২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে হোসেন (৩৫) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় ৬ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন উত্তর পাইন্দং আনকির বাড়ী মৃত মীর আহমদের ছেলে মোঃ ফারুখ (৩৭), মোঃ ইউসুফ (৫৪), মালেকশাহ মসজিদ সংলগ্ন ইলিয়াছের স্ত্রী মিনু আকতার (২৮), মৃত মোফাজ্জল আহমদের ছেলে মোর্শেদ আলম (২৮), মৃত আব্দুস সালামের ছেলে মোঃ রাশেল (২৮) ও উত্তর হাইদছকিয়া মোঃ সেকান্দরের ছেলে এমরান হোসেন (২৮)।
৬ ফেব্রুয়ারী (বৃহস্পতিবার) দুপুরে ফটিকছড়ি থানায় সংবাদ সম্মেলন করে তথ্যটি জানান চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার হাটহাজারী সার্কেল আব্দুল্লাহ আল মাসুম। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের সাথে জায়গা-জমির বিরোধের জেরে এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, সম্পত্তির বিরোধের জের ধরে পরিকল্পনা মোতাবেক গত ২৭ জানুয়ারী রাত পৌন ১০ টায় ভিকটিম মোঃ হোসেনকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার বাবা ছালে আহমদ বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যার মামলা নং-৫, তারিখ ৫/০২/২০২০ ইংরেজি।
পুলিশ জানায়, ২৭ জানুয়ারী (সোমবার) রাত ১০ টার দিকে নিহত হোসেন তার কর্মস্থল বিবিরহাট বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে পাইন্দং খাল এলাকায় পৌঁছলে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা আসামীরা তার পথরোধ করে। এরপর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
মৃত্যু নিশ্চিত হলে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে তার মুখে মদ ঢেলে দিয়ে লাশের পাশে দু’টি মদের বোতল রেখে দেয়। পরদিন মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা ছালে আহমদ বাদী হয়ে ফটিকছড়ি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার ঘোষ ৫ ফেব্রুয়ারী মো. ফারুখ ও মো. ইউছুপকে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
পুলিশ আরো জানায়, মূলত নিহত হোসেনকে পারিবারিক জায়গা-জমির বিরোধের জের ধরে তার চাচা এবং চাচাতো ভাইয়েরা মিলে হত্যা করে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফটিকছড়ি থানার ওসি বাবুল আকতার।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারী ফটিকছড়ির পাইন্দং ইউনিয়নের পাইন্দং খালের পাশ থেকে দোকান কর্মচারী হোসেনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।