Tag: জেলহত্যা দিবস

  • জেলহত্যা দিবসে বনানী কবরস্থানে আ. লীগের শ্রদ্ধা

    জেলহত্যা দিবসে বনানী কবরস্থানে আ. লীগের শ্রদ্ধা

    জেলহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে বনানী কবরস্থানে জাতীয় চার নেতার কবরে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

    আজ (শুক্রবার) সকাল ৮টার পর বনানী কবরস্থানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় শহীদ জাতীয় চার নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

    বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আবারও প্রমাণ করেছে তারা সন্ত্রাসী দল। ঢাকায় তারা যে রক্তপাত, তাণ্ডব ঘটিয়েছে এটা তারই প্রমাণ। এরপর এই সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই আসে না। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন সংস্থা তারা সংলাপ করলে এটা তাদের বিষয়। বিএনপি ফের অবরোধ দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা সতর্ক পাহারায় আছি। পাহারা জোরদার করা হবে।

    এ সময় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মো. ফারুক খান, শাহজাহান খান, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমদ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ-দপ্তর সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    এরপর পর্যায়ক্রমে দলের অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতারা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। নেতাকর্মীদের ভিড়ে সকাল থেকেই বনানী কবরস্থান এলাকা মুখরিত হতে থাকে। একে একে বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    এদিন বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন যুবলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ। পরে বনানী কবরস্থান সংলগ্ন মসজিদে পবিত্র কোরআন পাঠ ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

    ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি চক্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। এর কিছুদিন পরেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোদ্ধা জাতীয় চার নেতাকে।

    মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন এই চার নেতা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। ওই সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ, অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন মনসুর আলী। আর এ এইচ এম কামরুজ্জামান খাদ্য ও ত্রাণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

  • জেলহত্যা দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আ.লীগের শ্রদ্ধা

    জেলহত্যা দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আ.লীগের শ্রদ্ধা

    জেলহত্যা দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আওয়ামী লীগ।

    শুক্রবার (৩ নভেম্বর) ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা এ শ্রদ্ধা জানান।

    আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এবং পরে দলের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

    এসময় দলের সভপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মো. ফারুক খান, শাহজাহান খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমদ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ দপ্তর সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    এছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

    উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতা— সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এএইচএম কামারুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে। এই চার নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী। ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় এই দিনটি।

  • জেলহত্যা দিবস আজ, চার নেতার স্মরণে আ. লীগের কর্মসূচি

    জেলহত্যা দিবস আজ, চার নেতার স্মরণে আ. লীগের কর্মসূচি

    আজ ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী বাংলাদেশের প্রথম সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

    জেলহত্যা দিবস বাঙালি জাতির জীবনে এক কলঙ্কময় দিন। শোকাবহ জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

    ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার ধারাবাহিকতায় আড়াই মাসের মাথায় জাতীয় এই চার নেতাকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে ঘাতকরা। কারাগারের মতো কঠোর নিরাপত্তা প্রকোষ্ঠে এ ধরনের নারকীয় হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন।

    বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এই চার জাতীয় নেতাকে যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের ইতিহাসে অন্যতম বর্বরোচিত এই কালো অধ্যায়টিকে স্মরণ করবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন। দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

    রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেন, ৩ নভেম্বর, জেলহত্যা দিবস। জাতীয় জীবনে এক শোকাবহ দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামান বন্দি অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতক চক্রের হাতে নির্মমভাবে শাহাদত বরণ করেন।

    জাতীয় চার নেতার আত্মত্যাগ বাঙালি জাতি চিরকাল শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড ছিল জাতির পিতাকে পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ হত্যার ধারাবাহিকতা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও জাতীয় চার নেতার জঘন্য হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতা বিরোধী পরাজিত শক্তি ও দেশ বিরোধী চক্র বাংলার মাটি থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম চিরতরে মুছে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস এবং বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। ঘাতকদের উদ্দেশ্যই ছিল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামোকে ভেঙে আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করা।

    প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে। কারাগারের অভ্যন্তরে এ ধরনের বর্বর হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন।

    কর্মসূচি :

    জেলহত্যা দিবস বাঙালি জাতির জীবনে এক কলঙ্কময় দিন। শোকাবহ জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

    প্রতিবারের মতো এবারও আওয়ামী লীগ সমগ্র বাঙালি জাতির সাথে সশ্রদ্ধচিত্তে যথাযথ মর্যাদা ও বেদনার সাথে শোকাবহ এ দিবসটি স্মরণ করবে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

    সূর্য উদয়ক্ষণে বঙ্গবন্ধু ভবন এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে সংগঠনের সকল স্তরের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং কালো পতাকা উত্তোলন।

    সকাল সাড়ে ৭ টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি-বিজড়িত ধানমন্ডিস্থ ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। এসময় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনসহ মহানগরের প্রতিটি শাখার নেতাকর্মীরা যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

    সকাল ৮ টায় বনানী কবরস্থানে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের কালরাতে নিহত সকল শহীদ ও কারাগারে নির্মমভাবে নিহত জাতীয় নেতৃবৃন্দের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

    এছাড়াও রাজশাহীতে জাতীয় নেতা শহীদ কামারুজ্জামানের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও মোনাজাত করা হবে।

    এদিকে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে বিকেল ৩ টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ এক আলোচনা সভার আয়োজন করবে। সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন।

    দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সকল সাংগঠনিক জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন শাখা এবং সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থক এবং সর্বস্তরের জনগণকে যথাযথ মর্যাদা ও শোকাবহ পরিবেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলহত্যা দিবস পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।

  • জাতীয় চার নেতাকে হত্যা জাতির জন্য কলঙ্ক জনক অধ্যায়: ফজলে করিম চৌধুরী

    জাতীয় চার নেতাকে হত্যা জাতির জন্য কলঙ্ক জনক অধ্যায়: ফজলে করিম চৌধুরী

    রাউজান প্রতিনিধি: রাউজানের সংসদ সদস্য রেল পথ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেছেন, ৩রা নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা জাতির জন্য এক কলঙ্খ জনক অধ্যায়। ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৫ সালে ৩রা নভেম্বর তার ঘনিষ্ট সহচর জাতীয় চার নেতাকে জেলখানায় হত্যা করেছিল। এই হত্যার জড়িতরা ও তাদের সহযোগিরা এখনো দেশে বিদেশে বসে শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। পালিয়ে থাকা ৭৫ সালের এসব প্রেতাত্মাদের খুঁজে বের করে ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হবে।

    তিনি ৩ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকালে রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবদুর ওহাবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, সহ সভাপতি কাজী ইকবাল, রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, যুগ্ম সম্পাদক আলহাজ্ব বশির উদ্দিন খান. আওয়ামীলীগ নেতা স্বপন দাশ গুপ্ত, ইরফান উদ্দিন চৌধুরী, ভূপেষ বড়ুয়া, মাহাবুবুল আলম, চেয়ারম্যান রবিন্দ্র লাল চৌধুরী, রেহেনা আফরোজ, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুর জব্বার সোহেল, পৌরসভা আওয়ালীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সহ সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী, কাউন্সিলর আজাদ হোসেন, কৃষক লীগের সভাপতি আলমগীর আলী, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক চৌধুরী সুমন, পৌরসভা কৃষক লীগের সভাপতি আলী আজগর চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তছলিম উদ্দিন, পৌর যুবলীগের সভাপতি হাসান মোহাম্মদ রাসেল, ছাত্রলীগের সভাপতি জিল্লুর রহমান মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী পিবলু প্রমুখ।
    ২৪ঘণ্টা/এসএ

  • জেলহত্যা দিবস ‘ঘোষণার দাবি’ বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত

    জেলহত্যা দিবস ‘ঘোষণার দাবি’ বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত

    জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণার দাবি বাস্তবায়ন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

    বৃহস্পতিবার সকালে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে হত্যা, সন্ত্রাস ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মূলহোতা বিএনপি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হত্যা, সন্ত্রাস চিরতরে বন্ধ করতে হবে।

    তিনি বলেন, সেই ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দুনিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের হত্যা। কটা পরিবারকে নিঃসঙ্গ করে দেয়াই ছিল তাদের লক্ষ্য। সেদিন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছিলেন বিদেশে। ৩ নভেম্বর জেলের অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা ছিল ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতা। এই হত্যার অপরাজনীতির ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ২৩টি তাজা প্রাণে রক্তাক্ত হয় বঙ্গবন্ধু এভিনিউ। তাদের প্রধান টার্গেট ছিল তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় দিবস ঘোষণাসহ তিনটি দাবি নিয়ে স্পিকারকে স্মারকলিপি দিয়েছেন জাতীয় চার নেতার অন্যতম তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে তানজীম আহমদ সোহেল তাজ। একই দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকেও স্মারকলিপি দিয়েছেন তিনি।

    অন্য দুটি দাবি হলো ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার গঠনের দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা এবং জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনীসহ পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তক, সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা।

    জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস করার দাবি ব্যাপারে ওবায়দুল কাদের বলেন, সে দাবি করতেই পারে। এটা একটা বিষয় না। আসলে আমাদের এত দিবস, সেটা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত বিষয়।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। এ সময় কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

    প্রথমে সরকার প্রধান হিসাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে দলের নেতাদের নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ১৫ আগস্টে ও ৩ রা নভেম্বরের নিহতদের স্মরণে দোয়া ও মোনাজাত করেন তিনি।

    ধানমন্ডি থেকে সরাসরি বনানী কবরস্থানে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৷ সেখানে তিনি জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ ও ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। আরেক নেতা এএইচএম কামারুজ্জামানের সমাধি রাজশাহীতে।

    ৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় হল ৭৫-এর ৩ নভেম্বর। এই দিন ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ ও ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, এএইচএম কামারুজ্জামানকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

    প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডি ত্যাগ করার ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী, মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে তারা বনানী কবরস্থানে জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ ও ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

  • আজ কলঙ্কময় জেলহত্যা দিবস

    আজ কলঙ্কময় জেলহত্যা দিবস

    আজ ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস। ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দ্বিতীয় কলংকজনক অধ্যায় এই দিনটি।

    ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকান্ডের পর তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এএইচএম কামারুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এর আগে ১৫ আগস্টের পর এই চার জাতীয় নেতাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

    জাতি আজ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতাকে যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের ইতিহাসের অন্যতম বর্বরোচিত এই কালো অধ্যায়টি স্মরণ করবে।

    আওয়ামী লীগ সহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের উদ্যোগে সারাদেশে পালিত হবে শোকাবহ এই দিনটি।

    আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সূর্য উদয়ের সাথে সাথে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সর্বত্র দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে বনানী কবরস্থানে জাতীয় চার নেতার কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। একই ভাবে রাজশাহীতে জাতীয় নেতা কামারুজ্জামানের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে বিকাল ৩ টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

    বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রী সভার সবচাইতে ঘৃণিত বিশ্বাসঘাতক সদস্য হিসেবে পরিচিত তৎকালীন স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমদ এবং বঙ্গবন্ধুর দুই খুনি কর্নেল (বহিস্কৃত) সৈয়দ ফারুক রহমান এবং লে. কর্নেল (বহিস্কৃত) খন্দকার আব্দুর রশীদ জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার এ পরিকল্পনা করেন। এ কাজের জন্য তারা আগে ভাগে একটি ঘাতক দলও গঠন করে। এ দলের প্রধান ছিল রিসালদার মুসলেহ উদ্দিন। সে ছিল ফারুকের সবচেয়ে আস্থাভাজন। ১৫ আগস্ট শেখ মনির বাসভবনে যে ঘাতক দলটি হত্যাযজ্ঞ চালায় সেই দলটির নেতৃত্ব দিয়েছিল মুসলেহ উদ্দিন।

    প্রখ্যাত সাংবাদিক অ্যান্থ’নী মাসকারেনহাস তার ‘বাংলাদেশ এ লিগ্যাসি অব ব্লাড’ গ্রন্থে এ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরপরেই জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনাটি এমনভাবে নেয়া হয়েছিল যাতে পাল্টা অভ্যুথান ঘটার সাথে সাথে আপনা আপনি এটি কার্যকর হয়। আর এ কাজের জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি ঘাতক দলও গঠন করা হয়। এই ঘাতক দলের প্রতি নির্দেশ ছিল পাল্টা অভ্যুথান ঘটার সাথে সাথে কোন নির্দেশের অপেক্ষায় না থেকে কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে তারা জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করবে। ’৭৫-এর ৩ নভেম্বর খালেদ মোশাররফ পাল্টা অভ্যুথান ঘটানোর পরেই কেন্দ্রীয় কারাগারে এই জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়।

    বঙ্গবন্ধুর আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণার পর পরই পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে জাতির জনককে তাঁর ঐতিহাসিক ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। পরে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময় সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশ সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

    মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের সমধিক পরিচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দিন আহমেদ একটি স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কোটি কোটি বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বঙ্গবন্ধুর অপর ঘনিষ্ঠ সহযোগী এএইচএম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলী আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনার ক্ষেত্রে নীতি ও কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

    ৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্য এবং ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিহত জাতীয় চার নেতা হত্যার তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল লন্ডনে। এসব হত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইন ও বিচারের প্রক্রিয়াকে যে সমস্ত কারণ বাধাগ্রস্ত করেছে সেগুলোর তদন্ত করার জন্য ১৯৮০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এই তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়। তবে সেই সময়ে বাংলাদেশ সরকারের অসহযোগিতার কারণে এবং কমিশনের একজন সদস্যকে ভিসা প্রদান না করায় এ উদ্যোগটি সফল হতে পারেনি। তখন বাংলাদেশের সরকার প্রধান ছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।

    অধ্যাপক আবু সাইয়িদের ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড ফ্যাক্টস এন্ড ডুকমেন্টস’ গ্রন্থে এই কমিশন গঠনের বর্ণনা রয়েছে। এতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা, মনসুর আলীর পুত্র মোহাম্মদ সেলিম এবং সৈয়দ নজরুল ইসলামের পুত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের আবেদনক্রমে স্যার থমাস উইলিয়ামস, কিউ. সি. এমপি’র নেতৃত্বে এই কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়। বাংলাদেশ ও বিদেশে অনুষ্ঠিত জনসভাসমূহে এ আবেদনটি ব্যাপকভাবে সমর্থিত হয়।

    ২৪ঘণ্টা/এনএম

  • ডিমলায় বিনম্র শ্রদ্ধায় জেলহত্যা দিবস পালিত

    ডিমলায় বিনম্র শ্রদ্ধায় জেলহত্যা দিবস পালিত

    নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিনম্র শ্রদ্ধায় জেলহত্যা দিবস পালিত হয়েছে।গভীর শোক আর শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয়েছে শহীদ জাতীয় চার নেতাকে।

    দিবসটি পালনে রবিবার (৩রা নভেম্বর) সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা,দলীয় পতাকা,কালো পতাকা উত্তোলন করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

    পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি শোক র‌্যালি বের হয়ে তা উপজেলা সদরের প্রধান-প্রধান মোড় প্রদক্ষিণ শেষে আবারও ফিরে এসে সেখানে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।আলোচনা সভায় নীলফামারী-১(ডোমার-ডিমলা)আসনের সংসদ সদস্য ও ডিমলা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম,ভাইস চেয়ারম্যান নিরেন্দ্রনাথ রায় নিরু,উপজেলা আওয়ামী লীগের নব নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু,সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক সহিদুল ইসলাম,সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম বারী ,উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম,ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ, ডিমলা সদর ইউনিয়ন আ.লীগ সাধারন সম্পাদক মহিত কুমার রায়,পুর্বছাতনাই আ.লীগ সাধারন সম্পাদক আব্দুল লতিফ,উক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান,নাউতারা ইউপিচেয়ারম্যান ও উক্ত ইউনিয়ন আ.লীগ সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম লেলিন,বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ভুইয়া,উক্ত ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি সাইদুল ইসলাম বারী, ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি মোজাম্মেল হক,খালিশা চাপানী ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি সোহরাব হোসেন,গয়াবাড়ি ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি-আব্দুল বারেক.সাধারন সম্পাদক আব্দুল সামাদ,পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি আব্দুল গফুর,খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি হামিদুল ইসলাম,টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজরুল ইসলাম, আ.লীগ নেতা কামরুল ইসলাম,উপজেলা যুবলীগ আহবায়ক শৈলেন চন্দ্র রায়,উপজেলা ছাত্রলীগ আহবায়ক আবু সায়েম সরকার প্রমুখ।

  • মোশতাকের নির্দেশে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল : প্রধানমন্ত্রী

    মোশতাকের নির্দেশে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘খন্দকার মোশতাকের নির্দেশে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্ত্র নিয়ে ঢোকা যায় না। কিন্তু, তারা অস্ত্র নিয়ে ঢুকেছিল। গণভবন থেকে সেই নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, যেভাবে ঢুকতে চায়, সেভাবেই যেন ঢুকতে দেয়া হয়।’

    রোববার বিকালে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে তিনি এ সব কথা বলেন।

    বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী যে ঘটনা ঘটিয়েছে ২০০১ সালে সে ঘটনা আবারও হয়েছিল। দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। মানুষের ওপর অত্যাচার হয়েছে। দীর্ঘ সময় দেশের সেবা করতে পেরেছি বলে দেশে উন্নয়ন হয়েছে। মৃত ব্যক্তিকেও খালেদা জিয়া প্রমোশন দিয়েছেন।

    এ সময় তিনি ৬৩ জেলায় বোমা হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, সারা বাংলাদেশে বোমাহামলা হলেও একটি মাত্র জেলা মুন্সীগঞ্জে বোমা হামলা হয়নি। এমনকিগোপালগঞ্জেও বোমাহামলা হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির অবরোধ এখনও বহাল, তারা এখনও উঠায়নি। হরতাল দিয়েছে, অগ্নি সংযোগ করেছে, বাসে আগুন দিয়েছে, লঞ্চে আগুনদিয়েছে। এসব হামলায় অনেক মানুষ মারা গিয়েছে।

    খালেদা জিয়াকে দেখে অনেকের মায়াকান্না। আমরা যারা ‘৭৫ সাল থেকে স্বজন হারা বেদনা নিয়ে আছি আমাদের জন্য কি মায়া লাগে না।

    এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। জাতির পিতা এবং চার জাতীয় নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশহিসেবে রোববার সকাল ৭টায় ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এরপর সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। পরে, আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের আরেকটি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।

    প্রধানমন্ত্রীর পর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও জাতির পিতার প্রতিকৃতির বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

    ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাতের আঁধারে বঙ্গবন্ধুর খুনিচক্র নির্মমভাবে জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে হত্যা করে। যারা বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদান করে জাতির জন্য বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন।

  • বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    রোববার সকাল ৭টায় রাজধানীর ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।

    প্রথমে সরকারপ্রধান হিসেবে এবং পরে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।

    এর পর জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী লীগের সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠন।

    এ সময় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, তাঁতি লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আজ সকাল ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়সহ দেশের সর্বত্র সংগঠনের শাখা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন এবং কালোব্যাজ ধারণ করা হয়।

    সকাল ৭টায় ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে জমায়েত এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে জাতীয় তিন নেতা ও ১৫ আগস্টের শহীদদের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত।

    বিকাল ৩টায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তন স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় জাতীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন।

    ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নিভৃত প্রকোষ্ঠে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে।

    সেদিনের ওই ঘটনা দেশবাসীসহ সমগ্র বিশ্ব স্তম্ভিত হয়েছিল। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে জঘন্য ও বর্বরোচিত এই হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।

    ইতিহাসবিদদের মতে- মানবসভ্যতার ইতিহাসে কলঙ্কময়, রক্তঝরা ও বেদনাবিধুর রাত ৩ নভেম্বর। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা ও তার সহযোদ্ধা জাতীয় চার নেতাকে হত্যা একই সূত্রে গাঁথা।

    বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খন্দকার মোশতাক আহমদের নেতৃত্বে ষড়যন্ত্রকারীরা জাতীয় চার নেতাকে তাদের সরকারে যোগদানের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এ জাতীয় চার নেতা সে প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন। এ কারণে তাদের নির্মমভাবে জীবন দিতে হয়।