সিলেটে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ১৬৯ রানের বড় ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১২৫ রান করেন লিটন এবং বল হাতে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট লাভ করেন ।
আগে ব্যাট করে জিম্বাবুয়েকে ৩২২ রানের বড় লক্ষ্য ছুড়ে দেয় বাংলাদেশ। সেটির লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় এক রানে সাইফউদ্দিনের বলে বোল্ড হন জিম্বাবুয়ে দলের ওপেনার। দ্বিতীয় উইকেট জুটিও বেশি বড় হয়নি। মাত্র দলীয় ২৩ রানে ফের বাংলাদেশকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন সাইফউদ্দিন। চাকাভাকে এলবিডব্লুতে পরাস্ত করেন সাইফ।
দীর্ঘ সময় পর জাতীয় দলে ফিরে নিজের প্রথম উইকেট করেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক চিবাবার উইকেট নিয়ে। দলের বিপদ বাড়ে দলীয় ৪৪ রানে ব্রেন্ডন টেইলর আউট হলে। তাইজুলের বলে বোল্ড হন তিনি। দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে হাল ধরেন মাধেভেরে ও সিকান্দার রাজা। দুইজন মিলে বেশ দায়িত্ব নিয়েই ব্যাটিং করেন। তবে রাজার ধৈর্যর বাঁধ ভাঙে দলীয় ৭৯ রানে। মুস্তাফিজের বলে ব্যক্তিগত ১৮ রান করে ক্যাচ তুলে দেন রাজা।
নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি মাধেভেরেও। মিরাজের বলে ক্যাচ তুলে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। অবশ্য ম্যাচের অর্ধেকের বেশি ততক্ষণে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল। ব্যক্তিগত ১৭ রান করে শান্তর দারুণ থ্রোতে রান আউটের শিকার হন মুতুম্বাবি। দলীয় ১০৯ রানে ৮ম উইকেটের পতন হয় জিম্বাবুয়ের। শেষ পর্যন্ত রানেই শেষ হয়ে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট নিয়ে স্কোরবোর্ডে ৩২১ রান তুলে বাংলাদেশ। তিনশ করার পেছনে ব্যাট হাতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন লিটন। ব্যাট হাতে ১২৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। যদিও ক্রিজে থাকতে পারলে ব্যক্তিগত রান আরও হলেও হতে পারত লিটনের। পায়ের মাংশ পেশিতে টান লাগায় সঙ্গে সঙ্গেই মাঠ ছাড়েন লিটন।
পরবর্তীতে আর মাঠে নামেননি। লিটন বাদে ফিফটি করেছেন মিঠুন। ৫০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এছাড়াও শেষদিকে ১৫ বলে ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সাইফউদ্দিন।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশ ৩২১-৬ (ওভার ৫০)
লিটন ১২৬*, মিঠুন ৫০: এমপোফু ২-৬৮
জিম্বাবুয়ে ১৫২ (ওভার ৩৯.১)
মাধেভেরে ৩৫, রাজা ১৮: সাইফউদ্দিন ৩-২২
ফলাফলঃ ১৬৯ রানে জয়ী বাংলাদেশ।