Tag: জিয়াউর রহমান

  • মা-বাবার জন্য মোনাজাত করার সুযোগটাও দেয়নি জিয়া: প্রধানমন্ত্রী

    মা-বাবার জন্য মোনাজাত করার সুযোগটাও দেয়নি জিয়া: প্রধানমন্ত্রী

    মা-বাবার জন্য মোনাজাত করার সুযোগটাও দেয়নি জিয়া- এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমার বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আমার বাবা-মায়ের জন্য দোয়া করারও সুযোগ দেয়নি জিয়াউর রহমান।’

    আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমাদের ধানমন্ডির বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। তখন রাস্তার ওপর বসে বাবা-মায়ের জন্য দোয়া মোনাজাত করেছি।’

    মঙ্গলবার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি) এ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কৃষক লীগের স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্টের সময় আমি ও ছোট বোন বিদেশে ছিলাম। পরিবারের সদস্যদের হত্যার কথা শুনে দেশে আসতে পারিনি। জিয়াউর রহমান আমাদেরকে আসতে বাধা দিয়েছে। আমাদের পাসপোর্ট রিনিউ করে দেয়নি।’

    তিনি বলেন, ‘১৯৮১ সালে আমার অবর্তমানে আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করে আওয়ামী লীগ। তখন অনেক বাধা অতিক্রম করে দেশে ফিরে আসি। দেশে আসার পরে জিয়াউর রহমান ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি। রাস্তার ওপর বসেই আমাকে আমার মা-বাবার জন্য দোয়া পড়তে হয়েছিল।’

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন বলেই আত্মপরিচয় দিতে পারি। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন বলে বাঙালি জাতি হিসেবে মর্যাদা পাচ্ছে। তিনি বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছেন। পরিবর্তনের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তারপর ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট হত্যা করা হয়। নেমে আসে জাতির জীবনে একটি কালো অধ্যায়।’

    ‘স্বাধীনতার অসাম্প্রদায়িক যে চেতনা, সেই চেতনাকে নস্যাৎ করে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করা হয়েছিল’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধী যারা, যাদের বিচার হচ্ছিল, তাদেরকে কারাগার থেকে মুক্ত করে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। খুনিদের ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স দেওয়া হয়েছিল, যাতে তাদের বিচার করা না হয়।’ ‘বাংলাদেশের যে কোনো মানুষ তার আপনজন খুন হলে বিচার চায়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা যারা ১৫ আগস্ট আপনজন হারিয়েছি, আমাদের বিচার চাওয়ার কোনো অধিকারই ছিল না। মামলা করার অধিকার ছিল না। সে খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে জিয়াউর রহমান পুরস্কৃত করেছিল।’

    প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘জেনারেল এরশাদ ক্ষমতায় আসে, ফারুককে ফ্রিডম পার্টি করার সুযোগ দেয়। রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করে। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে কর্নেল রশিদ, হুদাকে নিয়ে জনগণের ভোট চুরি করে ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করে, যে নির্বাচনে ২-৩ শতাংশ ভোটও পড়েনি।’

    ‘জনগণের ভোট চুরি করে সে (খালেদা জিয়া) রশিদকে পার্লামেন্টের বিরোধী দলের আসনে বসায়, হুদাকে পার্লামেন্টের মেম্বার করে’ এমন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়। খুনিদেরকে উৎসাহিত করে এবং একের পর এক অমানবিক কাজ করে গেছে তারা।’

    কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

    আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি।

  • আজ জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী

    আজ জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী

    বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (৩০ মে)। ১৯৮১ সালের এদিন চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন তিনি। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিএনপি।

    কর্মসূচিতে সোমবার (৩০ মে) ভোর ৬টায় দলের নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হবে। এসময় কালো পতাকা উত্তোলন ও নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন।

    এদিন বেলা ১১টায় দলের মহাসচিবসহ জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন ও মাজার জিয়ারত করবেন। এর পরপরই ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এবং সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন পর্যায়ক্রমে পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও মাজার জিয়ারত করবে। দেশব্যাপী বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনসমূহ সাতদিন ধরে নানা কর্মসূচিতে মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবে।

    ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় সূচনা করেন।

    দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার অনুষ্ঠিত এক আলোচনাসভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জিয়াউর রহমানের জীবনে কোনো ব্যর্থতা নেই। তিনি শহীদ হয়েছেন, কিন্তু তার আদর্শ শহীদ হয়নি। তার দেখানো আদর্শেই এ দেশের মানুষের মুক্তি আসবে। তাই জিয়াউর রহমান সম্পর্কে যে যাই বলুক, তাতে কিছু যায় আসে না। যতই চেষ্টা করুক কোনোমতেই জিয়াউর রহমানকে মুছে ফেলা যাবে না।

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এক দলীয় বাকশাল থেকে বহু দলীয় গণতন্ত্রে প্রবর্তন করায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে সাধারণ মানুষ উপরে স্থান দিয়েছে। জিয়াউর রহমানকে শ্রেষ্ঠ করতে কাউকে ছোট-বড় করতে হয় না। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তার কর্মকাণ্ডের তুলনা তিনি নিজেই।

    বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন সমূহের কর্মসূচি
    বুধবার (১ জুন) জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাসের আলোচনা সভা, একই দিন জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের আলোচনা সভা, ৪ জুন জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের আলোচনা সভা, ৫ জুন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আলোচনা সভা, ৬ জুন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের আলোচনা সভা, ৭ জুন জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।

    এছাড়া আজ ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে মহানগরের ২৭টি থানাধীন ৭১টি ওয়ার্ডে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ করা হবে।

    বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

  • জিয়ার রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত সরকারের হীনমন্যতার বহি:প্রকাশ: ডা.শাহাদাত

    জিয়ার রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত সরকারের হীনমন্যতার বহি:প্রকাশ: ডা.শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা, শাহাদাত হোসেন বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশ ও শহীদ জিয়া একে অপরের সম্পুরক। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার অপর নাম জিয়াউর রহমান। জিয়াকে বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস রচনা করা সম্ভব নয়। মেজর জিয়া ছিলেন স্বাধীনতার ঘোষক, রনাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সেনাপ্রধান এবং বাংলাদেশের একজন সফল রাষ্টনায়ক। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য স্বাধীনতা উত্তর শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার “বীর উত্তম” খেতাবে ভুষিত করেন শহীদ জিয়াকে। জিয়াউর রহমানকে যে খেতাব দেওয়া হয় তা বাতিলের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটা নিকৃষ্টতম সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ন ও হীনমন্যতার বহিঃপ্রকাশ। আল জাজিরার প্রতিবেদনে সরকারের অপকর্ম ও দুর্নীতির ফাঁস হওয়া চিত্র ধামাচাপা দিতেই মুলত শহীদ জিয়ার স্বাধীনতা খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

    তিনি আজ বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারী) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত ও তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ফরমায়েশী সাজা প্রদানের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, শহীদ জিয়া সংকট মূহুর্তে শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি, সেক্টর কমান্ডার হিসেবে রনাঙ্গনে যুদ্ধে নেতৃত্বও দেন। মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের অবদান অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে অস্বীকার করা হলে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে অস্বীকার করা হবে। এটাই সত্য ও ইতিহাস। ইতিহাস তার নিজস্ব গতিতে চলে। প্রতিহিংসা ও বিদ্বেষের রাজনীতি এবং আদালতের রায় দিয়ে ইতিহাস বদলানো যায় না। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার সাথে শহীদ জিয়ার নাম অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। সুতরাং কখনোই স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ থেকে জিয়াকে বিচ্ছেদ করা যাবে না।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সাথে এদেশের মানুষের আবেগ অনুভূতি জড়িত। স্বীকৃত সত্য হচ্ছে শহীদ জিয়া মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক ও রনাঙ্গনের বীর যোদ্ধা। এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই। শহীদ জিয়া যে স্বাধীনতার ঘোষনা করেছিল তা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও শিকার করে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর যারা জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা মূলত স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে। তাই জিয়াউর রহমানের খেতাব সরকার বাতিল বা যাই করুক না কেনো তিনি এদেশের মানুষের বুকের মধ্যে রয়েছেন। বাংলাদশের ইতিহাসও এটাই বলে। জিয়াউর রহমানের স্বাথীনতার স্বীকৃতি নিয়ে কোন হঠকারী সিদ্ধান্ত নিলে চট্টগ্রামের মাঠি থেকে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

    দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদেরকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক দিয়েছেন। শহীদ জিয়ার খেতাব বাতিলের সরকারের এই সিদ্ধান্ত দেশের রাজনীতিকে আরও দুর্বিসহ ও সংকটময় করে তুলবে। তবে দেশের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে প্রতিহিংসার যে মনোভাব জায়গা করে নিয়েছে, এর সূচনা পরিষ্কারভাবেই ঘটিয়েছে স্বাধীনতার পর বিরোধী মত দমন ও একদলীয় শাসন কায়েমের মাধ্যমে।

    সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইস্কান্দর মির্জা, আব্দুল মান্নান, সদস্য এরশাদ উল্লাহ, সামশুল আলম, জয়নাল আবেদিন জিয়া, মো. আলী, এ্যাড. মফিজুল হক ভূঁইয়া, নিয়াজ মো. খান, ইকবাল চৌধুরী, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আশরাফ চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাসেম, সামশুল হক, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মঞ্জুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, কামরুল ইসলাম, মনোয়ারা বেগম মনি, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, থানা, বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, মোশারফ হোসেন ডেপটি, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী হানিফ সও, সালাহ উদ্দিন, ডা. নুরুল আফসার, আব্দুল্লাহ আল হারুন, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, মো. শাহাব উদ্দিন, জসিম উদ্দিন জিয়া, নুর হোসেন, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আব্দুল কাদের জসিম, জাহাঙ্গীর আলম, নগর অঙ্গ সংগঠনের সম্পাদকবৃন্দ জেলী চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন বুলু, মনিরুজ্জামান টিটু, মামুনুর রশীদ শিপন, সাইফুল আলম, শরীফুল ইসলাম তুহিন, শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, অঙ্গ সংগঠন নেতৃবৃন্দ নুর আহমদ গুড্ডু, এস এম রব, ফজলুল হক সুমন, মিয়া মো. হারুণ, নাসিম চৌধুরী, আবু সুফিয়ান, আসাদুজ্জামান দিদার, এমদাদুল হক বাদশা, জিয়াউর রহমান জিয়া, মো. হারুন, মাঈনুদ্দিন রাসেদ, মোহাম্মদ রেজা, হাবিবুর রহমান মাসুম, হুমায়ুন কবির, এরশাদ হোসেন, সেলিম উদ্দিন রাসেদ, জমির উদ্দিন নাহিদ, আসিফ চৌধুরী লিমন, সালাউদ্দিন সাহেদ, সামিয়াত আমিন জিসান প্রমুখ।

  • জিয়ার রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল রাজনৈতিক সিদ্বান্ত নয়: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

    জিয়ার রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল রাজনৈতিক সিদ্বান্ত নয়: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিদেশ চলে যেতে সহযোগিতা করেছে, উচ্চ পদে পদায়ন করেছে জিয়াউর রহমান। দেশের সংবিধান পরিবর্তন করে শাহ আজিজ, আবদুল আলিমসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে নিজের মন্ত্রিসভা গঠন করেছিল।

    আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মোশতাক-জিয়া, তারাতো শাস্তি পায়নি। মৃত্যু হলে কোনো আইনে আদালতে শাস্তির রায় ঘোষণা হয় না। কারো মৃত্যু হলে সে যদি আসামি থাকে তবে আদালত তাকে বাদ দিয়ে অন্যদের ব্যাপারে রায় দেয়।

    বুধবার সকালে গাজীপুরের কালামপুর রোডে চন্দ্রা ত্রিমোড়ে কালিয়াকৈর পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্টজনের নামে নামকরণ ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

    মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী যারা আদালতে তাদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষিত হয়েছে। তাদের চারজনের সনদ, সম্মাননা বাতিল হয়েছে এবং একই মিটিংয়ে খন্দকার মোশতাক, জিয়াউর রহমানসহ আরও অনেকের নাম এসেছে বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত দালিলিক প্রমাণসহ। বঙ্গবন্ধু হত্যায় কার কী ভূমিকা ছিল, কী কী দালিলিক প্রমাণ আছে, সেগুলো পেশ করার জন্য আমরা একটি উপকমিটি করেছি আগামী মিটিংয়ে পেশ করার জন্য। দালিলিক প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের যে সম্মানসূচক পদবি রয়েছে সেগুলো বাতিল করা হবে। সেটার নজির শুধু বাংলাদেশে নয়, বহির্বিশ্বেও রয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক কারণে নয়।

    তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে বহু নজির রয়েছে যে তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য সম্মানসূচক খেতাব বাতিল হয়েছে। জিয়াউর রহমান, খন্দকার মোশতাক, মাহবুব আলম চাষীসহ এমন অনেকের নাম এসেছে, তাদের কী ভূমিকা? বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা কী? তার দালিলিক প্রমাণসহ পরবর্তী সভায় উপস্থাপিত হলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) শুধু আলোচনা হয়েছে, আমরা একটি উপকমিটি করে দিয়েছি। আগামী এক মাসের মধ্যে তারা রিপোর্ট দেবে।

    বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. শাহাবুদ্দিন আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কালিয়াকৈর পৌর মেয়র মজিবুর রহমান, কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুরাদ করিব, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল, আওয়ামী লীগ নেতা মোশারফ সিকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর ওহাব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    পরে মন্ত্রী ফিতা কেটে মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে ৪২টি সড়কের নাম ফলক উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হকের নামেও একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে।

  • জিয়াসহ ৫ জনের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত

    জিয়াসহ ৫ জনের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত

    বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মদদদাতা উল্লেখ করে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের খেতাব ‘বীর উত্তম’ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর জিয়াউর রহমানে খেতাব বাতিল হলে তাদের সব রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধাও বাতিল হবে।

    পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় স্মরণীয় ব্যক্তিদের তালিকা থেকে খন্দকার মোশতাকের নামও বাদ পড়বে। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।
    মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর স্কাউট ভবনে আয়োজিত দিনব্যাপী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭২তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত এখন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে জামুকা। এরপর মন্ত্রণালয় গেজেট আকারে প্রকাশ করবে।

    মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় শরিফুল হক ডালিমের নামের সঙ্গে ‘বীর উত্তম’; নূর চৌধুরীর নামের সঙ্গে ‘বীর বিক্রম’, রাশেদ চৌধুরীর নামের সঙ্গে ‘বীর প্রতীক’ ও মোসলেহ উদ্দিনের নামের সঙ্গে ‘বীর প্রতীক’ উপাধি ছিল।

    সভায় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আরও যে মদদদাতা রয়েছেন, তাদের চিহ্নিত করতে তিন সদস্যের একটি কমিটিও করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে চট্টগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে। অন্য দুই সদস্য হলেন সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান ও উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ।

    মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও জামুকার সদস্য শাজাহান খান এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের খেতাব বাতিলের বিষয়টি সভার আলোচ্যসূচিতে না থাকলেও ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধার সনদ যাচাই-বাছাই ও বাতিল-সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার সময় বিষয়টি উত্থাপিত হয়। তখন এ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর জিয়াউর রহমানসহ সবার খেতাব ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় জামুকা।

    অপরাধের জন্য জিয়াউর রহমান শাস্তি পাবে জানিয়ে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, বিশ্বে অনেকেরই পুরস্কার ও ডিগ্রি প্রত্যাহার করা হয়। তাদের হয়তো মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বাদ দেওয়া যাবে না, কিন্তু খেতাব বাদ দেওয়া যাবে, অপরাধের জন্য তারা শাস্তি পাবে।

    জামুকার এ সভায় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শাজাহান খান, উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ, মো. মোতাহার হোসেন, মো. শহীদুজ্জামান সরকার এবং যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রশিদুল আলম ও মেজর (অব.) ওয়াকার হাসান বীর প্রতীক। পদাধিকার বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জামুকার প্রধান উপদেষ্টা।

  • দু’দফা ক্ষমতায় থেকেও বিএনপি জিয়া হত্যার বিচার না করা রহস্যজনক : তথ্যমন্ত্রী

    দু’দফা ক্ষমতায় থেকেও বিএনপি জিয়া হত্যার বিচার না করা রহস্যজনক : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া দু’দফা ক্ষমতায় থেকেও জিয়া হত্যার বিচার না করা রহস্যজনক।

    তিনি আজ দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময়কালে একথা বলেন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের সহধর্মিনী বেগম খালেদা জিয়া দুই দফায় দশবছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, আরো একবার বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে একমাসের বেশি ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন। এটি সত্যিই রহস্যজনক যে জিয়াউর রহমান হত্যার বিচার তিনি করেননি। সেকারণে জনগণের মনেও এটি প্রশ্ন যে, জিয়হত্যার বিচার করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে যাবে, এজন্যই কি তিনি বিচার করেননি।

    মন্ত্রী এসময় বলেন, ‘সরকারের সুদক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণেই এখনো আশেপাশের দেশ ও ইউরোপ-আমেরিকার চেয়ে আমাদের দেশে করোনায় আক্রান্তদের মৃত্যুহার অনেক কম, কিন্তু রুহুল কবির রিজভীসাহেবসহ বিএনপিনেতারা যেভাবে কথাবার্তা বলছেন, তাতে মনে হয়, তারা বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছেন।

    বিএনপি’কে আশেপাশের দেশসহ বিশ্বের দিকে তাকানোর অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, পাকিস্তানে করোনা সংক্রমণের হার আমাদের চেয়ে বেশি। ভারতে সংক্রমণ চীনকে ছাড়িয়ে গেছে। আর বেলজিয়ামে সংক্রমিতদের মৃত্যুহার ১৫ শতাংশ, বৃটেনে ১৪, যুক্তরাষ্ট্রে ৬, ভারতে ৩ দশমিক ২, পাকিস্তনে ২ এর বেশি আর আমাদের দেশে ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

    ড. হাছান বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা যদি ভালো না হতো, তাহলে মৃত্যুহার ভারত-পাকিস্তনের মতো বা তার চেয়ে বেশি হতো। প্রধানমন্ত্রীর সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও সংশ্লিষ্ট সকলের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই আমরা মৃত্যুহার কমিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছি।’

    ‘বিএনপি’কে অনুরোধ জানাবো, মিথ্যাচার না করে জনগণের পাশে এসে দাঁড়ান, আর আমাদের দুয়ার খোলা আছে, প্রয়োজনে আমাদের সাথে আপনারা একযোগে জনগণকে সহায়তা করার জন্য কাজ করতে পারেন’ বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

    হাছান আরো বলেন, যাদের প্রয়োজন সেইসব মানুষকে খুঁজে খুঁজে ত্রাণ দেয়া হচ্ছে। কেউ চায়নি, কিন্তু মোবাইলে আড়াই হাজার টাকা করে পৌঁছে গেছে, দাবি না থাকা সত্ত্বেও কওমী মাদ্রাসাগুলো সহায়তা পেয়েছে, ঈদের আগে সহায়তা পৌঁছেছে মসজিদগুলোতেও। সাংবাদিক, শিল্পীসহ বিভিন্ন পেশার অসহায় মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী সহায়তা দিচ্ছেন। আমি বিএনপি’কে একটু চক্ষু মেলিয়া আশেপাশের দেশে কোথাও এমন ত্রাণ ও সহায়তা দেয়া হয়েছে কি না দেখতে অনুরোধ জানাই।

    করোনা মহামারি মোকাবিলায় উহানে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেবার সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের সুরক্ষার জন্য নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, চীনসহ অন্যান্য দেশ থেকে তখন যারাই এসেছেন, সবাইকে ‘হোম’ এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। দেশে আগত সকল পণ্যবাহী জাহাজকে বহির্নোঙরে রেখে সবার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে নিশ্চিত হবার পরই ভিড়তে দেয়া হয়েছে, স্থলবন্দরের জন্যও সেব্যবস্থা ছিল। এরপরও ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনারোগী শনাক্ত হয়, যেমন বিশ্বের অন্যান্য দেশও নানা পদক্ষেপ নিয়েছিল, কিন্তু কোনো দেশই করোনা থেকে মুক্ত থাকেনি।

    হাছান মাহমুদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্ব ও সময়োপযোগী বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত সব শংকা-আশংকা মিথ্যে প্রমাণ করেছে।

    তিনি জানান, ‘করোনা থেকে সুরক্ষার জন্য সরকারি ছুটি ঘোষণার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ইতিহাসের বৃহত্তম ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেন।

    সরকারের ব্যবস্থাপনায় ৬ কোটি মানুষ ত্রাণ ও আরো এক কোটি মানুষ নানা সহায়তা পেয়েছেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ১ কোটি ২০ লাখ পরিবারকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে, যা অভাবনীয় এবং অন্য কোনো রাজনৈতিক দল তা করেনি।

    যেকারণে গত দু’মাসের বেশি প্রায় সবকাজ বন্ধ থাকার পরও পরম সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ আর আমাদের চেষ্টায় একজন মানুষও অনাহারে মৃত্যুবরণ করেনি।

    আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ড. রোকেয়া সুলতানা, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এসময় উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • দেশের ক্রান্তিকালে ত্রানকর্তার ভূমিকায় জিয়াউর রহমানের আবির্ভাব ঘটেছিল:ডা.শাহাদাত

    দেশের ক্রান্তিকালে ত্রানকর্তার ভূমিকায় জিয়াউর রহমানের আবির্ভাব ঘটেছিল:ডা.শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীর দিনটি জাতীয় জীবনে খুবই শোকাবহ দিন।

    ১৯৮১ সালের ৩০মে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে দেশী বিদেশী ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে বিপদগামী সেনা সদস্যের হাতে তিনি নির্মমভাবে শাহাদত বরণ করেন। জিয়াউর রহমান বীর উত্তম ছিলেন স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সততার প্রতীক। জাতি যখন নেতৃত্বশূন্য দিশেহারা তখনই জিয়াউর রহমান উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো আবির্ভূত হয়েছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন আবার অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। দেশের ক্রান্তিকালে ত্রানকর্তার ভূমিকায় জিয়াউর রহমানের আবির্ভাব ঘটেছিল। বর্তমান সরকার তাঁর নাম পাঠ্যপুস্তকসহ সকল স্থাপনা থেকে মুছে ফেলেছে। কিন্তু শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এদেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। তাঁর নাম মুছে ফেলা যাবে না।

    তিনি আজ শনিবার (৩০ মে) দুপুরে জিয়াউর রহমানের ৩৯ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে নগরীর ২ নং গেইটস্থ বিপ্লব উদ্যানের বিপ্লব বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পণকালে এ কথা বলেন।

    তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে এদেশের সমৃদ্ধির প্রতিটি ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার সততা ও দেশপ্রেম ছিল সকল প্রশ্নের ঊর্ধ্বে ও ঈর্ষণীয়। তার সততা নিয়ে তার চরম শত্রুও কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেনি। ২৫ মার্চের ভয়াল রাতে হানাদার বাহিনীর আক্রমণের সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলে আজো দেশবাসীর হৃদয়ে অমর হয়ে আছেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম, সহ দপ্তর সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস আলী, সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আরিফ মেহেদী প্রমূখ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • জাতির ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব ছিল অবিস্মরণীয়: শাহেদ

    জাতির ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব ছিল অবিস্মরণীয়: শাহেদ

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ বলেছেন, জাতির ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব ছিল অবিস্মরণীয়।

    তিনি সকল সংকটে দেশ ও জনগণের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। মহান স্বাধীনতার ঐতিহাসিক ঘোষণা, স্বাধীনতা যুদ্ধের ময়দানে বীরোচিত ভূমিকা এবং একটি নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণে তাঁর অনবদ্য অবদানের কথা আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষে জাতি বিদেশী শাসন থেকে মুক্তি লাভ করে বিজয় অর্জনের অব্যবহিত পরে স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর দুর্বিনীত দু:শাসনে মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা ও কাঙ্খিত গণতন্ত্র মাটিচাপা পড়ে।

    একের পর এক দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা হরণ করা হয়, দেশ একদলীয় সামন্ততান্ত্রিক শাসনের নিষ্ঠূর কবলে পড়ে পিষ্ট হতে থাকে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করে মানুষের বাক ও চিন্তার স্বাধীনতাকে খর্ব করা হয়। সেই সময় দেশের সর্বত্র বিভৎস অরাজকতা নেমে আসে। গণতন্ত্র হত্যা ও অরাজকতার অমানিশার দুর্যোগের মুখে দেশের সিপাহী-জনতার মিলিত শক্তির মিছিলে জিয়াউর রহমান জাতীয় রাজনীতির পাদপ্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হন। ফিরিয়ে দেন বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং সংবাদপত্র ও নাগরিক স্বাধীনতা।

    তিনি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা করেন। উৎপাদনের রাজনীতির মাধ্যমে দেশীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী করেন। বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির আখ্যা থেকে খাদ্য রপ্তানীকারক দেশে পরিণত করেন।

    তিনি আজ শনিবার (৩০ মে) ০৪নং চান্দগাঁও ওয়ার্ড যুবদলের উদ্যোগে বাদ জোহর হযরত সুলতান শাহ (রাঃ) মাজারে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, সফল রাষ্ট্র নায়ক ক্ষনজন্মা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৩৯ তম শাহাদত বার্ষিকীতে মহান নেতার রূহের মাগফিরাত কামনায় খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল শেষে এ কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, জাতীয় জীবনের চলমান সংকটে শহীদ জিয়ার প্রদর্শিত পথ ও আদর্শ বুকে ধারণ করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে এবং জাতীয় স্বার্থ, বহুমাত্রিক গণতন্ত্র এবং জনগণের অধিকার সুরক্ষায় ইস্পাতকঠিন গণঐক্য গড়ে তুলতে হবে। বর্তমান সরকার দেশে একদলীয় সরকার পুন:প্রতিষ্ঠা করেছে। কর্তৃত্ববাদী শাসনের নির্মমতা চারিদিকে বিদ্যমান। বিরোধী দলের অধিকার,
    চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সবচেয়ে বড় শত্রু মনে করে বর্তমান সরকার। সেজন্য গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। এখন
    তাঁকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তাঁর মিথ্যা মামলা ও সাজা প্রত্যাহার করে নি:শর্ত মুক্তি দিতে হবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী চলছে অজ্ঞাত দানব করোনা মহামারির তান্ডব। ইতোমধ্যে তিন লক্ষাধিক মানুষ এই রোগে মৃত্যুবরণ করেছে, আর আক্রান্ত হচ্ছে লক্ষ লক্ষ মানুষ। এখন গভীর আতঙ্ক ও উৎকন্ঠার মধ্যে রচিত হচ্ছে দিনযাপনের মানবিক কাহিনী।

    খতমে কোরআন শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মুমিন। তিনি এসময়, শহীদ জিয়াউর রহমানের আত্নার মাগফিরাত কামনা করেন এবং জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করার জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের নিকট দোআ করেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর যুবদলের সহ-সভাপতি নূর আহমেদ গুড্ডু, ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, ফজলুল হক সুমন, আব্দুল করিম, সাহাব উদ্দিন হাসান বাবু, জসিমুল ইসলাম কিশোর, মোহাম্মদ আলী সাকী, নগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম খান, ইকবাল পারভেজ, রাশেদুল হাসান লেবু, এরশাদ হোসেন, তাজুল ইসলাম, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, রাজন খান, ওমর ফারুক হেলাল হোসেন,
    গুলজার হোসেন, বজল আহমেদ, সাজ্জাদ হোসেন সাজু, জমির উদ্দিন মানিক, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জিল্লুর রহমান জুয়েল, মোহাম্মদ সাগীর, মহিউদ্দিন
    মুকুল, আসাদুজ্জামান রুবেল সহ- সম্পাদক কামরুল ইসলাম, মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, জাহাঙ্গীর আলম বাবু, জাহাঙ্গীর আলম মানিক, ইব্রাহীম খান, দেলোয়ার হোসেন, সাইদুল ইসলাম, বেলাল হোসেন, হোসেন জামান, সদস্য মাহবুব খান জনি, আব্দুল করিম, মনজুর আলম, রাজু খান, জাবেদ আলী, রাসেল আকাশ, সাইফুল ইসলাম, মোঃ মিল্টন, জসিম উদ্দিন, আকতার হোসেন, আবু বক্কর বাবু, এস এম আলী, সাইফুল ইসলাম, মোঃ জাবেদ, মোহাম্মদ হাসান, জহিরুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, মাসুদ আলম, সাইফুল, মুহাম্মদ সোহেল, একরাম, ইফতেখার, ইদ্রিস, ইউছুফ, জাহিদ ইউসুফ প্রমুখ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত আধুনিক বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন:বক্কর

    জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত আধুনিক বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন:বক্কর

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত আধুনিক বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রম সার্কিট হাউসে দেশি বিদেশী ষডযন্ত্র ও সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যেরা জিয়াউর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।

    তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন। তাকে হত্যা করার মাধ্যমে দেশে একদলীয় শাসন ও গণতন্ত্র হত্যার মহা উৎসব শুরু হয়েছে, যা আজ অবধি চলছে।

    আজ শনিবার (৩০ মে) দুপুরে শহীদ প্রেসিডিন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে নগরীর নগরীর এনায়েত বাজার শাহী জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কালে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।

    তিনি আরো বলেন, শহীদ জিয়া ছিলেন দেশের জনগনের সবচেয়ে জনপ্রয় রাষ্ট্রনায়ক, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার। তিনি দেশকে একদলীয় দুঃশাসন থেকে মুক্ত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। সামাজিক ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন নিশ্চিত করেছিলেন।

    দেশকে খাদ্যে সংসম্পুন্ন করে ক্ষুদা দারিদ্র মুক্ত সোনার বাংলা উপহার দিয়েছিলেন। তিনিই জাতির সঙ্কটময় মুহূর্তে বার বার দাঁড়িয়েছেন নির্ভয়ে, মাথা উঁচু করে। বিপর্যস্ত জাতিকে রক্ষা করেছেন সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে। ১৯৭১ সালের উত্তাল মার্চে জিয়াউর রহমানের কণ্ঠে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিশেহারা জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার সাহস জুগিয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই তিনি ক্ষান্ত থাকেননি, দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য হানাদারদের বিরুদ্ধ সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন।

    স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ কি, তা জনগন শহীদ জিয়ার শাসনামলেই প্রথম অনুধাবন করতে পেরেছিলেন দেশের মানুষ। শহীদ জিয়ার শাহাদাৎ বার্ষিকীর ৩৯ বছর পরেও তার আদর্শ ও কর্মমুখর জীবন নিয়ে মানুষ গৌরব করে। দেশে স্বাধীনতা উত্তরকালের মতো একদলীয় বাকশালী দুঃশাসন চলছে। জনগনের কথা বলা ও মত প্রকাশ তো দূরের কথা, এখানে এখন স্বাভাবিক মৃত্যুর কোন গ্যারান্টি নেই।

    এই সময় উপস্থিত ছিলেন, এনায়েত বাজার ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহেদ উল্লাহ রাসেদ, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিঃ যুগ্ম সম্পাদক আলি মুর্তোজা খান, ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান, নগর যুবদল নেতা মোঃ হাসান, নগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা তারেক আহমদ, ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আবদুল মতিন, আবদুল আজিম প্রমূখ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ঠাকুরগাঁওয়ে জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীতে দোয়া ও খাবার বিতরণ

    ঠাকুরগাঁওয়ে জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীতে দোয়া ও খাবার বিতরণ

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৯ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ে দোয়া মাহফিল ও গরীব অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আয়োজনে শনিবার (৩০ মে) দুপুরে শহরের চৌরাস্তা সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ে এ কর্মসূচী পালিত হয়।

    জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান এর সভাপতিত্বে, দোয়া পূর্ববর্তী আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে শহীদ জিয়ার দীর্ঘ কর্মজীবন নিয়ে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নূর করিম, সুলতানুল ফেরদৌস নম্র চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, অর্থ সম্পাদক শরিফুল
    ইসলাম শরিফ, দফতর সম্পাদক মামুন অর রশিদ মামুন। জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন তুহিন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে
    উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আলমামুন আলম, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাফুরুল্লাহ চৌধুরী, দেলোয়ার হোসেন, সদর থানা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, পৌর সাধারণ সম্পাদক তারিক আদনান, ছাত্রদল সভাপতি মো. কায়েস প্রমুখ।

    আলোচনা সভা শেষে দুস্থ্যদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন নেতৃবৃন্দ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/গৌতম

  • জিয়ার সঙ্গে শেষ দেখা শেষ কথা

    জিয়ার সঙ্গে শেষ দেখা শেষ কথা

    মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন:দিনটি ছিল ১৯৮১ সালের ২৯ মে, শুক্রবার। তখন সময় বিকাল ৪টা। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তার বর্ণাঢ্য জীবনাবসানের মাত্র ১২ ঘণ্টা আগে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সর্ব পশ্চিম হলরুমে সর্বস্তরের বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে এক সৌজন্যমূলক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এক পর্যায়ে সেখানে তিনি অত্যন্ত দৃঢ় প্রত্যয়ে ঘোষণা করলেন যে, ‘তালপট্টি আমাদেরই হবে এবং সেখানে আমাদের জাতীয় পতাকা উড়বেই ইনশাল্লাহ, অল্প কয়েক দিনের মধ্যে আপনারা দেখবেন মুসলিম রাষ্ট্রসমূহ আমাদের এ দাবির প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন দিচ্ছেন। আমি বিশ্ব দরবারে আমার দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে যাতে কোনো হায়েনার থাবার আঁচড় না লাগে এবং আমাদের অন্যান্য ন্যায়সঙ্গত দাবির পক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখব।

    বেরুবাড়ী ছেড়ে দেওয়া হয়েছে অথচ তিন বিঘা করিডোর এখনো ভারত আমাদের ফেরত দেয়নি। আঙ্গরপোতা ও দহগ্রামের জনগণ এখনো মানবেতর জীবনযাপন করছে। আমরা এখনো তাদের মুক্ত করতে পারিনি। ’

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৫৮ সালের নূন-নেহরু চুক্তির বদৌলতে বেরুবাড়ী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হলে বেরুবাড়ী বাংলাদেশ ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত থাকে। ১৯৭৪ সালের ১৬ মে এক চুক্তি বলে বেরুবাড়ী ভারতকে দিয়ে দেওয়া হয়। চুক্তিটি ইতিহাসে ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

    উক্ত চুক্তি অনুযায়ী ‘আঙ্গরপোতা-দহগ্রাম’কে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য ভারত তিন বিঘা করিডোর চিরস্থায়ী লিজ হিসেবে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল। ১৯৯০ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ১৯৭৪ সালের ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি অনতিবিলম্বে দীর্ঘ ৪২ বছর পর বাস্তবায়নের পক্ষে রায় দেয়।

    ভারত অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে উক্ত চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হতে বিরত থেকেছে এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও তিন বিঘা করিডোর দীর্ঘদিন বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর হয়নি।

    সেদিন জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, আমাদের স্বাধীনতা কারও দান বা অনুদান নয়। আমাদের এই অর্জন লাখো শহীদের অশ্রু, ত্যাগ এবং রক্তের বিনিময়ে। এই চট্টগ্রাম থেকে শিল্প বিপ্লব শুরু হলো। চট্টগ্রাম হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি অন্যতম আকর্ষণীয় সমৃদ্ধশালী নগরী। ওই দিন ছিল শুক্রবার।

    তিনি জুমার নামাজ আদায় করেছিলেন চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী চন্দনপুরা শাহী জামে মসজিদে যা আধুনিক নান্দনিক শৈল্পিক কারুকার্যখচিত। যা আমার শ্বশুর মরহুম আবু সাইদ দোভাষ নির্মাণ করেছিলেন। শহীদ জিয়া নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে সবাই তাকে জামাতের প্রথম কাতারে নিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান করলেন।

    তিনি মসজিদে ঢুকেই পিছনের কাতারে যেখানে জায়গা পেয়েছিলেন সেখানেই নামাজ আদায়ের জন্য দাঁড়িয়ে গেলেন। একজন মুসল্লি হিসেবে এখনো সবার স্মৃতিতে বিষয়টি স্মরণীয় হয়ে আছে।

    তিনি জুমার নামাজ শেষে সার্কিট হাউসে দোতলার বারান্দায় মধ্যাহ্নভোজের আগে বসে আরাম করার এক ফাঁকে আমাদের দলের তৎকালীন স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রথিতযশা চিকিৎসক ড. এ এফ এম ইউসুফ সাহেবকে বলেছিলেন, ‘চট্টগ্রামে এক টুকরো জমি নিয়ে বাড়ি করলে কেমন হয়। ’ যা ডাক্তার সাহেব পরবর্তীতে আমাদের বলেছিলেন। উনার সে অন্তিম ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে গেল।

    সেই ভয়াল বর্ষণমুখর রাতে সার্কিট হাউসে একদল বিপথগামী সামরিক বাহিনীর সদস্যের গুলির আঘাতে তার জীবন প্রদীপ নিভে গেল। সাড়ে তিন বছরের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে তিনি আগামী প্রজন্মের জন্য সততা ও দেশপ্রেমের এক অনুপম দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। সেটাকেই ধারণ করে তার প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপির পতাকা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

    যাক, মতবিনিময়ের এক পর্যায়ে মাগরিবের সময় অত্যাসন্ন হওয়ায় সার্কিট হাউসের বাইরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা জাতীয় পতাকা নামানোর সময় স্যালুট প্রদান করেন।

    রাষ্ট্রপতি বললেন, সেনাবাহিনীর পায়ে এতদিন ছিল ক্যামব্রিজের জুতা এখন তাদের বুট জুতা পরিয়েছি তার আওয়াজ আপনারা শুনেছেন। তিনি বলতে লাগলেন আমাদের দেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সেনাবাহিনীকে আধুনিকীকরণ করতে হবে। আমাদের দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় চৌকস ও আধুনিক সেনাবাহিনীর কোনো বিকল্প নেই। যারা দেশের দুর্যোগ ও দুর্বিপাকে জনগণের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এ দেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে।

    তিনি আরও বললেন, ‘জাতীয় ইস্যুতে আমি জাতীয় ঐক্য গড়তে চাই। সব মত ও পেশার লোকজন এবং জনগণকে সে ঐক্য প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করতে হবে। শিল্প বিপ্লব, খাল খনন কর্মসূচির মাধ্যমে সবাইকে দেশ বিনির্মাণে অংশগ্রহণ করার উদাত্ত আহ্বান জানান এবং এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হবে অর্থনীতিতে। সেদিন এ অল্প সময়ে তিনি যে বক্তব্য রেখেছিলেন সেটা ছিল ঐতিহাসিক। একজন দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রনায়কের হৃদয়ে চিন্তা-চেতনার দৃঢ় বহিঃপ্রকাশ। আজকে এই শাহাদাতবার্ষিকীতে সেই ঐতিহাসিক বক্তব্য যে তার জীবনের শেষ বক্তব্য হবে সেটা আমরা যারা উপস্থিত ছিলাম কখনো কল্পনা করতে পারিনি। স্বনির্ভর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন রাষ্ট্রপতি জিয়া। জীবন দিয়ে আমাদের জন্য রেখে গেলেন এক আদর্শ। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখার এক দর্শন রচনা করে গিয়েছিলেন। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সুদৃঢ় সেতুবন্ধন। আজ তার এ শাহাদাতবার্ষিকীতে দ্বিধাহীন চিত্তে স্মরণ করছি সেই ঐতিহাসিক বক্তব্যের গুরুগম্ভীর পরিবেশ। উপস্থিত সবাই বিমুগ্ধ চিত্তে শুনেছিলেন তার মুখ থেকে বেরিয়ে আসা প্রতিটি শব্দ যা জীবনের কোনোদিন ভোলার মতো নয়। ভবিষ্যতে কোনো রাষ্ট্রনায়ক দৃঢ়তার সঙ্গে এ ধরনের বক্তব্য রাখতে পারবেন কিনা সন্দেহ। সেদিনের সেই ঐতিহাসিক বৈঠকের একজন কনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে আমার উপস্থিতি ছিল আমার জীবনের পরম পাওয়া। সেই বৈঠকের শীর্ষ নেতা না ফেরার দেশে চলে গেছেন।

    সেই স্মৃতিকে বুকে ধারণ করে বেঁচে আছেন তার প্রথম মহাসচিব ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, তৎকালীন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। তারা নিশ্চয় আজকের এই দিনে সেই স্মৃতি লালন করে এই মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও আত্মার মাগফিরাত কামনা করেই স্মরণ করবেন। আমি তার সেই দিনের স্মৃতিকে বুকে ধারণ করে অনেক চড়াই-উত্তরাই পার করে নিরবচ্ছিন্নভাবে এখনো তার প্রতিষ্ঠিত দলের পতাকাকে সমুন্নত রেখে জোর কদমে এগিয়ে চলছি তার স্বপ্নের সেই বাংলাদেশ বিনির্মাণে।

    জিয়াউর রহমানের শাহাদাতের পর জাতীয় সংসদে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম দল-মত-নির্বিশেষে সব সংসদ সদস্য ঐকমত্য হয়ে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন যা সর্বসম্মতিতে পাস হয়েছিল। সেই শোক প্রস্তাবের বক্তব্যগুলো ছিল নিম্নরূপ—‘তিনি সেই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়া, যিনি ১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যারা দেশে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জাতীয় সংসদ প্রতিষ্ঠা করেন এবং সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে তিনি পৃথিবীর ইতিহাসে এক বিরল নজির স্থাপন করেন। সামরিক অফিসার হয়েও গণতন্ত্রের প্রতি তার গভীর আস্থা ছিল এবং তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন যে, জনগণই ক্ষমতার উৎস। এটাই ছিল তার দর্শন। ’ তিনি ইরাক-ইরান যুদ্ধাবসানের প্রচেষ্টায় ইসলামী সম্মেলনে গঠিত নয় সদস্যের শান্তি মিশনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।

    রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রথম সামরিক জেনারেল যিনি সিপাহি জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর জনগণকে ক্ষমতা ফেরত দেন। তার একটি দৃষ্টান্ত হচ্ছে ফ্রান্সের জেনারেল দ্যাগল, উনার জীবনের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব সেটা হচ্ছে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় মার্শাল ল’ থেকে গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তন। তিনি অত্যন্ত ভাগ্যবান নেতা, একজন সামরিক কর্মকর্তা হয়ে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে দেশমাতৃকার স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ওই সময়ে দিশাহীন জাতিকে শত্রুমুক্ত করার জন্য দিক-নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

    সেদিনের সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা আসাদুজ্জামান খান এই মহান নেতার তিরোধানে বলেছেন, ‘অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়েই বক্তব্য রাখতে হচ্ছে’ এবং এক পর্যায়ে অকপটে বলেছিলেন তিনি (জিয়া) একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তিনি ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন, জাতি সেটা স্মরণ করবে। আজ বাংলাদেশে ইতিহাস বিকৃতির মতো অশোভন কর্মসম্পাদনের অপচেষ্টা চলছে। জিয়াউর রহমানকে বঞ্চিত করার অপচেষ্টা হচ্ছে তার প্রাপ্য মর্যাদা হতে।

    জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা নিয়ে যে কথাই বলা হোক না কেন, প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ও ভারতের রাষ্ট্রপতি সঞ্জীব রেড্ডির কণ্ঠে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে প্রতিধ্বনিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ১১ এপ্রিল স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে জনগণের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ জিয়াউর রহমানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন— ‘মেজর জিয়াউর রহমানের পরিচালনায় নৌ, স্থল ও বিমান বাহিনীর আক্রমণের মুখে চট্টগ্রাম শহরে যে প্রতিরোধ ব্যুহ গড়ে উঠেছে এবং আমাদের মুক্তিবাহিনী ও বীর চট্টলার ভাইবোনেরা যে সহযোগিতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন, স্বাধীনতার ইতিহাসের এই প্রতিরোধ স্টালিনগ্রাদের পাশে স্থান করে নেবে। ’

    প্রেসিডেন্ট জিয়া এক রাষ্ট্রীয় সফরে ভারত গিয়েছিলেন। ২৭ ডিসেম্বর তার সম্মানে দেওয়া ভোজসভায় ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি সঞ্জীব রেড্ডি বলেন, “You position is already assured in the annals of the independence of your country as a brave freedom fighter, who was the first to declare the independent to Bangladesh” (Bangladesh International Politics, professor Shamsul Haque, Page 96)

    এ ব্যাপারে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য উদ্ধৃত করা যায়— ৭১ সালের নভেম্বরে তিনি আমেরিকা সফরে ছিলেন। ৬ নভেম্বর তিনি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণদানকালে বলেন, “The cry for independent arose after Shikh Mujib was arrested and not before, He himself, so for as I know has not asked for independent even now (ভারতের তথ্য বেতার মন্ত্রী কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ ডকুমেন্টস ভলিউম-২, পৃষ্ঠা-৬গ৭) উনার শাহাদাতের এক মাস পর ১ জুন ১৯৮১ সালে ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ তার মন্তব্যে লিখেছিল— The world incorruptible, can only be used before the name of Ziaur Rahman.
    একজন রাষ্ট্রনায়কের এর চেয়ে বেশি কী আর পাওয়ার আছে।

    মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র কর্তৃক প্রকাশিত ‘মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপর’ গ্রন্থে মুক্তিবাহিনীর ৬ নং সেক্টরের সেক্টর প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার বলেছেন, ‘রাজনৈতিক নির্দেশ ছাড়াই মুক্তিযুদ্ধ শুরু, জিয়ার ঘোষণা শোনার সঙ্গে সঙ্গে দেশে ও দেশের বাইরে প্রচণ্ড উদ্দীপনা, একটি জাতির মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দেওয়ার মতো যে দুঃসাহসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটাই তাকে (জিয়াউর রহমানকে) চিরঞ্জীব করে রাখবে। ’ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়া সম্পর্কে লেখা শেষ করা যাবে না।

    শুধু বলব, তিনি সহজ সরল আড়ম্বরহীন জীবনযাপন করেছেন। মানুষকে হৃদয় থেকে ভালোবেসেছেন এবং দেশের জনগণের সঙ্গে নিজেকে একাকার করে তাদেরই একজন হয়েছেন তিনি।

    তিনি বলতেন, আমি রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতিকে কঠিন করে দেব। আর এর মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন শুধু ঢাকায় বসেই রাজনীতি করা চলবে না। বরং গ্রামে-গঞ্জে ঘুরে ঘুরে জনগণকে জাগ্রত করতে হবে। সেই দিনের সংসদে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ বলেছিলেন, ‘তিনি (জিয়া) একজন সত্যিকারের সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন যিনি তার জীবনকে বাজি রেখে সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করেছেন। ’ শহীদ জিয়া তার কর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে চির জাগরূক থাকবেন। আর আজকে দুই হাত তুলে আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের কাছে ফরিয়াদ করছি আল্লাহ সুবহানুওয়াতাআলা যেন শহীদ জিয়াকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন। আর তার পরিবারের সদস্যরা যারা এ দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্রের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করছেন তাদের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্রের জাল যেন নিশ্চিহ্ন করে দেন। আমিন।

    লেখক : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রদূত।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • জিয়াউর রহমান’র ৩৯ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে বক্করের শ্রদ্ধা

    জিয়াউর রহমান’র ৩৯ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে বক্করের শ্রদ্ধা

    রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শুধু একটা নাম নয়। একটা অনুভূতি। এই অনুভূতিতে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ একই সূত্রে গাঁথা। উনবিংশ, বিংশ ও একবিংশ শতাব্দীতে জাতীয়তাবাদের মাধ্যমে পৃথিবীর সকল উন্নত ও ক্ষমতাধর দেশের জন্ম। এবিষয়টি একমাত্র রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তাইতো তিনি জন্ম দিয়েছিলেন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের।

    বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের চেতনায় তলাবিহীন ঝুঁড়ি খ্যাত সদ্য স্বাধীন একটি দেশ যখন শিল্প, কৃষি, শিক্ষা, চিকিৎসা ও অবকাঠামোতে অভাবনীয় দ্রুত উন্নয়ন করছিলো ঠিক তখনি দেশী-বিদেশী ও আন্ত:এশিয় নেতৃবৃন্দরা বাংলাদেশের উন্নতি সহ্য করতে পারেনি। এশিয়া ও ইসলামিক বিশ্বে বাংলাদেশের তথা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আধিপত্য বিস্তারকে কেউই মেনে নিতে পারেনি। তাইতো দেশীয় দোসরদের সাথে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত একত্রিত হয়ে ১৯৮১ সালের ২৯ মে দিবাগত-রাতে তৎকালীন প্রসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যা করে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে।

    তারা প্রসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যা করলেও, তাঁর আদর্শকে হত্যা করতে পারিনি। তিনি তাঁর আদর্শ ছড়িয়ে দিয়েছেন ১৬ কোটি মানুষের হৃদয়ে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্ম আপাত দৃষ্টিতে ১৯৩৬ সালে হলেও, তাঁর জন্ম ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্যদিয়ে এই চট্টগ্রামের মাটিতেই। একটি নতুন রাষ্ট্র জন্মদানের মধ্যদিয়ে। তাই আমরা চট্টগ্রামবাসী ধন্য। আর চট্টগ্রামের মাটিতেই তিনি শহীদ হন। এজন্য আমরা চট্টগ্রামবাসী তাঁর নিকট ঋণী।

    বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা প্রতিটি অস্তিত্বের সাথে মিশে আছে বাংলার রাখালরাজা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) এর নাম ও কর্ম ।

    আজ ৩০ মে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৯ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে বিনম্র চিত্তে শ্রদ্ধা অবনত মস্তকে স্বরণ করছি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর