।

    ঋণখেলাপির অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় বলে জানানো হয়। তবে তার মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

    গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান। জাহাঙ্গীর আলম দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

  • নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না জাহাঙ্গীর : হাইকোর্ট

    নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না জাহাঙ্গীর : হাইকোর্ট

    গাজীপুর সিটি করপোরেশনে নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাহাঙ্গীর আলমের দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিন্ধান্ত বহাল থাকলো বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

    সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুবুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। দুপুর পৌনে ১২টায় বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুবুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটের শুনানি শুরু হয়।

    আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামাল, সাবেক অতিরিক্ত জেনারেল এম কে রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, মো. আসাদুজ্জামান মনির, ওয়ায়েস আল হারুনী, নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী প্রমুখ।

    আদালতের আদেশের পর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করব।

    এর আগে গতকাল ৭ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন জাহাঙ্গীর আলম। রিটে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

    গত ৪ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীর আলমের করা আপিল নামঞ্জুর হয়।

    গত ৩০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।

    ঋণখেলাপির অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। তবে তার মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

    গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান। জাহাঙ্গীর আলম দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

     

  • জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল

    জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল

    গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

    রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম আজ রোববার এ তথ্য জানান।

    গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গত ২৬ এপ্রিল মনোয়নপত্র সংগ্রহ করেন বরখাস্তকৃত মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। পরের দিন তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।

    আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

    ক্ষমতার অপব্যবহার, বিধিনিষেধ পরিপন্থি কার্যকলাপ, দুর্নীতি ও ইচ্ছাকৃত অপশাসনের অভিযোগে ২০২১ সালের নভেম্বরে গাজীপুর সিটির মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীরকে সাময়িক বহিষ্কার করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

    এর আগে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকেও বহিষ্কার করা হয়। পরে তাকে শর্তসাপেক্ষে ক্ষমাও করে আওয়ামী লীগ।

    এবার গাজীপুর সিটির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান।

  • গাজীপুরের জাহাঙ্গীরের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করলো আ.লীগ

    গাজীপুরের জাহাঙ্গীরের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করলো আ.লীগ

    গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে তাকে ক্ষমা করা হয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সই করা এক চিঠিতে এই ক্ষমা করার কথা জানানো হয়েছে।

    শনিবার (২১ জানুয়ারি) জাহাঙ্গীর আলম নিজেই বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেছেন, তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে দল থেকে চিঠি দিয়েছে। শনিবার চিঠি পেয়েছেন বলেও তিনি জানান।

    তিনি আশা করছেন শিগগিরই মেয়ের পদও ফেরত পারবেন।

    ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। ওই সময় তার দলের প্রাথমিক সদস্যপদও বাতিল করা হয়। এর পরপরই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় মেয়র পদ থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে।

    ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গোপনে ধারণ করা মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। তাতে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও গাজীপুর জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করতে শোনা যায়। এরপর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। তবে নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় ওই বছরের ১৯ নভেম্বর দলের কার্যনির্বাহী সংসদ জাহাঙ্গীর আলমকে বহিষ্কার করে।

    ক্ষমা ঘোষণা করে দেওয়া ওবায়দুল কাদেরের সই করা চিঠিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের স্বার্থ, আদর্শ, শৃঙ্খলা, তথা গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র পরিপন্থী সম্পৃক্ততার জন্য ইতোপূর্বে জাহাঙ্গীর আলমকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার/অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ স্বীকার করে তিনি ভবিষ্যতে এই ধরনের কর্মকাণ্ডে যুক্ত না হওয়ার বিষয়ে লিখিত অঙ্গীকার করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দলের গত ১৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত অনুসারে তাকে ক্ষমা করা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে তা ক্ষমার অযোগ্য বিবেচিত হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

    জানা গেছে, গত ১৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির বৈঠকে দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে বহিষ্কার হওয়া নেতাদের আবেদনের ভিত্তিতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত হয়। ওই সভার আগে যারা দোষ স্বীকার করে আবেদন করেছিলেন, তাদের ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছিল। পাশাপাশি ভবিষ্যতে যারা দোষ স্বীকার করে আবেদন করবেন, তাদেরও যাচাই-বাছাই করে ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত হয়।

    এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দল আমার প্রতি সদয় হয়ে আমার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে। এজন্য দলীয় সভাপতি জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। দলে আমি যে পদে ছিলাম সে পদে যেহেতু অন্য কাউকে নির্বাচন করা হয়েছে—ফলে দল আমাকে নতুন করে যে দায়িত্ব দিবে তা পালন করবো।

    মেয়র পদ ফিরে পেতে আশা

    দল থেকে বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার হওয়া গাজীপুর সিটির সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র জাহাঙ্গীর আলম শিগগিরই মেয়র পদ ফেরত পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে আমার বিষয় তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়নি। আমার বিরুদ্ধে কোনও অনিয়ম খুঁজে পায়নি। তাছাড়া আমাকে যে নোটিশ দিয়েছিল তার যথাযথ জবাব আমি দিয়েছি। আশা করছি আমি মেয়র পদ ফেরত পাবো।

  • মসজিদ খুলে দেয়ার ঘোষণা মেয়র জাহাঙ্গীরের

    মসজিদ খুলে দেয়ার ঘোষণা মেয়র জাহাঙ্গীরের

    গাজীপুর সিটি করপোরেশনের যেসব এলাকায় করোনা সংক্রমণ নেই, সেসব এলাকায় আগামী শুক্রবার থেকে সব মসজিদ মুসল্লিদের স্বাভাবিক প্রবেশের জন্য খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।

    আজ মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি এই ঘোষণা দেন।

    মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘গাজীপুর জেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় গার্মেন্ট কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। কৃষিকাজও চলছে। এছাড়া গাজীপুরের আটটি থানা ও ৫৭ ওয়ার্ডের কোথাও তেমনভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেনি। তাই সামাজিক দূরত্ব মেনে, সামনে চার ফুট ও পাশে দুই ফুট জায়গা রেখে মসজিদে নামাজের সুযোগ দেওয়া হবে। এটা রোজার মাস, মসজিদে প্রার্থনার সুযোগ দেওয়া উচিত। যেসব এলাকায় করোনা সংক্রমণ নেই, সেসব এলাকায় মসজিদগুলোতে মুসল্লিরা নামাজ পড়তে পারবেন।’

    ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশন এবং গাজীপুর জেলা এই দুটি এলাকাকে নিয়েই গাজীপুর বলা হয়। সেজন্য আমরা বলছি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে করোনা পজিটিভের সংখ্যা অনেক এলাকার চেয়ে কম বলে আমরা মনে করি। এটা আমরা নথিপত্র ঘেঁটে দেখেছি। সেজন্য আমরা মনে করি যেহেতু গার্মেন্ট চালু করে দিয়েছে বিজিএমইএ, সেহেতু আমাদের যেসব ওয়ার্ডে কোনও করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী নেই সেগুলোতে আগামী শুক্রবার থেকে মসজিদভিত্তিক মানুষ নামাজ পড়তে পারবেন।

    মেয়র বলেন, মুসলমানদের জন্য বছরের সবচেয়ে উত্তম মাস রমজান মাস। আর এই রমজান মাসে মুসলমানগণ প্রতি দিন মসজিদে গিয়ে তারাবি নামাজ আদায় করে থাকেন।

    তাই মুসল্লিদের সুবিধার্থে মসজিদ খুলে দেয়া হলো।

    তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিরা মসজিদে যাবেন। এক মহল্লার লোক অন্য মহল্লায় যাবেন না।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনেই মুসল্লিরা মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করবেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর