Tag: জিম্বাবুয়ে

  • জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

    জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

    সিলেটে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ১৬৯ রানের বড় ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১২৫ রান করেন লিটন এবং বল হাতে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট লাভ করেন ।

    আগে ব্যাট করে জিম্বাবুয়েকে ৩২২ রানের বড় লক্ষ্য ছুড়ে দেয় বাংলাদেশ। সেটির লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় এক রানে সাইফউদ্দিনের বলে বোল্ড হন জিম্বাবুয়ে দলের ওপেনার। দ্বিতীয় উইকেট জুটিও বেশি বড় হয়নি। মাত্র দলীয় ২৩ রানে ফের বাংলাদেশকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন সাইফউদ্দিন। চাকাভাকে এলবিডব্লুতে পরাস্ত করেন সাইফ।

    দীর্ঘ সময় পর জাতীয় দলে ফিরে নিজের প্রথম উইকেট করেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক চিবাবার উইকেট নিয়ে। দলের বিপদ বাড়ে দলীয় ৪৪ রানে ব্রেন্ডন টেইলর আউট হলে। তাইজুলের বলে বোল্ড হন তিনি। দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে হাল ধরেন মাধেভেরে ও সিকান্দার রাজা। দুইজন মিলে বেশ দায়িত্ব নিয়েই ব্যাটিং করেন। তবে রাজার ধৈর্যর বাঁধ ভাঙে দলীয় ৭৯ রানে। মুস্তাফিজের বলে ব্যক্তিগত ১৮ রান করে ক্যাচ তুলে দেন রাজা।

    নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি মাধেভেরেও। মিরাজের বলে ক্যাচ তুলে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। অবশ্য ম্যাচের অর্ধেকের বেশি ততক্ষণে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল। ব্যক্তিগত ১৭ রান করে শান্তর দারুণ থ্রোতে রান আউটের শিকার হন মুতুম্বাবি। দলীয় ১০৯ রানে ৮ম উইকেটের পতন হয় জিম্বাবুয়ের। শেষ পর্যন্ত রানেই শেষ হয়ে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস।

    এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট নিয়ে স্কোরবোর্ডে ৩২১ রান তুলে বাংলাদেশ। তিনশ করার পেছনে ব্যাট হাতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন লিটন। ব্যাট হাতে ১২৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। যদিও ক্রিজে থাকতে পারলে ব্যক্তিগত রান আরও হলেও হতে পারত লিটনের। পায়ের মাংশ পেশিতে টান লাগায় সঙ্গে সঙ্গেই মাঠ ছাড়েন লিটন।

    পরবর্তীতে আর মাঠে নামেননি। লিটন বাদে ফিফটি করেছেন মিঠুন। ৫০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এছাড়াও শেষদিকে ১৫ বলে ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সাইফউদ্দিন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

    বাংলাদেশ ৩২১-৬ (ওভার ৫০)

    লিটন ১২৬*, মিঠুন ৫০: এমপোফু ২-৬৮

    জিম্বাবুয়ে ১৫২ (ওভার ৩৯.১)

    মাধেভেরে ৩৫, রাজা ১৮: সাইফউদ্দিন ৩-২২

    ফলাফলঃ ১৬৯ রানে জয়ী বাংলাদেশ।

  • ইনিংস ব্যবধানে জিতলো বাংলাদেশ

    ইনিংস ব্যবধানে জিতলো বাংলাদেশ

    জিম্বাবুয়েকে মিরপুর টেস্টে একেবারেই সুবিধা করতে দেয়নি বাংলাদেশ। প্রায় দেড় দিন হাতে রেখে ইনিংস ও ১০৬ রানের জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।

    শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়েকে ২৬৫ রানে বেঁধে ফেলে টাইগাররা। ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেটে সতীর্থরা যেখানে ব্যর্থ হয়ে ফিরেছেন, সেখানে রীতিমত একা লড়াই চালিয়ে ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি তুলে নেন দলটির অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। বাংলাদেশের হয়ে আবু জায়েদ রাহী এবং নাঈম হাসান নেন সমান ৪টি করে উইকেট।

    প্রতিপক্ষকে অলআউট করে ব্যাট করতে নামে স্বাগতিকরা। যেখানে প্রথম এবং একমাত্র বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি স্বাদ পান মুশফিকুর রহিম। একই সাথে তামিম ইকবালকে টপকে বাংলাদেশের হয়ে এ ফরম্যাটে সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে যান ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান।

    পাশাপাশি ব্যক্তিগত নবম সেঞ্চুরি এবং অধিনায়ক হিসেবে মুমিনুল হকের প্রথম শতকের সাথে নাজমুল হোসেন শান্ত এবং লিটন দাসের ফিফটি ছাড়ানো ইনিংসের উপর ভর করে ৫৬০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ দল।

    ম্যাচের তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে বাংলাদেশ থেকে ২৯৫ রানে পিছিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে জিম্বাবুয়ে। তবে সুবিধা করতে পারেনি এবারও। সফরকারী শিবিরে শুরুতেই আঘাত হানেন নাঈম। শূন্য রানে ফেরান মাসভাউরে এবং টিরিপানোকে। এবারও প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন আরভিন, কিন্তু ৪৩ রানের মাথায় মুমিনুলের দুর্দান্ত এক থ্রোতে রান আউট হয়ে ফিরতে হয় তাকে।

    এরপর সিকান্দার রাজা ৩৭ ও মারুমা ৪১ রান করে আউট হলে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮৯ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ফলে দুই ইনিংস মিলিয়েও এক ইনিংসে বাংলাদেশের তোলা ৫৬০ রান টপকাতে ব্যর্থ হওয়ায় ইনিংস এবং ১০৬ রানে ম্যাচ হারতে হয় জিম্বাবুয়েকে। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট পাওয়া নাঈম দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন।

    এ জয়ের ফলে টানা ৬ ম্যাচ পর সাদা পোশাকের ক্রিকেটে জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ দল। পাঁচ দিনের ক্রিকেটে টাইগারদের পরবর্তী মিশন পাকিস্তান।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    জিম্বাবুয়ে: প্রথম ইনিংস- ২৬৫/১০
    আরভিন ১০৭, মাসভাউর ৬৪, চাকাভা ৩০; নাঈম ৪/৭০, রাহী ৪/৭১, তাইজুল ২/৯০।

    দ্বিতীয় ইনিংস- ১৮৯/১০
    আরভিন ৪৩, রাজা ৩৭, মারুমা ৪১; নাঈম ৫/৮২, তাইজুল ৪/৭৮।

    বাংলাদেশ: প্রথম ইনিংস ৫৬০/৬ ডিক্লেয়ার
    মুশফিক ২০৩*, মুমিনুল ১৩২, শান্ত ৭১; লোভু ২/১৭০, তাসুমা ১/৮৫।

  • মুশফিক-মমিনুল-নাঈমে মিরপুর টেস্ট বাংলাদেশের দখলে

    মুশফিক-মমিনুল-নাঈমে মিরপুর টেস্ট বাংলাদেশের দখলে

    মিরপুরে একমাত্র টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ে। ম্যাচের তৃতীয় দিনে মুমিনুল হকের শতকের সাথে মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরির পর নাঈম হাসানের স্পিন বিষে চালকের আসে স্বাগতিকরা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৮৬ রানে লিড নিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ দল।

    মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রানে গুঁটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। পরে ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ৩ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা। তৃতীয় দিনে আজ (সোমবার) মুমিনুল ৭৯ এবং মুশফিক ৩২ রান নিয়ে আবার ব্যাট করতে নামেন।

    দিনের শুরুর দিকেই ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি তুলে নেন মুমিনুল। ১৫৬ বলে ক্যারিয়ারের নবম এবং অধিনায়ক হিসেবে প্রথম শতক পূরণ করা বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান ১২টি চার হাঁকান। ৩৫২ রানে লাঞ্চ বিরতিয় যায় বাংলাদেশ। দুপুরের খাবার সেরে এসে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মুশফিকও। ১০০ রানের কোটা পূরণ করতে ১৬০টি বল ব্যবহার করেন তিনি।

    এরপর খানিক ছন্দপতন হয় বাংলাদেশ শিবিরে। ১৩২ রানে থাকা মুমিনুল আউট হলে ভাঙে চতুর্থ উইকেটে দুজনের ২২২ রানের পার্টনারশিপ। খানিক পর মিঠুনও ১৭ রান করে ফিরে গেলে মুশফিককে সঙ্গ দেন লিটস দাস। টেস্ট মেজাজে ব্যাটিং করা লিটন নিজের অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন ৯৩ বলে।

    ফিফটির স্বাদ পাওয়া লিটন ৫৩ রানে সাজঘরে ফেরার পর আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। প্রথম এবং একমাত্র বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসবে টেস্টে তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক। একই সাথে তামিম ইকবালকে টপকে বাংলাদেশের হয়ে এ ফরম্যাটে সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে যান ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান।

    মুশফিকের দ্বিশতকের পর ৬ উইকেটে দলীয় ৫৬০ রানে নিজেদের ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ দল। যেখানে মুশফিক ২০৩ এবং তাইজুল অপরাজিত থাকেন ১৩ রান নিয়ে।

    শেষ বিকেলে বাংলাদেশ থেকে ২৯৫ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং নামে জিম্বাবুয়ে। যেখানে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই সফরকারী শিবিরে আঘাত হানেন টাইগার স্পিনার নাঈম হাসান। শূন্য রানে ফেরান ওপেনার মাসভাউরেকে। পরের বলেই নাঈমের শিকার নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে ব্যাট করতে নামা টিরিপানো।

    পরে দলকে আর কোনো বিপদ হতে না দিয়ে ৯ রানে দিনের খেলা শেষ করে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ থেকে ২৮৬ রান পিছিয়ে কাসুজা ৮ এবং টেলর ১ রান নিয়ে আগামীকাল ম্যাচের চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    জিম্বাবুয়ে: প্রথম ইনিংস- ২৬৫/১০
    আরভিন ১০৭, মাসভাউর ৬৪, চাকাভা ৩০; নাঈম ৪/৭০, রাহী ৪/৭১, তাইজুল ২/৯০।

    দ্বিতীয় ইনিংস- ৯/২
    কাসুজা ৮*, টেলর ১*; নাঈম ৪/২।

    বাংলাদেশ: প্রথম ইনিংস ৫৬০/৬ ডিক্লেয়ার
    মুশফিক ২০৩*, মুমিনুল ১৩২, শান্ত ৭১; লোভু ২/১৭০, তাসুমা ১/৮৫।

  • শান্ত-মুমিনুলের ব্যাটে দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশের

    শান্ত-মুমিনুলের ব্যাটে দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশের

    একমাত্র টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ে। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ৬ উইকেটে ২২৮ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়েকে আজ সুবিধা করতে দেয়নি বাংলাদেশি বোলাররা। অলআউট করেছে ২৬৫ রানে। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তর ও মুমিনুল হকের ফিফটিতে ২৪০ রানে দিন শেষ করেছে টাইগাররা।

    মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ে দলীয় অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রানে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছিল। যেখানে বাংলাদেশের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন স্পিনার নাঈম হাসান।

    আজ (রোববার) ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে চাকাভা ৭ এবং টিরিপানো ০ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামেন। আগের দিনের সাথে ১৪ রান যোগ করার পর ৮ রানে থাকা টিপানোকে নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন পেসার আবু জায়েদ রাহী। ৪ রান বাদে অ্যাইন্সলে লোভুকে একই পথের সারথী বানান ডানহাতি এ পেসার।

    শেষদিকে চাকাভা কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তবে চার্ল্টন শুভার পর শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ৩০ রানে থাকা চাকাভাকে ফিরিয়ে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসের রাশ টেনে ধরেন স্পিনার তাইজুল। ফলে ২৬৫ রানে গুঁটিয়ে যায় সফরকারীরা।

    পরে সাইফ হাসানকে নিয়ে নিজেদের ইনিংস শুরু করতে আসেন বাংলাদেশি ওপেনার তামিম ইকবাল। তবে নিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা সাইফ একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি, ফিরেছেন ৮ রান করে। এরপর শান্তকে নিয়ে দলের হাল ধরেন তামিম। দ্বিতীয় উইকেটে ৭৮ রান জড়ো করেন দুজন।

    তামিম ৪১ রানে আউট হয়ে গেলেও টেস্ট ক্রিকেটে নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নেন শান্ত। তৃতীয় উইকেটে মুমিনুলের সাথে ৭৬ রানের পার্টনারশিপের পর শান্ত আউট হন ৭১ রান করে। এরপর মু্শফিকুর রহিমকে নিয়ে দিনের বাকিটা সময় কাটিয়ে দেন মুমিনুল।

    অর্ধশতক হাঁকানো দলীয় অধিনায়ক অপরাজিত আছেন ৭৯ রান নিয়ে। ৩ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রানে দিন শেষ করা বাংলাদেশের পক্ষে ৩২ রানে অপরাজিত আছেন মুশফিকুর রহিম। আগামীকাল ম্যাচের তৃতীয় দিন ৭ উইকেট হাতে রেখে জিম্বাবুয়ে থেকে ২৫ রানে পিছিয়ে আবার ব্যাটিংয়ে নামবে স্বাগতিকরা।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    জিম্বাবুয়ে: ২৬৫/১০ (১০৬.৩ ওভার)
    আরভিন ১০৭, মাসভাউর ৬৪, চাকাভা ৩০; নাঈম ৪/৭০, রাহী ৪/৭১, তাইজুল ২/৯০।

    বাংলাদেশ: ২৪০/৩ (৭১ ওভার)
    মুমিনুল ৭৯, শান্ত ৭১, তামিম ৪১; নিয়াউচি ১/৪১, টিরিপানো ১/৪০।

  • মিরপুরে প্রথমদিন নাঈম ও আরভিনের

    মিরপুরে প্রথমদিন নাঈম ও আরভিনের

    সাদা পোশাক গায়ে হতাশার বৃত্তে আটকে যাওয়া বাংলাদেশের সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ। যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে তুলনামূলক দুর্বল দল জিম্বাবুয়েকে পেয়েছে মুমিনুল হকরা। সিরিজের একমাত্র টেস্টের শুরুর দিনে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ক্রেইগ আরভিন। নাঈম হাসানের শিকার ৪ উইকেট।

    পাঁচদিনের ক্রিকেটে টানা ৬ ম্যাচ জয় বঞ্চিত বাংলাদেশ দল। একটা মাত্র জয়ের খোঁজে মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সফরকারী জিম্ববুয়ের মুখোমুখি হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শনিবার শুরু হওয়া ম্যাচে টস ভাগ্য কথা বলে জিম্বাবুয়ের হয়ে। পিচের ধরণ পড়তে পেরে আগে ব্যাট করতে দু’বার ভাবেননি দলটির অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন।

    তবে জিম্বাবুয়ের ইনিংসের শুরুটা সুখকর হতে দেননি বাংলাদেশি পেসার আবু জায়েদ রাহী। দলীয় ৭ রানে ফেরান ওপেনার কেভিন কাসুজাকে। এরপর স্বাগতিক বোলারদের নাস্তানুবাদ করে ছাড়েন দুই ব্যাটসম্যান প্রিন্স মাসভাউর এবং আরভিন। আগমনী চৈত্রের বার্তা দেওয়া তপ্ত রোদে টাইগার বোলারদের শাসন করে নিজের অর্ধশতক তুলে নেন মাসভাউর।

    দ্বিতীয় উইকেটে দুজনের ১১১ রানের পার্টনারশিপের মাথায় বাংলাদেশ দলের ত্রাতা হয়ে আসেন স্পিনার নাঈম হাসান। নিজেই ক্যাচ নিয়ে ফেরান ৬৪ রানে ব্যাট করা মাসভাউরকে। খানিক বাদে নাঈমকে রিভার্স সুইপ করত গিয়ে নিজের উইকেট বিসর্জন দেন টেলর। সাজঘরের পথ ধরেন ১০ রান করে।

    এরপর সিকান্দার রাজাকে নিয়ে লড়ে যান আরভিন। তবে রাজাকে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি নাঈম। নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেছেন ব্যক্তিগত ১৮ রানের মাথায়। নতুন ব্যাটসম্যান টিমিসেন মারুমাকে তুলে নেন রাহী। লেগ বিফোরের ফাদে ফেলেছেন ৭ রানের সময়।

    অন্যপ্রান্তে দেখেশুনে খেলে টেস্টে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন আরভিন। তবে দিন শেষের এক ওভার আগে ১০৭ রান করে নাঈমের চতুর্থ শিকার হয়ে ফিরতে হয় বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যানকে। ফলে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান নিয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে জিম্বাবুয়ে। টিরিপানো ০ এবং চাকাভা ৭ রান নিয়ে আগামীকাল (রোববার) দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    জিম্বাবুয়ে ২২৮/৬ (৯০ ওভার)
    আরভিন ১০৭, মাসভাউর ৬৪, রাজা ১৮; নাঈম ৪/৬৮, রাহী ২/৫১।

  • জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির শেষ ওয়ানডে সিরিজ : পাপন

    জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির শেষ ওয়ানডে সিরিজ : পাপন

    সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের(বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আজ জানিয়ে দিলেন- জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজে খেলবেন মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং অধিনায়ক হিসেবে এটাই তার শেষ সিরিজ।

    সিলেটে পহেলা মার্চ থেকে শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শেষে সীমিত ওভারের জন্য নতুন অধিনায়ক খুঁজবে বিসিবি।

    নতুন অধিনায়কের অধীনে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপকে লক্ষ্য করে নতুনভাবে দল ঘোছাতে চায় বিসিবি।

    পাপন বলেন, ‘পরের ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আমাদের নতুনভাবে দল ঘোছানো দরকার। এ জন্য আমাদের একজন অধিনায়ক দরকার। বিশ্বকাপে যাবার আগে নতুন অধিনায়কের অধীনে আমরা অন্তত দু’বছর খেলতে চাই। তাই খুব শীঘ্রই আমরা নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষনা করবো। পরবর্তী বোর্ড সভায় সিদ্বান্ত নেয়া হতে পারে।’

    পাপন এটিও স্পষ্ট করেছেন, খেলোয়াড় হিসেবে খেলবেন কি-না বা অবসর নিবেন এটি সম্পূর্ণ মাশরাফি সিদ্বান্ত। কিন্তু সে যদি ক্রিকেট চালিয়ে যেতে চায় , তবে অন্য খেলোয়াড়ের মত তাকেও পারফরমেন্স প্রদর্শন করতে হবে।

    পাপন বলেন, ‘যদি সে খেলতে চায়, সে খেলতে পারবে। আসল হলো, তার পারফরমেন্স। এই মূর্হুতে আমরা শুধুমাত্র অধিনায়কত্ব নিয়ে ভাবছি।

    আমরা দেখেছি, জনপ্রিয় খেলোয়াড়রা কোন সিরিজ শুরুর আগে তাদের অবসর ঘোষনা করেন। মাশরাফিকে ভালোভাবে বিদায় দেয়ার ইচ্ছা আমাদেরও ছিলো, কিন্তু সে তা তেমনটি চান না।

    ইংল্যান্ডে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরই অবসর নেয়ার পরিকল্পনা ছিলো মাশরাফির। কিন্তু বিসিবি চেয়েছিলো, দেশের ক্রিকেটে বড় অবদানের জন্য মাশরাফিকে ভালোভাবে বিদায় দিতে।

    ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচে মাত্র ১ উইকেট শিকার করেন মাশরাফি। এতেই তার ক্যারিয়ার নিয়ে প্রশ্ন উঠে। এটি পরিস্কার যে, বিসিবি চেয়েছিলো ওয়ানডে থেকে মাশরাফি অবসর নেন। একমাত্র ওয়ানডে ফরম্যাটেই খেলে থাকেন ম্যাশ।

    কিন্তু অবসর নিয়ে মাশরাফি চুপ ছিলেন। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপের পর শ্রীলংকা সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছিটকে পড়েন ম্যাশ।

    শ্রীলংকা সফরের পর আর কোন ওয়ানডে খেলেনি বাংলাদেশ। তবে সম্প্রতি মুখ খুলেন মাশরাফি। গত বিপিএলে তিনি বলেন, এই মূর্হুতে অবসরের কোন চিন্তা তার নেই। জাতীয় দলে খেলার জন্য ফিটনেস প্রমান করতে চান। অবসর নিয়ে বিসিবি যে ফেয়ারওয়েল দিতে চায়, তার প্রতি কোন আগ্রহ নেই মাশরাফির।

    কিছুদিন আগে, মাশরাফি ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন পাপন ও কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো।

    আজ বিসিবি অফিসে জাতীয় দলের সিনিয়র তিন খেলোয়াড় তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মোমিনুল হকের সাথে আলোচনায় বসেন পাপন।

    আলোচনা শেষে পাপন জানান, অধিনায়ক হিসেবে শেষ ওয়ানডে সিরিজ খেলবেন মাশরাফি।

    পাপন বলেন, ‘আমরা জানি, ভবিষ্যতের জন্য সিদ্বান্ত নেয়ার সময় এসেছে। আমি মনে করি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে মাশরাফি খেলবেন এবং সে দলে থাকবেন, তবে ফিটনেস সাপেক্ষে। তবে সে যদি ফিট না হন, তবে তা অন্য বিষয়।’

    ‘সে এখনও বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক এবং অধিনায়ক হিসেবে দলে খেলবেন।’

    পাপন বলেন, এই মূর্হুতে মাশরাফির মত অধিনায়ক পাওয়া অনেক কঠিন। তিনি বলেন, ‘এই মূর্হুতে, মাশরাফির মত নেতৃত্ব দেয়ার মত আমাদের কেউই নেই। এটিই সত্যি এবং আমরা এটিই বারবার বলছি।’

    তবে বিপ টেস্টে মাশরাফির উর্ত্তীন হওয়া নিয়ে শঙ্কিত বিসিবি প্রধান। এটি এমন একটি পরীক্ষা, যা খেলোয়াড়দের ফিটনেস নির্ধারন করে।

    পাপন বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমাদের ক্রিকেটে কিছু পরিবর্তন এসেছে। আমরা খেলোয়াড়দের ফিটনেস নির্ধারনের জন্য বিপ টেস্ট চালু করেছি। মাশরাফি বিপ টেস্টে উর্ত্তীন নাও করতে পারেন। একই সাথে, আমাদের দেশের ক্রিকেটের জন্য তার অবদানের কথা মনে রাখতে হবে। তার অধিনায়কত্ব আমাদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য তার বিপ টেস্ট আমরা শিথিল করেছি।’

  • জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিবেন মাশরাফি

    জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিবেন মাশরাফি

    জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব করবেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।

    আজ বুধবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

    বিসিবি সভাপতি জানান, মাশরাফি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজে থাকছেন। এবং দলের অধিনায়কত্বও করবেন তিনি। তবে একটি সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে-অধিনায়ক মাশরাফির এটাই হবে শেষ সিরিজ।

    বাংলাদেশ দলের চেয়ে জিম্বাবুয়ে দল ভালো অবস্থায় আছে দাবি করে পাপন বলেন, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় পাওয়া সহজ হবে না।

    তিনি বলেন, সবচেয়ে খারাপ হয়েছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট হারা, ওদের কাছে যদি হারি তাহলে জিম্বাবুয়ের কাছেও হারতে পারি।

    সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর স্বেচ্ছায় ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে থাকা মাশরাফি জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে আবারো ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করছেন।

    জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজের ম্যাচ তিনটি হবে আগামী ১, ৩ ও ৬ মার্চ, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।

  • বিসিবি একাদশ-জিম্বাবুয়ে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ ড্র

    বিসিবি একাদশ-জিম্বাবুয়ে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ ড্র

    বিকেএসপিতে জিম্বাবুয়ে-বিসিবি একাদশ দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ ড্র হয়েছে। প্রথম ইনিংসে বিসিবি একাদশ ৫ উইকেটে ২৮৮ রান তুলতেই দিনের খেলা ৪১ ওভার বাকি থাকতে ম্যাচ ড্র মেনে নেন দুই অধিনায়ক।

    আগের দিন ৭ উইকেটে ২৯১ রান করা জিম্বাবুয়ে শেষ দিনের শুরুতেই ইনিংস ঘোষণা করে বিসিবিকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায়।

    ড্র’য়ের ম্যাচে বাংলাদেশের তৃপ্তি অনেক। গতকাল ম্যাচের প্রথম দিনের দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশি বোলিংয়ের আক্রমণাত্মক উপস্থাপনা দেখা গেছে। এক সেশনেই ছয় উইকেট তুলে নেন যুব বিশ্বকাপ জেতা শাহাদাত হোসেন, শরিফুল ইসলামরা।

    আজ ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ করলেন আল-আমিন ও অপর বিশ্বজয়ী তরুণ তানজিদ হাসান তামিম। কাল ২৯১ রানে দিন শেষ করা জিম্বাবুয়ে আজ ব্যাটিংয়ে নামেনি। নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে বিসিবি একাদশকে ব্যাটিংয়ে পাঠালে শুরুটা বেশ বাজেই হয়েছে স্বাগতিকদের।

    ৬৯ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট হারিয়ে বসে বিসিবি একাদশ। কিন্তু তারপর ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দুই তরুণ তামিম ও আল-আমিন যা করে দেখালেন সেটা মুগ্ধ হবার মতো।

    ক্রিজে নেমেই পাল্টা আক্রমণের পথ বেছে নেন তামিম। জিম্বাবুয়ান পেসারদের শরীর তাক করা বাউন্সারগুলোকে হুক পুল খেলে সীমানা ছাড়া করছিলেন। অপর প্রান্তে আল-আমিন ব্যাটিং করেছেন টেস্টের ব্যাকরণ মেনে। দুজনেই নিজ নিজ পরিকল্পনায় সফল হয়েছেন। দিনের খেলা শেষ হবার সময় দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটি পৌঁছে ২১৯ রানে!

    সেঞ্চুরি পেয়েছেন দুজনই। আক্রমণাত্মক তামিম ৮৭ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে অপরাজিত ছিলেন ১২৫ রানে। ৯৯ বলে ১৪ চার ও ৫ ছয়ে ইনিংসটি সাজান তামিম। আল-আমিনের এক শ রানের ইনিংসটি ছিল ১৪৫ বলে গড়া, চারের মার ১৬টি।

    শেষে দিনের খেলা বাকি থাকতেই ম্যাচ ড্র মেনে নেন দুই অধিনায়ক।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    জিম্বাবুয়ে ২৯১/৭, ওভার ৯০ (মাসভাউর ৪৫, কাসুজা ৭০, মুজিঙ্গানিয়ামা ১৭, আরভিন ১০, মারুমা ৩৪, চাকাভা ১৩, মুম্বা ৫৪*, লোভু ২৫*;
    শরিফুল ১/৪৫, আল-আমিন ২/৪০, শাহাদাত ৩/১৬)।
    ৮-২-১৬-৩।

    বিসিবি একাদশ ২৮৮/৫, ওভার ৫৯.৩ (নাঈম ১১, ইমন ৩৪, আল-আমিন ১০০*, তামিম ১২৫*; মুম্বা ১/৩৭, শুমা ১/২৩, লোভু ২/৫১, মুতোম্বোজি ১/৪৫)।

    ফলাফল: ম্যাচ ড্র।

  • টেস্ট দল ঘোষণা : নতুন মুখ ২, বাদ ৪ ক্রিকেটার

    টেস্ট দল ঘোষণা : নতুন মুখ ২, বাদ ৪ ক্রিকেটার

    জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিতব্য একমাত্র টেস্টের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

    বাংলাদেশের সবশেষ খেলা রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের দল থেকে মোট চার পরিবর্তন এনে ঘোষণা করা হয়েছে দলটি।

    পাকিস্তান সফরের দলে থাকলেও জিম্বাবুয়ে সিরিজের দলে জায়গা হয়নি চার ক্রিকেটারের। তারা হলেন- মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আল-আমিন হোসেন, সৌম্য সরকার ও রুবেল হোসেন। দল থেকে তাদের ছিটকে যাওয়ার বিপরীতে দলে ফিরেছেন মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, ও তাসকিন আহমেদ।

    তাছাড়া রবিবার ঘোষিত ১৬ সদস্যের দলে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন ইয়াসির আলি চৌধুরী ও পেসার হাসান মাহমুদ।

    প্রসঙ্গত, দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে জিম্বাবুয়ে দলের বাংলাদেশ সফর। একমাত্র টেস্টের আগে ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে প্রস্তুতি ম্যাচটি। দু’দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ শেষে ২২-২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দু’দলের মধ্যকার একমাত্র টেস্ট। মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।

    টেস্টের পর সিলেট পাড়ি জমাবে উভয় দল। সেখানে ১, ৩ ও ৬ মার্চ তিনটি ওয়ানডেতে লড়বে দুই দল। দিবারাত্রির সবকয়টি ওয়ানডেই অনুষ্ঠিত হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।

    ওয়ানডে সিরিজ শেষে আবারও ঢাকায় ফিরে আসবে দু’দল। এরপর মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সিরিজে লড়বে উভয় দল। হোম অব ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে ৯ ও ১১ই মার্চ।

    প্রায় মাসব্যাপী সফর শেষে ১২ই মার্চ নিজ দেশে ফিরে যাবে সফরকারীরা।

    জিম্বাবুয়ে টেস্টের বাংলাদেশ দল: মুমিনুল হক (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন কুমার দাস, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, এবাদত হোসেন, আবু জায়েদ রাহী, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ ও ইয়াসির আলি চৌধুরী।

  • পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ঢাকায় জিম্বাবুয়ে

    পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ঢাকায় জিম্বাবুয়ে

    তিন ওয়ানডে, দুই টি-২০ ও এক টেস্টের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে আজ ঢাকায় পৌঁছেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল।

    বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে জিম্বাবুয়ে দল।

    একমাত্র টেস্ট ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে টেস্ট। তার আগে দু’দিনের একটি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলবে জিম্বাবুয়ে।

    সিরিজের তিনটি ওয়ানডে যথাক্রমে ১, ৩ ও ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে সিলেটে। ওয়ানডে শেষে দু’ম্যাচের টি-২০ সিরিজে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে। মিরপুরে ৯ ও ১১ মার্চ হবে দু’টি টি-২০। পূর্ণাঙ্গ সিরিজ শেষে ১২ মার্চ ঢাকা ত্যাগ করবে জিম্বাবুয়ে দল।

    প্রথমবারের মত সন্তানের বাবা হওয়াতে একমাত্র টেস্টে থাকছেন না জিম্বাবুয়ের নিয়মিত অধিনায়ক সিন উইলিয়ামস। তার পরিবর্তে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন ক্রেইগ আরভিন।

    টেস্টে না খেললেও, ওয়ানডে ও টি-২০ ফরম্যাটে খেলবেন উইলিয়ামস। আরভিনের নেতৃত্বে টেস্ট খেলতে জিম্বাবুয়ে দল এখন ঢাকায়।

    বাংলাদেশ সফরে জিম্বাবুয়ে টেস্ট দল : ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), সিকান্দার রাজা, রেগিস চাকাবা (উইকেটরক্ষক), কেভিন কাসুজা, তিমিসেন মারুমা, প্রিন্স মাসভাউরি, ক্রিস্টোফার এমপফু, ব্রিয়ান মুদজিনগানিয়ামা, কার্ল মুম্বা, তিনোতেন্দা মুতোম্বোজি, আইনসলে এনডলোভু, ভিক্টর নায়ুচি, ব্রেন্ডান টেলর, ডোনাল্ড ত্রিপানো ও চার্লটন টিসুমা।

    বাংলাদেশ সফরে জিম্বাবুয়ের সূচি :
    ১৮-১৯ ফেব্রুয়ারি : দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ,
    ২২-২৬ ফেব্রুয়ারি : একমাত্র টেস্ট, মিরপুর
    ০১ মার্চ : প্রথম ওয়ানডে, সিলেট
    ০৩ মার্চ : দ্বিতীয় ওয়ানডে, সিলেট
    ০৬ মার্চ : তৃতীয় ওয়ানডে, সিলেট
    ০৯ মার্চ : প্রথম টি-২০, মিরপুর
    ১১ মার্চ : দ্বিতীয় টি-২০, মিরপুর
    ১২ মার্চ : জিম্বাবুয়ে দলের ঢাকা ত্যাগ

  • ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণাঙ্গ সফরে আসছে জিম্বাবুয়ে, সূচি প্রকাশ

    ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণাঙ্গ সফরে আসছে জিম্বাবুয়ে, সূচি প্রকাশ

    ফেব্রুয়ারি মাসে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে আসছে বাংলাদেশ সফরে আসছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল।

    রবিবার (২৬ জানুয়ারী) জিম্বাবুয়ে দলের বাংলাদেশ সফরের সূচি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বাংলাদেশ সফরে এবার একটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডের পাশাপাশি দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে সফরকারীরা।

    আইসিসির এফটিপি অনুযায়ী জিম্বাবুয়ে দলের বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল মার্চ মাসে। তবে বিসিবি আগেই জানিয়েছিল এগিয়ে আসছে সিরিজটি। শেষ পর্যন্ত তাই হলো। পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে আসছে ১৫ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সফরে আসবে জিম্বাবুয়ে।

    বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখে শুরুতেই একটি দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে সফরকারীরা। একমাত্র টেস্টের আগে ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে প্রস্তুতি ম্যাচটি। দু’দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ শেষে ২২-২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দু’দলের মধ্যকার একমাত্র টেস্ট। মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।

    টেস্টের পর চট্টগ্রামে পাড়ি জমাবে উভয় দল। সেখানে ১, ৩ ও ৬ মার্চ তিনটি ওয়ানডেতে লড়বে দুই দল। দিবারাত্রির সবকয়টি ওয়ানডেই অনুষ্ঠিত হবে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।

    বন্দরনগরীতে ওয়ানডে সিরিজ শেষে করে আবারও ঢাকায় ফিরে আসবে দু’দল। এরপর মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সিরিজে লড়বে উভয় দল। হোম অব ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে ৯ ও ১১ই মার্চ।

    প্রায় মাসব্যাপী সফর শেষে ১২ই মার্চ নিজ দেশে ফিরে যাবে সফরকারীরা।

    জিম্বাবুয়ে দলের বাংলাদেশ সফরের সূচি-

    ১৮-১৯ ফেব্রুয়ারি- দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ।
    ২২-২৬ ফেব্রুয়ারি- একমাত্র টেস্ট; শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা।

    ১ মার্চ- প্রথম ওয়ানডে; জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম।
    ৩ মার্চ- দ্বিতীয় ওয়ানডে; জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম।
    ৬ মার্চ- তৃতীয় ওয়ানডে; জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম।

    ৯ মার্চ- প্রথম টি-টোয়েন্টি; শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা।
    ১১ মার্চ- দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি; শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা।