দুই তারকার মহামিলন; ম্যাচের ফলাফলের চেয়ে এই দ্বৈরথ দেখতে মুখিয়ে ছিল ফুটবল ভক্তরা। কিন্তু পুনর্মিলনের ম্যাচে একাই আলো ছড়িয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সুযোগ তৈরি করেও সফলতা পেলেন না লিওনেল মেসি। পর্তুগিজ তারকা রোনালদোর জোড়া গোলে বার্সেলোনাকে উড়িয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলো জুভেন্টাস।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে ন্যু ক্যাম্পে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে বার্সেলোনাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে জুভেন্টাস। রোনালদোর দুই গোলের সঙ্গে আরেকটি করেন ওয়েস্টন ম্যাককেনি।
অবশ্য ম্যাচটিতে জুভেন্টাস গোলরক্ষক বিশেষভাবে নজর কেড়েছেন। ম্যাচের পুরোটা সময় গোলবার আগলে রেখেছেন জানলুইজি বুফন। অভিজ্ঞ এই ইতালিয়ান গোলরক্ষকের বাধা এড়িয়ে সাফল্যের দেখা পাননি মেসিরা।
অথচ হারলেও পুরো ম্যাচে জুভেন্টাসের চেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক ছিল বার্সা। ম্যাচের ৬০ শতাংশ বল দখলে রেখে অন টার্গেট শট নেয় ১৯ বার। কিন্তু একটিও সফল হতে দেননি জুভেন্টাস গোলরক্ষক। অন্যদিকে, পুরো ম্যাচে ৪০ ভাগ সময় বল দখলে রেখে সাতবার শট নিয়েই সফল জুভেন্টাস।
এর আগে প্রথম দেখায় জুভেন্টাসের মাঠে ২-০ গোলে জিতেছিল বার্সা। ওই ম্যাচে ছিলেন না রোনালদো। এবার ফিরেই চ্যাম্পিয়ানস লিগে বার্সাকে প্রথম হারের স্বাদ দিলেন তিনি।
এদিন ম্যাচের ১৩ মিনিটেই গোলের দেখা পেয়ে যায় জুভেন্টাস। সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন রোনালদো। বার্সার ডি-বক্সে ঢুকলে পর্তুগিজ তারকাকে ফাউল করে বসেন স্বাগতিক ডিফেন্ডার আরাহো। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ওই সুযোগে গোল আদায় করে নেন রোনালদো।
২০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ম্যাককেনি। কুয়াদরাদোর ক্রস ধরে ডি বক্সের বাইরে পেয়ে ডান পায়ের ভলিতে স্কোরলাইন ২-০ করেন তিনি।
বিরতির পর তৃতীয় গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় জুভেন্টাস। সেটিও আসে স্পট কিক থেকে। বার্সেলোনার ডি-বক্সে ডিফেন্ডার ক্লেমোঁ লংলের হাতে বল লাগলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজার রেফারি। পেনাল্টি থেকে জোরালো শটে দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন রোনালদো। সবমিলিয়ে এই প্রতিযোগিতায় ১৩৪টি গোল করলেন জুভেন্টাস ফরোয়ার্ড।