Tag: জুনায়েদ বাবুনগরী

  • ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য : মামুনুল-বাবুনগরী-করীমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা

    ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য : মামুনুল-বাবুনগরী-করীমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা

    ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্যের অভিযোগে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মোহাম্মদ জোনায়েদ ওরফে জুনায়েদ বাবুনগরী ও সৈয়দ ফয়জুল করীমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়েছে।

    সোমবার মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বাদি হয়ে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে এ মামলা করেন। আদালত বাদির জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ডিআইজিকে আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।

    মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়,আসামি মামুনুল হক গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর তোপখানা রোডের বিএমএ ভবনের মিলনায়তনে বক্তৃতায় বলেন, ‘যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন করে তারা বঙ্গবন্ধুর সুসন্তান হতে পারে না। এই মূর্তি স্থাপন বন্ধ করুন। যদি আমাদের আবেদন মানা না হয়, আবারও তৌহিদী জনতা নিয়ে শাপলা চত্বর কায়েম হবে।’

    একইদিন আসামি সৈয়দ ফয়জুল করীম ধোলাইখালের নিকটে গেন্ডারিয়া নামক স্থানে তার নসিহত শুনতে আসা সাধারণ মুসলমানদের হাত উঁচু করে শপথ পড়িয়ে বলেন, ‘আন্দোলন করব, সংগ্রাম করব, জেহাদ করব। রক্ত দিতে চাই না, দেয়া শুরু করলে বন্ধ করব না। রাশিয়ার লেলিনের বাহাত্তর ফুট মূর্তি যদি ক্রেন দিয়ে তুলে সাগরে নিক্ষেপ করতে পারে, তাহলে আমি মনে করি শেখ সাহেবের এই মূর্তি আজ হোক, কাল হোক খুলে বুড়িগঙ্গায় নিক্ষেপ করবে।’

    মোহাম্মদ জোনায়েদ ওরফে জুনায়েদ বাবুনগরী হাটহাজারীতে বলেন, ‘মদিনা সনদে যদি দেশ চলে তাহলে কোনো ভাস্কর্য থাকতে পারে না।’

    তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘ভাস্কর্য নির্মাণ পরিকল্পনা থেকে সরে না দাঁড়ালে আরেকটি শাপলা চত্বরের ঘটনা ঘটবে এবং ওই ভাস্কর্য ছুড়ে ফেলা হবে।’

    মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করে মামলার বাদি দাবি করেছেন, আসামিরা এরূপ ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য দিয়ে ইসলাম ধর্মকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা ও সুযোগ-সুবিধা লাভের হীন উদ্দেশ্যে বিদেশি শক্তির সাথে হাত মিলিয়ে ধর্মের লেবাসে সাধারণ মুসলমানদের উসকানি দিয়ে, ক্ষেপিয়া তুলে রাষ্ট্র ও সমাজের মধ্যে ঘৃণা ও শত্রুভাব সৃষ্টি করেছে। যার ফলশ্রুতিতে আসামিদের নির্দেশে মধুদার ভাস্কর্য ও কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর নির্মিত ভাস্কর্যসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভাস্কর্য ভাঙা হচ্ছে। এইরূপ প্রচারণা ও উসকানি রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।

    অপর দিকে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠা ও নির্বাহী সভাপতি এডভোকেট আবদুল মালেক একই আদালতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন। আদালত বাদির জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনর (পিবিআই) ডিআইজিকে আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।

    এ মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ‘আসামি মামুনুল হক গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর তোপখানা রোডের বিএমএ মিলনায়তনের এক আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার হুমকি দেন।

    এ সময় তিনি বলেন, “লাশের পর লাশ পড়বে, তবুও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য গড়তে দেয়া হবে না।” আর এই বক্তব্যের ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাবমূর্তি ও সম্মান ক্ষুণ্য হয়েছে।

  • নূরানী বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী

    নূরানী বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী

    চট্টগ্রাম নূরানী তা’লীমুল কুরআন বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন হেফাজত ইসলামের মহাসচিব ও হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

    সোমবার (২৬ অক্টোবর) হাটহাজারী এলাকায় বোর্ডের প্রধান র্কাযালয়ে অনুষ্ঠতি মজলিসে আমেলার বৈঠকে তাকে নূরানী বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। ওই বৈঠকে প্রয়াত আল্লামা শফীর পুত্র মাওলানা আনাস মাদানী ও নাজিরহাটের মাওলানা সলিমুল্লাহকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

    সূত্র জানায়, অনুষ্ঠিত আমেলার বৈঠকে হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মুফতি জসিমুদ্দীনকে সেক্রেটারি, মেখল মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা নোমান ফয়জীকে কার্যকরী সভাপতি ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, হাটহাজারী মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, মুফতি মুহাম্মদ আলী কাসেমীকে সহ-সভাপতি এবং হাফেজ মুহাম্মদ ইসমাঈলকে অর্থ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।

    এছাড়া বৈঠকে মাওলানা ইয়াহইয়াকে মজলিসে আমেলার সদস্য নিযুক্ত করে মোট ৯ সদস্যবিশিষ্ট মজলিসে আমেলা ও ৮ বিভাগ থেকে নতুন শুরা সদস্য নিযুক্ত করে আমেলাসহ ৩০ সদস্যবিশিষ্ট নতুন শুরা কমিটি গঠন হয়।

    এদিকে, বৈঠকে সদ্য প্রয়াত আল্লামা শফীর পুত্র মাওলানা আনাস ও নাজিরহাট মাদ্রাসার সাবেক পরিচালক মাওলানা সলিমুল্লাহ’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় তাদেরকে বোর্ডের যাবতীয় র্কাযক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

    এতদিন মাওলানা আনাস ওই বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং মাওলানা সলিমুল্লাহ অর্থ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • উগ্রপন্থী হিদুত্ববাদী ‘ইসকন’ নিষিদ্ধ ঘোষনা করতে হবে-জুনায়েদ বাবুনগরী

    উগ্রপন্থী হিদুত্ববাদী ‘ইসকন’ নিষিদ্ধ ঘোষনা করতে হবে-জুনায়েদ বাবুনগরী

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, একমাত্র ইসলাম ধর্মই হচ্ছে পৃথিবীতে শ্রেষ্ট ধর্ম এবং এ ধর্মকেই আল্লাহ পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা হিসেবে ঘোষনা করেছেন; অন্য কোন ধর্মকে নয়। এ ধর্মকে নিয়ে আজ তামাশা করা হচ্ছে।

    বলা হচ্ছে ‘ধর্ম যার যার; উৎসব সবার’। এটা কোন মুসলমান বলতে পারে না। বললে সে মুসলমান থাকতে পারে না। এ ধরণের আস্কারা পাওয়ার পর আজ দেশে ইসলামের শত্রুরা আমাদের ধর্মকে নিয়ে কটাক্ষ এবং চ্যালেঞ্জ শুরু করেছে।

    উগ্রপন্থী হিদুত্ববাদী সংগঠন দেশে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। যারা চায় উপমহাদেশে হিন্দুত্ববাদ ছাড়া অন্য কোন ধর্ম থাকতে পারবে না। তারা সম্প্রতি চট্টগ্রাম শহরের এক বিদ্যালয়ে মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ‘প্রসাদ’ খেতে বাধ্য করেছে। এমনকি ‘বিছমিল্লাহ’ শব্দও বলতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এভাবে পুরো দেশে ‘ইসকন’ নামক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটি বেপরোয়া কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাই আজকে দাবী জানাচ্ছি- অবিলম্বে উগ্রপন্থী হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ‘ইসকন’ বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষনা করতে হবে।

    তিনি শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) বাদ জুমা ফটিকছড়ি’র ঐতিহ্যবাহী প্রাচীনতম দ্বীনি প্রতিষ্ঠান ‘আল জামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর মাদ্রাসা’র ৯৭তম বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    মাদ্রাসার মুহতামিম ও দেশের দ্বিতীয় বয়োজেষ্ট আলেমেদ্বীন আল্লামা শাহ মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইসলামী মহাসম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন, প্রখ্যাত ওয়ায়েজিন আল্লামা জুনায়েদ আল হাবিব।

    আল্লামা হারুন আজিজী নদভী, মুফতি ইকবাল আজিমপুরী ও মাওলানা আবু মাখনুন মোহাম্মদ বাবুনগরীর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, নাজিরহাট মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা শাহ মুহাম্মদ ইদ্রিছ, বাবুনগরের শায়খুল হাদীস মুফতি মাহমুদ হাসান, পটিয়া মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম আল্লামা আবু তাহের নদভী, আল্লামা লোকমান হাকিম, আল্লামা আব্দুল বাসেত খান, আল্লামা মামুনুল হক, আল্লামা এমাদুল্লাহ নানুপুরী, মুফতি শাখাওয়াত হোসাইন প্রমূখ।