Tag: জায়েদা খাতুন

  • গাজীপুরের সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে আগামীর পথ চলতে চাই : জায়েদা

    গাজীপুরের সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে আগামীর পথ চলতে চাই : জায়েদা

    গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র জায়েদা খাতুন বলেছেন, আজকের এ বিজয় আমি গাজীপুরবাসীকে উৎসর্গ করলাম। আমার সঙ্গে ছিল সাধারণ মানুষ এবং সাংবাদিকরা। আমি গাজীপুরবাসী ও সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি গাজীপুরের সব শ্রেণিপেশার ও সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে নিয়ে আগামীর পথ চলতে চাই।

    শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে মহানগরের ছয়দানায় তার নিজ বাসায় সন্তানের মুখে বিজয়ের কথা শুনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জায়েদা খাতুন এসব কথা বলেন।

    জায়েদা বলেন, আমার এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ ছিল মিথ্যা, ষড়যন্ত্র ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ। আমি আমার গাজীপুরবাসীর নিকট ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমার ছেলের বিরুদ্ধে যে অন্যায়, অবিচার ও অত্যাচার করা হয়েছে, গাজীপুরের সাধারণ মানুষ ব্যালটের মাধ্যমে তার জবাব দিয়েছে।

    তিনি বলেন, আমি এবং আমার ছেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে তার পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা নিয়ে সিটি করপোরেশনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে চাই। আমার নির্বাচনি ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রতি অনুযায়ী গাজীপুরকে একটি আধুনিক, সবুজ ও সুন্দর একটি বাসযোগ্য নগরী গড়তে কাজ করব। এর জন্য আমি সবার সহযোগিতা চাই।

    শহরের উন্নয়নে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী আজমত উল্লা খানের পরামর্শ চাইবেন কি না, প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যদি দরকার পড়ে ওনাকে সঙ্গে নিয়ে সবার পরামর্শে কাজ করবো। আমি একা তো কাজ করতে পারবো না। সবার পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়েই কাজ করবো।’

    ছেলে জায়েদা খাতুন বলেছেন, ‘আমার ছেলে ভুল করেনি, তাকে যড়যন্ত্র করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমার ছেলে যে সত্য ছিল, এ জন্যই আমার নির্বাচনে আসা। এজন্যই প্রার্থী হয়েছি। সত্য প্রমাণ হয়েছে, গাজীপুরের মানুষ আমাকে বিজয়ী করেছে, এখানে গাজীপুরবাসীর জয় হয়েছে।’

    এ সময় জায়েদা খাতুনের ছেলে ও গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমার মা মেয়র নির্বাচিত হয়েছে। শহরের যত কাজ আছে মার সঙ্গে থেকে করার চেষ্টা করবো। প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় দেশের বড় এ সিটি করপোরেশনের সব কাজ সমাধান করার চেষ্টা করব। অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান আমাদের বড় ভাই। তাকেসহ সবার পরামর্শে যেসব প্রার্থীরা নির্বাচন করেছেন এবং স্থানীয় নেতাকর্মীদের সবাইকে নিয়ে গাজীপুরকে একটি নতুন সুন্দর আধুনিক শহর করার জন্য চেষ্টা করব।’

    ভোট সুষ্ঠু হয়েছে জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার, সরকার এবং প্রশাসনের লোক, গণমাধ্যম কর্মী সবাইকে ধন্যবাদ। আপনাদের সবার সহযোগিতায় নির্বাচন কমিশনার বলেছেন একটি সুষ্ঠু-সুন্দর ভোট দেবেন। সেটা আমরা তার কর্মের মাধ্যেমে পেয়েছি। সরকারও বলেছে সেখানে সহযোগিতা করবে। সবার সহযোগিতায় গাজীপুরে সুন্দর ভোট হয়েছে। সর্বশেষ ফলাফল আমরা সঠিকভাবে পেয়েছি। এজন্য আমরা সবাইকে আপনাদের মাধ্যমে ধন্যবাদ জানাই। এ শহর সুন্দরভাবে গড়ার জন্য যেকোন কাজে সার্বিকভাবে সহযোগিতা চাই।’

  • গাজীপুরের নতুন মেয়র জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা

    গাজীপুরের নতুন মেয়র জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা

    গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে পরাজিত করে গাজীপুরের নগরমাতা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। ৪৮০টি কেন্দ্রের ফলাফলে আজমত উল্লা খান (নৌকা) পেয়েছেন ২ লক্ষ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট ও জায়েদা খাতুন (টেবিল ঘড়ি) পেয়েছেন দুই লক্ষ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটে এগিয়ে থেকে বিজয়ী হয়েছেন জায়েদা খাতুন।

    ভোট গ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় গাসিক নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করতে শুরু করেন রিটার্নিং অফিসার ফরিদুল ইসলাম।

    শুক্রবার (২৬ মে) রাত দেড়টায় সব কেন্দ্রের মোট ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার।

    সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণ চলে। পরে সন্ধ্যায় গাজীপুরের বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামের ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে ফল ঘোষণা শুরু করেন ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম।

    অপর মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে মাছ প্রতীকে আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪, লাঙ্গল প্রতীকে এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২, হাতপাখা প্রতীকে গাজী আতাউর রহমান ৪৫ হাজার ৩৫২, গোলাপ ফুল প্রতীকে মো. রাজু আহাম্মেদ ৭ হাজার ২০৬, ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রাশিদ ২ হাজার ৪২৬ এবং হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট পেয়েছেন।

    নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৩ জন।

    এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৭ জন, মহিলা ভোটার ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৮ জন এবং হিজড়া ভোটার ১৮ জন।

    এ নির্বাচনে ৫৭টি ওয়ার্ডে ৪৮০টি ভোট কেন্দ্র ৩ হাজার ৪৯৭টি ভোট কক্ষে ভোট গ্রহণ হয়। নির্বাচনে মেয়র পদে ৮ জন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন এবং সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জনসহ মোট ৩৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।