Tag: জিয়াউর রহমান

  • জিয়াউর রহমানের শাহদাৎ বার্ষিকীতে নগর যুবদলের কর্মসূচী ঘোষণা

    জিয়াউর রহমানের শাহদাৎ বার্ষিকীতে নগর যুবদলের কর্মসূচী ঘোষণা

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৩৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল কর্মসূচী ঘোষণা করেছে।

    তবে করোনাভাইরাসের কারণে অন্যান্য বছরের মতো এবার জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান থাকছে না।

    নগর যুবদলের উদ্যোগে মহানগর, ১৫ টি থানা ও ৪৩ টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিট নেতৃবৃন্দ দলের প্রতিষ্ঠাতার রুহের মাগফিরাত কামনায় খতমে কোরআন কর্মসূচী পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

     

  • জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীতে বিএনপির ১২ দিনের কর্মসূচি

    জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীতে বিএনপির ১২ দিনের কর্মসূচি

    করোনা মহামারীর প্রেক্ষাপটে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভাসহ ১২ দিনে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।

    বুধবার (২৭ মে) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

    বিএনপি মহাসচিবের উত্তরার নিজের বাসায় এই ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশ নেন।

    ১২ দিনে কর্মসূচিগুলো হচ্ছে- ৩০ মে সকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সব মহানগর ও জেলা কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন, বেলা ১১টায় ঢাকায় শেরে বাংলানগরে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শুধুমাত্র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পুস্পমাল্য অর্পণে শ্রদ্ধা নিবেদন, বিকাল সাড়ে তিনটায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলের প্রতিষ্ঠাতার স্মরণে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা এবং ১ জুন থেকে ১০ জুন পর্যন্ত জিয়াউর রহমানের কর্মকাণ্ডের ওপর বিষয়ভিত্তিক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা।

    দলের ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় দেশের কয়েকজন বরণ্যে বুদ্ধিজীবী ও স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বক্তব্য রাখবেন বলে জানান মহাসচিব।

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও মোকাবেলায় সরকারের চরম অবহেলা ও সমন্বয়হীনতা রয়েছে। যে কারণে দেশে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তারা করোনা মোকাবেলায় লকডাউনের নামে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। ফলে মানুষ ছুটি ভোগ করছে।

    অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখনও কোয়ারেন্টিনে আছেন।

    প্রতিবছর জিয়ার শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দুঃস্থদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করা হলেও এবার প্রস্তুত করা খাদ্যের পরিবর্তনে খাদ্য সামগ্রী, বস্ত্র বিতরণ ও আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে বলে জানান মহাসচিব।

    মহাসচিব বলেন, এসব সামগ্রী বিতরণকালে কোনো মতেই কোনো সমাবেশ করা যাবে না- এটা আমরা জোর দিয়ে বলছি। কারণ এখন এই বিধান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে যেটা বলা হয়েছে এটা মেনে চলাটা আমাদের একটা দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি।

    মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলছি, কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের কারণে প্রতিবছরের মতো করে গণজমায়েত করে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের যে শাহাদাত বার্ষিকী পালন করা সম্ভব হবে না। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, কোনো সমাবেশ বা জমায়েত না করে ভার্চুয়াল মিটিং করে আমরা তাকে স্মরণ করব।

    করোনাভাইরাসের বিশিষ্ট কয়েকজন নাগরিকসহ যারা মারা গেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত এবং করোনা ভাইরাসে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের আশু রোগমুক্তি কামনা করেন বিএনপি মহাসচিব।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • জিয়াউর রহমান প্রথম এ দেশে ভোট ডাকাতি শুরু করেছে : হানিফ

    জিয়াউর রহমান প্রথম এ দেশে ভোট ডাকাতি শুরু করেছে : হানিফ

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান প্রথম এ দেশে ভোট ডাকাতির রাজনীতি শুরু করেছিলেন।

    তিনি আজ কুষ্টিয়ায় তার নিজ বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, “জিয়াউর রহমান হাঁ-না ভোট করেছিলেন এবং কোথাও কোথাও ১২০ পার্সেন্ট ভোট পড়েছিল। সেটাও দেশবাসী জানে। বিএনপি ১ কোটি ৩০ লাখ ভুয়া ভোটার বানিয়ে কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছিল। আজিজ মার্কা ভোট করেছিল। ভোট সংক্রান্ত এত অপকর্মের সাথে যারা জড়িত তাদের মুখে ভোট নিয়ে কোন কথা মানায় না।”

    মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, সিটি কর্পোরেশনের ফল প্রত্যাখান করবে কি করবে না এটা বিএনপির বিষয়। তবে জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখান করেছে সেটি এবারও প্রমাণিত হয়েছে।

    তিনি বলেন, এই দল ক্ষমতায় থাকতেও দেশবিরোধী কাজ করেছে, ক্ষমতার বাইরে থেকেও উন্নয়ন ও অগ্রগতির বিরুদ্ধে কাজ করেছে। তাই এই দলকে নিয়ে মানুষ আর ভাবছে না।

    এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ হাসান মেহেদী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক, আওয়ামী লীগ নেতা প্রকৌশলী ফারুকুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন, পুলিশ সুপার এস এম তানভির আরাফাত পিপিএমসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    পরে তিনি তার নিজ গ্রাম কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন। বিকেল ৩টায় কুষ্টিয়া শহরের গড়াই নদীর পাড় রেনউইক’র পাশে বধ্যভুৃমির ভিত্তি প্রস্তুর, বিকেল ৪টায় কুষ্টিয়া সিরাজুল হক মুসলিম হাই স্কুলে শহীদ মিনার, ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার উদ্বোধনসহ বেশ কিছু অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করার কথা রয়েছে।

  • জিয়াউর রহমান বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের জনক:দীপ্তি

    জিয়াউর রহমান বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের জনক:দীপ্তি

    চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশররফ হোসেন দীপ্তি বলেছেন, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী আদর্শের কালজয়ী পুরুষ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তম। মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তক, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার শহীদ জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূর্ত প্রতীক। সেক্টর কমান্ডর জিয়া জেড ফোর্সের অধিনায়ক জিয়ার মুক্তিযুদ্ধে অবদান এই জাতি চিরকাল স্মরণ রাখবে।

    আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করে জিয়াউর রহমানের নামে বিভিন্ন অপপ্রচার যতই করুক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের জনক। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শই জাতীয়তাবাদী সৈনিকদের চলার পথের পাথেয়।

    তিনি এ সময় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান’র রূহের মাগফেরাত কামনা করেন।

    আজ রবিবার (১৯ জানুয়ারী) বাদে জোহর আমানত শাহ মাজার সংলগ্ন মসজিদে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোশররফ হোসাইনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন নগর যুবদল নেতৃবৃন্দ। মিলাদ ও দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন অত্র মসজিদের খতীব। তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভুলত্রুটি ক্ষমা করে আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করার জন্য। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তি ও রোগমুক্তির জন্য দোয়া করেন।

    উক্ত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন, সহ-সভাপতি এস এম শাহ আলম রব, এম এ রাজ্জাক, ফজলুল হক সুমন, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, আবদুল করিম, আবদুল গফুর বাবুল, মিয়া মোহাম্মদ হারুন, মনিরুল হাসান সিদ্দিকী, নাসির উদ্দিন চৌধুরী নাসিম, জসিমুল ইসলাম কিশোর, মো. আলী সাকি, যুগ্ম সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, মো. হুমায়ুন কবীর, ইকবাল পারভেজ, সেলিম উদ্দিন রাসেল, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, শাহীন পাটওয়ারী, রাজন খান, হেলাল হোসেন, গুলজার হোসেন, সহসাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সাজু, শাহজালাল পলাশ, মুজিবুর রহমান রাসেল, আহাদ আলী সায়েম, রাসেল নিজাম।

    সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জিল্লুর রহমান জুয়েল, আজিজুল হক মাসুম, এডভোকেট নাজমুল হাসান, জসিম উদ্দিন সাগর, আলাউদ্দিন, মহিউদ্দিন মুকুল, ইফতেখার শারিয়ার আজম, সহ সম্পাদক কমল জ্যোতি, কামরুল ইসলাম, কোরবান আলী, জহিরুল ইসলাম জহির, হাফেজ কামাল উদ্দিন, জাহাঙ্গির আলম বাবু, মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, আনোয়ার হোসেন, এস এম ফারুক, মাস্টার ফজলুল হক, জাফর সাদেক সোহেল, মো. ইদ্রিস, সাইদুল ইসলাম, ইব্রাহিম খান, সুলতান মাহমুদ সুমন, আবু বক্কর সিদ্দিকী আবু, নগর যুবদলের সদস্য সোহাগ খান, সাইদুল হক সিকদার, সাব্বির ইসলাম ফারুক, জাহেরী মাসুদ, থানা যুবদলের মনজুর আলম মঞ্জু, শাহআলম, ওবায়দুল হক, খোরশেদুল আলম রুবেল, জাবেদ আলী, তাজিম ইসলাম, মো. পারভেজ, আবু বক্কর বাবু, এস এম আলী, এস এম শাহবাজ, মো. হাসান, মো. ইউনুস, জহিরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, আজিম, এস এম অভি প্রমূখ।

  • মোস্তাকের সবচেয়ে বিশ্বস্ত লোক ছিলেন জিয়া:শেখ হাসিনা

    মোস্তাকের সবচেয়ে বিশ্বস্ত লোক ছিলেন জিয়া:শেখ হাসিনা

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের জড়িত থাকার অভিযোগ পূর্ণব্যক্ত করে বলেছেন, খন্দকার মোস্তাকের সবচেয়ে বিশ্বস্ত লোক ছিলেন জিয়া।

    তিনি বলেন, ‘জিয়া মোস্তাকের সবচেয়ে বিশ্বস্ত লোক ছিলেন বলেই তিনি তাকে সেনা প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। যদি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়া জড়িত না-ই থাকবেন, তবে খন্দকার মোস্তাক তাকে কেন সেনাপ্রধান বানিয়েছিলেন?’

    প্রধানমন্ত্রী শনিবার বিকেলে রাজানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই আলোচনা সভার আয়োজন করেন।

    আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা স্বাধীনতাকে সমুন্বত রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি ভবিষ্যতে জনগণের ভাগ্য নিয়ে যেন কেউ আর ছিনিমিনি খেলতে না পারে সে জন্য সতর্ক থাকতে তরুণদের প্রতি আহবান জানান।

    প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, দেশবাসীকে মনে রাখতে হবে যে বাংলাদেশের মাটিতে মীর জাফর ও খন্দকার মোস্তাকের মতো বিশ্বাসঘাতকরা জন্মেছিলেন এবং যুগে যুগে ‘খুনী জিয়ার’ মতো মানুষ আসতেই থাকবে।

    তিনি বলেন, ‘তাই যুবসমাজসহ বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম দায়িত্ব নিতে হবে এবং কেউ যেন মানুষের সঙ্গে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সে জন্য সতর্ক থাকতে হবে।’

    আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু, ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস।

    এছাড়া অনুষ্ঠানে শহীদ আলতাফ মাহমুদের মেয়ে শাওন মাহমুদ, ঢাকা উত্তর নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী বক্তব্য প্রদান করেন।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডে অন্যান্য শহীদ, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

  • রোহিঙ্গা সমস্যার জন্য জিয়াউর রহমান দায়ী : প্রধানমন্ত্রী

    রোহিঙ্গা সমস্যার জন্য জিয়াউর রহমান দায়ী : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আজ জাতীয় সংসদে রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টির জন্য সাবেক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানকে অভিযুক্ত করেছেন।

    তিনি বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টির পেছনে জিয়াউর রহমানের হাত রয়েছে, এতে কোন সন্দেহ নাই।’

    প্রধানমন্ত্রী আজ একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তরিকত ফেডারেশনের সংসদ সদস্য নজিবুল বাশার মাইজভান্ডারীর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা বিষয় যদি আপনারা লক্ষ্য করেন ’৭৫ এ জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশে যে হত্যা, ক্যু এবং ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয় এবং এর পরে পার্বত্য চট্টগ্রামে সমস্যাটাও সৃষ্টি হয় ’৭৬-’৭৭ সালে। আর ’৭৮ সালে এই রোহিঙ্গা সমস্যা শুরু হয়। এটাই বাস্তবতা।’
    বর্তমান সরকার যেকোন সমস্যার শান্তিপূর্ণ

    সমাধানে বিশ্বাসী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এ ধরনের উদ্যোগও নিয়েছি।’

    যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্যে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি একটা কথা স্পষ্টভাবে বলতে চাই- বাংলাদেশের মাটি থেকে প্রতিবেশি কোন দেশে কেউ কোন রকমের দেশ বিরোধী বা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানোর সুযোগ দেয়া হবেনা। কোন সন্ত্রাসীর স্থান বাংলার মাটিতে হবে না, এটা আমরা নিশ্চিত করেছি।’

    তিনি বলেন, ‘কিছু বিষয় আছে যা অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, কিন্তু বাংলাদেশের মাটিকে আমরা কোন সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার করতে দেব না।’
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীত সরকারগুলো যা করেছিল, এদেরকে আমরা এদেশ থেকে বিতাড়িত করেছি এবং বাংলাদেশ সবসময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়-এই নীতিতেই আমরা বিশ্বাস করি।

    সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভারত এবং চীনের ভূমিকা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আমরা আমাদের এই প্রতিবেশি দু’টি দেশের সঙ্গে ইতোমধ্যে আলোচনা করেছি এবং এ বিষয়ে তাদের সক্রিয় ভূমিকা আশা করছি।’

    এ বিষয়ে মিয়ানমারের সীমান্তে ঘেঁষে অবস্থিত ভারত-চীন সহ অন্যান্য দেশ যেমন লাওস এবং থাইল্যান্ডের সঙ্গেও বাংলাদেশ আলাপ-আলোচনা চালিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারণ এই প্রতিটি দেশের সীমান্তেই মিয়ানমারের ছোট ছোট ধর্মীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে সমস্যা লেগে রয়েছে। কাজেই এই সমস্যাগুলোর যাতে সমাধান করা যায় সে বিষয়ে আমাদের আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর চীন সফরকালে চীনের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীকে তিনি অনুরোধ করার প্রেক্ষিতে তারা এ বিষয়ে যথাযথ ভূমিকা গ্রহণের কথা বলেন। যার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই মিয়ানমারে চীনের একটি প্রতিনিধি দল গিয়েছিল, তাঁরা বিষয়টি আলোচনা করেছেন এবং মিয়ানমারকে তারাও চাপ দিচ্ছেন।

    তাছাড়া, তাঁর ভারত সফরকালে এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪ তম অধিবেশনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি তাঁদের মধ্যে আলাপ হয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

    তিনি বলেন, ‘আমি প্রত্যেকের কাছ থেকেই ভাল সাড়া পেয়েছি এবং এই সমস্যাটির যে একটা সমাধান হওয়া উচিত এখন এটা সকলেই অনুধাবন করে। তবে, তাদের দৃষ্টিভঙ্গিটা হলো মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের যে সম্পর্ক সেটা রেখে এই রোহিঙ্গারা যেন নিরাপদে মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারে। কাজেই তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।’