Tag: জিম্বাবুয়ে

  • রুদ্ধ্বশ্বাস ম্যাচে টাইগারদের জয়

    রুদ্ধ্বশ্বাস ম্যাচে টাইগারদের জয়

    পেন্ডুলামের মতো ম্যাচটা দুলছিল দুই দিকেই। জিততে পারে যে কেউ। শেষ ওভারে জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ১৬ রানের। সাকিব বোলিংয়ে আনেন মোসাদ্দেককে। প্রথম ৫ বলে দুই উইকেট নিয়ে ১১ রান খরচা করেন তিনি। শেষ বলে জিম্বাবুয়ের ব্যাটার ব্লেসিং মুজারাবানি। শেষ বলেও উইকেট পেলেন মোসাদ্দেক। আউট ধরে নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে জিম্বাবুয়ের খেলোয়াড়রাও মাঠ ছেড়ে উঠে যায়। কিন্তু রিপ্লাইতে দেখা যায়, বল স্ট্যাম্পে আসার আগেই বল ধরে ফেললেন নুরুল হাসান সোহান। ফলে থার্ড আম্পায়ার রিভিউ করে দিলেন নটআউট এবং ঘোষণা করলেন নো বল। ১ রান যোগ করে দুই দলকে আবারো মাঠে নামিয়ে আনা হয় এবং ফ্রি-হিট দিয়ে শেষ বলটি করতে বলা হয়। শেষ বলে মুজারাবানি কোনো রান করতে পারেননি। রুদ্ধশ্বাস এই ম্যাচে বাংলাদেশের করা ১৫০ রানের জবাব দিতে নেমে ১৪৭ রানে থেমে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। ফলে বাংলাদেশ পেয়ে যায় ৩ রানের নাটকীয় জয়।

    আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রানের সংগ্রহ পায় টাইগাররা। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রানের বেশি করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। এই জয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে এই প্রথম একাধিক জয় পেল বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই এটা বাংলাদেশের সেরা আসর।

    রান তাড়া করতে নেমে তাসকিনের ২ ওভারে দুই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। নিজের দ্বিতীয় বলে মাধেভেরকে ফেরান বাংলাদেশের ডানহাতি পেসার। ৩ বলে ৪ রান করেন মাধেভেরে। তাসকিন তার দ্বিতীয় ওভারে পান আরেকটি উইকেট। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ক্রেইগ আরভিনকে সোহানের ক্যাচ বানান তাসকিন। ৮ রান করেন জিম্বাবুয়ান অধিনায়ক।

    তারপর মুস্তাফিজ ম্যাজিক। আগের দুই ম্যাচে উইকেট পাননি মুস্তাফিজ। এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেকে ফিরে পেলেন কাটার মাস্টার। এক ওভারেই তুলেন ২ উইকেট। মিল্টন শুম্বাকে দিয়ে শুরু। এবার শূন্যতেই সিকান্দার রাজাকে পথ দেখিয়ে স্বস্তি এনে দেন গ্যালারিতে। বাংলাদেশের জন্য তিনি হতে পারতেন বড় যম। এরপর দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে ফিরতেই আরেকটি জুটি ভাঙলেন তাসকিন। সোহানের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান রেজিস চাকাভাকে। তার বিদায়ে ভাঙলো ৩৪ রানের জুটি। সুপার টুয়েলভ পর্বে তাসকিনের এটি অষ্টম উইকেট।

    ১৯তম ওভারে দুর্দান্ত ব্রেকথ্রু আনেন সাকিব আল হাসান। শন উইলিয়ামস সিঙ্গেল নিতে গিয়ে তার সরাসরি থ্রোতে রান আউট হন। ৬৪ রানে থামেন তিনি। ১৩তম ওভারে তার ক্যাচ মিস করেছিলেন হাসান মাহমুদ। জীবন পেয়ে ফিফটি তুলে নেন রায়ান বার্ল।

    বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। এছাড়া মুস্তাফিজুর রহমান দুটি ও মোসাদ্দেক হোসেন একটি করে উইকেট নেন।

    এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ৭ উইকেটে ১৫০ রান করে টাইগাররা। ব্যাটিংয়ে নেমে এনগারাভার চতুর্থ বলে প্রথম চারের দেখা পায় বাংলাদেশ। শান্ত তার পরের বাউন্ডারি মারেন দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে। কিন্তু সৌম্য সরকার রানের খাতা খুলতে পারেননি। নিজের দ্বিতীয় বলে ডাক মারেন তিনি। মুজারাবানির বলে রেগিস চাকাভার হাতে ক্যাচ দেন সৌম্য। ১০ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

    সৌম্যর বিদায়ের পর শান্তর সঙ্গে দলের হাল ধরেছিলেন লিটন। দুই বাউন্ডারিতে ভালো কিছুর আভাসও দিয়েছিলেন। তবে ষষ্ঠ ওভারে অহেতুক স্কুপে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসলেন লিটন। ১২ বলে ৩ চারে ১৪ রান করেন তিনি। শান্তর সঙ্গে লিটনের জুটি ছিল ২২ রানের। দুই উইকেট হারিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ইতিবাচক ব্যাট করতে থাকেন ওপেনার শান্ত ও দলনেতা সাকিব। এ সময় দুজনের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৩ বলে ৫৪ রান। এরপর শেন উইলিয়ামসের করা বলে মুজারাবারি হাতে ক্যাচ তুলে দেন সাকিব। ২০ বলে ২৩ রান করে ফেরেন সাকিব।

    দলীয় ৯৫ রানে সিকান্দার রাজার বলে সিঙ্গেল নিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পেলেন নাজমুল হোসেন। ৪৫ বলে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন শান্ত। চলতি আসরে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের এটাই প্রথম পঞ্চাশ। এছাড়া টি-টোয়েন্টিতে ১১ ম্যাচ পর বাংলাদেশের কোনো ওপেনারের ফিফটি করলেন। গত ৩১ জুলাই ২০২২, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ৫৬ করছিল লিটন দাস।

    শেষ দিকে আফিফ হোসেন ১৯ বলের ২৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেললে বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫০ রান তোলে। জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নেন ব্লেসিং মুজারবানি এবং রিচার্ড এনগ্রাভা। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন সিকান্দার রাজা এবং শন উইলিয়ামস।

  • জিম্বাবুয়ের কাছে ১ রানে হেরে গেল পাকিস্তান

    জিম্বাবুয়ের কাছে ১ রানে হেরে গেল পাকিস্তান

    ফের শেষ ওভারে হারলো ‘আনপ্রেডিক্টবেল’ পাকিস্তান। ভারতের পর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও শেষ ওভারে গিয়ে হারলো বাবর আজমের দল। আগে ব্যাট করে ১৩০ রান করেছিল জিম্বাবুয়ে। জবাব দিতে নেমে ১২৯ রানে থামতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান। ১ রানে জিতে যায় সিকান্দার রাজার জিম্বাবুয়ে।

    ১৩১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই জিম্বাবুয়ের তোপে পড়ে পাকিস্তান। ১৩ রানে বাবর, ২৩ রানে রিজওয়ান ও ৩৬ রানে ইফতিখার আহমেদের উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। ইনিংস ধরে খেলতে থাকেন শান মাসুদ। তার সঙ্গে শাদাব খান গড়েন ৫২ রানের জুটি। শাদাব বিদায় নেন সিকান্দার রাজার বলে ক্যাচ দিয়ে। শাদাব করেন ১৭ রান। একই ওভারের পরের বলে রাজা শিকার করেন হায়দার আলির উইকেটও।

    খেলা আবার ঘুরে যায়। সিকান্দারের পরের ওভারে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান করে আউট হন মাসুদ। এরপর হারের শঙ্কা ঝেঁকে বসে পাকিস্তান শিবিরে। শেষ ওভারে পাকিস্তানের জিততে দরকার ছিল ১১ রান। একটি চার মারেন ওয়াসিম। কিন্তু নওয়াজ আউট হয়ে গেলে ১ বলে ৩ রান করতে হত তাদের। নওয়াজ আউট হন ২২ রানে, ওয়াসিম করেন ১২ রান।

    জিম্বাবুয়ের হয়ে ২৫ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন রাজা, ব্রাড ইভান্স নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পান ব্লেজিং মুজারাবানি ও লুক জংউই।

    এর আগে পার্থে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক শন উইলিয়ামস। আরভিন-মেধেভেরে বেশ দ্রুতই এগোচ্ছিলো জিম্বাবুয়ে। দু’জন মিলে ওপেনিং জুটিতে ৪২ রান তোলে। এরপরই ছন্দপতন। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে হ্যারিস রউফের বলে ওয়াসিমের হাতে ধরা পড়েন আরভিন। ফেরার আগে তিনি করেন ১৯ বলে ১৯ রান। পরের ওভারে ওয়াসিমের দ্বিতীয় বলে মেধেভেরেকে সাজঘরে ফেরেন। যে কারণে দ্রুত সময়ের মধ্যে চাপে পড়ে দলটি। ঠিক সে সময় হাল ধরার চেষ্টা করেন শন উইলিয়ামস। তবে যোগ্য সঙ্গ পাননি তিনি।

    এ সুযোগে একের পর এক উইকেট তুলে নেন শাদাব ও ওয়াসিম। শেষ দিকে আরও আটোসাটো বোলিং করেন হারিস রউফ। যে কারণে জিম্বাবুয়ে থামে ১৩০ রানে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ রান শন উইলিয়ামস।

    পাকিস্তানের পক্ষে মোহাম্মদ ওয়াসিম ও শাদাব খান নেন ৩টি করে উইকেট। এছাড়া ১ উইকেট নেন হ্যারিস রউফ।

  • তামিমের দ্রুততম শতক ও সোহান ঝড়ে হোয়াইটওয়াশ জিম্বাবুয়ে

    তামিমের দ্রুততম শতক ও সোহান ঝড়ে হোয়াইটওয়াশ জিম্বাবুয়ে

    হারারেতে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে ৩-০ ব্যবধানে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করল টাইগাররা।

    মঙ্গলবার (২০ জুলাই) হাই স্কোরিং ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ব্যাট হাতে এদিন দৃঢ়তা দেখায় স্বাগতিক দল। নির্ধারিত ৫০ ওভারের ৩ বল বাকি থাকতে অলআউট হলেও দলটি জড়ো করে ২৯৮ রান।

    দলের পক্ষে অর্ধশতক হাঁকান ৩ ব্যাটসম্যান। সর্বোচ্চ ৮৪ রান আসে ওপেনার রেগিস চাকাভার ব্যাট থেকে। ৯১ বলের মোকাবেলায় তিনি হাঁকান ৭টি চার ও ১টি ছক্কা। এছাড়া রায়ান বার্ল ৪টি করে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে ৪৩ বলে ৫০ এবং সিকান্দার রাজা ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সহায়তায় ৫৪ বলে ৫৭ রান করেন।

    বাংলাদেশের পক্ষে এদিন খরুচে ছিলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড গড়লেও নিজের করা শেষ ওভারে শিকার করেন তিনটি উইকেট। সমানসংখ্যক উইকেট পান মুস্তাফিজুর রহমানও। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দুটি এবং তাসকিন আহমেদ ও সাকিব আল হাসান একটি করে উইকেট শিকার করেন।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ দারুণ সূচনা পায় দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের ব্যাটে। প্রথম পাওয়ারপ্লে নির্বিঘ্নে কাটালেও দলীয় ৮৮ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। ৩৭ বলে ৩২ রান করে লিটন সাজঘরে ফিরলেও ওয়ান ডাউনে নামা সাকিব আল হাসানকে নিয়ে জিম্বাবুয়ের বোলারদের শাসন অব্যাহত রাখেন তামিম।

    আগের ম্যাচের নায়ক সাকিব এই ম্যাচে অবশ্য ভালো ইনিংসের ইঙ্গিত দিয়েও বিদায় নেন ৩০ রান করে। তার আগে ৪২ বলের মোকাবেলায় হাঁকান একটি করে চার-ছক্কা। তামিম নিজের ছন্দ অনুযায়ী খেলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্রুততম শতক (৮৭ বলে)।

    তামিমের মারকুটে ইনিংস থামে ১১২ রানে। ৯৭ বলের মোকাবেলায় ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি। তামিমের বিদায়ের পরের বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ গোল্ডেন ডাকের শিকার হলে মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে হাল ধরেন প্রায় পাঁচ বছর পর খেলতে নামা নুরুল হাসান সোহান। মিঠুন ৫৭ বলে ৩০ রান করে বিদায় নিলে আফিফ হোসেন ধ্রুবকে নিয়ে সোহান লড়াই চালিয়ে যান।

    শেষপর্যন্ত এই জুটিই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়। সোহান ৩৯ বলে ৪৫ রান করে অপরাজিত থাকেন, হাঁকান ৬টি চার। মারকুটে ব্যাটিং দেখিয়েছেন আফিফও, ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৭ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। বাংলাদেশ জয় পায় ২ ওভার ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই।

    জিম্বাবুয়ের পক্ষে ডোনাল্ড টিরিপানো ও ওয়েসলে মাধেভেরে দুটি করে উইকেট শিকার করেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : বাংলাদেশ

    জিম্বাবুয়ে : ২৯৮/১০ (৪৯.৩ ওভার)
    চাকাভা ৮৪, বার্ল ৫৯, রাজা ৫৭
    সাইফউদ্দিন ৮৭/৩, মুস্তাফিজ ৫৭/৩, রিয়াদ ৪৫/২, সাকিব ৪৬/১, তাসকিন ৪৮/১

    বাংলাদেশ : ৩০২/৫ (৪৮ ওভার)
    তামিম ১১২, সোহান ৪৫*, লিটন ৩২, সাকিব ৩০, মিঠুন ৩০, আফিফ ২৬*
    মাধেভেরে ৪৫/২, টিরিপানো ৬১/২

    ফল : বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী
    সিরিজ : বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে জয়ী।

  • সাকিবের হার না মানা ‘৯৬’, বাংলাদেশের সিরিজ জয়

    সাকিবের হার না মানা ‘৯৬’, বাংলাদেশের সিরিজ জয়

    অবশেষে রানের ধারায় ফিরলেন সাকিব আল হাসান। ক্যারিয়ারের ৪৯তম অর্ধশতক হাঁকানোর দিনে অল্পের জন্য শতক হাতছাড়া হলেও দলকে রোমাঞ্চকর এক জয় এনে দিয়েছেন তিনি। হারারেতে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হল বাংলাদেশের। এর আগে প্রথম ওয়ানডেতে ১৫৫ রানের জয় পেয়েছিল টাইগাররা।

    রবিবার (১৮ জুলাই) টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন ওয়েসলে মাধেভেরের।

    এছাড়া অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলরের ৪৬, ডিওন মায়ার্সের ৩৪ ও রেগিস চাকাভার ২৬ রানের ইনিংসে ভর করে সম্মানজনক সংগ্রহ জড়ো করে স্বাগতিক দল।

    বাংলাদেশের পক্ষে শরিফুল ইসলাম চারটি ও সাকিব আল হাসান দুটি উইকেট শিকার করেন। একটি করে উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশ জড়ো করে ৩৯ রান। দলীয় ৪৬ রানে বিদায় নেন লিটন দাসও। ভালো শুরুর পর ছন্দপতন ঘটলে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তামিম ৩৪ বলে ২০ ও আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান লিটন ৩৩ বলে ২১ রান করেন।

    তাদের বিদায়ের পর ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পরিচয় দেন মোহাম্মদ মিঠুন ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। মিঠুন ৩ বলে ২ ও মোসাদ্দেক ৯ বলে ৫ রান করে সাজঘরে ফিরলে চাপ বর্তায় সাকিব আল হাসানের ওপর। তবে সাকিবকে রেখে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৩৫ বলে ২৬), মেহেদী হাসান মিরাজ (১৫ বলে ৬), আফিফ হোসেন ধ্রুবরা (২৩ বলে ১৫) একে একে সাজঘরে ফেরেন।

    এরপর লড়াইটা একাই চালিয়ে যান সাকিব। জয়কে যখন অসম্ভব মনে হচ্ছিল, তখন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে নিয়ে দেখেশুনে খেলে সচল রাখেন রানের চাকা। জিম্বাবুয়ের ফিল্ডারদের ক্যাচ ফসকানোর সুযোগ কাজে লাগিয়ে ধীরে ধীরে অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।

    শেষপর্যন্ত শেষ ওভারের প্রথম বলে সাকিবের ব্যাট থেকেই আসে জয়সূচক বাউন্ডারি। ৯৬ রানে অপরাজিত থেকে বাংলাদেশকে এনে দেন ৩ উইকেটের জয়। ১০৯ বলের মোকাবেলায় ৮টি চার হাঁকান সাকিব। একটি চার হাঁকানো সাইফউদ্দিন ৩৪ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন, যা জয়ে রেখেছে বড় ভূমিকা।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : জিম্বাবুয়ে

    জিম্বাবুয়ে ২৪০/৯ (৫০ ওভার)
    মাধেভেরে ৫৬, টেলর ৪৬, মায়ার্স ৩৪, রাজা ৩০
    শরিফুল ৪৬/৪, সাকিব ৪২/২, তাসকিন ৩৮/১, মিরাজ ৩৪/১, সাইফউদ্দিন ৫৪/১

    বাংলাদেশ : ১৪২/৭ (৫০ ওভার)
    সাকিব ৯৬*, সাইফউদ্দিন ২৮*, রিয়াদ ২৬, লিটন ২১, তামিম ২০,
    জংওয়ে ৪৬/২, এনগারাভা ৩৩/১

    ফল : বাংলাদেশ ৩ উইকেটে জয়ী।

  • সাকিবের ‘৫’ উইকেট, বাংলাদেশের ‘১৫৫’ রানের বিশাল জয়

    সাকিবের ‘৫’ উইকেট, বাংলাদেশের ‘১৫৫’ রানের বিশাল জয়

    হারারেতে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ১৫৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে শুভসূচনা করেছে বাংলাদেশ, যা রানের দিক থেকে বাংলাদেশের চতুর্থ বৃহত্তম জয়। লিটন দাসের শতকের পর সাকিব আল হাসানের ৫ উইকেট শিকারের দিনে বাংলাদেশের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি স্বাগতিক দল। এই জয়ে ওয়ানডে সুপার লিগে বাংলাদেশের পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়াল ৬০।

    হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৭৬ রান জড়ো করে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে দুর্দান্ত শতক হাঁকান ওপেনার লিটন কুমার দাস। ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতক হাঁকানোর দিনে ১১৪ বলের মোকাবেলায় ৮টি চারের সহায়তায় ১০২ রান করেন তিনি।

    এছাড়া বাংলাদেশের হয়ে ঝড়ো ইনিংস খেলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। মাত্র ৩৫ বলের মোকাবেলায় তার ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান। চওড়া ছিল মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটও, যিনি ২৫ বলে ২৬ রান করেন। তবে নীরবেই দলের প্রতিরোধ গড়ে তোলার কাজ করেছেন ‘সাইলেন্ট কিলার’ খ্যাত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। লিটনের সাথে পঞ্চম উইকেটে ৯৩ রানের জুটি গড়ার পথে ৫২ বলে ৩৩ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন তিনি।

    জিম্বাবুয়ের পক্ষে এদিন লুক জংওয়ে শিকার করেন তিনটি উইকেট। এছাড়া দুটি করে উইকেট শিকার করেন ব্লেসিং মুজারাবানি ও রিচার্ড এনগারাভা।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ৪ রানেই প্রথম উইকেট হারিয়ে ফেলে জিম্বাবুয়ে। মিডল অর্ডারে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন ব্রেন্ডন টেলর (৩১ বলে ২৪), অভিষিক্ত ডিওন মায়ার্স (২৪ বলে ১৮) ও রেগিস চাকাভা। অধিনায়ক টেলর ও মায়ার্স সাজঘরে ফিরলেও মারকুটে ভঙ্গিমায় ব্যাটিং চালিয়ে যান চাকাভা।

    তবে চাকাভাকে ফিরতে হয় অর্ধশতকের পরপরই। ৫১ বলে ৫৪ রান করে সাকিব আল হাসানের শিকারে পরিণত হন চাকাভা, যিনি এর আগে শিকার করেন আরও তিনটি উইকেট। শেষপর্যন্ত সাকিব একাই পেয়েছেন পাঁচটি উইকেট। ১২১ রানে সাকিবের শিকার হয়ে রিচার্ড এনগারাভা সাজঘরে ফিরলে শেষ ব্যাটসম্যান টিমিসেন মারুমা মাঠে নামেননি। এতে ১৫৫ রানের বিশাল জয় পায় বাংলাদেশ।

    বাংলাদেশের পক্ষে পাঁচ উইকেট পাওয়া সাকিব ৯.৫ ওভার বল করে মাত্র ৩০ রান খরচ করেছেন, মেডেন ওভার ছিল তিনটি। এছাড়া একটি করে উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শরিফুল ইসলাম।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : জিম্বাবুয়ে

    বাংলাদেশ : ২৭৬/৯ (৫০ ওভার)
    লিটন ১০২, আফিফ ৪৫, রিয়াদ ৩৩, মিরাজ ২৬
    জংওয়ে ৫১/৩, মুজারাবানি ৪৭/২, এনগারাভা ৬১/২

    জিম্বাবুয়ে : ১২১/৯ (২৮.৫ ওভার)
    চাকাভা ৫৪, টেলর ২৪
    সাকিব ৩০/৫, তাসকিন ২২/১

    ফল : বাংলাদেশ ১৫৫ রানে জয়ী।

  • রিয়াদের বিদায়ী টেস্টে বাংলাদেশের রেকর্ড গড়া জয়

    রিয়াদের বিদায়ী টেস্টে বাংলাদেশের রেকর্ড গড়া জয়

    ৫০তম টেস্টেই নিজের ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টেস্টে তার শেষ ম্যাচে দল পেয়েছে রানের হিসেবে নিজেদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জয়, যা বিদেশের মাটিতে টাইগারদের সর্বোচ্চ রানের জয়। ব্যাট হাতে ১৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস উপহার দিয়ে যে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন খোদ রিয়াদ।

    রিয়াদের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসের সাথে লিটন দাসের ৯৫, তাসকিন আহমেদের ৭৫ ও অধিনায়ক মুমিনুল হকের ৭০ রানের ইনিংসে ভর করে ৪৬৮ রান জড়ো করে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসানের বোলিং তোপে অলআউট হয় ২৭৬ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ১ উইকেটে ২৮৪ রান নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে। দলের পক্ষে শতক হাঁকান সাদমান ইসলাম (১১৫*) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (১১৭)। এতে জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৭৭।

    সেই লক্ষ্য তাড়া করতে হলে গড়তে হত বিশ্বরেকর্ড। তবে জিম্বাবুয়ের সামনে সুযোগ ছিল ড্র করার। সেক্ষেত্রে ব্যাট করতে হত ১৩০ ওভারের মত। স্বাগতিকরা ব্যাট করতে সমর্থ হয়েছে ৯৪.৪ ওভার। ২৫৬ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ শেষ দিনের দ্বিতীয় সেশনেই জয় নিশ্চিত করেছে।

    যদিও দ্বিতীয় সেশনে ডোনাল্ড টিরিপানো ও ব্লেসিং মুজারাবানির গড়া প্রতিরোধ ধৈর্যের পরীক্ষা নিয়েছে বাংলাদেশের। প্রথম সেশনের পারফরম্যান্সে দুইশর নিচে জিম্বাবুয়েকে অলআউটের সম্ভাবনা জাগিয়েও টাইগারদের লড়তে হয়েছে দ্বিতীয় সেশনের ‘অতিরিক্ত সময়’ পর্যন্ত। টিরিপানো ১৪৪ বলে ৫২ রান করে ফেরেন সাজঘরে। ৫১ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন মুজারাবানি। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে তাসকিনের সাথে তার মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ দৃশ্যমান হয়েছে বারবার।

    রানের হিসেবে ২২০ রানের এই জয় বাংলাদেশের জন্য দ্বিতীয় বৃহত্তম। রানের হিসেবে সবচেয়ে বড় জয় ছিল ২২৬ রানের, এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। রিয়াদের কাব্যিক ইনিংস ছাড়াও বল হাতে জয়ে বড় অবদান রেখেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ ও সাকিব আল হাসান।

    প্রথম ইনিংসে মিরাজ পেয়েছিলেন পাঁচ উইকেট, সাকিব চারটি। দ্বিতীয় ইনিংসে চারটি করে পেয়েছেন তাসকিন ও মিরাজ। এবাদত ও সাকিব পান একটি করে উইকেট।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : বাংলাদেশ

    বাংলাদেশ ১ম ইনিংস : ৪৬৮/১০ (১২৬ ওভার)
    রিয়াদ ১৫০*, লিটন ৯৫, তাসকিন ৭৫, মুমিনুল ৭০
    মুজারাবানি ৯৪/৪, তিরিপানো ৫৮/২

    জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস : ২৭৬/১০ (১১১.৫ ওভার)
    কাইতানো ৮৭, টেলর ৮১, শুম্বা ৪১
    মিরাজ ৮২/৫, সাকিব ৮২/৪

    বাংলাদেশ ২য় ইনিংস : ২৮৪/১ ডিক্লেয়ার (৬৭.৪ ওভার)
    শান্ত ১১৭*, সাদমান ১১৫*, সাইফ ৪৩;
    এনগারাভা ১/৩৬

    জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংস : ২৫৬/১০ (৯৪.৪ ওভার)
    টেলর ৯২, টিরিপানো ৫২, মুজারাবানি ৩০*, মায়ার্স ২৬,
    মিরাজ ৬৬/৪, তাসকিন ৮২/৪

    ফল : বাংলাদেশ ২২০ রানে জয়ী।

  • পিপিই-কিট কেনায় দুর্নীতি, জিম্বাবুয়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেপ্তার

    পিপিই-কিট কেনায় দুর্নীতি, জিম্বাবুয়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেপ্তার

    করোনা পরিস্থিতির মধ্যে গ্রেফতার হলেন জিম্বাবুয়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওবাদিয়াহ মোয়ো। পিপিই ও কিট কেনায় দুর্নীতির অভিযোগে দেশটির দুর্নীতি দমন সংস্থা তাকে গ্রেফতার করে।

    আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার গ্রেফতারের পর তাকে হারারের একটি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

    শনিবার তাকে আদালতে তোলা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
    জন ম্যাকামুর নামে জিম্বাবুয়ের দুর্নীতি দমন কমিশনের এক মুখপাত্র ওবাদিয়াহ মোয়োকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    তিনি জানান, মোয়োকে হারারের রোডেসভাইল পুলিশ স্টেশনে রাখা হয়েছে।

    তার বিরুদ্ধে ড্রাক্স ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে অনিয়মের মাধ্যমে করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় জরুরি ওষুধ ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ (পিপিই) সরবরাহে ৪২ মিলিয়ন ডলারের কাজ পেতে সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছে।

    এ ঘটনায় ড্রাক্স ইন্টারন্যাশনালের স্থানীয় প্রতিনিধিকেও গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। এর আগে জিম্বাবুয়ের সাবেক পর্যটন মন্ত্রীকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে টাইগারদের ইতিহাস

    জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে টাইগারদের ইতিহাস

    মিরপুরে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ৯ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। তিন ফরম্যাটের পূর্ণাঙ্গ সিরিজে এবারই প্রথম প্রতিপক্ষকে সব ম্যাচে হারাল টাইগাররা। এর আগে একমাত্র টেস্ট জয়ের পর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও সফরকারী জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ।

    ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে। টাইগার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলতেই হিমশিম খায় জিম্বাবুয়ে। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ১১৯ রান।

    দলের পক্ষে অর্ধ-শতক হাঁকান অভিজ্ঞ ওপেনার ব্রেন্ডন টেলর। ৪৮ বলের মোকাবেলায় ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি, হাঁকিয়েছেন ৬টি চার ও ১টি ছক্কা। এছাড়া ৩৩ বলে ২৯ রান করে ক্রেইগ আরভিন।

    বাংলাদেশের পক্ষে দুই পেসার আল-আমিন হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান দুটি করে উইকেট শিকার করেন। এছাড়া একটি করে উইকেট পান আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদী হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ দারুণ শুরু পায় দুই ওপেনারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে। নাইম শেখকে সঙ্গে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে লিটন দাস যোগ করেন ৭৭ রান। ১১তম ওভারে নাইম বিদায় নেন ৩৪ বলে ৩৩ রান করে।

    তবে তাতে লিটনের দারুণ ব্যাটিং বাধাগ্রস্ত হয়নি। সৌম্য সরকারকে সঙ্গী করে দেখেশুনে খেলা লিটন পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি। শেষপর্যন্ত দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন, ৯ উইকেট ও ২৫ বল হাতে রেখেই।

    ৮টি চার হাঁকানো লিটন ৬০ রান করে অপরাজিত থাকেন, মোকাবেলা করেছেন ৪৫ বল। তার সঙ্গী সৌম্য ১৬ বলে ২০ রান করে জয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস: বাংলাদেশ

    জিম্বাবুয়ে ১১৯/৭ (২০ ওভার)
    টেলর ৫৯*, আরভিন ২৯, রাজা ১২
    আল-আমিন ২২/২, মুস্তাফিজ ২৫/২

    বাংলাদেশ ১২০/১ (১৫.৫ ওভার)
    লিটন ৬০*, নাইম ৩৩, সৌম্য ২০*
    এমপফু ২৭/১

    ফল: বাংলাদেশ ৯ উইকেটে জয়ী
    সিরিজ: বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে জয়ী।

  • টাইগারদের দাপুটে জয়

    টাইগারদের দাপুটে জয়

    একমাত্র টেস্টে জয়ের পর তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজেও জিম্বাবুয়েকে বিধ্বস্ত করেছে বাংলাদেশ দল। হারিয়েছে ৩-০ ব্যবধানে। এবার মিশন টি-টোয়েন্টি। যেখানে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৪৮ রানের জয় তুলে নিয়েছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন টাইগাররা।

    এদিন শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক শন উইলিয়ামস। পরে লিটন দাসকে নিয়ে নিজেদের ইনিংস শুরু করতে আসেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নতুন অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

    ম্যাচের শুরু থেকেই ব্যাট চালিয়ে খেলতে থাকেন দুজন। পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে তোলেন ৫৯ রান। তবে দুর্দান্ত শুরু করলেও খানিক আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তামিমকে। ৩৩ বলে ৪১ রান করে আউট হন তিনি।

    তামিম না পারলেও অর্ধশতক পূরণ করেন লিটন। ৩১ বলে ব্যক্তিগত পঞ্চাশ রানের কোটা ছোঁয়ার পর ৫৯ রানের সময় সিকান্দার রাজার শিকারে পরিণত হয়ে ফেরেন তিনি। ৫টি চারের সাথে ৩টি ছক্কার মারে নিজের ইনিংসটি সাজান লিটন।

    এরপর মুশফিকুর রহিমও ১৭ রান করে আউট হলে দলের হাল ধরেন সৌম্য সরকার। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অপরাজিত ১৪ রানের সাথে শেষদিকে ফিফটি তুলে নেওয়া সৌম্যর ৩৯ বলে ৪টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে করা ৫৯ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে সমান ২০০ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ দল।

    ২০১ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। ব্যক্তিগত ১ এবং দলীয় ১১ রানের রানের সময় শফিউল ইসলামের বলে সৌম্যর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ব্রেন্ডন টেলর। এরপর ৮ রানে থাকা ক্রেইগ আরভিন মুস্তাফিজের বলে আউট হলে মাধেভেরে রান আউট হন ৪ রান করে।

    কামুনহুকামুয়ে ও উইলিয়ামস কিছুটা চেষ্টা চালালেও ইনিংসের নবম ওভারে দুই ব্যাটসম্যানকেই ফেরান স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। খানিক পর রাজাও একই পথের সারথি হলে ৮৩ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে জিম্বাবুয়ে।

    শেষদিকে আর কোনো ব্যাটসম্যান প্রতিরোধ গড়তে না পারলে ১৫২ রানেই অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা। ফলে ৪৮ রানে ম্যাচ জিতে ২ ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ দল। টাইগারদের সমান ৩টি করে উইকেট নেন লেগস্পিনার বিপ্লব ও পেসার মুস্তাফিজ।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    বাংলাদেশ: ২০০/৩ (২০ ওভার)
    সৌম্য ৬২*, লিটন ৫৯, তামিম ৪১; ভাধেভেরে ১/১৫, রাজা ১/৩১।

    জিম্বাবুয়ে: ১৫২/১০ (১৯ ওভার)
    কামুনহুকামুয়ে ২৮, মুম্বা ২৫, উইলিয়ামস ২০; বিপ্লব ৩/৩৪, মুুস্তাফিজ ৩/৩৪।

    ফল: বাংলাদেশ ৪৮ রানে জয়ী।

  • হোয়াইটওয়াশ দিয়ে অধিনায়ক মাশরাফি যুগের অবসান

    হোয়াইটওয়াশ দিয়ে অধিনায়ক মাশরাফি যুগের অবসান

    বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে ডানওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে জিম্বাবুয়েকে ১২৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। সিলেটে অনুষ্ঠিত আজকের ম্যাচটি ছিল অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি বিন মুর্তজার শেষ ম্যাচ। লিটন-তামিমের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ স্মরণীয় ম্যাচে জয় পেয়েছে অনায়াসেই।

    টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টির বাগড়ায় পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। তবে তার আগেই দলকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। বৃষ্টিতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে ৪৩ ওভারে নেমে আসলে ফের মাঠে নেমে মারকুটে ব্যাটিং শুরু করেন দুই ওপেনার।

    একপর্যায়ে দেশের হয়ে যেকোনো উইকেটে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডও গড়ে ফেলেন দুজনে। দলীয় ২৯২ রানে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। আগের ম্যাচে তামিম ইকবালের গড়া ১৫৮ রানের রেকর্ড ভেঙে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস গড়ে সাজঘরে ফেরেন ১৭৬ রান করা লিটন। ১৪৩ বলের মোকাবেলায় হাঁকিয়েছেন ১৬টি চার ও ৮টি ছক্কা।

    লিটন সাজঘরে ফিরলেও তামিম থাকেন অপরাজিত। ১০৯ বলে ১২৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে, যে ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৬টি ছক্কা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩ ও অভিষিক্ত আফিফ হোসেন ধ্রুব ৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। আরেক অভিষিক্ত নাইম শেখ ব্যাট হাতে নামারই সুযোগ পাননি।

    জিম্বাবুয়ের পক্ষে তিনটি উইকেটই শিকার করেন কার্ল মুম্বা। নির্ধারিত ৪৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩২২ রান। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৪২ রান।

    বড় জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তোলার চেষ্টা করে জিম্বাবুয়ে। এতে দলটি নিয়মিত বিরতিতে উইকেটও হারাতে থাকে। শন উইলিয়ামস, রেগিস চাকাভা, সিকান্দার রাজা, ওয়েসলে মাধেভেরেরা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেও সফল হননি। সতীর্থদের ব্যর্থতায় দল চাপে পড়ে গেলে তাদের প্রচেষ্টা দলের জয়ের কারণ হতে পারেনি। শেষপর্যন্ত ৩৭.৩ ওভার ব্যাট করে জিম্বাবুয়ের ইনিংস গুটিয়ে যায় ২১৮ রানে।

    দলের পক্ষে সর্বোচ্চ স্কোর গড়েন রাজা- ৫০ বলের মোকাবেলায় ৬১ রান। এছাড়া মাধেভেরে ৪২, চাকাভা ৩৪ ও ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক উইলিয়ামস ৩০ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন চারটি, তাইজুল ইসলাম দুটি এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব, মুস্তাফিজুর রহমান ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা একটি করে উইকেট শিকার করেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস: জিম্বাবুয়ে

    বাংলাদেশ ৩২২/৩ (৪৩ ওভার)
    লিটন ১৭৬, তামিম ১২৮*, আফিফ ৭
    মুম্বা ৮-০-৬৯-৩

    জিম্বাবুয়ে ২১৮/১০ (৩৭.৩ ওভার)
    রাজা,৬১ মাধেভেরে ৪২, চাকাভা ৩৪, উইলিয়ামস ৩০
    সাইফউদ্দিন ৪১/৪, তাইজুল ৩৮/২, আফিফ ১২/১, মুস্তাফিজ ৩২/১, মাশরাফি ৪৭/১

    ফল: বাংলাদেশ ১২৩ রানে জয়ী (ডি/এল পদ্ধতিতে)
    সিরিজ: বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে জয়ী

  • টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা,নতুন মুখ নাসুম

    টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা,নতুন মুখ নাসুম

    জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

    মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে অধিনায়ক করে ঘোষিত দলে নতুন মুখ নাসুম আহমেদ। তাছাড়া লম্বা বিরতির পর দলে ফিরেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এছাড়া স্বেচ্ছায় পাকিস্তান সিরিজের দল থেকে বাইরে থাকা মুশফিকুর রহিমও ফিরেছেন দলে।

    নাসুম ও সাইফউদ্দিনের জাতীয়ে দলে ডাক পাওয়ার ভীড়ে দল থেকে বাদ পড়েছেন তিন ক্রিকেটার। তারা হলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, মোহাম্মদ মিঠুন ও রুবেল হোসেন। সবশেষ বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফরের টি-টোয়েন্টি দলে ছিলেন তারা।

    জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘোষিত ১৫ সদস্যের দলে ডাক পাওয়া নাসুম বল হারে নজর কেড়েছিলেন বিপিএলে। খুব আহামরি পারফরম্যান্স না করলেও পরিস্থিতি অনুযায়ী বল করার সক্ষমতায় প্রশংসা কুঁড়িয়েছিলেন তিনি। সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে ১৩ ম্যাচ থেকে ৬ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে খেলা এ বাঁ-হাতি অর্থোডক্স বোলার।

    ওয়ানডে সিরিজ শেষে ঢাকায় ফিরবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। এরপর মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সিরিজে লড়বে উভয় দল। হোম অব ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে ৯ ও ১১ই মার্চ।

    টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাংলাদেশ দল: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল খান, সৌম্য সরকার, নাইম শেখ, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মুস্তাফিজুর রহমান, শফিউল ইদলাম, আল-আমিন হোসেন, হাসান মাহমুদ ও নাসুম আহমেদ।

  • টাইগারদের সিরিজ জয়

    টাইগারদের সিরিজ জয়

    সিলেটে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে ৪ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। আজকের জয়ে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টাইগাররা। এর আগে প্রথম ম্যাচে ১৬৯ রানের বিশাল জয় পেয়েছিল টাইগাররা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বড় স্কোরের বিপক্ষে লড়াকু পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছে জিম্বাবুয়ে।

    মঙ্গলবার (৩ মার্চ) টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩২২ রান জড়ো করে বাংলাদেশ। ওপেনার তামিম ইকবাল দুঃসময় পেছনে ফেলে ১৫৮ রানের ঝলমলে ইনিংস উপহার দেন, যার মাধ্যমে গড়েন অনেকগুলো রেকর্ড।

    ১৩৬ বলের মোকাবেলায় তামিম এদিন হাঁকান ২০টি চার ও ৩টি ছক্কা। ক্রিজে ছিলেন ৪৬তম ওভার পর্যন্ত। তামিমের যোগ্য সঙ্গী হয়ে উঠেছিলেন মুশফিকুর রহিম। উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে আসে ৫৫ রান, ৫০ বলের মোকাবেলায়। মুশফিক হাঁকিয়েছেন ৬টি চার। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৫৭ বল ৪১ ও মোহাম্মদ মিঠুন ১৮ বলে ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন।

    জিম্বাবুয়ের পক্ষে দুটি করে উইকেট শিকার করেন ডোনাল্ড টিরিপানো ও কার্ল মুম্বা।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা জিম্বাবুয়ে শুরুতেই হারিয়ে ফেলে ওপেনার রেগিস চাকাভাকে। সুবিধা করতে পারেননি ব্রেন্ডন টেলর ও অধিনায়ক শন উইলিয়ামসও। তবে ওয়েসলে মাধেভেরেকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ওপেনার তিনাশে কামুনহুকামুয়ে। ৭০ বলে ৫১ রান করে বিদায় নেন কামুনহুকামুয়ে।

    এরপর সিকান্দার রাজাকে নিয়ে লড়াই চালয়ে যান মাধেভেরে। যদিও অর্ধ-শতক তোলার পর সাজঘরে ফেরেন মাধেভেরেও (৫৭ বলে ৫২)। দলীয় রান ২০০ পার হওয়ার পর রিচমন্ড মুতুম্বানিকে হারিয়ে চাপে পড়া জিম্বাবুয়ে অর্ধ-শতক হাঁকানো রাজাকেও (৫৭ বলে ৬৬) হারালে খেই হারায়। শেষদিকে টিনোটেন্ডা মুতমবদজি ও ডোনাল্ড টিরিপানোর প্রচেষ্টা পরাজয়ের ব্যবধান কমালেও দলকে জয় এনে দিতে পারেনি, যদিও বাংলাদেশের মনে ভীতির সঞ্চার করতে পেরেছিলেন সফলভাবেই।

    নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩১৮ রান। মুতমবদজি ২১ বলে ৩৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ৫টি ছক্কা হাঁকানো টিরিপানো ২৮ বলে ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষদিকে টিরিপানোর মারকুটে ব্যাটিং জিম্বাবুয়ের জয়ের সম্ভাবনা জাগালেও অল্পের জয় জয়বঞ্চিত থাকে সফরকারীরা। ৫০তম ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০ রান, জিম্বাবুয়ে সংগ্রহ করে ১৫ রান।

    বাংলাদেশের পক্ষে তাইজুল ইসলাম তিনটি এবং মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা, শফিউল ইসলাম ও আল-আমিন হোসেন একটি করে উইকেট শিকার করেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর (দ্বিতীয় ওয়ানডে)

    টস: বাংলাদেশ

    বাংলাদেশ ৩২২/৮ (৫০ ওভার)
    তামিম ১৫৮, মুশফিক ৫৫, রিয়াদ ৪১, মিঠুন ৩২*
    টিরিপানো ৫৫/২, মুম্বা ৬৪/২

    জিম্বাবুয়ে ৩১৮/৮ (৫০ ওভার)
    রাজা ৬৬, টিরিপানো ৫৫*, মেধেভেরে ৫২, কামুনহুকামুয়ে ৫১
    তাইজুল ৫২/৩, মিরাজ ২৫/১, মাশরাফি ৫২/১, শফিউল ৭৬/১, আল-আমিন ৮৫/১

    ফল: বাংলাদেশ ৪ রানে জয়ী
    সিরিজ: এক ম্যাচ হাতে রেখেই বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে জয়ী।